এশিয়া
ভারতে ২৪২ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত
ভারতের আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটিতে ২৪২ আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৩২ যাত্রী ও ১০ ক্রু রয়েছেন। নয়াদিল্লিভিত্তিক এনডিটিভির খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি অনেকটা নিচ দিয়ে উড়ছিল, এসময়ে উপরের দিকে উঠতে বারবার চেষ্টা করছিল। এরপর হঠাৎ করে আকাশযানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের কুণ্ডলী বেরিয়ে আসে।আরও পড়ুন: ফ্লোরিডায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ৩
এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আহমেদাবাদ-লন্ডন গ্যাটউইকে পরিচালিত এআই১৭১ বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ঘন ধূসর ধোঁয়ার কুণ্ডলী উপরের দিকে উঠছে। আশপাশে দুই ডজনেরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স জড়ো হয়েছে। কোনো কোনো অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য দিতে পারেনি দেশটির পুলিশ। তারা জানিয়েছে, বিমানবন্দরের কাছের একটি বেসামরিক এলাকায় এটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
১৮৬ দিন আগে
দিল্লিতে তীব্র দাবদাহ, রেড অ্যালার্ট জারি
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (১১ জুন) দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
দিল্লির বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৪০.৯ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করলেও হিট ইনডেক্স বা তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার সম্মিলিত প্রভাব ৫১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
রাজধানীতে পারদ চড়লেও উত্তর-পশ্চিম ভারতে অবশ্য কিছুটা স্বস্তির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। সংস্থাটির মতে, ১৪ জুন থেকে ওই এলাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে। যদিও পশ্চিম রাজস্থান ও আশপাশের এলাকাগুলোতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে, তবুও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে যাওয়ার সময় গোপালগঞ্জের আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিনে আইএমডি জানায়, ‘পূর্ব ভারতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তবে পরবর্তী তিন দিনে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং এরপর থেকে তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকবে।’
কবে থেকে কমবে দিল্লির তাপমাত্রা
আইএমডির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পশ্চিম দিক থেকে আসা ঝোড়ো বাতাস কারণে দিল্লিতে শুক্রবারের (১৩ জুন) পর থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।
তার কথায় সমর্থন দিয়েছেন আইএমডির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী নরেশ কুমারও। স্থানীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তীব্র গরম অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ১৩ জুন রাত থেকে পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হওয়া বাতাসের প্রভাবে দিল্লিতে হালকা বৃষ্টি ও বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।’
গতকাল (১১ জুন) আইএমডির বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লির সবচেয়ে উত্তপ্ত এলাকা ছিল আয়ানাগার (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। এরপর যথাক্রমে পালাম (৪৪.৫), রিজ (৪৩.৬), পিতমপুরা (৪৩.৫), লোধি রোড (৪৩.৪), সফদরজং (৪৩.৩), ও ময়ূর বিহার (৪০.৯) সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ে।
আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট বহাল থাকলেও শুক্রবার রাত থেকে পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা জারি
পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে দিল্লিতে গ্রীষ্মকালীন সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা (৮,২৩১ মেগাওয়াট) রেকর্ড করেছে রাজ্য লোড ডিসপ্যাচ সেন্টার (এসএলডিসি)।
১৮৬ দিন আগে
আইপিএল উদযাপন অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহত ৭, আহত ২৫
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় বেঙ্গালুরু শহরে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।
বুধবার (৪ জুন) আইপিএল উদযাপনের সময় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে খবরে জানিয়েছে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএলের বিজয় উদযাপন করতে হাজার হাজার ক্রিকেটভক্ত জড়ো হয়েছিল। এতেই এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোর ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ আহত এবং অচেতন হয়ে পড়া ব্যক্তিদের অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাচ্ছে।
ঘটনা ও হতাহতের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা
১৯৪ দিন আগে
রঙে আঁকা ভবিষ্যদ্বাণী: কল্পনার ভূকম্পে বাস্তবিক আতঙ্ক
কাল্পনিক হলেও জাপানের একটি জনপ্রিয় মাঙ্গায় (জাপানি ভাষায় তৈরি গ্রাফিক উপন্যাস বা কমিক বই) ভূমিকম্পের ভবিষ্যদ্বাণী জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। দেশটির পর্যটন শিল্পেও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে এশীয় কয়েকটি দেশ– দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও হংকং থেকে জাপান ভ্রমণের ফ্লাইট বুকিংয়ের হার আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন খবর দিয়েছে।
লেখিকা রয় তাতসুকির ‘দ্য ফিউচার আই স্য’ নামের মাঙ্গাটি তার নিজের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক স্বপ্নের ওপর ভিত্তি করে লিখেছিলেন। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত মাঙ্গাটির প্রচ্ছদে ২০১১ সালের মার্চে একটি ভয়াবহ দুর্যোগ সংঘটনের ইঙ্গিত ছিল। এ সময়ে দেশটিতে স্মরণকালের বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানে।
এতে জাপানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন এবং এর ফলে ফুকুশিমার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে আসে।
পরবর্তীতে, মাঙ্গাটির ২০২১ সালে প্রকাশিত নতুন সংস্করণে নির্মাতা তাতসুকি পূর্বাভাস দেন–পরবর্তী ভয়াবহ দুর্যোগটি ২০২৫ সালের ৫ জুলাই ঘটবে।
আরও পড়ুন: গাজায় চিকিৎসক দম্পতির ১০ সন্তানের ৯ জনই নিহত
এই দাবির বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। তবে ২০১১ সালের দুর্যোগ নিয়ে লেখিকার পূর্বাভাস মিলে গিয়েছিল। যে কারণে তার সাম্প্রতিক পূর্বাভাস সামাজিকমাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় এসেছে। বিষয়টি অনেকেই গুরুত্বসহকারে নিচ্ছেন। পূর্বাভাসের কারণে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের মধ্যে।
এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে জাপানের পর্যটন খাতে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও হংকং থেকে জাপানগামী পর্যটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে।
বিমান বুকিং বিশ্লেষণকারী সংস্থা ফরোয়ার্ডকিইসের তথ্য ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অর্থনৈতিক গবেষণা ও বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, হংকং থেকে জাপানগামী ফ্লাইট বুকিং গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ কমেছে। চলতি বছরের জুনের শেষ থেকে জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত সময়কালের বুকিং ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
হংকংয়ের একটি পর্যটন সংস্থা (ট্রাভেল এজেন্সি) জানিয়েছে, ওই মাঙ্গার প্রভাবেই অনেকেই জাপান সফরের পরিকল্পনা বাতিল করছেন। এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বসন্তকালীন ছুটির সময়ে জাপানগামী পর্যটক সংখ্যা এরমধ্যেই গত বছরের অর্ধেকে নেমে গেছে।
হংকংভিত্তিক বিমান সংস্থা গ্রেটার বে এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, চেরি ফুলের মৌসুম ও ইস্টার ছুটিকে কেন্দ্র করে সাধারণত জাপানে ভ্রমণের চাহিদা বেশি থাকলেও এবার তা আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে।
জাপানে সংস্থাটির কান্ট্রি ম্যানেজার হিরোকি ইতো স্থানীয় গণমাধ্যম আসাহি শিম্বুনকে বলেন, ‘আমরা ধারণা করেছিলাম এবারের মৌসুমে বিমানের আসনের প্রায় ৮০ শতাংশ বুক হয়ে যাবে। অথচ বাস্তবে হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ।’
এ অবস্থায় গ্রেটার বে এয়ারলাইন্স ও হংকং এয়ারলাইন্স জাপানের ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বানরেরাও অপহরণ করে! বিজ্ঞানীদের অদ্ভুত আবিষ্কার
এদিকে, জাপান সরকার এই গুজব এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির মিয়াগি প্রদেশের গভর্নর ইয়োশিহিরো মুরাই বলেছেন, ২০১১ সালের ভূমিকম্পে যে তিনটি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল, তার মধ্যে মিয়াগি অন্যতম।
গভর্নর মুরাই এ ধরনের গুজবের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘এসব ভিত্তিহীন দাবি পর্যটনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি—গুজবে কান না দিয়ে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিন।’
কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে জাপানে পর্যটকের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এপ্রিল মাসে রেকর্ড ৩৯ লাখ পর্যটক দেশটিতে ভ্রমণ করেছেন। সরকার আশা করছিল, চলতি দশকের শেষে দেশটির বার্ষিক পর্যটক সংখ্যা ৬ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
এদিকে, দেশটির সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, ২০২১ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে মাঙ্গাটির নতুন সংস্করণের প্রায় ১০ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। এটার ওপর ভিত্তি করে ইউটিউবে ১,৪০০টিরও বেশি ভিডিও ছাড়া (আপলোড) হয়েছে, সেগুলো এরমধ্যেই ১০০ কোটিরও বেশি বার দেখা হয়েছে।
কিছু ভিডিওতে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ এমনকি উল্কাপাতের মতো আতঙ্কজনক পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’ এলাকায় অবস্থিত হওয়ার কারণে জাপান পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ দেশ।
রিং অফ ফায়ার’ হলো প্রশান্ত মহাসাগর ঘিরে বিস্তৃত ভূকম্পন ও আগ্নেয়গিরিপ্রবণ একটি অঞ্চল, যেখানে পৃথিবীর অধিকাংশ শক্তিশালী ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটে।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের সময় ও স্থান সঠিকভাবে পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়।
গেল আগস্টে, ভূকম্পবিদদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে মেগা ভূমিকম্পের সতর্কবাণীতে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা একটি বিদেশ সফর বাতিল করেছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশটির একটি সরকারি টাস্কফোর্স আশঙ্কা করেছে, নানকাই ট্রাফ এলাকায় ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।
এতে, প্রায় ২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষের প্রাণহানি ও ২০ লাখেরও বেশি স্থাপনা ধ্বংস হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাদের মতে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে এমন দুর্যোগ ঘটার সম্ভাবনা প্রায় ৮০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সুদানে এশীয় অভিবাসীদের নির্বাসন-চেষ্টার অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে
অন্যদিকে, মাঙ্গার নির্মাতা তাতসুকি তার পূর্বাভাসগুলি বিশ্বাস না করার জন্য পাঠকদের সতর্ক করেছেন। দেশটির গণমাধ্যমে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার লিখা মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ব্যাপারে সচেতন করেছে, এটা আনন্দের বিষয়। তবে অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রভাবিত না হয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত শোনা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২০০ দিন আগে
স্কুলবাসে বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ৮, ভারতকে দায়ী করল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানে একটি স্কুলবাসে বোমা হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে। হামলায় গুরুতর তিন শিশু আজ শুক্রবার মারা যাওয়ার পর হতাহতের এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে। গত বুধবার দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেলুচিস্তান প্রদেশের খুজদার শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলেছে, এই হামলায় বিদ্রোহীদের মদদ দিয়েছে ভারত।
নিহতদের মধ্যে দুই সেনাও রয়েছেন। সেনাসদস্যরা হামলার সময় বাসে ছিলেন। পাকিস্তানের এই প্রদেশটিতে কয়েক দশক ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদীর বিদ্রোহ করে আসছে।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, হামলায় ৩৯ শিশুসহ মোট ৫৩ জন আহত হয়েছেন। শিশুরা তাদের আর্মি পাবলিক স্কুলে যাওয়ার সময় বোমা হামলার শিকার হন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে হামলায় শতাধিক ‘সন্ত্রাসবাদী’ নিহতের দাবি ভারতের
পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ বলেছেন, আহত শিশুদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে ভারতের নির্দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত বালুচ লিবারেশন আর্মির বিদ্রোহীরা বোমা হামলা চালিয়েছে। ভারতের পরামর্শে সংগঠনটিকে ২০১৯ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।
শরিফ বলেন, পাকিস্তানের কাছে প্রমাণ আছে যে, ‘পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলা’ পরিচালনা করছে ভারত। এসব বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর দেওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে ভারত এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি এবং পাকিস্তানও নিজের দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।
কোনো গোষ্ঠী এখন পর্যন্ত ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
চলতি মাসের শুরুতে দুই পক্ষের মধ্যে চার দিনের সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখনও চরমে। এমনকি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার আগেও উভয় পক্ষই সীমান্তে গুলি চালিয়েছে।
২০৬ দিন আগে
ভারতে চীন-তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের এক্স অ্যাকাউন্ট ব্লক
পাকিস্তানের পক্ষে প্রচার চালানো ও অপতথ্য ছড়ানোর অভিযোগে চীনের একাধিক রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ভারতে ব্লক করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া ও দেশটির রাষ্ট্র সমর্থিত জাতীয়তাবাদী ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমসের এক্স অ্যাকাউন্ট নিজ দেশে ব্লক করে দেয় ভারতীয় প্রশাসন। একই সঙ্গে তুরস্কের টিআরটি ওয়ার্ল্ডও ভারতে ব্লক করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
তবে আইনি অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) গ্লোবাল টাইমসের অ্যাকাউন্ট ফের চালু হয়। উল্লেখ্য, খোদ চীনেই এক্স নিষিদ্ধ।
গত এক সপ্তাহে ভারত হাজার হাজার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট টার্গেট করেছে, যার মধ্যে বেশ কিছু স্বীকৃত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকও রয়েছেন। এতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি।
গত সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ হয়। এটি ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রতিবেশী দেশদুটির মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ। এ ঘটনায় দুই দেশের পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে যাচাইহীন তথ্য ও অপপ্রচার ছড়ায়।
আরও পড়ুন: পাল্টা আঘাত না এলে বৈরিতা বাড়াতে চায় না ভারত-পাকিস্তান
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেলে উভয় পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিল চীন। পরে রবিবার (১১ মে) চীন সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশকে ‘জাংনান’ নামে অভিহিত করে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে নতুন নামের তালিকা প্রকাশ করে। এই বিষয়ে ভারত তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং ঘটনাটিকে ‘অপ্রয়োজনীয় ও হাস্যকর’ বলে আখ্যায়িত করে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালা বুধবার (১৪ মে) এ বিষয়ে বলেন, ‘নামের কৃত্রিম এই পরিবর্তন বাস্তবতা পাল্টাতে পারবে না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।’
এরপর গতকালই (বুধবার) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, অঞ্চলটি চীনের ছিল এবং এ বিষয়ে নামকরণ ‘চীনের সার্বভৌম অধিকারের মধ্যে’ পড়ে।
জনসংখ্যায় বিশ্বের শীর্ষ দুটি দেশ ভারত ও চীনের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ। হিমালয়ের পাদদেশে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চল নিয়ে মাঝেমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ হয়ে থাকে।
২১৪ দিন আগে
পাকিস্তানে হামলায় শতাধিক ‘সন্ত্রাসবাদী’ নিহতের দাবি ভারতের
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির ও দেশটির অন্যান্য অংশে সাম্প্রতিক সেনা অভিযানে শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ শতাধিক ‘সন্ত্রাসবাদী’ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত।
রবিবার (১১ মে) দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন ভারতের সামরিক কার্যক্রমের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই।
তিনি জানান, পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিও ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
লস্কর-ই-তৈয়বা নামক সংগঠনটি ভারত সরকার জঙ্গি সংগঠন হিসেবে গণ্য করে এবং দেশটির অভ্যন্তরে ও কাশ্মিরে একাধিক হামলার জন্য এদেরকেই দায়ী মনে করে।
রাজিব ঘাই আরও বলেন, ‘আমরা তাদের (লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য) পুরোপুরি অপ্রস্তুত অবস্থায় ধরেছিলাম।’
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনা গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালিয়ে ২৬ পর্যটককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায় চিরবৈরি এই দুই প্রতিবেশি দেশ।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। তবে ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে। পরবর্তীতে দুপক্ষই একে অপরের কূটনীতিক ও নাগরিকদের নিজেদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে। পাশাপাশি সীমান্ত ও আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
এরপরই গত ৬ মে দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শনিবার (১০ মে) যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান।
যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, উভয় দেশ স্থল, জল এবং আকাশপথে সব ধরনের সামরিক তৎপরতা বন্ধ করতে রাজি হয়।
আরও পড়ুন: পাল্টাপাল্টি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
ভিন্ন ভিন্ন হতাহতের সংখ্যা
ঘাই জানান, গত কয়েকদিনে এলওসি বা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর লড়াইয়ে অন্তত ৩৫-৪০ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন, পাশাপাশি ভারতের পাঁচজন সেনাও প্রাণ হারিয়েছেন।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দাবি করেন, তাদের পাল্টা হামলায় ৪০-৫০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন।
ভারতের এয়ার মার্শাল এ.কে. ভারতী জানান, পাকিস্তান থেকে আসা একাধিক ড্রোন অনুপ্রবেশ ব্যর্থ করা হয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তানি বিমান ঘাঁটিতে আরও বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
তবে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পাকিস্তানের দাবির বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেননি। তাছাড়া, ভারতীয় বাহিনীও কয়েকটি পাকিস্তানি বিমান ভূপাতিত করেছে বলে জানান তিনি, যদিও তার বক্তব্যের সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাননি।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে , তারা কোন পক্ষের দাবিই স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির পরও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার সহিংসতা শুরুর খবর পাওয়া গেছে। কাশ্মির ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে গোলাগুলি ও ড্রোন দেখা গেছে বলে এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গতকাল সংঘর্ষ কিছুটা কমে আসলেও স্থানীয়দের মনে আতঙ্ক রয়ে গেছে। ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুঞ্চ জেলার এক শিক্ষার্থী সোসান জেহরা বলেন, ‘পুরো এলাকা বিশৃঙ্খলার মধ্যে ছিল। শেল পড়তেই মানুষ দৌড়ে পালাচ্ছিল।’
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন নীলম উপত্যকার বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহিদ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির পর আমরা আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু এখন আবার অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে।’
কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
শনিবার নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে উভয় দেশই বিষয়টি নিশ্চিত করে।
তবে পাকিস্তান এই মধ্যস্থতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেও ভারত এ বিষয়ে নীরব থাকে।
এ ছাড়া, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এটি দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও মূল সমস্যাগুলোর সমাধানের পথ খুলে দিতে পারে।’
এদিকে, পরে পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য রবিবার উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে, উভয় দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা আজ (সোমবার) সরাসরি বৈঠকে বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান: ট্রাম্প
গত কয়েক দিন ধরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাগুলিতে লিপ্ত ভারত-পাকিস্তান। হামলার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে। আবার দুই দেশেরই দাবি, প্রতিপক্ষের হামলা প্রতিরোধেই গুলি চালিয়েছে তারা। এমনকি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন নিয়েও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে চলেছে চিরবৈরি এই দুই প্রতিবেশি দেশ।
কাশ্মির নিয়ে এই ভারত-পাকিস্তানের এই বিরোধ বহু পুরনো। উভয় দেশই পুরো কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ চায়। এরই মধ্যে অঞ্চলটি নিয়ে দুবার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে দেশ দুটির মধ্যে। এখনও এই অঞ্চল নিয়ে তীব্র সংঘাত চলছে।
২১৭ দিন আগে
পাল্টাপাল্টি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
পাল্টাপাল্টি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর শনিবার (১০ মে) যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে।
তবে রবিবার (১১ মে) ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর ও জম্মুতে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির দাবি, ‘পাকিস্তান বারবার যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তারা হামলা চালিয়েছে, পরে ভারতীয় সেনারা তার জবাব দিয়েছে।’
নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চুক্তি লঙ্ঘনের এই কার্যকলাপগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও পরিস্থিতির মোকাবেলায় যথাযথ গুরুত্ব ও দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করার জন্য আমরা পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানাই।’
অন্যদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারতের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে তারা ‘পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
আরও পড়ুন: পাল্টা আঘাত না এলে বৈরিতা বাড়াতে চায় না ভারত-পাকিস্তান
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনা গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালিয়ে ২৬ পর্যটককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায় চিরবৈরি এই দুই প্রতিবেশি দেশ।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। তবে ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে। পরবর্তীতে দুপক্ষই একে অপরের কূটনীতিক ও নাগরিকদের নিজেদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে। পাশাপাশি সীমান্ত ও আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
এরপরই গত ৬ মে দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে অন্তত ৩৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানায় দেশটির সরকার। আবার পাকিস্তানও পাল্টা অভিযান ঘোষণা করে। পাকিস্তানের হামলায় ২১ ভারতীয় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।
এতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান।
শনিবার নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতে দীর্ঘ আলোচনার পর তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান।’
পরে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। প্রায় তিন ডজন দেশের কূটনৈতিক সহায়তায় এই চুক্তি সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শঙ্করও চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, উভয়পক্ষই শত্রুতা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় অবস্থানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও একে বৃহত্তর স্থিতিশীলতার পথে একটি পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, নিরপেক্ষ জায়গা থেকে এক গুচ্ছ বিস্তৃত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান: ট্রাম্প
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফসহ দুই দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গেল ৪৮ ঘণ্টা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও মার্কো রুবিও।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, এটি দীর্ঘমেয়াদে বজায় থাকবে।
সূত্র: বিবিসি
২১৮ দিন আগে
পাল্টা আঘাত না এলে বৈরিতা বাড়াতে চায় না ভারত-পাকিস্তান
প্রতিবেশী দেশ থেকে প্রতিশোধ না এলে বৈরিতা বাড়াবে না বলে জানিয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। এর আগে দুই দেশই পরস্পরের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে। গত মাসে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার পর এটি ছিল দুপক্ষের মধ্যে সবচেয়ে বড় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, ‘ভারত যদি আর কোনো হামলা না চালায়, তাহলে উত্তেজনা প্রশমনের কথা ভাববে তার দেশ। তবে ভারত যদি কোনো ধরনের হামলা চালায়, তাহলে আমরা তার জবাব দেব।’
পাকিস্তানের জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা জবাব দিয়েছি। কারণ আমাদের ধৈর্যের সীমা শেষ হয়ে গেছে। যদি তারা এখানে থামে, তাহলে আমরাও থেমে যাওয়ার কথা ভাবব।’
দিল্লিতে এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় উইং কমান্ডার ভূমিকা সিং বলেন, ‘তার দেশ উত্তেজনা প্রশমনে অঙ্গীকারাবদ্ধ, যদি পাকিস্তানের তরফ থেকে কোনো ধরনের প্রতিশোধ না আসে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের তিন বিমানঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ
‘তবে সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানের স্থলবাহিনীকে অগ্রসর হতে দেখা গেছে। একটি হামলা নতুন করে উত্তেজনা বাড়ানোর আভাস দিচ্ছে,’ বলেন তিনি।
ভারত-পাকিস্তানকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। শনিবার ভারতীয় কর্মকর্তা ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
উত্তেজনা প্রশমনের উপায় খুঁজে বের করতে দুপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে সংঘাত এড়াতে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে বলেও তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘ভারতকে আমরা উপযুক্ত জবাব দিয়েছি। আমাদের নিরপরাধ নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ নিয়েছি।’ যদিও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত।
ভারতের উসকানির জবাবে তার দেশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে বলেও দাবি করেনে শাহবাজ শরিফ। বলেন, ‘রাতে বিমান ঘাঁটি ও অন্যান্য স্থানে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরে তার জবাব দিয়েছে পাকিস্তান।’
তবে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘বর্তমানে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের শঙ্কা নেই। কিন্তু যদি তেমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে এখন যারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: ৩ রুটে ফ্লাইটের সময়সূচি পরিবর্তন বিমানের
জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বকে বলতে চাই, এটি কেবল এই অঞ্চলের মধ্যেই আটকে থাকবে না; এটি হবে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক। ভারত যে পরিস্থিতি তৈরি করছে, তাতে আমাদের বিকল্পগুলো কমছে।’
এ সময় পরমাণু অস্ত্রের দেখভাল করা ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির কোনো বৈঠক ডাকা হয়নি বলেও দাবি করেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
২১৯ দিন আগে
পাকিস্তানের তিন বিমানঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ
পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটি। এছাড়া, জবাবে তারাও পাল্টা হামলা শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১০ মে) ভারত ওই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়েছে, ভারতের হামলার জবাবে দেশটির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ফাতেহ নামের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার কথা জানিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
আহমদ শরীফ জানান, পাকিস্তানের বিমানবাহিনী নিরাপদ আছে। তাছাড়া কিছু ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র পাঞ্জাবসহ তাদেরই দেশের অভ্যন্তরে আছড়ে পড়েছে। ভারতের এই হামলাকে তিনি ‘চরম উসকানিমূলক কাজ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এদিকে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে। পাল্টা এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন মারসুস’।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দেশটির পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির তত্ত্বাবধায়নকারী জাতীয় কমান্ড অথরিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম।
আরও পড়ুন: সীমান্তে আবারও ভারত-পাকিস্তানের গোলাগুলি, নিহত ৫
এর আগে আহমদ শরীফ জানান, শনিবার ভারতের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাজধানী ইসলামাবাদ-সংলগ্ন একটি বিমানঘাঁটি, চকওয়ালের মুরিদ ঘাঁটি ও পূর্ব পাঞ্জাবের রফিকি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আফগানিস্তানেও পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আদমপুর থেকে ছয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ভারত। একটি আদমপুরেই পড়েছে, বাকিগুলো ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে আছড়ে পড়ে।’
পাকিস্তানের পাল্টা হামলার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর, জম্মু ও উধমপুরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জেট বিমানের শব্দ ও বিমানবন্দর-সংলগ্ন এলাকায় বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজে আতঙ্কিত হওয়ার কথা জানান তারা।
ভারতের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেশ পাল বৈদ বলেন, ‘সাম্প্রতিক বিস্ফোরণগুলো আগের ড্রোন হামলা থেকে ভিন্ন ছিল। এগুলো সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে বলে মনে হচ্ছে।’
তবে ভারতের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। অন্যদিকে, পাকিস্তান থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরও দেশটির প্রধান শহরগুলোতে জীবনযাত্রা মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে। অবশ্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সব বিমানবন্দর বন্ধ রেখেছে দেশটির সরকার।
এদিকে, পাল্টা হামলা চালানোয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ। লাহোর, মুলতান, পেশোয়ার ও করাচিতে জনতাকে সেনাবাহিনীর পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
লাহোরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আশরাফ বলেন, ‘আমরা খুশি, কারণ আমাদের বাহিনী অবশেষে জবাব দিয়েছে।’ মুলতানের আরেক বাসিন্দা মোহাম্মদ রিজওয়ান সেনাবাহিনীকে ‘দেশের রক্ষাকর্তা’ হিসেবে আখ্যা দেন।
আরও পড়ুন: এবার ভারতের ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
অন্যদিকে, পাকিস্তান সীমান্ত ও কাশ্মীর-সংলগ্ন এলাকায় ২৬টি স্থানে ড্রোন দেখা গেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেগুলোর গতিবিধি নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
গত মাসে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালিয়ে ২৬ পর্যটককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। তবে ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে। এ ঘটনার পর দুদেশের সম্পর্কে নতুন করে অবনতি হয়েছে। পরবর্তীতে দুপক্ষই একে অপরের কূটনীতিক ও নাগরিকদের নিজেদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে। পাশাপাশি সীমান্ত ও আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এরপরই গত ৬ মে দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানায় দেশটির সরকার। এর মধ্যে ২৬ জন ক্ষেপণাস্ত্রে, আর পাঁচজন গোলার আঘাতে নিহত হন বলে জানা গেছে। জবাবে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করে পাকিস্তান।
আবার জম্মুসহ একাধিক শহরে পাকিস্তানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি প্রতিহত করার দাবি করে ভারত। যদিও এসব দাবি অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। তাছাড়া লাহোরের কাছে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্যবস্তু করার দাবিও করেছে ভারত, যদিও এসব তথ্য যাচাই হয়নি।
চলমান এই পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জি৭ জোটভুক্ত দেশগুলো। এ ছাড়াও উত্তেজনা কমাতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অবিলম্বে সংলাপ শুরু হওয়া জরুরি বলে বিবৃতি দিয়েছে কানাডা।
এ ছাড়াও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেকার উত্তেজনা নিরসনের জন্য উভয় দেশের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বর্তমান উত্তেজনা কমাতে ও ভবিষ্যৎ সংঘাত এড়াতে উভয় পক্ষকে গঠনমূলক সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
হোয়াইট হাউস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে রুবিওর ফোনালাপে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ সময় ভারত-পাকিস্তানের চলমান সংঘাত নিয়ে তিনি আমেরিকার উদ্বেগের কথাও জানিয়েছেন।
২১৯ দিন আগে