এশিয়া
পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পালাল ভারতীয় রাফায়েল
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জেট বিমানের তাড়া খেয়ে কাশ্মীরে টহলরত ভারতীয় রাফায়েল পিছু হটেছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বরাতে দেশটির সংবাদ মাধ্যম ডন এই খবর দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
সম্প্রতি পাহেলগ্রামে হামলার ঘটনায় কোনো প্রকার তথ্য প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তোলে ভারত। তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সরকার ভারতের এই অভিযোগকে প্রত্যাখান করে আসছে। একই সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সামরিক বাহিনীকে ভারতীয় যেকোনা আক্রমণের জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাহেলগ্রামের ঘটনায় সেনাবাহিনীকে যেকোন ধরনের অভিযানের স্বাধীনতা দিয়েছেন।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর বরাতে পিটিভি ও রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) অতিক্রম না করে চারটি ভারতীয় রাফায়েল রাতভর আকাশে টহল দিয়েছে।
রেডিও পাকিস্তান আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিমান বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় রাফায়েলের উপস্থিতি টের পায়।
পিটিভি জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ নিলে ভারতীয় বিমানগুলো আতঙ্কিত হয়ে পিছু হটে।’ নিরাপত্তা সূত্র আরও বলেছে, সামরিক বাহিনী ভারতীয় যেকোনো ধরনের আগ্রাসন মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সতর্ক রয়েছে।’ তবে সরকার ও সামরিক বাহিনী ওই ঘটনার বিস্তারিত জানায়নি।
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার আজ সকালে বলেছিলেন, “ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা’ সূত্রে জানা গেছে।”
গত রাত ২টায় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারার বলেন, ‘পাহেলগ্রামের ঘটনায় ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা’ সূত্রে জানা গেছে।”
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান চাইলে মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের হিমালয় অঞ্চলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। হামলাটি ২০০০ সালের পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল।
কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স, যা দ্য কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে পরিচিত সংগঠনটি এক বার্তায় হামলার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা জোড়ালোভাবে অস্বীকার করেছে।
তারার বলেন, পাকিস্তান এই অঞ্চলে ভারতের স্ব-ঘোষিত বিচারক হয়ে ওঠা ও শাস্তিদাতা এবং ‘বেপরোয়া’ ও আত্মঅহংকারী ভূমিকাকে তীব্রভাবে প্রত্যাখান করে।
২২৯ দিন আগে
কলকাতার হোটেলে আগুনে পুড়ে নিহত ১৪
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় একটি হোটেলে আগুন লেগে কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতাল এবং নীল রতন সরকার মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এমন খবর দিয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কলকাতার ঋতুরাজ হোটেলে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ১৪ জনের লাশ মিলেছে। বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের জন্য রাজ্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । ভবিষ্যতে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা রোধ করতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নজরদারি কঠোর করার আহ্বান জানান তিনি।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। কলকাতা করপোরেশনের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। আগুন লেগেছে, অনেক মানুষ এখনও ভবনে আটকে আছেন। কোনো নিরাপত্তা বা সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। আমি জানি না করপোরেশন কী করছে!’
২২৯ দিন আগে
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা(এলওসি) বরাবর আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় ভারতীয় একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ভিম্বর জেলার মানাওয়ারে মনুষ্যবিহীন যানটি ভূপাতিত করা হয়। মূলত, ড্রোনটি ভারতীয় বাহিনীর গোয়েন্দা নজরদারির কাজে নিয়োজিত ছিল।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা চরমে
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে মনুষ্যবিহীন ড্রোনটিকে ভূপাতিত করে।
এতে পাকিস্তানের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরীক্ষার জন্য যানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
সম্প্রতি পারমানবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনা চরমে উঠেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বার বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘণের ঘটনা ঘটে ও আকাশপথে নজরদারি বাড়িয়েছে দুই দেশ।
২৩০ দিন আগে
নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ মেনে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত সিঙ্গাপুরের নেতাদের
সিঙ্গাপুরের নির্বাচনী প্রচারে বিদেশি হস্তক্ষেপ মেনে নেবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির রাজনৈতিক নেতারা। দেশটির নির্বাচনে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ বন্ধে ২০২১ সালে প্রণীত সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে নিজেদের এই অবস্থান তুলে ধরেন তারা।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ এপ্রিল) নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিয়ে এসব বলেন সিঙ্গাপুরের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।-খবর ব্লুমবার্গের।
এর আগে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের ফেসবুক থেকে বিদেশিদের বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলতে সামাজিকমাধ্যমটির মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে নির্দেশ দেয় দেশটির সরকার।
সিঙ্গাপুরের নির্বাচন বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে, এমন সন্দেহ থেকে ওই পোস্টগুলো সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: তাইওয়ানে অবৈধভাবে বাস করা চীনাদের ওপর ধরপাকড়
পোস্টগুলোতে মালয়েশিয়ার একটি রক্ষণশীল ইসলামিক দল ও দেশটির প্রধান বিরোধীদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার এক নাগরিকেরও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ জানায়, ফেসবুকে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস) প্রচারণা চালানোর অভিযোগে ২০২০ সালে ওই অস্ট্রেলীয়র সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিল।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পর শনিবার দেশটির ক্ষমতাসীন পিপলস একশন পার্টির নির্বাচনী প্রচারকালে দলটির নেতা লরেন্স ওং বলেন, ‘মালয়েশিয়ার একটি রাজনৈতিক দলসহ আরও কিছু বিদেশি চক্র সিঙ্গাপুরের নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।’
ধর্ম আর রাজনীতিকে এক না করার জন্য সতর্ক করে তিনির বলেন, “বর্ণ কিংবা ধর্মের ওপর ভিত্তি করে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন করার ‘খুবই ভয়াবহ’।”
একই দিনে নির্বাচনী প্রচারকালে দেশটির বিরোধীদলীয় ওয়াকার্স পার্টির নেতা প্রিতম সিং জানান, ‘তার দলও নির্বাচনে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না। সিঙ্গাপুরের যেকোনো বিষয় আমাদের একান্তই নিজস্ব ব্যাপার, অন্য কারো নয়।’
ফেসবুকে প্রার্থীদের বিষয়ে বিদেশি বটগুলোর ভুল তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশটির আরেক বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান পল তাম্বুয়াহ। এ ধরনের কার্যকলাপ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে এসব প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ডিজিটাল ডেভলপমেন্ট ও ইনফরমেশন বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ মে। নির্বাচনে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ নিয়ন্ত্রণে আইন পাশ করার পর প্রথমবারের মতো এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
২৩১ দিন আগে
তাইওয়ানে অবৈধভাবে বাস করা চীনাদের ওপর ধরপাকড়
চীনা নাগরিকদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে তাইওয়ানে বসবাস করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২০ জন তাইওয়ানের নাগরিকত্ব বাতিলসহ চীনা বংশোদ্ভূত কয়েক হাজার তাইওয়ানবাসীর নথিপত্রের তদন্ত চলমান রয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এমন বলা হয়েছে।
তাইওয়ানের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকদের চীনের নাগরিকত্ব রাখার অনুমতি নেই। যেকারণে গত কয়েক দশকে চীনের নাগরিকত্ব থাকায় শত শত বাসিন্দার তাইওয়ানিজ নাগরিকত্ব কার্যত্ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া এই অভিযান বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। প্রকাশ্যে তিনজন নারীর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে তাইওয়ান সরকার। পাশাপাশি দেশটির ১০ হাজারের বেশি নাগরিক; যারা চীনে জন্মগ্রহণ করলেও তাইওয়ানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, তাদের একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়ায় এই অভিযানের সমালোচনা শুরু হয়েছে।
নাগরিকদের পরিচয়, আনুগত্য, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও দেশের নিরাপত্তার মধ্যে সরকার সামঞ্জস্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেক তাইওয়ানিজ।
এই অভিযান ও বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত ডিসেম্বরে অনলাইনে প্রকাশিত একটি প্রামাণ্যচিত্রকে ঘিরে। চীন গোপনে তাইওয়ানের মানুষকে তাদের দেশের নাগরিকত্ব প্রদান করছে বলে দেখানো হয় সেখানে।
প্রামাণ্যচিত্রে তিনজন ব্যক্তির তথ্য উপস্থাপন করা হয়, যারা চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে গিয়ে বাস করতে শুরু করেছিলেন এবং চীনের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন।
এই প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশের পর চীনের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানায় তাইওয়ান সরকার। তাইওয়ানের ওপর চীনা কর্তৃত্ব বজায় রাখার অপচেষ্টা থেকেই এই কাজ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে দেশটির মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল (এমএসি)।
আরও পড়ুন: অবৈধ অভিবাসীদের বসবাস ও কাজের অনুমতি দেবে স্পেন
প্রামাণ্যচিত্রের সেই তিনজনের মধ্যে একজন সু শিহ। তার ভাষ্যে, ফুজিয়ান প্রদেশে অনেক তাইওয়ানিজ রয়েছে, পাশাপাশি সেখানকার সরকারও উদ্যোক্তাদের নানা রকম ভর্তুকি দিয়ে সহায়তা করেন— এমনটা শুনেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
সু জানান, সেখানে গিয়ে চীনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন বলে জেনেছিলেন তিনি। এটি তার ব্যবসার জন্য সুবিধাজনক হতে পারে ভেবে তিনি আবেদন করেছিলেন বলে দাবি করেন।
তবে তাইওয়ানের আইনে এই নাগরিকত্ব অবৈধ। যদিও সুয়ের দাবি, অনেক তাইওয়ানিজেরই ফুজিয়ানের নাগরিকত্ব রয়েছে, তারা মূলত এখন রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের শিকার।
চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্ব কেন?
তাইওয়ানকে নিজেদের একটি প্রদেশ বলে দাবি করে বেইজিং। অন্যদিকে নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি তাইওয়ানের। এ নিয়ে এই অঞ্চলগুলোর বৈরিতা বহু পুরনো।
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা বেড়েছে আরও কয়েকগুণে। তাইওয়ান শান্তিপূর্ণভাবে চীনের সঙ্গে একীভূত না হলে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সরকার। এমনকি তাইওয়ানের অভ্যন্তরেও সাধারণ নাগরিকসহ সরকার ও সামরিক বাহিনীতে সিসিপি সমর্থিত অনেকে গুপ্তচরবৃত্তি ও তৎপরতা চালান বলে তাইওয়ানের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় চীনা নাগরিকসহ নিহত ৫, আহত ৯
তবে অঞ্চল দুটির মধ্যে উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও চীনের অনেক নাগরিকই তাইওয়ানে বসবাস করে আসছিলেন, আবার তাইওয়ানেরও প্রায় এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ চীনে বাস করেন।
তবে গত মার্চে দেশটির অভ্যন্তরে চীনের চলমান গোপন তৎপরতা বন্ধের দাবিতে দুই অঞ্চলের মধ্যে ভ্রমণ ও পুনর্বাসনে কড়াকড়ি আরোপ করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। সে সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চীনের কর্তৃত্ব নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে তিন চীনা বংশোদ্ভূত নারীর ভিসা বাতিল করে তাইওয়ান সরকার। পরে ওই নারীর তাইওয়ানিজ স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে তাকে চীনে ফেরত পাঠানো হয়।
তাইওয়ানের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, তাড়াহুড়ো করে নথিপত্র ঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করেই লোকজনকে নির্বাসিত করা হচ্ছে। স্থানীয় কিছু মানুষজন অভিযোগ করেন, প্রেসিডেন্ট লাই বাক স্বাধীনতা সীমিত করছেন। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট লাই।
লাই জানান, নাগরিকত্ব বাতিল করার আগে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, সেনা সদস্যদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে— তাদের কখনো চীনের নাগরিকত্ব ছিল না। তাছাড়া ১০ হাজারের বেশি সাধারণ জনগণকেও চীনের হুকু (স্থায়ীভাবে চীনের থাকার জন্য এটি দরকার) বাতিলের নথি দাখিল করতে বলা হয়। যারা দাখিল করেনি তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের ফেরাতে চুক্তি
চলতি মাসের শুরুর দিকে হুকু বাতিলের প্রমাণ দাখিল না করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে তাইওয়ানের জাতীয় অভিবাসন সংস্থা (এনআইএ)। এনআইএ জানায়, যারা হুকু বাতিল করার কাগজ জমা দিয়েছেন, তারা পুনরায় তাইওয়ানের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে।
তবে তাইওয়ানের সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটির এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক লিও মেই জুন বলেন, এই নির্বাসন অভিযানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে চীনা সরকারকে তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিতে পারে। এতে বেইজিংয়ের প্রপাগান্ডারই বিজয় হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২৩২ দিন আগে
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা চরমে
কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ এপ্রিল) গভীর রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ২৬-২৭ এপ্রিল রাতে পাকিস্তান সেনারা অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিনা উসকানিতে গুলি ছোড়া শুরু করে। ভারতীয় সেনারা হালকা অস্ত্র ব্যবহার করে কার্যকরভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে।
অন্যদিকে, চীনের সংবাদসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, কোনো প্ররোচনা ছাড়াই নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি চালাতে শুরু করে ভারতীয় সেনারা, পরে পাকিস্তানও পাল্টা গুলি চালিয়ে জবাব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে খুলনায় যৌথবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, আটক ১১, অস্ত্র উদ্ধার
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। এ ঘটনায় পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ করেছে চিরবৈরী ভারত। যদিও হামলার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
পহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফ-জেএসএস গোলাগুলিতে নিহত ১
চলমান উত্তেজনা নিরসনে দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মিত্র দেশ সৌদি আরব ও ইরান। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দেশদুটির মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। পাশাপাশি দুই প্রতিবেশীর মধ্যকার এই উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
২৩২ দিন আগে
ইরানের বন্দরে বিস্ফোরণে নিহত ১৪, আহত ৭৫০
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হরমোজগানের একটি বন্দরে শনিবার সকালে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৭৫০ জন।
দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এই তথ্য জানিয়েছে।
বন্দর আব্বাসে চীনের কনস্যুলেট জেনারেলের মতে, বিস্ফোরণে তিনজন চীনা নাগরিক সামান্য আহত হয়েছেন। চিকিৎসার পর তারা এখন সুস্থ আছেন।
বিস্ফোরণ ও সৃষ্ট বায়ু দূষণের কারণে রবিবার শহরের সমস্ত শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাসের গভর্নর আহমেদ পুয়াফার।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: মধ্যস্থতায় এগিয়ে এলো সৌদি-ইরান
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন জাফরি, আধা-সরকারি ফার্স সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, বন্দরের একটি কন্টেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্ত শেষ করার আগে ঘটনার কারণ সম্পর্কে ‘তাড়াহুড়ো করে অনুমান’ না করতে সতর্ক করেছেন ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত যা নিশ্চিত হওয়া গেছে, তা হলো বন্দরের এক কোণে সম্ভবত রাসায়নিক পদার্থ ভর্তি কন্টেইনার ছিল।
আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং উদ্ধারকারী দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং বন্দরের সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বিস্ফোরণের তদন্তের পাশাপাশি ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আহতদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করাসহ প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এস্কান্দার মোমেনিকে প্রদেশে পাঠানো হয়েছে।
এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের সরকার এবং জনগণের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে ইরাক সরকার।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি বাদ দিতে হবে ইরানকে: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আল-সুদানির মিডিয়া অফিসের এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া' আল-সুদানী ইরাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল আমির আল-শাম্মারিকে তার ইরানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সমন্বয় করে ঘটনাটি মূল্যায়ন এবং তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: বিভিন্ন এজেন্সি
২৩২ দিন আগে
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: মধ্যস্থতায় এগিয়ে এলো সৌদি-ইরান
অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মিত্র দেশ সৌদি আরব ও ইরান। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দেশ দুটির মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভারতের ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন সৌদি ও ইরানের সমকক্ষ কর্মকর্তারা।গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। এ ঘটনায় পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ করেছে চিরবৈরী ভারত। যদিও হামলার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
এতে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত ২৬
ভারতের দাবি, পাকিস্তানের সেনারা প্রথমে গুলি ছুড়েছে, তারাও পাল্টা জবাব দিয়েছে। তবে বেসামরিক জনগণের ওপর কোনো গোলাগুলি করা হয়নি বলে উভয় পক্ষ থেকেই নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ফিরে ভিসা বাতিল করে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে শুরু করেন।
এ পরিস্থিতিতে দেশদুটির মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে এগিয়ে এসেছে দুই দেশের মিত্র ইরান ও সৌদি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান পাকিস্তানের তার সমকক্ষ ইসহাক দারের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন।
এ সময় আলাপে ভারতের অভিযোগগুলো প্রত্যাখান করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছেন তিনি।
পাশাপাশি ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের কড়া জবাব দিতে পাকিস্তান দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলেও উল্লেখ করেন ইসহাক দার। তবে সৌদির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতেও সম্মত হয়েছেন তিনি।
এদিকে সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, তিনি পহেলগামে হামলার বিষয়ে প্রিন্স ফয়সালের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। এ সময়ে হামলার সঙ্গে সীমান্ত-যোগসূত্র (ক্রস-বর্ডার লিঙ্কেজ) নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ আইন পশ্চিমবঙ্গে বলবৎ হবে না: মমতা
অন্যদিকে দিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে ইরান।
এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশই ইরানের মিত্র। চলমান এই কঠিন পরিস্থিতিতে ইরান দেশদুটিতে তাদের সুপ্রতিষ্ঠিত প্রভাব কাজে লাগিয়ে সমঝোতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানের ইসহাক দার। শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ‘কোনো দেশ যদি ভারতের সঙ্গে তাদের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়, তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’
এদিকে দুই প্রতিবেশীর মধ্যকার এই উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
২৩৩ দিন আগে
ভারতের কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত ২৬
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এই কাশ্মীরের পহেলগামে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খবর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির।
এমন এক সময়ে ভারতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে, যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরব গেছেন। পাশাপাশি ভারত সফরে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত মনোরম শহর পেহেলগামকে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। জনপ্রিয় এই পর্যটন নগরীর এই হামলা ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। হামলার পর আহতদের উদ্ধারে সেখানে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। কারণ, এই এলাকায় কেবল হেঁটে বা ঘোড়ায় চড়ে পৌঁছানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় সন্দেহভাজন রাখালদের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২
এনডিটিভি জানিয়েছে, পহেলগামের বৈসারণ উপত্যকার ওপরে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জঙ্গিরা জঙ্গল থেকে হঠাৎ বের হয়ে নির্বিচারে গুলি শুরু করে। নিহতদের মধ্যে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা ও এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাও রয়েছেন।
এ ঘটনায় কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে যতগুলো হামলা হয়েছে, সেগুলোর তুলনায় এটা অনেক বড় হামলা।’
হামলার পর নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে মঙ্গলবার রাতেই দেশে ফিরেছেন বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে।
হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন মোদি। গতকাল (মঙ্গলবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আমাদের সংকল্প অটুট রয়েছে এবং এটা আরও শক্তিশালী হবে।’
হামলার পর কাশ্মীরে গেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কাশ্মীরের শ্রীনগরে গিয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দিল্লিতে অমিত শাহর বাসভবনে জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান তপন দেকা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন, সিআরপিএফ প্রধান জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক নলিন প্রভাতসহ সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা। ওমর আবদুল্লাহ এবং কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
হামলার পর ঘটনাস্থল পেহেলগাম এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক খবরে বলা হয়, এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা এই ঘোষণা দিয়েছে। তবে বিষয়টি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠীই হামলায় দায় স্বীকার করেনি।
এই হামলার তীব্র নিন্দা ও ভারতের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউরোপীয় ইউনিয়েনের প্রধান উরসুলা ভন দার লিয়েনসহ অনেকে।
২৩৬ দিন আগে
ওয়াকফ আইন পশ্চিমবঙ্গে বলবৎ হবে না: মমতা
ভারতের ওয়াকফ আইন পশ্চিমবঙ্গে বলবৎ করা হবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই আইন রাজ্য সরকার সমর্থন করে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। মমতা বলেন, ‘বাংলায় তা বলবৎও হবে না। তা হলে হিংসা কেন? যারা এই হিংসায় উসকানি দিচ্ছেন, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে এমন খবর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ডকে 'নির্মমতা' বললেন ইউনূস
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বলেন, ‘সেই আইনটি কিন্তু আমরা করিনি। আইনটি কেন্দ্রীয় সরকার করেছে। তাই উত্তর যা চাওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাইতে হবে।’
রাজনৈতিক দলের চক্রান্তের কথাও উল্লেখ করে মমতা, ‘কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছে। তাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমি মনে করি, ধর্ম মানে মানবিকতা, সহৃদয়তা, সভ্যতা ও সম্প্রীতি।’ এ সময়ে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে দেশটির নানা প্রান্তে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালতেও আইনটি বাতিল করার দাবিতে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ আগামী সপ্তাহেই এই মামলাগুলো শুনবে।
অন্য দিকে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ওই রাজ্যের হাজার হাজার বিতর্কিত ওয়াকফ সম্পত্তি চিহ্নিত করে তা বাজেয়াপ্ত করার জন্য উদ্যোগ শুরু করে দিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। ভারতে সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি আছে উত্তরপ্রদেশেই।
ওই একই রাজ্যের মুজফফরনগরে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় হাতে কালো আর্মব্যান্ড পরে নতুন আইনটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তিন শতাধিক ব্যক্তিকে নোটিশ পাঠিয়ে মাথাপিছু ২ লাখ রুপি করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে গুন্ডা ঢোকানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে, দাবি মমতার
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়ও আইনপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। গেল বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক বিশাল সমাবেশ থেকে ওয়াকফ আইন বাতিল করার দাবিতে কম করে এক কোটি মানুষের স্বাক্ষর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে মুসলিম সংগঠন জমিয়ত-ই-উলেমা হিন্দ।
২৪৭ দিন আগে