ফুটবল
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্লে-অফের ড্র: রিয়ালকেই পেল সিটি
বায়ার্ন মিউনিখ নাকি রিয়াল মাদ্রিদ—চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্লে-অফে কে হবে ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ, গত দুদিন ধরেই চলছে এই আলোচনা। এবার সেই আলোচনার অবসান ঘটিয়ে লস ব্লাঙ্কোসদের সামনে পড়ল সম্প্রতি ভুগতে থাকা সিটি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নির্ধারণ হয়েছে সিটির নাম। এর ফলে শেষ ষোলোর আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যাত্রা থেমে যাবে গত দুই আসরের শিরোপাধারী দুই দলের একটির।
ড্রয়ে বায়ার্ন মিউনিখের প্রতিপক্ষে হিসেবে উঠে এসেছে সেল্টিকের নাম। এছাড়া মুখোমুখি হবে দুই ফরাসি ক্লাব ব্রেস্ত ও পিএসজি। তবে ইতালির দুই দল এসি মিলান ও ইয়ুভেন্তুসের অবশ্য প্লে-অফেই মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। তুরিনের বুড়িরা খেলবে পিএসভি আইন্ডহোভেনের বিপক্ষে এবং ফেয়েনুর্ডের মোকাবিলা করবে মিলানের দলটি।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: শেষ ষোলো ও প্লে-অফে উঠল যারা
প্লে-অফের প্রথম লেগ আগামী ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি এবং ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি হবে দ্বিতীয় লেগের খেলা। এরপর আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
এক নজরে প্লে-অফ ড্র:
• ক্লাব ব্রুজ-আতালান্তা• স্পোর্তিং লিসবন-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড• ম্যানচেস্টার সিটি- রিয়াল মাদ্রিদ• সেল্টিক-বায়ার্ন মিউনিখ• ইয়ুভেন্তুস-পিএসভি আইন্ডহোভেন• ফেয়েনুর্ড-এসি মিলান• ব্রেস্ত-পিএসজি• মোনাকো-বেনফিকা
লক্ষণীয়: পরের দলটি ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলার সুবিধা পাবে।
আরও পড়ুন: জেতাও পর্যাপ্ত হলো না রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্নের
৩১৮ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: শেষ ষোলো ও প্লে-অফে উঠল যারা
নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। বুধবার রাতে একযোগে মাঠে নামে ৩৬ দল, যেখানে জিতেছে ১৬টি দল আর বাকি দুই ম্যাচ ড্র হয়েছে।
অষ্টম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচের আগে সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট কাটে কেবল লিভারপুল ও বার্সেলোনা। এছাড়া বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় ৯ দলের। বাকি ২৫ দলের ভাগ্য ঝুলে ছিল শেষ ম্যাচের ওপর।
বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকলেও এদিন দারুণ জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে সিটির কাছে ৩-১ গোলেও হেরেও ছিটকে যেতে হয়নি ক্লাব ব্রুজকে। আবার শীর্ষ আটে থেকে বার্সেলোনার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মাঠে নেমে ড্র করেও সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট কাটা হয়নি আতালান্তার। একইভাবে টেবিলের নিচে থেকেও সেল্টিককে ৪-২ গোলে উড়িয়ে শীর্ষ আটে জায়গা করে নিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা।
এমন বেশ কয়েকটি দারুণ ঘটনা শেষে চূড়ান্ত হয়েছে কারা সরাসরি শেষ ষোলোতে উঠেছে, কাদের প্লে-অফের কঠিন পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে এবং কাদেরই-বা বিদায় নিতে হচ্ছে প্রথম পর্ব থেকেই।
আরও পড়ুন: জেতাও পর্যাপ্ত হলো না রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্নের
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ আট দল সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছে। বাকি আটটি স্পটের জন্য দুই লেগের প্লে-অফ খেলবে নবম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা ১৬টি দল। বাকি দলগুলো ঘরে ফিরে যাবে।
শীর্ষ আট দল
ক্রমানুসারে: লিভারপুল, বার্সেলোনা, আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, আতলেতিকো মাদ্রিদ, বায়ের লেভারকুজেন, লিল ও অ্যাস্টন ভিলা।
প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে যাদের
ক্রমানুসারে: আতালান্তা, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, এসি মিলান, পিএসভি আইন্ডহোভেন, পিএসজি, বেনফিকা, মোনাকো, ব্রেস্ত, ফেইনুর্ড, ইয়ুভেন্তুস, সেল্টিক, ম্যানচেস্টার সিটি, স্পোর্তিং লিসবন ও ক্লাব ব্রুজ।
বাদ পড়ল যারা
ক্রমানুসারে: দিনামো জাগরেব, স্টুটগার্ট, শাখতার দোনেৎস্ক, বোলোনিয়া, রেড স্টার বেলগ্রেড, স্ট্রুম গ্রাৎস, স্পার্তা প্রাহা, লাইপসিগ, জিরোনা, রেড বুল জালৎসবুর্গ, স্লোভান ব্রাতিস্লাভা ও ইয়াং বয়েজ।
আরও পড়ুন: লিভারপুলের ‘প্রথম’ হার কাজে লাগাতে পারল না বার্সেলোনা
৩২০ দিন আগে
জেতাও পর্যাপ্ত হলো না রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্নের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শীর্ষ আট নিশ্চিত করে সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট পেতে শুধু জিতলেই হতো না প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসের সফলতম দুটি দল—রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের, সঙ্গে শীর্ষ আটে থাকা দলগুলোর পয়েন্ট খোয়ানোরও দিকেও চেয়ে ছিল তারা। তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়ে নিজেদের কাজ সারলেও শেষমেষ ভাগ্য সহায় হয়নি দলদুটির প্রতি। ফলে প্লে-অফের কঠিন পথেই যেতে হচ্ছে তাদের।
বুধবার রাতে লিগ পর্বের অষ্টম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। রিয়ালের হয়ে দুই অর্ধে দুটি গোল করেন রদ্রিগো, মাঝে আরেকটি গোল করেন জুড বেলিংহ্যাম। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে (৫১তম মিনিটে) ব্রেস্তের একটি গোল বাতিল হয়।
এই জয়ে ৫ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানের কারণে টেবিলের একাদশ স্থানে ঠাঁই হয়েছে রিয়ালের। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বাদশ স্থানে বায়ার্ন মিউনিখ, গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দশম স্থানে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও পিছিয়ে থেকে ত্রয়োদশ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে এসি মিলান। বার্সেলোনার সঙ্গে ড্র করে ১৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে আরও আতালান্তাও, তাদের অবস্থান নবম।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: শেষ ষোলো ও প্লে-অফে উঠল যারা
বায়ার্ন নিজেদের ম্যাচটি জিতেছে ৩-১ গোলে, স্লোভান ব্রাতিস্লাভার বিপক্ষে। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে থমাস মুলারের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৬৩তম মিনিটে হ্যারি কেইন ও ৮৪তম মিনিটে গোল করেন কিংসলি কোমান। এরপর ৯০তম মিনিটে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন ব্রাতিস্লাভার মার্কো তোলিচ।
এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ না করেই ঘরে ফিরতে হচ্ছে স্লোভাকিয়ার ক্লাবটিকে। তাদের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে সুইস ক্লাব ইয়াং বয়েজও।
এছাড়া, শাখতার দোনেৎস্ককে ৩-১ গোলে ডর্টমুন্ড হারালেও দিনামো জাগরেবের কাছে ২-১ গোলে হেরে ১৫ পয়েন্টে থিতু হয়েছে এসি মিলান। তবে জিতেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় প্লে-অফ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে জাগরেব। প্লে-অফের সর্বশেষ দলের ঠিক পরেই (২৫তম স্থানে) জায়গা পেয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: লিভারপুলের ‘প্রথম’ হার কাজে লাগাতে পারল না বার্সেলোনা
৩২০ দিন আগে
লিভারপুলের ‘প্রথম’ হার কাজে লাগাতে পারল না বার্সেলোনা
নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের শেষ রাউন্ডে এসে অবশেষে হারল লিভারপুল। ইংলিশ ক্লাবটির এই হারে তাদের টপকে শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করার সুযোগ ছিল বার্সেলোনার সামনে। তবে অসংখ্য গোলের সুযোগ নষ্ট করে কাতালান ক্লাবটির পক্ষে তা আর হয়ে ওঠেনি।
বুধবার রাতে ইউরোপের এলিট লিগে অপরাজিত লিভারপুলকে মাটিতে নামিয়েছে ডাচ লিগ চ্যাম্পিয়ন পিএসভি আইন্ডহোভেন। দুবার পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতে নিয়েছে পিটার বশের শিষ্যরা।
ম্যাচের ২৮তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে তা থেকে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন কোডি গাকপো। এর ৭ মিনিট পর ইয়োহান বাকায়োকোর গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
