প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার স্পষ্ট করে বলেছেন যে বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন তার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের অধীনে অবশ্যই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’
দোহার র্যাফেলস হোটেলে কাতার ইকোনমিক ফোরামের ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এসব কতা বলেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কাতার ইকোনমিক ফোরামের এডিটর-অ্যাট-লার্জ হাসলিন্দা আমিন সেশনে অ্যাঙ্কর করেন।
বিরোধী দল বিএনপি এবং তার মিত্ররা একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করার জন্য তার সরকারকে পদত্যাগ করাতে রাজপথে আন্দোলনের নতুন প্রচারণা শুরু করার সময় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এসেছে।
বাংলাদেশে চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসকরা সব নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন নির্বাচন ছিল একটি খেলা।
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ যখন তার অনুপস্থিতিতে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছিল তখন তিনি দেশে ফিরতে পেরেছেন।
তিনি আরও বলেন, তারপর থেকে আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি। আমাদের সংগ্রাম ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। এবং আমরা আমাদের প্রত্যেকটি মেয়াদে নির্বাচনে তা করেছি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিরোধী দল বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে কোনো সংগঠন এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি।
তাহলে তখন কি ফল হয়েছিল? যে দলটি (বিএনপি) এখন প্রশ্ন তুলছে তারা সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছে।
দৃঢ়কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে তিনি এখানে এসেছেন, কারণ জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে।
তিনি বলেন, এটা জনগণের ক্ষমতা, আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই। আমি এখানে ক্ষমতা দখল করতে আসি নাই। বরং আমি আমাদের জনগণকে ক্ষমতায়িত করতে চাই।
তিনি বলেন, তাদের (জনগণের) সরকার বেছে নেওয়ার অধিকার থাকতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে হাসিনা উল্লেখ করেন, এখন কিছু দল বলেছে তারা অংশ নেবে না। তারা কিভাবে অংশগ্রহণ করবে? কারণ তাদের আমলে দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মানুষ কষ্ট পেয়েছে। তাদের সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। সর্বত্রই ছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ।
তিনি আরও বলেন, তারা কখনো জনগণের কথা ভাবেনি। আমার দেশের জনগণের প্রতিদিন একবেলা খাবার পাওয়াই খুব কঠিন ছিল। এমন ছিল পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার