ক্রিকেট
খুলনাকে প্রথম হারের স্বাদ দিল রাজশাহী
চিটাগাং কিংস ও ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বিপিএলের মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে অপরাজিত থাকলেও তৃতীয় ম্যাচে এসে খেই হারাল খুলনা টাইগার্স। খুলনাকে হারিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারের পর আবারও জয়ে ফিরেছে দুর্বার রাজশাহী।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) খুলনাকে ২৮ রানে হারিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল।
এদিন টস জিতে রাজশাহীকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান খুলনা অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তোলে রাজশাহী।
দলের হয়ে ২৯ বলে অপরাজিত সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন রায়ান বার্ল। এছাড়া ইয়াসির আলী ২৫ বলে ৪১ এবং মোহাম্মদ হারিস, জিসান আলম ও আকবার আলী যথাক্রমে ২৭, ২৩ ও ২১ রানের ইনিংস উপহার দেন।
খুলনার বোলারদের মধ্যে নাসুম আহমেদ সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: তাসকিনের রেকর্ড গড়া ম্যাচটি জয়ে রাঙাল রাজশাহী
১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় খুলনা। জিশান আলমের অফস্পিনে উইলিয়াম বসিস্তো একবার লেগ বিফোরের আবেদন থেকে বেঁচে গেলেও পঞ্চম বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর ৭ বলে মাত্র ১ রান করে তাসকিনের বলে আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক মিরাজ।
২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন নাইম শেখ আর আফিফ হোসেন। এ সময় রান তোলার গতি একেবারেই পড়ে যায়। ১৭৯ রানের লক্ষ্য থাকলেও ২৮ বল খেলে ২৪ রান করে আউট হন নাইম আর ৩০ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন আফিফ।
তারা যখন ফিরে যান তখন জয়ের জন্য ৭ ওভারে খুলনার প্রয়োজন ছিল ৮৯ রান। আর রান রেটের পাহাড় মাথায় নিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে একের পর এক বাকি উইকেটগুলো হারাতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতেই ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় খুলনার ইনিংস।
দলের হয়ে আফিফ ও নাইমের ইনিংসদুটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। এছাড়া শেষদিকে ১৫ বলে ১৮ রান করেন নাসুম।
রাজশাহীর ৭ বোলারের সবাই এই ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট গিয়েছে রায়ান বার্ল, তাসকিন আহমেদ ও সোহাগ গাজীর ঝুলিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দুর্বার রাজশাহী: ১৭৮/৫ (বার্ল ৪৮*, ইয়াসির ৪১, হারিস ২৭; নাসুম ২/২০)।
খুলনা টাইগার্স: ১৫০/১০ (১৯.৩ ওভার) (আফিফ ৩৩, নাইম ২৪, অঙ্কন ১৮; বার্ল ২/১৩, তাসকিন ২/৩০)।
ফলাফল: দুর্বার রাজশাহী ২৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রায়ান বার্ল।
৩৩৯ দিন আগে
টানা ৩ উইকেট পতনের পর ৬ বলে ৩০ রান, রংপুরের অবিশ্বাস্য জয়
শেষ দুই ওভারে যখন ৩৯ রানের প্রয়োজন, সেখানে ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে ইফতিখার আহমেদ দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে রংপুরের সমর্থকদের মনে অনেকটা আশার সঞ্চার করলেও পরের তিন বলে তিন উইকেট পড়ে গেলে আশার সেই বেলুনর চুপসে যায়। এরপর শেষ ওভারে নুরুল হাসান সোহান যা করলেন, তার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না।
শেষ ওভারে যখন ২৬ রান প্রয়োজন, তখন ব্যাট হাতে অভাবনীয় কায়দায় জ্বলে উঠলেন তিনি। প্রথম চার বলে ৬, ৪, ৪ ও ৬ হাঁকানোয় শেষ ২ বলে দরকার ছিল ৬ রান। পঞ্চম বলে হাঁকালেন ৪ আর শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিলেন রংপুর রাইডার্সের নাবিক সোহান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৭ রান করে বরিশাল। জবাবে শেষ বল পর্যন্ত খেলে জয় নিশ্চিত করে সোহানের দল।
এ নিয়ে ৬ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতল রংপুর। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে বরিশালের দ্বিতীয় হার এটি। দুই দলের প্রথম দেখাতেও বরিশালকে হারিয়েছিল রংপুর। ওই ম্যাচটি তারা জেতে ৮ উইকেটে।
