মাগুরা
মাগুরায় পিকআপ ভ্যান-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১
মাগুরা সদর উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। বুধবার বিকালে উপজেলার জাগলা এলাকায় মাগুরা-যশোর সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মিরাজ হোসেন (৩৮) উপজেলার তিতারখাঁ পাড়ার তিজারত হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এএসআইসহ নিহত ২
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মন্জুরুল আলম জানান, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে মিরাজ আড়পাড়া বাজার থেকে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মাগুরা-যশোর সড়কের জাগলা সাতমাইল এলাকায় বিপরীতদিক থেকে আসা একটি পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন।
ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পরিবহনটি নিয়ে চালক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে।
মাগুরায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে হনুমানের মৃত্যু
মাগুরার মহম্মদপুরে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে একটি কালোমুখো হনুমানের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, যশোরের কেশবপুরে কালোমুখো হনুমানের বাস। প্রায়ই খাবারের খোঁজে তারা ট্রাকের উপর চড়ে মাগুরায় চলে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষক কাবুল মিয়া বলেন, কয়েকদিন ধরে এলাকায় একজোড়া কালোমুখো হনুমান দেখা যাচ্ছিল। আজ বিকেলে খাবারের খোঁজ করার সময় বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে একটি হনুমানের মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী মেইন লাইনে বিদ্যুতের তার কভারিংয়ের দাবি জানিয়ে বলেন, মহম্মদপুর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তারে কভারিং না থাকায় প্রায়ই হনুমানসহ নানা বন্য প্রাণী ও পাখি বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায়। এসব প্রাণীর অকাল মৃত্যু রোধে লাইনের বিদ্যুতের তারের কভারিং শুরু করা দরকার।
মহম্মদপুর পল্লী বিদ্যুৎ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘বৈদ্যুতিক তার কভারিংয়ের জন্য আর্থিক বরাদ্দ নেই। নিজস্ব তহবিল থেকে এ ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়।’
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দপাল বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে। যাতে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় থেকে তার কভারিংয়ের কাজ শুরু করা হয়।’
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে বিদ্যুতায়িত করে হাতি হত্যার অভিযোগ
সৌরবিদ্যুতের পিলার পড়ে ট্রাক্টর চালকের মৃত্যু
নিজের পাতা ফাঁদেই বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল বকুলের
মাগুরায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
মাগুরায় নিউ আল বারাকা নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত রাশিদা বেগম (২৪) মাগুরা সদর উপজেলার খর্দ গ্রামের রমজান শেখের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কথিত ‘চিকিৎসক’ কারাগারে
রমজান শেখের বাবা রাশিদার শ্বশুর মাখন অভিযোগ করেন, তার পুত্রবধূ রাশিদা বেগম সন্তান প্রসবের জন্যে শুক্রবার রাতে শহরের হাসপাতাল পাড়া এলাকায় নিউ আল বারাকা প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হন। শনিবার রাতে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক দিলারা আকবর লাবনি ওই ক্লিনিকে রাশিদা বেগমের শরীরে অস্ত্রপচার করেন। এসময় একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয় রাশিদা। কিন্তু অস্ত্রপচারের আগে রক্তের প্রয়োজন হলে রাশিদার শরীরে ‘ও’ পজেটিভ রক্তের পরিবর্তে ক্লিনিকের প্যাথলজি থেকে ‘এবি’ পজেটিভ রক্ত দেয়া হয়। এতে জন্মের পরপরই অসুস্থ হয়ে মারা যায় ওই নবজাতক। অন্যদিকে রক্তের ভুল ব্যবহারের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন মা রাশিদা। উপায়ন্ত না দেখে ক্লিনিক কতৃর্পক্ষ প্রসুতি রাশিদা বেগমকে দ্রুত ঢাকার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে রাশিদার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে চিকিৎসক দিলারা আকবর লাবনি বলেন, ‘রোগীর শরীরে অস্ত্রপচার করার সময় তেমন কোন সমস্যা দেখা দেয়নি। তবে গর্ভে পানির স্বল্পতা ছিল। যে কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। মা রাশিদার কিডনি জটিলতা ছিল। রাশিদার শরীরে রক্ত দিয়েছে ক্লিনিক কতৃর্পক্ষ। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই’।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কথিত ‘চিকিৎসক’ কারাগারে
মাগুরা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ওই ক্লিনিকের প্যাথলজির কোন অনুমোদন নেই। এমনকি ক্লিনিকের অনুমোদনের বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। ভুল রক্ত দেয়ার কারণে ওই প্রসূতি ও নবজাতকের এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, ‘প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি আমি জেনেছি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: সন্তানের মুখ দেখা হলো না মায়ের, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ
এদিকে আল বারাকা ক্লিনিকের মালিক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫০ হাজার ঘর নির্মাণ হচ্ছে
‘বাংলাদেশে কেউ ভূমি ও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ- প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার। তিনি বলেছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমি ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারের জন্য দুই শতক জায়গা এবং দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ঘর করে নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সারাদেশে তৃতীয় দফায় ৫০ হাজার গৃহহীনদের জন্য ১২০ কোটি টাকা ব্যায়ে গৃহ নির্মাণ শুরু হয়েছে।
শনিবার মাগুরা জেলা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে কেউ ঘরহীনও থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় ফেজে গৃহীত প্রকল্পে ৫০ হাজার গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। মোট ঘরের মধ্যে মাগুরা জেলার চারটি উপজেলায় ২৪৪ টি গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।
মাগুরায় অনুমোদনহীন ৭টি ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা
অনুমোদনহীন ও অব্যবস্থাপনার দায়ে মাগুরায় অবৈধ সাত প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) থেকে বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
তবে অভিযোগ উঠেছে অধিকাংশ হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্বাস্থ্য বিভাগের আদেশ অমান্য করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
মাগুরার সিভিল সার্জন ড. শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেছেন, অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আদেশ অমান্য করে কেউ বন্ধ প্রতিষ্ঠান চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হাসপাতাল থেকে দালালচক্রের ৬ সদস্য আটক
জানা গেছে, মাগুরা শহরের অলিগলিতে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট সেন্টার গড়ে উঠেছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়ে ওঠা অধিকাংশের নেই কোনো সরকারি অনুমোদন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) জেলা সিভিল সার্জন অভিযান চালিয়ে শহরের সালেহা, শান্তি, পপুলার, একতা, ইবনে সিনা, আল্ট্রাল্যাব, ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বন্ধ হওয়া এসব প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্তাব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানে না থেকেও কর্মচারী দিয়ে কৌশলে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
এদিকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজনরা বলছেন, এসব ক্লিনিক যে অবৈধ তা তারা জানেন না।
বন্ধ ক্লিনিকের মালিক ও ম্যানেজারদের প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে নার্স-আয়ারা বলছেন, তাদের ক্লিনিকে যেসব রোগী রয়েছে তা আগে ভর্তি হয়েছে। সিভিল সার্জনের নোটিশ পাওয়ার পরে তারা নতুন রোগী ভর্তি করেননি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ৩ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালকে জরিমানা
জেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলম জানিয়েছেন, সমিতির পক্ষ থেকে তারা মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে চান। সিভিল সার্জন অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা সেটিকে সমর্থন করেন।
সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, তারা জেলার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মানহীন অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তা বন্ধ করে দিচ্ছেন। যারা তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলায় মোট প্রাইভেট ক্লিনিকের সংখ্যা ১২৪টি। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক অনুমোদনবিহীন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
মাগুরায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
মাগুরা সদর উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার কাজল হোসেন (৩০) উপজেলার টিলা গ্রামের আলতাফ বিশ্বাসের ছেলে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মন্জুরুল আলম জানান, টিলা হাইস্কুলের এক ছাত্রীকে স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিতো কাজল। তার প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় কাজল ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) গভীর রাতে ওই ছাত্রীর ঘরে কৌশলে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোক ঘটনাস্থলে এসে পড়লে কাজল পালিয়ে যায়।
মাগুরা থানায় এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে।
ঘটনার পর ৩০ জানুয়ারি মাগুরা থানার পুলিশ ধর্ষক কাজল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। ভুক্তভোগীকে মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে উপস্থিত করলে বিজ্ঞ বিচারিক হাকিমের এর কাছে জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চট্টগ্রামে যুবক গ্রেপ্তার
শিবচরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় টাইলস মিস্ত্রী নিহত
মাগুরার মহম্মদপুরে ট্রাক ও রিকশা ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক টাইলস মিস্ত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে যশপুর সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হুমায়ন (১৬) সদরের শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নের রুপদিয়া গ্রামের উসমানের ছেলে। তিনি পেশায় টাইলস মিস্ত্রী।
আহতরা হলেন- আব্দুল করিম (৩৪), লিটন (২১), মুন্না (২২), রমজান (১৮), নয়ন (১৯) ও হুমায়ন (১৬)। তাদের বাড়ি মাগুরা সদরের জগদল ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: ডাকাতিয়া নদীতে বাল্কহেড-ট্রলার সংঘর্ষ, নিহত ৫
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, রবিবার সকালে রিকশা ভ্যানে করে সদর উপজেলা থেকে মহম্মদপুরে টাইলসের কাজ শেষ করে কয়েকজন কিশোর মহম্মদপুর থেকে মাগুরা সদরে যাচ্ছিলেন। পথে যশপুর বিপরীত দিক আসা ট্রাক ভ্যানটিকে চাপা দিলে পাঁচ জন গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার পর মহম্মদপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মহম্মদপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হুমায়নকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে আব্দুল করিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
মাগুরায় মোটরসাইকেল চাপায় শিক্ষক নিহত
মাগুরায় মোটরসাইকেল চাপায় এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মাগুরা ঝিনাইদহ সড়কের মাগুরা স্টেডিয়ামের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. আব্দুর রাকিব (৪৮) মাগুরা শহরের স্টেডিয়াম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মন্জুরুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ১০টার দিকে মাগুরা ঝিনাইদহ সড়কের মাগুরা স্টেডিয়ামের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় মোটরসাইকেলের আরোহী তিন যুবক আহত হন। আহতদের মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মাগুরা থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
শালিখায় ট্রাকচাপায় মাদরাসাছাত্র নিহত
মাগুরার শালিখায় ট্রাকচাপায় জাকারিয়া (৮) নামের এক মাদরাসাছাত্র নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় উপজেলার দেশমুখপাড়া সাইদিয়া এতিমখানা মাদরাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জাকারিয়া বুনাগাতী বাজারের ওয়েলডিং ব্যবসায়ী দেশমুখপাড়া গ্রামের ছরোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার সময় গেটের সামনে চলন্ত একটি ট্রাক পেছন থেকে চাপা দিলে তার মৃত্যু হয়।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুকদেব বিশ্বাস জানান, স্থানীয়ভাবে মীমাংসার মাধ্যমে দেশমুখপাড়া গ্রাম্য গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংর্ঘষ, ৪ মাদরাসাছাত্র নিহত
ইঁদুরের গর্তে দু-মুঠো খেয়ে বাঁচার স্বপ্ন!
