প্রধানমন্ত্রী
কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ পাশের কাজ শেষ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের সাধারণ কাজ সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার এ উপলক্ষে সেতু বিভাগের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন (গণভবন) থেকে যোগ দিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে এবং টানেলের উত্তর প্রান্তের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশের টানেল, যা কর্মসংস্থান, পর্যটন এবং শিল্পায়ন বৃদ্ধির সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতি বৃদ্ধিতে শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্ণফুলী টানেল চট্টগ্রামের যানজট পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দুটি পাঁচ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হচ্ছে। টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
কর্মকর্তাদের মতে, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ করতে আরও দুই মাস সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী টানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (জি টু জি) যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এবং বাকি অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রামকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। চীনের সাংহাইয়ের মতো ‘এক নগরী দুই শহর’ মডেল অনুসরণ করে নির্মিত এই টানেলটি উত্তরের বন্দর শহরটিকে দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে।চীন এই প্রকল্পে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। বর্তমানে, টানেলের ভিতরে অগ্নিনির্বাপণ, আলো এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও, ৫২টি সেচ পাম্পও স্থাপন করা হচ্ছে যাতে বর্ষাকালে পানির স্তর বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে টানেলটি আটকে না যায়, প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল সংলগ্ন দুটি টিউব নির্মাণ করা হয়েছে। টানেলে একই সঙ্গে লাইট, পাম্প এবং ড্রেনেজ সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে এবং একটি ৭৭২ মিটার ফ্লাইওভারও নির্মিত হয়েছে।
বর্তমানে টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে।
কর্ণফুলী টানেল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় টানেলের অ্যাপ্রোচ রোডের দুই পাশে নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে এরই মধ্যে ভাগ্যের পরিবর্তনের সাক্ষী হতে শুরু করেছে।
কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যমতে, কর্নফুলীর দক্ষিণ তীরে অন্তত ১০টি বড় শিল্প গ্রুপ এবং ১৫০ জন ব্যবসায়ী বিভিন্ন সেক্টরে - বিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম, পোশাক, জাহাজ নির্মাণ, মাছ প্রক্রিয়াকরণ, ইস্পাত, সিমেন্ট এবং তেল শোধনাগার - কারখানা স্থাপনের জন্য অগ্রিম জমি কিনেছে।
টানেলটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে কর্ণফুলী টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
২০১৫ সালের নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আট হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মাল্টি-লেন রোড টানেল প্রকল্পটি অনুমোদন করে এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নির্ধারণ করা হয়েছিল।পরবর্তীতে খরচ বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকা করা হয় এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রকল্পের সর্বশেষ সংশোধনীতে ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং ব্যয় ১৬৪ কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
২০১৩ সালে পরিচালিত জরিপ অনুসারে টানেল নির্মাণের আগে বছরে ৬৩ লাখ যানবাহন টানেল দিয়ে চলাচল করতে সক্ষম হবে। সে হিসাবে দিনে প্রায় ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি চলতে পারে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন কর্ণফুলী টানেল দিয়ে যাতায়াত করবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকটের আশঙ্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রী
কর্ণফুলী টানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজের আংশিক সমাপ্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ঘোষণা দেবেন টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের কাজ শেষ করার।
টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। আর টানেলের উত্তর প্রান্তের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে সেতু বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার(২৫ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
কায়কাউস বলেছেন, ‘সেতু বিভাগ টানেলের দক্ষিণ অংশের সমাপ্তি উপলক্ষে একটি প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। আমরা আশা করি যে আগামী জানুয়ারির শেষ নাগাদ পুরো টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।’
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দু’টি পাঁচ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হচ্ছে।
টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার।
কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ করতে আরও দুই মাস সময় লাগবে।’
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে টানেলটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল যা নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
সরকারের লক্ষ্য হলো কর্ণফুলী টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাইয়ের মতো ‘এক নগরীর দুই শহর’করা।
এ প্রকল্পে সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে চীন। বর্তমানে, টানেলের ভিতরে অগ্নিনির্বাপণ, আলো এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও, ৫২টি সেচ পাম্পও স্থাপন করা হচ্ছে যাতে বর্ষা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পানির স্তর বৃদ্ধির কারণে টানেলটি আটকে না যায়, প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল সংলগ্ন দু’টি টিউব নির্মাণ করা হয়েছে। টানেলে একই সঙ্গে লাইট, পাম্প এবং ড্রেনেজ সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে এবং একটি ৭৭২ মিটার ফ্লাইওভারও নির্মিত হয়েছে।
বর্তমানে টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে।
কর্ণফুলী টানেল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় টানেলের অ্যাপ্রোচ রোডের দুই পাশে নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে ভাগ্যের পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর্ণফুলী টানেল দেশের পর্যটন ও শিল্প খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এ টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকটের আশঙ্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রী
দেশে ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ভোগ্যপণ্য নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকেও (পণ্য) আমদানি শুরু করেছি।’শুক্রবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের পেশাজীবী সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যদিও (রাশিয়ার ওপর) নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের সমস্যা রয়েছে, সরকার একটি বিকল্প (পরিশোধ) ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
শেখ হাসিনা বলেন, পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো পর্যাপ্ত রিজার্ভ এখনও বাংলাদেশের কাছে রয়েছে।
রিজার্ভ ইস্যুতে সরকারের সমালোচকদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, এখন সবাই রিজার্ভ ও অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের সময় রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়, যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছু বেশি।
তিনি বলেন যে মহামারি মোকাবিলায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, টেস্টিং কিট ও অন্যান্য সম্পর্কিত উপকরণ সংগ্রহ করতে রিজার্ভ থেকে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পর সরকারকে এখন উচ্চমূল্যে ভোজ্যতেল, গম ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (সরকার) ভোগ্যপণ্য নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই রিজার্ভ কমেছে।
তিনি আরও বলেন যে এখন একটি গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে ব্যাংকে টাকা নেই এবং গ্রাহকরা তাদের আমানত ফেরত পাবেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই গুজবের কারণে অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রেখে দিচ্ছেন। ঘরে টাকা রাখলে চোরের জন্য সুযোগ তৈরি হয়, তাই না?... এখন এটা মালিকদের ব্যাপার যে তারা এটা ব্যাংকে রাখবে নাকি চোরদের হাতে তুলে দেবে।’
আরও পড়ুন: ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়িতে রাখলে চোরেরা উৎসাহিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর অনুষ্ঠিত হবে: শাহরিয়ার আলম
মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার মালয়েশিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার বিন ইব্রাহিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
একটি চিঠিতে তিনি লিখেছেন: ‘এই উচ্চ পদে আপনার নির্বাচন একটি স্পষ্ট সাক্ষ্য এবং আপনার দেশের জন্য আপনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা এবং দীর্ঘ সময়ের ত্যাগের প্রতি মালয়েশিয়ার জনগণের আস্থা ও আস্থার বহিঃপ্রকাশ। আমি নিশ্চিত যে আপনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে আগামী দিনগুলোতে মালয়েশিয়ার আরও সমৃদ্ধির সঙ্গে উন্নতি করতে থাকবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ে অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির নেতা অ্যালবানিজকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
শেখ হাসিনা বলেন, ২০২২ সাল বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া বন্ধুত্বের জন্য একটি বিশেষ বছর, কারণ উভয় দেশই কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
তিনি স্মরণ করেন যে ১৯৭২ সালের প্রথম দিকে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে একটি।
তারপর থেকে, দুই দেশ তাদের জনগণের ভাগাভাগি সমৃদ্ধির জন্য অভিন্ন বিশ্বাস, ভ্রাতৃত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করছে।
তিনি গভীর সন্তুষ্টির সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে মালয়েশিয়ার অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে এবং দুই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে এমন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিককে আমন্ত্রণ জানায়।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, উভয় দেশ মানবসম্পদ, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা ও পর্যটন ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক অংশীদারিত্বকে আরও সুসংহত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আনোয়ার বিন ইব্রাহিমের গতিশীল নেতৃত্বে বিদ্যমান বহুমাত্রিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন।
তিনি মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক স্বার্থে দুই দেশের উপকারের জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
এসময় শেখ হাসিনা মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং মালয়েশিয়ার ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের সুখ-শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: কনজারভেটিভ পার্টির নবনির্বাচিত নেতা লিজ ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীতে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়িতে রাখলে চোরেরা উৎসাহিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু লোক ব্যাংকে টাকা নেই বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে এবং সেই গুজবে কান দিয়ে কেউ কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়িতে রাখলে চোরেরা টাকা চুরি করতে উৎসাহিত হবে। এটা শুধু চোরদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করছে।’
বৃহস্পতিবার যশোর জেলা স্টেডিয়ামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ‘ব্যাংকগুলো তীব্র তারল্য সংকটে রয়েছে এমন গুজবের’ নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,‘ব্যাংকে টাকা নেই, এটা একটা নির্জলা মিথ্যাচার। ’
শেখ হাসিনা জানান, বুধবারও তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘ব্যাংকে যথেষ্ট টাকা আছে’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এখন আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী: যশোরে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের কথা বলছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে কোন সমস্যা নেই।’
তিনি বলেন, রেমিট্যান্স আসছে, বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে, রপ্তানি আয় বেড়েছে, কর আদায়ও বেড়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্যান্য দেশগুলো যখন বৈশ্বিক মন্দার কারণে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে, তখনও বাংলাদেশ শক্তিশালী হচ্ছে।’
তিনি জনগণকে কোনো গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন, সব সময় গুজব ছড়ানো বিএনপির কাজ।
বিএনপি কখনো দেশ ও জনগণের কল্যাণে কিছু করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা যখন ক্ষমতায় ছিল সব সময় লুটপাটে লিপ্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ২০০১-০৬ মেয়াদে বিএনপি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মাত্র ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে রেখেছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন কোনও রপ্তানি বা আমদানি হয়নি, তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে জমা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য প্রস্তুত যশোর
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, সার, চাল ও গম কিনতে সরকার অর্থ ব্যয় করেছে। ‘এগুলো (বৈদেশিক মুদ্রা) কোথাও যায় নি, এগুলো জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন কাজে বিনিয়োগ করেছি। যেমন- রপ্তানি করেছি, কৃষিতে প্রনোদনা দিয়েছি এবং আট বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘাটতির অর্থ দিয়েছি।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, খুলনা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ হেলাল, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য ও জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা আ’লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার।
আরও পড়ুন: এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এখন আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী: যশোরে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উন্নয়নে তার সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কারণে এ বাহিনী এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও যুগোপযোগী।
তিনি বলেন, ‘আজকের বিমান বাহিনী অবকাঠামো, কৌশল ও প্রযুক্তির দিক থেকে অতীতের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী,আধুনিক ও কর্মতৎপর।’
বৃহস্পতিবার যশোরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) একাডেমির রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ (শীতকালীন) ২০২২-এ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ১০ জন ফ্লাইট ক্যাডেট পিটি-৬ এয়ারক্রাফটে প্রাথমিক উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ফ্লাইং ব্যাজ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য প্রস্তুত যশোর
এছাড়াও, ৮১ তম বাফা কোর্সের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য একজন ফ্লাইট ক্যাডেট সোর্ড অফ অনার অ্যান্ড কমান্ড্যান্টস ট্রফি এবং অন্য দুইজন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ট্রফি ও চিফ অব এয়ার স্টাফ ট্রফি পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার সরকার বিমান বাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান, সর্বশেষ এভিওনিক্সযুক্ত সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, এমআই-১৭১এসএইচ হেলিকপ্টার এবং সামুদ্রিক অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার বিমান বাহিনীর বহরে অন্তর্ভুক্ত করা।
তিনি বলেন, ‘এজন্য আমাদের বিমান বাহিনী আজ একটি চৌকস ও দক্ষ বাহিনী।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ ও জনগণের প্রতি আপনাদের দায়িত্ববোধ থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা বা দুর্ঘটনায় বিমানবাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের সেবা করেছেন।
আরও পড়ুন: জনগণের পাশে দাঁড়ানোয় সশস্ত্র বাহিনীকে সাধুবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের নীতিতে বিশ্বাসী। আমাদের প্রতিটি দিক থেকে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে হবে, প্রশিক্ষণ নিতে হবে ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করেছে, যা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন যে আওয়ামী লীগ সরকার লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছে এবং এয়ার ডিফেন্স নোটিফিকেশন সেন্টারের কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিজস্ব জনবল ও অর্জিত প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষামূলক উড়োজাহাজ ও মনুষ্যবিহীন আকাশযান নির্মাণের একটি প্রকল্প চলছে। আমি মনে করি আমাদের জন্য একটি নতুন যুগ উন্মোচিত হবে (বিমান উৎপাদন শিল্পের ওপরে), যদি আমরা এটি করতে পারি (প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে পারি)।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বিমান বাহিনীর সদস্যদের সামগ্রিক দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ সুবিধার উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের ওপর সবসময় জোর দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উন্নত ও সময় উপযোগী প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক ফ্লাই-বাই-ওয়্যার ও ডিজিটাল ককপিটযুক্ত সর্বশেষ ইয়াক-১৩০ যুদ্ধ প্রশিক্ষক, কে-৮ডব্লিউ জেট প্রশিক্ষক, এল-৪১০ পরিবহন প্রশিক্ষক, এডব্লিউ১১৯কেএক্স হেলিকপ্টার প্রশিক্ষক এবং বিভিন্ন সিমুলেটর বিমানবাহিনীতে যুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে সাম্প্রতিক সংযোজন ছিল গ্রোব প্রশিক্ষণ বিমান। এই অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ বিমান দিয়ে প্রাথমিক ফ্লাইট প্রশিক্ষণ শুরু হবে। রাতে বিমান বাহিনীর পাইলটদের ফ্লাইং ট্রেনিংয়ের সুবিধার্থে নাইট ভিশন প্রশিক্ষকও যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সরকার হেলিকপ্টার সিমুলেটর ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং এয়ারম্যান ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সাংগঠনিক কাঠামো ও সম্প্রতি এয়ার কমান্ড অপারেশন সেন্টারের সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফলে আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিখুঁত হয়ে উঠেছে এবং দেশের আকাশসীমায় বিমানের বিস্তৃত ক্রিয়াকলাপ নিরীক্ষণ করা সহজ হয়েছে। শুধু অপারেশন ও প্রশিক্ষণ নয়, আমরা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সকল কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য বহুমুখী কল্যাণমূলক উদ্যোগ নিয়েছি।
উত্তীর্ণ ক্যাডেটদের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেশাদারিত্ব অর্জনের জন্য সচেষ্ট হতে বলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিএএফ একাডেমি প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণের পাশাপাশি ফ্লাই-পাস্ট ও অ্যারোবেটিক প্রদর্শন উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আমার স্বপ্ন, একদিন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তিনি যখনই সময় পান ফুটবল খেলা দেখেন এবং স্বপ্ন দেখেন একদিন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলবে।
তিনি বলেন, ‘এখন বিশ্বকাপ হচ্ছে, কিন্তু ফুটবলে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। এটা আসলে আমাকে কষ্ট দেয়।’ তিনি সেই দিনের স্বপ্ন দেখেন যেদিন ‘আমাদের ছেলেরা এবং মেয়েরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে’।
বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের সমাপনী ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তৃতীয় বারের মতো ১২টি ইভেন্টে দেশের ১২৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার ৮৫০ জন মহিলাসহ প্রায় ছয় হাজার ৯৫০ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
তরুণ প্রজন্মকে মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক চর্চার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা মাদক, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাস চাই না। আমরা শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশ্বাস করি। আমি জানি শিক্ষা, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য সরকারের সহযোগিতা সবসময় প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: বিলাসিতা পরিহার করে জনগণের সেবা করুন: নির্বাচিত জেলা পরিষদকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চালু করা হয়েছে। এসব প্রতিযোগিতার ফলে বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে আরও ভালো করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, দেশের শিশুরা বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সুবাদে নিজেদের সাজিয়ে তুলছে। ‘শিশুরা যতটা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে পারে ততই তাদের জন্য ভাল হবে।’
বাংলাদেশের শিশুদের অত্যন্ত প্রতিভাবান ও মেধাবী হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, একটু সুযোগ পেলেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণসহ খেলাধুলার উন্নয়নে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন।
ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্স, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস এবং ব্যাডমিন্টন, কাবাডি ও দাবাসহ ১২টি ইভেন্টের অধীনে সেরা পারফরমারদের মধ্যে প্রায় ৭২০টি পদক বিতরণ করা হয়।
প্রতিযোগিতার তৃতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আর ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছেন- যৌথভাবে সেরা পুরুষ অ্যাথলেট উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশিফ রেজা ও মাহমুদুন নবী এবং সেরা মহিলা ক্রীড়াবিদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুষ্টিয়া) তামান্না আক্তার।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মেসবাহ উদ্দিন।
এর আগে, গণবিশ্ববিদ্যালয় ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) ৩-১ গোলে পরাজিত হলে নারী ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিভিন্ন ইভেন্টের অধীনে চ্যাম্পিয়ন দলগুলোর মধ্যে রয়েছে পুরুষ ফুটবলে ড্যাফোডিলস ইউনিভার্সিটি, মহিলাদের হ্যান্ডবল, মহিলাদের ভলিবল এবং মহিলাদের কাবাডি; নারী ফুটবল, পুরুষ ভলিবল ও পুরুষ কাবাডিতে গণ বিশ্ববিদ্যালয়; পুরুষদের হ্যান্ডবল এবং পুরুষদের বাস্কেট বলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; মহিলাদের বাস্কেট বলে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি; পুরুষদের ক্রিকেটে এআইউবি এবং মহিলাদের ক্রিকেটে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৯ সালে প্রবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য প্রস্তুত যশোর
প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য প্রস্তুত যশোর
যশোরে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি রেখে বৃহস্পতিবারের জনসভার প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আশা করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জনসভায় যোগ দিবেন।
যশোর স্টেডিয়ামে সমাবেশস্থলে ইতোমধ্যে নৌকা আকৃতির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছে। কারণ প্রায় ‘দশ লাখ’ লোক সমাবেশে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মঞ্চ সজ্জা উপ-কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ জানান, সমাবেশ সফল করতে তারা প্রস্তুত রয়েছে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য জেলা ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
আগামীকাল যশোর স্টেডিয়াম জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করে মিলন বলেন, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে সমাবেশ করতে বাড়তি প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে।
আ.লীগের এই নেতা বলেন, ‘যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা প্রমাণ করবে আওয়ামী লীগ নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আর দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে উদার ও স্বচ্ছ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
সমাবেশ সফল করতে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবকের একটি দল গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা সমাবেশে আগতদের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপ-পরিষদের আহ্বায়ক সুখেন মজুমদার।
যশোর স্টেডিয়ামে সমাবেশস্থলের সংযোগস্থলে আবদুর রাজ্জাক কলেজের মাঠে খাবার পানি ও স্যানিটেশনের প্রস্তুতিও যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ পারভেজ।
যশোর বিমানবন্দর থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের দেয়াল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও দলের বিভিন্ন স্লোগান ও রঙে রাঙানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সংস্কার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
যশোর সদরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শুভেন্দু কুমার মুন্সি জানান, অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছতে ১২টি নির্দিষ্ট রুট দেয়া হয়েছে। সমাবেশের দিন শহরে কোনও যানবাহন প্রবেশ করবে না।
তিনি আরও বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রায় ২০টি পার্কিং এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় পরিবেশের ক্ষতি করবেন না: প্রধানমন্ত্রী
প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা ও বাস্তবায়ন না করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বৈঠকে দুই হাজার ৫৮০ কোটি টাকার কোস্টাল টাউন ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট প্রজেক্টের অনুমোদন দেয়ার সময় এই নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘আমরা অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। তবে সতর্ক থাকুন প্রকৃতির যেন কোনো ক্ষতি না হয়।’
কৃষি উৎপাদন সম্পর্কে তিনি বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে শুধুমাত্র খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর না দিয়ে মানসম্পন্ন খাদ্যশস্য ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করার জন্যও জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী গোডাউনে খাদ্যশস্য মজুদ এবং উচ্চতর প্রযুক্তি ব্যবহার করে সঠিকভাবে খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বারবার পুনর্বিবেচনা এড়াতে কর্তৃপক্ষকে সময়মতো প্রকল্পগুলো শেষ করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: জনগণের পাশে দাঁড়ানোয় সশস্ত্র বাহিনীকে সাধুবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে তার দল আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাটা, বাংলাদেশকে অনেক পরিবর্তন এবং সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে এবং উন্নত দেশ হতে হবে। আমি সেই পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভিশন ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছি।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসে এএফডি-২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব পুরস্কার বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে সমাদৃত। বাংলাদেশিরা এখন মাথা উঁচু করে সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়ায়।
শেখ হাসিনা বরেন, ‘আমরা এটি অর্জন করেছি, তবে আমাদের আগামী দিনে আরও এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করছে এবং তাদের জীবন পরিবর্তনের সুযোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অক্লান্ত চেষ্টা করছি। এখন অন্তত আমরা বলতে পারি যে বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশিদের অবহেলা করতে পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দল ও সরকার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কখনোই ভুলবে না। আর সে কারণেই আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছি।
তিনি বলেন, দেশকে তার শক্ত ভিত্তি তৈরি করে আরও এগিয়ে যেতে হবে যাতে এটি উন্নয়নশীল দেশ থেকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে উন্নীত হয়। ‘আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে গভীর সংকটে ফেলেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে বিদেশ থেকে ভোজ্যতেল, জ্বালানি তেল, গম, ভুট্টা ও মসুর ডালের মতো পণ্য কিনতে হয় বলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। তাই আমরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। কিন্তু আমরা অলস বসে নেই। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে এবং অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে আমি ইতোমধ্যে সবাইকে চাষাবাদের সঙ্গে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে যে যুদ্ধজনিত সমস্যা হয়েছে তা থেকে উত্তরণের জন্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করে তিনি বলেন, তাদের প্রতি কেউ কখনো অবজ্ঞা ও অবহেলার চোখে দেখবে না।
তিনি বলেন যে সরকার অবহেলার শিকার এফএফদের খুঁজে বের করেছে এবং এখন তারা যাতে এই ধরনের এফএফ ভাতা পায় তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
তিনি আরও বলেন, তার সরকার এফএফ-এর জন্য ভাতা বৃদ্ধি করেছে এবং এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ স্বাধীন করার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারা অস্ত্র তুলেছিলেন তাদের জন্য কাজ করা আমাদের কর্তব্য।
তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে এফএফগুলির মধ্যে বিভিন্ন মতাদর্শ থাকতে পারে, তবে আওয়ামী সরকার তাদের অবদানকে খাটো করেনি।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করছি।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে বিজয়ের ইতিহাস জানতে পারলে জাতির জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত হবে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করছে এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেখানে বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, স্বাধীনতা ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণের পর দেশ পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছিলেন তা সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী