এশিয়া
সীমান্তে আবারও ভারত-পাকিস্তানের গোলাগুলি, নিহত ৫
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাতে দুদেশের সেনাদের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি হয়েছে। এতে অন্তত ৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রীত কাশ্মীরের স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আদিল আহমেদ বলেছেন, ‘কাশ্মীরকে বিভক্তকারী এলওসি লাইনের (লাইন অব কন্ট্রোল) নিকটবর্তী গ্রামগুলোতে ভারতের হামলায় কমপক্ষে ১২ জন আহত ও অন্তত ৪ জন বেসমাররিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।’
সেখানকার চাকোতি সেক্টরের নিকটবর্তী এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ শাকিল বলেন, ‘আমরা লাইন অব কন্টোলে গোলাগুলি শুনতে অভ্যস্ত। কিন্তু গতকাল রাতের পরিস্থিতি অন্য দিনের মতো ছিল না।’
জনজীবনে দুর্ভোগ
চলমান উত্তেজনার কারণে দুদেশের মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন ব্যহত হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) এক ফটোগ্রাফারেরর তথ্যমতে, ভারতের দক্ষিণ ধর্মশালায় একটি ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলার আশঙ্কায় ম্যাচটি বাতিল করে স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রায় ১০ হাজার দর্শককে তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এবার ভারতের ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
দুই দেশের এই উত্তেজনার কারণে সংঘাত বাড়ার আশঙ্কায় ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য- পাঞ্জাব, রাজস্থান ও ভারত নিয়ন্ত্রীত কাশ্মীরের স্কুলগুলোতে ইতোমধ্যেই ২ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিমান চলাচলে বিঘ্ন
উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিমান চলাচলেও প্রভাব পড়েছে। ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যগুলোর ২৪টি বিমানবন্ধরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে তথ্য নিশ্চিত করে।
একই ধরনের সমস্যায় পড়েছে পাকিস্তানের বিমান খাতও। দেশটির প্রধান চারটি বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিল হয়েছে। এতে আটকা পড়েছেন শত শত যাত্রী।
পাকিস্তানে বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (পিএএ) বৃহস্পতিবার সকালে করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ ও শিয়ালকোট বিমানবন্দরের ফ্লাইট কার্যক্রম সাময়িক ভাবে স্থগিত করে। পরে এই স্থগিতাদেশ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। যদিও নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশটির প্রধান চার বিমানবন্দরের ফ্লাইট কার্যক্রম চালু হয়।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) জানিয়েছে, বর্তমানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।
এ বিষয়ে পিআইএর এক মুখপাত্র বলেন, ‘বিমান ও যাত্রীদের নিরাপত্তার কারণে আমরা কিছু রুটে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে সীমিত করেছি। পাশাপাশি নির্ধারিত কিছু ফ্লাইট বাতিলও করা হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
এদিকে, পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশির মধ্যকার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সম্ভাব্য যুদ্ধ আমাদের চিন্তার বিষয় নয়।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলায় শিশুসহ ৩১ পাকিস্তানি নিহত
ফক্স নিউজকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স আরও বলেন, ‘আমরা (আমেরিকা) ভারত-পকিস্তানকে উত্তেজনা কমাতে উৎসাহিত করতে পারি। কিন্তু এমন কোনো যুদ্ধে আমরা জড়াতে যাচ্ছি না, যা মূলত আমাদের কোনো ব্যাপার নয় এবং যেটি আমেরিকার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’
২২০ দিন আগে
এবার ভারতের ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে একটি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। এছাড়াও দেশটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পর থেকে পাঁচটি যুদ্ধবিমানও ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভোরে ভারত সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার (১৬ মাইল) দূরে অবস্থিত লাহোরের ওয়ালটন বিমানবন্দরে ড্রোনটি ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের অন্যান্য শহরে আরও দুটি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিমানবাহিনী গুলি করে একটি ছোট ভারতীয় ড্রোন নামিয়েছে।
তবে ড্রোনটি সশস্ত্র ছিল কি না, সেটি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে এপি। ভারত থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
পাঞ্জাবের চকওয়াল জেলার পুলিশ প্রধান গুলাম মুহিউদ্দিন জানান, ওই এলাকার কৃষিজমিতে একটি ড্রোন আছড়ে পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তবে ড্রোনটির ভারতের কিনা এ বিষয়ে কিছু জানায়নি তিনি। গুলাম মুহিউদ্দিন বলেন, কর্তৃপক্ষ একটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ জব্দ করেছে এবং ড্রোনটির উৎস ও উদ্দেশ্য নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত।
এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধের শামিল’ ও ‘আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাঞ্জাব প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হেনেছে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র।’ তবে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে, এমন অন্তত ৯টি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে।’
আহমেদ শরিফ বলেন, ‘ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলায় পাকিস্তানে অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২৬ জন ক্ষেপণাস্ত্রে, আর পাঁচজন গোলার আঘাতে নিহত হন।’
এদিকে, এবার এ হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে পাকিস্তান। এ হামলায় নিহতদের প্রতিশোধ নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে কোথায় ও কীভাবে হামলা চালানো হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান হামলা: পরিস্থিতির অবনতি চায় না বাংলাদেশ
এছাড়া অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারতীয় সেনাদের ওপর পাল্টা হামলার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীর সীমান্তের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাতভর হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটিয়েছেন।
এদিকে চলমান উত্তেজনার মধ্যে কাশ্মীর সীমান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে ভারত। ইউরি ও পুঞ্চের মতো সীমান্ত শহরের কিছু মানুষ স্বেচ্ছায়ই নিজেদের ঘর ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
২২১ দিন আগে
ভারতকে হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার পাকিস্তানের, বেড়েছে যুদ্ধের শঙ্কা
পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এবার এ হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে পাকিস্তান। এতে প্রতিবেশি দেশদুটির মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ হামলার ঘটনাকে ‘যুদ্ধের শামিল’ বলে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। এছাড়া ভারতের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে ভারতকে হামলার পরিণতি নিয়ে সতর্ক করেছে প্রতিবেশি পাকিস্তান।
দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাঞ্জাব প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হেনেছে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। ওই হামলার নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তারা।
অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে, এমন অন্তত ৯টি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে।’ মার্কিন সংবাদসংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে এমন বলার হয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেন, ‘ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলায় পাকিস্তানে অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২৬ জন ক্ষেপণাস্ত্রে, আর পাঁচজন গোলার আঘাতে নিহত হন।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কে কী বলল
এদিকে পাকিস্তানও এ হামলায় নিহতদের প্রতিশোধ নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে কোথায় ও কীভাবে হামলা চালানো হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমার প্রিয় পাকিস্তানি জনগণ, আমাদের সেনাবাহিনী ও জনগণ সবসময় আপনাদের নিরাপত্তার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকবে। আমরা অবশ্যই ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াব এবং বিজয়ী হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সত্যের পক্ষে লড়ছি, তাই আশা করি আল্লাহ সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ জানান, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় জেট বিমান ভূপাতিত করেছে, যেগুলো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরেও ভারতের আকাশসীমায় ছিল।
তবে এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। যদিও পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে ভারতের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তিনটি বিমান পড়ার কথা জানা গেছে।
এদিকে, হামলা ও পাল্টা হামলার এই হুমকির মধ্যে ২০১৯ সালের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পর বর্তমানে আবারও যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশদুটি। ওই বছর কাশ্মীরে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় ৪০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান হামলা: ‘দায়িত্বপূর্ণ সমাধান’ খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে ভারত হামলার চালানোর পর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারতীয় সেনাদের ওপর পাল্টা হামলার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। এতে উভয় পক্ষ থেকেই হতাহতের খবর পাওয়া গেছে বলে এপির খবরে বলা হয়েছে।
হামলার পর ইসলামাবাদের সব সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুস্তাফা কামাল। একইসঙ্গে অবিলম্বে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের। এছাড়া সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনায় আন্তর্জাতিক উদ্বেগও ক্রমেই বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ‘দায়িত্বশীল সমাধানের’ পথ খুঁজে বের করতে দেশদুটিকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসে এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমি উভয় পক্ষকে ভালোভাবেই চিনি। আমি চাই তারা বিষয়টি মীমাংসা করুক, তারা থামুক। আমি যদি কোনোভাবে সহায়তা করতে পারি, তাহলে অবশ্যই করব।’
এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার এই উত্তেজনা একটি চলমান পরিস্থিতি। আমরা এখনও বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
এ বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দেশদুটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একাধিক পর্যায়ে যোগাযোগ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলায় শিশুসহ ৩১ পাকিস্তানি নিহত
ট্রাম্পের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘আমি আশা করি দ্রুতই এই সহিংসতা শেষ হবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।’
এছাড়া, দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ছে যুক্তরাজ্যও। সংঘাত পরিহার করে কূটনৈতিক সমাধানের পথে আগানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার ( ৭ মে) এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বর্তমান উত্তেজনা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। উভয় দেশের সঙ্গেই যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ ও বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। আমি তাদের বলে দিতে চাই, যদি এই উত্তেজনা আরও বাড়ে, তাহলে কেউই বিজয়ী হবে না।’
গত ২২শে এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এ হামলা চালানো হলো। শুরু থেকেই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছিল ভারত। যদিও পাকিস্থান এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল।
ভারতের দাবি, এই হামলার দায় স্বীকার করা ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামক জঙ্গি গোষ্ঠীটি নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত। এই গোষ্ঠীটি পাকিস্তানের মদদপুষ্ট বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে ভারত। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পেহেলগামে হামলার পর উভয় দেশ একে অপরের কূটনীতিক ও নাগরিকদের বহিষ্কার করেছে, সীমান্ত বন্ধ করেছে এবং আকাশপথ স্থগিত করেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক পানি বণ্টন চুক্তিও স্থগিত করেছে ভারত।
২২১ দিন আগে
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কে কী বলল
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধের শামিল’ ও ‘আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। যেকোনো সময় হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ। তিনি বলেছেন, ‘কোথায় ও কীভাবে জবাব দেব, সেটি একান্তই আমাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।’
অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে, এমন অন্তত ৯টি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে।’
এমন বাস্তবতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে ভারতের হামলার মধ্য দিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা এই পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকেই সংযম প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন।
‘দায়িত্বপূর্ণ সমাধান’ খোঁজার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না হয়, সে লক্ষ্যে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ‘দায়িত্বপূর্ণ সমাধানের’ পথ খুঁজে বের করতে ভারত ও পাকিস্তানকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৬ মে) ওয়াশিংটন ডিসিতে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার এই উত্তেজনা একটি চলমান পরিস্থিতি। আমরা এখনও বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
এ বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দেশদুটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একাধিক পর্যায়ে যোগাযোগ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ব্রুস বলেন, ‘এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কেবল দর্শকের ভূমিকা পালন করছে না, আমরা সক্রিয়ভাবে দুই পক্ষের সঙ্গে যুক্ত আছি। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই পরিস্থিতির মধ্যেও চলমান বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে অবগত রয়েছি।’
এর আগে, হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের এই হামলাকে লজ্জাজনক উল্লেখ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এটি সত্যিই দুঃখজনক। আমি শুধু চাই, দ্রুত এই সংকটের অবসান ঘটুক।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক এক্স পোস্টে লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যের সঙ্গে তিনি একমত। তিনিও দ্রুত এই সংকটের অবসান কামনা করেন।
পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বের করতে ভারত ও পাকিস্তানের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার কথাও বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব সামলানো রুবিও।
সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জাতিসংঘের
ভারত-পাকিস্তানের এই সামরিক উত্তেজনা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তার মুখপাত্র বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের সামরিক অভিযান নিয়ে (জাতিসংঘ) মহাসচিব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’
তিনি উভয় দেশকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। গুতেরেসের ভাষ্যে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো সামরিক সংঘাত হলে তার ভার বিশ্ব বহন করতে পারবে না।
কূটনৈতিক উপায়ে উত্তেজনা নিরসন সম্ভব: রাশিয়া
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারত ও পাকিস্তানে সামরিক সংঘাত বৃদ্ধিতে রাশিয়া উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না হয়, সে জন্য দুই পক্ষকেই সংযম দেখানোর অনুরোধ করছি।
বিবৃতিতে রাশিয়া আশা প্রকাশ করেছে যে, শান্তিপূর্ণ ও কূটনৈতিক উপায়ে উত্তেজনা নিরসন করা সম্ভব।
উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব চীনের
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ভারত ও পাকিস্তান এমন প্রতিবেশী, যাদের চাইলেও আলাদা করা যায় না। তারা চীনেরও প্রতিবেশী।’
‘তাই শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অগ্রাধিকার দিয়ে দুপক্ষকেই আমরা শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি (চলমান) পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে, এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে উভয় দেশকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
এছাড়া দুই দেশের মধ্যকার এই উত্তেজনা কমাতে প্রয়োজনে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাবও দিয়েছে চীন।
এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের বর্তমান উত্তেজনা কমাতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে চায় চীন। এ ক্ষেত্রে আমরা আান্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’
শান্তি স্থাপনে দুই দেশকেই সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
চলমান উত্তেজনা প্রশমনে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশকেই যুক্তরাজ্য সহযোগিতা করতে চায় বলে জানিয়েছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস।
এ বিষয়ে বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বার্তা হলো, আমরা দুই দেশেরই বন্ধু ও অংশীদার। ফলে উভয় দেশকেই সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত।’
‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সংলাপ, উত্তেজনা প্রশমনে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশেরই যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে এবং এসব বিষয়ে সহযোগিতা লাগলে তা করার ইচ্ছা আমাদের আছে।’
পূর্ণাঙ্গ সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা জাপানের
পাকিস্তানে ভারতের অপারেশন সিঁদুর পরিচালনার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাপান।
পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানায় জাপান। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করি না।’
‘ওই ঘটনার পর সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতি পাল্টাপাল্টি প্রতিশোধমূলক হামলার দিকে গড়াতে পারে এবং তা পূর্ণ মাত্রার সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে আমরা ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন সংযম প্রদর্শন করে এবং সংলাপের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করে।’
সংযম দেখানোর আহ্বান ফ্রান্সেরও
ভারত ও পাকিস্তানকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্সও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল বারো বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী হামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ভারতের অভিপ্রায়ের বিষয়টি আমরা বুঝি। তবে উত্তেজনা যাতে আর না বাড়ে এবং নিজ নিজ দেশের বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই সংযম অনুশীলন করার আহ্বান জানাই।’
দেশটির টিএফ১ টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই আহ্বান জানান।
এ সময় ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের কারোরই যে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের দিকে যাওয়ার ইচ্ছা আছে, তা আমার মনে হয় না।’
শান্তি ও সংযমের আহ্বান বাংলাদেশের
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। বুধবার (৭ এপ্রিল) এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুই দেশকে শান্ত থাকার পাশাপাশি সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সরকার।’
‘আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ আশাবাদী যে, কূটনৈতিকভাবে এই উত্তেজনা নিরসন হবে এবং শান্তি ফিরে আসবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে অপারেশন সিঁদুর নামে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ২৬ জন ক্ষেপণাস্ত্র এবং পাঁচজন গোলার আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ।
সীমান্তে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পাল্টা গোলায় ৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় পুলিশ ও চিকিৎসকরা।
২২২ দিন আগে
ভারত-পাকিস্তান হামলা: ‘দায়িত্বপূর্ণ সমাধান’ খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ‘দায়িত্বশীল সমাধানের’ পথ খুঁজে বের করতে ভারত ও পাকিস্তানকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৬ মে) ওয়াশিংটন ডিসিতে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার এই উত্তেজনা একটি চলমান পরিস্থিতি। আমরা এখনও বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
এ বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দেশদুটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একাধিক পর্যায়ে যোগাযোগ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ব্রুস বলেন, ‘এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কেবল দর্শকের ভূমিকা পালন করছে না, আমরা সক্রিয়ভাবে দুই পক্ষের সঙ্গে যুক্ত আছি। অত্যন্ত সংবেদনশীল এই পরিস্থিতির মধ্যেও চলমান বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে অবগত রয়েছি।’
এর আগে, মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের অন্তত ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধের শামিল’ ও ‘আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাঞ্জাব প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হেনেছে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র।’
অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে, এমন অন্তত ৯টি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলায় শিশুসহ ৩১ পাকিস্তানি নিহত
আহমেদ শরিফ বলেন, ‘ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলায় পাকিস্তানে অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ জন ক্ষেপণাস্ত্রে, আর পাঁচজন গোলার আঘাতে নিহত হন।’
যেকোনো সময় হামলার জবাব দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এই মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘কোথায় ও কীভাবে জবাব দেব, সেটি একান্তই আমাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।’
ভারতের দাবি, গত মাসে ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের হত্যায় যোগসাজশ থাকা জঙ্গিদের ব্যবহার করা অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে তারা।
ভারতের হামলার জবাবে কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে দুটি বিমান ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গিয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানের গোলায় সাত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারতীয় পুলিশ ও চিকিৎসকরা। এ ছাড়াও ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৩
২২২ দিন আগে
ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলায় শিশুসহ ৩১ পাকিস্তানি নিহত
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ হামলায় একটি শিশুরও প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া ভারতীয় গোলায় আরও পাঁচ পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধের শামিল’ ও ‘আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাঞ্জাব প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হেনেছে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র।’ তবে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে, এমন অন্তত ৯টি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে।’
আহমেদ শরিফ বলেন, ‘ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলায় পাকিস্তানে অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২৬ জন ক্ষেপণাস্ত্রে, আর পাঁচজন গোলার আঘাতে নিহত হন।’
যেকোনো সময় হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এই মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘কোথায় ও কীভাবে জবাব দেব, সেটা একান্তই আমাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৩
ভারত বলছে, ‘গেল মাসে ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের হত্যায় যোগসাজশ থাকা জঙ্গিদের ব্যবহার করা অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে তারা।’ জবাবে কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। এরমধ্যে দুটি বিমান ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গিয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানের গোলায় সাত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় পুলিশ ও চিকিৎসকরা। এছাড়াও ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
গেল মাসে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালিয়ে ২৬ পর্যটককে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। তবে ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে। এ ঘটনার পর দুদেশের সম্পর্ক নতুন করে তলানিতে চলে যায়। পরবর্তীতে দুপক্ষই প্রতিবেশী দেশের কূটনীতিক ও নাগরিকদের বহিষ্কারে করেছে, সীমান্ত এবং আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘ভারত যে যুদ্ধ পরিস্থিতি চাপিয়ে দিয়েছে, তার সমুচিত জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের আছে। এই হামলার কঠিন জবাব দেওয়া হবে।’
এই হামলাকে ‘নিবৃত্তিমূলক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিক্রম মিসরি। নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তার দেশের কাছে মনে হয়েছে, এই হামলা চালানোর মধ্যদিয়ে নিবৃত্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ নিজভূখণ্ডে সন্ত্রাসী অবকাঠামোর বিরুদ্ধে চোখেপড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান।’
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘তিনটি রাফায়েল পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। ভারতীয় আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হচ্ছে।’
২২২ দিন আগে
পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৩
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের অন্তত ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।
তিনি জানান, ভারত মোট ২৪টি হামলা চালিয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে (পাকিস্তানের) পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের কাছে আহমেদপুর শারকিয়ায়। সেখানে একটি মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলায় এক শিশুকন্যাসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া পাঞ্জাবের মুরিদকে শহর, শিয়ালকোটের কাছে একটি গ্রাম এবং শাকরগড়েও হামলা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতেও হামলা হয়েছে। সেখানের হামলায় দুটি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। তাছাড়া এই হামলায় ১৬ বছর বয়সী এক তরুণী ও ১৮ বছর বয়সী এক তরুণও নিহত হয়েছে বলে জানান আহমেদ শরীফ।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের
গত ২২শে এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এ হামলা চালানো হলো। শুরু থেকেই হামলার জন্য পাকিস্তানতে দায়ী করে আসছিল ভারত। যদিও পাকিস্থান এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল।
এদিকে, ভারতের এই হামলার জবাবে হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান। এই ঘটনায় পরমাণু শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বুধবার (৭ মে) সকালে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সেনারা ভারতের ৫টি বিমান ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে এমন বলা হয়েছে।
এছাড়া অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারতীয় সেনাদের ওপর পাল্টা হামলার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সূত্র: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে নেওয়া।
২২২ দিন আগে
নির্বাচনে জিতে সিঙ্গাপুরের ক্ষমতায় আবারও পিএপি
সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে আবারও জয় পেয়েছে পিপলস অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। এর মধ্য দিয়ে টানা ৬৬ বছরের মতো দেশটির ক্ষমতায় টিকে থাকল দলটি। এই জয়কে প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়াংয়ের একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। এক বছর আগে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
শনিবার (৩ মে) অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, দেশটির পার্লামেন্টের ৯৭টি আসনের মধ্যে ৮৭টি পেয়েছে পিএপি। এছাড়া ৩৩টি নির্বাচনি এলাকার বেশিরভাগেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে দলটি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে পিএপি। এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে ৬১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তারা। ফলাফল ঘোষণার পরপরই পতাকা নেড়ে ও আনন্দ করে বিজয় উদযাপন করেন পিএপির সমর্থকরা।
১৯৫৯ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের শাসনক্ষমতায় রয়েছে এই দলটি।
নির্বাচনে জয় পেয়ে সিঙ্গাপুরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়াং। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন অর্থনীতিবিদ।
দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরে একের পর এক শুল্কারোপের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার ওই তালিকা থেকে বাদ যায়নি সিঙ্গাপুরও। এ কারণে নির্বাচনি প্রচারের সময় এই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বাণিজ্যনির্ভর দেশটি পরিচালনার জন্য জনগণের সমর্থন চেয়েছিলেন লরেন্স।
এবার নির্বাচন জিতে তিনি বলেন, ‘এই ফলাফল সিঙ্গাপুরকে বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে আরও ভালো অবস্থানে রাখবে।’
সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির আইন অধ্যাপক ইউজিন তান বলেন, ২০২০ সালের পর বিরোধীদের কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়াটা বিস্ময়কর। তবে দীর্ঘদিন ধরে যারা সেবা দিয়ে আসছে, জনগণ তাদের প্রতিই আস্থা রেখেছেন বলেন মন্তব্য করেন তিনি।
গত বছর সিঙ্গাপুরের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন লরেন্স ওয়াং। এর আগে দুই দশক ধরে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী ছিলে লি হসিং লুং। তিনি আধুনিক সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা লি কুয়ান ইয়েওয়ের ছেলে। লিয়ের পদত্যাগের মাধ্যমে লি কুয়ান ইউয়ের শুরু করা পারিবারিক রাজনীতির অবসান ঘটে।
গতকালের ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে মূল বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টি ১০টি আসনে জয় পেয়েছে। গত নির্বাচনেও তারা ১০টি আসন পেয়েছিল। সিঙ্গাপুরে কোনো বিরোধী দলের এটি সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ার ঘটনা।
আরও পড়ুন: কানাডার নির্বাচনে জয় পেল প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি
বিশ্লেষকদের ধারণা, কঠোর সরকারি নিয়ন্ত্রণ, জীবিকার উচ্চ ব্যয়, আয় বৈষম্য, নাগালের বাইরে চলে যাওয়া আবাসন ব্যবস্থা ও মত প্রকাশের সীমাবদ্ধতা—এসব বিষয় বিশেষত তরুণদের মধ্যে পিএপির জনপ্রিয়তায় প্রভাব ফেলেছে।
বিরোধীদলগুলো জানিয়েছে, পার্লামেন্টে তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি একটি আরও ভারসাম্যপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। তবে অনেক সময় সম্পদের অভাব, বিভক্ত সমর্থন ও দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের ঘাটতির কারণে তাদের পিছিয়ে থাকতে হয় বলে মন্তব্য করেন তারা। তাছাড়া, নির্বাচনি এলাকার সীমার পুনর্বিন্যাস পিএপিকে বাড়তি সুবিধা দেয় বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।
ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা প্রীতম সিং জানান, তারা আরও ভারসাম্যপূর্ণ পার্লামেন্টের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখবেন। তিনি বলেন, ‘ফলাফল যা হয়েছে তা ভুলে আমরা আগামীকাল থেকেই আবার কাজ শুরু করব।’
ওয়ার্কার্স পার্টি তাদের সংসদীয় উপস্থিতি বাড়াতে না পারলেও কিছু এলাকায় শেয়ার ভোট বাড়িয়ে নিজেদের সমর্থন আরও সুসংহত করেছে বলে করেন মন্তব্য করেন দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রাজনীতি বিশ্লেষক ব্রিজেট ওয়েলশ। তবে অন্য ছোট বিরোধী দলগুলো উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি বলে মনে করেন তিনি।
ওয়েলশের মতে, ‘বৈশ্বিক অস্থিরতা ও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সিঙ্গাপুরের ভোটাররা স্থিতিশীলতাকে বেছে নিয়েছেন। তরুণদের সঙ্গে ওয়াংয়ের সহজ-সরল বোঝাপড়া এবং পিএপিতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নতুন মুখ নিয়ে আসাও ভোটে প্রভাব ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই ফলাফলকে বলি, লরেন্স ও ট্রাম্পের প্রভাব। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ লরেন্সের ম্যান্ডেটকে আরও শক্তিশালী করেছে।’
এদিকে, সিঙ্গাপুর ও লরেন্স ওয়াংকে এই বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর প্রায় ৬০ বছর ধরে একটি শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী কৌশলগত অংশীদারত্বের সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের হুমকি: গ্রিনল্যান্ডে অবিশ্বাস্য জয় পেল ডেমোক্র্যাটিট পার্টি
নবনির্বাচিত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ওয়াংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
২২৫ দিন আগে
কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের
অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এ পরিস্থিতিকে হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘে দেশটির স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমদ।
শুক্রবার (২ মে) নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।
আসিম ইফতিখার জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব, সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সাম্প্রতিক আঞ্চলিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছে পাকিস্তান। পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গেও দেশটি তাদের উদ্বেগ ও কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেছে।
উত্তেজনা এড়াতে পাকিস্তানের সদিচ্ছার কথা উল্লেখ তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় পাকিস্তান পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।’
পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের সমালোচনা করে আসিম বলেন, ‘নিরাপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
এ সময় পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ, সহযোগিতামূলক ও সুসম্পর্কপূর্ণ প্রতিবেশী নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি সামরিক হামলার আভাস, উদ্বেগ
আসিম বলেন, ‘পারস্পরিক সম্মান ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে যেকোনো বিরোধ নিষ্পত্তি করতে চায় পাকিস্তান। এমনকি ভারতের সঙ্গেও একই নীতি অনুসরণ করতে চায় দেশটি।’
তিনি বলেন, ‘২২ এপ্রিল পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।’
চলমান পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে উত্তেজনা নিরসন প্রয়োজন বলে মনে করেন আসিম। এ লক্ষ্যে একতরফা যেকোনো পদক্ষেপ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোকে আলোচনা ও উত্তেজনা কমানের পক্ষে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান আসিম। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে যেকেনো সংঘাত এড়াতে এ ধরনের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা উচিত বলে মন্তব্য করেন পাকিস্তানের এই রাষ্ট্রদূত।
২২৬ দিন আগে
কাশ্মীর ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি সামরিক হামলার আভাস, উদ্বেগ
অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখন চরমে। পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুটি দেশই সীমিত পরিসরে সামরিক হামলার আভাস দিচ্ছে। এতে ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্থার মধ্যে এশিয়াতেও একই পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে, কোনোমতেই আরেকটি যুদ্ধ চাইছে না আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতীয় পর্যটক ছিলেন। এ ঘটনায় পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ করেছে চিরবৈরী ভারত। যদিও হামলার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
এ হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) বরাবর সপ্তম দিনের মতো দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাবিনিময় হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিবেশী এই দুটি দেশই সীমিত পরিসরে হামলার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও মার্কিন সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ ছাড়াও পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে উভয় পক্ষ। তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
২০১৯ সালে কাশ্মীরে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় ৪০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর থেকে এবারই দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক সব থেকে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। তবে দেশ দুটি যে যুদ্ধাংদেহী অবস্থানে রয়েছে; তার ভবিষ্যৎ আসলে কি এই নিয়ে একটু আলোকপাত করা যাক।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা চরমে
রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র, তবে প্রতিরোধের স্বার্থে
ভারত ও পাকিস্তান বহু বছর ধরেই পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার গড়ে তুলেছে। তবে দুই দেশেরই দাবি তাদের অস্ত্রগুলোর উদ্দেশ্য যুদ্ধ শুরু করা নয়; বরং প্রতিরোধ করা।
এক্ষেত্রে ভারতের নীতি হলো— ‘প্রথমে ব্যবহার না করা’। তার মানে, ভারত কেবল তখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে, যখন তাদের সেনাদের ওপর বা ভারতের ভূখণ্ডের ওপর পারমাণবিক হামলা হবে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের নীতি হলো— ‘ফুল স্পেকট্রাম ডিটারেন্স’ বা সম্পূর্ণ পরিসরে প্রতিরোধ কৌশল। ভারতের মতো বড়, শক্তিশালী ও ধনী আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর পারমাণবিক বা গতানুগতিক সামরিক হামলার মোকাবিলায় পাকিস্তানের এই প্রস্তুতি।
তবে প্রথমে ব্যবহার না করার নীতিতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে পাকিস্তানে। দেশটি মনে করে যে তার অস্তিত্ব হুমকির মুখে, সেক্ষেত্রে তারা প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের শঙ্কা উড়িয়ে দেয়নি।
এপির প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের তুলনায় কম সামরিক শক্তির কারণে পাকিস্তান বাস্তবিক অর্থে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করার ক্ষমতা রাখে না বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। এর আগে ভারতের সঙ্গে গতানুগতিক তিনটি যুদ্ধে তারা পরাজিত হয়েছে। এ কারণে প্রথমে হামলা না চালিয়ে বরং ভারতকে আক্রমণ প্রতিরোধ করতে নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ব্যবহার করতে পারে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফ-জেএসএস গোলাগুলিতে নিহত ১
তবে এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়, ভারত কিংবা পাকিস্তান কোনো দেশই কিন্তু নিশ্চিতভাবে জানে না অপর দেশের কাছে ঠিক কি পরিমাণ বা কী ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। ১৯৭৪ সালে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় ভারত। এদিকে, পাকিস্তান প্রথম পরীক্ষা করে ১৯৮৮ সালে।
বিভিন্ন থিংকট্যাংকের মতে, পাকিস্তানের কাছে প্রায় ১৭০টি পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র আছে, আর ভারতের প্রায় ১৭২টি। অবশ্য কিছু বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অস্ত্রসংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, প্রায় ২০০টি হতে পারে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেশী এই দেশ দুটির মধ্যে বৈরিতা থাকা স্বত্ত্বেও দুই দেশের পারমাণবিক স্থাপনা ও অবকাঠামোগুলোতে হামলা পরিচালনা না করার জন্য তারা ১৯৮৮ সালে একটি চুক্তি করে। ১৯৯১ সালে এ চুক্তি কার্যকর হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশ প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে পরস্পরকে তাদের পারমাণবিক স্থাপনার তথ্য সরবরাহ করবে। ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দুই দেশের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের প্রথা শুরু হয়। এরপর থেকে তারা টানা ৩৪ বছর ধরে এই তালিকা বিনিময় করেছে।
তবে, ভারত-পাকিস্তান কেউই আন্তর্জাতিক পারমাণবিক অস্ত্র সম্প্রসারণ প্রতিরোধ চুক্তিতে সই করেনি। এই চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র ও প্রযুক্তির বিস্তার ঠেকানোর উদ্দেশ্যে গঠিত।
নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে সীমিত হামলাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে দুই দেশ
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে প্রায়শই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকে। তবে দুই দেশের সেনারাই নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতেই হামলা চালায়। আরেক পক্ষ আবার পাল্টা হামলা করে। এ ধরনের হামলাগুলোর উদ্দেশ্য হলো, প্রতিপক্ষ যেন পিছুহটার সুযোগ পায়, পাশাপাশি উত্তেজনা কমানোর জন্য সময় পাওয়া যায়।
তবে ২২ এপ্রিলের পেহেলগামের ঘটনা ছিল ভিন্ন। নিহত ২৬ জনের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতীয় হওয়ায় এই হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ভারত সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলার পর পাকিস্তানের একটি ক্যাম্পে বিমান হামলা চালিয়েছিল ভারত। ভারতের দাবি সেটি ছিল একটি সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ শিবির।
এরপরে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে এক পাইলটকে আটক করার দাবি করে পাকিস্তান। পরবর্তীতে সেই পাইলটকে মুক্তি দেওয়া মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
তবে বিশ্লেষকরা জানান, ওই ঘটনা একটি বিষয় নিশ্চিত করেছে, সেটি হলো —পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে হামলা চালাতে সক্ষম ভারত।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পালাল ভারতীয় রাফায়েল
বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত দুই দেশই তেমন কোনো নাটকীয় পদক্ষেপ নেয়নি। তবে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এলওসি বরাবর আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় ভারতীয় একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এরপর গতকাল (বুধবার) ভারতীয় রাফায়েলকে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জেট বিমানের তাড়া করার কথা জানায় দেশটির সামরিক বাহিনী।
বিশ্লেষকের ধারণা, উভয় পক্ষের প্রতিশোধমূলক হামলাগুলো এই এলওসি বরাবরই পরিচালিত হতে পারে। সেখানের বিভিন্ন সেনা ঘাঁটি বা জঙ্গি ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে। তবে এই কৌশলেও ঝুঁকি রয়েছে, কারণ যেকোনো প্রাণহানিই দুইদেশের অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ আরও উসকে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চিন্তা
মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় আরেকটি যুদ্ধ চাইছে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করবেন। একই সঙ্গে অন্যান্য বিদেশি শক্তিগুলোকেও হস্তক্ষেপ করে চলমান পরিস্থিতি শান্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মিত্র দেশ সৌদি আরব ও ইরান। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দেশ দুটির মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। দুই দেশের আরেক শক্তিশালী প্রতিবেশী চীনও তাদের সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
এছাড়া দুই প্রতিবেশীর মধ্যকার এই উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘও। সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। বলতে গেলে, কেউই আরকেটি যুদ্ধই চাইছে না।
২২৭ দিন আগে