মাগুরার চার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঠের খেতে নারীরা ছুটে চলেছেন ইঁদুরের গর্তের সন্ধানে। গর্তের সন্ধান মিললেই শুরু হয় খোঁড়া ধান শীষ সংগ্রহের আশায়। সেই শীষ মাড়িয়ে বের করা হবে ধান। সেই ধান সিদ্ধ করে বানানো হবে চাল। যা দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দু-বেলা দু-মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা।
অগ্রহায়ণের শুরু থেকে পৌষের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমন খেতে ধান সংগ্রহের কাজ করে বাগদি (বর্গক্ষত্রিয়) সম্প্রদায়ের এক দল নারী। জীবিকার অন্বেষণে প্রতি পদে নানাবিধ ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হয় তাদের। আমনের মৌসুম শুরু হলেই ইঁদুরের গর্তের সন্ধানে নেমে পড়ে দল বেঁধে। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে প্রতিদিন মাগুরা সদর উপজেলার নন্দীপাড়া থেকে ছুটে আসেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বড়বিলা মাঠে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে কঠোর সংগ্রাম।
আরও পড়ুন: ইঁদুরের গর্তের ধান সংগ্রহে মেতেছে রাণীশংকৈলের শিশুরা
শুক্রবার উপজেলার বড়বিলা মাঠে সরেজমিনে দেখা যায়, ধান খেতে এক দল নারী খুঁজে বেড়াচ্ছে ইঁদুরের গর্ত। কারো হাতে কোঁদাল, কারো হাতে খন্তা, আবার কারো হাতে বস্তা। আমন খেতে ইঁদুরের জমানো ধানে ভাগ বসাচ্ছে ওরা। এমনকি খেতে পড়ে থাকা ধানের শীষের মালিকানাও তাদের। প্রতিদিন এখন বড়বিলার মাঠে চোখে পড়ে এ দৃশ্য। প্রতিদিনই তারা দল বেঁধে ছুটে চলে ফসলের মাঠে। একটি মুহূর্ত যেন দম ফেলানোর সময় নেই। ইঁদুরের গর্ত কিংবা ঝরে পড়া ধান দেখলেই তাদের চোখে-মুখে ফুঁটে ওঠে সোনালি হাসি।
ইঁদুরের গর্তের ধান সংগ্রহ করতে আসা দূর্গা রানী বিশ্বাস বলেন, ‘বছরের অন্য সময় আমরা হাট-বাজারে কাজ করি। অন্যের খেতে দিনমজুরী দিয়ে, খালে-বিলে মাছ ও কুচে ধরে তা বিক্রি করে সংসার চালাই। আর এই সময় ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করি। প্রতি মৌসুমে ৮ থেকে ১০ মণ ধান পাওয়া যায়।’
আরও পড়ুন: ইঁদুরের গর্তে শিশুদের হানা
চিত্রা রানী বিশ্বাস বলেন, ‘অনেক গর্তেই ধান থাকে না। আবার ভাগ্য ভালো হলে অনেক গর্তেই ধান পাওয়া যায়। তখন বড় আনন্দ লাগে। আবার অনেক গর্তেই ইঁদুরের বদলে সাপ থাকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা এ কাজ করি। তাই গর্তে খুব সাবধানে হাত ঢোকাতে হয়। প্রথম প্রথম ইন্দুরের গর্তে হাত দিতি সাহস পেতাম না। যদি পোঁকামাকড় থাকে। তবু ভয়ে ভয়ে একদিন হাত ঢুকাই। খসখস শব্দ হলি ভয় পাই।’