বিক্ষোভ
পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত অবরোধ
বিনা নোটিশে সরকারের পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকালে তারা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে এই প্রতিবাদ জানায়।
সকাল ৯ টার দিকে শতাধিক শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে এবং প্রায় দুই ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ দেখায়। রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় শিক্ষার্থীদের এই সড়ক অবরোধে যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতা অপহৃত: খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী ইউএনবিকে বলেন, তাদের পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে আগে জানানো হয়নি। পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর পরই তারা বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
সকাল ১১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শেষে শিক্ষার্থীরা ঢাবি ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরে তারা নিয়ন্ত্রকের অনুরোধে ইডেন কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে যান।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
সরকারি বাংলা কলেজের ছাত্রী রাবেয়া বলেন, হঠাৎ করে পরীক্ষা স্থগিত করার প্রতিবাদে ব্যস্ত নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছিলাম।
এর আগে শুক্রবার দেশে করোনার বিস্তার রোধে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে শাবিপ্রবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ
হল প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার মাঝরাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করে হল প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা ও হলের সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ এবং হল প্রাধ্যক্ষ দলের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন তারা। পরে রাত আড়াইটার দিকে উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, হলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন ছাত্রীরা। পরে হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার সঙ্গে কথা বলতে ফোন করলে ছাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৬০ শিক্ষার্থী
ওই হলের এক ছাত্রী বলেন, তারা বিষয়টি জরুরি উল্লেখ করলে প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘কীসের জরুরি? কেউ তো আর মারা যায়নি।’
কাজাখস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৬৪
কাজাখস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতায় কমপক্ষে ১৬৪ জন নিহত হয়েছেন। রবিবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ৩০ বছর আগে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
রবিবার দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দখল করা সব ভবনের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ২ জানুয়ারি দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে বিক্ষোভ শুরু হয়ে। পরে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হলেও তা তোকায়েভ সরকার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলনে রূপ নেয়।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বিবৃতিতে আরও জানা যায়, দেশটিতে এক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভ থেকে ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক’ বিদেশি নাগরিকসহ প্রায় ছয় হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: কাজাখস্তানে ১২ পুলিশসহ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত
এছাড়া দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জরুরি অবস্থা এবং কারফিউ বহাল রয়েছে।
রবিবার প্রথমে কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানায়, বিক্ষোভের সময় ১৬ পুলিশ বা ন্যাশনাল গার্ড সদস্য নিহত হয়েছে। এর আগে জানানো হয়েছিল, নিহত বেসামরিক নাগরিকের সংখ্যা ২৬ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দেশটির বৃহত্তম শহর আলমাটিতে নিহত হয়েছেন ১০৩ জন। এখানে বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবন দখল করে এবং কয়েকটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে।
দেশটির একটি শিক্ষা অধিকার সংস্থা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে চার বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু ছিল।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে একটি রাজনৈতিক দলই কাজাখস্তান শাসন করছে। বিপুল তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে দেশটিতে।
আরও পড়ুন: মহামারির মধ্যে ভারতের ৫ রাজ্যে নির্বাচন
ব্রাজিলে ঝর্ণার পাথর ভেঙে ৬ জনের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে এসএসসি পরীক্ষায় শর্ট সিলেবাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
লক্ষ্মীপুরে ৩০ শতাংশ শর্ট সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও ঢাকা-লক্ষ্মীপুর সড়ক ঘন্টাব্যাপী অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।
পরে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে দেয়।
জানা যায়, রবিবার বেলা ১১টার দিকে ২০২২ সালের শতাধিক এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রেসক্লাব এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সামনে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। এসময় তারা ২০২১ সালের মতো সংক্ষিপ্ত ৩০ শতাংশ সিলেবাসে গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সড়ক অবরোধ করে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা। এতে দুর্ভোগে পড়েন ঢাকা-চট্টগ্রামগামী সাধারণ যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: এবার লক্ষ্মীপুরে ৭ মাদরাসাছাত্রের চুল কর্তন, অভিযুক্ত শিক্ষক আটক
পরে দুপুর ১২টায় লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ, মিমতানুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় রাকিব, ওয়াসিম, সাদনামসহ পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এর আগে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে।
এদিকে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ নিয়ে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ৫০০ টাকার জন্য অটো চালককে পিটিয়ে ‘হত্যা’
লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসী হামলায় আ’লীগ নেতা নিহত
স্থানীয়দের হামলায় ইবির সাত শিক্ষার্থী আহত, প্রতিবাদে বিক্ষাভ
উচ্চস্বরে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইইউ) ক্যাম্পাস সংলগ্ন আনন্দনগরে এক মেসে স্থানীয়দের হামলায় কমপক্ষে সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার নির্দেশে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
আহতরা হলেন- কামাল উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ, জুয়েল রানা, মাজহারুল ইসলাম নাঈম, আবদুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক রাকিব ও সুমন রেজা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে ওই এলাকার মেসে উচ্চস্বরে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে সাত শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়।
আরও পড়ুন: ইবির শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর
ছাত্ররা তখন জাহিদুল ইসলামকে মেস প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করলে পরে তিনি ১০ থেকে ১৫ জন স্থানীয় লোক নিয়ে ফিরে আসেন। তারা লাঠিসোঁটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই সাতজন আহত হয়। পরে আহতদের আইইউ কেন্দ্রীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে দোষীদের বিচারের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
আইইউ’র সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে ইবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
আল-কুরআন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি সহকারী প্রক্টর শফিকুলকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে থানায় অভিযোগ করার নির্দেশ দিয়েছি।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে রাজধানীর গণপরিবহনকে ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ’ করার উদ্যোগ
বাসে হাফ ভাড়ার দাবিতে রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। যদিও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শুধু ঢাকা মহানগরীতে হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস মালিক সমিতি। তবে সারাদেশে সব গণপরিবহনে হাফ ভাড়ার দাবি মানা না পর্যন্ত আন্দোলন করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
এই অচলাবস্থা শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থায় আরও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে যার ফলে যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরকার ৩ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়েছে। অন্যদিকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের পর ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) আন্তনগর ও আন্তজেলা বাসের ভাড়া যথাক্রমে ২৬.৫ শতাংশ ও ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের
তবে পরিবহন শ্রমিকরা এই নির্ধারিত হারের বাইরে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া এই অনিয়মের প্রতিবাদকারী যাত্রীরা পরিবহন শ্রমিকদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন, এমনকি একজন ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকিও দেয়া হয়েছে।
২০ নভেম্বর বদরুন্নেসা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী অর্ধেক বাস ভাড়া দিতে চাইলে ঠিকানা পরিবহনের বাসের চালকের এক সহকারী তাকে ধর্ষণের হুমকি দেয়।
মনিটরিং ব্যবস্থায় সমন্বয়ের অভাব থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া পরিবহন শ্রমিকরা নির্ধারিত বাস স্টপেজের পরিবর্তে যেকোনো স্থানে যাত্রী উঠাচ্ছে বা নামিয়ে দিচ্ছে। রাজধানীর গণপরিবহনের এরূপ বিশৃঙ্খল চলাচলের কারণে যাত্রীদের প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যয় হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শুধু ঢাকায় শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া
পরিবহন বিশৃঙ্খলার পেছনের কারণ
উত্তরা-কুড়িল-বাড্ডা-মালিবাগ-গুলিস্তান রুটে রাইদা, আলিফ, ইকবাল, ইউনিক, ভিক্টর, আকাশসহ বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির বাস চলাচল করে। মিরপুর-ফার্মগেট-গুলিস্তান সড়কে মিরপুর পরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহন রয়েছে।
গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর থেকে রামপুরা, বিমানবন্দর সড়ক থেকে মহাখালী-মগবাজার-মৌচাক পর্যন্ত প্রায় ২৯১টি রুটেই এসব পরিবহন চলতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, রাজধানীর গণপরিবহনে চরম বিশৃঙ্খলাবিরাজ করছে। তাতে যাত্রীদের প্রতিনিয়ত হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে। রাজধানীতে চলাচলকারী ৮৭ শতাংশ মিনিবাসে এই অবস্থা বিদ্যমান। এ বিষয়ে আসলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেই, ফলে শৃঙ্খলা ফিরে আসছে না।
তিনি আরও বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনার দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশ, বিআরটিএ, সিটি করপোরেশনগুলোর।
বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৩১ লাখ।
বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির তথ্য বলছে, রাজধানীতে চলাচল করছে আড়াই হাজারকোম্পানির প্রায় ৩০ হাজার বাস। রাজধানী ছাড়া সারা দেশে এক লাখের বেশি বাস চলাচল করে।
সারা দেশে ৭০ লাখ চালকের মধ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) লাইসেন্স আছে মাত্র ১৬ লাখের। বাকি সব চালক অবৈধ।
বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ ইউএনবিকে বলেন, গণপরিবহন বিশৃঙ্খলার জন্য অন্যতম দায়ী পরিবহন শ্রমিকরা। গণপরিবহন শ্রমিকদের আমরা বিভিন্নভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছি। তবে আরও সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ সড়ক ও হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
গণপরিবহন সেবা শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে পদক্ষেপ
খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, নির্দেশের চেয়েও বেশি বাস ভাড়া নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে মালিক, শ্রমিক ও ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে নয়টি টিম বিভিন্ন রুটে কাজ করছে।
কোনটি সিএনজিচালিত চলাচলকারী বাস ও কোনটি ডিজেলচালিত বাস সেটা বাসের গায়ে লিখা থাকতে হবে।
এছাড়া রাজধানীর অধিকাংশ চালকই দক্ষ নন। বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বিআরটিএ তাদের জন্য এককালীন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এটি পুনরায় চালু করার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
নটরডেম কলেজ ছাত্রের মৃত্যুতে বিক্ষোভ অব্যাহত
নটরডেম কলেজের ছাত্র নাইম হাসানের মৃত্যুর প্রতিবাদে ও সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছে।
বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় নাইমের মৃত্যুর প্রতিবাদে মতিঝিলের শাপলা চত্বর, ফার্মগেট, উত্তরার আজমপুর, আসাদগেট, মিরপুর, গুলিস্তান ও বেইলি রোডের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভের কারণে নগরীর বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: সিটি করপোরেশনের ট্রাকের ধাক্কায় নটরডেম কলেজছাত্রের মৃত্যু
অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন রাজধানীর ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার ঢাকা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি কোম্পানির বাস আটকে রাখেন।
পরবর্তীতে পুলিশের আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেন তারা।
এর আগে ১৬ নভেম্বর বিকালে কলেজ থেকে বাসে করে বাসায় ফেরার সময় অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইলে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে হয়রানি করেন চালক ও সহযোগী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, বাসে এ ধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতেই মূলত আন্দোলনে সরব হওয়ার কথা জানান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তামিম নামে ঢাকা কলেজের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এক সহপাঠীকে বাসে হয়রানি করা হয়। বাসের চালকের সহযোগীরা আমাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত অর্ধেক ভাড়া নিতে চায় না। বরং তারা আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। এ জন্য আমরা অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করি।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: ২ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
পরবর্তীতে নিউ মার্কেট থানার ওসি বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান। তবে তাদের দাবি মানা না হলে আগামী শনিবার বা রবিবার আবারও আন্দোলনে নামার কথা জানান ঢাকা কলেজের এ শিক্ষার্থী।
আন্দোলন চলাকালে ঢাকা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস শিকদার শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করেন।
এ বিষয়ে জানতে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কাইয়ুমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। আর বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আই. কে. সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।
এর আগে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইম্পেরিয়াল কলেজের এক ছাত্রকে গলাধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়ার প্রতিবাদে রামপুরায় রাইদা পরিবহনের অন্তত ৫০টি বাস আটকে রাখেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। পরে পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেয়ার দাবি মেনে নেয় রাইদা বাস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: যাত্রীরা ট্রেনে যেতে না পারায় স্টেশনে বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
গাইবান্ধায় ইউপি সদস্য হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
গাইবান্ধার সদর উপজেলায় সদ্য বিজয়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর রউফ মাস্টারকে হত্যার ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবাদে শনিবার সকালে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের লক্ষ্মীপুর বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় তারা গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
এর আগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুর রউফকে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ভাঙা ব্রিজ নামক এলাকায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আব্দুর রউফের ওপর হামলা হতে পারে। এছাড়া হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রেন চালুর দাবিতে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ
পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যাকারী আরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: ২ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
ডিজেল ও কেরোসিনের নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১০ নভেম্বর (বুধবার) ঢাকা ছাড়া বিএনপির সব মহানগর ইউনিট বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবে।
এছাড়া ১২ নভেম্বর (শুক্রবার) জেলা সদরে দলের সব জেলা ইউনিট একই কর্মসূচি পালন করবে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের আহ্বান বিএনপির
ফখরুল বলেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম এখন আরও বাড়বে, সাধারণ মানুষকে করুণ অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, জনগণকে ভোগান্তির হাত থেকে বাঁচাতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এখন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন,আমাদের মানুষকে জাগাতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনদুর্ভোগ বাড়বে এবং মানুষ আরও অসহায় ও দরিদ্র হবে। সুতরাং, এই শাসনকে উৎখাত করতে আমাদের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের অভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ: ফখরুল
বুধবার, সরকার খুচরা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পেট্রোলিয়ামের দাম পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।