স্থানীয়-ব্যবসা-বাণিজ্য
সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চায় জেলা চেম্বারগুলো
ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরিসহ দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে জেলা চেম্বারগুলো।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) মতিঝিলে অবস্থিত এফবিসিসিআই আইকনে ‘চেম্বারের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ বিষয়ে এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা চেম্বারের সভাপতিরা জানান, নিজস্ব ভবন না থাকা, আয়ের উৎস সংকীর্ণ থাকা, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দক্ষ লোকবলের অভাবে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা চেম্বার। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই এবং সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করতে এবং জেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের একই ছাতার নিচে নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জেলা চেম্বারগুলো। জেলা চেম্বার ও উইমেন চেম্বারের বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে এফবিসিসিআই সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
চেম্বারের সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের আয়োজন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য একটি তহবিল গঠনের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
জেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা সহজীকরণে সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তি, হয়রানি বন্ধ, এবং চেম্বারের আয়ের উৎস বৃদ্ধিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এফবিসিসিআই শীঘ্রই আলোচনায় বসবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও চেম্বার পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এ সময় ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য জেলা চেম্বার সহযোগিতার বড় একটি প্লাটফর্ম হতে পারে বলে মন্তব্য করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর সাবেক সহসভাপতি সালাউদ্দিন আলমগীর।
জেলা চেম্বারগুলোর উন্নয়নে এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে প্রতিটি চেম্বারে গিয়ে সভা করার সুপারিশ করেন কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও এফবিসিসিআইর পরিচালক সুজীব রঞ্জন দাস।
এফবিসিসিআইসহ এর অধিভুক্ত বাণিজ্য সংগঠনগুলো স্মার্ট করার লক্ষ্যে এফবিসিসিআই অ্যাপ তৈরির কাজ চলছে বলে সভায় জানানো হয়।
সভায় আরও ছিলেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, যশোদা জীবন দেব নাথ, মো. মুনির হোসেন, সাবেক প্রথম সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, এফবিসিসিআইর পরিচালকরা, বিভিন্ন জেলা চেম্বারের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
বিএসটিআইতে হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ন বিষয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) হালাল সনদ ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা বিদেশে পণ্য রপ্তানিতে কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি-না সে বিষয়ে মত বিনিময় সভা আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রবিবার বিএসটিআইর প্রধান কার্যালয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ‘বিএসটিআই হতে প্রদানকৃত হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ন’ শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএসটিআইর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলমের সভাপতিত্বে সভায় ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমীন হেলালী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা চেম্বারের পরিচালক এম মোসাররফ হোসেন, বিএসটিআইর হালাল সার্টিফিকেশন কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. জহুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলমসহ বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা।
এছাড়া অনুষ্ঠানে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন বিএসটিআইয়ের হালাল সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান- বেঙ্গল মিট প্রসেসিং ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড, আকিজ বেকার্স লিমিটেড, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, নিউজিল্যান্ড ডেইরি, ডেনিস ফুড, অলিম্পিক ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড, সালভো কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রি, কোকোলা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
সভায় বক্তারা জানান, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে একাধিক অডিটের মাধ্যমে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে হালাল সনদ দেয় বিএসটিআই। বিএসটিআইয়ের হালাল সনদ গ্রহণ করে রপ্তানিতে কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন না বলেও জানান তারা।
বেক্সিমকো বন্ডের সাবস্ক্রিপশন শুরু রবিবার
বেক্সিমকো প্রথম আনসিকিউরড জিরো কুপন বন্ডের সাবস্ক্রিপশন শুরু হচ্ছে রবিবার (২৮ এপ্রিল)। সাবস্ক্রিপশনের প্রথম ধাপ শেষ হবে ১৫ মে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ৩ এপ্রিল বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডকে (বেক্সিমকো) মোট ১,৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এই বন্ডের অ্যারেঞ্জার আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং এর ট্রাস্টি হিসেবে রয়েছে সন্ধানী লাইফ। ‘বেক্সিমকো প্রথম আনসিকিউরড জিরো কুপন বন্ডের ডিসকাউন্ট রেট ১৫ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এতে প্রতি ১ লাখ টাকায় মাসিক রিটার্ন আসবে ১,২৫০ টাকা।
এই অপরিবর্তনযোগ্য, পুনরুদ্ধারযোগ্য, আনসিকিউরড বন্ডের লক্ষ্য বাজার থেকে ১,৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা; যার মধ্যে ১,০০০ কোটি টাকা শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডকে মায়ানগর প্রকল্প উন্নয়নের জন্য ঋণ হিসেবে প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। বাকি ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বেক্সিমকো লিমিটেডের বিদ্যমান ব্যাংক ঋণ পরিশোধে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখানে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে মূলধনসহ পাঁচ বছরে মোট রিটার্ন আসবে ১,৭৫,০০০ টাকা।
এই বন্ড সাবস্ক্রিপশনে বিনিয়োগের নিম্নসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০,০০০ টাকা এবং এক্ষেত্রে কোনো সর্বোচ্চ সীমা নেই। ফলে সব ধরনের বিনিয়োগকারীরা এতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। আকর্ষণীয় এ বন্ডটি সীমিত সংখ্যক হওয়ায় দ্রুত বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ‘আগে-আসলে আগে-পাবেন’ ভিত্তিতে এটি কেনার সুযোগ পাওয়া যাবে।
আগ্রহীরা ১৬৯০০ নম্বরে কল করে অথবা এ সংশ্লিষ্ট প্রচারণায় ব্যবহৃত কিউআর কোড স্ক্যান করে এই বন্ড সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ১৫০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ছাড়বে বেক্সিমকো
ফের সোনার দাম কমাল বাজুস
বাংলাদেশের স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতার মধ্যে আবারও প্রতি ভরি স্বর্ণে দাম কমেছে দুই হাজার ৯৯ টাকা।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
নতুন দাম অনুযায়ী ভালো মানের ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা করা হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি মাসে সপ্তমবারের মতো স্বর্ণের দাম পরিবর্তন করল স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনটি।
গত ৬, ৮, ১৮ ও ২১ এপ্রিল চার দফায় স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ১৯০ টাকা বাড়ায় এবং তিন দফায় ২০, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল স্বর্ণের দাম ৬ হাজার ৭৭ টাকা কমায় সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের ভরিতে কমল ৮৪০ টাকা
বাজুস ৬ এপ্রিল স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা, ১৮ এপ্রিল ২ হাজার ৬৫ টাকা এবং ২১ এপ্রিল ৬৩০ টাকা বাড়ায়। অন্যদিকে গত ২০ এপ্রিল স্বর্ণের দাম ৮৪০ টাকা, ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা এবং সর্বশেষ ২৪ এপ্রিল ২৯৯ টাকা কমায় সংস্থাটি।
বুধবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান দাম কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
আরও পড়ুন: ২১ দিনে চারবার স্বর্ণের দাম বাড়াল বাজুস
প্রচণ্ড গরমে চাহিদার সঙ্গে বেড়েছে ডাবের দাম
চলমান তাপপ্রবাহে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য চাহিদা বেড়েছে ডাবের। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেছে দামও।
রাজধানীতে ৩০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে ছোট আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। আর মাঝারি ও বড় আকারের ডাব প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। এটি এ বছরের রেকর্ডমূল্য।
মতিঝিল এলাকায় ভ্যানে করে ডাব বিক্রি করেন জুসিনুর। তিনি ইউএনবিকে বলেন, ঈদের ছুটির পর পাইকাররা ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছরে ব্যবসায় এত বেশি দাম কখনো দেখেননি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও নয়।
সদরঘাটের বাদামতলীতে ডাব ও ফলের পাইকারি বিক্রেতা ইব্রাহিম সরদার এ প্রতিবেদককে জানান, সবসময় ঈদের পরপর চাহিদা কম থাকত কিন্তু এবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে।
উৎপাদকদের কাছ থেকে সরবরাহকারীরা বেশি দামে ডাব কিনেছেন আর সেই কারণে পাইকারি বাজারে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানান এই বিক্রেতা। সে কারণেই তাকেও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে বেশি দামেই ডাব কিনতে হয়েছে।
রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ, গুলিস্তান, পল্টন ও শাহবাগ এলাকায় ডাবের দাম বেশ বাড়তি দেখা গেছে।
ঢাকার অন্যতম পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারেও দেখা গেছে ডাবের দাম বেশি। ব্যবসায়ীদের দাবি, বরিশাল, ভোলা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, ফরিদপুর, যশোর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের সরবরাহ পয়েন্টেও বেড়েছে ডাবের দাম।
গত ১০ দিনের ব্যবধানে সরবরাহ পর্যায়ে ডাবের দাম প্রতিটিতে ৩০ টাকা বেড়েছে।
পাইকারি বিক্রেতা সূর্য আলী ইউএনবিকে জানান, ১০০টি ডাবের দাম এখন দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। এত চড়া দাম আগে দেখা যায়নি।
গত রমজান মাসেও ডাবের দাম ২ থেকে ৩ হাজার টাকার কম ছিল বলে জানান তিনি।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে ঢাকায় একটি ডাবের দাম ছিল গড়ে ২২ টাকা। ২০২০ সালে প্রতিটির দাম উঠেছিল ৭৪ টাকা।
ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, বর্তমানে প্রতিটি ডাবের গড় দাম ১০০ টাকার নিচে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৬ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে নারিকেলের উৎপাদন ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯১ টন থেকে কমে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৮ হাজার ২২১ হেক্টর জমিতে ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৬০ টনে নেমে এসেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের পর থেকে নারকেলের উৎপাদন কমতে শুরু করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫১ টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৯৩২ টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫২০ টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৪৫৮ টন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৬০ টন নারকেল উৎপাদন হয়েছে।
ভোলা জেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৮৮ হাজার টন নারিকেল উৎপাদিত হয় এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জেলায় উৎপাদন হয় ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৫০ টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন বছরব্যাপী ফল উৎপাদন ও পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মেহেদী মাসুদ বলেন, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নারিকেলের চাষ বাড়ছে না।
দেশে চাহিদা বাড়ায় ডাব ও নারকেলের উভয়ের দামই বেড়েছে বলে জানান তিনি।
২১ দিনে চারবার স্বর্ণের দাম বাড়াল বাজুস
অস্থির স্বর্ণের বাজারে প্রতি ভরিতে ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পরই রবিবার (২১ এপ্রিল) ৬৩০ টাকা দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এ নিয়ে এপ্রিল মাসে স্বর্ণের দাম ভরিতে ৫ হাজার ১৯০ টাকা বাড়িয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনটি।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বাজুস স্বর্ণের দাম ভরিতে ৮৪০ টাকা কমিয়েছিল। আর চলতি এপ্রিলের ৬, ৮, ১৮ ও ২১ তারিখে মোট চারবার স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে বাজুসের নতুন দর কার্যকর হয়। বাংলাদেশে স্বর্ণের বাজারে চরম অস্থিরতা চলছে। প্রথমবারের মতো প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকার রেকর্ড গড়ল।
বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পরিবীক্ষণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমানের সই কর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৯ ৪২৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার তিন টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা।
স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের ভরিতে কমল ৮৪০ টাকা
স্বর্ণের ভরিতে কমল ৮৪০ টাকা
চলতি এপ্রিলে কয়েক দফায় স্বর্ণের দাম ভড়ি প্রতি মোট ৪ হাজার ৫৬০ টাকা বাড়ানোর পর মাত্র ৮৪০ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
শনিবার (২০ এপ্রিল) স্বর্ণের দাম কমানোর নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় (বাজুস।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে বাজুস সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।
এর আগে গত বুধবার বাজুস জানিয়েছিল, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হবে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, যা এ যাবৎকালের মধ্যে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। চলতি এপ্রিলে বাজুস এ পর্যন্ত তিনবার (৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল) স্বর্ণের দাম বাড়ানোর রেকর্ড করে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্সের বাজার মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান দাম বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। এছাড়া প্রতি ভরি স্বর্ণ ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
সয়াবিনের খোলা তেলের দাম কমলেও বেড়েছে বোতলজাত তেলের
প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়াতে পরিশোধনকারীদের দাবি জানানোর একদিন পরই এ দাম নির্ধারণ করা হলো।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্যতেলের দাম পুনর্মূল্যায়ন সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ তথ্য জানান।
সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে একজন ভোক্তাকে এখন পাঁচ লিটারের ভোজ্যতেলের বোতল কিনতে অতিরিক্ত ১৮ টাকা দিতে হবে অর্থাৎ ৮১৮ টাকা পরিশোধ করতে হবে। আগে এর দাম ছিল ৮০০ টাকা।
আরও পড়ুন: খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে আরও ৬ মাস
অন্যদিকে প্রতি লিটার খোলা তেলের দাম ২ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৭ টাকা।
এর আগে গত বুধবার ভোজ্যতেল শোধনাগার কোম্পানিগুলো লিটারপ্রতি ১০ টাকা দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেন, গত দুই মাস ধরে যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমানো হয়েছিল, তা গত সোমবার শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন লিটারে কমল ৫ টাকা, কার্যকর রবিবার
ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব ব্যবসায়ীদের
গত ১৫ এপ্রিল ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার(১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
বিভিওআরভিএমএফএর নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লা চিঠিটি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতি থাকায় গত ১৫ এপ্রিল ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে সরবরাহ করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন লিটারে কমল ৫ টাকা, কার্যকর রবিবার
তবে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে আরও ৬ মাস
ঈদের ছুটি শেষে প্রথম দিনেই পুঁজিবাজারে বড় পতন
ঈদের পাঁচ দিনের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবস সোমবারে বড় পতনের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক আবারও ৫ হাজার ৮০০ এর নিচে নেমেছে। বৈশ্বিক জ্বালানি লেনদেনের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত মধ্যপ্রাচ্যে অনিশ্চয়তার কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। সে কারণেই লোকসান এড়াতে শেয়ার বিক্রি শুরু করায় শেয়ারবাজারে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটিসহ ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ দিন শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল।
ঈদের ছুটির আগে প্রায় স্বাভাবিক থাকলেও শেয়ারের উল্লেখযোগ্য দরপতনে ডিএসইর প্রধান সূচক ৮৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৭৭৮টিতে স্থির হয়।
ঈদের ছুটির আগের ৩ দিনে ডিএসইতে বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছিল।
এছাড়া শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ডিএসইএস সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৬ এবং শীর্ষস্থানীয় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ ১৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
লেনদেন হওয়া প্রায় ৮৫ শতাংশ শেয়ারের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কমেছে ৩৩৬টির, বেড়েছে ৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির শেয়ার দর।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মূল্য সূচক ১৯৮ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৫৩৪ পয়েন্টে এবং সিলেক্টিভ ক্যাটাগরি ইনডেক্স (সিএসসিএক্স) ১১৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৯৪০ পয়েন্টে।
শেয়ারবাজারের শুরু তীব্র নিম্নমুখী হয়ে দিন শেষে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি।
বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী ঈদ উদযাপন শেষে এখনো ঢাকায় ফিরে না আসায় লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছিল খুবই কম।