স্বাস্থ্যবিধি
৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ১৫ জুলাই থেকে চলবে ট্রেন
৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে আগামী ১৫ জুলাই থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। আসন্ন ঈদুল আজহায় মানুষের চলাচলের জন্য আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২জুলাই পর্যন্ত সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুনঃ বিশেষ ট্রেনে ঢাকায় আসবে কোরবানির পশু
সোমবার রেলমন্ত্রী মো. নরুল ইসলাম সুজন বলেন, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনে বিস্তারিত জানানো হবে। এক্ষেত্রে টিকেট শুধুমাত্র অনলাইনে পাওয়া যাবে। কাউন্টারে কোন টিকেট দেয়া হবে না। মঙ্গলবার বিকেল থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
আরও পড়ুনঃ ঢাকা গাজীপুর রুটে বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেনসহ সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে লকডাউন দিয়েছে। গত ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে নতুন করে আরোপ করা লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে।
বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ২০ জনের কারাদণ্ড, ৭০৯ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে একসপ্তাহে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে এবং ৭০৯ জনকে জরিমানা করেছে।
১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটরা এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: বিধিনিষেধ না মানায় কুমিল্লায় ২৭৯ জনকে জরিমানা
অভিযান চলাকালে মাস্ক ব্যবহার না করা এবং স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ৭০৯ জনের কাছে থেকে তিন লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ২০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাগেরহাট জেলাসদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। মানুষ নানা অজুহাতে ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে। অনেকেই আবার আড্ডা দিচ্ছেন অলিগলিতে।
আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিধিনিষেধ বাড়লো, নতুন শনাক্ত ৬৯
তবে লকডাউনের ৮ম দিন বৃহস্পতিবার বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। শহর থেকে শুরু করে সড়ক-মহাসড়ক ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং আনসার সদস্যরা টহল দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুনঃ মানিকগঞ্জে লকডাউন আমান্যে ৪৯ মামলা, জরিমানা
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো.শাহীনুজ্জামান জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। বিধিনিষেধ ভঙ্গ করলে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। গত একসপ্তাহে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে ৭০৯ জনকে অর্থদন্ড এবং ২০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময়ে ৬৯০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লকডাউন লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৯ জনকে কারাদণ্ড, ৯৬ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ জনকে অর্থদণ্ড এবং ৯ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটরা এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালে সরকারি বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করার অপরাধে নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন অমান্য করায় বরিশালে ৪৯৯ জনকে জরিমানা
এদের মধ্যে একজনকে ১৫ দিন এবং আটজনকে তিন দিন করে কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারকরা। এসময় ৯৬ জনকে ৭১ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে বাগেরহাটে লকডাউনের পঞ্চম দিন সোমবার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। শহর থেকে শুরু করে সড়ক-মহাসড়ক ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং আনসার সদস্যরা টহল দিচ্ছে। তবে বিভিন্ন অলিগলিতে মানুষজন ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: বিধিনিষেধ না মানায় কুমিল্লায় ২৭৯ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো. শাহীনুজ্জামান জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গ করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকরা তাদের অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করছেন।
আরও পড়ুনঃ কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও ৭ দিন
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানান, জেলার সর্বত্রই পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। জেলার প্রবেশদ্বারে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে পুলিশ নানা ভাবে কাজ করছে।
মেহেরপুরে করোনায় দুই জনের মৃত্যু
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস ও মানিকনগর গ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নিজ বাড়িতে একজন এবং মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
করোনায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন- আনন্দবাস গ্রামের সালেহার খাতুন (৭০) ও মানিকনগর গ্রামের সাবেক মেম্বার ইছার উদ্দীন (৭৫)।
তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিৎ করে মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দীন জানান, গেল ৩১ মে সালেহার খাতুন এবং ৭ জুন ইছার উদ্দীন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হন। সালেহার খাতুন নিজ বাড়িতে এবং ইছার উদ্দীন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যু বরণ করেন। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তাদের দাফনের প্রক্রিয়া চলছে।
আরএ পড়ুনঃ মেহেরপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তার
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় মেহেরপুর জেলায় আরও ১২ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। বর্তমানে জেলায় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১১৯টি। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৪ জন, গাংনী উপজেলায় ৫০ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় ৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে কুবির প্রশাসনিক ভবনে তালা
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আর একদিনও দেরি নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা চাই’, ‘হাট বাজারে মানুষের ঢল, বন্ধ কেনো পরীক্ষার হল’, ‘অনলাইন শিক্ষা মানি না, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ মানি না’, ‘অনিশ্চিত জীবন থেকে মুক্তি দিন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন’ ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এসময় ক্যাম্পাস খোলার পক্ষে গণস্বাক্ষর গ্রহণ করেন তারা।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে মশাল মিছিল
আন্দোলনে অংশ নেয়া ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদেক হোসেন সোহেল বলেন, শিক্ষামন্ত্রী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রূপরেখা দিলেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে কোন নির্দেশনাই দেননি। অথচ চলমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি মানিয়ে নিতে পারবে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে রিট খারিজ
ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী আফসার উদ্দিন বলেন, যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের সবকিছুই স্বাভাবিক চলছে, সেখানে সরকার করোনার ভয় দেখায়, যা লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের সাথে তামাশা ছাড়া কিছুই নয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল
এসময় শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে ক্লাস পরীক্ষা শুরু করার দাবি জানান।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। সেই সাথে মৃত্যু শূণ্যের কোটায় রাখতে শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার প্রচেষ্টা রয়েছে।
শনিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত 'ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পলিসি কমিটির' সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনামুর রহমান বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে হবে। যে করেই হোক সবাইকে শেল্টারে আনতে হবে, একজনকেও রেখে আসা যাবে না। এবার আমরা টার্গেট রাখবো মৃত্যুহার যেনো জিরো হয়।’
অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছে। আম্পানের সময়ে করোনার কারণে ১৪ হাজার ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কোভিডের কারণে তিনগুণ আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার করবো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবহার করা হবে। সবার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে। ফনী, বুলবুল, আম্পান মোকাবিলা করেছি । অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঝড় মোকাবিলা করা হবে এবং শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসে মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ১৪০টি ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন: প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্গত এলাকার শতভাগ মানুষকে শেল্টার সেন্টারে আনতে পারলে মৃত্যুহার শূন্য হবে আশা করা যায়। যারা বাইরে অবস্থান করে তাদের মধ্য থেকেই মারা যায়। আম্পানে আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ মারা যায় নি, যারা মারা গেছে তারা গাছ চাপ পড়ে, টিনের আঘাতে।
তিনি বলেন, ‘কোভিড রোগী থাকলে তাকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। আক্রান্ত কেউ যেন সুস্থ মানুষের মাঝে না আসতে পারে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোনোভাবেই যেন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নতুন করে সংক্রমণের সৃষ্টি না হয়।’
ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ২৩ মে'র পর ঠিকভাবে বোঝা যাবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সব সদস্যদের এরই মধ্যে এ ব্যাপারে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা প্রচারণা শুরু করেছে। শেল্টার সেন্টারগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে প্রচারণা করছে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত রয়েছে। স্কাউটের ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। শুকনা খাবার মজুত রয়েছে। রবিবার থেকে বিভিন্ন জেলায় এসব খাবার পাঠিয়ে দেয়া হবে ।
এসময় দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘রুল মডেল’ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের যে সুনাম রয়েছে তা ধরে রাখতে সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান তিনি।
প্রস্তুতিমূলক এ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শামসুদ্দীনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা-বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আহমদিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়
সরকারের নির্দেশনা মেনে সুস্থ-সবল ব্যক্তিদের নিয়ে ঢাকাস্থ আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৯টায় মসজিদের ভেতরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের ইমামতি করেন আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত, বাংলাদেশের জাতীয় আমীর আলহাজ্জ মাওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ আদায় করলেন রাষ্ট্রপতি
জামাত শেষে খুতবা পেশ করা হয়। খুতবায় পবিত্র কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন দোয়া উল্লেখ করে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে বেশি বেশি দোয়া করার আহ্বান জানান আলহাজ্জ মাওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
মানব সেবার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তখনই প্রকৃত ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে পারব যখন আমার আমাদের প্রতিবেশী এবং অসহায়দের খোঁজ-খবর নিব এবং সুখে-দু:খে তাদের পাশে দাঁড়াব।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারির চাদরে মোড়া আরও একটি ঈদ!
তিনি আরও বলেন, বর্তমান মহামারি করোনার কারণে মানব সেবার এই দায়িত্বটি আমাদেরকে আরও অধিকহারে করতে হবে।
খুতবা শেষে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের ঐক্যে এবং বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আল্লাহ যেন বিশ্ববাসীকে রক্ষা করেন এজন্যও দোয়া করা হয়।
পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা প্রবেশ করেন মসজিদে। ঈদ জামাত, কোলাকুলি ও হাত মেলাতে মানা থাকায় সেগুলো মেনেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে অংশগ্রহণকারী সবার জন্য মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা করা হয়। একইভাবে সারাদেশে আহমদিয়া মসজিদগুলোতে পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
মুসলিম বিশ্বের ঐক্য, শান্তি এবং মহামারি করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব থেকে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের সব মানুষের সুরক্ষার জন্য দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, মুসলিম বিশ্ব সিয়াম সাধনা এবং ত্যাগের মধ্য দিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে অতীতের ভুল-ভ্রান্তির ক্ষমা চেয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলার অঙ্গীকারে প্রত্যয়ী হওয়ার এক সফল পথ এই পবিত্র ঈদ। প্রতি বছর এই ঈদ আনন্দের বার্তা বয়ে আনলেও গত বছর থেকে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এক অন্য আবহে পালিত হচ্ছে ঈদ।
স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে জগন্নাথপুরে জমে উঠেছে উপজেলার বাজার
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপজেলার বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ঈদ বাজারগুলো ক্রেতা, বিক্রেতার ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠছে তবে কেউই স্বাস্থ্যবিধি পালন করছেন না।
ক্রেতাদের ভিড়ে দোকানে ঠাই পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রি ভালো তাই দোকানিরা খুবই খুশি।
উপজেলায় প্রায় ১০০টি শপিংমল আছে। করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন যাবত লকডাউনে শপিংমল বন্ধ থাকার কারণে মানুষের প্রয়োজনীয় সামগ্রী জুতা, প্যান্ট, শার্ট, শাড়ি কাপড়ের পাশাপাশি মহিলাদের যাবতীয় কসমেটিক্স আইটেম ক্রয় করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে হাট বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বেহাল অবস্থা
তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কথা থাকলেও কেউ মানছে না কোনো সামাজিক দুরত্ব। শপিংমল গুলোতে পুরুষদের চাইতে মহিলাদের ভিড় বেশি দেখা গেছে ।
সকালে শপিংমল খোলার আগেই ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। কখন শপিংমল খুলবে, আর কখন চাহিদা মতো শপিং করে বাসায় ফিরবে এই অপেক্ষায় ছিলেন ক্রেতারা। আর বিক্রি ভালো হওয়ায় দোকানিরা খুবই খুশি।
সরজমিনে জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি বাজার ও মার্কেট গুলোতে পুরুষ ক্রেতার চেয়ে মহিলা ক্রেতার ভিড় বেশি। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তারা নিজেদের ছেলে মেয়েদের জন্য পছন্দ অনুযায়ী পোশাক কিনতে ও ঈদের অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয় করতে মার্কেটে ভিড় জমাচ্ছেন। তবে এতে করে অধিকাংশ ক্রেতা মাস্ক ব্যবহার না করে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে চলাফেরা করছে মার্কেটের দোকান গুলোতে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি অমান্য: চুয়াডাঙ্গায় সব মার্কেট, শপিংমল বন্ধ ঘোষণা
জগন্নাথপুর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিটি মুসলিম পরিবার দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তাদের সাধ্যমতো ঈদের পোশাক ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে সবাই মিলেমিশে ঈদের আনন্দকে উপভোগ করার চেষ্টা করছেন। আমরা ব্যবসায়ীরা এই ঈদে বেশি কেনা বেচা করতে অপেক্ষায় বসে থাকি। বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে গত বছর ব্যবসা মন্দা ছিল। তবে এবছর কিছুদিন আগে সরকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট, শপিংমল স্বল্প পরিসরে খোলার অনুমতি দেওয়ায় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করতে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বিশেষ করে গ্রাম এলাকার মানুষের মাঝে করোনা সম্পর্কে সচেতনতা দেখা যাচ্ছেনা। আমরা ব্যবসায়ীরা চেষ্টা করছি সরকারের নির্দেশনা মতো সামাজি দুরত্ব বজায় রেখে ও মাস্ক পরিধান করে চলতে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। যারা করোনা সম্পর্কে সচেতন তারা ঠিকই মাস্ক, সেনিটাইজার ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করছেন।
জগন্নাথপুর বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহির উদ্দিন বলেন, মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ীরা এক বছর যাবৎ ব্যবসা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিল। এবছর ও করোনার দ্বিতীয় ধাপে আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে মহা বিপদে আছি কখন যে কি হয়। তবে এবছর ঈদে সামান্য ব্যবসা করে কোন রকম টিকে থাকতে পারবো।
কুড়িগ্রামে শ্রমিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ
করোনাকালীন সময়ে কুড়িগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মহীন ৭ শতাধিক মটর শ্রমিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দিল মালয়েশিয়া কমিউনিটি
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুড়িগ্রাম স্টেডিয়াম মাঠে এই বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও
সদর উপজেলার বেলগাছা, কাঁঠালবাড়ী ও পৌরসভা এলাকার শ্রমিকদের মাঝে চাল, ডাল, তেল ও লবন হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান
বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সুজাউদ্দৌলা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াছমিন, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর দাবি শ্রমিকদের
স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে গণপরিবহন পুনরায় চালু করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় মিছিল করেছে পরিবহন শ্রমিকরা।
রবিবার সকালে ঢাকা মহানগর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে নেতা-কর্মীরা মিছিলটি বের করেন।
এর আগে শনিবার সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে সরকার দেশে গণপরিবহন পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালুর দাবি পরিবহন মালিক সমিতির
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের এ ব্যাপারে কোনও প্রকার আন্দোলন না করে ধৈর্য্য ধরারও আহ্বান জানান তিনি।
করোন মহামারি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশ জুড়ে ৫ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। সেই সাথে বন্ধ করে দেয়া হয় গণপরিবহন চলাচল।
আরও পড়ুন: লকডাউনে খাদ্যসামগ্রী পেল কর্মহীন ১২০০ পরিবহন শ্রমিক
শুক্রবার চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
আরও পড়ুন: সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা ভাবনা করছে: কাদের
কর্মহীন শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সহযোগিতা প্রদানসহ বাস চালু করতে সারা দেশের মালিকদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানায় সমিতি।
এক বিবৃতিতে সমিতির নেতারা বলেন, লকডাউনে বাস ছাড়া সবই চলছে। বাস চালু না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিকল্পভাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, টেম্পু, থ্রি-হুইলার, মাইক্রোবাস, স্টাফ বাস এমনকি অ্যাম্বুলেন্সেও গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বরং স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়ছে। লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসে সিটের অর্ধেক যাত্রী অর্থাৎ দুই সিটে একজন যাত্রী নিয়ে বাস চালু থাকলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে না।