ফুটবল
ইন্টারকে বিধ্বস্ত করে অবশেষে ইউরোপ সেরার মুকুট পরল পিএসজি
কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে একের পর এক মহাতারকা দলে ভিড়িয়ে কত চেষ্টাই না করে এসেছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু কেউই ক্লাবটির স্বপ্নপূরণের সারথী হতে পারেননি। তবে অবশেষে হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালার মতো এক জাদুকরী কোচের অধীনে অধরা ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরার সুযোগ হলো পিএসজির।
শনিবার রাত জেগে যারা খেলা দেখেছেন, তার নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, কী বলা হচ্ছে। হ্যাঁ, অবশেষে ক্লাব প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫৫ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে প্যারিসের দলটি।
আনহেল দি মারিয়া, এদিনসন কাভানি, নেইমার, এমবাপ্পে, মেসি—কেউই দলটিকে যা এনে দিতে পারেননি, তারুণ্যনির্ভর এক দল গড়ে অসাধারণ কৌশল আর দলীয় পারফরম্যান্সে সেই বাজিমাত করলেন কোচ লুইস এনরিকে। আর এমনভাবেই জিতেছেন, যা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।
শনিবার (৩১ মে) রাতে মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনা স্টেডিয়ামে সিমিওনে ইনজাগির ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে এনরিকের পিএসজি।
এত বড় ব্যবধানের জয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে কেউ কখনও পায়নি। এর আগে চার গোলের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল জেতার রেকর্ড আছে চারটি। ১৯৬০ সালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ ৭-৩ গোলে, ১৯৭৪ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখ ৪-০ গোলে, ১৯৮৯ সালে এফসিএসবির বিপক্ষে এসি মিলান ৪-০ গোলে এবং ১৯৯৪ সালে বার্সেলোনার বিপক্ষে আবারও এসি মিলান ৪-০ গোলে জিতেছিল। তবে সেসব টপকে রেকর্ডটি এবার নিজেদের করে নিয়েছে পিএসজি।
বেশ কিছুটা নিষ্প্রভ ইন্টার মিলানকে এদিন ম্যাচের শুরুর ২০ মিনিটেই দুই গোল দিয়ে এগিয়ে যায় পিএসজি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩, ৭৩ ও ৮৬তম মিনিটে বাকি তিনটি গোল হলে উৎসবে মাতে প্যারিস আর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা দলটির সমর্থকরা।
স্বপ্নের ফাইনাল জয়ের রাতে গোল না পেলেও দুটি অ্যাসিস্ট করেছেন চলতি মৌসুমে পিএসজির জার্সিতে আলো ছড়ানো উসমান দেম্বেলে। আর দুই গোল ও একটি অ্যাসিস্টসহ মোট তিনটি গোলে অবদান রেখে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়েছেন প্যারিসের দলটির ১৯ বছর বয়সী উইঙ্গার দেজিরে দুয়ে। এ ছাড়াও আশরাফ হাকিমি, কিভিচা কেভারাস্টখেলিয়া ও শেষ দিকে নামা আরেক তরুণ সেনি মায়ুলু করেছেন একটি করে গোল।
১৯৮ দিন আগে
নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার বার্সেলোনার
কাগজে-কলমে রিয়াল মাদ্রিদের শিরোপাস্বপ্ন টিকে থাকলেও প্রায় অসম্ভব সমীকরণ মেলাতে হতো দলটির; নিজেদের অবশিষ্ট তিন ম্যাচ জয় এবং বার্সেলোনার তিনটি ম্যাচই হারতে হতো। এ ক্ষেত্রে রিয়াল প্রথম ম্যাচটি জিতলেও নিজেদের ম্যাচ জিতে সব হিসাব চুকিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। এতে করে ২৮তম লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
এক মৌসুম পর শিরোপা পুনরুদ্ধারে তিন ম্যাচে মাত্র দুই পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল বার্সেলোনার। তবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলকে ২-০ গোলে হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে কাতালান জায়ান্টরা।
কাতালুনিয়া ডার্বিতে এদিন পূর্ণ শক্তি নিয়েই নেমেছিল বার্সেলোনা। অপরদিকে, ম্যাচের আগে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে দেওয়া এস্পানিওল কোচের কণ্ঠে বার্সাকেও হারানোর প্রত্যয় ঝরেছিল।
ম্যাচের প্রথমার্ধ অবশ্য ঠিকঠাক খেলে লামিন-রাফিনিয়াদের আটকে রাখে এস্পানিওল। তবে বিরতির পর আর দলটিকে রুখতে পারেনি তারা। ৫৩তম মিনিটে লামিনের বাঁ পায়ের কারিকুরিতে পরাস্ত হয় দলটির রক্ষণভাগ। নির্ধারিত সময়ের দশ মিনিট আগে বার্সেলোনার এই বিস্ময়বালককে অযথা ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্বাগতিকদের ডিফেন্ডার লেয়ান্দ্রো কাবরেরা। পরে যোগ করা সাত মিনিটের পঞ্চম মিনিটে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করার গোলটি করেন দুর্দান্ত ফেরমিন লোপেস।
আরও পড়ুন: রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
এই জয়ে ৩৬ ম্যাচে ২৭ জয় ও চার ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হয়েছে ৮৫। আর সমান ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৭৮। ফলে দুই ম্যাচে রিয়াল পূর্ণ ছয় পয়েন্ট এবং বার্সেলোনা দুটিই হারলেও তাদের ধরা সম্ভব হবে না গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
এদিকে, হেরে অবনমনের শঙ্কা বেড়েছে এস্পানিওলের। টেবিলের ১৬তম স্থানে থাকলেও অবনমন অঞ্চল থেকে মাত্র পাঁচ পয়েন্ট দূরে আছে দলটি। ফলে পরের দুই ম্যাচের অন্তত একটিতে জিততেই হবে মানোলো গন্সালেসের শিষ্যদের।
২০২২-২৩ মৌসুমেও এস্পানিওলের এই মাঠ থেকেই শিরোপা নিশ্চিত করেছিল বার্সেলোনা। সেবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে জিতে শিরোপা উদযাপন করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হয় দলটিকে। এবারও বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা যাতে মাঠে উদযাপন করতে না পারে, সে লক্ষ্যে শেষের বাঁশি বাজতেই মাঠের পানির স্প্রেগুলো চালু করে দেওয়া হয়। আর হান্সি ফ্লিকও ছিলেন সতর্ক। খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিষ্যদের ড্রেসিং রুমে ডেকে নেন তিনি।
২১৩ দিন আগে
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক ম্লান করে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোও জিতল বার্সেলোনা
রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-২, ৫-২ ও ৩-২ গোলে তিনটি ম্যাচ হারিয়ে আগেই দুটি শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিল বার্সেলোনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের এবার ৪-৩ গোলে হারিয়ে মৌসুমের সবগুলো এল ক্লাসিকো জিতে নিল কাতালান জায়ান্টরা। সেইসঙ্গে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ের বন্দরে প্রায় নোঙর করেই ফেলেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
ক্যাম্প ন্যুতে রবিবার লা লিগার দ্বিতীয় ও মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোতে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের শুরুতে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও ৪-৩ গোলে হেরে গেছে মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
এই জয়ে লিগের আর মাত্র তিন ম্যাচ বাকি থাকতে দুইয়ে থাকা রিয়ালের চেয়ে ৭ পয়েন্ট এগিয়ে গেছে বার্সেলোনা। ৩৫ ম্যাচে ২৬ জয় ও চার ড্রয়ে তাদের সংগ্রহ ৮২ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
লিগ শিরোপা জয়ের জন্য কাতালানদের আর দরকার দুই পয়েন্ট। আগামী বৃহস্পতিবার রাতে কাতালুনিয়া ডার্বিতে এস্পানিওলের মাঠে খেলতে যাবে ফ্লিকের দল। টেবিলের চতুর্দশ স্থানে থাকা নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ওই ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলবে তারা।
এদিন রিয়াল মাদ্রিদের তিন গোলের তিনটিই করেছেন এমবাপ্পে। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে একমাত্র ৮ বা তার বেশি রেটিংয়ের পারফরম্যান্স দিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি (৮.৮)। বার্সেলোনার দলীয় পারফরম্যান্সের সামনে বৃথা গেছে তার হ্যাটট্রিক।
অবশ্য দল না জিতলেও ব্যক্তিগত একাধিক অর্জন হয়েছে এই ফরাসি তারকার। রিয়ালের জার্সিতে প্রথম মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ৩৮টি গোল করে ফেলেছেন এমবাপ্পে, অভিষেক মৌসুমে যা রিয়াল মাদ্রিদের কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ। এই রেকর্ড গড়তে গিয়ে ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ইভান জামোরানোর ৩৭ গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন এমবাপ্পে। এমনকি হাতে আরও তিনটি ম্যাচ থাকায় এই রিকর্ডটি তিনি আরও উচ্চতায় তুলতে পারেন।
এছাড়া লা লিগায় ২৫ গোল নিয়ে ম্যাচ শুরু করা এমবাপ্পের লিগে গোল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮টিতে। চলতি মৌসুমের পিচিচি ট্রফিরে দৌড়ে বার্সেলোনার রবের্ট লেভানডোভস্কিকে (২৬) পেছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচের শুরুতেই এদিন রক্ষণের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ, আর তা থেকে সফরকারীদের এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। চতুর্থ মিনিটে বল নিয়ে বক্সের ঢোকার আগে কুবারসিকে পরাস্ত করে এগিয়ে যান এমবাপ্পে, এরপর স্টান্সনি এগিয়ে গিয়ে এমবাপ্পের পা থেকে ঝাঁপিয়ে বল কাড়তে গিয়ে তাকে ফাউল করে বসেন। এরপর ভিএআর রিভিউ শেষে ষষ্ঠ মিনিটে সফল স্পট কিক থেকে রিয়ালকে লিড এনে দেন এই ফরাসি তারকা।
চতুর্দশ মিনিটে বার্সার হাইলাইন ডিফেন্স ভেঙে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকার। গোল খেয়ে অবশ্য মাঝমাঠ থেকে লামিনকে ফাউল করে বল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছিল বার্সেলোনা, তবে রিভিউতে তাদের সে আবেদন জোর পায়নি।
এর পাঁচ মিনিট পর এরিক গার্সিয়ার গোলে ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। এ সময় বক্সের মধ্যে আসা ক্রসে প্রথমে মাথা দিয়ে বল গোলপোস্টের মাঝ বরাবর পাঠান ফেররান, তাতে সফল হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন এরিক।
এরপর ৩২তম মিনিটে লামিন ইয়ামাল ও ৩৪তম মিনিটে রাফিনিয়ার গোল প্রথমোর্ধেই রিয়ালকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য এমবাপ্পের আরও এক গোলে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল দলটি। তবে তা ম্যাচ জিতে লিগে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
একেবারে শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনার পক্ষে পঞ্চম গোলটি করেন ফেরমিন লোপেস। তবে অফসাইডে গোলটি কাটা পড়লে ৪-৩ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।
এর মাধ্যমে গত সপ্তাহে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়া বার্সেলোনার ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ মিলেছে। সেইসঙ্গে লা লিগা জয়ের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
২১৮ দিন আগে
আবারও হেরে আর্সেনালের বিদায়, ইন্টার-পিএসজি ফাইনাল
ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর পিএসজির মাঠে খেলতে গিয়েছিল আর্সেনাল। এই ম্যাচে তাই শুধু জিতলেই হতো না, অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হতো মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের। তবে জেতা তো দূর, উল্টো আরও একবার হেরে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে গানারদের। আর দুই লেগের সেমিফাইনালের দুটিই জিতে ফাইনালে উঠেছে পিএসজি।
বুধবার রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। এর ফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-১ এ।
প্রথম লেগে একমাত্র গোলটি করা উসমান দেম্বেলেকে বেঞ্চে রেখে এদিন একাদশ সাজান পিএসজি বস লুইস এনরিকে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের মাঠে তাদের সমর্থকদের সামনেও স্বাগতিকদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে আর্সেনাল। কিন্তু ২৭তম মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শটে পিএসজিকে এগিয়ে নেন দলটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইস।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯তম মিনিটে একটি পেনাল্টি পেয়েছিল দলটি, তবে ভিতিনিয়ার দুর্বল শট ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে ধরে রাখেন আর্সেনাল গোলরক্ষক দাভিদ রায়া। এর তিন মিনিট পরই অবশ্য ব্যবধান আরও বাড়ান আচরাফ হাকিমি।
৭৬তম মিনিটে চকিতে আক্রমণে উঠে একটি গোল পরিশোধ করেন আর্সেনালের বুকায়ো সাকা। তার কিছুক্ষণ পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। এরপর আর কোনোপাশেই গোল হয়নি।
আরও পড়ুন: সাত গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার
ফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে এনরিকের শিষ্যরা। এর মাধ্যমে পাঁচ বছর পর ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল লে পারিসিয়েনরা। ২০২০ সালে ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলে পিএসজি। সেবার বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে হৃদয় ভাঙে তাদের।
পিএসজির এবারের প্রতিপক্ষ আগের রাতে বার্সেলোনাকে বিদায় করা ইন্টার মিলান। এবারের আসরের ফাইনালের ভেন্যু আবার আলিয়ান্স আরেনা। বায়ার্নের মাঠ থেকে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতে পিএসজি তাদের দুঃখ ঘোচাতে পারবে কি না, তা সময় বলে দেবে।
আগামী ৩১ মে ইউরোপ-সেরার এই লড়াইয়ের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে গতবারের ইতালি ও ফ্রান্স চ্যাম্পিয়নরা।
২২২ দিন আগে
সাত গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার
এ যেন ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল। অবিশ্বাস্য লড়াই, নাটকীয় পালাবদল আর চরম এক কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপহার দিল ইন্টার মিলান ও বার্সেলোনা। দিনশেষে এক দল জয়োল্লাস করে ফাইনালে উঠলেও অন্য দলও তাই মাঠ ছেড়েছে মাথা উঁচু করেই।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে সিমোনে ইনজাগির দল।
এদিন আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, ইন্টারের শক্তিধর খেলোয়াড়দের ক্ষিপ্রগতির ফুটবল আর বার্সেলোনার মেধাবী তরুণদের পায়ের কারিকুরিতে পুরো ম্যাচজুড়েই ফুটবলের সত্যিকারের নির্যাস উপভোগ করার সুযোগ হয় দর্শকদের।
তবে বার্সেলোনার মাঠ থেকে ৩-৩ গোলে ড্র করে আসা ইন্টার নিজেদের মাঠে এদিন প্রথমার্ধে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ম্যাচের ২১তম মিনিটে লাউতারো মার্তিনেস এবং বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে পেনাল্টি থেকে হাকান চালানোলু দ্বিতীয় গোল করলে বেশ সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি করেই ড্রেসিংরুমে যায় স্বাগতিকরা।
তবে বিরতির পর পরপর দুই গোল করে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে বার্সেলোনা। ৫৪তম মিনিটে এরিক গার্সিয়ার চকিতে করা গোল এবং তার ছয় মিনিট পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরান দানি অলমো।
এরপর ৬৯তম মিনিটে বার্সেলোনাকে একটি পেনাল্টি দিয়েও রিভিউ করে তা বাতিল করে দেন রেফারি। তবে নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে তৃতীয় গোলটি করে দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনাকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
শেষ মুহূর্তে রাফিনিয়ার ওই গোলে বার্সেলোনা যখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে, তার মধ্যেই যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফ্রান্সেসকো আচেরবির গোলে নাটকীয়ভাবে সমতায় ফেরে ইন্টার। ফলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা।
অতিরিক্ত সময়ে প্রথমার্ধেই ৯৯তম মিনিটে আরও একটি গোল করে স্বাগতিকদের ফের লিড এনে দেন দাভিদে ফ্রাত্তেসি। এরপর থেকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত দলটির ওপর আক্রমণের বুলডুজার চালায় বার্সেলোনা। বেশ কয়েকটি অসাধারণ সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তার কয়েকটি গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে ও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং অসাধারণ নৈপুণ্যে আরও কয়েকটি ঠেকিয়ে দেন ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান জমার। ফলে আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েও শেষ পর্যন্ত হার মেনে মাঠ ছাড়তে হয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের।
এর ফলে ছয় বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেও বিদায় নিতে হলো কাতালান জায়ান্টদের। এর সঙ্গে দলটির কোয়াড্রাপল জয়ের স্বপ্নও ধূলিস্যাৎ হয়ে গেল।
বুধবার অপর সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে পিএসজির মাঠে খেলতে নামবে আর্সেনাল। ঘরের মাঠে দলটির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল মিকেল আর্তেতার দল। ফলে ফাইনালের টিকিট কাটতে প্রতিপক্ষের মাঠে বিশেষ কিছু করে দেখাতে হবে দলটির।
২২৩ দিন আগে
সেল্তার বিপক্ষে রদ্রিগোকেও পাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদ
লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, স্প্যানিশ ও উয়েফা সুপার কাপ—গত মৌসুমে চারটি শিরোপা জেতা রিয়াল মাদ্রিদ এবার দুঃস্বপ্নের এক মৌসুম কাটাচ্ছে। সব হাতছাড়া হয়ে এখন পর্যন্ত কেবল লা লিগার শিরোপার দৌড়েই টিকে আছে দলটি। তবে মৌসুমের শেষে এসে চোটে জেরবার হয়ে সেই আশাও ফিকে হয়ে যেতে বসেছে তাদের।
লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের আর পাঁচ ম্যাচ খেলা বাকি। এর মাঝে গতরাতে নিজেদের ৩৪তম রাউন্ডের ম্যাচটি খেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে সাত পয়েন্টে। ফলে নিজেদের বাকি ম্যাচগুলোতে হারা তো দূর, পয়েন্ট খোয়ালেই শিরোপাস্বপ্ন ভেস্তে যেতে পারে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ (রবিবার) সন্ধ্যা ৬টায় সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে মাঠে নামছেন ভিনিসিয়ুস-এমবাপ্পেরা। তবে ভয়ডরহীন ফুটবল উপহার দেওয়া সেল্তার বিপক্ষে স্কোয়াডে খুব বেশি গভীরতা পাচ্ছেন না আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচটি জিতে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
গত সপ্তাহে এল ক্লাসিকো ফাইনাল হেরে বার্সেলোনার কাছে কোপা দেল রের শিরোপা হাতছাড়া হয় রিয়ালের। ওই ম্যাচে চোটে পড়েন দলটির লেফটব্যাক ফেরলন্দ মদিঁ। এছাড়া ৬ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আন্টোনিও রুয়েডিগার সময়টি কাজে লাগাতে পায়ে অস্ত্রোপচার করেছেন।
তার আগে থেকেই অবশ্য রিয়ালের স্কোয়াডে অনুপস্থিত ডাভিড আলাবা ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। আর দানি কারভাহাল ও এদের মিলিতাও তো পুরো মৌসুমের জন্যই ছিটকে গেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে এবার রদ্রিগোকে হারালেন আনচেলত্তি। তবে চোট নয়, মূলত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।
মুন্দো দেপর্তিভোর খবরে বলা হয়েছে, ঠান্ডা-জ্বরে ভুগছেন রদ্রিগো। ম্যাচের আগে সতীর্থদের মাঝে যাতে ফ্লু ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তাই দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি তিনি। এ সময় বাড়িতে থেকেই বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাকে। আর এ কারণেই তাকে স্কোয়াডে রাখেননি আনচেলত্তি।
শিষ্যদের চোটের কারণে চলতি মৌসুম বারবার একাদশ সাজানো নিয়ে ভুগতে হয়েছে রিয়াল কোচকে। সেল্তার বিপক্ষে আরও একবার সেই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে তাকে।
কেমন হবে একাদশ
এই মুহূর্তে দলটিতে মাত্র তিনজন ডিফেন্ডার সুস্থ ও খেলার উপযোগী রয়েছেন। লুকাস ভাসকেস, রাউল আসেন্সিও ও ফ্রান গার্সিয়ার সঙ্গে তাই আরও একবার অরেলিয়েঁ চুয়ামেনিকে রক্ষণ সামলাতে হবে।
বেলিংহ্যামকে ফলস নাইন পজিশনে রেখে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে দল সাজাতে পারেন আনচেলত্তি। মাঝমাঠে ফেদেরিকো ভালভের্দে নিয়মিত মুখ হলেও দানি সেবায়োস ও লুকা মদ্রিচ একটি স্পটের জন্য প্রতিযোগিতা করে থাকেন।
আক্রমণভাগে রদ্রিগোর অনুপস্থিতিতে কপাল খুলতে পারে ব্রাহিম দিয়াসের। আবার সম্প্রতি মাঠে আলো ছড়ানো আর্দা গুলেরকেও সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এছাড়া ভিনিসিয়ুস ও এমবাপ্পে তো থাকবেনই।
সম্ভাব্য একাদশ: কোর্তোয়া, ভাসকেস, চুয়ামেনি, আসেন্সিও, ফ্রান গার্সিয়া, ভালভের্দে, মদ্রিচ/সেবায়োস, ব্রাহিম দিয়াস/গুলের, বেলিংহ্যাম, ভিনিসিয়ুস ও এমবাপ্পে।
২২৫ দিন আগে
পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচটি জিতে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
বেঞ্চের ফুটবলারদের ঝালিয়ে নিতে নিয়মিত একাদশের নয়জন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে শিষ্যদের মাঠে নামিয়েছিলেন হান্সি ফ্লিক। তবে শুরুতেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল তার দল। পরে কয়েকটি পরিবর্তন এনে বার্সেলোনাকে ম্যাচটি জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছের তিনি।
শনিবার রাতে লা লিগায় নিজেদের ৩৪তম রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে নামে রিয়াল ভায়াদোলিদ ও বার্সেলোনা। সবশেষ ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলা একাদশের ৯ জনকেই এদিন বিশ্রাম দেন ফ্লিক। ওই একাদশ থেকে মাঠে নামেন কেবল পেদ্রি ও জেরার্দ মার্তিন।
তবে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই গোল করে ঘরের মাঠে সমর্থকদের আনন্দের উপলক্ষ এনে দেয় ইতোমধ্যে দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন নিশ্চিত করে ফেলা ভায়াদোলিদ। এরপর প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতেও সক্ষম হয় দলটি।
৩৮তম মিনিটে এই ম্যাচ দিয়ে বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষিক্ত দানি রদ্রিগেস চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে খেলতে নামেন লামিন ইয়ামাল। আর তাতে কাতালানদের আক্রমণে ধার বাড়ে। পরে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করার সময় পেদ্রি ও আনসু ফাতিকে বসিয়ে রেখে যথাক্রমে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং ও রাফিনিয়াকে মাঠে নামান ফ্লিক।
এরপর সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি সফরকারীরা। ৫৪তম মিনিটেই রাফিনিয়ার গোলে সমতায় ফেরে তারা। এর সাত মিনিট পর ফেরমিন লোপেসের একটি ব্যাঙ্গারে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন: অগ্নিঝরা ফাইনাল জিতে কোপা দেল রের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল বার্সেলোনা
পরে অবশ্য আরও কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা মেলেনি দলটির। এছাড়া চোট থেকে সেরে উঠে ২২৪ দিন পর মাঠে নামা বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন পরে আর ভুল না করে বরং তিনটি অসাধারণ সেভ করলে ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে ২৫ জয় ও ৪ ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে থাকা বার্সেলোনা নিজেদের পয়েন্ট ৭৯-তে উন্নীত করেছে, আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান আবারও বাড়িয়ে নিয়েছে সাত পয়েন্টে।
নিজেদের ৩৪তম রাউন্ডের ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদ খেলবে রবিবার। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় সেল্তা ভিগোকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আতিথ্য দেবে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
পরের সপ্তাহে লিগে মৌসুমের দ্বিতীয় ও শেষ এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার মাঠে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। ওই ম্যাচটিই লা লিগার চলতি আসরের ভাগ্য গড়ে দেবে বলে ফুটবল পাড়ায় জোর আলোচনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিরে আসা কাকে বলে, দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা
২২৬ দিন আগে
আনচেলত্তিকে নতুন করে সময় বেঁধে দিল ব্রাজিল
ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা পাকাপাকি হয়ে যাওয়ার পরও কার্লো আনচেলত্তির সেই চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পথে; রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে আর্থিক বিষয় নিয়ে জটিলতার কারণেই ব্রাজিলকে দেওয়া কথা তিনি রাখতে পারছেন না বলে একাধিক ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। তবে নতুন খবর হলো, এই ইতালিয়ান কোচকে পাওয়ার আশা নাকি এখনও ছাড়েনি লাতিন আমেরিকার দেশটি।
সূত্রের বরাত দিয়ে এসপিএন জানিয়েছে, লা লিগার চলতি মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত আনচেলত্তির জন্য অপেক্ষা করতে চায় ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)।
লা লিগায় মাত্র পাঁচটি ম্যাচ বাকি রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। এই মুহূর্তে টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে চার পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে রয়েছে আনচেলত্তির দল। এর মাঝে আগামী ১১ মে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোয় মুখোমুখি হবে দলদুটি। আগামী ২৪ বা ২৫ মে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে শেষ লিগ ম্যাচ খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। ওই ম্যাচসহ বাকি ম্যাচগুলো জিততে পারলে হিসাব উল্টেও দিতে পারে মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
এমন বাস্তবতায় আগামী ২৬ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে বলে আনচেলত্তিকে জানিয়ে দিয়েছে সিবিএফ। তবে রিয়াল মাদ্রিদ শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়বে কি না, সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ফেডারেশন বিকল্পও ভেবে রেখেছে।
সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালের কোচ হোর্গে হেসুস ও ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসের কোচ আবেল ফেরেইরা তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে বলে ইএসপিএনের খবরে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ‘নিয়ে ফেলেছেন’ আনচেলত্তি
এর আগে, গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে চরম উত্তেজনাপূর্ণ এল ক্লাসিকো ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে ৩-২ গোলে হেরে কোপা দেল রের শিরোপা হাতছাড়া হয় রিয়াল মাদ্রিদের। তার আগে গত ১৬ এপ্রিল আর্সেনালের কাছে দ্বিতীয়বার হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয় গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
এছাড়া বার্সেলোনার কাছেই স্প্যানিশ সুপার কাপ খোয়ানোর পর লা লিগায়ও খুব বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে নেই আনচেলত্তির দল। তাছাড়া একের পর এক দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় চোটে পড়ায় লা লিগা শিরোপা ধরে রাখা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে রিয়ালের। এর ফলে শিরোপাহীন এক মৌসুম কাটানোর আশঙ্কায় ভুগছে ইউরোপের অত্যন্ত প্রভাবশালী এই ক্লাবটি।
একের পর এক শিরোপা হাতছাড়া হওয়ায় পুরো মৌসুমজুড়ে মাঝেমধ্যেই রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে আনচেলত্তির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার রাতেই তিনি তাৎক্ষণিক বরখাস্ত হতে পারেন বলে গুঞ্জন ওঠে। তেমন কিছু হলে সবসময় তৈরি আছেন বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন আনচেলত্তি। তবে কোপা দেল রের ফাইনাল পর্যন্ত দেখার অপেক্ষায় ছিল সবাই। এমনকি এই ট্রফিটি জিততে পারলে চুক্তির বাকি সময়টুকুও, অর্থাৎ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত তিনি রিয়ালে টিকে যেতে পারেন বলে সমালোচক মহলে আলোচিত হয়। কিন্তু হতাশাজনক হারে সব হিসাব পাল্টে যায়।
এর মাঝে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) খবর চাউর হয় যে, বরখাস্ত হওয়া তো পরের কথা, তিনি নিজেই নাকি রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এমনকি রিয়াল কর্তৃপক্ষকে তিনি তার সিদ্ধান্তের ব্যাপারেও নাকি জানিয়ে দিয়েছিলেন।
তবে দুদিন পর ফের নাটকে আসে নতুন মোড়। জানা যায়, রিয়ালকে চুক্তির বাকি মেয়াদের অর্থ পরিশোধ করার কথা বলেছিলেন আনচেলত্তি। তবে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান ক্লাবটির সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস। এমনকি চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আনচেলত্তিকে দলে ভেড়াতে চাইলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে সিবিএফকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে বলেও জানানো হয় এই কোচকে।
এই জটিলতায় আনচেলত্তির ব্রাজিলে যাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। সিবিএফ অবশ্য আগেই জানিয়েছিল যে, জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের আগে যদি আনচেলত্তি ব্রাজিলে যেতে না পারেন, তবে বিকল্প পদক্ষেপ নেবে তারা।
তবে দীর্ঘদিন ধরে এই ইতালীয় কোচকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্রাজিলের। শেষে এসে সহজেই তাই হাল ছেড়ে দিতে চায়নি কর্তৃপক্ষ। তাই ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ডাগআউটে তাকেই দেখার সাধ পূরণের লক্ষ্যে শেষ আরও একটি সুযোগ দিল ফেডারেশন।
২২৭ দিন আগে
ইউরোপা-কনফারেন্স লিগে ইংলিশ ক্লাবগুলোর জয়জয়কার
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির কাছে আর্সেনালের হারতে হলেও উয়েফার অপর দুই টুর্মামেন্টের শেষ চারে ভালো করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো। গত রাতে ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগে খেলা তিন ইংলিশ ক্লাবের তিনটিই পেয়েছে বড় জয়ের দেখা।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষের জন্য স্পেনের অন্যতম প্রতিকূল স্টেডিয়াম সান মামেসে খেলতে নেমেছিল চলতি মৌসুমে নিদারুণ ভুগতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে মাঠে নেমেই পুরনো চেহারায় ফেরে দলটি। আর তাতে করে আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে তুলে নেয় ৩-০ গোলের দারুণ এক জয়।
অথচ প্রিমিয়ার লিগে এই দলটিই সবশেষ পাঁচ ম্যাচ জয়বঞ্চিত। এই সময়ে মাত্র দুটি ম্যাচ ড্র করে দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে রুবেন আমোরিমের দল।
বিলবাও ডিফেন্ডার দানি ভিভিয়ান ম্যাচের ৩৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের দলে পরিণত হয় এর্নেস্তো ভালভের্দের দল। তার পাঁচ মিনিট আগেই অবশ্য কাসেমিরোর গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। এরপর লাল কার্ডের ওই ফাউল থেকে পাওয়া পেনাল্টি গোলে পরিণত করে দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন ব্রুনো ফের্নান্দেস। বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও একটি গোল করেন এই মিডফিল্ডার। দ্বিতীয়ার্ধে অল-আউট ডিফেন্স খেলে ইউনাইটেডকে আটকে রাখতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ‘নিয়ে ফেলেছেন’ আনচেলত্তি
এখানে ব্রুনো ফের্নান্দেসের কথা বিশেষ করে না বললেই নয়। দল মৌসুমজুড়ে ভুগতে থাকলেও একাই আলো ছড়িয়ে চলেছেন এই পর্তুগিজ। চলতি মৌসুমের সব মিলিয়ে ৫২ ম্যাচ খেলে ১৯ গোল ও ১৮ অ্যাসিস্টসহ মোট ৩৭ গোলে অবদান রেখে ফেলেছেন এরই মধ্যে।
২২৭ দিন আগে
ব্রাজিলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ‘নিয়ে ফেলেছেন’ আনচেলত্তি
চলতি মৌসুমে অসংখ্যবার সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে জেরবার হয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি—রিয়াল মাদ্রিদ থেকে আপনার সরে যাওয়ার বিষয়ে কী বলবেন? মৌসুমের শেষের দিকে এসে একের পর এক ব্যর্থতায় এই প্রশ্নবাণে আরও বেশি বিদ্ধ হতে হচ্ছে এই ইতালিয়ান কোচকে। তবে কোপা দেল রের ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে রিয়ালের হারের পর সিদ্ধান্তটি তিনি নিয়েই ফেলেছেন—আর নয়, সরে যাওয়ার সময় এসেছে।
শনিবার রাতে চরম উত্তেজনাপূর্ণ এল ক্লাসিকো ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে ৩-২ গোলে হেরে কোপা দেল রের শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। তার আগে গত ১৬ এপ্রিল আর্সেনালের কাছে দ্বিতীয়বার হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয় গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
বার্সেলোনার কাছেই স্প্যানিশ সুপার কাপও খোয়ানোর পর লা লিগায়ও খুব বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে নেই আনচেলত্তির দল। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা কাতালানদের চেয়ে চার পয়েন্টে পিছিয়ে দলটি। সামনে আর পাঁচটি ম্যাচ থাকলেও তার একটি আবার রয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে, তাদের মাঠেই। ফলে লিগ জয় বার্সেলোনার জন্য যতটা সহজ এবার, ঠিক ততটাই কঠিন হয়ে পড়েছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের জন্য। আর তাতে করে শিরোপাহীন এক মৌসুম কাটানোর আশঙ্কায় পড়েছে ইউরোপের অত্যন্ত প্রভাবশালী এই ক্লাবটি।
একের পর এক শিরোপা হাতছাড়া হওয়ায় মাঝেমধ্যেই রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে আনচেলত্তির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার রাতেই তিনি তাৎক্ষণিক বরখাস্ত হতে পারেন বলে গুঞ্জন ওঠে। তেমন কিছু হলে সবসময় তৈরি আছেন বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন আনচেলত্তি। তবে কোপা দেল রের ফাইনাল পর্যন্ত দেখার অপেক্ষায় ছিল সবাই। এমনকি এই ট্রফিটি জিততে পারলে চুক্তির বাকি সময়টুকুও, অর্থাৎ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত তিনি রিয়ালে টিকে যেতে পারেন বলে সমালোচক মহলে আলোচিত হয়। কিন্তু হতাশাজনক হারে সব হিসাব উল্টে গেছে।
এর মাঝে খবর এলো, বরখাস্ত হওয়া তো পরের কথা, তিনি নিজেই নাকি রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।
এ বিষয়ে দ্য অ্যাথলেটিকের রিয়াল মাদ্রিদ বিটের সাংবাদিক মারিও কর্তেগানা লিখেছেন, লা লিগার যে পাঁচ ম্যাচের খেলা বাকি, তা সম্পন্ন করেই রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আনচেলত্তি। তার পরবর্তী গন্তব্য ব্রাজিল। জুন মাসের আন্তর্জাতিক বিরতি শুরু হওয়ার আগেই দেশটির জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে চলেছেন তিনি।
আর তা-ই যদি হয়, তাহলে আসন্ন জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে দেখা যাবে না ৬৫ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান কোচকে।
আরও পড়ুন: অগ্নিঝরা ফাইনাল জিতে কোপা দেল রের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল বার্সেলোনা
ব্রাজিলের সঙ্গে আনচেলত্তির সংযোগের এই বিষয়টি অবশ্য একেবারে নতুন নয়। গত দুই বছর ধরে রিয়াল বসকে জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে ব্রাজিল। এ নিয়ে একাধিকবার তার ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো জানিয়েছিলেন, সবশেষ সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আর্সেনালের বিপক্ষে হারের ওই ম্যাচের আগে ব্রাজিলের একজন দূত মাদ্রিদে আসেন। ম্যাচটির পর আনচেলত্তির ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগও করেন তিনি। তবে কোপা দেল রের ফাইনাল সামনে থাকায় তার অপেক্ষা বাড়ে।
দিয়েগো ফের্নান্দেস নামের ওই ব্রাজিলীয় ব্যবসায়ী শনিবার লা কার্তুহা স্টেডিয়ামেও উপস্থিত ছিলেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য অ্যাথলেটিক। এমনকি রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেই আনচেলত্তির সঙ্গে তিনি মিটিং করেছেন বলেও খবরে বলা হয়েছে। আর সেখানেই আনচেলত্তি ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন বলে লিখেছেন কর্তেগানা।
ট্রেনিং গ্রাউন্ড সূত্রের বরাত দিয়ে এই সংবাদিক জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছার কথা ড্রেসিংরুম সদস্যদের জানিয়ে দিয়েছেন রিয়াল বস আনচেলত্তি। আশা করা হচ্ছে, জুন মাসেই তিনি ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেবেন। ফলে এই গ্রীষ্মে অনুষ্ঠিত হতে চলা ক্লাব বিশ্বকাপে তাকে কোচ হিসেবে পাবে না রিয়াল।
এক্ষেত্রে বিকল্প কোচের সন্ধানে নামতে হবে মাদ্রিদ জায়ান্টদের। দলটির সাবেক অধিনায়ক ও বায়ের লেভারকুজেনের বর্তমান কোচ শাবি আলোনসোকে বের্নাবেউতে টানার ইচ্ছার কথা জানা গিয়েছিল গত গ্রীষ্মেই। কিন্তু জার্মান ক্লাবটিতে তার কাজ তখনও শেষ হয়নি জানিয়ে তখন লেভারকুজেনেই থেকে গিয়েছিলেন আলোনসো। আনচেলত্তি যদি সত্যি সত্যিই চলে যান, সেক্ষেত্রে আলোনসো যদি নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার আগে আসতে না পারেন, তবে অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়ালের টাচলাইনে দেখা যেতে পারে রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবল বিভাগের পরিচালক সান্তিয়াগো সোলারিকে। অন্তত স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কাসহ দেশটির একাধিক ক্রীড়া সাংবাদিকের মত তা-ই। ফাব্রিৎসিও রোমানো ও কর্তেগানাও বলছেন একই কথা।
আসন্ন কয়েক ঘণ্টা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। সোমবার ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা আনচেলত্তি ও তার ক্যাম্পের। সেখানেই আনচেলত্তির থাকা-না থাকার বিষয়টির ফয়সালা হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ব্যাপক তোড়জোড় করেও হেরে গেল রিয়াল, সেমিফাইনালে আর্সেনাল
কর্তেগানা বলছেন, মূলত দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়েই রিয়াল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানে আসবেন এই কোচ। এরপরই তিনি ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবেন। এমনকি ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ পর্যন্ত ব্রাজিল ফুটবল দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবেন বলে মৌখিকভাবে সম্মতও নাকি হয়েছেন।
অন্যদিকে, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-১ গোলে হারের পর গত ২৮ মার্চ কোচ দরিভাল জুনিয়রকে বরখাস্ত করে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। তারপর থেকে অভিভাবকহীন রয়েছে দেশটির জাতীয় ফুটবল দল। ফলে জুনের আন্তর্জাতিক বিরতি শুরুর আগে ফেডারেশন যদি আনচেলত্তিকে দায়িত্ব অপর্ণ করতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে বিকল্প নামও ঠিক করে রেখেছে তারা। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ সৌদি ক্লাব আল হিলালের কোচ হোর্গে হেসুস।
পিএসজি ছেড়ে ২০১৩ সালে প্রথমবার রিয়াল মাদ্রিদের হাল ধরেন আনচেলত্তি। ২০১৫ সাল পর্যন্ত বের্নাবেউতে কাটানোর পর বায়ার্ন মিউনিখ-নাপোলি-এভারটন ঘুরে ফের ২০২১ সালে রিয়ালে জিনেদিন জিদানের স্থলাভিষিক্ত হন এই ইতালিয়ান।
দুই দফায় তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, দুটি লা লিগাসহ রিয়ালকে মোট ১৫টি শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি। বর্ণিল রিয়াল মাদ্রিদ ক্যারিয়ারে আনচেলত্তি দলটিকে সম্ভাব্য সব শিরোপার স্বাদ পাইয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (৩), লা লিগা (২), কোপা দেল রে (২), স্প্যানিশ সুপার কাপ (২), উয়েফা সুপার কাপ (৩), ক্লাব বিশ্বকাপ (২) ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ (১)।
আরও পড়ুন: আক্রমণভাগে পরিবর্তন আসায় দলে ভারসাম্যের অভাব দেখছেন আনচেলত্তি
২৩১ দিন আগে