এরপর পাঁচ মিনিট যেতে না যেতেই ফের লিভারপুলকে এগিয়ে নেন হার্ভি ইলিয়ট। তবে ৪৫তম মিনিটে আবারও পিএসভিকে সমতায় ফেরান ইসমায়েল সাইবারি।
তারপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ সময়ে আমেরিকান স্ট্রাইকার রিকার্ডো পেপির গোলে ম্যাচ প্রথমবার এগিয়ে গিয়ে বিরতিতে যায় আইন্ডহোভেন।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: শেষ ষোলো ও প্লে-অফে উঠল যারা
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোলে আর তেমনভাবে শটই নিতে পারেনি আর্নে স্লটের শিষ্যরা। অন্যদিকে, বলের দখল কিছুটা বেশি সময় ধরে রেখে কয়েকবার ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করলেও আর গোল করতে পারেননি ডাচ ক্লাবটির খেলোয়াড়রা। এর মাঝে আবার নির্ধার্তি সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় লিভারপুলের জার্সিতে কয়েক মিনিট আগেই অভিষেক হওয়া ১৮ বছর বয়সী ইংলিশ ডিফেন্ডার আমারা নালোকে। ফলে ৩-২ গোলেই শেষ হয় ম্যাচটি।
এই ম্যাচ হেরে গেলে প্রথম পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা থাকলেও জিতে ভালোভাবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্লাবটি। ৮ ম্যাচে ৪ জয় ও ২ ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৪তম স্থানে থেকে প্রথম পর্বের খেলা শেষ করেছে তারা।
৩২০ দিন আগে
এমবাপ্পের ‘প্রথম’ হ্যাটট্রিকে ১০ জনের ভায়াদোলিদকে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ
পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল রিয়াল ভায়াদোলিদের ওপর রীতিমতো শাসন চালাল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে বিশাল ব্যবধানে জয় না পেলেও পূর্ণ তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করে শীর্ষস্থান সুসংহত করেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
হোসে সরিয়া স্টেডিয়ামে লা লিগার ২১ রাউন্ডের ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে চলতি মৌসুমে ভুগতে থাকা রিয়াল ভায়াদোলিদকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
এর ফলে ১৫ জয় ও চার ড্রয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানের পয়েন্ট ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এদিন আক্রমণে ঢেউ তুললেও কোনোভাবেই গোল পাচ্ছিল না লিগ টপাররা। এরপর ম্যাচের ৩০তম মিনিটে ভালভের্দে-বেলিংহ্যাম-এমবাপ্পে ঝলকে গোলের খাতা খোলে রিয়াল।
মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়াতেই এমবাপ্পেকে বাড়ান ভালভের্দে। বল পেয়ে তা ডি-বক্সের কিছুটা বাইরে মাঝামাঝি জায়গায় থাকা বেলিংহ্যামকে পাস দিয়েই বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। আর ফিরতি স্পর্শে ফের বল এমবাপ্পের উদ্দেশে বাড়ালে তা থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: বড় জয়ে সেরা আটে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখল রিয়াল
ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়ার পর ফিরে ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে আরও এক গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে।
এ সময় দানি সেবায়োসের বাড়ানো বল ধরেই দ্রুতগতিতে এগিয়ে যান রদ্রিগো। এরপর প্রতিপক্ষের বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে বাঁ পাশ দিয়ে ভেতরে ঢোকা এমবাপ্পেকে পাস বাড়ান এই ব্রাজিলীয়। বল ধরে নিপুণতার সঙ্গে তা গোলে পরিণত করেন এমবাপ্পে।
এরপর ম্যাচ যখন ২-০ গোলেই শেষ হওয়ার পথে, ঠিক তখনই পেনাল্টি দিয়ে বসেন ভায়াদোলিদ মিডফিল্ডার মারিও মার্তিন। শুরুতে ফাউল না দিলেও ভিএআরের পরামর্শে চাটলাইন মনিটরে রিভিউ দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, সঙ্গে মার্তিনকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠছাড়া করেন। এর ফলে অবশিষ্ট সময়ের জন্য দশজনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা।
এরপর স্পট কিক থেকে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এমবাপ্পে।
এর ফলে সব মিলিয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে ৮ গোল করলেন এই তারকা স্ট্রাইকার। পাশাপাশি লা লিগায় তার গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ১৫টি, সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে এমবাপ্পের গোল ২২টি।
আরও পড়ুন: গোল উৎসব করে শীর্ষে উঠল রিয়াল মাদ্রিদ
দিনের অপর ম্যাচে ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে দুই পয়েন্ট খুইয়েছে দুইয়ে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদ। ফলে সমান ২১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪৫, রিয়ালের চেয়ে যা চার পয়েন্ট কম।
এছাড়া ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছে এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা। রবিবার রাতে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ম্যাচটি জিতে শীর্ষ দুই দলের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে।
৩২৪ দিন আগে
পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে চেলসিকে হারিয়ে চারে সিটি
টানা হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে ফের জয়ের ধারায় ফিরতে শুরু করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এর মাঝে চেলসির বিপক্ষে বড় পরীক্ষা ছিল পেপ গার্দিওলার দলের। তবে কঠিন সেই পরীক্ষায় দারুণভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে তারা।
শনিবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের ২৩তম রাউন্ডের ম্যাচে এনসো মারেসকার শিষ্যদের ৩-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
এদিন জানুয়ারির দলবদলে ম্যানচেস্টারে নিয়ে আসা ডিফেন্ডার আব্দুকোদির হুসানভ ও স্ট্রাইকার ওমর মার্মুশকে শুরুর একাদশে রেখে সিটির জার্সিতে অভিষিক্ত করান গার্দিওলা। তবে হুসানভের মারাত্মক ভুলে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় চেলসি।
হুসানভের দুর্বল পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ননি মাদুয়েকেকে বল বাড়ান নিকোলাস জ্যাকসন। আর বল পেয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান ২২ বছর বয়সী ইংলিশ উইঙ্গার।
ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে সিটি। এর মাঝে পরের মিনিটেই চেলসির অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার কোল পালমারকে পাস দিয়ে বসেন হুসানভ। এরপর বল উদ্ধার করতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখতে হয় ‘উজবেক ট্রেন’কে। ফলে সিটির জার্সিতে শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হয় তার।
অবশ্য মানিয়ে নিতে বেশিক্ষণ সময় নেননি প্রতিভাবান এই তরুণ। নবম মিনিটেই জেডন স্যানচোর শট ঠেকিয়ে নিশ্চিত গোল থেকে দলকে বাঁচান তিনি।
আরও পড়ুন: সিটির পারফরম্যান্স নিয়ে মুখোমুখি গুন্ডোগান-গার্দিওলা
এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে সিটির আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে চেলসি। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে গোল করেন মার্মুশ। তবে অফসাইডের কারণে অভিষেক ম্যাচে করা তার গোলটি বাতিল হয়।
আক্রমণ অব্যাহত রেখে ৪২তম মিনিটে সমতায় ফেরে সিটি। ইলকাই গুন্দোগানের থ্রু বল ধরে বুলেট শটে লক্ষ্যভেদের চেষ্টা করেন মাথেউস নুনেস। কোনোমতে তা ফিরিয়ে দেন চেলসি গোলরক্ষক রবের্ত সানচেস। তবে ছুটে গিয়ে ফিরতি বল ফাঁকা জালে পাঠান সিটি ডিফেন্ডার ইয়োশকো গেভার্দিওল।
প্রথমার্ধ সমতায় শেষ হলে দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে সিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬৮তম মিনিটে প্রথম এগিয়ে যায় তারা।
প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে বল ধরে এগোতে থাকা হালান্ডকে দ্রুত লং পাসে বল উড়িয়ে দেন সিটি গোলরক্ষক এদেরসন। তা ধরে দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে ঠিকানা খুঁজে নেন নরওয়ে তারকা।
এর মাধ্যমে প্রিমিয়ার লিগে গোলরক্ষক হিসেবে পঞ্চম অ্যাসিস্ট করলেন এদেরসন। লিগের ইতিহাসে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। এতে করে সাবেক ইংলিশ গোলরক্ষক পল রবিনসনের পাশে বসলেন এই ব্রাজিলীয়।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে সিটিকে বাদ পড়ার শঙ্কায় ফেলে জিতল পিএসজি
সমতায় ফিরতে চেলসি আপ্রাণ চেষ্টা করলেও ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে ফোডেনের গোলে তাদের সব প্রচেষ্টা বিফলে যায়।
পাল্টা আক্রমণে বল পেয়ে এগিয়ে গিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে দেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। এই গোলে লিগে সবশেষ চার ম্যাচে ৬ গোল করলেন মৌসুমের শুরু থেকে ছন্দ খুঁজে চলা ফোডেন। এই সময়ে একটি অ্যাসিস্টসহ মোট ৭ গোলে অবদান রাখলেন তিনি।
আর এর ফলে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ৩-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এনসো মারেসকার শিষ্যদের।
এই জয়ে ২৩ ম্যাচে ১২ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠে এসেছে গার্দিওলার দল। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় পাঁচে নেমে গেছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। আর সমান সংখ্যক ম্যাচে ১২ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে রইল চেলসি।
দিনের অপর ম্যাচে ইপ্সউইচ টাউনকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে লিভারপুল। ২২ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৫ ড্রয়ে আর্নে স্লটের দলের পয়েন্ট ৫৩।
এছাড়া, উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টের জয়ে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রয়েছে আর্সেনাল। অপর ম্যাচে বোর্নমাউথের কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পরও ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে নটিংহ্যাম ফরেস্ট।
৩২৪ দিন আগে
বড় জয়ে সেরা আটে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখল রিয়াল
নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরের প্রথম ছয় ম্যাচের তিনটি হেরে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। কোচ কার্লো আনচেলত্তি তো বলেই দিয়েছিলেন যে সেরা আট নয়, প্লে-অফে টিকে থাকার লক্ষ্যে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে সেরা আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট পাওয়ার আশা কাগজে-কলমে টিকিয়ে রাখতে সপ্তম ম্যাচটি শুধু জিতলেই হতো না রিয়ালের, বড় ব্যবধানে জয়ের প্রয়োজন ছিল দলটির। আর সেটিই করে সেই আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আনচেলত্তির শিষ্যরা।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বুধবার রাতে রেডবুল জালৎসবুর্গের বিপক্ষে ৫-১ গোলের জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এদিন প্রথমার্ধে রদ্রিগোর জোড়া গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করেন ভিনিসিয়ুসও। মাঝে একটি গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে সিটিকে বাদ পড়ার শঙ্কায় ফেলে জিতল পিএসজি
দারুণ এই জয়ে সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ছয় ধাপ এগিয়ে ১৬তম স্থানে উঠেছে ১৫ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। সমান পয়েন্ট নিয়ে তাদের ওপরে জার্মানির দুই ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও বায়ার্ন মিউনিখ।
সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট আদায় করতে অনেক জটিল হিসাব-নিকাশ সামনে রেখে আগামী মঙ্গলবার লিগ পর্বের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ।
খুব বড় নাম না হলেও চলতি মৌসুমে বায়ের লেভারকুজেনের বিপক্ষে ড্র ও বার্সেলোনাকে হারিয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৩তম স্থানে থাকা দলটির আত্মবিশ্বাস রয়েছে তুঙ্গে। সেরা আটে জায়গা করে নিতে তাই এমবাপ্পে-ভিনিসিয়ুসদের মোটেও ছেড়ে কথা বলবে না তারা।
অপরদিকে, সাত ম্যাচের মাত্র একটি জিতে অস্ট্রিয়ান ক্লাব জালৎসবুর্গের পরের ধাপে ওঠার আশা আগেই শেষ হয়ে গেছে। আগামী বুধবার আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে তারা।
আরও পড়ুন: বায়ার্নকে হারিয়ে ফেয়েনুর্ডের চমক
দিনের অপর ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ড। এছাড়া পিএসজির বিপক্ষে ২-০ এগিয়ে গিয়েও ৪-২ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে ইন্টার মিলান ও এসি মিলান। আর দিনামো জাগরেবকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে টেবিলের তিনে উঠে গেছে মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল।
