আসামি
ধর্ষণ মামলা: ৬২ বছরে আসামি, ৮৫ বছরে খালাস
‘আমি যখন মামলার আসামি হই, তখন আমার বয়স ছিল ৬২ বছর। মনে মনে ভাবতাম আসামি হয়েই হয়তো মরতে হবে। আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া যে মৃত্যুর আগেই আমাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।’
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল হবিগঞ্জ-১ এর রায়ে খালাস পেয়ে আইনজীবীর কক্ষে বসে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কথাগুলো বলছিলেন প্রায় ৮৪ বছরের বৃদ্ধ দরছ মিয়া।
বিচারক সুদীপ্ত দাশ ধর্ষণ মামলার দায় থেকে তাকে বেকসুর খালাস দেন।
আরও পড়ুন: কলাবাগানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ-হত্যা: দিহানের জামিন আবেদন খারিজ
তিনি বলেন, ‘কবরে যাওযার বয়সে এসে ধর্ষণের মতো একটা খারাপ মামলায় জড়িয়ে পড়ায় ছেলে মেয়ে নাতি নাতনীদের কাছে নিজেকে খুব ছোট মনে হতো।’
দরছ মিয়ার বাড়ি বাহুবলের পুটিজুরী ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রপুর গ্রামে। পেশায় কৃষক।
তাঁর পাঁচ ছেলে চার মেয়ে। আছে ১২ জন নাতি নাতনী।
১৯৯৯ সালে ১৮ জুলাই আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা হয় তিনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। মামলাটি করেন একই গ্রামের রাজা মিয়ার স্ত্রী লতিফা বিবি।
ওই মামলায় অপর দুই আসামি হলেন-দরছ মিয়ার খালাতো ভাই মঙ্গলকাপন গ্রামের বুলু মিয়া এবং একই গ্রামের জনৈক ইমান উল্লা (৩৫)।
মামলার ঘটনার সময় ১৯৩৭ সালে জন্ম নেয়া দরছ মিয়ার বয়স ছিল ৬২ বছর।
দরছ মিয়া বলেন, লতিফার স্বামী রাজা মিয়া তার এক কন্যাকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। বিয়ে মেনে না নেযায় রাজা মিয়া আমার বিরুদ্ধে এর আগে মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্থা করে। পরবর্তীতে তার কন্যা স্বামীর সংসার থেকে চলে আসে। রাজা মিয়া পেশায় একজন গাছচোর ও জুয়ারী ছিল।
তিনি বলেন, গ্রামের কতিপয় অসৎ লোকের সহযোগিতায় রাজা মিয়ার বর্তমান স্ত্রী লতিফা বিবি বাদী হয়ে ১৯৯৯ সালের ২১ জুলাই আদালতে ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইনে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ওই বছরের ১৮ জুলাই রাতে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে দরছ মিয়া, বুলু মিয়া ও ইমান আলী তাকে ধরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
২০০১ সালের ২৪ জানুয়ারি পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। মামলা চলাবস্থায় গত দুই বছর আগে আসামি বুলু মিয়া মারা যান।
দরছ মিয়া জানান, প্রায় ২৪ বছর আইনী লড়াইয়ে ১০/১২ একর জমি বিক্রি করতে হয়েছে। আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বাদী লতিফা বিবি ভাল নেই। এখন স্বামী হত্যা মামলায় ছেলে জুয়েলকে নিয়ে নিজেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাসাইলের সাবেক ইউএনও মঞ্জুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নাটোরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় বৃদ্ধের ১০ বছরের কারাদণ্ড
মাকে ৫ টুকরো করে হত্যা: সুবর্ণচরে ছেলেসহ ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মাকে পাঁচ টুকরো করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ছেলেসহ সাত আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়।
২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বুধবার বিকালে উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের নূরজাহান বেগম (৫৮) এর খন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলো- ওই ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের আবদুল বারেক, নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির (৩২), একই গ্রামের মিলন মাঝির ছেলে নিরব (২৬), নূর আলমের ছেলে কসাই নূর ইসলাম (৩২), দুলাল মাঝির ছেলে কালাম ওরফে মামুন (২৮), মমিন উল্যার ছেলে মো. ইসমাইল (৩৫), হারুনের ছেলে মিলাদ হোসেন সুমন (২৮) এবং মারফত উল্যার ছেলে হামিদ (৩৫)।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় দেন।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ হত্যার ঘটনায় প্রথমে নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় একটি মামলা করে। মামলার সূত্র ধরে পুলিশী তদন্তে হত্যার সঙ্গে সন্তানের সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। একইসঙ্গে তার ৬ সহযোগী মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রমাণ পায় পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালতে ৭ আসামি উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় ২৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একইসঙ্গে আটক নিহতের ছেলের বন্ধু নিরব ও নূর ইসলামের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতি, বালিশ, কোদাল ও নিহতের ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বুধবার বিকালে উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের একটি বিল থেকে নূরজাহানের পাঁচটি খন্ডিত অংশের একটি অংশ উদ্ধার করে। পরে, পুলিশ নিহতের শরীরের আরও চারটি খন্ডিত অংশ উদ্ধার করে।
এর আগে, জমি বিরোধ নিয়ে বাকবিতণ্ডার পর ৬ অক্টোবর রাতে খাওয়ার পর নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন নূরজাহান। রাত ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে কোন এক সময় হুমায়ুন কবির তার ৬ সহযোগীকে নিয়ে ঘুমন্ত নূরজাহানকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, নিহতের লাশকে পাশ্ববর্তী একটি ধানখেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা আলাদাসহ পাঁচ টুকরা করে খন্ডিত অংশ ধানখেত ও বিলের মধ্যে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় মামলা করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হুমায়ুন কবিরকে আটক করে। পরে, জিজ্ঞাসাবাদে তার পরিকল্পনা অনুযায়ী খুন হয়েছে প্রমাণ হয় এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তার ছয় সহযোগীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
ঢামেকে ৭০ বছর বয়সী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা, ৭ আসামির যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে সাত আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার রাজিতপুর গ্রামের মোকাদ্দেস আলীর দুই ছেলে ফিরোজ ও দেলবার।
ফিরোজের ছেলে সবুজ, দেলবারের ছেলে মিজান, একই গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে হোসেন আলী, একই উপজেলার গজনবীপুর গ্রামের আফিউদ্দিনের ছেলে সাইদুল ইসলাম এবং ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার সিরামপুর গ্রামের রফিউদ্দিনের ছেলে হেলাল।
আসামিদের অনুপস্থিতিতেই আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার আসামি গোলাম সরোয়ার ও রুবেল রানাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রনজিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মিঠু শেখকে ২০০৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে রামদা দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কুদ্দুস আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জামালউদ্দিন হত্যা: ২০ বছর পর আদালতে আসামির আত্মসমর্পণ
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা জামালউদ্দিন অপহরণ ও হত্যার মামলা আসামি ফটিকছড়ি কাশেম চেয়ারম্যানকে জামিন না মন্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
হত্যার পর ২০ বছর ধরে বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় সম্প্রতি দেশে ফিরে আজ সোমবার (৩ জানুয়ারী) চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক নারগিস আক্তার তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যার অন্যতম আসামি ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাসেম দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে থাকার পর গত ২২ নভেম্বর উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত ৬ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে কাসেম আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবার জামিন আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতেই জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এই মামলায় মোট সাক্ষী ৮৪ জন। তাঁদের মধ্যে মাত্র তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২৪ জুলাই রাতে চট্টগ্রামের চকবাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে চান্দগাঁওয়ের বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হন শিল্পপতি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন। তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের দুই বছর পর অপহরণকারী চক্রের সদস্য আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম গ্রেফতার হয়। একই সময়ে গ্রেপ্তার হয় চট্টগ্রামের এক সময়ের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার মাহবুব ওরফে কালা মাহবুব।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতেই ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে ২০০৫ সালের ২৪ আগস্ট জামাল উদ্দিনের কঙ্কাল উদ্ধার করে র্যাব। সিঙ্গাপুরে ডিএনএ পরীক্ষার পর কঙ্কালটি জামাল উদ্দিনের বলে নিশ্চিত হয় পরিবার। এরপর অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করে শুরু হয় তদন্ত।
মামলার অন্যতম আসামি আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জামাল উদ্দিনকে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ডিস ব্যবসায়ী হত্যায় ১২ জনের যাবজ্জীবন
রাজধানীতে আল কায়েদা অনুপ্রাণিত ৬ জঙ্গি গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৮১ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ২ হাজার
শনিবার পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক বিএনপি কর্মী নিহত এবং পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা প্রায় দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছে পুলিশ।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা জানান, রবিবার পঞ্চগড় সদর থানার পাঁচ উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে এসব মামলা করেন।
তিনি বলেন, পুলিশ শনিবার রাতে এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে আট বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মীকে আটক করেছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, সরকারি কাজে বাধা দেয়া, সরকারি কর্মকর্তাদের মারধর, নৈরাজ্য সৃষ্টি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে।
এদিকে নিহত ময়না দীঘি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রশিদ আরেফিনের (৫০) লাশ রবিবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, আমাদের ভাই মারা গেছেন। আরেফিনের দাফনের পর পরিবার ও দলের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেব।’
শনিবার দুপুরে বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে দলটির পঞ্চগড়ভিত্তিক নেতাকর্মীরা স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হন।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা কোনো মিছিল বের করার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং রাবার বুলেট ছুড়ে সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়।
বিএনপি কর্মীরা শেষ পর্যন্ত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং তারপর প্রায় ৯০ মিনিট ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
সন্ধ্যায় অতিরিক্ত বাহিনী আসার পরই পুলিশ শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টার পর পরিস্থিতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পঞ্চগড়ের এসপি এসএম সিরাজুল হুদা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আরেফিনের মৃত্যু হয়েছে।
আরেফিনের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ ১৮ মামলার আসামি গিট্টু জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে গিট্টু জাহাঙ্গীর (৪০) নামে এক সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
তার বিরুদ্ধে অন্তত ১৮টি মামলা রয়েছে বলে জানায় র্যাব।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর বায়েজিদ থানার জঙ্গল সলিমপুর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি এসবিবিএল ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার গিট্টু জাহাঙ্গীর (৪০) চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের নোয়াপাড়ার মৃত জনাব আলীর ছেলে।
জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গল ছলিমপুরে বসবাস করে আসছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গিট্টু জাহাঙ্গীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি এসবিবিএল ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় ১৮টি মামলা রয়েছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায় অবৈধ অস্ত্রটি সে দীর্ঘদিন ধরে ছিন্নমূল জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, হত্যা, ডাকাতি এবং মারামারিসহ বিভিন্ন অবৈধ কাজে ব্যবহার করত।
আরও পড়ুুন: ১০ বছর আত্মগোপনের পর মিরপুরে ২২ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত চত্বর থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় ১০ আসামির আরও পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার দশ আসামিই জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
বৃহস্পতিবার আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পুনরায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান, খাইরুল ইসলাম ওরফে সিফাত, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আব্দুল্লাহ, আবদুর সবুর, রশিদুন্নবী ভূঁইয়া।
২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকেও ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে তারা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় আরাফাত ও সবুরকে।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে।
আরও পড়ুন: আদালতে যাওয়ার পথে আসামির মারপিটে সাক্ষী নিহত, আটক ৫
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটরসাইকেল যোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়া আদালতের আশপাশে অবস্থান করা অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে আসামিদের মধ্যে কোনো একজন তার হাতে থাকা লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে কনস্টেবল আজাদের মুখে আঘাত করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আদালতে যাওয়ার পথে আসামির মারপিটে সাক্ষী নিহত, আটক ৫
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আদালতে সাক্ষী দিতে যাওয়ার পথে মামলার আসামিদের মারপিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের কোদলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল খালেক(৬৫) বগুড়া ধুনট উপজেলার কোদলাপাড়া গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: হাজিগঞ্জে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আটক
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কোদলাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষের কাছ থেকে মুষ্ঠির এক মন চাল বাকিতে কিনে নেন আব্দুস সাত্তার। কিন্তু টাকা দিতে তালবাহানা করায় গত ৩ নভেম্বর তার সঙ্গে কোষাধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আব্দুস সাত্তার বাদি হয়ে কোষাধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক ও তার ছেলে ফজলুল হকসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সাক্ষী ছিলেন নিহত আব্দুল খালেক।
মামলার বাদী আব্দুস ছাত্তার ও তার ভাই সাক্ষী আব্দুল খালেক মঙ্গলবার সকালে আদালতের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। পথে আসামিদের বাড়ির পাশের রাস্তায় পৌঁছলে তাদের ওপর হামলা চালায় মামলার ১ নম্বর আসামি ফজলুল হক ও তার লোকজন। এতে আহত হন আব্দুস সাত্তার ও আব্দুল খালেক। পরে আব্দুল খালেককে অচেতন অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহত আব্দুল খালেকের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। সন্ধ্যার পর লাশ দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা, আটক ৩
চট্টগ্রামে স্বামীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক
চট্টগ্রামে শিশু আয়াত হত্যা: আসামি আবীর ফের ৭ দিনের রিমান্ডে
চট্টগ্রামে শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে ছয় টুকরো করে হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামি আবীর আলীকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে দুই দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুনানীকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম উল্লাহ চৌধুরী বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত আবীর আলীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদ্দাম হোসেনের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
এদিকে, সকালে ঘাতক আবীর আলীকে কড়া নিরাপত্তায় আদালত প্রঙ্গণে হাজির করা হয়। তার আগেই সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ আদালত এলাকায় ভিড় করে। দুপুরে প্রিজন ভ্যান থেকে আসামি আবীর আলীকে নামানোর সময় মানুষ তার ফাঁসি দাবি করে শ্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের কাছ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনী দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় আসামিকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালতে নিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মনোজ কুমার দে জানান, আলীনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর লাশ কেটে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেয় আসামি আবীর। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আবীর একই দাবি করেছে। ঘটনাস্থল চিনিয়ে দিতে রাজি হলে আবীরকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। তার দেখানোমতে আবার তল্লাশি করা হয়। তবে কোনো দেহাবশেষ উদ্ধার করা যায়নি। পরে আবীরের মায়ের বাসায় তল্লাশি করে একটি ডায়েরি পেয়েছি।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে আবীর আলীকে সঙ্গে নিয়ে পিবিআই সদস্যরা বে-টার্মিনাল এলাকায় সাগরতীরে প্রায় তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালায়। কিন্তু আয়াতের দেহের খণ্ডিত কোন অংশ পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর আসামি আবীরকে নিয়ে নগরের বিভিন্ন আকমল আলী সড়কের স্লুইস গেট সংলগ্ন নালাসহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলার এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত (৫)। এর পরদিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে। নিখোঁজের ১০ দিনের মাথায় ২৪ নভেম্বর রাতে শিশু আয়াতকে খুনের মামলায় আবীরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায় পুলিশ। রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে আকমল আলী সড়কে তার মায়ের বাসার সামনে একটি ঝোপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া, আয়াতের বাসার পাশে কবরস্থানে আয়াতের পায়ের স্যান্ডেলও উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে বিরোধের জেরে শিশু হত্যা: ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গাইবান্ধায় শিশু হত্যা: এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, ২ জন খালাস
মাদারীপুরে ডাকাতি মামলা ৪ আসামিকে ৬ বছর করে কারাদণ্ড
মাদারীপুরে একটি ডাকাতি মামলার রায়ে চার আসামিকে ছয় বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর এর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওই জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম রাস্তি গ্রামের রাজ্জাক খা’র ছেলে রহিম খা(৩৭)। একই রাজৈর উপজেলার রিদয়নন্দী গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে রিপন শেখ। শরিয়তপুরের গোসাইরহাটের মলংচড়া গ্রামের মাসুম দপ্তরী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বান্চারামপুরের লাফান্দি গ্রামের শাহ আলম খানের ছেলে সোহেল খান।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সৎ মাকে হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জানা গেছে আসামি রহিম খা ছাড়া অন্যরা পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে ডাকাতরা সদর উপজেলার পশ্চিম রাস্তি এলাকার বাবুল শরীফের বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার ঘরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ ডাকাতদের রামদা সহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে মাদারীপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে জেএমবির ৩ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হালদা নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার, ১ জনের কারাদণ্ড