আরও পড়ুন: বরিশালকে হেসেখেলে হারিয়ে রংপুরের জয়যাত্রা অব্যাহত
গত কয়েক ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করা অ্যালেক্স হেলস এদিন শুরুতেই আউট হয়ে যান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ কিছুটা চাপে পড়ে যায় রংপুর, যার প্রভাব পড়ে তাদের রানরেটে। তবে অষ্টম ওভার থেকে লক্ষ্য তাড়ায় মনোযোগী হয় তারা।
সপ্তম ওভারের শেষ বলে ২২ রান করে (১৯ বলে) সাইফ হাসান সাজঘরে ফিরলে ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে ১২ বলে ২৫ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন তৌফিক খান। ২৮ বলে ৩৮ রান করে তিনিও ফিরে গেলে আরেক পাকিস্তানি ব্যাটার খুশদিল শাহের সঙ্গে ৫৩ বলে ৯১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ইফতিখার।
এরপর ১৭.৫তম ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে ইফতিখার ফিরে গেলে পরের ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি ছক্কা মেরে লক্ষ্য একরমক বাগে নিয়ে আসেন খুশদিল। কিন্তু পরের বলে তিনি আউট হয়ে গেলে তার পরের দুই বলে জাহান্দাদ খান শেখ মেহেদী ও সাইফউদ্দীনকেও ফিরিয়ে দিলে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বরিশাল। আর সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের অভাবনীয় গল্প লিখে বরিশালের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেন সোহান।
রংপুরের হয়ে ২৪ ও ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৪৮ করে রান করেন যথাক্রমে খুশদিল ও ইফতিখার; তৌফিক করেন ৩৮ আর ৭ বল খেলে অধিনায়ক সোহানের রান ৩২।
অপরদিকে, বরিশালের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন জাহানান্দ খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল: ১৯৭/৫ (কাইল মেয়ার্স ৬১*, শান্ত ৪১, তামিম ৪০; কামরুল ২/৪৭, আকিফ ১/১৬)।
রংপুর রাইডার্স: ২০২/৭ (খুশদিল ৪৮, ইফতিখার ৪৮, তৌফিক ৩৮, সোহান ৩২*; জাহান্দাদ ২/৪৮)।
ফলাফল: রংপুর রাইডার্স ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নুরুল হাসান সোহান।
৩৪০ দিন আগে
বিপিএল: সিলেটকে ৮ উইকেটে হারাল রংপুর রাইডার্স
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে অ্যালেক্স হেলসের সেঞ্চুরিতে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পরাজয়ের মুখে পড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করে সিলেট। তাদের হয়ে রনি তালুকদার, জাকির হাসান ফিফটি করেন এবং জাকের আলী ও অ্যারন জোন্সের জ্বলে উঠে তাদের শক্তিশালী স্কোর এনে দেয়।
শেষ পাঁচ ওভারে ৭৪ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট। শেষ ওভারে আকিফ জাভেদের বোলিংয়ে জোন্স ও জাকের ৪টি ছক্কা হাঁকান। অন্যদিকে রংপুর রাইডার্সের হয়ে সবচেয়ে দক্ষতার সঙ্গে বল করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। নিজের চার ওভারে ৩১ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি।
অপর পক্ষে ব্যাটসম্যান আজিজুল হাকিমকে শূন্য রানে হারায় রাইডার্স। তবে অ্যালেক্স হেলস এবং সাইফ হাসান তাদের বড় অঙ্কের মোট রান তুলে মূল ভিত্তি গড়েন।
অ্যালেক্স ১০টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৫৬ বলে ১১৩ রান এবং সাইফ ৪৯ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৮০ রান করেন।
তাদের ব্যাটিং দক্ষতা পুরো রান সংগ্রহ করার সময় কাঙ্ক্ষিত হার নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। ১৮তম ওভারে সাইফ আউট হলেও লক্ষ্যে পৌঁছানোর দূরত্বে ছিল রংপুর রাইডার্স।
রাইডার্স ১৯ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ২ উইকেটে ২১০ রান তুলে নেয়। ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন অ্যালেক্স হেলস।
আরও পড়ুন: বিপিএল: রংপুরের বিপক্ষে বড় স্কোর সিলেটের
৩৪৩ দিন আগে
বিপিএল: রংপুরের বিপক্ষে বড় স্কোর সিলেটের
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্ব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরের দর্শকদের সামনে জ্বলে উঠলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের স্থানীয় খেলোয়াড়রা।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) ঘরের মাঠে জাকির হাসান (৫০) ও জাকের আলীর (৫ বলে ২০) ব্যাটিং, রনি তালুকদিয়েরের হাফ সেঞ্চুরি ও অ্যারন জোন্সের ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করে সিলেট।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সাবেক চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স।
জর্জ মুনসে ১৮ রানে আউট হওয়ার আগে পাঁচ ওভারে ৪৭ রান নিয়ে দারুণভাবে শুরু করেন সিলেটের দুই ওপেনার।
৩২ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৪ রানের ইনিংস খেলে ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন রনি তালুকদার। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা জাকির হাসান ৩৮ বলে ৪টি ছক্কাসহ ৫০ রান করেন।
শেষ পাঁচ ওভারে অ্যারন জোন্স ও জাকের আলীর দুরন্ত সমাপনীতে ৭৪ রান যোগ করে সিলেট। শেষ ওভারে আকিফ জাভেদের বলে চার ছক্কা হাঁকান তারা।
রাইডার্সের হয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দুটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: পিএসএল প্লেয়ার্স ড্রাফটে ৮ বাংলাদেশি ক্রিকেটার
৩৪৩ দিন আগে
পিএসএল প্লেয়ার্স ড্রাফটে ৮ বাংলাদেশি ক্রিকেটার
পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) সাধারণত মার্চে শুরু হলেও আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফির কারণে এবারের (দশম) আসর শুরু হওয়ার কথা এপ্রিল মাসে। এ উপলক্ষে চলতি মাসের ১১ তারিখ হয়ে যাবে টুর্নামেন্টের প্লেয়ার ড্রাফট। ইতোমধ্যে ড্রাফটে জায়গা পাওয়া ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করেছে পিসিবি, যেখানে যায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের ৮ ক্রিকেটার।
পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বেলুচিস্তানের নান্দনিক সৌন্দর্য্যের শহর গোয়াদরে অনুষ্ঠিত হবে এবারের ড্রাফট। পাঁচ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশসহ মোট ১৯টি দেশের ৫১০ জন বিদেশি ক্রিকেটার ড্রাফটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে ওই আট বাংলাদেশি ক্রিকেটার স্থান পেয়েছেন শীর্ষ দুই ক্যাটাগরি প্লাটিনাম ও ডায়মন্ডে।
তারা হলেন— সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান ও তৌহিদ হৃদয়।
এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলের সঙ্গে একই সময়ে পিএসএল অনুষ্ঠিত হওয়ায় ক্রিকেটাররা খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে গেছেন। তবে যেসব বিদেশি খেলোয়াড় আইপিএলে দল পাননি, তাদের অনেকেই পিএসএলের ড্রাফটে নাম দিয়েছেন।
তাদের মধ্যে অন্যতম বড় নাম— অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যালেক্স ক্যারি ও ক্রিস লিন, নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল, টিম সাউদি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, মাইকেল ব্রেসওয়েল, ফিন অ্যালেন ও মার্ক চ্যাপম্যান, দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বা বাভুমা, রেসি ফন ডার ডুসেন ও রিজা হেনড্রিকস।
এছাড়া রয়েছেন— শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, কুশল মেন্ডিস, চারিত আসালাঙ্কা, দাসুন শানাকা ও পাতুম নিশাঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার, এভিন লুইস, কাইল মায়ার্স ও ব্র্যান্ডন কিং, ইংল্যান্ডের জেসন রয়, অ্যালেক্স হেলস, ডাউইড মালান ও স্যাম বিলিংস, আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান ও হজরতউল্লাহ জাজাই এবং জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল।
এর আগে, গত বুধবার (১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে পিএসএলে ৩০ বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নিবন্ধনের কথা জানিয়েছিল ক্রিকেট পাকিস্তান। তাই বাকিরা গোল্ড, সিলভার ও ইমার্জিং— এ তিন ক্যাটাগরিতে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩৪৪ দিন আগে
বরিশালকে হেসেখেলে হারিয়ে রংপুরের জয়যাত্রা অব্যাহত
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে দুর্দান্ত শুরু করেছে রংপুর রাইডার্স। দলটির জয়ের ধারায় এবার কাটা পড়ল তারকায় ঠাসা বরিশাল।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করে প্রতিপক্ষকে আটকে দিয়ে জিতেছিল রংপুর। অপরদিকে, দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ১৯৮ রান তাড়া করে ১১ বল বাকি থাকতেই নিজেদের প্রথম ম্যাচটি জিতে নেয় বরিশাল। ফলে তারকাসমৃদ্ধ দুই দলের এই ম্যাচটি নিয়ে একটু বাড়তি উত্তেজনাই ছিল।
আজ টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান নেন রংপুর অধিনায়ক সোহান। এরপর তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, শান্ত, তৌহিদ হৃদয় ও কাইল মেয়ার্সদের নিয়ে গড়া শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপ ধসিয়ে দিয়ে বরিশালকে ১২৪ রানে গুটিয়ে দেন রংপুরের বোলাররা।
১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ইকবাল হোসেন ইমনের জোড়া শিকারে পরিণত হন আজিজুল হাকিম তামিম ও তৌফিক খান। দুজনকেই ফিরতে হয় রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর সাইফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ ওভারেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অ্যালেক্স হেলস।
রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেন অবশ্য সাইফ। ৪৬ বলে তিনটি ছক্কা ও ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তিনি। অপর প্রান্তে তিন ছক্কা ও চারটি চারে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন হেলস।
টানা তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অন্য দলগুলোর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে গেল রংপুর। বাকি দলগুলো এক বা দুই ম্যাচ খেলে এখনও দুই পয়েন্টের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি।
রংপুর ছাড়া এখন পর্যন্ত অপরাজিত দল রয়েছে শুধু খুলনা টাইগার্স। প্রথম ম্যাচে চিটাগং কিংসকে হারানো খুলনা নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামীকাল ঢাকা ক্যাপিটালসের মোকাবিলা করবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল: ১২৪/১০ (১৮.২ ওভার) (তামিম ২৮, নবী ২১, মুশফিক ১৫; খুশদিল ৩/১৮, ইফতিখার ২/১০, নাহিদ ২/৩২)।
রংপুর রাইডার্স: ১২৮/২ (১৫ ওভার) (সাইফ ৬২*, হেলস ৪৯*; ইমন ২/৪১)।
ফলাফল: রংপুর রাইডার্স ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাইফ হাসান।
৩৪৭ দিন আগে
তাসকিনের রেকর্ড গড়া ম্যাচটি জয়ে রাঙাল রাজশাহী
বল হাতে তাসকিন আহমেদ বিশ্বরেকর্ড গড়ার পর এনামুল হক বিজয় ও রায়ান বার্লের ব্যাটিং ঝলকে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অনায়াস জয় পেয়েছে দুর্বার রাজশাহী। তাসকিনের তাণ্ডবের পরও ব্যাটাররা ভালো সংগ্রহ পেলেও বোলিংয়ে কার্যকারিতার ছাপ ফেলতে না পারেনি ঢাকা। ফলে বিপিএলের চলতি আসরের প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও হারের স্বাদ পেল দলটি।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে দুর্বার রাজশাহী।
এদিন ঢাকার ৭ ব্যাটারকে সাঝঘরের পথ চিনিয়ে আন্তর্জাতিক ও যেকোনো ধরনের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নেন তাসকিন আহমেদ। তবে তার বিধ্বংসী বোলিংয়ের পরও ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে ঢাকা।
চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমে ঢাকার শাহাদাৎ হোসেন দিপু ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন। এছাড়া তৃতীয় ব্যাটার স্টিভি এসকিনাজি করেন ৪৬ রান।
আরও পড়ুন: বিপিএলে ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের বিশ্বরেকর্ড
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ হারিসকে হারায় রাজশাহী। এরপর চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে ৮ বল মোকাবিলা করে কোনো রান না করেই জিসান আলম আউট হলে ইয়াসির আলী রাব্বিকে নিয়ে রানরেটের দিকে খেয়াল রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন এনামুল হক বিজয়।
দশম ওভারের প্রথম বলে ২০ বলে ২২ রান করে দলীয় ৭৩ রানের মাথায় ইয়াসির ফিরে গেলে রায়ান বার্লকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন বিজয়। ৩৩ বলে তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চারে ৫৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটার। অপরপ্রান্তে ৪৬ বলে তিনটি ছক্কা ও ৯টি চার মেরে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন বিজয়। ফলে ১১ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বড় জয় পায় রাজশাহী।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটাররা ১৯৭ রানের পুঁজি এনে দেওয়ার পর বোলাররা ফরচুন বরিশালের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিলেও হেরে যায় রাজশাহী। তবে বোলিং-ব্যাটিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে আজ জয়ে ফিরেছে দলটি।
আরও পড়ুন:
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা ক্যাপিটালস: ১৭৪/৯ (দিপু ৫০, এসকিনাজি ৪৬, শুভম ২৪; তাসকিন ৭/১৯)।
দুর্বার রাজশাহী: ১৭৯/৩ (১৮.১ ওভার) (বিজয় ৭৩*, বার্ল ৫৫*, রাব্বি ২২; মোস্তাফিজ ১/৩৩, বাবু ১/৩৫)।
ফলাফল: দুর্বার রাজশাহী ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তাসকিন আহমেদ।
৩৪৭ দিন আগে
বিপিএলে ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের বিশ্বরেকর্ড
চলমান বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করে রেকর্ড বইয়ের একাধিক জায়গায় স্থান করে নিয়েছেন দুর্বার রাজশাহীর পেসার তাসকিন আহমেদ। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একাই সাত উইকেট নিয়ে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার, ঘরোয়া, এমনকি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও অনন্য উচ্চতায় উঠেছেন এই বাংলাদেশি পেসার।
ইনিংস শেষে ঢাকা ক্যাপিটালসের স্কোরবোর্ডে ১৭৪ রান যুক্ত হলেও তাসকিনের বোলিং বিশ্লেষণ ৪-০-১৯-৭।
বাংলাদেশের কোনো বোলারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স এটিই। এছাড়া বিপিএলের ইতিহাসেও এটি সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
বিপিএলে এর আগে সেরা বোলিং ছিল মোহাম্মদ আমিরের। ২০২০ সালে খুলনা টাইগার্সের হয়ে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ১৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই পাকিস্তানি পেসার। আর বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে বিপিএলে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি এতদিন ছিল রংপুর রাইডার্সের হয়ে আবু হায়দারের (৫/১২)।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিপিএলের টিকিট বুথে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর
ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে আজ বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন ডানহাতি এই পেসার। আন্তর্জাতিক ও যেকোনো ধরনের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন তিনি।
গত বছর চীনের বিপক্ষে ৮ রান খরচায় ৭ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েন মালেয়েশিয়ার পেসার সিয়াজরুল ইদ্রুস। তার আগে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে লেস্টারশায়ারের হয়ে বার্মিংহ্যাম বিয়ার্সের বিপক্ষে ১৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন কলিন আকারম্যান।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল সাকিব আল হাসানের। ২০১৩ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
৩৪৭ দিন আগে
মিরপুরে বিপিএলের টিকিট বুথে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী দিনই টিকিট পেতে মিরপুরে স্টেডিয়ামের গেটে ভাঙচুর চালিয়েছিল বিক্ষুব্ধ দর্শকরা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আজ আবারও উত্তপ্ত হয়েছে মিরপুরের পরিস্থিতি।
টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) একটি টিকিট বুথে আগুন দিয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে সুইমিংপুলের ২ নম্বর গেটে এ ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা স্টেডিয়ামের ৫ নম্বর গেটে চলে যায়।
শুধু তাই নয়, সুইমিংপুল কমপ্লেক্সে ভাঙচুরও চালিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকরা। দর্শকদের ক্ষোভ, টিকিটের দাম অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত বোলিংয়ে সিলেটকে হারিয়ে রংপুরের দুইয়ে দুই
জানা যায়, অনলাইনে যাঁরা টিকিট কাটতে পারছেন না, তাদের জন্যই মূলত টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল এই বুথ থেকে। সকাল থেকে টিকিটের জন্য আগে থেকে নির্ধারিত মিরপুরের সুইমিং কমপ্লেক্সে অপেক্ষা করছিলেন দর্শকরা। তবে সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাঁশের বেড়া ধাক্কাতে থাকেন দর্শকরা। পরে গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বুথে ভাঙচুর চালান দর্শকরা। একপর্যায়ে সেখানে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা।
এবারের বিপিএলের টিকিট অনলাইন থেকেই কেনা যাচ্ছে। অনলাইন ক্রেতাদের জন্য অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া মধুমতি ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা থেকেও সংগ্রহ করা যাচ্ছে টিকিট। তবে গত ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে থাকায় বুথ থেকে টিকিট ক্রয়ের ব্যবস্থা রেখেছিল বিসিবি।
৩৪৭ দিন আগে
দুর্দান্ত বোলিংয়ে সিলেটকে হারিয়ে রংপুরের দুইয়ে দুই
টি-টোয়েন্টিতে ১৫৫ রানের পুঁজি বেশি বড় না হলেও বোলারদের নৈপুণ্যে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩৪ রানে হারিয়ে বিপিএলের চলতি আসরে টানা দুই জয় তুলে নিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে রংপুর। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান করতে সক্ষম হয় সিলেট।
সিলেটের হয়ে এদিন ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন ওপেনার রনি তালুকদার। এছাড়া জাকের আলী ২৪ (৩৩ বলে) ও জাকির হাসান ১৮ (১২ বলে) রান করেন। বাকি ব্যাটারদের কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ইফতিখার-সোহানের ব্যাটে রংপুরের লড়াকু পুঁজি
এদিকে, নির্ধারিত চার ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে সিলেটের টপ-অর্ডার ধসিয়ে দেন নাহিদ রানা। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন খুশদিল শাহ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এদিন ১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ওপেনার জর্জ মুনসিকে হারায় সিলেট। মাত্র দুই রান করে কামরুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে তিনি প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে জাকির হোসেনের সঙ্গে বিপদ কাটিয়ে ওঠার আভাস দিয়েছিলেন রনি। ভালো রেটে রান তুলতে থাকেন তারা। কিন্তু পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই জাকিরকে বোল্ড করেন নাহিদ। ওই ওভারের শেষ বলে নাহিদের গতিতে পরাস্ত হয়ে ফিরতে হয় ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলা পল স্টার্লিংকে। ফলে ৫ ওভারে ৪৩ রান তুললেও তিন উইকেট হারায় সিলেট।
এরপর রনি ও জাকের মিলে ৪৮ রানের জুটি গড়লেও রানের চাকা এ সময় একেবারেই শ্লথ হয়ে যায়। দুজনে ৫৬ বলে ওই রান সংগ্রহ করেন। পরে ১৫তম ওভারের প্রথম দুই বলে রনি (৪১) ও অধিনায়ক আরিফুলকে (০) খুশদিল সাজঘরে ফেরালে ৯১ রানের মাথায় পাঁচ উইকেট হারায় সিলেট।
পরের ওভারে নাহিদ আরেক সেট ব্যাটার জাকের আলীকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে দিলে বাকি ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মাঝে রংপুরের জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান তুলতে সমর্থ হয় সিলেট, আর ৩৪ রানে জেতে রংপুর।
আরও পড়ুন: চিটাগংকে হারিয়ে বিপিএল অভিযান শুরু খুলনার
এর আগে, ইফতিখার-সোহানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে রংপুর। দলের হয়ে অপরাজিত সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ। ৪২ বলে একটি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া ২৪ বলে দুটি ছক্কা ও চারটি চার মেরে ৪১ রান করেন অধিনায়ক সোহান।
সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন তানজিম সাকিব ও আল-আমিন হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স: ১৫৫/৬ (ইফতিখার ৪৭*, সোহান ৪১, খুশদিল ২১; তানজিম সাকিব ২/২৭, আল-আমিন ২/৩১)।
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১২১/৯ (রনি ৪১, জাকের ২৪, জাকির ১৮; নাহিদ ৪/২৭, খুশদিল ২/১০, সাইফউদ্দিন ২/১৮)।
ফলাফল: রংপুর ৩৪ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাহিদ রানা।
৩৪৯ দিন আগে