৩২৬ দিন আগে
বায়ার্নকে হারিয়ে ফেয়েনুর্ডের চমক
ম্যাচজুড়ে ৮০ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে ৩০টি শট নিয়েও গোলের দেখা পেল না বায়ার্ন মিউনিখ। অপরদিকে, আটটি শট নিয়ে তিনবার বল জালে পাঠিয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিল ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ড।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে শক্তিশালী বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ফেয়েনুর্ড।
দলটির হয়ে মেক্সিকান ফরোয়ার্ড সান্তিয়াগো হিমেনেস জোড়া গোল করেন, আর তৃতীয় গোলটি করে দলের জয় নিশ্চিত করেন জাপান ফরোয়ার্ড আয়াসে উয়েদা।
পুরো ম্যাচে স্বাগতিকদের ওপর ছড়ি ঘোরালেও শুরু থেকে কিছুটা এলোমেলো খেলতে থাকে ভিনসেন্ট কোম্পানির দল। এই সুযোগে বায়ার্নকে চমকে দিয়ে ২১তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন হিমেনেস।
নিজেদের অর্ধ থেকে খেইস স্মালের উঁড়ন্ত পাস নামিয়ে নিয়ে দুর্দান্ত এক শটে জাল খুঁজে নেন ২৩ বছর বয়সী মেক্সিকান ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে সিটিকে বাদ পড়ার শঙ্কায় ফেলে জিতল পিএসজি
এরপর সমতায় ফিরতে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে বায়ার্ন। বারবার আক্রমণে উঠে প্রতিপক্ষের রক্ষণ তটস্থ করে রাখে তারা। তবে লো-ব্লক ডিফেন্সে ব্যবধান ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে ফেয়েনুর্ডের খেলোয়াড়রা।
এরই ধাবাহিকতায় প্রথমার্ধের যোগ করা নবম মিনিটে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি দিয়ে বসেন বায়ার্নের পর্তুগিজ লেফট ব্যাক রাফায়েল গেরেইরো। এরপর স্পট কিক থেকে নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বিরতিতে যায় হিমেনেস অ্যান্ড কোং।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে আরও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে মিউনিখের দলটি। একের পর এক আক্রমণ আর শটে প্রতিপক্ষকে একেবারে কোণঠাসা করে রাখে তারা, কিন্তু ফেয়েনুর্ডের জমাট রক্ষণ ভেঙে কোনোভাবেই লক্ষ্যভেদ করতে পারছিলেন না হ্যারি কেইন- জামাল মুসিয়ালারা। সেইসঙ্গে গোলপোস্টে অসাধারণ পারফর্ম করেন ডাচদের গোলরক্ষক জাস্টিন বাইলোভ।
বায়ার্নের আক্রমণের হলকা সামলে ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে দলটির সমতায় ফেরার আশাও শেষ করে দেন উয়েদা। আন্তোনি মিলাম্বোর কাছ থেকে বল পেয়ে ঠান্ডা মাথায় ঠিকানা খুঁজে নেন এই জাপানি ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন: ভাগ্যের পালাবদলের রাতে ৯ গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি বার্সেলোনার
এই জয়ে সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট (৪ জয়, ১ ড্র) নিয়ে টেবিলের ১১তম স্থানে উঠে এসেছে ফেয়েনুর্ড। সেইসঙ্গে বাঁচিয়ে রেখেছে প্লে-অফ এড়িয়ে সরাসরি শেষ আট নিশ্চিতের আশা। অপরদিকে, ম্যাচটি হেরে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বরে নেমে গেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে আগামী বুধার ফরাসি ক্লাব লিলের মোকাবিলা করবে ফেয়েনুর্ড, আর স্লোভাকিয়ার ক্লাব স্লোভান ব্রাতিস্লাভার বিপক্ষে মাঠে নামবে ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা।
দিনের অপর ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে ২-০ এগিয়ে গিয়েও ৪-২ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এছাড়া প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, এসি মিলান ও আর্সেনাল।
৩২৭ দিন আগে
দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে সিটিকে বাদ পড়ার শঙ্কায় ফেলে জিতল পিএসজি
মাঠে কিংবা ব্যক্তিজীবনে, পেপ গার্দিওলার কঠিন সময় যেন শেষ হয়েও হচ্ছে না। টানা হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে কয়েকদিন আগেই সুসময়ে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল তার দল। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে এসে ফের খেই হারিয়ে ফেলল ম্যানচেস্টার সিটি।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে পিএসজির বিপক্ষে ২ গোলে এগিয়ে গিয়েও ফের নিদারুণ এক হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সিটিকে। অপরদিকে, ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও ৪-২ গোলের দারুণ এক জয় তুলে মাঠ ছেড়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
ম্যাড়মেড়ে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে জমে ওঠে ম্যাচ। সবগুলো গোল হয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেই।
অসাধারণ সব খেলোয়াড়ে সমৃদ্ধ হয়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরের শুরু থেকে ভুগতে থাকায় লিগ পর্ব থেকেই পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে রয়েছে দুই দল। ফলে বাদ পড়ার শঙ্কা এড়িয়ে প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা বাড়াতে এই ম্যাচটি জয়ের বিকল্প ছিল না উভয় দলেরই। তাছাড়া, দুই কোচই এক সময়কার সতীর্থ এবং নিজেদের অধীনে বার্সেলোনাকে ট্রেবল জেতানোয় পিএসজি-সিটি ম্যাচটি নিয়ে ফুটবলভক্তদের মধ্যে ছিল বাড়তি উত্তেজনা।
আরও পড়ুন: নাটকীয় বেনফিকা-বার্সা ম্যাচে হলো যেসব রেকর্ড
দুই কোচের খেলোয়াড়ি দর্শন প্রায় একই হলেও বল দখলের লড়াইয়ে এদিন সিটিকে টেক্কা দেয় পিএসজি। প্রথমার্ধে উভয় দলের খেলায় তেমন গতি না থাকলেও একটি গোল করে বসে পিএসজি, তবে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই ভোল পাল্টে ফেলে ম্যানচেস্টার সিটি। বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলেও যখনই বল পাচ্ছিলেন, তখনই আক্রমণে উঠে গোলের সুযোগ খুঁজছিলেন হালান্ড-ফোডেনরা।
এরই ধারাবাকিতায় ম্যাচের ৫০ ও ৫৩তম মিনিটে যথাক্রমে জ্যাক গ্রিলিশ ও আর্লিং হালান্ডের দুই গোলে চকিতে ম্যাচ জয়ের দাবিদার বনে যায় সিটি।
এরপর ঘুরে দাঁড়াতে বেশিক্ষণ লাগেনি পিএসজির। সিটির মতোই ৫৬ ও ৬০তম মিনিটে চকিতে দুই গোল করে দলকে সমতায় ফেরান উসমান দেম্বেলে ও ব্রাদলে বারকোলা।
এরপর থেকে ম্যানচেস্টারের দলটির ওপর ছড়ি ঘোরানো শুরু হয় এনরিকের শিষ্যদের। একের পর এক পরিকল্পিত আক্রমণে সিটির রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে দেয় তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭৮তম মিনিটে প্রথমবার দলকে লিড এনে দেন পিএসজির পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোইয়াও নেভেস। মাঝে দেম্বেলের আরও একটি গোল অফসাইডে বাতিলে হলে যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে সিটির কফিনে শেষ পেরকটি ঠুকে দেন আরেক পর্তুগিজ গন্সালো রামোস।
আরও পড়ুন: বায়ার্নকে হারিয়ে ফেয়েনুর্ডের চমক
এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে খেলাদের তালিকায় ঢুকে পড়েছে পিএসজি। তাদের অবস্থান এখন ২২তম। আর এই ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না পাওয়ায় ৮ পয়েন্ট নিয়ে বাদ পড়াদের তালিকায় নেমে গেছে গেছে পেপ গার্দিওলার দল। তাদের অবস্থান এখন প্লে-অফে খেলার সর্বেশেষ অবস্থান থেকে ঠিক নিচে, টেবিলের ২৫ নম্বরে।
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে আগামী বুধবার ২০তম স্থানে থাকা ক্লাব ব্রুজের মোকাবিলা করবে সিটি। প্লে-অফের আশা বাঁচাতে ওই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের সামনে। পিএসজির শেষ ম্যাচও একই দিন। প্লে-অফ নিশ্চিত করতে ২৪তম স্থানে থাকা স্টুটগার্টের বিপক্ষে জিততে হবে তাদেরও।
দিনের অপর ম্যাচে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, এসি মিলান ও আর্সেনাল। তবে ফেয়েনুর্ডের কাছে ৩-০ গোলে হেরে গেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
৩২৭ দিন আগে
নাটকীয় বেনফিকা-বার্সা ম্যাচে হলো যেসব রেকর্ড
ফুটবলপাড়ায় গতরাতের পাগলাটে ম্যাচের রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। বার্সেলোনা সমর্থকদের অনেকে এখনও স্বপ্নের মধ্যে ডুবে আছেন। এর মাঝে চলুন দেখে নেই, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ওই ম্যাচটি কতগুলো রেকর্ডে নাম তুলল।
বেনফিকাকে ৫-৪ গোলে হারানোর রাতে জোড়া গোল করেন রাফিনিয়া। এর মাধ্যমে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ৮টি। এর ফলে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে বসেছেন তিনি। ৯ গোল করে তালিকার শীর্ষে তারই সতীর্থ রবের্ট লেভানডোভস্কি। তিনিও ম্যাচটিতে পেয়েছেন জোড়া গোলের দেখা।
গোল করায় দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও গোলে অবদান রাখার তালিকায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড। আট গোলের পাশাপাশি তিনটি অ্যাসিস্টের কল্যাণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে মোট ১১ গোলে অবদান রেখেছেন তিনি।
রাফিনিয়ার প্রথম গোলটি ছিল ডি-বক্সের বাইরে থেকে হেডারে করা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় গোল। সেটিও দেখা গেল এক যুগ পর। সবশেষ ২০০৩ সালে আয়াক্সের বিপক্ষে বক্সের বাইরে থেকে হেডারে লক্ষ্যভেদ করেন ক্লাব ব্রুজের নরওয়ে স্ট্রাইকার রুনে লাঙ্গে।
আরও পড়ুন: ভাগ্যের পালাবদলের রাতে ৯ গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি বার্সেলোনার
গতরাতে পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল আদায় করে নতুন উচ্চতায় উঠেছেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে পেনাল্টি থেকে গোল করায় লিওনেল মেসিকে (১৮) ছাড়িয়ে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর রেকর্ড স্পর্শ করেছেন এই পোলিশ। স্পট কিক থেকে গোল করার রেকর্ডে ১৯ গোল নিয়ে রোনালদোর সঙ্গে এখন যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছেন লেভা। সামনের ম্যাচগুলোতে পেনাল্টি গোলে রূপান্তর করতে পারলেই সবাইকে ছাড়িয়ে যাবেন তিনি।
ইউরোপীয় এই প্রতিযোগিতার নাম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ করার পর থেকে মাত্র পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েও ম্যাচ হেরেছেন ভাঙ্গেলিস পাভলিদিস।
২০০৩ সালে সর্বপ্রথম এমন দুর্ভাগ্যজনক কীর্তি গড়েন ব্রাজিল কিংকদন্তি রোনালদো নাজারিও। সে বছর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হ্যাটট্রিক করেও রিয়াল মাদ্রিদকে ম্যাচ জেতাতে ব্যর্থ হন তিনি; ৪-৩ গোলে ম্যাচটিতে জয় পায় ইউনাইটেড। এরপর ২০১০ সালে সান সিরোতে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেও টটেনহ্যামকে জেতাতে পারেননি গ্যারেথ বেল; ওই ম্যচটিও ৪-৩ গোলে শেষ হয়। ২০২০ সালে তুরস্কের মিডফিল্ডার ইরফান কাভেচি ইস্তানবুল বাসাকসেহিরের জার্সিতে হ্যাটট্রিক করেন, তবুও লাইপসিগের কাছে ৪-৩ গোলে হারে তার দল। পরের বছর কপাল পোড়ে ক্রিস্তোফার এনকুঙ্কুর। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ক্লাব ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক পেলেও লাইপসিগ ম্যাচটি হারে ৬-৩ ব্যবধানে। এ মৌসুমে সেইসব অভাগাদের দলে নাম লেখালেন পাভলিদিস।
ম্যাচ হারলেও গতরাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের তৃতীয় দ্রুততম হ্যাটট্রিক (৩০ মিনিট) করেছেন এই গ্রিক ফরোয়ার্ড। এই তালিকায়ও শীর্ষে রয়েছেন লেভানডোভস্কি। ২০২২ সালে রেডবুল জালৎসবুর্গের বিপক্ষে ৭-১ গোলে বায়ার্নের জয়ের ম্যাচে মাত্র ২৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন এই স্ট্রাইকার। এছাড়া ১৯৯৬ সালে এসি মিলানের হয়ে ২৪ মিনিটে নরওয়ের ক্লাব রোজেনবর্গের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইতালিয়ান স্ট্রাইকার মার্কো সিমোনে।
আরও পড়ুন: ধ্রুপদী ফুটবলের রাতে গৌরবময় সময়ে ফেরার ইঙ্গিত বার্সেলোনার
চার গোল হজম করেও ইউরোপের এই এলিট লিগের ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে গতরাতে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে বার্সেলোনা। এর আগে ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে টটেনহ্যামকে একই স্কোরলাইনে হারিয়ে রেকর্ড গড়ে আর্সেনাল।
তবে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই প্রথম কোনো ম্যাচ জিতল বার্সেলোনা।
এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে (অন্তত ১০ ম্যাচ) এখন সবার উপরে হান্সি ফ্লিক। বায়ার্ন মিউনিখ ও বার্সেলোনা মিলিয়ে ২৪ ম্যাচ খেলেছে তার দল, যার ২১টিই জিতেছেন তিনি; এছাড়া ড্র করেছেন একটি ও হেরেছেন মাত্র দুটি ম্যাচ। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত ৮৮ শতাংশ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড এই জার্মান কোচের।
৩২৭ দিন আগে