কাজাখস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতায় কমপক্ষে ১৬৪ জন নিহত হয়েছেন। রবিবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ৩০ বছর আগে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
রবিবার দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দখল করা সব ভবনের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ২ জানুয়ারি দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে বিক্ষোভ শুরু হয়ে। পরে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হলেও তা তোকায়েভ সরকার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলনে রূপ নেয়।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বিবৃতিতে আরও জানা যায়, দেশটিতে এক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভ থেকে ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক’ বিদেশি নাগরিকসহ প্রায় ছয় হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: কাজাখস্তানে ১২ পুলিশসহ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত
এছাড়া দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জরুরি অবস্থা এবং কারফিউ বহাল রয়েছে।
রবিবার প্রথমে কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানায়, বিক্ষোভের সময় ১৬ পুলিশ বা ন্যাশনাল গার্ড সদস্য নিহত হয়েছে। এর আগে জানানো হয়েছিল, নিহত বেসামরিক নাগরিকের সংখ্যা ২৬ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দেশটির বৃহত্তম শহর আলমাটিতে নিহত হয়েছেন ১০৩ জন। এখানে বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবন দখল করে এবং কয়েকটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে।
দেশটির একটি শিক্ষা অধিকার সংস্থা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে চার বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু ছিল।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে একটি রাজনৈতিক দলই কাজাখস্তান শাসন করছে। বিপুল তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে দেশটিতে।
আরও পড়ুন: মহামারির মধ্যে ভারতের ৫ রাজ্যে নির্বাচন