ফুটবল
আট গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি আতলেতিকো মাদ্রিদের
দারুণ সব ফুটবলারে ভরা অসাধারণ ভারসাম্যের আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে কেমন খেলবে বার্সেলোনা—তা নিয়ে দলটির সমর্থকদের অনেকেই ছিলেন সংশয়ে। তবে চলতি মৌসুমের প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও দলটির বিপক্ষে হতাশা সঙ্গী হয়েছে কাতালান জায়ান্টদের।
মঙ্গলবার রাতে বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-৪ গোলে ড্র করেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
ম্যাচের প্রথম ৬ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও একপর্যায়ে ৪-২ গোলে পিছেয়ে পড়েছিল দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। কিন্তু শেষের দিকে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের সমন্বয়হীনতা আর রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সমতায় ফেরার স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মাদ্রিদের দলটি।
অপরদিকে, ৪-২ গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ মুহূর্তে সেই ব্যবধান খোয়ানোয় বার্সেলোনার সঙ্গী হয়েছে হতাশা।
পরের লেগের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আতলেতিকোর মাঠে। ফলে এই ড্রয়ের পরে ঘরের মাঠে নিজ সমর্থকদের সামনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামার সুযোগ থাকবে তাদের।
আরও পড়ুন: কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
ম্যাচ শুরু হতেই এদিন স্বাগতিকদের চেপে ধরে গোল আদায়ের চেষ্টা করে আতলেতিকো মাদ্রিদ, তাতে দারুণ সাফল্য পায় দলটি। প্রথম মিনিটেই আন্তোয়ান গ্রিজমানের ক্রসে বার্সার ডি-বক্সের ভেতর থেকে হেডারে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন হুলিয়ান আলভারেস, কিন্তু বল ক্রসবার ঘেঁষে জালের ঢোকার আগমুহূর্তে তা ক্লিয়ার করেন ভয়চিয়েখ স্টান্সনি।
তবে পরের মুহূর্তে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি বার্সার এই পোলিশ গোলরক্ষক। কর্নার থেকে ছোট পাসে বল পেয়েই গোলমুখে উড়িয়ে দেন গ্রিজমান, এরপর দূরের পোস্টের কাছ থেকে হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন আলভারেস।
প্রথম মিনিটেই গোল হজম করার পর সমতায় ফেরায় মনোযোগ দেয় বার্সেলোনা। তবে তাদের হাই ডিফেন্স লাইন ভেঙে ষষ্ঠ মিনিট পড়তেই আরও এক গোল করে এগিয়ে যায় আতলেতিকো মাদ্রিদ।
এবারও সেই আলভারেস-গ্রিজমান যুগলবন্দি, তবে এবারের গোলটি করেন গ্রিজমান। আলভারেসের ডিফেন্সচেরা পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে খানিকটা এগিয়ে আসা স্টান্সনিকে বোকা বানান ফরাসি তারকরা।
২৯৩ দিন আগে
জিরোনাকে হারিয়ে ফের বার্সেলোনাকে ধরল রিয়াল মাদ্রিদ
ফেব্রুয়ারি পড়তেই লা লিগায় যেন জিততে ভুলেই গিয়েছিল অন্যান্য লিগে দারুণ পারফর্ম করে চলা রিয়াল মাদ্রিদ। তবে তিন ম্যাচ পর অবশেষে ব্যর্থতার সেই বৃত্ত ভাঙতে সক্ষম হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে জিরোনাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
নিষেধাজ্ঞায় পড়া বেলিংহ্যামকে ছাড়াই এদিন খেলতে নামলেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে লিগে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ৪১তম মিনিটে লুকা মদ্রিচের চমৎকার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে কয়েকবার চেষ্টা করেও এই ম্যাচে জালের দেখা পাননি নতুন বছরে উড়তে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পে।
এর আগে, এ মাসের শুরুতে এস্পানিওলের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় রিয়াল। তারপর আতলেতিকো মাদ্রিদ ও ওসাসুনার সঙ্গে ড্র করে দলটি। তবে লিগে এমন হতাশাজনক ফলের মাঝে অন্যান্য প্রতিযোগিতায় তিনটি ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই জেতে তারা। এবার ঘরোয়া লিগেও পেল জয়ের স্বাদ।
২৫ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে ফিরল আনচেলত্তির দল। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে মুখোমুখি লড়াই ও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে রয়েছে বার্সেলোনা। আর ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
গতকাল ভালেন্সিয়ার মাঠে ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। এছাড়া লাস পালমাসের মাঠে ২-০ গোলে জেতে বার্সেলোনা।
২৯৫ দিন আগে
কষ্টের জয়ে শীর্ষেই রইল বার্সেলোনা
বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে জমাট রক্ষণের যে কৌশল দিয়ে দলটিকে হারিয়েছিল লাস পালমাস, সেই একই কৌশলে দ্বিতীয় লেগেও তাদের আটকে রাখার চেষ্টা করে দলটি। তবে বার্সার মাঠে পারলেও নিজেদের মাঠে আর কাতালানদের সঙ্গে পেরে উঠল না তারা। ফলে জিততে ঘাম ছুটে গেলেও জয়ের স্বস্তি নিয়েই ঘরে ফিরেছে বার্সেলোনা।
কানারি দ্বীপের গ্রান কানারি স্টেডিয়ামে লা লিগার ২৫তম রাউন্ডের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
ম্যাচের ৬২তম মিনিটে বার্সেলোনাকে প্রথম এগিয়ে নেন দানি অলমো। এরপর যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করে লাস পালমাসের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ফেররান তোরেস। মজার বিষয় হচ্ছে, দুই গোলদাতাই বদলি হিসেবে মাঠ নেমে বাজিমাত করেছেন।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও স্বাগতিকদের রক্ষণে চিড় ধরাতে ব্যর্থ হন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। অবশ্য সুযোগ যে একেবারে আসেনি তা নয়, তবে দুটি পরিষ্কার গোলের সুযোগ নষ্ট করে স্কোরবোর্ডে কোনো পরিবর্তন না এনেই বিরতিতে যায় বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে গেম ডেভেলপমেন্টে তেমন গতি ও মাঝমাঠ তেমন ধারালো পারফরম্যান্স করতে না পারায় ফলস নাইন পজিশনে খেলা ফেরমিন লোপেসকে রেখে দানি অলমোকে নামিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করেন ফ্লিক।
আরও পড়ুন: রেফারিং নিয়ে ফের বিতর্ক, তবে জিতে দুই মাদ্রিদকে টপকে শীর্ষে বার্সেলোনা
খেলা শুরুর পর থেকেই দেখা যায় অলমোর প্রভাব। দুর্দান্ত সব পাস দিয়ে লাস পালমাসের রক্ষণে ভীতি ছড়াতে থাকেন তিনি। ফলে দলটির ডিফেন্ডাররাও কিছুটা মনোযাগ হারায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৬২তম মিনিটে লাস পালমাসের ডেডলক ভাঙেন অলেমো নিজেই।
এ সময় লামিন ইয়ামাল ও অলমোর দারুণ যুগলবন্দী দেখে সমর্থকরা, যার পরিণতিতে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় সফরকারীরা।
বল ধরে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়ে বক্সের বেশ বাইরে থাকা অবস্থায় বিপরীত পাশে থাকা লামিনকে পাস দিয়ে বক্সের ভেতরে এগিয়ে যান অলমো। বল পেয়ে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে অলমোর উদ্দেশে বক্সের ভেতর থ্রু বল বাড়ান লামিন। এরপর তা ধরে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে উড়ন্ত শট নেন অলমো, আর বল ক্রসবারে লেগে গোলের ভেতরে আছড়ে পড়ে।
২৯৬ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নকআউট ড্র: মুখোমুখি দুই মাদ্রিদ, বার্সেলোনার স্বস্তি
প্লে-অফ থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত হওয়ার পর এবার হয়ে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ড্র। নতুন নিয়মের এই ড্রয়ে বেশ কয়েকটি বড় দল তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষ পেলেও সেয়ানে সেয়ানে লড়াইও দেখা যাবে কয়েকটি।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় সুইজারল্যান্ডের নিয়নে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শুধু শেষ ষোলো নয়, ফাইনাল পর্যন্ত যেতে কোন দলের কী সমীকরণ, সে পথও স্পষ্ট করা হয়েছে।
নতুন ফরমেটে অনুষ্ঠিত এবারের টুর্নামেন্টে নতুন নিয়মেই হয়েছে ড্র। এতে দুটি ‘লিগ ক্লাসিক’ লড়াই দেখার সুযোগ মিলবে দর্শকদের। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ ও বায়ের লেভারেকুজেন। শাবি আলোনসোর হাতের ছোঁয়ায় গত মৌসুম থেকে জ্বলে ওঠা লেভারকুজেনই বর্তমানে বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ড্র হয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদের। ফলে লা লিগা, কোপা দেল রের পর এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে।
তবে বার্সেলোনার সামনে পিএসজির মতো সম্প্রতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা দল পড়ার সম্ভাবনা থাকলে এ যাত্রায় সেই বিপদ কেটেছে দলটি। অপর সম্ভাব্য দল বেনফিকাই পড়েছে তাদের সামনে। ফলে ফাইনালের আগে আর বার্সেলোনার সঙ্গে তাদের দেখা হওয়ার সুযোগ নেই।
আর এতে করে চলতি মৌসুমে অপ্রতিরোধ্য লিভারপুলের সঙ্গী হয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। তাই চরম হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের দিকে বিশেষ নজর থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।
এ ছাড়াও অনেক বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেওয়া অ্যাস্টন ভিলার প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে ক্লাব ব্রুজের নাম। আর আর্সেনাল, ইন্টার মিলান ও ডর্টমুন্ড পেয়েছে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ।
এক নজরে শেষ ষোলোর ড্র
• ক্লাব ব্রুজ-অ্যাস্টন ভিলা • লিল-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড • রিয়াল মাদ্রিদ-আতলেতিকো মাদ্রিদ • বায়ার্ন মিউনিখ-বায়ের লেভারকুজেন • পিএসভি আইন্ডহোভেন-আর্সেনাল • ফেয়েনুর্ড-ইন্টার মিলান • পিএসজি-লিভারপুল • বেনফিকা-বার্সেলোনা
(পরের দলটি ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলার সুবিধা পাবে।)
২৯৭ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: নকআউটে গেল কারা, কে হচ্ছে কার প্রতিপক্ষ, ড্র কবে
নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম আট দল নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। গত দুদিন প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগ শেষে চূড়ান্ত হয়েছে বাকি আট দলও।
দুটি অঘটনের জন্ম দিয়ে শেষ হয়েছে প্লে-অফ পর্ব। ওই দুই ম্যাচে দুই ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ড ও পিএসভি আইন্ডহোভেনের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে ইতালির দুই ক্লাব এসি মিলান ও ইউভেন্তুস।
এছাড়া, ক্লাব ব্রুজের কাছে হেরে আতালান্তা, বেনফিকার কাছে হেরে মোনাকো, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে স্পোর্তিং এবং রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির মতো বড় বড় ক্লাবগুলোর।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
যাইহোক, যোগ্যতার লড়াইয়ে নকআউট পর্বের শেষ আট দল চূড়ান্ত হয়েছে। সেগুলো হলো— ফেয়েনুর্ড, ক্লাব ব্রুজ, বায়ার্ন মিউনিখ, বেনফিকা, ডর্টমুন্ড, আইন্ডহোভেন, পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ।
আগামীকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের নিয়নে শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই জানা যাবে শীর্ষ আট দলের কার প্রতিপক্ষ হচ্ছে কোন দল।
তবে উয়েফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি দলেরই সম্ভাব্য দুই প্রতিপক্ষের নাম আগেই নিশ্চিত হয়েছে। এই দুই দলের ভেতর থেকেই এক দল নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে খেলবে।
শেষ ষোলোতে কে কার প্রতিপক্ষ
লিভারপুল: পিএসজি/বেনফিকা
বার্সেলোনা: বেনফিকা/পিএসজি
আর্সেনাল: পিএসভি/ফেয়েনুর্ড
ইন্টার মিলান: ফেয়েনুর্ড/পিএসভি
আতলেতিকো মাদ্রিদ: বায়ার্ন মিউনিখ/রিয়াল মাদ্রিদ
বায়ের লেভারকুজেন: রিয়াল মাদ্রিদ/বায়ার্ন মিউনিখ
লিল: ক্লাব ব্রুজ/ডর্টমুন্ড
অ্যাস্টন ভিলা: ডর্টমুন্ড/ক্লাব ব্রুজ
রিয়াল মাদ্রিদ: লেভারকুজেন/আতলেতিকো মাদ্রিদ
পিএসজি: বার্সেলোনা/লিভারপুল
বায়ার্ন মিউনিখ: আতলেতিকো মাদ্রিদ/লেভারকুজেন
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড: অ্যাস্টন ভিলা/লিল
বেনফিকা: বার্সেলোনা/লিভারপুল
পিএসভি: আর্সেনাল/ইন্টার মিলান
ক্লাব ব্রুজ: লিল/অ্যাস্টন ভিলা
ফেয়েনুর্ড: ইন্টার মিলান/আর্সেনাল
উল্লেখ্য, শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৪ ও ৫ মার্চ এবং দ্বিতীয় লেগ অনুষ্ঠিত হবে এক সপ্তাহ পর ১১ ও ১২ মার্চ।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
শীর্ষ আট দল দ্বিতীয় লেগ ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে এবং প্লে-অফ থেকে নকআউট পর্বে ওঠা দলগুলোকে প্রথম লেগই ঘরের মাঠে খেলতে হবে।
এক নজরে শেষ ষোলোর শীর্ষ আট দল
লিভারপুল, বার্সেলোনা, আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, আতলেতিকো মাদ্রিদ, বায়ের লেভারকুজেন, লিল ও অ্যাস্টন ভিলা।
প্লে-অফ থেকে আসা বাকি আট দল
ফেয়েনুর্ড, ক্লাব ব্রুজ, বায়ার্ন মিউনিখ, বেনফিকা, ডর্টমুন্ড, আইন্ডহোভেন, পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ।
বাদ পড়ল যারা
এসি মিলান, আতালান্তা, সেল্টিক, মোনাকো, স্পোর্তিং, ইউভেন্তুস, ব্রেস্ত ও ম্যানচেস্টার সিটি।
২৯৮ দিন আগে
প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগের খেলায় প্রথম দিন প্রথম ম্যাচেই ঘটে অঘটন; ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ডের কাছে হেরে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় ইতালির ক্লাব এসি মিলানের। দ্বিতীয় দিনেও ঘটেছে একই অঘটন, আর তার বলি হয়েছে সেরি-আর আরেক ক্লাব ইউভেন্তুস।
নেদারল্যান্ডসের ফিলিপস স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বুধবার রাতে তুরিনের দলটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে অসাধ্য সাধন করেছে পিএসভি।
তুরিনে প্রথম লেগে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে আইন্ডহোভেনে গেলেও ম্যাচজুড়ে সুবিধা করতে পারেনি থিয়াগো মোত্তার দল। ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে নোয়া লাংয়ের অ্যাসিস্টে গোল করে অগ্রগামিতায় ২-২ সমতা টানেন পিএসভি স্ট্রাইকার ইভান পেরিসিচ।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
দশ মিনিট পরই অবশ্য টিমোথি উইয়ার গোলে ফের ইউভেন্তুস এগিয়ে গেলে (অগ্রগামিতায়) ৭৪তম মিনিটে ইসমাইল সাইবারির গোলে আবারও সমতায় ফেরে ডাচরা। এরপর নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হলে ৩-৩ সমতায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে ৯৮তম মিনিটে রায়ান ফ্লামিঙ্গোর গোলে দুই লেগ মিলিয়ে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় পিএসভি। এরপর ইউভেন্তুসকে বাকি সময় আটকে রেখে বিরল কীর্তি গড়ে শেষ ষোলো নিশ্চিতের উল্লাসে মাতে পিটার বশের শিষ্যরা।
এর আগে, ওল্ড লেডিদের বিপক্ষে কখনও জয় তো দূরের কথা, ড্রও করতে পারেনি পিএসভি। এবার সেই দলটির বিপক্ষেই ৩-১ গোলের দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়ে তাদের বিদায় করে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমের ইউরোপিয়ান কাপ জয়ী দলটি।
এর ফলে কাকতালীয়ভাবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের প্লে-অফের দুটি অঘটনের জন্মই দিল দুই ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ড ও পিএসভি। আর তারা বিদায় করল দুই ইতালিয়ান জায়ান্টকে (মিলান ও ইউভেন্তুস)।
আরও পড়ুন: বিরল রেকর্ডের রাতে ৭-০ গোলে জিতে নকআউট পর্বে পিএসজি
দিনের প্রথম ম্যাচে স্পোর্তিংয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগে স্পোর্তিংয়ের মাঠে ৩-০ গোলে জয় পাওয়ায় সহজেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে নিকো কোভাকের দল।
অপর ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে সিটির মাঠে ৩-২ গোলে জেতায় ৬-৩ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট পর্বে উঠেছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসসেরা দলটি।
এছাড়া, লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রেস্তকে তুলোধুনা করে নকআউটে উঠেছে লুইস এনরিকের পিএসজি। দ্বিতীয় লেগে দলটিকে ৭-০ গোলে হারিয়েছেন দেম্বেলে-বারকোলারা। প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয়ের ফলে ১০-০ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি।
এর মাধ্যমে নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ১৬টি দল চূড়ান্ত হয়েছে।
২৯৯ দিন আগে
বিরল রেকর্ডের রাতে ৭-০ গোলে জিতে নকআউট পর্বে পিএসজি
৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় পিএসজির জন্য শেষ ষোলো একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল, তবে দ্বিতীয় লেগে ব্রেস্তকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে তারা।
প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বুধবার রাতে আরেক ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। এতে করে দুই লেগ মিলিয়ে ১০-০ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট নিশ্চিত করেছে লুইস এনরিকের দল।
এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে ফাবিয়ান রুইসের অ্যাসিস্টে পিএসজিকে প্রথম এগিয়ে নেন ব্রাদলে বারকোলা। এরপর ৩৯ মিনিটে পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোল করেন খিচা কেভারাত্সখেলিয়া (কেভারা)।
দুই গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করলেও বিরতি থেকে ফিরে ব্রেস্তকে আরও পাঁচটি গোল দেয় পিএসজি। ম্যাচের ৫৯, ৬৪, ৬৯, ৭৬ ও ৮৬তম মিনিটে গোলগুলো করেন যথাক্রমে ভিতিনিয়া, দেজিরে দুয়ে, নুনো মেন্দেস, গন্সালো রামোস ও সেনি মাইয়ুলু।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
অবাক করার মতো ব্যাপার হচ্ছে, নতুন বছর পড়তেই উসমান দেম্বেলে জ্বলে উঠলেও গোল উৎসবের এই ম্যাচে তিনি কোনো গোল করতে পারেননি, এমনকি কোনো অ্যাসিস্টও আসেনি তার পা থেকে।
তবে ৭-০ গোলের এই জয়ের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিরল এক রেকর্ড গড়েছে পিএসজি। সাতটি গোলই দলটির পৃথক সাত খেলোয়াড়ের পা থেকে এসেছে। এর আগে ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে কখনোই কোনো ম্যাচে ৭ জন আলাদা খেলোয়াড় গোল করতে পারেননি।
এর আগে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যেকোনো পর্বে এক ম্যাচে সর্বাধিক ৬ খেলোয়াড় গোল করার সবশেষ ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট। ২০১৯-২০ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচে আলিয়ান্স আরেনায় বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করে বায়ার্ন। ম্যাচটিতে রবের্ট লেভানডোভস্কি, ইভান পেরিসিচ, সের্গে গেনাব্রি, ইয়োশুয়া কিমিখের একটি করে গোলের পাশাপাশি দুটি করে গোল করেন থমাস মুলার ও বার্সা থেকে সে সময় বায়ার্নে ধারে খেলা ফিলিপে কুতিনিয়ো।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
দিনের প্রথম ম্যাচে স্পোর্তিংয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগে স্পোর্তিংয়ের মাঠে ৩-০ গোলে জয় পাওয়ায় সহজেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে নিকো কোভাকের দল।
অপর ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে সিটির মাঠে ৩-২ গোলে জেতায় ৬-৩ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট পর্বে উঠেছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসসেরা দলটি।
এছাড়া প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও ঘটেছে একটি অঘটন। প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেও পিএসভি আইন্ডহোভেনের কাছে ৩-১ গোলে হেরে প্রথম পর্ব থেকে ছিটকে গেছে ইউভেন্তুস। আর ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্লাবটি।
এর মাধ্যমে নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ১৬টি দল চূড়ান্ত হয়েছে।
২৯৯ দিন আগে
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
৩-২ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগ খেলতে নেমেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ফলে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে যে আক্রমণাত্মক মনোভাব ও নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলার প্রয়োজন ছিল দলটির, তার কিছুই দেখাতে পারেনি তারা। উল্টো দুর্দান্ত রিয়াল মাদ্রিদের কাছে নাকানি-চুবানি খেয়ে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে গার্দিওলার শিষ্যদের।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় লেগে সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ গোলের বিশাল ব্যবধানে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিন ম্যাচের সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়ালের তিনটি গোলের সবগুলোই এসেছে তার পা থেকে। অপ্রতিরোধ্য এমবাপ্পেকে ঠেকাতেই সবটুকু শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায় সিটির খেলোয়াড়দের। আর ভিনিসিউস, রদ্রিগো, বেলিংহ্যাম ও ফেদেরিকো ভালভের্দেদের যৌথ আক্রমণে দিশেহারা হয়ে দুস্বপ্নের মতো এক রাত পার করেছে ম্যানচেস্টারের দলটি।
আরও পড়ুন: ডেভিসের শেষ মুহূর্তের গোলে সেল্টিকের হৃদয় ভাঙল বায়ার্ন
গোল দিয়েই কার্যত ম্যাচটি শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ। চতুর্থ মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সের সামান্য উপর থেকে ডিফেন্ডার রাউল আসেন্সিওর দুর্দান্ত এক উড়ন্ত লং পাস ধরে সিটির ডিফেন্স ভেঙে ঠিকানা খুঁজে নেন এমবাপ্পে।
আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে ৩৩তম মিনিটে আরও একটি দর্শনীয় গোল করে দলকে তিন গোলের লিড এনে দেন তিনি। এবারের গোলটির মূল কারিগর ছিলেন রদ্রিগো। সিটির বক্সে ঢোকার মুখে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে এমবাপ্পেকে পাস দেন তিনি, আর তা থেকে ব্যবধান বাড়াতে মোটেও কষ্ট হয়নি ফরাসি তারকার।
অসুস্থতার কারণে বেঞ্চে থাকা কেভিন ডি ব্রুইনে ও আর্লিং হালান্ডের অুনপস্থিতিতে এদিন বলের ওপর একেবারেই নিয়ন্ত্রণ হারায় সিটি। প্রথমার্ধে গোলে শট নেওয়া তো দূরের কথা, তেমন কোনো আক্রমণই শানাতে পারেনি তারা। সেইসঙ্গে দুর্দান্ত রিয়ালের ক্রমাগত চাপে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
২৯৯ দিন আগে
ডেভিসের শেষ মুহূর্তের গোলে সেল্টিকের হৃদয় ভাঙল বায়ার্ন
এক গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগ শুরু করলেও প্রথমে গোল করে পরের রাউন্ডে ওঠার স্বপ্ন দেখেছিল সেল্টিক। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বায়ার্ন মিউনিখকে তাদের মাঠেই হারানোর স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে স্কটিশ ক্লাবটির। সেইসঙ্গে তাদের শেষ ষোলোয় ওঠার স্বপ্নও ডুবেছে হতাশার অন্ধকারে।
মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে সেল্টিকের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন।
এর ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ অগ্রগামিতায় পরের ধাপে উঠেছে বাভারিয়ানরা। গত সপ্তাহে স্কটিশ দলটির মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা।
এদিন জমাট রক্ষণে ম্যাচের প্রথমার্ধে ব্রেন্ডন রজার্সের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয় তার শিষ্যরা। এর ফলও পায় তারা। ৬৫ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে ৭টি শট নিলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারে না বায়ার্ন, অর্থাৎ প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের আটকে রাখতে সমর্থ হয় সেল্টিক।
একই পরিকল্পনা ধরে রেখে দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ খানিকক্ষণ বায়ার্নকে আটকে রাখে দলটি। এরপর ৬৩তম মিনিটে গোল পেয়ে অগ্রগামিতায় ২-২ সমতা টেনে বায়ার্নকে হারানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে সেল্টিক।
তবে গোল দেওয়ার পর বায়ার্নের আক্রমণের তোড়ে সেল্টিকের দুই লাইনের ডিফেন্স ভেঙে চুরমার হওয়ার উপক্রম হয়। তারপরও নির্ধারিত সময়, এমনকি যোগ করা চার মিনিটের প্রায় সবটুকুই কেইন-মুসিয়ালাদের আটকে রেখে ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল স্কটিশরা। তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক আগে বায়ার্নের ২৩তম শটটি আর ফেরাতে পারেনি সেল্টিক।
এ সময় লিওন গোরেটস্কার শট আটকে দিলেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি সেল্টিক গোলরক্ষক কাস্পার স্মাইকেল। ফিরতি বল তাদের একজন ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন, তবে সেখানে ছুটে যাওয়া ডেভিসের পায়ে লেগে বল গোললাইন পেরিয়ে যায়।
শেষ মুহূর্তের গোলে উল্লাসে ফেটে পড়ে আলিয়ান্স আরেনা। আর ভগ্ন হৃদয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমের তৎকালীন ইউরোপীয় কাপ জয়ীদের।
এদিকে, দিনের প্রথম ম্যাচে চমক দেখিয়েছে ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ড। প্রথম লেগে ১-০ গোলে স্মরণীয় জয়ের পর দ্বিতীয় লেগ সান সিরোতে এসি মিলানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ২-১ অগ্রগামিতায় শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে দলটি। আর এতে করে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে মিলানকে।
আরও পড়ুন: এসি মিলানকে প্লে-অফ থেকে বিদায় করে শেষ ষোলোয় ফেয়েনুর্ড
এছাড়া, আসরের শুরুর কয়েক ম্যাচ অপরাজিত থেকে দীর্ঘ এক যাত্রার ইঙ্গিত দিলেও প্রথমে শুরুর আট দল থেকে ছিটকে যাওয়া এবং তারপর প্লে-অফে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানে হেরে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে গাস্পেরিনির আতালান্তাকে। একই সঙ্গে প্রথম লেগে ২-১ গোলে জেতার পর দ্বিতীয় লেগেও দুর্দান্ত ৩-১ গোলের জয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে ক্লাব ব্রুজ।
অপর ম্যাচে মোড়ের পর মোড় ঘুরিয়ে শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলের ড্রয়ে শেষ হয়েছে বেনফিকা ও মোনাকোর মধ্যকার দ্বিতীয় লেগ। তবে প্রথম লেগে মোনাকোর মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে থাকায় ৪-৩ অগ্রগামিতায় শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে বেনফিকাই।
এর ফলে শেষ ষোলোর ১২ দল নিশ্চিত হয়েছে। বুধবার রাতে অবশিষ্ট চার ম্যাচ থেকে বাকি চার দল চূড়ান্ত হবে। এই দিনের সবচেয়ে বড় আর্ষণ থাকবে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যকার লড়াই।
৩০০ দিন আগে
এসি মিলানকে প্লে-অফ থেকে বিদায় করে শেষ ষোলোয় ফেয়েনুর্ড
১৯৬৯-৭০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেই অবিস্মরণীয় ফাইনালের কথা এখনও মনে আছে কারও কারও। সেবারের দুই লেগের ফাইনালে প্রথমে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে জিতে সান সিরোতে এসি মিলানের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগ খেলতে গিয়েছিল ফেয়েনুর্ড। এরপর মিলানের বিপক্ষে তাদের মাঠেই ১-১ গোলে ড্র করে নিজেদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল ডাচ ক্লাবটি। ৫৫ বছর পর সেই সান সিরোতে মিলানের বিপক্ষেই আরও একবার সুখস্মৃতি ফিরিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে মিলানের ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে ফেয়েনুর্ড। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকায় ২-১ অগ্রগামিতায় আরও একবার শেষ ষোলোয় উঠেছে দলটি।
এদিন ম্যাচ শুরু হতে না হতেই দুই সপ্তাহ আগে এই ফেয়েনুর্ড থেকেই মিলানে যোগ দেওয়া মেক্সিকান স্ট্রাইকার সান্তিয়াগো হিমেনেসের গোলে অগ্রগামিতায় সমতা টানে মিলান। এমনকি ম্যাচের প্রথম পঞ্চাশ মিনিটে জিতে শেষ ষোলো নিশ্চিতের আভাসও দেয় তারা একাধিকবার। তবে ৫১তম মিনিটে থেও এরনান্দেসের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার ঘটনা সবকিছু ওলট-পালট করে দেয়। একটি হলুদ কার্ডের খড়গ মাথায় নিয়েও শুধু শুধু ডাইভ দিয়ে ফাউল আদায়ের চেষ্টা করতে গিয়ে অতি চালাকির শাস্তি পেতে হয় এই উইংব্যাকের।
অন্যদিকে, একজন বেশি নিয়ে খেলার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৭৩তম মিনিটে হুলিয়ান কারান্সার গোলে মিলানকে বিদায় করে ২৫ বছর পর ফের ইউরোপের এলিট দলগুলোর সেরা ১৬-তে স্থান করে নিয়েছে ফেয়েনুর্ড।
এর আগে, ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে সবশেষ শেষ ষোলোতে উঠতে সক্ষম হয় ডাচ দলটি। সেবার শেষ ষোলোতে চেলসিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালেও ওঠে তারা। তবে সেখানে বার্সেলোনার কাছে হেরে থামে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান।
অপরদিকে, গত এক দশকে মাত্র একবার গ্রুপ পর্ব অতিক্রম করতে পেরেছে মিলান। সেটিও ২০২২-২৩ মৌসুমে। সেবার সেমিফাইনালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টারের কাছে অগ্রগামিতায় ৩-০ গোলে হেরে ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের।
দিনের অপর ম্যাচে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে আলফন্সো ডেভিসের গোলে সেল্টিককে কাঁদিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও পড়ুন: ডেভিসের শেষ মুহূর্তের গোলে সেল্টিকের হৃদয় ভেঙে শেষ ষোলোয় বায়ার্ন
আসরের শুরুর কয়েক ম্যাচ অপরাজিত থেকে দীর্ঘ এক যাত্রার ইঙ্গিত দিলেও প্রথমে শুরুর আট দল থেকে ছিটকে যাওয়া এবং তারপর প্লে-অফে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানে হেরে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে গাস্পেরিনির আতালান্তাকে। একইসঙ্গে প্রথম লেগে ২-১ গোলে জেতার পর দ্বিতীয় লেগেও দুর্দান্ত ৩-১ গোলের জয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে ক্লাব ব্রুজ।
এছাড়া ম্যাচের মোড়ের পর মোড় ঘুরিয়ে শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলের ড্রয়ে শেষ হয়েছে বেনফিকা ও মোনাকোর মধ্যকার দ্বিতীয় লেগ। তবে প্রথম লেগে মোনাকোর মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে থাকায় ৪-৩ অগ্রগামিতায় শেষমেষ শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে বেনফিকাই।
এর ফলে শেষ ষোলোর ১২ দল নিশ্চিত হয়েছে। বুধবার রাতে অবশিষ্ট চার ম্যাচ থেকে বাকি চার দল চূড়ান্ত হবে। এই দিনের সবচেয়ে বড় আর্ষণ থাকবে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যকার লড়াই।
৩০০ দিন আগে