স্বামী
নওগাঁয় স্ত্রীহত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন ওরফে টনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণের পর হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন- জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি আরও বলেন, ‘রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান মামলাটি শুনানি করেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে নাচোলের মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। স্বামীকে নিয়ে ২০২০ সালের ২৯ জুন বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে তুকাজ্জেবা। এরপর ১ জুলাই তার গলায় কাঁচি দিয়ে জখম করে সালাউদ্দীন। চিৎকারের শব্দ পেয়ে দরজা ভেঙে আহত অবস্থায় তুকাজ্জেবাকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় সালাউদ্দিনকে স্থানীয়রা আটকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদী হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ১৫ বছর পালিয়ে থাকার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মাগুরায় বাড়ি ফেরার পথেই স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
মাগুরার শ্রীপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাবার কথা বলে পথেই স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মোছা. মনিকা খাতুন উপজেলার চরচৌগাছি গ্রামের মাজেদ শেখের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম টিপু বিশ্বাস।
পারিবার সূত্রে জানা যায়, ৩ বছর আগে টিপু বিশ্বাসের সঙ্গে মনিকা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর এক বছর পর তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু টিপুর পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয়নি। যার কারণে মনিকা তার বাবার বাড়িতেই থাকতো।
২০২৩ সালে টিপুকে উপজেলার ঘাসিয়াড়া গ্রামের নাজমীম নামে আরেক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেন তার পরিবার। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বসবাস করছিলেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) টিপু তার প্রথম স্ত্রী মনিকার বাবার বাড়িতে যান। পরদিন সকাল ১১টার দিকে টিপু মনিকাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দু’জনে মোটরসাইকেলে করে বের হন। পথে উপজেলার মালাইনগর গ্রামের মালাইনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে দুলাল কাজীর পুকুরের পাড়ে নিয়ে গিয়ে টিপু মনিকাকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিকাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ তাসমীম আলম জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী টিপু পলাতক রয়েছেন। তাকে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সরাইলে চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
গাজীপুরে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
গাজীপুরে কালিয়াকৈরে বাসের চাপায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন ।
নিহতরা হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইতলী গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে আসিফ ও তার স্ত্রী তানজিম।
আরও পড়ুন: রাজশাহী নগরীতে দুই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ তরুণ নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস এলাকায় মহাসড়ক পারাপারের সময় টাঙ্গাইলগামী মাহী স্পেশাল পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস আসিফ মাহমুদ ও তার স্ত্রী তানজিমকে চাপা দেয়। এতে তারা দুজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তাদের মৃত্যু হয়।
পরে পুলিশ ওই দম্পতির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, স্বামী-স্ত্রী নিহতের ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক রয়েছেন। লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর সহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
চাঁদপুরে স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, শ্বাশুড়ি গ্রেপ্তার
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা নায়েরগাও উত্তর ইউনিয়নের বকচর গ্রামে স্ত্রী খাদিজা আক্তার নামে এক নারীর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
রবিবার ( ১৪ এপ্রিল) জামাতা ইব্রাহিম ও মেয়ের শ্বাশুড়িকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন নিহত খাদিজার বাবা খোকন মিয়া।
ইব্রাহিম প্রধান একই (বকচর) গ্রামের আব্দুল মোতালেব প্রধানের ছেলে।
এ ঘটনায় শ্বাশুড়ি যায়েদা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় দিনমজুর স্বামী ইব্রাহিম প্রধান পলাতক রয়েছেন।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন বালা ইউএনবিকে জানান, ঈদুল ফিতরের দিন(১১ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে ইব্রাহিম প্রধান শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী খাদিজা আক্তারের শরীরে শ্যালো মেশিনের ডিজেল ঢেলে হঠাৎ আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় খাদিজার চিৎকারে ছুটে এসে প্রতিবেশী মনির ও মহসিন পাটের বস্তা ভিজিয়ে আগুন নেভায়। এরই মধ্যে শরীরের অনেকাংশই পুড়ে যায়। পরে খাদিজাকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত দেড়টায় মারা যায় খাদিজা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অটোরিকশার চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
খাদিজার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। বিষয়টি গোপন করে ১৩ এপ্রিল তড়িঘড়ি করে তার লাশ দাফন করা হয়।
ভিকটিম খাদিজা ইব্রাহিমের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগে ইব্রাহিম আরও ২টি বিয়ে করেছেন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের কারণে আগের দুই স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। খাদিজার দুটি ছেলে রয়েছে। ৪ বছর আগে খাদিজার সঙ্গে ইব্রাহিমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ইব্রাহিম ও তার মা যায়েদা যৌতুকের জন্য খাদিজাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে চুরির অভিযোগে মাকে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
খাদিজার বাবা খোকন মিয়া জানান, ‘বিয়ের পর থেকেই ইব্রাহিম খাদিজাকে যৌতুকের জন্য মারধর করত। এসব নিয়ে অনেকবার শালিস বৈঠকও হয়েছে। আমার যৌতুক দেওয়ার সামর্থ নেই দেখে মেয়েটা মুখ বুঝে সব কিছু সহ্য করে গেছে।’
প্রতিবেশীরা জানায়, ইব্রাহিমের নির্যাতনে আগের দুই স্ত্রী পালিয়ে গেছে।
এ বিয়য়ে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন বালা বলেন, খাদিজার শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বামী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার(২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পারভেজ সাতকানিয়ার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি আইনজীবী নিখিল কুমার নাথ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
তিনি আরও বলেন, রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, মো. পারভেজের সঙ্গে ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল সামাজিকভাবে ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিলেও পিতার বাড়ি থেকে আরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি।
পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।
২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার লাশ তারা দেখতে পান।
এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যা: স্ত্রীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
লালমনিরহাটে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে স্বামীর নির্যাতনে তাহমিনা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গৃহবধূ তাহমিনা কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের নিথক শিয়ালখোওয়া এলাকার তাহের আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগে সহকারী শিক্ষক বরখাস্ত
তাহমিনার স্বামী আলমগীর হোসেনে একই উপজেলার মহিশামুড়ি (মাস্টার মোড়) এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, তাহমিনা আলমগীরের তৃতীয় স্ত্রী। তাহমিনা তার বাবার বাড়িতে থাকায় আলমগীর শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আলমগীর গাছের ডাল দিয়ে তাহমিনাকে আঘাত করেন। এ সময় তার মাথা ফেটে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করেন। মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তখন থেকে আলমগীর হোসেন পলাতক রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাইকে ৭ মার্চের ভাষণ বন্ধ, কটূক্তির অভিযোগে শিক্ষক আটক
খুলনায় তরুণীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
পল্লবীতে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার
রাজধানীর পল্লবী থেকে মাহফুজা নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্বামী আমিনুলকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার(৪ মার্চ) সন্ধ্যায় মাহফুজার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ঘরের দরজা ভেঙে নারীর গলিত লাশ উদ্ধার
নিহতের পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য স্বামী আমিনুল প্রায় প্রতিদিনই নির্যাতন করতেন মাহফুজাকে। সর্বশেষ তার মায়ের এফডিয়ারের সাত লাখ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন আমিনুল।
স্বামী আমিনুলের দাবি, মাহফুজা আত্মহত্যা করেছেন। ভুক্তভোগীর পরিবারকে ফোন দিয়ে মাহফুজা অসুস্থ বলেও জানায় আমিনুল। এরপর তারা গিয়ে দেখতে পান মাহফুজার লাশ।
তাদের বলা হয়- আত্মহত্যা করেছেন মাহফুজা। তবে এই কথা মানতে নারাজ মাহফুজার পরিবার। তারা বলছেন, আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে সে নয়।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, মাহফুজাকে হত্যা করা হয়েছে কি না এটা এখনও স্পষ্ট না। তবে তার আত্মহত্যার কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরিবার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর নবম শ্রেণির ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরিষা খেতে ঘাস বিক্রেতার পোড়া লাশ
রাজবাড়ীতে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন
রাজবাড়ীতে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় স্ত্রী শাহিদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন।
শাহিদা বেগম বালিয়াকান্দির বংকুর গ্রামের মৃত আশরাফ সানার স্ত্রী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ি বিক্রি করা নিয়ে ২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর সকালে শাহিদা ও তার স্বামীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ঘর থেকে লোহার রড নিয়ে এসে শাহিদা বেগমকে মারতে যান আশরাফ। তখন শাহিদা বেগম লোহার রডটি আশরাফের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে তাকেই মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই আশরাফ সানার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের মেয়ে আফরোজা বেগম বাদী হয়ে থানায় মায়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে এ রায় প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিয়ের ৪ দিনের মাথায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের চার দিনের মাথায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্ত্রী (নববধূ) তছলিমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ
সৌদিআরব প্রবাসী স্বামী হামিদুল ভূঁইয়া আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানায়, গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করে তাসলিমাকে ঘরে তুলে নেয় হামিদুল। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। তারই জের ধরে ধারালো ছুরি দিয়ে তাসলিমাকে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী হামিদুল।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার পর পরই স্বামীসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের রিমান্ডে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রী
কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
বগুড়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ
বগুড়ার আদমদীঘিতে স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর অভিযোগ বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের চা বাগান মহল্লায় তাকে কুপিয়ে যখম করা হয়।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নিহত রাজিয়া সুলতানা চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমাস্তাপুর উপজেলার স্রীকান্দ গ্রামের বদিউজ্জামানের স্ত্রী ও বর্তমান সান্তাহার চা বাগান মহল্লায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বকুল হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে স্বামী বদিউজ্জামানের সঙ্গে রাজিয়া সুলতানার মনমালিন্য হয়। একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে তরকারি কাটা বটি দিয়ে স্ত্রীর শরীর বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
এসময় স্ত্রী চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বদিউজ্জামান পালিয়ে যান। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাজিয়া সুলতানাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মারা যান।
আদমদীঘি থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, ঘটনার পর তার স্বামী পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ছাত্রীদের উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা
পিছিয়েছে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা