চট্টগ্রামে নির্বাচনের টাকা ভাগভাটোয়ারা দ্বন্ধে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন মান্না (৪৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ কর্মী জসিম ও তার ছেলে মামলার ৩ নম্বর আসামি মোহাম্মদ রাহাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানা এলাকা হতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক বিকালে গণমাধ্যমকে বলেন, টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব হতে পাহাড়তলী থানার আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন মান্নার হত্যাকারী প্রধান আসামি জসীম ও সহযোগী আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
উল্লেখ্য গত রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাহাড়তলীর সরাইপাড়া হাজী আশরাফ আলী রোড মাদ্রাসা পাশে (লাকি হোটেল গলি) রাস্তার উপর মোহাম্মদ হোসেন মান্নাকে প্রকাশে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
নিহত মান্না পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়ার হাজী আব্দুস সালাম দফাদার বাড়ীর মৃত নূর মিয়ার পুত্র এবং ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পাহাড়তলী ডবলমুরিং সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী প্রচারণার টাকা ভাগভাটোয়ারা নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা জসিম ও মান্নার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে স্থানীয় ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুল আমিন শালিশ করে বিরোধ মিটানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। জসিমের দাবী মান্না নির্বাচনী কর্মীদের জন্য আনা ৮ হাজার টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন। বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। এনিয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেছিল মান্না।
রবিবার দুপুরে পুলিশ মামলার বিষয়ে তদন্তে এলে দুই জনের মধ্যে আমার ঝগড়ার সৃষ্টি হয় এবং পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে ছুরিকাঘাতে মারা যায় মান্না।
এ ব্যাপারে মান্নার পরিবারের পক্ষ থেকে পাহাড়তলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন