মাগুরায় নিউ আল বারাকা নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত রাশিদা বেগম (২৪) মাগুরা সদর উপজেলার খর্দ গ্রামের রমজান শেখের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কথিত ‘চিকিৎসক’ কারাগারে
রমজান শেখের বাবা রাশিদার শ্বশুর মাখন অভিযোগ করেন, তার পুত্রবধূ রাশিদা বেগম সন্তান প্রসবের জন্যে শুক্রবার রাতে শহরের হাসপাতাল পাড়া এলাকায় নিউ আল বারাকা প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হন। শনিবার রাতে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক দিলারা আকবর লাবনি ওই ক্লিনিকে রাশিদা বেগমের শরীরে অস্ত্রপচার করেন। এসময় একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয় রাশিদা। কিন্তু অস্ত্রপচারের আগে রক্তের প্রয়োজন হলে রাশিদার শরীরে ‘ও’ পজেটিভ রক্তের পরিবর্তে ক্লিনিকের প্যাথলজি থেকে ‘এবি’ পজেটিভ রক্ত দেয়া হয়। এতে জন্মের পরপরই অসুস্থ হয়ে মারা যায় ওই নবজাতক। অন্যদিকে রক্তের ভুল ব্যবহারের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন মা রাশিদা। উপায়ন্ত না দেখে ক্লিনিক কতৃর্পক্ষ প্রসুতি রাশিদা বেগমকে দ্রুত ঢাকার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে রাশিদার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে চিকিৎসক দিলারা আকবর লাবনি বলেন, ‘রোগীর শরীরে অস্ত্রপচার করার সময় তেমন কোন সমস্যা দেখা দেয়নি। তবে গর্ভে পানির স্বল্পতা ছিল। যে কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। মা রাশিদার কিডনি জটিলতা ছিল। রাশিদার শরীরে রক্ত দিয়েছে ক্লিনিক কতৃর্পক্ষ। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই’।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কথিত ‘চিকিৎসক’ কারাগারে
মাগুরা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ওই ক্লিনিকের প্যাথলজির কোন অনুমোদন নেই। এমনকি ক্লিনিকের অনুমোদনের বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। ভুল রক্ত দেয়ার কারণে ওই প্রসূতি ও নবজাতকের এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, ‘প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি আমি জেনেছি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: সন্তানের মুখ দেখা হলো না মায়ের, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ
এদিকে আল বারাকা ক্লিনিকের মালিক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।