হত্যা মামলা
২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
১৯৯৮ সালে কুমিল্লা বরুড়ায় ফার্নিচার ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এই ঘটনায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গোসলের ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায়ে দেন।
মো. শহিদুল্লাহ বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের মৃত মাওলানা আব্দুল মজিদের ছেলে।
তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী ছিলেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ২৫ মে দুপুরে শহিদুল্লাহ তার জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যায়। তখন শহিদুল্লাহর সঙ্গে আসামিদের বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে রাতের বেলায় শহিদুল্লাহকে তার দোকান থেকে ডেকে নিয়ে আসামিরা কুপিয়ে জখম করে। এইসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
এই ঘটনায় ২২ মে নিহত আসামির ভাই আমানুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ১৫ জনের নামে অভিযোগ পত্র দেন। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ ২৬ বছর পর মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলা: মুক্তিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্য গোপন করে উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এর আগে দেওয়া জামিন আদেশ প্রত্যাহার করে এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে হাইকোর্ট তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাকিমকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রমের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন— ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সোরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সোরোয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ না করেন তাহলে তাকে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ অর্থাৎ গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাজা বহালের রায় প্রকাশ, আমান দম্পতিকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি। কারাগারে আছেন কয়েক বছর ধরে। গত আগস্ট মাসে এ মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশনা দিয়েছিল দেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল আপিল বিভাগ।
কিন্তু এই নির্দেশনা গোপন রেখে হাইকোর্টে চাওয়া হয় ওই আসামির জামিন। গত ২০ নভেম্বর মুক্তিকে জামিন দেন বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এ জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর গত বুধবার মুক্তি পান তিনি। এদিকে এ আসামির মুক্তিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে সরকারের শীর্ষ মহলে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘মামলাটি টাঙ্গাইল জেলার হলেও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় ঢাকার জেলার নাম উল্লেখ করা রয়েছে। শুধু জেলার নাম ভুলই নয়, আসামির নামও ভুল লেখা হয়েছে। ছিল না কোনো টেন্ডার নম্বর।’
তিনি আরও বলেন, ‘জামিন চাইতে পারেন যেকোনো আসামি। কারণ এটা আসামির অধিকার। জামিন পেতেও পারেন। তবে এভাবে ভুল তথ্য দিয়ে জামিন হাসিল করাটা কতটা ন্যায়সঙ্গত। এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।’
তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। সে অনুযায়ী বিষয়টির উপর সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে গত ২০ নভেম্বর মুক্তিকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ রবিবার প্রত্যাহার করে নেন। পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।’
প্রসঙ্গত, সহিদুর রহমান মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়।
এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এই মামলায় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
পরে পুলিশ এই চারজনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। বর্তমানে এই মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
নিপুণ রায়কে ৮ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
ঝিনাইদহে মা ও মেয়েকে হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ২ জন গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে মা ও মেয়েকে হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বকসিপুর ও চাদঁপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের তক্কেল আলীর ছেলে রফিক উদ্দিন ও মৃত আফিস বিশ্বাসের ছেলে ঝন্টু বিশ্বাস।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন বলেন, ২০০২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ গ্রামের হাসিনা খাতুন ও তার ৩ বছরের মেয়ে টফিকে অভিযুক্তরা নিয়ে আসেন এবং হাসিনা খাতুনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার পর তাদের দু’জন হত্যা করেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ ফোন: নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, ওইদিন সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের নবগঙ্গা নদীর পাড় থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা তাদের শনাক্ত করেন।
ওসি শাহীন বলেন, এ ঘটনায় সাগান্না ইউনিয়নের চৌকিদার সাধন দাস অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। উক্ত মামলায় চলতি মাসে আদালত ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
তিনি আরও বলেন, রায়ের সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করলে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে রফিক ও ঝন্টুকে গ্রেপ্তার করেন।
শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, গ্রেপ্তার ২
নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
নাটোরে একটি হত্যা মামলার রায়ে বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী জোসনা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, দণ্ডপ্রাপ্ত উভয়কে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। এ সময় জোসনা খাতুন উপস্থিত থাকলেও পলাতক রয়েছেন বেলাল।
বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অনিসুর রহমান জানান, ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি নাটোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা এলাকার একটি আম বাগান থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে জোসনার ব্যক্তিগত কিছু কাগজপত্র লাশের কাছে পাওয়ায় তাকে আটক করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন জোসনার স্বামী বেলাল। তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক পলাতক বেলাল ও তার স্ত্রী জোসনাকে ওই দণ্ডাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তের আগুন
নাটোরে ইসলামী আন্দোলন কর্মীর হাত ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে: ডিবি প্রধান হারুন
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশীদ জানিয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার সময় পুলিশ কনস্টেবল হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি: সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিন ১ বছর বাড়লো
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি নেতাকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান এসব কথা বলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে আমীর খসরু মাহমুদকে খুঁজছিলাম।’
তিনি জানান, ‘তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং আমরা গত রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করি। পল্টন থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি বলেন, আমির খসরু পুলিশ হত্যা মামলার চতুর্থ আসামি এবং পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করবে।
ডিবি প্রধান বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) জানেন যে একজন পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও অনেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এ মামলার আসামিদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ও কাকরাইলে সহিংস সংঘর্ষের পর রবিবার দুই নেতার বাড়িতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
বরিশালের বাকেরগঞ্জে মোটরসাইকেল চালক ফয়সাল আহমেদ প্রিন্স হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
সোমবার (৯ অক্টোবর) বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা এর রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু জানান, দণ্ডিতরা ২০১৯ সালের ৪ মার্চ উপজেলার বালিগ্রামে মো. শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপন করতে আসে।
পরদিন ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে বালিগ্রামের সড়কে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলচালক ফয়সালকে একা পায় তারা। পরে তার পথরোধ করে নলকূপ স্থাপনের পাইপ বসানোর লোহার হ্যান্ডেল ও রড দিয়ে মাথায়-মুখে আঘাত করে।
এরপর গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে ফয়সালকে হত্যা করে পাশের ইউসুফ হাওলাদারের দোকানের পেছনে লাশ লুকিয়ে রাখে। পরে ফয়সালের মোবাইল ফোন, টাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায় ঘাতকরা।
এ ঘটনায় ফয়সালের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৬ মার্চ বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ২০২০ সালের ৩১ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
পরে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ গ্রহণ শেষে সোমবার এ রায় দেন। এঘটনায় আরও এক আসামি সৈয়দ মৃধা খলিলকে খালাস দিয়েছে আদালত। রায়ে সন্তোস প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম।.
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রামে নির্বাচনের টাকা ভাগভাটোয়ারা দ্বন্ধে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন মান্না (৪৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ কর্মী জসিম ও তার ছেলে মামলার ৩ নম্বর আসামি মোহাম্মদ রাহাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানা এলাকা হতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক বিকালে গণমাধ্যমকে বলেন, টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব হতে পাহাড়তলী থানার আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন মান্নার হত্যাকারী প্রধান আসামি জসীম ও সহযোগী আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
উল্লেখ্য গত রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাহাড়তলীর সরাইপাড়া হাজী আশরাফ আলী রোড মাদ্রাসা পাশে (লাকি হোটেল গলি) রাস্তার উপর মোহাম্মদ হোসেন মান্নাকে প্রকাশে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
নিহত মান্না পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়ার হাজী আব্দুস সালাম দফাদার বাড়ীর মৃত নূর মিয়ার পুত্র এবং ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পাহাড়তলী ডবলমুরিং সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী প্রচারণার টাকা ভাগভাটোয়ারা নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা জসিম ও মান্নার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে স্থানীয় ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুল আমিন শালিশ করে বিরোধ মিটানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। জসিমের দাবী মান্না নির্বাচনী কর্মীদের জন্য আনা ৮ হাজার টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন। বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। এনিয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেছিল মান্না।
রবিবার দুপুরে পুলিশ মামলার বিষয়ে তদন্তে এলে দুই জনের মধ্যে আমার ঝগড়ার সৃষ্টি হয় এবং পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে ছুরিকাঘাতে মারা যায় মান্না।
এ ব্যাপারে মান্নার পরিবারের পক্ষ থেকে পাহাড়তলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
পুলিশ সদস্য হত্যা মামলা: রিজভীসহ বিএনপির ৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পুলিশ কনস্টেবল শামীম হত্যা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির কর্মী আব্দুস সাত্তার, শাহ আলম, আনোয়ার হোসেন টিপু ও আলফাস ওরফে আব্বাস।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিলকিস আক্তার আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন।
রিজভীর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের টানা ১২তম দিনের অবরোধ চলাকালীন রাত পৌনে ৯টার দিকে মৎস্য ভবন এলাকায় ৩০/৪০ জন পুলিশ সদস্যবাহী একটি বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রোলবোমায় নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যেই বোঝা যায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে: রিজভী
এই ঘটনায় কনস্টেবল শামীম, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল শিপন, মোরশেদ, বক্তিয়ারসহ পুলিশের ১৩ সদস্য আহত হন। পরে কনস্টেবল শামীম ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় ১৮ জানুয়ারি উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. আলী আক্কাছ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি আনোয়ার হোসেন টিপু ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
টিপু নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য ২০ দলীয় জোটের অবরোধ বেগবান করতে দলের হাইকমান্ডের সুনজরে থাকতে নাশকতার পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পাশাপাশি আসামি মোহাম্মদ হোসেন নিউমার্কেট থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি এবং আসামি সাত্তার নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার জন্য এ নাশকতার সঙ্গে জড়িত হন।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
বাগেরহাটে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় শুক্রবার এক নারী ও তার মেয়েকে হত্যার ঘটনায় ৩ ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ৩ ভাই হলেন- উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার (৪৫), নেহারুল হাওলাদার (৪৮) ও মিলন হাওলাদার (৪০)।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, শুক্রবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাস থেকে নামিয়ে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩
এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় ৩৮ বছর বয়সী এক নারী ও তার মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নিহতরা হলেন- পাপিয়া বেগম উত্তর রাজাপুর গ্রামের আবু জাফর হাওলাদারের স্ত্রী এবং ৬ বছর বয়সী তার মেয়ে সওদা জেনি।
পরে পাপিয়ার ভাই আল আমিন খলিফার অভিযোগের ভিত্তিতে পাপিয়ার স্বামীসহ ৭ জনকে আসামি করে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: সাভারে ১৬ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ গ্রেপ্তার
বুয়েটের আবরার হত্যা মামলার আসামি ক্লাসে যোগ দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি ক্লাসে অংশ নেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযুক্ত আসামি রাশেদুল ইসলাম বিটু, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
এর আগে ২০২১ সালের ২২ মে বিটু কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সঙ্গে অনলাইন ক্লাসে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ করায় রবিবার (০৬ আগস্ট) পর্যন্ত তিনি আর ক্লাসে আসেননি। কিন্তু রবিবার তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সঙ্গে আরেকটি ক্লাসে যোগ দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও এর প্রতিবাদ জানায়।
তার নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, 'এটা নিশ্চিত যে বিটু আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এবং জড়িত ছিল। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কার করা হয়। এবার দ্বিতীয়বারের মতো সে ক্লাসে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমাদের ভাইয়ের খুনির সঙ্গে ক্লাসে যাওয়াটা আমাদের জন্য লজ্জার।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিটু র্যাগিংয়ের জন্য কুখ্যাত।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামির জেল আপিল গ্রহণ
আবরার হত্যা: খালাস চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সেতুর হাইকোর্টে আপিল