ইউএস-ও-কানাডা
ইসরায়েলের জন্য বাইডেন প্রশাসনের ‘অন্ধ সমর্থন’র প্রতিবাদে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার পদত্যাগ
হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে বাইডেন প্রশাসনের ইসরায়েলের প্রতি ‘অন্ধ সমর্থন’র প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা জোশ পল।
জোশ পল ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে অধিদপ্তরের রাজনৈতিক-সামরিকবিষয়ক ব্যুরোতে কাজ করেছেন। এই ব্যুরো অন্যান্য দেশগুলোতে মার্কিন অস্ত্র হস্তান্তর তত্ত্বাবধান করে।
গত বুধবার তার দেওয়া পদত্যাগপত্রে তিনি বলেছেন, তার দেশের ইসরায়েলের জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবস্থা করার মতো ‘সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের’ সঙ্গে একমত হতে না পারায় তিনি চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
পল বলেন, তিনি সবার কাছে তার মতামত স্পষ্ট করতে চান। ইসরায়েলের উপর হামাসের আক্রমণ ‘একটি দানবের দানবীয়তা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ইসরায়েল যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এবং তার সঙ্গে আমেরিকা যে সমর্থন দিচ্ছে; তা দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয় দেশের জনগণের জন্য দুর্ভোগ আরও বাড়াবে।’
তিনি লিখেছেন, ‘এই প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এবং কংগ্রেসের সুনিশ্চিত পক্ষপাতিত্ব মূলত রাজনৈতিক সুবিধা, বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্ব এবং আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর নির্মিত একটি আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া। অর্থাৎ বলা যায়, এটি অত্যন্ত হতাশাজনক ও সম্পূর্ণরূপে নজিরবিহীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাস্তবতা হলো এক পক্ষের জন্য অন্ধ সমর্থন দীর্ঘমেয়াদে উভয় পক্ষের জনগণের স্বার্থের জন্য ধ্বংসাত্মক।’
আরও পড়ুন: গাজায় 'মানবিক বিরতির' আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের ব্যর্থতায় ফ্রান্সের দুঃখ প্রকাশ
ভারত থেকে কানাডার ৪১ কূটনীতিককে প্রত্যাহার
ভারত সরকার তাদের কূটনৈতিক নিরাপত্তা (ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি) প্রত্যাহারের পরে ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করেছে কানাডা। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত জুন মাসে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে দেশটির নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত থাকতে পারে বলে কানাডার অভিযোগের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধের কারণে সর্বশেষ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভারত কানাডাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ‘সন্ত্রাসীদের’ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগটিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে নাকচ করেছে এবং অভিযোগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বৃহস্পতিবার বলেছেন, ভারতে থাকা কানাডার ৬২ কূটনীতিকের মধ্যে ৪১ জনকে তাদের পরিবারসহ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জোলি বলেন, বাকি ২১ কানাডিয়ান কূটনীতিক ভারতে থাকবেন।
জোলি বলেন, ‘৪১ জন কানাডিয়ান কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের ৪২ জন সদস্য তাদের কূটনীতিক নিরাপত্তা প্রত্যাহারের ঝুঁকিতে ছিলেন। এটি প্রত্যাহারে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ফিরে এসেছেন।’
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কানাডা: ট্রুডো
জোলি বলেন, কূটনৈতিক নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া বিষয়টি নতুন নয়, কিন্তু এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। তবে এ কারণে কানাডা ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে একই জিনিস করার হুমকি দেবে না।
জোলি বলেন, ‘কূটনৈতিক বিশেষাধিকার ও মর্যাদার একতরফা প্রত্যাহার আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি করার হুমকি দেওয়া অযৌক্তিক ও উসকানিমূলক।’
জোলি বলেন, ভারতের সিদ্ধান্ত উভয় দেশের নাগরিকদের পরিষেবাপ্রাপ্তিকে প্রভাবিত করবে।
তিনি বলেন, চণ্ডিগড়, মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালোরে ব্যক্তিগত পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে কানাডা।
কিছুদিন আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ভারতে কানাডিয়ান কূটনীতিকদের সংখ্যা কমানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, কানাডায় ভারতের কর্মকর্তাদের চেয়ে ভারতে কানাডার কর্মকর্তাদের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত মাসে বলেছিলেন, ভ্যাঙ্কুভারের বাইরে সারেতে জুন মাসে মুখোশধারী বন্দুকধারীদের হাতে নিহত ৪৫ বছর বয়সী শিখ নেতা নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় জড়িত থাকার ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে।
কয়েক বছর ধরে ভারত অভিযোগ করে আসছে, ভারতে জন্মগ্রহণকারী কানাডিয়ান নাগরিক নিজ্জার সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত।
তবে নিজ্জার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ ফিকে: বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি
ভারত কানাডিয়ানদের ভিসাও বাতিল করেছে, তবে কানাডা এজন্য প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
এর আগে কানাডা একজন সিনিয়র ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করার পরে, ভারতও কানাডার একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল।
তবে ট্রুডোকে কূটনৈতিক বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, কানাডা ‘উসকানি বা উত্তেজনা বাড়াতে চাইছে না।’
একজন কানাডিয়ান কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছিলেন, কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের নজরদারির মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া, তাদের প্রধান মিত্রদের নিয়ে গঠিত একটি গোয়েন্দা বাহিনীও একই তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ফাইভ আই’ গোয়েন্দা-শেয়ারিং জোট এ বিষয়ে কিছু গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছিল। ‘ফাইভ আই’ গোয়েন্দা শেয়ারিং জোটে কানাডা ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড রয়েছে।
ভারতের সর্বশেষ কূটনৈতিক বহিষ্কারের পদক্ষেপ এই দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
নয়াদিল্লিতে সাম্প্রতিক গ্রুপ অব ২০ বৈঠকের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রুডোর হিমশীতল কথোপকথন হয়।
এর কয়েকদিন পরে, ভারতে একটি বাণিজ্য মিশন বাতিল করে কানাডা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন উত্তপ্ত দ্বন্দ্বের মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, অভিযোগের বিষয়টি ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
নিজ্জার খালিস্তান নামে পরিচিত একটি স্বাধীন শিখ আবাসভূমি তৈরির আন্দোলনের এক সময়ের শক্তিশালী একজন নেতা ছিলেন।
১৯৭০ থেকে ১৯৮০’র দশকে একটি রক্তাক্ত শিখ বিদ্রোহ উত্তর ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সেসময় দেশটিতে শিখ নেতাসহ হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
খালিস্তান আন্দোলন তার রাজনৈতিক শক্তি হারিয়েছে। কিন্তু এখনও ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে এ আন্দোলনের সমর্থক শিখ রয়েছে।
কয়েক বছর আগে সক্রিয় বিদ্রোহ শেষ হওয়ার সময় ভারত সরকার বারবার সতর্ক করেছে যে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ফিরে আসার চেষ্টা করছে।
কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালে ভারত কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা, অস্থায়ী বিদেশি কর্মী এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য শীর্ষ দেশ ছিল।
আরও পড়ুন: 'ফাইভ আইজ' দেশগুলোর গোয়েন্দা তথ্য কানাডাকে শিখ হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
মিলার বলেন, কূটনীতিকদের মর্যাদা অপসারণের ভারতের সিদ্ধান্তের ফলে কানাডার অভিবাসন বিভাগ ভারতে কানাডিয়ান কর্মীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে।
মিলার আরও বলেন, শ্রমিকদের ভিসা ও পারমিট প্রদানেও বাধা সৃষ্টি করবে।
ঊর্ধ্বতন কানাডিয়ান কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারত কানাডিয়ান কূটনীতিকদের সংখ্যা এবং কূটনৈতিক মর্যাদা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় ছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারত আরও ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা বিভিন্ন পারমিট বাতিল করবে। যেমন- কূটনীতিকদের স্বামী/স্ত্রীকে ভারতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া এবং গাড়িতে কূটনৈতিক প্লেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নেলসন ওয়াইজম্যান বলেছেন, কানাডার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ভারত সর্বশেষ যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অর্থহীন।
ওয়াইজম্যান বলেছেন, ‘কানাডিয়ান কূটনীতিকদের বহিষ্কার ভারতীয়দের বিচলিত মানসিকতা প্রকাশ করে; এতে বোঝা যায় যে তারা জানে যে তারা কানাডায় একজন কানাডিয়ান হত্যার সঙ্গে জড়িত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা হত্যার তদন্তে কানাডার সঙ্গে তাদের সহযোগিতার অভাব থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছে।’
বোমা-হত্যার হুমকিতে ভার্জিনিয়ার ভোজসভা বাতিল করল মার্কিন মুসলিম নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী
বোমা ও প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ায় ভার্জিনিয়ার একটি হোটেল থেকে জাতীয় মুসলিম নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী বার্ষিক ভোজসভা সরিয়ে নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে আটকা পড়া ফিলিস্তিনিদের জন্য মুসলিম এই গোষ্ঠীটির উদ্বেগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে মুসলিমদের নাগরিক অধিকার সংস্থাটি।
কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) ওয়াশিংটন ডিসি থেকে পোটোম্যাক নদীর ঠিক ওপারে আর্লিংটনের ম্যারিয়ট ক্রিস্টাল গেটওয়েতে শনিবার তাদের ২৯তম বার্ষিক ভোজসভার পরিকল্পনা বাতিল করেছে।
এক দশক ধরে হোটেলটি ব্যবহার করে আসা এই গোষ্ঠীটি কঠোর নিরাপত্তাসহ একটি অজ্ঞাত স্থানে ভোজসভা সরিয়ে নেবে বলে গ্রুপের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ম্যারিয়টের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা হোটেলের পার্কিং গ্যারেজে বোমা স্থাপন, হোটেলের নির্দিষ্ট কর্মীদের তাদের বাড়িতে হত্যা এবং ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর হুমকি দিয়েছে।’
আর্লিংটন পুলিশ এক ই-মেইলে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে হোটেল থেকে সিএআইআর ইভেন্টে ‘কিছু বোমা হামলার হুমকির’ বিষয়ে বেনামী ফোন কল পাওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
এফবিআইয়ের কাছ থেকে মন্তব্য চেয়ে ইমেলগুলো সিএআইআরও তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে, এবং ম্যারিয়ট হোটেল চেইনকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাৎক্ষণিকভাবে উত্তর দেওয়া হয়নি।
আগামী ২৮ অক্টোবর মেরিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় একটি পৃথক ভোজসভাও বাতিল করা হয়েছে এবং শনিবারের অনুষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত করা হবে বলে জানিয়েছে সিএআইআর।
ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার ইস্যুতে ফোকাস করার জন্য সিএআইআর ভোজের প্রোগ্রামিং আপডেট করার পরে এই হুমকি এসেছে। গ্রুপটি গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রচারের জন্য কংগ্রেসের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি অনলাইন প্রচারণা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় 'মানবিক বিরতির' আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের ব্যর্থতায় ফ্রান্সের দুঃখ প্রকাশ
এক বিবৃতিতে সিএআইআর-এর ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিলিস্তিনি আমেরিকান নিহাদ আওয়াদ বলেন, ‘আমরা আমাদের সংস্থা, ম্যারিয়ট হোটেল এবং এর কর্মীদের বিরুদ্ধে চরম ও ঘৃণ্য হুমকির তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা ফিলিস্তিন বিরোধী বর্ণবাদী ও মুসলিম বিদ্বেষীদের হুমকি মেনে নেব না, যারা ফিলিস্তিনি জনগণকে অমানবিক করতে চায় এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার পেতে বাধা দিতে আমেরিকান মুসলমানদের চুপ করিয়ে দিতে চায়।’
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে হামাস গত ৭ অক্টোবর নিকটবর্তী ইসরায়েলি শহরগুলোতে অভিযান চালায়। এতে শত শত সামরিক-বেসামরিক লোক নিহত হয়। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে পুরো এলাকা ধ্বংস করে দিয়েছে এবং শত শত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।
এই যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতাকে অনুপ্রাণিত করবে বলে উদ্বেগ রয়েছে। গত সপ্তাহে বড় বড় শহরগুলোতে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করেছে। কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলের চারপাশে বেড়া স্থাপন করে এবং কিছু স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও বিশ্বাসযোগ্য হুমকি নেই।
আরও পড়ুন: ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিচারের আহ্বান আইন প্রণেতাদের
সিরিয়ার বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হামলা ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’: জাতিসংঘের মুখপাত্র
ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ার দুটি বিমানবন্দরকে বিকল করে দিয়েছে। ইসরায়েলের এ ধরনের হামলাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক বলেছেন, আলেপ্পো ও দামেস্ক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
বিশেষ করে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সতর্কতা ও উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি।
মুখপাত্র বলেছেন, গুতেরেস সিরিয়ায় সমস্ত সহিংসতার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামোকে অবশ্যই সুরক্ষা দিতে হবে। তা স্মরণ করে সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গাজার উত্তরাঞ্চলের ১ মিলিয়ন মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের
তিনি প্রাত্যাহিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময়ে আছি যেখানে এই উত্তেজনাগুলো আরও বেড়েছে। সেখানে একটা ভুল পদক্ষেপও এরই মধ্যে অস্থিতিশীল হওয়া অঞ্চলকে ব্যাপক সহিংসতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।’
তিনি বলেন, যে দুটি বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোতে জাতিসংঘের মানবিক বিমান পরিষেবা সাময়িক স্থগিত থাকবে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে দামেস্ক ও আলেপ্পোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোর উদ্দেশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইসরায়েল
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জিম্মি নিহত: আল-কাসাম ব্রিগেড
ইসরায়েল ও হামাসের সংঘর্ষে ৯ মার্কিন নাগরিক নিহত: এনএসসি
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে ৯ জন মার্কিন নাগরিকও রয়েছেন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) প্রতিনিধি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএনকে দেওয়া বক্তব্যে ওই মুখপাত্র বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ৯ জন মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করতে পারি। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের এবং ক্ষতিগ্রস্ত সবার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
আরও পড়ুন: হামাসের আকস্মিক হামলা-ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়ায় নিহত ১০০০ ছাড়িয়েছে
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং সেখানে রয়েছি। আমাদের ইসরায়েলি অংশীদারদের সঙ্গে, বিশেষ করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমরা ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করছি, কারণ তারা নিখোঁজ মার্কিন নাগরিকদের খুঁজে বের করার জন্য নিরাপত্তা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে… এবং আমরা অবশ্যই নিহত এই ৯ জন আমেরিকানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এবং তাদের প্রয়োজনীয় যেকোনো কনস্যুলার সহায়তা দিচ্ছি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এখনও সংঘর্ষে জড়িত মার্কিন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করছে।
আরও পড়ুন: হামাসের আকস্মিক হামলায় ২২ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামাসের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা
অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও টেকসই মানব বসতি গড়তে অঙ্গীকারের আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
সব জায়গায় সব মানুষের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, স্থিতিস্থাপক ও টেকসই মানব বসতি গড়ে তুলতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক পদক্ষেপ অত্যাবশ্যক এবং বিশ্বব্যাপী সহযোগিতাও অপরিহার্য। এই বিশ্ব আবাসন দিবসে আসুন আমরা সব মানুষের জন্য, সর্বত্র অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, স্থিতিস্থাপক ও টেকসই মানব বসতি গড়ে তোলার অঙ্গীকার করি।’
আগামীকাল সোমবার (২ অক্টোবর) বিশ্ব আবাসন দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় রবিবার (১ অক্টোবর) তিনি এসব কথা বলেন।
এই বছরের বিশ্ব আবাসন দিবসটি 'স্থিতিস্থাপক শহুরে অর্থনীতি' এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক, সবুজ ও টেকসই প্রবৃদ্ধির চালক হিসেবে শহরগুলোর সম্ভাবনার উপর আলোকপাত করেছে।
জাতিসংঘের প্রধান বলেছেন, এই প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য শহরগুলোকে অবশ্যই অর্থনৈতিক ধাক্কা, ক্রমবর্ধমান জলবায়ু সংকট এবং বৈষম্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থানীয় ২০৩০ কোয়ালিশনের মাধ্যমে আমরা এই সঙ্কটগুলোকে মোকাবিলা করতে এবং টেকসই নগরায়নকে এগিয়ে নিতে পুরো জাতিসংঘ ব্যবস্থাকে একত্রিত করছি।’
আরও পড়ুন: পর্যটনশিল্পকে অবশ্যই নিরাপদ করতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব
গুতেরেস বলেন, সার্কুলার ইকোনমি (উপকরণ বা পণ্যের পুনর্ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা) তৈরিতে সহায়তা করছে স্থানীয় শূন্য বর্জ্য উদ্যোগ।
সবুজ স্থান সম্প্রসারণের জন্য জনসাধারণের প্রচেষ্টা তাপপ্রবাহের সময় শহরের প্রাকৃতিক পরিবেশকে শীতল করতে সহায়তা করে।
তিনি বলেন, ‘খাদ্যের বর্জ্য কমাতে এবং স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে আঞ্চলিক উদ্যোগ আমাদের খাদ্য ব্যবস্থার পরিবর্তনের মূল পদক্ষেপ।’
জাতিসংঘের প্রধান বলেছেন, ‘বৃহত্তর স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করা এবং দুর্বল জনসংখ্যাকে আরও ভালোভাবে রক্ষা করার জন্য টেকসই অবকাঠামো, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা এবং সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের ও পর্যাপ্ত আবাসনের জন্য অনেক বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তায় বিনিয়োগ করার পাশাপাশি আমাদের অবশ্যই বিদ্যুৎ, পানীয়, স্যানিটেশন, পরিবহন এবং অন্যান্য মৌলিক পরিষেবাগুলোতে অভিগম্যতার উন্নয়নে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: মানুষের উন্নত ভবিষ্যৎ-শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার পথ হলো শিক্ষা: জাতিসংঘ মহাসচিব
বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়াতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কানাডা: ট্রুডো
ভারতের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক বিরোধ সত্ত্বেও কানাডা সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
বিবিসির খবরে বলা হয়, দুই দেশের সম্পর্ক সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসার পর সম্প্রতি তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ট্রুডো ঘোষণা করেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী এক শিখ নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের জড়িত থাকার সম্ভাব্য অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কানাডা।
তবে, এই দাবিকে 'অযৌক্তিক' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে দিল্লি।
গত জুনে কানাডার একটি মন্দিরের বাইরে খুন হন হরদীপ সিং নিজ্জার। নিজ্জার খালিস্তান আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ট্রুডো বলেন, ভারতকে 'গঠনমূলক ও গুরুত্বসহকারে' সম্পৃক্ত করা অপরিহার্য।
ন্যাশনাল পোস্ট তার বরাত দিয়ে জানায়, ‘ভারত একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ। গত বছর আমরা যখন আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি উপস্থাপন করেছি, তখন আমরা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে খুবই আন্তরিক ছিলাম।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে ট্রুডো নেতাদের নৈশভোজে যোগ না দেওয়ায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এতে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রুডোর সংক্ষিপ্ত বৈঠক হলেও তাদের শরীরী ভাষা 'শীতল' ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর কয়েকদিন পর কানাডার পার্লামেন্টে ট্রুডো জানান, নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার সম্ভাব্য অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তারা।
এরপর থেকে দুই দেশই একে অপরের কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। গত সপ্তাহে কানাডার কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে কানাডার নাগরিকদের ভিসা সেবা স্থগিত করে ভারত।
আরও পড়ুন: 'ফাইভ আইজ' দেশগুলোর গোয়েন্দা তথ্য কানাডাকে শিখ হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
ট্রুডো বৃহস্পতিবার(২৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের তাৎপর্য নিয়ে কথা বলেন, তবে হত্যার তদন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে, স্পষ্টতই আইনের শাসনের দেশ হিসেবে আমাদের জোর দিতে হবে যে কানাডার সঙ্গে কাজ করতে হবে ভারতকে, যাতে আমরা এই বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পেতে পারি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারত জোর দিয়ে বলেছে এই হত্যাকাণ্ডে তাদের কোনো ভূমিকা নেই এবং ২০২০ সালে দিল্লি নিজ্জারকে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করেছিল। যদিও তার সমর্থকরা দৃঢ়ভাবে সেটি অস্বীকার করে।
পশ্চিমা দেশগুলোতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের খালিস্তান বা একটি পৃথক শিখ রাষ্ট্রের দাবির বিষয়ে ভারত সরকার সবসময়ই কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া দিল্লিকে তদন্তে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে। তবে তারা ভারতের সমালোচনা করেনি। যেটিকে তারা এশিয়ায় চীনের উত্থানের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষামূলক হিসেবে বিবেচনা করে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ ফিকে: বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি
ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ ফিকে: বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি
গত সপ্তাহে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো হাউস অব কমন্সের মঞ্চে উঠে কানাডার মাটিতে এক কানাডিয়ান নাগরিককে হত্যার জন্য ভারত সরকারের এজেন্টদের অভিযুক্ত করেন। কানাডার ওই নাগরিক একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী যাকে ভারত সরকার সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।
এই অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে নয়াদিল্লি। এতে ভারত-কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ককের মধ্যে চিড় ধরেছে।
ট্রুডোর প্রকাশ্যে অভিযোগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এ ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) কানাডিয়ান স্টেশন প্রধানকে অটোয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে বহিষ্কার করেছে উত্তর আমেরিকার দেশটি।
এদিকে এর বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। কানাডার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে ভারত সরকার। পরে কানাডার নাগরিকদের জন্য সমস্ত ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে।
কূটনৈতিক এই অবস্থার মধ্যে- একটি বিষয় খুব তাৎপর্যপূর্ণ যে ভারত ও কানাডা উভয়ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমের মিত্র।
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এবং বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সংঘাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত।
এমন শীতল ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে কেউ ভাবতে পারে যে জাস্টিন ট্রুডো বিশ্ব মঞ্চে কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ট্রুডো একা গত এক সপ্তাহ ধরে ভূ-রাজনীতির শীতল বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'ফাইভ আইজ' দেশগুলোর গোয়েন্দা তথ্য কানাডাকে শিখ হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
বিবিসির খবরে বলা হয়, কানাডার চেয়ে ৩৫ গুণ বেশি জনসংখ্যার এবং বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ ভারত। তাদের মুখোমুখি হতে গিয়ে জনগণের চোখে ট্রুডো একা হয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য- অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত ফাইভ আইস ইন্টেলিজেন্স অ্যালায়েন্সের কাছ থেকে নয়াদিল্লির ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে কানাডা।
তবে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা নেটওয়ার্কে ট্রুডোর মিত্ররা তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, কানাডা যেসব কথা বলছে, তার দেশ তা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নিয়েছে।
প্রায় একই ভাষা ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়া বলেছে, তারা এই অভিযোগ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
এদিকে অটোয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা আশা করছে- দিল্লি এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অটোয়াকে সহযোগিতা করবে।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি উল্লেখ করেছে যে- ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ বর্তমানে ফিকে।
উইলসন সেন্টারের কানাডা ইনস্টিটিউটের গবেষক জেভিয়ার ডেলগাডো বিবিসিকে জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ সব পশ্চিমা ও ইন্দো-প্যাসিফিক মিত্ররা ভারতকে কেন্দ্র করে একটি কৌশল তৈরি করেছে। এটি চীনের বিরুদ্ধে একটি রক্ষাকবচ ও পাল্টা শক্তি হতে পারে। এটি এমন বিষয় যে ছুঁড়ে ফেলার সামর্থ্যও তাদের নেই।
আরও পড়ুন: কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে কানাডার নাগরিকদের ভিসা স্থগিত করল ভারত
ইন্দো-প্যাসিফিকের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হতে চায় কানাডা
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর ৪৭০টি নির্বিচারে গুলির ঘটনা ঘটেছে
২০২৩ সালের প্রথম আট মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৪৭০টি গণ গুলির ঘটনা ঘটেছে এবং ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ বন্দুক সহিংসতায় মারা গেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি সংবাদপত্র গালফ নিউজ একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ১৭ বছর বা তার কম বয়সী ২২ শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। এদের অধিকাংশই মারা যায়। তবে আত্মহত্যার কারণেও অনেকের মৃত্যু হয়।
গালফ নিউজ বলেছেন, ‘আমেরিকাতে আপনারা একটি শিশুকেও জীবিত ফিরে আসার গ্যারান্টি ছাড়াই স্কুলে পাঠান। এটি এমন একটি দেশ যারা ভালোর সঙ্গে যুদ্ধে খারাপকে জয়ী হওয়ার ক্ষমতা দেয়। খুনের লাইসেন্সে কোনোদিন স্বপ্ন দেখা যায়না।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহে বন্দুক হামলায় ৮ জন নিহত
এতে বলা হয়েছে, আমেরিকানরা যে বন্দুক সংস্কৃতি গ্রহণ করেছে, তা তাদের সাংবিধানিক অধিকারের অংশ। যা স্থানীয়দের মানসিকতায় এতটাই জড়িয়ে আছে যে প্রতিদিন শিশুদের গুলি করা হলেও এ পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না।
এই দুঃখজনক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর ক্রিস মারফি সিএনএনকে বলেছেন, ‘এটি বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে বাস্তবতায় পিষ্ট পুরুষরা গণহত্যার মাধ্যমে তাদের ভেতরের দানবকে অবদমিত করে।’
বন্দুক সহিংসতা দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন সমাজে একটি বিভাজনকারী ও মারাত্মক সমস্যা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র অনুসারে, ২০০৪ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক-সম্পর্কিত সহিংসতার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০২১ সালে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৪৮ হাজার ৮৩০ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ সালে নির্বিচারে গুলির ঘটনা ঘটেছে ৪০০টিরও বেশি
যুক্তরাষ্ট্রে হাইস্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ২, আহত ৫
হারিকেন ইডালিয়ার আঘাতে তলিয়ে গেছে ফ্লোরিডার রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
হারিকেন ইডালিয়া ঘন্টায় ১২৫ মাইল বেগে আঘাত হেনেছে ফ্লোরিডায়। বুধবার হারিকেনের আঘাতে গাছগুলো ভেঙে পড়েছে, হোটেলের ছাদ ধসে পড়েছে এবং ছোট গাড়িগুলোকে নৌকার মতো ভাসিয়ে নিয়েছে। এর আগে জর্জিয়া এবং দক্ষিণ ক্যারোলিনায় শক্তিশালী ঝড় হিসাবে এটি আঘাত হানে, যাতে রাস্তাঘাট প্লাবিত করে এবং বাসিন্দাদের উঁচু ভূমিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে।
পেরির বেলন্ড থমাস বলেছেন,‘নরকে পরিণত হয়েছে’,বিগ বেন্ড অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ একটি মিল শহরের তীরে আঘাত হেনেছিল ইডালিয়া।
টমাস তার পরিবার এবং কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একটি মোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন এই ভেবে যে ঝড়ের সময় বাড়ির বাইরে এটি নিরাপদ হবে। কিন্তু যখন সকাল সাড়ে ৮টা বাজল তখন ইডালিয়ার একটি উচ্চ শব্দের প্রবল বাতাস ভবনের ছাদটি ভেঙে ফেলে। এতে বিছানায় শুয়ে থাকা তার গর্ভবতী কন্যার উপর ভবনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে। সৌভাগ্যক্রমে তিনি আহত হননি।
টমাস বলেছিলেন।‘এটি ছিল ভয়ঙ্কর,’ ‘জিনিসগুলো খুব দ্রুত উড়ে যাচ্ছিল। ... সবকিছু ঘুরছিল।’
উপকূলে আসার পর, ইডালিয়া সকাল পৌনে আটটায় কিটন বিচের কাছে তীরে উচ্চ গতির ঘন্টায় ১২৫ মাইল (২০৫ কিলোমিটার) বেগের কাছাকাছি একটি বাতাস আঘাত করেছে। সিস্টেমটি একটি হারিকেন হিসেবে পরিগণিত হয়। কারণ এটি ৯০ মাইল (১৫০ মাইল প্রতি ঘন্টা) বেগে বাতাসের সঙ্গে জর্জিয়া অতিক্রম করেছে। এটি বুধবার বিকালে একটি ক্রান্তীয় ঝড়ে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে এর বাতাসের গতিবেগ ৬৫ মাইল (১০০ কিলোমিটার) এ নেমে যায়।
চোখের পলকে প্রবল বাতাস জিনিসগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়, ছাদ উড়িয়ে দেয়, শীট মেটাল উড়ে যায় এবং লম্বা গাছগুলো ভেঙে ফেলে। এতে জর্জিয়ায় একজন নিহত হয়েছেন। তবে ফ্লোরিডায় হারিকেন-সম্পর্কিত কোনো মৃত্যুর খবর আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। ফ্লোরিডা হাইওয়ে প্যাট্রোল জানিয়েছে, ইডালিয়া আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টা আগে পৃথক আবহাওয়া-সম্পর্কিত দুর্ঘটনায় দুজন লোক মারা গেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ক্যারোলিনাসের দিকে যাওয়ার সময় ঝড়টি সাভানা, জর্জিয়ার প্রবল বাতাস বয়ে আনছিল৷ পূর্বদিকে বাঁক নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে যাওয়ার আগে বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ ক্যারোলিনার চার্লসটনের উপর দিয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
জাতীয় আবহাওয়া সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ইডালিয়া একটি টর্নেডোর রূপ নিয়েছে যা সংক্ষিপ্তভাবে গুজ ক্রিকের চার্লসটন শহরতলিতে আঘাত হেনেছে। কর্তৃপক্ষ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের ভিডিও অনুসারে, বাতাস একটি গাড়িকে উড়িয়ে নিয়েছিল এবং এটি উল্টে যায়। এতে দুইজন সামান্য আহত হয়েছেন।
দক্ষিণ ক্যারোলিনার উপকূল বরাবর, নর্থ মার্টল বিচ, গার্ডেন সিটি এবং এডিস্টো দ্বীপের সবগুলোই রিপোর্ট করেছে যে সমুদ্রের পানি বালির টিলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং বুধবার সন্ধ্যায় সমুদ্র সৈকতের রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছে। চার্লসটনে, ইডালিয়া থেকে ঝড়ের ঢেউ সমুদ্রের তীরে শহরের কেন্দ্রকে রক্ষাকারী বাধের উপর উঠেছিল। রাস্তা এবং আশেপাশে ঘোড়া-টানা গাড়িগুলো ও মিলিয়ন ডলারের বাড়ি এবং বিখ্যাত উন্মুক্ত বাজারে সমুদ্রের পানিতে পায়ের গোড়ালি সমান হয়।
প্রাথমিক তথ্য দেখায় যে বুধবার সন্ধ্যায় উচ্চ জোয়ার মাত্র ৯ দশমিক ২ ফুট ( ২ দশমিক ৮ মিটার)। এটি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ফুট (শূন্য দশমিক ৯ মিটার) বেশি। চার্লসটন হারবারে ১৮৯৯ সালে পঞ্চম-সর্বোচ্চ রিডিং রেকর্ড করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯
গত বছরের হারিকেন ইয়ান থেকে পুনরুদ্ধার করার সময় ফ্লোরিডা সবচেয়ে খারাপের আশঙ্কা করেছিল। যেটি ব্যাপক জনবহুল ফোর্ট মায়ার্স এলাকায় আঘাত হেনিছিল। সেসময় রাজ্যটিতে মারা গিয়েছিল ১৪৯ জন। সেই ঝড়ের বিপরীতে, ইডালিয়া ফ্লোরিডার ‘প্রকৃতি উপকূল’ নামে পরিচিত একটি খুব হালকা জনবসতিপূর্ণ এলাকাকে উড়িয়ে দিয়েছে। এটি রাজ্যের অন্যতম গ্রামীণ অঞ্চল যা জনাকীর্ণ মহানগর বা ব্যস্ত পর্যটন এলাকা থেকে দূরে অবস্থিত এবং লাখ লাখ একর অনুন্নত জমি রয়েছে।
এর মানে এই নয় যে এটি বড় ক্ষতি করেনি। ফ্লোরিডা এবং জর্জিয়ার প্রায় পাঁচ লাখ গ্রাহক উপকূলের কাছাকাছি পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তা, নিরবচ্ছিন্ন ছোট নৌকা এবং পাঁচ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। পেরিতে দোকানের জানালা উড়িয়ে নিয়েছে বাতাস, ভবনের সাইডিং ভেঙ্গে ফেলে এবং একটি গ্যাস স্টেশনের ছাউনি উল্টে দেয়। ভারি বর্ষণ আংশিকভাবে টাম্পায় আন্তঃরাজ্য ২৭৫ প্লাবিত করেছে এবং জর্জিয়ার ভালদোস্তার ঠিক দক্ষিণে আন্তঃরাজ্য ৭৫-এর উত্তর দিকের বিদ্যুতের লাইনগুলোকে বাতাসে ভেঙ্গে পড়েছে।
২০ মাইল (৩২কিলোমিটার) এরও কম দক্ষিণে যেখানে ইডালিয়া ভূমিতে আচড়ে পড়েছে। ফ্লোরিডার স্টেইনহাটচিতে ব্যবসা, নৌকা ডক এবং বাড়িগুলো ডেডম্যান উপসাগর থেকে আসা পানির ঢেউ গ্রাস করেছে। পুলিশ অফিসাররা মাছ ধরা এবং বন শিল্পের জন্য পরিচিত ৫০০জনের অধিক বাসিন্দার উপকূলীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
রাজ্যের কর্মকর্তারা সাড়ে ৫ হাজার জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং উদ্ধারকর্মীদের সাহায্যে অনুসন্ধান এবং পুনরুদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে। সেতুগুলো পরিদর্শন করছে, উপড়ে পড়া গাছগুলো পরিষ্কার করছে এবং দুর্দশাগ্রস্ত কেউ থাকলে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০১
ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অফ ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের পরিচালক কেভিন গুথরি বলেছেন, বিগ বেন্ড এলাকার দূরবর্তী হওয়ার কারণে অনুসন্ধান দলগুলোকে কাজ শেশ করতে অতীতে শহুরে এলাকায় হারিকেনের আগাতের তুলনায় আরও বেশি সময় লাগতে পারে।
কেভিন গুথরি আরও বলেন, ‘৫ মাইল (৮-কিলোমিটার) রাস্তায় আপনার দুটি বাড়ি থাকতে পারে তাই এটি কিছুটা সময় লাগতে পারে।’
তালাহাসির ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস ইডালিয়াকে ‘একটি নজিরবিহীন ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছে, কারণ এর আগে কখনো কোনো বড় হারিকেন বিগ বেন্ডের উপর দিয়ে উপসাগরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার রেকর্ড নেই।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয় আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিলারি