প্রযুক্তির-খবর
পবিত্র রমজানে কোরআন তেলাওয়াত শোনার ১০ মোবাইল অ্যাপ
সিয়াম সাধনার মাসে প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত শোনার মাধ্যমে প্রতিটি মুহূর্তে ইবাদতে মশগুল থাকা সম্ভব। রমজানের মাহাত্ম্য অর্জনের এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করা যেতে পারে স্মার্টফোনে কুরআন তেলাওয়াত শোনার মাধ্যমে। অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপল উভয় প্ল্যাটফর্মের জন্যই রয়েছে দারুণ কিছু অ্যাপ— যেগুলো এই ইবাদতের জন্য সহায়ক হতে পারে। চলুন, স্মার্টফোনে কোরআন তেলাওয়াত শোনার শীর্ষ-রেটিংপ্রাপ্ত অ্যাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
রমজানে যে ১০টি মোবাইল অ্যাপ হতে পারে কোরআন তেলাওয়াত শোনার উৎকৃষ্ট উপায়
.
কোরআন মাজিদ (Quran Majeed - القران الكريم / Quran Majeed - Ramadan 2025)
গুগল প্লে স্টোরে ৪.৬-স্টার এবং অ্যাপেল অ্যাপ স্টোরে ৪.৮-স্টার রেটিংপ্রাপ্ত এই অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পাকডাটা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করা গেলেও প্রিমিয়াম ফিচারগুলোর জন্য ন্যূনতম ৮০ টাকা খরচ করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য অ্যাপটির সাইজ ৮৩ এমবি (মেগাবাইট) এবং অ্যাপেল ডিভাইস বা আইওএস-এর জন্য ১১০.৭ এমবি।
‘Quran Majeed - Ramadan 2025’-এ আছে আব্দুর রাহমান আল-সুদাইসের মতো বিখ্যাত সব ক্বারিদের তেলাওয়াত। দেশ-বিদেশের নানান ধরণের ভাষার পাশাপাশি পুরো ইন্টারফেসটি বাংলাতে এবং অফলাইনে চালানো যাবে।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.pakdata.QuranMajeed
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/quran-majeed-ramadan-2025/id365557665
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
আল কোরআন (তাফসির অ্যান্ড বাই ওয়ার্ড) | Al Quran (Tafsir and By Word)
গ্রীন্টেক অ্যাপ্স ফাউন্ডেশনের সরবরাহ করা এই সেবাটি কেবল শোনার জন্য নয়, কোরআন অধ্যয়নের জন্যও উপযোগী। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য জায়গা নিবে মাত্র ৪১ এমবি এবং আইওএস ডিভাইসের জন্য ২৬.২ এমবি।
সম্পূর্ণ ফ্রি অ্যাপটিতে আছে তাফসির ইবনে কাসির, তাজবীদ এবং বিভিন্ন ক্বারিদের তেলাওয়াতের অডিও— যেগুলো একাধিক ভাষায় অনুবাদকৃত। এর মধ্যে বাংলাও আছে।
‘Al Quran (Tafsir and By Word)’-এর গুগল প্লে স্টোরে সংগৃহীত রেটিং ৪.৮-স্টার এবং অ্যাপেল অ্যাপ স্টোরে ৪.৯-স্টার।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.greentech.quran&hl=en
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/al-quran-tafsir-by-word/id1437038111
আরো পড়ুন: ছোটদের বাংলা ভাষা শেখার ১০টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
তার্তিল - মেমোরাইজ কোরআন (Tarteel ترتيل - Memorize Quran)
পবিত্র কোরআনভিত্তিক অ্যাপ তার্তিলের বিশেষ দিক হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সুরা সঠিক পদ্ধতি অনুসারে মুখস্ত করার জন্য এটি ব্যবহারকারীর উচ্চারণ শুনে তা যাচাই করতে পারে। এই কারণে অ্যাপটি তার্তিল এআই নামেও পরিচিত।
অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে জায়গা থাকতে হবে ন্যূনতম ১৬৩ এমবি। আর আইফোন ব্যবহারকারিদের প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ২৩৩.২ এমবি স্টোরেজ। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তার্তিল ইনকরপোরেশন উদ্ভাবনী অ্যাপটিকে ফ্রিতে ডাউনলোডের সুযোগ দিচ্ছে।
এখন পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোরে ‘Tarteel ترتيل - Memorize Quran’-এর রেটিং ৪.৭-স্টার, আর অ্যাপেলের অ্যাপ স্টোরে ৪.৮-স্টার।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.mmmoussa.iqra&hl=en
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/tarteel-%D8%AA%D8%B1%D8%AA%D9%8A%D9%84-ai-quran/id1391009396
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
মুসলিম প্রো: কোরআন আযান নামাজ / Muslim Pro: Prayer Times Qibla
অডিও তেলাওয়াত, নামাজের ওয়াক্তের নোটিফিকেশন, এবং কিবলার দিকনির্দেশ ফিচারের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি অ্যাপ ‘Muslim Pro: Prayer Times Qibla’। বিটসমিডিয়া পিটিই লিমিটেডের তৈরি অ্যাপটিতে আরও রয়েছে বঙ্গানুবাদের সুবিধা।
এখন পর্যন্ত আইফোন ব্যবহারকারীদের নিকট থেকে অ্যাপের প্রাপ্ত রেটিং ৪.৭-স্টার এবং অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা দিয়েছে ৪.২ স্টার।
বিনামূল্যে ডাউনলোডের জন্য সরবরাহকৃত অ্যাপটির সাইজ আইফোনের জন্য ৩৯৭.৮ এমবি এবং অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ৬৫ এমবি।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.bitsmedia.android.muslimpro&hl=en
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/muslim-pro-prayer-times-qibla/id388389451?platform=iphone
আরো পড়ুন: নতুন স্মার্টফোন কিনছেন, জেনে নিন সেটি আসলেই নতুন কিনা!
আয়াত - কোরআন অ্যাপ (Ayah - Quran App)
আইওএস সমর্থিত ডিভাইসে ১৮৮.৯ এমবি এবং অ্যান্ড্রয়েডে ১৪৫ এমবি সাইজের এই অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে আয়াত অ্যাপ। এতে আছে একাধিক ক্বারির কণ্ঠে সবগুলো সুরার অডিও প্লেব্যাক, বঙ্গানুবাদ এবং তাফসির। আয়াত শোনার সময় বুকমার্ক করার ফিচারটির মাধ্যমে পরবর্তীতে কতটুকু শোনা হয়েছে তা বোঝা যায়।
অ্যাপল অ্যাপ এবং গুগল প্লে উভয় স্টোরে ‘Ayah - Quran App’-এর রেটিং ৪.৮-স্টার। সহজাত ইন্টারফেসের এই ডিজিটাল পণ্যটি স্টোরগুলো থেকে বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যাবে।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.ayah
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/ayah-quran-app/id706037876?platform=iphone
আরো পড়ুন: শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
ইসলাম৩৬০: কোরআন, হাদিস, ক্বিবলা (Islam360: Quran, Hadith, Qibla)
জাহিদ হোসেন চিহ্পা এবং ইসলাম৩৬০ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট নির্মিত এই অ্যাপটি সব ধরণের ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জন্য ফ্রি। ডাউনলোড সাইজ অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ১৮০ এমবি এবং আইফোনের জন্য ৬১১.৬ এমবি।
অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর থেকে ‘Islam360: Quran, Hadith, Qibla’-এর অর্জিত রেটিং ৪.৯-স্টার আর অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের কাছে ৪.৮-স্টার। এতে একাধিক ভাষায় অনুবাদ, বিভিন্ন ক্বারিদের তেলাওয়াত, নামাজের ওয়াক্ত ও কিবলা দিকনির্দেশনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হাদিস সংকলন। এর কার্যকারিতার আরও একটি দিক হলো এর বুকমার্কিং এবং সার্চ ফিচার।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islam360
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/islam360-quran-hadith-qibla/id1006098149
আরো পড়ুন: লেখকদের সৃজনশীলতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব: ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা
এমপিথ্রি কোরআন (MP3 Quran القرآن الكريم)
অফলাইনে ইন্টারনেটের সাহায্য ছাড়াই ব্যবহারযোগ্য অ্যাপগুলোর মধ্যে এটি বেশ জনপ্রিয়। সহজ ইন্টার্ফেসের আওতায় এখানে উন্মুক্ত রয়েছে কোরআনের সবকটি সুরার অডিও লাইব্রেরি। এই সংগ্রহশালাকে সমৃদ্ধ করেছে বিশ্বজুড়ে খ্যাতিমান সব ক্বারিদের কণ্ঠ। এছাড়াও রয়েছে সার্চ, বুকমার্ক, ও স্লিপ টাইমারের ফিচার।
সম্পূর্ণ ফ্রি অ্যাপ ‘MP3 Quran القرآن الكريم’ সংরক্ষণের জন্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোতে জায়গা থাকতে হবে ৪৬ এমবি এবং আইফোনে ১৫৪.৭ এমবি। ডিভাইস নির্বিশেষে সব ব্যবহারকারীরা অ্যাপটিকে ৪.৮-স্টার রেটিং দিয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=my.smartech.mp3quran
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/mp3quran/id533029431
আরো পড়ুন: ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
আব্দুর রাহমান আল-সুদাইস - ফুল (Abdul Rahman Al-Sudais - Full)
বিশ্ববরেণ্য ক্বারি মক্কার পবিত্র মাসজিদুল হারামের ইমাম শেখ আবদুর রাহমান আল-সুদাইস। তার তেলাওয়াতকৃত সম্পূর্ণ কোরআনকে একীভূত করা হয়েছে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।
শুধু অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে লাফ্জ অ্যাপ্স। ১২০ এমবির এই অ্যাপটি ইন্টারনেটের সংযোগ ছাড়াই চালানো যায়। এর ব্যাকগ্রাউন্ড প্লে ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফোনের অন্যান্য অ্যাপ চালানোর সময়েও তেলাওয়াত শুনতে পারেন।
রিভিউদাতাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ‘Abdul Rahman Al-Sudais - Full’ অ্যাপ ৪.৮-স্টার রেটিং অর্জন করেছে।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=rooh.apps.naaz.com.quran.al.sudais.offline
আরও পড়ুন: অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই
ফুল কোরআন শরীফ অফলাইন অ্যাপ (Full Quran Sharif Offline App)
অফলাইনে কোরআন পড়া ও শোনার জন্য আরও একটি কার্যকরি অ্যাপ ‘Full Quran Sharif Offline App’। কেবল অ্যান্ড্রয়েডের জন্য প্রযোজ্য ৪৯ এমবি সাইজের অ্যাপটি বানিয়েছে ডিকশনারী ওয়ার্ল্ড১১। ইতোমধ্যে ব্যবহারকারীদের নিকট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোডযোগ্য এই অ্যাপের সংগ্রহ ৪.৫-স্টার রেটিং।
অনলাইনে পরিচালিত অন্যান্য অ্যাপগুলোর মতো এতেও আছে বিখ্যাত সব ক্বারিদের তেলাওয়াত, একাধিক ভাষায় অনুবাদ, সার্চিং ও বুকমার্কিং ফিচার।
অ্যান্ড্রয়েড:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.fullquransharif.quranpak.translation.qibladirection&hl=en&gl=US
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
ইজি কোরআন এমপিথ্রি অডিও অফলাইন (Easy Quran Mp3 Audio Offline)
অফলাইন কোরআন শোনার এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি সংক্ষেপে ইজি কোরআন নামেও পরিচিত। মুসলিম ওয়ার্ল্ডঅ্যাপ নির্মিত অ্যাপটি এর সহজ ইন্টারফেসের জন্য ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। ব্যবহারকারীদের পর্যালোচনায় মাত্র ৪২ এমবির অ্যাপটি ৪.৫-স্টার রেটিং পেয়েছে।
‘Easy Quran Mp3 Audio Offline’ অ্যাপ শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের জন্য এবং তা বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যায়। এটি একদম পৃথক আয়াত পর্যন্ত সার্চ করার সুবিধা দেয়। একই সঙ্গে বারবার শোনার জন্য অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় বেশ সহজভাবে একই আয়াতের পুনরাবৃত্তি করা যায়।
অ্যান্ড্রয়েড:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.muslimappassistant.Islampro.qiblafinder.quranprayerdua
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
পরিশিষ্ট
কোরআন তেলাওয়াত শোনার এই ১০টি মোবাইল অ্যাপ হচ্ছে সর্বাধিক ব্যবহৃত এবং স্টোরগুলোতে সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত। তন্মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে ‘ইসলাম৩৬০’ এবং ‘আল কোরআন (তাফসির অ্যান্ড বাই ওয়ার্ড)’, ডিভাইস ভেদে যেগুলোর রেটিং ৪.৮ থেকে ৪.৯। ‘আয়াত’, ‘এমপিথ্রি কোরআন’, এবং ‘আব্দুর রাহমান আল-সুদাইস - ফুল’ অ্যাপগুলোর প্রত্যেকটির অর্জন ৪.৮। ৪.৭ থেকে ৪.৮-এ রয়েছে ‘তার্তিল’, ৪.৬ থেকে ৪.৮-এ ‘কোরআন মাজিদ’, এবং ৪.২ থেকে ৪.৭-এ ‘মুসলিম প্রো’। সর্বনিম্ন ৪.৫ রেটিং সংগ্রহে থাকা অ্যাপ দুটি হচ্ছে ‘ফুল কুরআন শরীফ অফলাইন’ এবং ‘ইজি কুরআন এমপিথ্রি অডিও অফলাইন’।
এই ডিজিটাল সেবাগুলোর যেকোনোটি হতে পারে পুরো রমজান মাসে রোযাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলার উৎকৃষ্ট উপায়।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
২৮৯ দিন আগে
বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য এআই চ্যাটবট চালু
যুক্তরাজ্যে ভ্রমণকারীদের জন্য গ্রাহক সেবা উন্নত করতে সম্প্রতি একটি নতুন জেনারেটিভ এআই-চালিত চ্যাটবট চালু করেছে ভিএফএস গ্লোবাল। ১৪১টি দেশের গ্রাহকদের উন্নত সেবা দিতে এই সেবা চালু করেছে সংস্থাটি।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভিএফএস গ্লোবাল।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এআই চ্যাটবট প্রযুক্তি জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারতে অবস্থিত ভিএফএস গ্লোবালের এআই সেন্টারে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। জেনারেটিভ এআই-চালিত চ্যাটবটটি কথোপকথনে পারদর্শী, যা মানবসদৃশ কথোপকথন সেবা দিয়ে থাকে।
এটি ভয়েস এবং টেক্সট ইনপুটের মাধ্যমে কাজ করতে সক্ষম, যা নানা ধরনের সেবা গ্রহীতাকে কার্যকরভাবে সেবা দেয়। এটি টেক্সট ও ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমেও কাজ করে।
আরও পড়ুন: অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই
যুক্তরাজ্যে ভ্রমণকারী গ্রাহকদের জন্য তাৎক্ষণিক, নির্ভুল ও সহজলভ্য তথ্য সরবরাহ করে থাকে এই চ্যাটবট।
কাস্টমার সার্ভিসেস গ্রুপ, ইউকে ভিসা অ্যান্ড ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা জেন ভিডলার বলেছেন, ভিএফএস গ্লোবালের এআই-চালিত চ্যাটবটটি আমাদের ভিসা পরিষেবাগুলোকে আরও সহজ, কার্যকর ও সব ধরনের গ্রাহকের চাহিদা পূরণের প্রতিশ্রুতি হিসেবে চালু করা হয়েছে।
২৯২ দিন আগে
অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই
যানজট ঠেলে সময় ও শ্রম নষ্ট করে দোকানে যেয়ে বই কেনার দিন শেষ। নানান উপলক্ষ এমনকি বইপ্রেমিদের বৃহৎ উৎসব বইমেলার জন্যও আকর্ষণীয় পসরা সাজিয়ে বসে বই কেন্দ্রিক ই-কর্মাস সাইটগুলো। অন্যান্য পণ্যের মতো এখন অর্ডার করা কাগুজে বইও এসে হাজির হয় বাড়ির দোরগোড়ায়। চলুন, ঘরে বসে প্রিয় বইটি কেনার জন্য বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ কয়েকটি ওয়েবসাইটের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অনলাইনে বই কেনার জন্য সেরা ১০টি ওয়েবসাইট
.
রকমারি
সাইট লিঙ্ক: https://rokomari.com/
বর্তমান সময়ে বইয়ের অনলাইন স্টোরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত নাম রকমারি। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিস্তৃত পরিসরে সমৃদ্ধ এই ডিজিটাল সংগ্রহশালায় সার্বক্ষণিক আনাগোনা থাকে দেশীয় পাঠকদের।
আরো পড়ুন: ছোটদের বাংলা ভাষা শেখার ১০টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
এখানে বই অর্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হয় অ্যাকাউন্ট তৈরির মধ্য দিয়ে। এক বা একাধিক পছন্দসই বই নিয়ে কার্ট তৈরি করে চেকআউট দিলেই সম্পন্ন হয় কাঙ্ক্ষিত অর্ডারটি। ব্যাংকিং সিস্টেম, মোবাইল গেটওয়ে, এবং ক্যাশ অন ডেলিভারিসহ দেশের প্রায় সব প্রচলিত পরিষেবা রয়েছে মূল্য পরিশোধের জন্য।
রকমারি বই ডেলিভারি সেবা ছড়িয়ে রয়েছে সারা দেশব্যাপী। ঢাকার মধ্যে হলে ডেলিভারিতে সময় লাগবে ২ থেকে ৩ দিন, আর বাইরে হলে ৩ থেকে ৫ দিন সময় নেয়। পণ্যের ধরন, পরিমাণ, ওজন এবং ডেলিভারি অবস্থানের উপর ভিত্তি করে শিপিং চার্জ ন্যূনতম ৪৮ টাকা থেকে শুরু হয়।
অফিসের ঠিকানা: ২/১/ই, ইডেন সেন্টার, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.rokomari
অ্যাপেল অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/rokomari-trusted-online-store/id1493045502
আরো পড়ুন: অভ্র কি-বোর্ড: বাংলা ভাষার ডিজিটাল রূপান্তরে মেহেদী হাসান ও নেপথ্য কুশলীরা
পিবিএস
সাইট লিঙ্ক: https://pbs.com.bd
পাঞ্জেরি বুক শপ সংক্ষেপে পিবিএস অনেক আগে থেকে দেশের সর্বস্তরের পাঠকদের নিকট একটি স্বনামধন্য প্রকাশনা। প্রথমদিকে ছোট্ট বইয়ের দোকান থেকে শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমানে অনলাইনে রয়েছে সরব উপস্থিতি। ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে খুব সহজেই গ্রাহকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত বইটির জন্য কার্ট তৈরি করতে পারেন। চেকআউট শেষে মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ঘরে বসেই বইয়ের দাম পরিশোধ করা যায়। অগ্রিম পেমেন্টের পাশাপাশি আছে ক্যাশ অন ডেলিভারি ব্যবস্থা।
পিবিএস’র বই ডেলিভারি পরিষেবা সারা বাংলাদেশ জুড়ে বিস্তৃত। ডেলিভারি চার্জ, সময়সীমা পণ্যের পরিমাণ ও লোকেশন ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।
অফিসের ঠিকানা: ৪৩ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সড়ক (পুরাতন ১৬ শান্তিনগর), ঢাকা-১২১৭
আরো পড়ুন: নতুন স্মার্টফোন কিনছেন, জেনে নিন সেটি আসলেই নতুন কিনা!
পাঠক সমাবেশ
সাইট লিঙ্ক: https://pathakshamabesh.com/
৩৮ বছরের পুরোনো সংগঠন পাঠক সমাবেশ এখন দেশি-বিদেশি বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। এর মেম্বারশিপ থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে গ্রাহকরা চাইলে সশরীরেও যেতে পারেন এর সুদৃশ্য লাইব্রেরিতে।
বর্তমানে কম্পিউটার এবং মোবাইল উভয় মাধ্যমেই পাঠক সমাবেশের জন্য নিবন্ধন পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে বই ক্রয়, প্রি অর্ডার, পেমেন্ট, এবং মেম্বারশিপ সব কার্যকলাপ সম্পন্ন করা যায় এই অ্যাকাউন্টের অধীনে। এর বিষয়ভিত্তিক হেডার মেনু, ক্যাটাগরি, লেখক, এবং শিরোনামকেন্দ্রিক সার্চ অপশন গোটা ইন্টারফেসকে দিয়েছে সহজবোধ্যতা। এতে গ্রাহকরা সহজেই এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে চেকআউটের সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন।
আরো পড়ুন: শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
পাঠক সমাবেশের সেবার পরিধি বিস্তৃত রয়েছে গোটা দেশে। অর্থপ্রদানের একাধিক বিকল্প রয়েছে, তবে ক্যাশ অন ডেলিভারি শুধুমাত্র ঢাকার জন্য প্রযোজ্য।
অফিসের ঠিকানা: পাঠক সমাবেশ প্রাইভেট লিমিটেড, বিল্ডিং নং ৪, ১ম তলা, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর (আজিজ মার্কেটের বিপরীতে) শাহবাগ, ঢাকা-১০০০
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.pathak.shamabesh
অ্যাপেল অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/pathak-shamabesh/id1571038621
আরো পড়ুন: লেখকদের সৃজনশীলতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব: ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা
বই বাজার
সাইট লিঙ্ক: https://www.boibazar.com/
বৈচিত্র্যপূর্ণ সংগ্রহের দিক থেকে বই কেন্দ্রিক একটি প্রসিদ্ধ ই-কমার্স সাইট বই বাজার। যেকোনো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মতো এখানে গ্রাহকরা নিজেদের ই-মেইল বা মোবাইল নাম্বার দিয়ে সহজেই নিবন্ধন করতে পারেন।
কার্টে বই সংযুক্ত করা থেকে শুরু করে চেকআউট পর্যন্ত সার্বিক প্রক্রিয়া অত্যন্ত সাবলীল। অর্থপ্রদানের মাধ্যমগুলোর মধ্যে থেকে ক্রেতারা নিজের পছন্দ মতো পরিষেবাটি বেছে নিতে পারেন। এছাড়া বই বুঝে নিয়েও মূল্য পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
বই বাজার সমগ্র বাংলাদেশে হোম ডেলিভারি করে থাকে। বইয়ের ধরণ, পরিমাণ ও লোকেশনের উপর নির্ভর করে ডেলিভারি চার্জ এবং সময়সীমা কমবেশি হয়ে থাকে।
অফিসের ঠিকানা: লেভেল: ১৪, সাত্তারা সেন্টার ৩০/এ ভিআইপি রোড, নয়া পল্টন, ঢাকা-১০০০
আরো পড়ুন: ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
বুকস ডট কম ডট বিডি
সাইট লিঙ্ক: https://books.com.bd
শুরুতে বই-মেলা ডট কম (boi-mela.com) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে এই সাইটটির ডোমেইন নাম বুকস ডট কম ডট বিডি। পাঠক, লেখক, ও প্রকাশকদের ভিন্ন ভিন্ন সাইটসহ এই অনলাইন লাইব্রেরিটি একটি সমন্বিত মঞ্চ। প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
গ্রাহকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত বইটি সার্চ করে খুঁজে বের করে শপিং কার্টে যুক্ত করতে পারেন। কার্ট চূড়ান্ত হলে চেকআউটের পর ডেলিভারি এবং অর্থপ্রদানের জন্য বিশদ তথ্য প্রদান করতে হয়। অগ্রিম ও ক্যাশ অন ডেলিভারি উভয় পদ্ধতিতেই মূল্য পরিশোধের সুযোগ আছে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই ঘরে বসেই পরিশোধ করা যায়।
নির্দিষ্ট চার্জের বিনিময়ে বুকস ডট কম ডট বিডি সারা দেশে হোম ডেলিভারি সেবা প্রদান করে। ঢাকার ভেতরে ও বাইরের অঞ্চলভেদে ডেলিভারি চার্জ এবং সময়সীমার মধ্যে তারতম্য হয়ে থাকে।
অফিসের ঠিকানা: নোয়াখালী টাওয়ার, ৯/সি (৮ম তলা), ৫৫/বি পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
বাতিঘর
সাইট লিঙ্ক: https://baatighar.com
বাংলাদেশের বইপ্রেমিদের নিকট প্রিয় একটি গন্তব্য এই বাতিঘর। অফলাইনের মতো অনলাইনেও রয়েছে এর ব্যাপক পরিচিতি।
ইন্টারফেস যথেষ্ট সুবিধাজনক হওয়ায় গ্রাহকরা লেখক ও জনরা ভেদে বই অনুসন্ধানের সুযোগ পান। নিজস্ব অ্যাকাউন্ট পরিচালনার ব্যবস্থা থাকায় কার্ট থেকে চেকআউট পর্যন্ত পুরো অর্ডার পদ্ধতিতে কোনো জটিলতার অবকাশ থাকে না।
ডেলিভারি পেয়ে ক্যাশ দেওয়াসহ অর্থ পরিশোধের জন্য বিভিন্ন ধরণের মোবাইল ও ব্যাংকিং সেবা সংযুক্ত আছে। ফলে মূল্য পরিশোধ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত হোম ডেলিভারি চালু রাখায় বাতিঘর এখন সর্বস্তরের পাঠককের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, ও রাজশাহীতে এর শাখা রয়েছে।
হেড অফিসের ঠিকানাঃ সপ্তম তলা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবন, ১৭ ময়মনসিংহ রোড/বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র গোলি, ঢাকা-১২০৫
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
ওয়াফিলাইফ
সাইট লিঙ্ক: https://www.wafilife.com
ইসলামী বইয়ের এক অনন্য ডিজিটাল সংগ্রহশালা ওয়াফিলাইফ। দেশের প্রথম সারির বই ভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো এতেও রয়েছে অত্যাধুনিক ফিচার। এর মধ্যে জনরা ভিত্তিক মেনু ও সার্চ সিস্টেম, পছন্দনীয় লিস্ট, অ্যাকাউন্ট, শপিং কার্ট এবং একাধিক পেমেন্ট সিস্টেম অন্যতম।
মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে অগ্রিম এবং ক্যাশ অন ডেলিভারি উভয় সুবিধাই দেওয়া হয়। অ্যাকাউন্ট, বই সার্চ, এবং অর্ডারের প্রক্রিয়া মোবাইল থেকেও সম্পন্ন করা যায়।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সর্বত্র ওয়াফিলাইফের হোম ডেলিভারি সেবা রয়েছে।
অফিসের ঠিকানা: বাড়ি ৩১০, রোড ২১, মহাখালী ডিওএইচএস, ঢাকা-১২০৬
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.wafilife.app&utm_source=website
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
ই-বইঘর
সাইট লিঙ্ক: https://eboighar.com
শিক্ষাগত ও কর্মজীবনের সকল গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের জন্য ওয়ান-স্টপ-পয়েন্ট বলা যেতে পারে ই-বইঘরকে। সাধারণ সার্চ ফিচার ছাড়াও এতে রয়েছে লেখক ও পাবলিশার সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভিত্তিক মেনু। পৃথক অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থা ইতিপূর্বে অর্ডারকৃত বইগুলো পুনরায় কেনার জন্য নতুন করে খুঁজে বের করতে হয় না।
তাছাড়া সহজাত ইন্টারফেস নিয়মিত কার্ট পরিচালনা, চেকআউট, এবং অর্থ পরিশোধের পদক্ষেপগুলোকে ঝামেলাহীন করে তুলেছে।
ই-বইঘরের সেবার পরিধি সারা দেশে বিস্তৃত এবং সব অঞ্চলের গ্রাহকরাই ডেলিভারি পরবর্তী অথবা অগ্রিম পেমেন্টের সুবিধা পান।
অফিসের ঠিকানা: ২১৫/এ আউটার সার্কুলার রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
দারাজ বুকস অ্যান্ড ম্যাগাজিন্স
সাইট লিঙ্ক: https://www.daraz.com.bd/books-magazines
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজও দীর্ঘ দিন ধরে বইপ্রেমিদের আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। কম্পিউটারের জন্য এর ওয়েব ভার্সন এবং মোবাইল অ্যাপ দুটোতেই সমানভাবে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে গ্রাহকরা। তাই অ্যাকাউন্ট তৈরি, কার্ট সম্পাদনা, এবং অর্থ পরিশোধ; কোনো ক্ষেত্রেই তেমন ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় না। এরপরেও কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হলে ‘দাজ’ (Daz) নামক চ্যাটবটের সাহায্য নেওয়া যায়।
বিশেষ করে কেনার আগে নির্দিষ্ট বইটির জন্য প্রয়োজনীয় রিভিউ দেখার ক্ষেত্রে এই সাইটের জুড়ি মেলা ভার। ডেলিভারি হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধসহ বিভিন্ন ধরণের অর্থ পরিশোধের পদ্ধতির সঙ্গে রয়েছে বৈচিত্র্যপূর্ণ ডেলিভারি সেটিং। দারাজের সেবার ব্যাপ্তি ছড়িয়ে রয়েছে দেশের প্রতিটি প্রান্তে।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.daraz.android
অ্যাপেল অ্যাপ: https://apps.apple.com/gb/app/daraz-online-shopping-app/id978058048
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
বুক হাউস
সাইট লিঙ্ক: https://bookhousebd.com
বয়স ও পেশা নির্বিশেষে সব ধরণের পাঠকদের কাছে প্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম এই বুক হাউস। বই কেনাবেচার ক্ষেত্রে দেশের প্রসিদ্ধ অনলাইন সাইটগুলোর মতো এর ইন্টারফেসও যথেষ্ট সহজবোধ্য। অর্ডারের সঙ্গে সম্পর্কিত অ্যাকাউন্ট, শপিং কার্ট, চেকআউট, ডেলিভারি ও পেমেন্ট-সংক্রান্ত তথ্য প্রদান প্রতিটি বিষয় বেশ নিরবচ্ছিন্ন।
বুক হাউসের সেবার পরিব্যাপ্তি দেশ জুড়ে বিস্তৃত। শিপমেন্ট ব্যবস্থায় একাধিক অপশন না থাকলেও বিভিন্ন ধরণের পেমেন্ট ক্যাটাগরির সুবিধা প্রত্যেক অঞ্চলের গ্রাহকরাই পেয়ে থাকেন।
অফিসের ঠিকানা: প্রীতম ভবন, ২১৫, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, নিচতলা, রুম নং: ৩২-৩৬, (পুরানা পল্টন), ঢাকা-১০০০
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
পরিশিষ্ট
অনলাইনে বই কেনার জন্য এই ১০টি ওয়েবসাইট পাঠকদের বই বিপণীর বিড়ম্বনাকে কমিয়েছে। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ইতোপূর্বে স্বনামধন্য এবং সাহিত্যানুরাগীদের প্রিয় গন্তব্য ‘পিবিএস’ পাঠক সমাবেশ, এবং ‘বাতিঘর’। অনলাইন বই বিপণীর এই বিপ্লবে ‘রকমারি’র সহযোদ্ধারা হলো ‘বুক্স ডট কম ডট বিডি’, ‘বই বাজার’, এবং ‘ই-বইঘর’। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ডিজিটাল স্টোরগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ওয়াফিলাইফ’ এবং ‘বুক হাউস’। এমনকি দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স সাইট ‘দারাজ’ও সমান আস্থা নিয়ে বইপ্রেমিদের চাহিদা পূরণ করে আসছে। সামগ্রিকভাবে এই প্ল্যাটফর্মগুলো বাংলাদেশিদের বইপ্রীতি বাড়াতে ব্যাপক অবদান রাখছে।
আরো পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
২৯৩ দিন আগে
গুগলের নিরাপত্তা নীতিতে পরিবর্তন, ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নিয়ে শঙ্কা
ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি, (ইউএনবি)— এ বছরের জানুয়ারিতে গুগলের ঘোষিত নিরাপত্তা নীতি পরিবর্তন কার্যকর হয়েছে আজ (রবিবার)। তবে ‘ফিঙ্গারপ্রিন্টিং’ নামের ওই নিরাপত্তা নীতিতে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
যদিও গুগল বলছে, বিজ্ঞাপনদাতাদের তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারকারীর রুচি অনুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের সুবিধার্থেই এই নীতি কার্যকর করা হচ্ছে, তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন মহলের দাবি, এর ফলে ব্যবহারকারী ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ হারাবে এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের মাধ্যমে এসব তথ্য অপব্যবহার করার ঝুঁকি বাড়বে।
গুগলের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, গুগলের সেবা ব্যবহারকারীদের ডিভাইসের আইপি অ্যাড্রেসসহ ডিভাইস-সংক্রান্ত আরও তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হবেন অনলাইন বিজ্ঞাপনদাতারা।
অবশ্য এ বিষয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বিভিন্ন কোম্পানি আগে থেকেই ব্যাপকভাবে এসব তথ্য ব্যবহার করে আসছে। এখন তারা তথ্য ব্যবহারে ওইসব কোম্পানিকে দায়িত্বশীলতার মধ্যে আনতে চায়।
আরও পড়ুন: অ্যাপল ও গুগল মানচিত্র: মেক্সিকো বাদ দিয়ে আমেরিকা উপসাগর নামকরণ
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২০১৯ সালে প্রথম যখন বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এ ধরনের নীতি প্রণয়নের আলোচনা হয়, তখন খোদ গুগলই এই নীতি বাস্তবায়নের বিরোধিতা করেছিল। ফিঙ্গারপ্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহের এই প্রক্রিয়াকে তখন তারা অসাধু কাজ বলে আখ্যায়িত করে। তবে তার ৬ বছর পরই সেই পথেই হাঁটতে শুরু করল প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে বিবিসিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, নিরাপত্তা নীতিমালা-সংক্রান্ত নতুন এই নীতি বাস্তবায়নের ফলে অংশীদারদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নিয়ে কোনো আপোষ করা হবে না বলেও নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গুগল নিশ্চয়তা দিলেও তাতে আশ্বস্ত হতে পারছে না ইন্টারনেটে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল। প্রতিষ্ঠানটির এহেন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা হচ্ছে বিভিন্নভাবে। এই নীতিমালাকে ‘ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন অনেকে।
গুগল ক্রোমের প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাউজার মজিলার প্রকৌশলী মার্টিন থমসন বলেছেন, ফিঙ্গারপ্রিন্টিং ও আইপি অ্যাড্রেস সংগ্রহ করা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হলে একটি পর্যায়ে গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।
আরও পড়ুন: নতুন স্মার্টফোন কিনছেন, জেনে নিন সেটি আসলেই নতুন কিনা!
তিনি বলেন, ‘ফিঙ্গারপ্রিন্টিং চালু করে গুগল নিজেদের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানিগুলোর হাতে এমন এক ট্র্যাকিং পদ্ধতি তুলে দিয়েছে যা ব্যবহারকারীর পক্ষে আটকানো প্রায় অসম্ভব।’
যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশন অফিস (আইসিও) বলছে, ‘ফিঙ্গারপ্রিন্টিং ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহের একটি অসাধু পন্থা। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের পছন্দের তালিকা সংকুচিত হয়ে যাবে। এমনকি তথ্য সংগ্রহে তাদের নিয়ন্ত্রণ আরও সীমিত হয়ে পড়বে।’
৩০২ দিন আগে
অ্যাপল ও গুগল মানচিত্র: মেক্সিকো বাদ দিয়ে আমেরিকা উপসাগর নামকরণ
নিজেদের মানচিত্রে মেক্সিকো উপসাগরকে আমেরিকা উপসাগর হিসেবে নামকরণ করেছে অ্যাপল। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এরআগে সার্চ জায়ান্ট গুগলও একই কাজ করেছে। তবে তারা একটু ব্যতিক্রমীভাবে এই নাম পরিবর্তন করেছে। মার্কিন ব্যবহারকারীরা গুগল ম্যাপে আমেরিকা উপসাগর দেখতে পাবেন, আর মেক্সিকানরা দেখবেন মেক্সিকো উপসাগর।
এক ব্লগ পোস্টে তারা বলেছে, সরকারি নামকরণ তালিকা হালনাগাদ করা হলে আমাদের মানচিত্রে পরিবর্তন আনা হবে। মার্কিন নাগরিকরা দেখবেন আমেরিকা উপসাগর, আর মেক্সিকানরা দেখবেন মেক্সিকো উপসাগর। এর বাইরে যারা থাকবেন, তারা দুটো নামই দেখতে পাবেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
এরআগে মেক্সিকো উপসাগরণের নাম পরিবর্তনে মার্কিন জিওগ্রাফিক নেমস ইনফরমেশন সিস্টেমের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প। তবে এই নামবদলের সমালোচনা করে মেক্সিকো জানিয়েছে, উপসাগরটির নাম পরিবর্তনের কোনো অধিকার নেই যুক্তরাষ্ট্রের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মেক্সিকো ও কিউবার সাথে এই জলসীমার নতুন নামকরণের আদেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। গেল রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নামকরণ হালনাগাদ করেছে মার্কিন জিওগ্রাফিক নেমস ইনফরমেশন সিস্টেম। এছাড়া বিংগস ম্যাপেও নাম পরিবর্তন এনেছে মাইক্রোসফট।
পাঁচ হাজার ৩০০ ফুট গভীরতার মেক্সিকো উপসাগরের সাথে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কেউবার সীমান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিকে কাজে লাগান, কার্যকর পদক্ষেপ নিন: ডি-৮ সদস্যদের অধ্যাপক ইউনূস
তবে মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) আমেরিকান উপসাগর নামটির স্বীকৃতি দিলেও সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে মূল নাম মেক্সিকো উপসাগরই উল্লেখ করবে। গেল ৪০০ বছর ধরে উপসাগরটি এই নাম বহন করে আসছে।
৩০৬ দিন আগে
নতুন স্মার্টফোন কিনছেন, জেনে নিন সেটি আসলেই নতুন কিনা!
সুক্ষ্ম কিছু বিষয়ে উদাসীনতার জন্য অনেকেই সদ্য ক্রয় করা স্মার্টফোনটি আসলেই নতুন কিনা, তা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। প্রায় দেখা যায়, পূর্বে ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো ভালোভাবে মেরামত করে বিক্রির জন্য তুলে রাখা হয়। তখন আপাতদৃষ্টিতে এগুলোকে দেখে একদম নতুন মনে হয়। সঙ্গত কারণে, নতুন ফোন কেনার অনেক পরে ক্রেতা আবিষ্কার করেন যে, তার ফোনটি আসলেই নতুন নয়। এজন্য ফোন কেনার সময় কিছু কৌশল অনুসরণ করা জরুরি। চলুন, স্মার্টফোনের নতুনত্বের সত্যতা নিরূপণ করার কিছু ব্যবহারিক পদ্ধতি বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
নতুন কেনা মোবাইল ফোনটি সত্যিই নতুন কিনা তা যাচাইয়ের ১০টি উপায়
.
ফোনের প্যাকেজিং এবং সীল পরীক্ষা
যেকোনো নতুন পণ্যের মতো নতুন ফোনের ক্ষেত্রেও সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো অক্ষত এবং ভাল-সিল করা প্যাকেজিং। মডেল, রঙ ও আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) সহ ফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদির লেবেলসহ প্যাকেজিংটি বেশ মজবুত থাকে। প্রস্তুতের পর একদম সদ্য মার্কেটে আসা পণ্যগুলোতে প্রায়ই সুরক্ষা সিল থাকে। একবার খুলে ফেললে পুনরায় সিল করার পরেও আগের ভাঙা সিলের চিহ্ন থেকে যায়। তাই ফোনের বাক্সটি সিল বিহীন কিংবা একদম খোলা কিনা তা খুটিয়ে দেখা জরুরি।
যেমন আইফোনের বাক্সগুলো সাধারণত সিম্লেস প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো থাকে। ভিভোর ডিভাইসগুলোতে ব্র্যান্ডের স্টিকার ব্যবহার করা হয়, যা একবার খুলে ফেলার পর নষ্ট সিল বেশ ভালোভাবে দৃষ্টিগোচর হয়।
আরো পড়ুন: শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
ফোনের বাহ্যিক অংশ পর্যবেক্ষণ
কেনার সময় ফোনের নতুনত্ব যাচাইয়ের সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় হলো ফোনের বডি চেকআপ। ডিভাইসটির বডি বিশেষত স্ক্রিনে কোনো স্ক্র্যাচ, ডেন্ট বা দাগ আছে কিনা তা সাবধানে পরীক্ষা করতে হবে। চার্জিং পোর্ট ও স্পিকার ছিদ্রের মতো জায়গাগুলোতে নজর রাখতে হবে। আগে ব্যবহৃত হলে এই অংশগুলোতে সুক্ষ্ম অসঙ্গতি চোখে পড়বে। ক্যামেরার লেন্সে আঙ্গুলের ছাপ বা হালকা ধুলো জমা থাকা মানেই ফোনটি ইতোমধ্যে একবার খোলা হয়েছে।
ওয়ানপ্লাস এবং অপ্পোর মডেলগুলোর ধাতব ফ্রেম এতটাই মসৃণ থাকে যে পূর্ববর্তী ব্যবহারে সৃষ্ট ছোট ছোট বিচ্যুতিগুলো নিমেষেই ধরা পড়ে।
সিরিয়াল নম্বর এবং আইএমইআই যাচাই
প্রত্যেকটি ফোনের জন্য থাকে একটি একক ও অনন্য সিরিয়াল নম্বর এবং আইএমইআই। ফোনের বক্সে দুটো কোডই পাওয়া যায়। তাছাড়া ফোনের সেটিংসে বা (অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ক্ষেত্রে) *#০৬# ডায়াল করেও এই কোডগুলো পাওয়া যায়। এই নম্বরগুলো ফোন বক্সের প্রদত্ত নম্বরগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে।
যেমন অ্যাপলের ওয়েবসাইটে একটি ভেরিফিকেশন টুল থাকে যার মাধ্যমে আইফোনের সিরিয়াল নম্বর দিয়ে তার অ্যাক্টিভেশন স্ট্যাটাস যাচাই করা যায়। একইভাবে, ভিভো এবং রিয়েলমিরও ওয়ারেন্টি ও অ্যাক্টিভেশনের তারিখ যাচাইয়ের জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে। তথ্যগুলো যথাযথভাবে মিলে না গেলে বুঝতে হবে যে ফোনটি ন্যূনতম একবার হলেও হাত-বদল হয়েছে।
আরো পড়ুন: লেখকদের সৃজনশীলতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব: ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা
১০০ ভাগ চার্জযুক্ত ব্যাটারি
নতুন ক্রয় করা ফোনের ব্যাটারি স্বাভাবিকভাবেই শতভাগ চার্জ থাকা উচিত। ম্যানুয়ালি চার্জ দেওয়া ছাড়াও ফোনের সেটিংস থেকে ব্যাটারির অবস্থা চেক করা যেতে পারে। ফোন চালু করে দেখার সময় ব্রাইটনেস কম থাকলে তা চার্জ ২০ শতাংশের নিচে থাকার ইঙ্গিত দেয়। তবে এর ওপরে থাকলে ফোনের অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) গড়পড়তায় মোটামুটি কার্যক্ষমতা নিয়ে চলতে পারে। বিষয়টি আপাতদৃষ্টে বোঝাটা কঠিন। তাই পুরোপুরি ১০০ শতাংশ আছে কিনা তা ভালোভাবে জেনে সন্দেহ দূর করে নেওয়া উত্তম।
অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়ক ডায়াগনস্টিক অ্যাপ বা বিল্ট-ইন ব্যাটারি টুল থাকে।
আভ্যন্তরীণ সফ্টওয়্যার পরীক্ষা
সদ্য বাজারে প্রকাশিত ফোনে ফ্যাক্টরি ইন্সটল করা অ্যাপ এবং ওএস-এর সর্বশেষ সংস্করণ থাকে। থার্ড-পার্টি অ্যাপ, অসংলগ্ন সেটিংস বা পুরানো সফ্টওয়্যার মানেই ফোনটি এর আগে একবার ব্যবহার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কি কি অ্যাপ থাকে তা দেখার সবচেয়ে কার্যকরী কৌশল হলো ফ্যাক্টরি রিসেট করা।
কোনো কোনো ফোন রিসেট করার পর শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সিস্টেম অ্যাপ দেখা যাবে। তাই এ ক্ষেত্রে আগে থেকে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্স থাকাটা ইতোপূর্বে ব্যবহারের ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও অব্যবহৃত ফোনে কখনোই পুরানো সংস্করণের কোনো সফ্টওয়্যার থাকবে না। পুরনো অ্যাপের অর্থ হলো ফোনটি আগে সক্রিয় ছিল এবং মাঝের সময়টিতে অ্যাপটির আপডেট করা হয়নি।
আরো পড়ুন: ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
ওয়ারেন্টি এবং অ্যাক্টিভেশনের তারিখ নিরীক্ষা
অ্যাক্টিভেশনের তারিখ ও ওয়ারেন্টি অনুসরণ করে একটি ফোন কবে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল তা বের করা যায়। এই তথ্যাবলি যাচাইয়ের জন্য অধিকাংশ ফোন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অনলাইন পরিষেবা রয়েছে। ফোনের সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে সেই সাইটগুলোতে সংশ্লিষ্ট ফোনের অ্যাক্টিভেশনের তারিখ এবং ওয়ারেন্টি কভারেজ জানা যায়। সাধারণত নতুন বাজারে আসা ফোনের ওয়ারেন্টি কেনার তারিখ থেকে শুরু করে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত থাকবে। শেষ সীমাটি যদি খুব কাছাকাছি হয় তাহলে বুঝতে হবে ডিভাইসটি অনেক আগে থেকেই চালু ছিলো।
মেরামতের কোনো চিহ্ন আছে কিনা তা দেখা
কেসিংসহ পুরো বডির যেকোনো অংশে কোন ধরণের মেরামত করা হলে তা ফোনে ছাপ রেখে যায়। স্ক্রুগুলোতে খেয়াল করলে দেখা যাবে যে সেগুলোর আশেপাশে ক্ষুদ্র দাগ রয়েছে। কখনও কখনও মেরামতের পর স্ক্রুগুলো ভালোভাবে লাগানো হয় না। অন্যদিকে, নতুন ডিভাইসে কোনরকম স্ক্র্যাচ ছাড়াই যুতসইভাবে স্ক্রু লাগানো থাকে। কোনো কোনো ফোনে স্ক্রুর উপর ক্ষুদ্রাক্ষুদ্র বুশ ব্যবহার করা হয় যা ছিদ্রের সঙ্গে মাপ মতো যুক্ত হয়ে থাকে। কিন্তু পুরাতন ফোনে দেখা যাবে এগুলোর একটি নেই অথবা থাকলেও তার মাপ সমান নয়।
এছাড়া প্রায় সময় ফোনের আভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশগুলো আনঅফিসিয়াল বা মানহীন যন্ত্রাংশ দিয়ে বদলে দেওয়া হয়। এর ফলে ফোনের দীর্ঘায়ুর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
ফোনের সাথে সরবরাহকৃত সামগ্রী যাচাই
বক্সের ভেতর ফোনের সঙ্গে দেওয়া থাকা অন্যান্য সামগ্রী সুক্ষ্মভাবে যাচাই করা অত্যাবশ্যক। আইফোন, ওয়ানপ্লাস এবং রিয়েলমি-এর মতো শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো ফোন মডেলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আনুষঙ্গিক সামগ্রী সরবরাহ করে। চার্জার, কেবল, অ্যাডাপ্টার, কিংবা ইয়ারফোনের গায়ে ব্র্যান্ডের লোগো দেখা যেতে পারে।
ভিভো এবং অনার ডিভাইসগুলোতে থাকা সুনির্দিষ্ট চার্জিং অ্যাডাপ্টারগুলোর প্রতিলিপি করা বেশ কঠিন। তাই নকল দেওয়া হলে তা অচিরেই ধরা পড়ে।
ডায়াগনস্টিক টেস্ট
ফোনের হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডায়াগনস্টিক টেস্টের গুরুত্ব অপরিসীম। আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড উভয় ধরনের ফোনে স্ক্রিন, সেন্সর এবং ব্যাটারি পরীক্ষা করার জন্য নিজস্ব ডায়াগনস্টিক মেনু এবং টুল রয়েছে। ডিসপ্লে, স্পিকার এবং ক্যামেরা পরীক্ষার দিকেও সতর্ক নজর রাখা প্রয়োজন।
আইফোনের ক্ষেত্রে প্রথমে পাওয়ার-অফ করতে হবে। তারপর এ অবস্থায় ভলিউম আপ ও ডাউন বোতাম দুটি একসঙ্গে চেপে রেখে ফোনকে চার্জে লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ পর অ্যাপল লোগো প্রদর্শিত হলে বোতামগুলো ছেড়ে দিতে হবে। তারপর প্রদর্শিত বার্তার নিচে ‘স্টার্ট সেশন’-এ ট্যাপ করলেই ডায়াগনস্টিক মুড সক্রিয় হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ‘*#*#৪৬৩৬#*#*’-এ ডায়াল করে ব্যাটারিসহ সমগ্র ফোনের পারফর্মেন্সের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। এছাড়া ‘টেস্টএম’ বা ‘ফোন ডক্টর প্লাস’-এর মতো বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলো অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে ডায়াগনস্টিক মুড সক্রিয় করে।
ক্রয়ের রশিদসহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র পর্যবেক্ষণ
একটি পণ্যের পাশাপাশি তার খুচরা বিক্রেতার বৈধতা নিরুপণের একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হলো পণ্য ক্রয়ের রশিদসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় নথিপত্র। প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডগুলোতে বিস্তারিত ইনভয়েসের সঙ্গে ক্যাটালগ ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিপণনের কাগজপত্র দেওয়া হয়। এগুলোর মাধ্যমে ডিভাইস অ্যাক্টিভেশন স্ট্যাটাস এবং পণ্য সংক্রান্ত অন্যান্য ইতিহাস জানা যায়। অনুমোদনবিহীন বিক্রেতারা আনঅফিসিয়াল ফোন বিক্রি করে থাকেন। ফলে এগুলোর সঙ্গে সহায়ক কোনো নথি দেখা যায় না।
এখানে উল্লেখ্য যে, এককভাবে শুধু নথিপত্রের উপর নির্ভর করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ফোনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে যথাযথ তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলোর সঙ্গে নথিপত্রের তথ্য মিলিয়ে দেখা বাঞ্ছনীয়।
পরিশিষ্ট
সব মিলিয়ে আপনার সদ্য কেনা নতুন ফোন সত্যিই নতুন বা অব্যবহৃত কিনা তা বোঝার জন্য ফোনের সার্বিক দিকগুলোতে সতর্ক মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। প্যাকেজিং, সিরিয়াল নম্বর ও আইএমইআই, ফোনের বডি এবং ওয়ারেন্টি ও অ্যাক্টিভেশনের তারিখ পর্যালোচনার মাধ্যমে ফোনের ব্যাপারে সঠিক তথ্য বের করা সম্ভব। ফোনের সঙ্গে প্রদত্ত সামগ্রী এবং ডায়াগনস্টিক চেক-আপের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায় যে, ফোনটি ইতিপূর্বে ব্যবহার হয়েছে কিনা। উপরন্তু, ক্রয়ের রশিদসহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র ডিভাইসের ব্র্যান্ডসংক্রান্ত গুণমান নিশ্চিত করে।
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
৩০৮ দিন আগে
চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে ভারতীয় বড় সংবাদমাধ্যমগুলো
মার্কিন স্টার্টআপ ওপেন এআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে ভারতের সবচেয়ে বড় সংবাদমাধ্যমগুলো। তাদের লেখা ও কন্টেন্ট (আধেয়) বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে চ্যাটজিপিটির এই মূল উদ্যোক্তা কোম্পানির বিরুদ্ধে।-খবর বিবিসির
গেল নভেম্বরে ভারতের সবচেয়ে বড় সংবাদ সংস্থা এসিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) প্রথম ওপেন এআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে। ভারতে এরকম প্রথম ঘটনা ছিল এটি। এখন অন্যান্য সংবাদমাধ্যমগুলোও এএনআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে।
এএনআইয়ের অভিযোগ, ‘ওপেন এআই তাদের কপিরাইটযুক্ত লেখা অবৈধভাবে ব্যবহার করছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানটির কাছে দুই কোটি রুপি দাবি করা হয়েছে।’
আরো পড়ুন:ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
বিবিসির খবর বলছে, চ্যাটজিপিটি যখন ভারতে নিজেদের ব্যবসা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, তখনই তাদের বিরুদ্ধে এই মামলার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। জরিপ অনুসারে, ভারতেই চ্যাটজিপিটির সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কন্টেন্ট চুরির দায়ে ওপেন এআইকে বিচারের মুখোমুখি করতে চাচ্ছে ভারতের সবচেয়ে পুরোনো দৈনিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দ্য হিন্দু, দ্য ইন্ডিয়ান টুডে গ্রুপ, ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন এনডিটিভিসহ আরও এক ডজনের বেশি সংবাদমাধ্যম।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওপেন এআই দাবি করছে, সর্বত্র গ্রহণযোগ্য আইনগত দৃষ্টান্ত মেনে ইন্টারনেটে সচরাচর পাওয়া যায় এমন উপাত্তই কেবল তারা ব্যবহার করছেন।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ছিলেন ওপেন এআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অ্যাল্টম্যান। সেখানে তিনি স্বল্প-খরচের এআই বাস্তুসংস্থান তৈরিতে ভারতীয় পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন দেশটির আইটিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে।
স্যাম অ্যাল্টম্যান বলেন, ভারতের উচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়া দেশের একটি হওয়া। কারণ দেশটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার একটি বড় বাজার।
ইন্টারনেট চষে উপত্ত সংগ্রহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় চ্যাটজিপিটির মতো চ্যাটবটকে। সেক্ষেত্রে ভারতের সাড়ে ৪০০ সংবাদভিত্তিক চ্যানেল ও খবরের কাগজ যেসব লেখা ও কন্টেন্ট প্রকাশ করে, সেগুলো চ্যাটজিপিটির উপাত্ত সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বলতে গেলে, চ্যাটবটের জন্য একটি উর্বর ভূমি হচ্ছে ভারত।
কিন্তু কী কী তথ্য চ্যাটজিপি সংগ্রহ করে বৈধভাবে ব্যবহার করতে পারবে, সে সম্পর্কে কোনো পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত এক ডজন মামলা রয়েছে চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে। বিভিন্ন প্রকাশক, শিল্পী ও সংবাদসংস্থা এসব মামলা করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মতো তাদের অভিযোগও একই।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে মামলা করে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস। ওপেন এআই ও মাইক্রোসফটের কাছে তারা কোটি কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
৩১২ দিন আগে
ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে আছে চ্যাটজিপিটি। এছাড়া গুগলের জেমিনি ও অ্যানথ্রপিক ক্লডের মত কয়েকটি নামও বেশ পরিচিতি পেয়েছে। কিন্তু তাদের কেউই ওপেন এআইয়ের এই সেবাটির সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারেনি। তবে এবার এআই যুদ্ধে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভাব ঘটেছে চীনা প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের। কারিগরি বৈশিষ্ট্য ও বাজারে যুগান্তকারী প্রভাবের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে নতুন বাস্তবতার সম্মুখীন করেছে এই পরিষেবাটি। চলুন, চ্যাটজিপিটিসহ সমসাময়িক প্রতিযোগীদের মাঝে ডিপসিকের অবস্থানটি পর্যালোচনা করে দেখা যাক।
ডিপসিক কি
এই উন্নত এআই মডেলটির নামকরণ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নামেই। চীনের জেজিয়াং প্রদেশের রাজধানী শহর হ্যাংজোর একটি গবেষণাগারে চলে এর উন্নয়নের কাজ। ২০২৩ সালের মে থেকে কাজটি শুরু করেন প্রকৌশলী লিয়াং ওয়েনফেং। গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য বিশ্বব্যাপি সুপরিচিত মার্কিন প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া থেকে বিপুল সংখ্যক চিপ জমা করছিলেন ওয়েনফেং। বিশ্লেষকদের দাবি, সংগ্রহে থাকা এই চিপগুলো কাজে লাগিয়েই তিনি ডিপসিক বানিয়েছেন। চিপগুলো যথেষ্ট কম দামি হওয়ায় অনেক কম খরচেই মডেলটি চূড়ান্তভাবে ব্যবহারযোগ্য একটি সেবায় রূপ লাভ করে।
ডিপসিকের মডেলটি ওপেন-সোর্সভিত্তিক। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি অ্যাপল ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ হিসেবে ছাড়া হয় ডিপসিকের প্রথম সংস্করণ আর ১। ২৭ জানুয়ারি নাগাদ এটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে বিনামূল্যে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপ হিসেবে চ্যাটজিপিটিকে ছাড়িয়ে যায়। শুধু তাই নয়, চীনসহ যুক্তরাজ্যের কয়েকটি দেশেও এই চ্যাটবট অ্যাপটি চ্যাটজিপিটির তুলনায় বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
তাই সিলিকন ভ্যালিসহ গোটা এআই দুনিয়াকে এটি নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করছে বলে দাবি করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। সমসাময়িক প্রতিষ্ঠিত এআই পরিষেবাগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ডিপসিককে এখন উদীয়মান এআই হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এতদিন ধরে চ্যাটজিপিটির একচেটিয়া কর্তৃত্বকে হুমকির মুখে ফেলে ডিপসিক এআই প্রতিদ্বন্দিতার এক নতুন যুগের সূচনা ঘটিয়েছে।
সমসাময়িক এআই মডেলগুলোর সঙ্গে ডিপসিকের তুলনা
.
উন্নয়ন খরচ
ডিপসিকের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও প্রধান কৃতিত্ব হচ্ছে এর বাজেট-বান্ধব প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া। ১০ হাজার এনভিডিআ জিপিইউয়ের ওপর আর ১ মডেলটির বিকাশ ঘটাতে প্রয়োজন হয়েছিলো মাত্র ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।
এটি ওপেনএআই, মেটা (সাবেক ফেসবুক) ও গুগলের উন্নয়ন খরচ থেকে অনেক কম। সঙ্গত কারণেই এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক ব্যবহৃত এআই অ্যাপে পরিণত হয়। এতে করে রাতারাতি মোড় ঘুরে যায় এআই নির্ভর ইন্ডাস্ট্রির। এই ধাক্কার শিকার হয়েছে মেটা ও মাইক্রোসফ্টসহ অনেকগুলো এআই প্রতিষ্ঠানের। এই তালিকায় রয়েছে- স্বয়ং এনভিডিআও, যেখানে স্টকের দাম পড়ে গেছে প্রায় ১৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
পারফর্মেন্সের দিক থেকে বিশ্বখ্যাতি থাকলেও চ্যাটজিপিটি ও জেমিনি প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ যথেষ্ট বেশি। অন্যদিকে ডিপসিক কম খরচে প্রায় সমপরিমাণ সক্ষমতা প্রদর্শন করছে। এটি বদলে দিচ্ছে যে পদ্ধতিতে এআইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তার ন্যায্যতার হিসাব।
পারদর্শিতা
কোনও প্রশ্ন করা হলে ডিপসিক আর ১ প্রথমে তার উত্তর তৈরি করার প্রক্রিয়াটি ব্যবহারকারির সঙ্গে শেয়ার করে। এখানে থাকে উত্তর প্রস্তুত করার জন্য প্রয়োজনীয় যুক্তি ও সামঞ্জস্যপূর্ণতা। এখানে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হলে ব্যবহারকারি তার নির্দেশনা দিয়ে দেন। তারপর চূড়ান্ত নিদের্শনার ওপর নির্ভর উত্তরটি সরবরাহ করা হয়। এতে করে উত্তরের নির্ভুলতা ও প্রাসঙ্গিকতা বজায় থাকে। সহজ ভাষায় ডিপসিক কাজ দেখানোর পূর্বে সে কিভাবে কাজটি করবে তার একটা খসড়া নিয়োগকর্তাকে দেখিয়ে নেয়। অন্যদিকে, চ্যাটজিপিটি নিজে থেকেই পুরো কাজটি সম্পন্ন করে। সর্বশেষ হালনাগাদকৃত সংস্করণে এটি আরও পরিণত হয়েছে। তাছাড়া প্রিমিয়াম ক্যাটাগরিগুলো আরও ভালো পারফর্মেন্স দেয়।
কিন্তু এক্ষেত্রে শুরুর দিকে চ্যাটজিপিটির অবস্থার সঙ্গে তুলনা করলে ডিপসিক অনেকটা এগিয়ে থাকবে।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
গ্রহণযোগ্যতা
প্রতি মুহুর্তে ডিপসিকের ক্রমবর্ধমান ডাউনলোড সংখ্যার ক্রমাগত গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির বিষয়টিকে প্রকাশ করছে। মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এর মোবাইল অ্যাপটির ২৬ লাখ ডাউনলোড হয়। এখন পর্যন্ত এটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপের তালিকার শীর্ষে ও বিশ্ব জুড়ে ১১১টি দেশে শীর্ষ ১০ অ্যাপে মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে, ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপি একটি বিশ্বস্ত নাম হয়ে ওঠায় প্রতি মাসেই চ্যাটজিপিটির ডাউনলোড সংখ্যা থাকে কয়েক মিলিয়ন
এর পেছনে অবশ্য মুক্তির সময় অভূতপূর্ব সেবা হওয়া ও বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পরিষেবাগুলোর সঙ্গে এর সমন্বয়ও দায়ী।
বিচার-বিবেচনা
তৈরিকৃত লিখিত কন্টেন্টের ধরণ কেমন হবে তা নিয়ে প্রতিটি এআই মডেলেরই কিছু স্বতন্ত্র বিবেচনা পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত পক্ষপাতিত্বের কোনো অভিযোগ মেলেনি।
শুরু থেকেই এগুলো স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও বিতর্কিত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণতা বজায় রেখেছে। এই নৈতিক অবস্থান বিশ্ব বাজারে তাদের বস্তুনিষ্ঠ কন্টেন্ট ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
কিন্তু ডিপসিককে নিয়ে এই সূচনালগ্নেই একটি সমালোচনার অবতারণা ঘটেছে। আর তা হচ্ছে- চীনের ঐতিহাসিক তিয়েনানমেন স্কয়ার বিক্ষোভ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে আর ১ তা এড়িয়ে যায়। এমন পক্ষপাতমূলক বৈশিষ্ট্য নিয়েই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ডিপসিক।
এরই রেশ ধরে নিকট ভবিষ্যতে এআই সেবা প্রদানে সীমিত অনুশীলনের আশঙ্কা থাকছে, যা উন্মুক্ত তথ্য প্রবাহের অন্তরায়।
প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা
মুক্তির পরপরই ডিপসিকে বড় আকারের কিছু সাইবার আক্রমণ চীনের বাইরের ব্যবহারে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘমেয়াদে এটি অ্যাপটির ব্যবসার ক্ষেত্রে সমূহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও নিয়মিত হালনাগাদকরণ এই বাধা অতিক্রমে কার্যকর হতে পারে। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির পাশাপাশি অন্য এআই মডেলগুলোও নিজেদের আপগ্রেড করবে।
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সাশ্রয়ী খরচে এআইয়ের উন্নয়ন সাধনের জন্য চীনের সঙ্গে সমন্বয় করতে সহমত পোষণ করেছে।
সর্বপরি, উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহক উভয়ের জন্যই ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে এমন প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হওয়ার এক সুদূরপ্রসারি প্রভাব রয়েছে।
ইতিবাচক ও গঠনমূলক প্রতিদ্বন্দ্বিতার দৌলতে তৈরি হয় সমস্যা সমাধানের প্রেক্ষাপট। এতে করে একদিকে যেমন ব্যবসাগুলোর প্রান্তিক লাভ বাড়ে, অপরদিকে তেমন সাধারণ মানুষের জীবনধারণ পদ্ধতিও উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
সারবস্তু
চ্যাটজিপিটির একচেটিয়া রাজত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবার এআই কেন্দ্রিক প্রতিযোগিতার মঞ্চ তৈরি করলো ডিপসিক। উন্নয়ন খরচ সাশ্রয়ী হওয়ায় ওপেন সোর্স সফ্টওয়্যারটি নিয়ে গবেষণার বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ডাউনলোড করে নিজস্ব ডিভাইসে সংরক্ষণের সুবিধা। ফলে সহজলভ্যতা নন-টেক শ্রেণি পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ায় বিরাট এক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তি বাজার।
আরো পড়ুন: কীভাবে বুঝবেন ছবিটি এআই দিয়ে বানানো কিনা
৩১৮ দিন আগে
কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
ট্রাফিক জ্যাম বা যানজট; যা ঢাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা মোকাবিলা করতে প্রতিদিন প্রতিটি কাজেই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব; নষ্ট হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কর্মঘণ্টা। উৎপাদনশীলতার এই চরম বিপর্যয় দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের জীবনধারাকে আবদ্ধ করে রেখেছে নগরবাসীকে। তুলনামূলকভাবে কম যানজটপূর্ণ রাস্তাগুলো এড়ানো সম্ভব হলে, উদ্দেশ্য গন্তব্যে যেতে অনেকটা সময় বাঁচানো যাবে। তাই প্রয়োজন রাস্তাঘাটে জ্যামের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত থাকা। চলুন, ঢাকার কোন রাস্তায় কেমন ট্রাফিক জ্যাম রয়েছে, তা খুঁজে দেখার কার্যকর উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
ঢাকার যানজট পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার ৬টি কার্যকরি উপায়
.
গুগল ম্যাপস
ব্যস্ততম শহুরে রাস্তায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি গুগল ম্যাপস (Google Maps)। ওয়েব ও মোবাইল উভয় ভার্সন থাকা এই অ্যাপটিতে রয়েছে তাৎক্ষণিক ট্রাফিক মনিটরিংয়ের সুবিধা। এটি স্মার্টফোনের অবস্থানসহ অন্যান্য তথ্য ব্যবহার করে সময়ের সাথে রাস্তার পরিস্থিতি হালনাগাদ করতে পারে।
প্রাপ্ত ফলাফল বিভিন্ন রঙে অঙ্কিত সংকেতের মাধ্যমে দেখানো হয়। যেমন ফাঁকা রাস্তার জন্য সবুজ, মাঝারি ব্যস্ত রাস্তা হলুদ এবং জ্যাম-এ পরিপূর্ণ রাস্তার জন্য লাল রঙ। শুধু তাই নয়, অ্যাপটির ব্যবহারকারীরা একই সঙ্গে বিকল্প রাস্তারও খোঁজ পেয়ে যান, যা তাদের তড়িৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
এছাড়া বন্ধ বা নির্মাণাধীন রাস্তার ব্যাপারেও যাত্রীদের আগাম সতর্কবাণী দেয় এই ডিজিটাল মানচিত্র। এখানে আরও রয়েছে লোকেশন সংরক্ষণ করে রাখা এবং ব্যবহারের ইতিহাস পর্যালোচনা করে পথ বাতলে দেওয়ার সুবিধা।
নতুনভাবে সংযুক্ত ভয়েস-নির্দেশিত নেভিগেশনের দৌলতে যাত্রী বা চালকের মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকানোর দরকার পড়ে না। এতে তিনি নিরাপত্তার জন্য সামনে ও আশেপাশের রাস্তার উপর মনোযোগ রাখতে পারেন।
ওয়েজ
গুগল ম্যাপসের মতো ওয়েজ (Waze) সফ্টওয়্যারটিও রিয়েল-টাইম ট্রাফিক আপডেট দিতে পারে। কোনো পথ অতিক্রম করতে একটি গাড়ির কতটা সময় লাগছে, তার উপর নির্ভর করে এই সেবাটি রিপোর্ট তৈরি করে। নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত এলাকা এড়িয়ে সম্ভাব্য একাধিক পথ প্রস্তাব করে। ফাঁকা রাস্তাগুলোর মধ্যে কোনটিতে কত সময় ও ন্যূনতম কতটা ট্রাফিক পড়বে, তারও একটি তুলনামূলক তথ্য দেয়। এই বিশ্লেষণ ক্রমাগত চলতে থাকে, বিধায় রাস্তাগুলোর ট্রাফিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফলাফলও পরিবর্তিত হয়। উপরন্তু, সফ্টওয়্যারটির সামগ্রিক পরিসরে স্ক্যানিং ক্ষমতা বন্ধ রাস্তার ব্যাপারেও চালককে আগাম সতর্ক করে।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
রাইড-শেয়ারিং মোবাইল অ্যাপ
তাৎক্ষণিক ট্রাফিক ট্র্যাকিং এবং ভালো বিকল্প পথের পরামর্শের সুবিধা রাইড-শেয়ারিং অ্যাপগুলোতেও আছে। এটি কাজে লাগিয়ে চালকেরা নিজের এবং যাত্রী উভয়েরই যাতায়াতের সময় বাঁচাতে পারেন। রাইড অর্ডারের পর চালকের যাত্রীর লোকেশনে আসতে এবং রওনা হওয়ার পর গন্তব্যে পৌঁছতে কত সময় লাগবে, তা উল্লেখ করা থাকে।
ভ্রমণের সময় প্রতিবার রাস্তা বদলের সঙ্গে সঙ্গে নতুন রাস্তায় গন্তব্যে পৌঁছানোর নতুন সময়ও নির্দিষ্ট হয়ে যায়। এটি চালক ও যাত্রীকে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেয়। ইতোমধ্যে রাজধানী ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলজুড়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া উবার ও পাঠাও উভয় অ্যাপে এই ফিচারগুলো বিদ্যমান। এমনকি বিভিন্ন পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও এ থেকে উপকৃত হচ্ছে। এই ব্যবস্থার রূপরেখায় শুধু যে সমস্যা সমাধান হচ্ছে তা নয়, যুগপৎভাবে সমূহ সম্ভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে।
এফএম রেডিও চ্যানেল
অডিও সেবায় প্রযুক্তি অনেকটা পথ এগিয়ে গেলেও, এফএম রেডিও চ্যানেলগুলো এখনও ট্রাফিকের তথ্য পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। রেডিও টুডে (৮৯.৬ এফএম)-এর নিয়মিত ট্রাফিক আপডেটে সরাসরি যানবাহনের ভিড় এবং রোড-ব্লক পরিস্থিতিগুলোর বিশদ জানা যায়। পিক আওয়ারে সম্প্রচার করা হয়, বলে তা ভ্রমণরত যাত্রীদের জন্য যথেষ্ট সহায়ক হয়। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার তার ঐতিহ্য বজায় রেখে এখনও যানজটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বিস্তারিত কভারেজসহ আপডেট দিয়ে থাকে। স্মার্টফোন চেক না করেই চলন্ত অবস্থায় টিউন করার সুবিধা থাকায় ড্রাইভারদের জন্য বেশ তাৎপর্যবহুল এই মাধ্যম।
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
৩২৮ দিন আগে
এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
বাতাসের নিম্ন মানের জন্য জনবহুল ঢাকা বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় প্রায় সময়ই র্যাঙ্কিয়ে থাকে। অস্বাস্থ্যকর এই বাতাসের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি উপক্রম ঘটে বিভিন্ন রোগব্যাধির। এই বায়ু দূষণ থেকে ঘরকে নিরাপদে রাখতে প্রযুক্তির সব থেকে সময়োপযোগী অনুদানটি হচ্ছে এয়ার পিউরিফায়ার। নতুন বছরে ইলেক্ট্রনিক বাজারে এগুলোর চলমান কিছু ব্র্যান্ড ও তাদের ফিচার নিয়েই আজকের নিবন্ধ। চলুন, তার পূর্বে এই আধুনিক ডিভাইসের উপকারিতা এবং কেনার ক্ষেত্রে যাচাইয়ের কয়েকটি মানদণ্ডের বিশ্লেষণ দিয়ে শুরু করা যাক।
এয়ার পিউরিফায়ারের সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তা
শহরের বাতাস যেভাবে ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে উঠছে, সেখানে একটি স্বাস্থ্যসম্মত ঘর নিতান্ত অবধারিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় বাসা-বাড়ির বাতাস পরিশোধনের সবচেয়ে অপরিহার্য কাজটি করে এয়ার পিউরিফায়ার। ডিভাইসটির প্রধানত বাতাসে থাকা বিভিন্ন ধরণের দূষিত পদার্থকে ধ্বংস করে। আর এরই সূত্র ধরে পরবর্তীতে আসে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপকারিতাগুলো।
উদ্বায়ী জৈব যৌগ, ধোঁয়া এবং রাসায়নিক ধোঁয়ার মতো নানা ধরণের ক্ষতিকারক পদার্থ ঘরের ভেতরে থাকতে পারে। এয়ার পিউরিফায়ারের অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ফিল্টার এই দূষকগুলোকে নির্মূল করে। কোনো কোনো ডিভাইসে ইউভি (আল্ট্রাভায়োলেট)-সি লাইট বা আয়োনাইজার এর মতো উন্নত প্রযুক্তি থাকে। এটি বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করার জন্য পুরো ঘরকে রীতিমত দূর্গে পরিণত করে।
বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশ করা বাতাসে প্রায়ই ধুলো, পরাগ এবং পশুপাখির পশমের মতো অ্যালার্জেন থাকে, যা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
অনেক পিউরিফায়ারে এইচইপিএ (হাই এফিশিয়েন্সি পার্টিকুলেট এয়ার) বা হেপা ফিল্টার থাকে। এই ফিল্টারে যাবতীয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা ধরা পড়ে বিধায় অ্যালার্জি এবং হাঁপানির আক্রমণের ঝুঁকি থাকে না। এভাবে ডিভাইসটি পরিষ্কার বায়ুপ্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করে।
এয়ার পিউরিফায়ার কেনার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি
কারিগরি দিক থেকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসটির বৈশিষ্ট্যগত বিষয় রয়েছে, যেগুলো উপরোক্ত সুবিধাগুলোর শতভাগ নিশ্চিত করে। ক্রয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পূর্বে সেই দিকগুলো সুক্ষ্মভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত। এই নিরীক্ষণটি সম্পন্ন করা যেতে পারে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিতকরণের মাধ্যমেঃ
কভারেজ এলাকা এবং সিএডিআর
এয়ার পিউরিফায়ার কেনার পূর্বপরিকল্পনায় প্রথমেই বিবেচনায় আনতে হবে ঘরের পরিসর। ডিভাইসটি পুরো ঘরের বাতাস কার্যকরভাবে পরিষ্কার করতে পারবে কিনা তার জন্য এই স্থিতিমাপটি প্রয়োজন। আর এখানেই আসে সিএডিআর বা ক্লিন এয়ার ডেলিভারি দরের অনুষঙ্গ। এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট আবদ্ধ স্থানে ডিভাইসের বাতাস পরিষ্কার করার ক্ষমতাকে বোঝানো হয়। কক্ষের আকার এবং সিএডিআর-এর মধ্যে অসামঞ্জস্যতা মানেই বায়ু পরিশোধনে অকার্যকারিতা, সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও অর্থ দুটোরই অপচয়।
ফিল্টার প্রযুক্তি
পিউরিফায়ারের ফিল্টার সিস্টেম বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। যেমন হেপা, অ্যাক্টিভেটেড কার্বন, এবং আয়োনাইজার। প্রতিটিরই রয়েছে পৃথক উদ্দেশ্য এবং বাতাসের দূষক দূরীকরণের নিজস্ব পদ্ধতি।
আরও পড়ুন: স্মার্ট টিভি খুঁজছেন? জেনে নিন ফিচার ও দাম
হেপা ফিল্টার ব্যাপনের মাধ্যমে অ্যালার্জেন ও ছোট কণাগুলো আটকায়, আর সক্রিয় কার্বন গন্ধ ও ক্ষতিকারক গ্যাস দূর করে। আয়োনাইজার জমাকৃত বিদ্যুতের চার্জ দিয়ে পশুপাখির পশম ও উদ্ভিজ্জ পরাগকে আটকে ফেলে।
আওয়াজের মাত্রা এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারের কার্যকারিতা
অপারেশন মুডে থাকার সময় ডিভাইসের আওয়াজ প্রায়শই দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এর সঙ্গে মাস শেষে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের চাপ বিড়ম্বনার কারণ হয়। আর পুরো বিনিয়োগটাই বৃথা হয় যখন দেখা যায় যে, এত বিল জমার পরেও বায়ু দূষণমুক্ত হচ্ছে না। তাই কম ডেসিবেল রেটিং এবং এনার্জি-এফিশিয়েন্ট ডিজাইনের মডেলের দিকে নজর দেওয়া উচিত। এগুলো একই সাথে নয়েজ ফ্রি এবং সাশ্রয়ী হয়ে থাকে।
উন্নত প্রযুক্তি
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিউরিফায়ারগুলো নিত্য নতুন গ্যাজেটে সজ্জিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল অ্যাপ সংযোগ, রিয়েল-টাইম এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং এবং পরিবর্তনযোগ্য মুড। এই উদ্ভাবনাগুলো ডিভাইসের সাধারণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে আরও উপযোগী করে তোলে। বিশেষত বাতাসের মান যত কমে এই প্রযুক্তিগুলোরও প্রয়োজনীয়তা ততটাই টের পাওয়া যায়। তাছাড়া এর সঙ্গে গ্রাহক কত সহজে ডিভাইসটি চালাতে পারছেন সে বিষয়টিও জড়িত। বলাই বাহুল্য যে, এরকম অতিরিক্ত সংযুক্তির ধারাবাহিকতায় ডিভাইসের দামটাও বাড়তে থাকে।
রক্ষণাবেক্ষণ এবং ফিল্টার প্রতিস্থাপন খরচ
কেনার সময় এককালীন মূল্য থেকে পরবর্তীতে রক্ষণাবেক্ষণে বেশি খরচ চলে যাচ্ছে কিনা তার হিসাব করাটা জরুরি। বিভিন্ন সময়ে ডিভাইসের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি বিশেষ করে ফিল্টার প্রতিস্থাপনের দরকার পড়ে। অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ও এইচইপিএ ফিল্টার ঘন ঘন প্রতিস্থাপন করতে হয়, অপরদিকে প্রি-ফিল্টার ও আয়োনাইজার ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। এই পর্যালোচনা সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি যৌক্তিক ও বাজেট উপযোগী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
বর্তমান বাজারের সেরা ১০টি এয়ার পিউরিফায়ার
অনলাইনে ইলেক্ট্রনিক পণ্যের বিপণীগুলো উপরোল্লিখিত সুবিধা ও বৈশিষ্ট্যগুলো তুলনা করার জন্য যথেষ্ট সহায়ক। তড়িৎ পর্যালোচনার নিমিত্তে নতুন বছরের জন্য বাজারের প্রসিদ্ধ ১০টি ব্র্যান্ডের ডিভাইসের দামসহ ফিচার দেওয়া হলো-
মোমেক্স এপি১০ | ৯ হাজার ৫০০ টাকা
আকার ও ডিজাইনের দিক থেকে বেশ কমপ্যাক্ট অথচ যথেষ্ট শক্তিশালী মোমেক্সের এই ডিভাইস। এর বিল্ট-ইন ইউভি-সি ৯৯ শতাংশ বায়ুবাহিত ব্যাকটেরিয়া দূর করতে পারে। ফিল্টারের হেপা অংশটি এইচ১৩ গ্রেডের, তাই এটি পিএম (পার্টিকুলেট ম্যাটার)-২ দশমিক ৫ কণাগুলোকে ধরাশায়ী করতে পারে ৯৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত। এই পিএমগুলো হচ্ছে ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটারের অণুজীব যা ধোয়া বা বাতাসের মধ্যে থাকে।
ফিল্টারের সক্রিয় কার্বনের অংশটি উদ্বায়ী জৈব যৌগগুলোকে আকৃষ্ট করে। এভাবে পিউরিফায়ারটি কার্যকরভাবে ১০ বর্গ মিটার পর্যন্ত জায়গার বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। এছাড়াও বায়ু দূষণ হ্রাসে অংশ নেয় ডিভাইস থেকে নির্গত ৮০ লক্ষ ঋণাত্মক আধান। এলইডি ডিসপ্লের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, বাতাসের গতি, আয়ন স্থিতি এবং বায়ুর গুণমান সম্পর্কে রিয়েল-টাইম আপডেট দেওয়া হয়। ব্যাটারি ১০ হাজার এমএএইচ (মিলি-অ্যাম্পিয়ার-আওয়ার)-এর, যেটি ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত অপারেশন দিতে সক্ষম।
বেকো পি৬ এটিপি৬১০০আই | ৯ হাজার ৯০০ টাকা
এই এয়ার পিউরিফায়ারটিতে ৩৬০-ডিগ্রি বাতাস প্রবাহের জন্য রয়েছে চারটি ভিন্ন স্পিড সেটিংস। আকারে ছোট হলেও মডেলটিতে ৩-পর্যায়ের ফিল্টার ব্যবস্থার স্থান সঙ্কুলান হয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রি-ফিল্টার, ১৩ গ্রেডের হেপা ফিল্টার, এবং অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ফিল্টার। তাই রয়েছে ক্ষুদ্র থেকে বড় কণাসহ গন্ধ এবং উদ্বায়ী জৈব যৌগ সবই দূরীভূত হয়। ডাস্ট সেন্সর ও আয়োনাইজারের সমন্বয় যথেষ্ট পরিমাণে অ্যালার্জেন হ্রাস করতে পারে।
আরও পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
প্রতি ঘণ্টায় ২০৪ কিউবিক মিটার সিএডিআর সম্পন্ন ডিভাইসটির ১০ বর্গ মিটারের জায়গা কভার করতে ৮ মিনিট এবং ৩০ বর্গ মিটারের জন্য ২৭ মিনিট লাগে। অপারেশনের সময় এর সর্বোচ্চ নয়েজ লেভেল উঠতে পারে সর্বোচ্চ ৫৫ ডিবিএ (ডেসিবল এ্যাডজাস্টেড)। বেকো থেকে পিউরিফায়ারটির জন্য ১২-মাসের ব্র্যান্ড ওয়ারেন্টি রয়েছে।
গ্রী জিসিএফ-৩৫০এএসএনএ | ১৬ হাজার ৫০০ টাকা
এই অত্যাধুনিক ডিভাইসের বিশেষত্ব হচ্ছে পিএম-২ দশমিক ৫-এর মতো আণুবীক্ষণিক কণা এবং ফর্মালডিহাইডের মতো গ্যাসীয় দূষক অপসারণ করা। এই অপারেশনের নেপথ্যে রয়েছে ঈগল উইং বায়োনিক প্রযুক্তি এবং একটি টার্বো ইনভার্টার মোটর। ফলে সমপর্যায়ের যেকোনো পিউরিফায়ার থেকে এর কার্যকারিতা বেশি থাকে। এই অপরসারণ কার্যক্রমকে দৃষ্টিগোচর করার জন্য রয়েছে একটি সেন্সর ও রিয়েল-টাইম ডিসপ্লে। অন-অফ টাচ লাইট বোতাম, তিন রঙের লাইটের মাধ্যমে বাতাসের গুণমান নির্দেশক এবং চাইল্ড লক ফাংশন ব্যবহারকারীদের কাছে এটিকে সাবলীল করে তুলেছে। পাঁচটি পরিবর্তনযোগ্য বায়ুপ্রবাহের স্পিড লেভেলের সঙ্গে আছে অতিরিক্ত তিনটি মুড- অটো, স্লিপিং এবং টার্বো।
রক্ষণাবেক্ষণের দিক থেকে এর বড় সুবিধা হচ্ছে যৌগিক ব্যারেল-টাইপ ফিল্টার। এ ধরণের ফিল্টার প্রতিস্থাপনের জন্য যথেষ্ট সহজ। খুচরা যন্ত্রাংশ এবং বিক্রয়োত্তর পরিষেবার জন্য ১ বছরের ওয়ারেন্টি আছে।
আরও পড়ুন: শীতকালে গরম পানির গিজার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
শাওমি স্মার্ট এয়ার পিউরিফায়ার ৪ লাইট | ২২ হাজার ৫০০ টাকা
স্মার্ট ও প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য বিশেষ করে স্মার্ট কন্ট্রোল সিস্টেমের জন্য সুপরিচিতি রয়েছে শাওমির। এই লাইট ভার্সনের পিউরিফায়ারটিতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সেই সাথে বায়ু পরিশোধনে উচ্চ-দক্ষতায়ও কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি।
ঘণ্টা প্রতি ৩৬০ কিউবিক মিটার সিএডিআরের ডিভাইসটি প্রতি মিনিটে ৬ হাজার লিটার পরিষ্কার বাতাস সরবরাহ করে। থ্রি-ইন-ওয়ান ফিল্টারেশন সিস্টেমটি ০ দশমিক ৩ মাইক্রোমিটারের মতো ছোট ছোট কণাকে ৯৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ অপসারণ করে। এই কম্বো সিস্টেমের পরিচালনায় রয়েছে উচ্চ-মানের সক্রিয় কার্বন স্তর। পর্যাপ্ত জায়গা কভার করা এই ফিল্টার কমপক্ষে ১২ মাসের নিশ্চিন্ত ব্যবহার নিশ্চিত করে। পারফরম্যান্সের অতিরিক্ত নিশ্চয়তা হিসেবে রয়েছে ৬-মাসের ওয়ারেন্টি।
প্যানাসনিক এফ-পিএক্সজে৩০এ | ২২ হাজার ৫০০ টাকা
থ্রিডি সার্কুলেশন এয়ারফ্লো দিয়ে সজ্জিত এই এয়ার পিউরিফায়ারের কভারেজ ক্ষমতা হলো সর্বোচ্চ ২১৫ বর্গফুট। মাঝারি কাঠামোতে জায়গা পেয়েছে একটি কম্পোজিট ফিল্টার, হাউস ডাস্ট ক্যাচার, এবং একটি ডিওডোরাইজিং ফিল্টার।
এর সুপার ন্যানো-টেকনোলজি ডিওডোরাইজিং ফিল্টার এবং গ্রিন টি ক্যাটিচিন সহ অ্যালার্জি-বাস্টার গন্ধ এবং অ্যালার্জেন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই প্রক্রিয়ার নেপথ্যে কাজ করে গন্ধ সেন্সর এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া এনজাইম। অপারেশনে সুবিধার জন্য এতে আছে অটো মুড এবং ৮-ঘণ্টা স্লিপিং মুড।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
বিভিন্ন সময়ে রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধার্তে দেওয়া হয়েছে একটি ক্লিন সাইন ইন্ডিকেটর। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডিভাইসটির জন্য রয়েছে ১ বছরের ওয়ারেন্টি।
শার্প এফপি-জেএম৪০ই-বি | ২৫ হাজার ৯০০ টাকা
বাতাস বিশুদ্ধকরণের পাশাপাশি শার্পের এই মডেলটিতে রয়েছে মশা নিধনের ক্ষমতা। এর রাসায়নিক-মুক্ত পাঁচ-পর্যায় বিশিষ্ট ব্যবস্থা অন্যান্য পরাগের পাশাপাশি মশাকেও আকৃষ্ট করে। এই ব্যবস্থার মূল চালিকা শক্তি ইউভি লাইট এবং কালো বহিরাবরণ। এছাড়া, ডিভাইসের শক্তিশালী এয়ার সাকশনের কাছে মশা নিমেষেই ধরাশায়ী হয় এবং একটি আঠালো শীটে আটকা পড়ে।
আবদ্ধ স্থানে ৩০ বর্গ মিটার জুড়ে এই দ্বৈত কার্যক্রম চালাতে পারে ডিভাইসটি। এর হেপা ফিল্টারটি ০ দশমিক ০৩ মাইক্রনের মতো আণবীক্ষণিক অণুজীবগুলোকেও ধরতে পারে। এছাড়াও বায়ুবাহিত অ্যালার্জেন, ভাইরাস, ও ব্যাকটেরিয়া নিষ্ক্রিয়করণের জন্য এর রয়েছে পরিপূরক প্লাজমাক্লাস্টার আয়ন প্রযুক্তি। এটি যেকোনো ফিল্টারের পরিপূরক এবং গন্ধহীন পরিবেশ তৈরিতেও সক্ষম।
সব মিলিয়ে ডুয়াল-ফাংশনের এই ডিভাইস ঘরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে স্বাস্থ্যসম্মত রাখার জন্য একটি আদর্শ উপায় হতে পারে।
আরও পড়ুন: শীতে রুম হিটার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
স্মার্ট এয়ার এসএ৬০০ | ৩২ হাজার ৫০০ টাকা
সুপ্রশস্ত জায়গাগুলোকে উদ্দেশ্য করে ডিজাইনকৃত এই পিউরিফায়ার মাত্র ১৬ মিনিটে ৬০০ বর্গফুট এলাকার বাতাস পরিষ্কার করে। স্মার্ট এয়ার মডেলটির বিশেষত্ব হিসেবে রয়েছে এইচ১৩ গ্রেডের হেপা, প্রি-ফিল্টার, এবং সক্রিয় কার্বন ফিল্টার। তাই ক্ষুদ্র কণা, ক্ষতিকারক গ্যাস, অপ্রীতিকর গন্ধ, এবং পশুপাখির পশম কোনও কিছুই এর দুর্ভেদ্য বেষ্টনী অতিক্রম করতে পারে না। অপারেশনকালে আওয়াজের মাত্রা সর্বোচ্চ ৫২ দশমিক ৫ ডেসিবল-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। বাতাস বিশোধনের পুরো প্রক্রিয়াতে স্ট্যান্ডার্ড বক্স ফ্যানের তুলনায় ৮৫ শতাংশ কম বিদ্যুৎ শক্তি খরচ হয়। তাই প্রথমে খরচের ধাক্কা থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদে এই মডেলটি খরচ বাঁচানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।
স্যামসাং এএক্স৯০আর৭০৮০ডব্লিউডি/ইইউ | ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা
উন্নতমানের এই এয়ার ক্লিনারটির প্রধান ফিচারগুলো হচ্ছে হেপা এবং ডিওডোরাইজিং ফিল্টার সহ বহু-স্তর বিশিষ্ট পরিশোধন ব্যবস্থা। অনাকাঙ্ক্ষিত ধুলো এবং গন্ধকে শনাক্তের জন্য রয়েছে স্মার্ট সেন্সর। ৩-ওয়ে এয়ারফ্লো বায়ু সঞ্চালন বাড়াতে অংশ নেয়। এভাবে বাতাসে থাকা যাবতীয় দূষক দূরীকরণ অব্যাহত থাকে ৯০ বর্গমিটার পর্যন্ত।
ওয়াইফাইয়ের সংযুক্তি থাকায় বিরামহীন রিমোট কন্ট্রোলের সুবিধা রয়েছে, যেখানে কাজ করে ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসের ‘স্মার্টথিংস’ অ্যাপ। এছাড়াও ডিভাইসে বিভিন্ন সময় রিয়েল-টাইম আপডেটগুলো প্রদর্শন করা হয়।
নিরাপত্তামূলক বৈশিষ্ট্য হিসেবে রয়েছে অফ-টাইম সেটিং এবং চাইল্ড-কেয়ার লক। ৫৪ ডিবিএ সর্বোচ্চ নয়েজ লেভেল বিশিষ্ট পিউরিফায়ারটি দীর্ঘক্ষণ যাবৎ নিরবচ্ছিন্নভাবে কর্মক্ষমতা অটুট রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
হিটাচি ইপি-এনজেজি৭০জে | ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা
নজরকাড়া ডিজাইনের এই ডিভাইসের বিশেষত্ব হচ্ছে প্রশস্ত এবং দ্রুত ধুলো সংগ্রহের ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে ডিভাইসের বিপরীত দুই পাশে ১৩ বর্গ মিটার পর্যন্ত স্থানকে বায়ু দূষণমুক্ত হয়। অত্যাধুনিক পিউরিফায়ারটি ধুলো, ছাঁচ এবং সিডারের পরাগের মতো সূক্ষ্ম কণা আটকাতে পারদর্শী। তালিকার অন্যান্য পিউরিফায়ারগুলোর মতো এটিতেও আছে হেপা পরিস্রাবণ ব্যবস্থা।
১৫ ডিবিএ-এর নিচে নয়েজ লেভেল রাতের বেলা ডিভাইসের শান্ত অপারেশন নিশ্চিত করে। গ্রাহকদের কাছে নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে হিটাচির পক্ষ থেকে ১২-মাসের পরিষেবা এবং যন্ত্রাংশের ওয়ারেন্টি আছে।
ফিলিপস এসি২৮৮৭ | ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা
উচ্চ-পার্ফরম্যান্স এবং মাত্র ২০ দশমিক ৫ ডিবিএ নয়েজ লেভেলের স্লিপ মুডের এক অনন্য সংমিশ্রণ রয়েছে ফিলিপ্সের এই মডেলটিতে। এরাসেন্স প্রযুক্তির দৌলতে মডেলটি কার্যকরভাবে বাতাসে ভেসে বেড়ানো দূষক পরিমাপ এবং নির্মূল করতে পারে। একই সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণেও অংশ নেয়। এর ভিটাশিল্ড প্রযুক্তি প্রাকৃতিকভাবে ০ দশমিক ০২ মাইক্রনের কণার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। এই ফিল্টার ব্যবস্থা নিয়ে ডিভাইসটি ৮৫১ বর্গফুট পর্যন্ত জায়গা কভার করতে পারে। এ সময় প্রতি ঘণ্টায় ৩৩৩ কিউবিক মিটার সিএডিআর-এ বিরামহীন বায়ুপ্রবাহ অব্যাহত রাখা হয়।
স্মার্ট প্রিসেটিং ডিসপ্লেতে পিএম ২ দশমিক ৫ সহ বিভিন্ন বায়ুবাহিত দূষণকারীর রিয়েল-টাইম পরিমাপ পাওয়া যায়। ওজোন গ্যাসমুক্ত রাখার মাধ্যমে বায়ু বিশোধনের সামগ্রিক প্রক্রিয়াসহ ডিভাইসটি নিজের সরঞ্জামাদির নিরাপত্তা ধরে রাখে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
শেষাংশ
এই ১০টি এয়ার পিউরিফায়ারের যেকোনোটি ঘরের বাতাসকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারে। তন্মধ্যে মশা ও কীটপতঙ্গ ধ্বংসের অতিরিক্ত সুবিধা দিবে শার্পের মডেলটি। বরাবরের মতো স্মার্ট কন্ট্রোলের দিক থেকে এগিয়ে থাকা শাওমিতে পাওয়া যাবে সেরা ফিল্ট্রেশন। একই ক্যাটাগরিতে থাকবে বেকো, কারণ এর আছে আধুনিক ফিল্টার ক্ষমতার আয়োনাইজার। স্যাম্সাং-এর বিশেষত্ব মাল্টি-লেয়ার সিস্টেমে এবং গ্রী ও মোমেক্স-এর নৈপুণ্য অ্যালার্জেন-মুক্তকরণে। বাতাসের উন্নত সঞ্চালনের জন্য প্যানাসনিক আর দুর্দান্ত সেন্সিং ক্ষমতা পেতে ফিলিপ্সের মডেলগুলো বেছে নেওয়া যেতে পারে। যারা নয়েজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা অগ্রাধিকার দিতে পারেন ফিলিপ্স ও স্মার্ট এয়ার’কে।
আরও পড়ুন:শীতে ঘরের শুষ্কতা দূর করতে হিউমিডিফায়ার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল ও দাম
৩৪৭ দিন আগে