গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশীদ জানিয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার সময় পুলিশ কনস্টেবল হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি: সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিন ১ বছর বাড়লো
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি নেতাকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান এসব কথা বলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে আমীর খসরু মাহমুদকে খুঁজছিলাম।’
তিনি জানান, ‘তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং আমরা গত রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করি। পল্টন থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি বলেন, আমির খসরু পুলিশ হত্যা মামলার চতুর্থ আসামি এবং পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করবে।
ডিবি প্রধান বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) জানেন যে একজন পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও অনেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এ মামলার আসামিদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ও কাকরাইলে সহিংস সংঘর্ষের পর রবিবার দুই নেতার বাড়িতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি