এশিয়া
ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় থাইপ্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। একটি ফোনকল ফাঁস হওয়াকে কেন্দ্র করে নৈতিক স্খলনের অভিযোগের মুখে এবার তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দেশটির সাংবিধানিক আদালত জানিয়েছে, পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বরখাস্তের আহ্বান জানিয়ে ৩৬ সিনেটরের আবেদন বিবেচনা করা হয়েছে। এতে তার বিরুদ্ধে অসততা ও সংবিধান লঙ্ঘনের মাধ্যমে নৈতিক অবনমনের অভিযোগ আনা হয়েছে।-খবর দ্য গার্ডিয়ানের
ব্যাংককে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের পেতংতার্ন বলেন, ‘তিনি আদালতের রায় মেনে নিয়েছেন। তবে দেশের ভালোর জন্য কিছু করার আকাঙ্ক্ষা তার মধ্যে সবসময় রয়েছে।’
এ সময়ে ক্ষুব্ধ থাই নাগরিকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন তিনি। কম্বোডিয়ার সাবেক প্রভাবশালী নেতা হুন সেনের সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ব্যাপক চাপে পড়েন থাইল্যান্ডের এই প্রধানমন্ত্রী। ওই আলাপে দুই দেশের মধ্যকার সীমান্ত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ফোনালাপে হুন সেনকে ‘চাচা’ বলে সম্বোধন করে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, ‘যদি তার (হুন সেন) কিছু প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি সেটার ব্যবস্থা করে দেবেন।’ এ সময়ে থাই সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারদের নিয়েও সমালোচনামূলক মন্তব্য করতে শোনা গেছে তাকে।
এই ফোনালাপের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে কম্বোডিয়ার কাছে অতিমাত্রায় নতি স্বীকার করার অভিযোগ তুলেছেন সমালোচকরা।
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কম্বোডিয়া শাসন করেছেন হুন সেন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এখনো তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তিনি পেতংতার্নের পরিবারের পুরোনো বন্ধু, যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই সম্পর্কে তিক্ততা এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে বরখাস্ত হওয়ার ঘটনা সিনাওয়াত্রা পরিবারের এই বংশধরের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চলতি মাসে তার জোটের একটি অংশ সরকার থেকে সরে গেলেও স্বল্প-ব্যবধানের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন তিনি। পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথাও ভাবা হচ্ছিল।
তার পদত্যাগের দাবিতে শনিবার রাজধানী ব্যাংককে ১০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, মার্চে যেখানে তার জনপ্রিয়তা ছিল ৩০ দশমিক ৯ শতাংশ, বর্তমানে সেটা পড়তে পড়তে ৯ শতাংশে এসে নেমেছে।
পেতংতার্নের ধনকুবের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রাও আইনি ঝামেলার মধ্যে রয়েছে। দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লেস ম্যাজেস্টি (রাজকীয় মর্যাদার হানি) আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এই আইন অনুসারে, কেউ থাই রাজপরিবারের সমালোচনা করলে তার ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
গেল দুই দশক ধরে থাই রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন সিনাওয়াত্রা পরিবার ও তাদের বিরোধী রাজপরিবারপন্থি রক্ষণশীল সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
দুইবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা। কিন্তু এক অভ্যুত্থানে ২০০৬ সালে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। তার বোন ইয়াংলাক সিনাওয়াত্রাও ২০১৪ সালে একটি অভ্যুত্থানের পর আদালতের রায়ে ক্ষমতা ছেড়েছেন।
১৬৭ দিন আগে
জাপানে ৯ নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ‘টুইটার কিলার’র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
জাপানে ৯ নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে বহুল আলোচিত ‘টুইটার কিলার’ নামে পরিচিতি পাওয়া সিরিয়াল খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ২০১৭ সালে টুইটারে পরিচয় হওয়া অল্পবয়ষ্ক নারীদের হত্যার ঘটনাগুলো ঘটান দণ্ড পাওয়া ওই ব্যক্তি। ২০২২ সালে দেশটিতে পুনরায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড চালুর পর প্রথম কার্যকরের ঘটনা এটি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে জানা যায়, ৩৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম তাকাহিরো শিরাইশি। তিনি, মূলত টুইটারের মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত ও আত্মহত্যাপ্রবণ তরুণীদের ফাঁদে ফেলতেন। পরে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করতেন। এরপর তাদের মৃতদেহ টুকরো টুকরো করতেন এই ব্যক্তি। তার শিকারদের বেশিরভাগই ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী নারী।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই বহুল আলোচিত মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালত কক্ষে প্রবেশের জন্য শত শত মানুষ ভিড় করেন। আদালত তাকাহিরো শিরাইশির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। সম্প্রতি তার মৃত্যদণ্ড কার্যকর হয়। জানা যায়, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে পুলিশ নিখোঁজ এক তরুণীর সন্ধানে টোকিওর নিকটস্থ জামা শহরের তার অ্যাপার্টমেন্টে গেলে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডগুলো সামনে আসতে থাকে। পুলিশ ওই ফ্ল্যাট থেকে ৯টি মৃতদেহের টুকরো অংশ কুলার ও টুলবক্সে সংরক্ষিত অবস্থায় উদ্ধার করে। যা স্থানীয় গণমাধ্যমে ‘হরর হাউজ বা ভৌতিক বাড়ি’ নামে পরিচিতি পায়।
ঘটনাটি উদঘাটনের পরই এটি জাপানের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
যেভাবে ভয়ংকর ফাঁদে ফেলতেন তরুণীদের
সিরিয়াল খুনি শিরাইশির টুইটারে প্রোফাইলে লেখা ছিল, ‘কষ্টে থাকা ব্যক্তিদের সাহায্য করতে চাই। প্রয়োজনে সরাসরি মেসেজ দিন।’ এই ছদ্মবেশে তিনি আত্মহত্যায় ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এমনকি, কখনও কখনও তিনি নিজেও ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে আত্মহত্যা করবেন বলে তাদের ফাঁদে ফেলতেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে গাঁজা কিনতে লাগবে প্রেসক্রিপসন!
পরে শিরাইশি আদালতে ওই ৯জন হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেন। যদিও তার আইনজীবীরা দাবি করেন, ভিকটিমরা নিজের ইচ্ছায় মৃত্যুবরণ করতে চেয়েছিলেন। তাই এটি ‘সম্মতির সঙ্গে হত্যা’ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। তারা শিরাইশির মানসিক অবস্থা মূল্যায়নেরও দাবি জানান।
তবে নিজেই আইনজীবীদের সেই যুক্তি নাকচ করে শিরাইশি বলেছিলেন, ‘ভিকটিমদের কেউই তাকে সম্মতি দেননি। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের হত্যা করেছেন।’
এ ঘটনা সেইসময় জাপান জুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি করেছিল। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নীতিমালা সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছিল টুইটার (বর্তমানে এক্স) কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জাপানের আইনমন্ত্রী কেইসুকে সুজুকি জানান, ‘তাকাহিরো শিরাইশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’ বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘শিরাইশি নিছক নিজের যৌন এবং আর্থিক আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য এইসব বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।’
১৭১ দিন আগে
থাইল্যান্ডে গাঁজা কিনতে লাগবে প্রেসক্রিপসন!
থাইল্যান্ডে আবারও গাঁজার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। এখন থেকে, দেশটিতে গাঁজা কিনতে প্রয়োজন হবে প্রেসক্রিপসন বা ডাক্তারি ব্যবস্থাপত্র।
এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ২০২২ সালে গাঁজা বৈধ করে আলোড়নের সৃষ্টি করেছিল থাইল্যান্ড। এতে দেশটির পর্যটন ও কৃষি খাতে নতুন দিগন্ত খুলে যায়। তবে শিশুদের মধ্যে আসক্তি ও অনিয়ন্ত্রণ কেনাবেচা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে দেশটি।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর অনুযায়ী, গাঁজা নিয়ন্ত্রণে আবারও কঠোর হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার।
গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুয়েতিন এক আদেশের মাধ্যমে সব দোকানে প্রেসক্রিপশন ছাড়া গাঁজা বিক্রি নিষিদ্ধ করেন। এ ছাড়া, গাঁজা ফুলকে ‘নিয়ন্ত্রিত ভেষজ’ হিসেবে পুনরায় শ্রেণিকরণের প্রস্তাব দেন তিনি।
বুধবার (২৫ জুন) দেশটির মাদক নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের মহাসচিব ফানুরাত লুকবুন জানান, তার সংস্থা এরই মধ্যে নতুন নিয়ম বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। তবে, কবে নাগাদ এই নির্দেশনা কার্যকর হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।
সবশেষ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন ফেউ থাই পার্টি গাঁজাকে আবারও অপরাধ হিসেবে ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিলেও জোটসঙ্গী ভুমজাইথাই পার্টির বাধার মুখে তা সম্ভব হয়নি।
ভুমজাইথাই পার্টি দেশটিতে গাঁজা বৈধ করেছিল। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রা ও কম্বোডিয়ান নেতা হুন সেনের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর তারা সরকার ত্যাগ করতেন। এতে ক্ষমতাসীন দলটির জন্য গাঁজার ওপর কড়াকড়ি আরোপ আরও সহজ হয়েছে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক জানান, তিনি ভবিষ্যতে গাঁজাকে পুনরায় মাদক হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে চান।
গত মাসে দেশটির সরকারি প্রতিবেদনে দেখা যায়, বৈধকরণের পর থাইল্যান্ড থেকে পর্যটকদের মাধ্যমে গাঁজা পাচার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
থাইল্যান্ডের মাদক নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, গাঁজা বৈধ হওয়ার পর দেশটিতে এর আসক্তির হার বেড়ে গেছে। ফলে সরকারও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিচ্ছে।
সরকারি মুখপাত্র জিরায়ু হউংসাব এক বিবৃতিতে জানান, ‘দেশব্যাপী অসংখ্য দোকানে গাঁজা বিক্রি করা হয়। এর ফলে শিশুসহ সাধারণ মানুষের এটি আরও সহজলভ্য হয়েছে। অথচ সরকারের উদ্দেশ্য ছিল মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান।’
এদিকে, সরকারি সিদ্ধান্তের খবরে তার বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছে গাঁজা বৈধকরণের পক্ষের লোকজন। তাদের দাবি, নতুন নিষেধাজ্ঞাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আগামী মাসে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভেরও ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এমনকি, গাঁজা সেবন ও বিক্রয়কে পুনরায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন গাঁজাপ্রেমীরা।
১৭১ দিন আগে
ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দিতে সুপারিশ করবে পাকিস্তান
সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধে ভূমিকা রাখায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আগামী বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
করাচিভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক ডনের খবরে বলা হয়েছে, এটি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়নের নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে।সামাজিকমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে পাকিস্তান সরকার জানায়, ‘ভারতের অপ্রত্যাশিত ও অবৈধ আগ্রাসনের সাক্ষী হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এটি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার গুরুতর লঙ্ঘন ছিল। এর ফলে শিশু ও বৃদ্ধসহ বহু নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।’
ভারতের আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ‘বুনিয়ানুম মারসুস’ নামে সামরিক অভিযান চালায় পাকিস্তান। এটি ছিল একটি পরিমিত, দৃঢ় ও সঠিক সামরিক প্রতিক্রিয়া’ বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
পোস্টে আরও বলা হয়, এই প্রতিক্রিয়া দেশটির আত্মরক্ষা সম্পর্কিত মৌলিক অধিকার প্রয়োগ ও সতর্কতার সঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নেয়া হয়েছে। এতে আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং জনগণের ক্ষতক্ষতি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদর্শ নাকি নমনীয়তা, কোন পথে যাবেন খামেনি
পোস্টটিতে আরও বলা হয়, একটি উত্তেজনাপূর্ণ আঞ্চলিক পরিস্থিতির মধ্যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসলামাবাদ ও দিল্লির সঙ্গে দৃঢ় কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার বিশাল কৌশলগত দূরদর্শিতা ও অসাধারণ রাষ্ট্রনেতার ভূমিকা দেখিয়েছেন।
এতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্রুত অবনতির দিকে যাওয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল, যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে একটি বৃহত্তর সংঘর্ষ এড়াতে সক্ষম হয়েছেন, যা এই অঞ্চল ও তার বাইরের কোটি মানুষের জন্য ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারত।
পোস্টে বলা হয়, ‘এই হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তিনি (ট্রাম্পের) প্রকৃত শান্তির দূত হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন। পাশাপাশি, এটি সংলাপের মাধ্যমে সংঘর্ষ সমাধানের বিষয়ে তার অঙ্গীকারের প্রমাণ।’
১৭৭ দিন আগে
এবার ভারতে যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত ৭
ভারতে এবার উড়াল দেওয়ার পরই বিধ্বস্ত হয়েছে যাত্রীবাহী একটি হেলিকপ্টার। এতে, পাইলটসহ সাত আরোহী নিহত হয়েছেন।রবিবার (১৫ জুন) সকালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে এ ঘটনা ঘটে। রাজ্যের কেদারনাথ ধাম থেকে গুপ্তকাশী তীর্থস্থানের উদ্দেশে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় হেলিকপ্টারটি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উড্ডয়নের মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নন্দন সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনার পর উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চলছে।’অ্যারিয়ান অ্যাভিয়েশন নামের একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার সংস্থার পরিচালিত হেলিকপ্টারটি কেদারনাথ তীর্থপথের নিকটবর্তী একটি বনাঞ্চলে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিধ্বস্ত হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পাইলট ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট থেকে আসা তীর্থযাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার পর আগুন ধরে যাওয়ায় মরদেহগুলো মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে।
ভারতের অন্যতম চারটি তীর্থস্থানের একটি কেদারনাথ। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী সেখানে ভ্রমণ করেন। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলটিতে পৌঁছাতে অনেকেই হেলিকপ্টার সেবার ওপর নির্ভর করেন।
আরও পড়ুন: গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ: দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনার শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি ঘটলো। মাত্র তিন দিন আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দেশটির আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই যাত্রীবাহী এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল।
এ ঘটনায় বিমানে থাকা ২৩২ যাত্রী ও ১০ ক্রুর মধ্যে ২৪১জনই নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ২৭০ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিমানটি আহমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এ সময় ছাত্ররা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় মেডিকেল হোস্টেলের ৫ শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।
১৮৩ দিন আগে
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের দুই পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের দুই পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৩ জুন) পারস্য উপসাগরীয় দেশটির পরমাণু সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের পরমাণু জ্বালানি সংস্থার (এইওআই) সাবেক প্রধান ফিরেদুন আব্বাসি ও তেহরানের ইসলামি আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ মেহদি তেরাঞ্চি এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোর দেখভাল করে থাকে পরমাণু শক্তি সংস্থা (এইওআই)। আব্বাসিকে এর আগেও একবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। ২০১০ সালের ওই হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। তবে ১৫ বছর পর এসে আরেক হামলায় প্রাণ হারাতে হলো এই বিজ্ঞানীকে।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দেশটির প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা নাতানজসহ বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
এ হামলার চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হবে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে দাবি করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, নাতানজ পরমাণু স্থাপনার আংশিক ভূ-উপরিভাগে, কিছুটা ভূ-গভীর অবস্থিত। পারমাণবিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেখানে ইউরেনিয়াম গ্যাস ঘূর্ণনের জন্য একাধিক সেন্ট্রিফিউজ হল রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি নিহত
ইরানীয় কমান্ডার ও ক্ষেপণাস্ত্র কারখানাকেও হামলার নিশানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাইজিং লায়ন’ বা জেগে ওঠা সিংহ।
এদিকে পাল্টা হামলার আশঙ্কা থেকে ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
একটি ধারণকৃত ভিডিওবার্তায় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের ইতিহাসের এক চূড়ান্ত মুহূর্তে রয়েছি।’
পরমাণু বোমা, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও নাতানজ পরমাণু সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় কাজ করা বিজ্ঞানীদেরও হামলার নিশানা বানিয়েছে ইসরায়েল।
নাতানজ থেকে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, তেহরানে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়েছে। দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি সতর্ক।
ইরানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশটির শীর্ষ নেতারা একটি নিরাপত্তা বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের হামলা
১৮৫ দিন আগে
আহমেদাবাদে বিমান বিধ্বস্ত: ২৪১ জন নিহত, একমাত্র জীবিত উদ্ধার
এয়ার ইন্ডিয়া বোইং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্তের ঘটনাটি ভারতের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। এই বিমানটিতে ২৪২ আরোহী ছিলেন। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পর দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এতে ২৪১ জনের প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, একজন যাত্রী আশ্চর্যজনকভাবে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জি.এস. মালিক জানান, একমাত্র জীবিত ব্যক্তি ১১এ সিটে বসেছিলেন এবং বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বার্তা সংস্থা এএনআই-কে জানান, ‘একজন জীবিত ব্যক্তিকে পাওয়া গেছে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা এখনও মৃত্যুর চূড়ান্ত সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারছি না, কারণ উদ্ধারকাজ এখনও চলমান।’
আহমেদাবাদের পুলিশ প্রধান বরাতে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২০৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি যে, এই ২০৪ জনের সবাই বিমানটির যাত্রী ছিল, নাকি দুর্ঘটনাস্থলে কিছু মানুষ নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আহমেদাবাদে বিমান বিধ্বস্ত: ৫ মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত, আহত ৪০
দুর্ভাগ্যজনক ফ্লাইট ১৭১ লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য ও দুইজন পাইলটসহ যাত্রা শুরু করেছিল, যার মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক এবং ১১ জন শিশু ছিলেন।
বিমানটি শহরের বাইরের একটি আবাসিক ভবনে বিধ্বস্ত হয়ে পড়লে আগুন ধরে যায়। এর ফলে ঘন ধোঁয়া আকাশে উঠতে থাকে, যা এই ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানায়, বিমানটি একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে বিধ্বস্ত হয় এবং সেখানে থাকা মেডিকেলের ৫ শিক্ষার্তী নিহত হন।
দুর্ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ ছাত্রাবাসের ডাইনিং এরিয়ায় আটকে রয়েছে, যেখানে কিছু প্লেটে অস্পশ্য খাবারও দেখা যাচ্ছে।
১৮৬ দিন আগে
আহমেদাবাদে বিমান বিধ্বস্ত: ৫ মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত, আহত ৪০
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মেডিকেল হোস্টেলের ৫ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৪০ শিক্ষার্থী। এছাড়াও দুর্ঘটনার শিকার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতের কর্তৃপক্ষের বরাতে দ্য টেলিগ্রাফ ও ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে হতাহতের বিষয়ে এমনটিই বলা হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটিতে ২৪২ আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৩২ যাত্রী ও ১০ ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১১ শিশুও ছিল বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন: আহমেদাবাদে বিমান বিধ্বস্ত: ২৪২ আরোহীর কেউ বেঁচে নেই
এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আহমেদাবাদ-লন্ডন গ্যাটউইকে পরিচালিত এআই১৭১ বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। বিমানটিতে থাকা যাত্রীর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডিয়ান ছিলেন।
ছবিতে দেখা গেছে, বিমানের একটি অংশ বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ছাদে আটকে রয়েছে।
এফএআইএমএ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনে গভীরভাবে স্তম্ভিত। আমরা যখন জেনেছি বিমানটি বিজেএমসির ছাত্রাবাসে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অনেক এমবিবিএস শিক্ষার্থীও আহত হয়েছেন। তখন খবরটি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে!!!! আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং যেকোনো সহায়তার জন্য প্রস্তুত আছি!’
প্রায় ৪০ জন চিকিৎসক আহত হয়েছেন এবং অন্তত একজনের অবস্থা গুরুতর। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিজে মেডিকেল কলেজের একজন প্রত্যক্ষদর্শী ড. শ্যাম গোবিন্দ বলেছেন, ‘আমি এবং আমার জুনিয়র ডাক্তার আহত হয়েছি। ৩০-৪০ জন অনুগ্র্যাজুয়েট ডাক্তারও আহত হয়েছেন এবং এক থেকে দুইজন শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর।’
আরও পড়ুন: ভারতে বিধ্বস্ত লন্ডনগামী বিমানে ৫৩ ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন
বেসরকারি বিমান চলাচল অধিদপ্তর (ডিজিসিএ) জানায়, পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাবহরওয়াল বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে এক ‘জরুরি বিপদ’ সংকেত পাঠিয়েছিলেন। ‘মেইডে’ সংকেত একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিপদ সংকেত, যা প্রধানত বিমানচালনা ও সমুদ্র পরিবহন যোগাযোগের ক্ষেত্রে জীবনসংকটাপন্ন জরুরি অবস্থার তথ্য জানাতে ব্যবহার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এটি ‘খুবই বেদনাদায়ক’। তিনি বলেন, তিনি মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন যারা আক্রান্তদের সহায়তা করার জন্য কাজ করছেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধনা উপদেষ্টা এই বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ভারতের শহর আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে অনেক ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন, দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার দৃশ্যগুলো ভীষণ মর্মান্তিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট পাচ্ছি এবং এই গভীর উদ্বেগজনক মুহূর্তে আমার চিন্তা যাত্রী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।’ এছাড়া এই দুর্ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারাও শোক প্রকাশ করেছেন।
১৮৬ দিন আগে
আহমেদাবাদে বিমান বিধ্বস্ত: ২৪২ আরোহীর কেউ বেঁচে নেই
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যাত্রী ও ক্রুদের সবাই মারা গেছেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মেডিকেলের হোস্টেলের ভবনে থাকা পাঁচজন মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দ্য টেলিগ্রাফ ও ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে হতাহতের বিষয়ে এমনটিই বলা হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটিতে ২৪২ আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৩২ যাত্রী ও ১০ ক্রু রয়েছেন।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি অনেকটা নিচ দিয়ে উড়ছিল, এসময়ে উপরের দিকে উঠতে বারবার চেষ্টা করছিল। এরপর হঠাৎ করে আকাশযানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের কুণ্ডলী বেরিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ভারতে বিধ্বস্ত লন্ডনগামী বিমানে ৫৩ ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন
এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আহমেদাবাদ-লন্ডন গ্যাটউইকে পরিচালিত এআই১৭১ বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
১৮৬ দিন আগে
ভারতে বিধ্বস্ত লন্ডনগামী বিমানে ৫৩ ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটিতে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন। বিমানটি লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।
বোইং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি উড্ডয়ন করার পর অল্প সময়ের মধ্যেই একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে।
একটি অক্ষত বিমানের একটি অংশ ভবনের উপর ঝুলে থাকতে দেখা যায়। আর ধ্বংসাবশেষ থেকে আহত লোকদের অ্যাম্বুলেন্সে করে সরিয়ে নেওয়ার সময় শহরের উপর ব্যাপক কালো ধোয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়।
পুলিশ এখনো কোনো হতাহতের খবর নিশ্চিত করেনি। তবে তারা নিশ্চিত করেছে যে, বিমানটি চিকিৎসকদের একটি হোস্টেলে আঘাত করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ২৪২ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত
১৮৬ দিন আগে