সিনেমা
নিউরো আইসিইউতে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সোমবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফারুকীর স্ত্রী জনপ্রিয় অভিনেতা নুসরাত ইমরোজ তিশা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি উল্লেখ করেন।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আজ (সোমবার) সন্ধ্যা থেকে মোস্তফা একটু অসুস্থ। ডাক্তারের কাছে নিতেই ডাক্তার বলল এনজিওগ্রাম করতে। করা হলো। ছোট একটা ব্রেন স্ট্রোক হয়ছে ওর।’
তিশা আরও বলেন, ‘নিউরো আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) অবজারভেশনে আছে এখন (মোস্তফা)।’
তিনি ফারুকীর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফারুকী রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখলেও এখন শঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: ‘তোদের অসভ্যতার শেষ হোক’: ফারুকী
ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভে মুক্তি পাচ্ছে ফারুকীর 'শনিবার বিকেল'
৬৯২ দিন আগে
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আসছে ৭৪ দেশের ২৫২ সিনেমা
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’- এই স্লোগানে শনিবার (২০ জানুয়ারি) পর্দা উঠবে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত এই উৎসব চলবে আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশসহ ৭৪টি দেশের ২৫২টি সিনেমা নিয়ে শুরু হচ্ছে ৯ দিনব্যাপী এই উৎসব।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে আগামী শনিবার বিকাল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং উপমহাদেশের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শ্রীমতি শর্মিলা ঠাকুর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
২০২৪ সালের এই উৎসবে ১০টি বিভাগে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচ্যুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম বিভাগ।
উৎসবকালে দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর অডিটরিয়াম ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমির মিলনায়তনে। এসব মিলনায়তনের সব প্রদর্শনী সবাই বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় ‘আগে এলে আগে দেখবেন’ ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে। তবে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করবেন কেবল আমন্ত্রিত অতিথিরা।
উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল জানান, এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত থাকবেন ইরানের খ্যাতিমান নির্মাতা মাজিদ মাজিদি, ভারতের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মীলা ঠাকুর, স্বস্তিকা মুখার্জি, অঞ্জন দত্তসহ বিভিন্ন দেশের নামকরা সব তারকা।
সংবাদ সম্মেলন আরও জানানো হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রদর্শন করা হবে- ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম নির্মিত ও জয়া আহসান অভিনীত ‘ফেরেশতে’ এবং বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজিত ও শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’।
২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সবার আকর্ষণ এবার ‘মাস্টার ক্লাস’-এ! কারণ মাস্টার ক্লাস নিতে যাচ্ছেন ইরানি সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ‘চিলড্রেন অব হেভেন’, ‘বারান’ ও ‘সং অব স্প্যারো’র মতো বিশ্বনন্দিত সিনেমার পরিচালক মাজিদ মাজিদি। এছাড়া মাস্টার ক্লাসের দু’টি ভিন্ন সেশনে কথা বলবেন চীনের সাংহাই ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ার শি চুয়ান এবং ভারতের নির্মাতা, অভিনেতা ও গায়ক অঞ্জন দত্ত। ২৭ জানুয়ারি দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে মাস্টার ক্লাসটি।
মাস্টারক্লাসের সেশনগুলো পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরু। মাস্টারক্লাস শেষে পরিবেশিত হবে অঞ্জন দত্তের সংগীত। এই চারটি সেশনের জন্যই অগ্রিম নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন লিংক উৎসবের ফেসবুক পেইজে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মুজতবা জামাল।
এছাড়া আগামী ২২ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে ‘ওয়াইড অ্যাঙ্গেল’ সেকশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি থাকবেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং সাংহাই ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ার শি চুয়ান।
আরও পড়ুন: ‘হুব্বা’ দুই বাংলার দর্শককে আকৃষ্ট করবে: মোশাররফ করিম
২১ থেকে ২২ জানুয়ারি উৎসবের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্রে নারীর ভূমিকা বিষয়ক ‘দশম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস্ কনফারেন্স’ ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত হবে। কনফারেন্সে দেশি-বিদেশি নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মত বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী নির্মাতারা অভিজ্ঞতা অর্জনের একটি সুযোগ পাবেন।
এখানে নারী নির্মাতারা তাদের কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং উত্তরণের উপায় নিয়ে বিশ্বের খ্যাতিমান নারী নির্মাতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন। বিশ্ব পরিবর্তনে নারীর নেতিবাচক ও ইতিবাচক ভূমিকা এবং প্রতিবন্ধকতা থেকে সমাধানের উপায়সমূহ উঠে আসবে এই কনফারেন্সে।
২১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় ‘দশম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস্ কনফারেন্সের’ উদ্বোধনী দিনে কিশওয়ার কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে এ পর্বটি উদ্বোধন করবেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সাদেকা হালিম।
উৎসবের অংশ হিসেবে আগামী ২৩-২৬ জানুয়ারি আঁলিয়স ফ্রঁসেজ গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হবে নির্মাতাদের মিথস্ক্রিয়ামূলক চার দিনব্যাপী সেমিনার ও কর্মশালা ‘ওয়েস্ট মিট ইস্ট: চিত্রনাট্য প্রতিযোগিতা’। এই আয়োজনে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য পাবে ৫ হাজার মার্কিন ডলার, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী চিত্রনাট্য পাবে ৩ হাজার মার্কিন ডলার এবং তৃতীয় স্থান জয়ী চিত্রনাট্য পাবে ২ হাজার মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া: বুবলি
উৎসবের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক মাজিদ মাজিদি এবং ভারতীয় অভিনয়শিল্পী শর্মিলা ঠাকুর। ২৮ জানুয়ারি এ উৎসবের পর্দা নামবে।
উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশের সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন ও চলচ্চিত্র উৎসব। এটি দেশে রুচিসম্পন্ন ও ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ব্যাপক অবদান রাখছে বলে আমরা মনে করি। রেইনবো’র এই উৎসব তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ধারার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে যেমন সফল হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অনুরূপ ধারাকে বলিষ্ঠ করেছে। সারা বিশ্বের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নতুন নতুন চলচ্চিত্র সিনেমাপ্রেমীদের উপহার দেওয়াই উৎসবের মূল লক্ষ্য।
উৎসবে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস ও সামিট গ্রুপ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির চেয়ারপারসন কিশওয়ার কামাল, গবেষক মফিদুল হক, নাট্যজন ম হামিদ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, নির্মাতা আকা রেজা গালিব, ফাখরুল আরেফিন খান, আরিফুর রহমান ও চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরুসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সাল থেকে নিয়মিত এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে আসছে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি। এই সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে।
আরও পড়ুন: 'টপ গান থ্রি' নির্মাণ হচ্ছে কি?
৬৯৭ দিন আগে
‘হুব্বা’ দুই বাংলার দর্শককে আকৃষ্ট করবে: মোশাররফ করিম
আগামী ১৯ জানুয়ারি কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশেও মুক্তি পাচ্ছে মোশাররফ করিম অভিনীত সিনেমা ‘হুব্বা’। কলকাতার প্রযোজনার এই সিনেমা নির্মাণ করেছেন ব্রাত্য বসু।
হুব্বা শ্যামল পশ্চিমবঙ্গের ‘হুগলির দাউদ ইব্রাহিম’ হিসেবে পরিচিত। আর এই চরিত্রেই দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে।
সিনেমাটি প্রসঙ্গে কলকাতার এক সংবাদমাধ্যমে নির্মাতা ব্রাত্য বসু জানান, সুপ্রতিম সরকারের একটি বই পড়ে তার এই চরিত্রটা ভালো লেগেছিল। তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এখানে সিনেমা তৈরির অনেকগুলো উপাদান আছে।
আরও পড়ুন: 'টপ গান থ্রি' নির্মাণ হচ্ছে কি?
সিনেমাটিতে পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এছাড়াও অভিনয় করেছেন পৌলমী বসু, শ্রাবণী দাস, সৌমিক হালদার প্রমুখ।
‘হুব্বা’ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে মোশাররফ করিম বলেন, ‘দর্শকের প্রত্যাশা আরও বাড়বে। পূর্ণতা না পাওয়ার কারণই নেই। কারণ চরিত্রটিই অসাধারণ। এই চরিত্রের অনেক স্তর, তারপর মানসিক দিকগুলোতে অভিনয়, পরিশেষে সেই চরিত্রটি হয়ে ওঠা এবং গল্পটি যেভাবে বলা হয়েছে এসব কারণেই মনে হচ্ছে দর্শক নিরাশ হবেন না। গল্পটা যেভাবে বলা হয়েছে সেটা পূর্ণতা পাবেই।’
মোশাররফ আরও বলেন, ‘হুব্বা দুই বাংলার দর্শককে আকৃষ্ট করবে। তারা সিনেমাটি দেখে মজা পাবেন। আর নিজের কাজ নিয়ে আমি সব সময়ই আত্মবিশ্বাসী। কারণ ওই কাজটির সঙ্গে আমার সততা, শ্রম ও প্রত্যাশা মিশে থাকে।’
উল্লেখ্য, সাফটা চুক্তির অধীনে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘হুব্বা’। এটি আমদানি করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।
আরও পড়ুন: সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া: বুবলি
৬৯৭ দিন আগে
সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া: বুবলি
একসময় শাকিব খান ছাড়া বড়পর্দায় দেখা যেত না শবনম বুবলিকে। আর সেই চিত্রনায়িকা এখন ঢালিউডের অন্যতম ব্যস্ত তারকা।
ব্যক্তিগত বিভিন্ন চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যেও ক্যারিয়ারে অটল রয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালে আরও ভালোভাবে তার প্রমাণ দেন বুবলি।
বুবলির নতুন বছরটা শুরু হলো নতুন এক খবর দিয়ে। কলকাতার সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। নাম ‘ফ্ল্যাশব্যাক’।
আরও পড়ুন: শুটিংয়ে হবু বরের সঙ্গে পরিচয় মৌসুমীর
টলিউডের সিনেমা হলেও এর পরিচালক বাংলাদেশের রাশেদ রাহা ও গল্প লিখেছেন বাংলাদেশের খাইরুল বাশার নির্ঝর।
আর এতে আরও অভিনয় করবেন কৌশিক গাঙ্গুলি, সৌরভ দাস।
‘ফ্ল্যাশব্যাক’ সিনেমার কলকাতার অংশের কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি শুটিং হবে ডুয়ার্সে।
প্রথমবার টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ নিয়ে বুবলি গণমাধ্যমে বলেন, ‘টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এটা আমার প্রথম ছবি। এতে সহশিল্পী হিসেবে আছেন কৌশিক গাঙ্গুলি স্যার ও সৌরভ দাস দাদার মতো অভিনেতা। এমন একটি ছবিতে কাজের মাধ্যমে বছর শুরু হওয়া সৌভাগ্যের। সবকিছু মিলে মনে হচ্ছে বিশেষ কিছুই হতে যাচ্ছে। সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া।’
আরও পড়ুন: গাঁটছড়া বাঁধলেন অর্ষা-নূর
বুবলি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও এখানকার মধ্যে বড় মিল হলো ভাষাগত। যদিও আমাদের একই ভাষা কিন্তু দুই বাংলাতেই মিষ্টি-দুষ্টু একটা ভাব আছে। আর ভালোবাসাটা ভাগাভাগি হয়ে গেছে। বাংলাদেশ-কলকাতায় আমরা মিলেমিশে একাকার। ঢাকা থেকে কলকাতা আসতে ৩০-৪০ মিনিট লাগে। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে ব্যারিকেড, নিয়ম-কানুন, ভিসা- এতো কিছু না থেকে যদি অবাধ যাতায়াত হতো তাহলে মনে হয় আরও বেশি ভালো হতো। অবশ্য এটাতে কিছু করার নেই। কারণ, দেশের জায়গা থেকে মেইনটেইন করতে হয়। তবে দুই ইন্ডাস্ট্রির আবেগ ভালোবাসা শেয়ার হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ‘দেয়ালের দেশ’, ‘মায়া: দ্য লাভ’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’সহ এ বছরে মুক্তির অপেক্ষায় বুবলির বেশ কয়েকটি সিনেমা।
আরও পড়ুন: 'টপ গান থ্রি' নির্মাণ হচ্ছে কি?
৭০০ দিন আগে
'টপ গান থ্রি' নির্মাণ হচ্ছে কি?
বহুল আলোচিত ফিল্ম 'টপ গান'র পরবর্তী কিস্তির স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা প্যারামাউন্ট প্রজেক্টের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র।
টম ক্রুজ 'টপ গান'-এর তৃতীয় সংস্করণে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন।
চলচ্চিত্রটি এখনও নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে ২০২২ সালের ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ এবং ১৯৮৬ সালের মূল ‘টপ গান’ অনুসরণ করে একটি সিক্যুয়েলের জন্য চিন্তাভাবনা চলছে।
আরও পড়ুন: টুয়েলভথ ফেইলের মতো অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী ১০ সিনেমা
তবে সিএনএন জানায়, ছবিটির প্রযোজক- ক্রুজ, জেরি ব্রুকহেইমার ও পরিচালক জোসেফ কোসিনস্কিকে পুনরায় একত্রিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। যেহেতু ছবিটি ‘ম্যাভেরিক’ এর সিক্যুয়েল, ক্রুজের কনিষ্ঠ সহঅভিনেতা মাইলস টেলার ও গ্লেন পাওয়েলও ফিরে আসতে পারে।
সূত্রটি বলছে, এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ এর সহলেখক এহরেন ক্রুগার স্ক্রিপ্টের খসড়ার কাজ করছেন।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কোনো বিবৃতি দিতে রাজি হয়নি প্যারামাউন্ট। টম ক্রুজের প্রতিনিধিরা সিএনএনের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, 'টপ গান: ম্যাভেরিক'-এর ব্যাপক সাফল্যে বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছে এবং সেরা ছবি ও অভিযোজিত চিত্রনাট্যসহ ছয়টি অস্কার মনোনয়ন পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বলিউড স্টাইল আইকন হৃত্বিক রোশনের যে সিনেমাগুলো ২০২৪ সালে মুক্তির অপেক্ষায়
৭০২ দিন আগে
বলিউড স্টাইল আইকন হৃত্বিক রোশনের যে সিনেমাগুলো ২০২৪ সালে মুক্তির অপেক্ষায়
২০০০ সালে বাবা রাকেশ রোশনের মুভি ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ দিয়ে শুরু। এই অভিষেকেই নিজের জাত চিনিয়েছেন অভিনয় ও নাচে সমান পারদর্শী হৃত্বিক রোশন।
ক্রিশ মুভি সিরিজের পাশাপাশি ২০০৬-এর ধুম ২-এর মাধ্যমে সিনেমাপ্রেমীদের পাশাপাশি মন জয় করেছিলেন সমালোচকদেরও। ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের মধ্যে তিনি একজন। তার সর্বশেষ ব্লকবাস্টার ২০১৯-এর ‘ওয়ার’ তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ আয়কারী মুভি।
১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া এই হার্টথ্রব হিরো এবার তার জীবনের অর্ধশতক বসন্তে পদার্পণ করতে চলেছেন। এই উপলক্ষে চলুন, ২০২৪ সালে হৃত্বিক রোশনের নতুন মুভিগুলোর ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
৭০৫ দিন আগে
টুয়েলভথ ফেইলের মতো অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী ১০ সিনেমা
বর্তমান সময়ের সব থেকে সাড়া জাগানো ‘টুয়েলভথ ফেইল’ চলচ্চিত্রে মুগ্ধ দর্শকরা খুঁজে পাচ্ছেন থ্রি ইডিয়টের আমেজ। আর তা হবেই বা না কেন! প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে নির্মিত ছবিটির প্রযোজক হিসেবে থাকায় নির্মাতা বিধু বিনোদ চোপড়া খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন রাজকুমার হিরানীর কাজ।
তাই ভিন্ন পটভূমি নিয়ে কাজ করলেও তার পরতে পরতে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই যুক্ত হয়েছে উদ্দিষ্ট দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া উপাদানগুলো।
উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ক্যারিয়ারের প্রত্যাশায় যোগ্যতা নিরূপণের পরীক্ষাগুলোর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পাচ্ছেন নিজেদের জীবনের প্রতিচ্ছবি। কিন্তু ভাবাবেগগুলোর পরিধি শুধুমাত্র এই জনগোষ্ঠীতেই সীমাবদ্ধ নয়। পাহাড়সম বাধা থাকলেও যারা নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকে এমন প্রতিটি প্রাণের জন্য টুয়েলভথ ফেইল একটি অনুপ্রেরণা।
চলুন, জেনে নেই টুয়েলভথ ফেইলের মতো আরও ১০টি সিনেমার কথা, যেগুলো দেখিয়েছে শত কষ্টের মাঝেও বাধা ডিঙিয়ে স্বপ্নের পথে হাটার গল্প।
যে ১০টি চলচ্চিত্র টুয়েলভথ ফেইলের মতো লক্ষ্যে অবিচল থাকার প্রেরণা জোগাবে
কোডা/ইংরেজি/১৩ আগস্ট, ২০২১
বধির অভিভাবক বা বাবা-মায়ের সন্তানকে সিওডিএ বা কোডা বলা হয়ে থাকে। এমনই এক পরিবারের কাহিনী নিয়ে এই টিনেজ মুভিটি বানিয়েছেন সিয়ান হেডার। এটি মূলত ২০১৪ সালের ফরাসি-বেলজিয়ান ফিল্ম ‘লা ফ্যামিলে বেলিয়া’র ইংরেজি ভাষার রিমেক। অস্কার জয়ী কমেডি ড্রামাটিতে রুবি রসি চরিত্রে অসামান্য অবদান রাখার মধ্যে দিয়ে লাইমলাইটে আসেন অভিনেত্রী এমিলিয়া জোন্স।
আরও পড়ুন: একইদিনে বাংলাদেশের হলেও ‘ডাঙ্কি’?
চলচ্চিত্রে বাবা-মা ও দুই ভাইবোনের পরিবারে রুবি একমাত্র শ্রবণশক্তি সম্পন্ন সদস্য। পুরো পরিবারটি টিকে আছে মাছ ধরার ব্যবসার উপর। বাকি সবাই বধির হওয়াতে এক্ষেত্রে রুবিকেই সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হয়। আর এরই মধ্য দিয়ে সে এগোতে থাকে তার বহু দিনের লালিত গায়িকা হওয়ার স্বপ্নকে সত্য করার পথে।
দাসভি/হিন্দি/৭ এপ্রিল, ২০২২
জেলবন্দি রাজনীতিবিদ গঙ্গারাম চৌধুরীকে মূর্খ বলে হেয় করেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার জ্যোতি দেশাল। সকল দুর্নীতির ঊর্ধ্বে হওয়া জামিনের কোনো ব্যবস্থা করতে না পারলেও অহংকারী মন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষিত হয়ে দেখিয়ে দেবেন। অন্যদিকে, এই সুযোগে তার স্ত্রী চক্রান্ত করছে সরকার প্রধান হওয়ার।
এমনই মজার গল্প নিয়ে দাসভি সিনেমার মাধ্যমে পরিচালনা জগতে প্রবেশ করলেন তুষার জালোটা। এখানে সেই অশিক্ষিত রাজনীতিবিদের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিষেক বচ্চন। আর তারই হাই স্কুল ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার যাত্রা নিয়ে নির্মিত এই সামাজিক কমেডি ছবিটি। কঠোর পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় ছিলেন ইয়ামি। পুলিশ ও বন্দির সম্পর্কটা তিতো দিয়ে শুরু হলেও ক্রমেই তা পরিণত হয় পারস্পরিক শ্রদ্ধায়।
দ্য সুইমার্স/ইংরেজি/১১ নভেম্বর, ২০২২
এটি একটি জীবন-নির্ভর স্পোর্টস ড্রামা যার পরিচালনা করার পাশাপাশি জ্যাক থর্নের সঙ্গে যুগ্মভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন স্যালি এল হোসাইনি। চলচ্চিত্রটির গল্প সাঁতারু হতে চাওয়া দুই টিনেজ বোনকে নিয়ে, যাদের একমাত্র গন্তব্য ২০১৬-এর রিও অলিম্পিক। কিন্তু সিরিয়ার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত প্রেক্ষাপট তাদের এই যাত্রাকে পরিণত করে দুঃস্বপ্নে। যন্ত্রণাদায়ক পথে উদ্বাস্তুতে পরিণত হওয়া দুই বোনের একমাত্র অবলম্বন হৃদয় ভরা আশা আর সাঁতারের দক্ষতা।
চলচ্চিত্রের প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করা ন্যাথালি ইসা এবং মানাল ইসা বাস্তব জীবনেই দুই বোন। বিভিন্ন চড়াই উৎড়াইয়ের ঘটনার মাঝে তাদের পরিচয় হয় এক সুইমিং কোচ স্ভেনের সঙ্গে, যে চরিত্রে ছিলেন ম্যাথিয়াস শোয়েগফার।
মুল কাহিনী সুইমিং কেন্দ্রিক হলেও এখানে দৃশ্যায়িত হয়েছে কি করে হাজারও স্বপ্নবাজ মানুষ উন্নত জীবনের খোঁজে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে কষ্টকর জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়।
আরও পড়ুন: 'প্যারাসাইট' অভিনেতা লি সান-কিউন মারা গেছেন
দ্য ফেবলম্যানস/ইংরেজি/১১ নভেম্বর, ২০২২
যারা চলচ্চিত্র নির্মাণে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের কাছে স্টিভেন স্পিলবার্গ সবচেয়ে অনুসরণীয় একজন ব্যক্তিত্ব। পুরোপুরি না হলেও দ্যা ফেবলম্যান্স স্পিলবার্গের আধা-আত্মজীবনীমূলক সিনেমা বলা যেতে পারে, যা নির্মিত হয়েছে তার কৈশোরের বছরগুলোর আলোকে।
টিনেজ ড্রামাটি পরিচালনার পাশাপাশি টনি কুশনারের সঙ্গে রচনা ও প্রযোজনা করেছেন স্পিলবার্গ। চলচ্চিত্রটি একটি আধা-আত্মজীবনীমূলক গল্প যা স্পিলবার্গের কৈশোর এবং একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে প্রথম বছরগুলির উপর ভিত্তি করে।
মুভিতে নাম চরিত্র স্যামি ফেবেলম্যান একজন প্রতিশ্রুতিশীল চলচ্চিত্র নির্মাতা। আর এই দক্ষতা তাকে তার পরিবার ও চারপাশের মানুষদের সম্পর্কে রহস্য উদঘাটনে সাহায্য করে।
বায়োপিকটিতে স্যামির চরিত্রে অভিনয় করেছেন গ্যাব্রিয়েল লাবেল। সহশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন মিশেল উইলিয়ামস, পল ড্যানো, স্যাথ রোজেন এবং জুড হির্শ।
ডেভোশন/ ইংরেজি/২৩ নভেম্বর, ২০২২
এই জীবনীমূলক যুদ্ধের চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়েছে যা অ্যাডাম মাকোসের ২০১৫ সালের বই ‘ডেভোশন: অ্যান এপিক স্টোরি অব হিরোইজম, ফ্রেন্ডশিপ এবং স্যাক্রিফাইস’-এর উপর ভিত্তি করে। প্রেক্ষাপটটি ছিল কোরিয়ান যুদ্ধের সময়কাল। জেসি ব্রাউন এবং টম হাডনার ফাইটার পাইলট মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে মিশনে সফল হওয়ায় মার্কিন বিমান বাহিনীর বিখ্যাত উইংম্যান হয়ে ওঠেন। জেসি ব্রাউন ছিলেন প্রথম নিগ্রো বিমানচালক যিনি মার্কিন বিমান বাহিনীর উইঙ্স অফ গোল্ড খেতাব পেয়েছিলেন।
অ্যাকশন ছবিটি পরিচালনা করেছেন জে.ডি. ডিলার্ড এবং লিখেছেন জ্যাক ক্রেন ও জনাথান স্টুয়ার্ট। মুভিতে ব্রাউন চরিত্রে ছিলেন জনাথান মেজর্স এবং হাডনার চরিত্রে গ্লেন পাওয়েল।
চলচ্চিত্রটিতে ব্রাউনের অর্জনের পাশাপাশি গুরুত্ব পেয়েছে তার ও হাডনারের মাঝে বন্ধুত্ব এবং একই সঙ্গে ক্যারিয়ারের ব্যাপারে তাদের বস্তুনিষ্ঠ মতাদর্শগুলো।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ঢালিউডে মুক্তি পাবে যেসব বাংলা সিনেমা
৭০৬ দিন আগে
আলোড়ন সৃষ্টিকারী সিনেমা ‘টুয়েল্ভ্থ ফেইল’ হাজারও সংগ্রামী তরুণের জীবনের গল্প
নির্মাণাধীন তেমন একটা প্রতিশ্রুতিশীল না হলেও ২০২৩-এর ২৭ অক্টোবর মুক্তির পর থেকে অভাবনীয় সাড়া পেতে শুরু করে হিন্দি চলচ্চিত্র টুয়েল্ভ্থ ফেইল। বিধু বিনোদ চোপড়া প্রযোজিত, রচিত ও পরিচালিত এই সিনেমার জনপ্রিয়তা সমালোচক ও দর্শকদের নজরে এখন অন্য সব বলিউড চলচ্চিত্র থেকে এগিয়ে।
এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির আয় এর নির্মাণ খরচের তিন গুণেরও বেশি। স্বাধীন চলচ্চিত্র হিসেবে প্রতিযোগিতার জন্য ইতোমধ্যে অস্কারেও দেওয়া হয়েছে বায়োগ্রাফি ফিল্মটি। নতুন মুখ নিয়ে কীভাবে সিনেমাটি এত আলোড়ন সৃষ্টি করল, চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
টুয়েল্ভ্থ ফেইল-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলো
সত্য কাহিনিনির্ভর ছবিটিতে দর্শকদের ভালোবাসার মধ্যমণি ছিল প্রধান চরিত্র মনজ কুমার শর্মা। যেটিকে অসামান্য দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন উদীয়মান অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি। তার মাঝেই তরুণ সিনেমাপ্রেমীরা খুঁজে পেয়েছেন জীবিকা ও স্বপ্নের পেছনে ছোটা একজন সংগ্রামী মনজকে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের জাঁতাকলে প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবী যুবকদের পিষ্ট হওয়াটা মোটেই নতুন কোনো ঘটনা নয়। বরং আটার মিলে মেশিন ঘরে থেকে পড়াশোনা করার দৃশ্য প্রতিনিধিত্ব করেছে নাম না জানা অনেক কিংবদন্তির।
প্রতিটি ব্যাচেলর জীবনে প্রেরণার মূর্ত প্রতীক হচ্ছে গৌরি ভাইয়া চরিত্রটি, উৎকৃষ্টভাবে যার সুবিচার করেছেন আংশুমান পুষ্কার। পৃথিবীতে উৎসাহ দেওয়া যেসব মানুষ কদাচিৎ মেলে, এই গৌরি ভাইয়া হচ্ছে সেই শ্রেণির। নিজের জীবনে অর্জন বলতে কিছু না থাকলেও কোনো এক বিমূর্ত লক্ষ্যকে বুকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকে এরা। শুধু কী তাই, ‘একবার না পারিলে দেখ শতবার’ কালীপ্রসন্ন ঘোষের এই বিখ্যাত লাইনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই ‘ছা পোষা’ লোকগুলো। পুরো সিনেমার ট্যাগ লাইন হয়ে আছে এই চরিত্রের ‘রিস্টার্ট’ ফিলোসফি, যা বুলি হয়ে বেড়াচ্ছে টুয়েল্ভ্থ ফেইল ভক্তদের মুখে মুখে।
আরো পড়ুন: ধুম ৪-এ শাহরুখ খান: ঘটনা না কি রটনা?
এরপরেই বলতে হয় প্রিতম পান্ডের কথা, যেটি এমন কিছু বন্ধুকে চিত্রায়িত করেছে যারা না থাকলে গল্পটা হয়ত শূন্যতেই রয়ে যেত। প্রতিটি সফলতার পেছনে এরকম কিছু মানুষের ভূমিকা থাকে। যাদের ভাগ্য সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় এনে দেয়। এদের কারণেই ইউপিএসসি(ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন)-এর ইউ-এর মানে না জানা গেঁয়ো ভূতটিও এক সময় আইপিএস(ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস) অফিসারে পরিণত হয়। শুধু এই চরিত্রকে চিত্রায়নই নয়, অনন্ত ভি জোশীর ধারা বিবরণীতে জীবন্ত হয়ে ছিল মুভির প্রতিটি মুহূর্ত।
পুরো চিত্রনাট্যে সযত্নে বোনা নকশার মতো প্রতীয়মান হয়েছে শ্রদ্ধা জোশী চরিত্রটি। বাস্তবের শ্রদ্ধাকে যথাযথ মাধুর্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন মেধা শঙ্কর। প্রধান সহ-শিল্পীর এই ভূমিকাটি তাকে প্রথমবারের মতো লাইমলাইটে আসতে সাহায্য করেছে। চরিত্রটির সবচেয়ে বড় দিক হলো- এটি জীবনের একটি পরস্পরবিরোধী দাবিকে উপযুক্ত উপসংহার দিয়েছে। তা হলো- প্রিয় মানুষগুলো কখনও অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার পথে অন্তরায় নয়। বরং উদ্দীষ্ট পথে এগোতে যেয়ে হোঁচট খেলে তাদের কথা ভেবেই আবার উঠে দাঁড়ানোর শক্তি আসে।
সবশেষে ডিএসপি (ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ) দুষ্মন্ত সিংয়ের কথা না বললেই নয়। প্রিয়াংশু চ্যাটার্জি অভিনীত এই চরিত্রটি সেই সব কারিগরদের কথা বলেছে, যারা অবচেতনে জন্ম দিতে পারে যুগান্তকারী নেতৃত্বের। তার ছোট দুটো শব্দ ‘স্টপ চিটিং’-ই যথেষ্ট ছিল- মনজের মাঝে থাকা সমাজ পাল্টানোর বীজকে মহীরুহে রূপদান করার জন্য।
আরো পড়ুন: ২০২৪ সালে ঢালিউডে মুক্তি পাবে যেসব বাংলা সিনেমা
৭০৯ দিন আগে
২০২৪ সালের সিনেমায় সম্ভাবনাময় উপস্থিতি
বাংলা সিনেমার এক নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয় ২০২৩ সালে। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ আরও আড়ম্বরপূর্ণ হবে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি। সংশ্লিষ্টদের ধারণা অনেকটা এমনই।
শাকিব খানের ৩ সিনেমা, ওয়েব ফিল্মের দৌরাত্ম্য, বিগ বাজেট নিয়ে সিনেমার ঘোষণা- এসবকিছুই ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিবে।
কিন্তু সব আলোচনার কেন্দ্র করে যেকজন তারকার নাম উঠে আসে সেগুলো নিতান্ত খুব বেশি এমনটা বলা চলে না।
বাংলা সিনেমায় নতুন মুখের উথান নিয়ে সংকট অনেকদিন ধরেই চলছে। ২০২৩ সালে যে এটি খুব বেশি উতরে গেছে তাও নয়। তবে আশার কথা হচ্ছে- ২০২৪ সালে যাদের নিয়ে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তারা গত বছর বিভিন্ন সময় আলোচনায় ছিলেন।
এবিএম সুমন
বেশ কয়েক বছর ধরে বড়পর্দায় প্রায় নিয়মিত বলা চলে এবিএম সুমনকে। তবে ২০২৩ সালে ‘এমআর নাইন’ দিয়ে তার ক্যারিয়ারের নতুন টার্নিং পয়েন্ট শুরু হয়। আর এর মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিষেক হলো তার। তাই ২০২৪ তার জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জের বছর। একইসঙ্গে সম্ভাবনাও রয়েছে তাকে ঘিরে।
এরই মধ্যে মুক্তির তালিকায় সম্প্রতি যোগ হয়েছে ওয়েবফিল্ম ‘বুকিং’। মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত এতে সুমন জুটি বেঁধেছেন পরীমণির সঙ্গে। এছাড়াও দীপঙ্কর দীপন পরিচালিত ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ সিনেমায় দেখা যাবে এই নায়ককে।
সৌম্য জ্যোতি
খুব অল্প সময়ে ছোটপর্দায় নজর কেড়েছেন অভিনেতা সৌম্য জ্যোতি। অভিনয়ের মুন্সিয়ানা দিয়ে দর্শকদের মনে তার জায়গা এরই মধ্যে পাকাপোক্ত। ছোটপর্দা বা ওটিটির পাশাপাশি তার ব্যস্ততা এখন বড়পর্দায়।
২০২৩ সালে সেই সম্ভাবনার বীজ তিনি বুনেছেন ‘দুঃসাহসী খোকা’ দিয়ে। এতে তিনি বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেন। যদিও এর আগেই বড়পর্দায় তার অভিষেক হয়। কিন্তু এই সিনেমা দিয়ে প্রথমবার সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায় সৌম্যকে।
২০২৪ এ সৌম্যর দুটি সিনেমার এখন পর্যন্ত মুক্তির তালিকায় রয়েছে। সেগুলো ‘নকশী কাঁথার জমিন’ ও ‘দাওয়াল’। এর মধ্যে আকরাম খান পরিচালিত ‘নকশী কাঁথার জমিন’ সিনেমাটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।
অন্যদিকে পিকলু চৌধুরী পরিচালিত ‘দাওয়াল’ সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা চলতি মাসেই। আর এতেও বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌম্য।
মন্দিরা চক্রবর্তী
ঢালিউডে নায়িকাদের বর্তমান অবস্থা অতিথি পাখির মতো। দুই-একজন ছাড়া সারা বছর সিনেমা নিয়ে ব্যস্ততা তাদের খানিকটা কম। এর মধ্যে নতুন কয়েকজন নায়িকা এলেও তাদের নিয়ে আলোচনাটা একটি গন্ডিতেই থেকে যায়।
তাদের মধ্যে যে নামগুলো কানে প্রায় আসে তাদের একজন মন্দিরা চক্রবর্তী। গত বছর গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’র মধ্যে দিয়ে অভিষেক হয় তার। এ বছর সেটি মুক্তি পাবে। তবে এর আগেই আরিফিন শুভর সঙ্গে ‘নীলচক্র’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে নতুন আলোচনায় এলেন তিনি। দুটি সিনেমাই মুক্তি পাবে ২০২৪ সালে। তবে দেখার বিষয় এই সম্ভাবনা তাকে শেষ পর্যন্ত কোথায় নিয়ে যায়।
সাদিয়া নাবিলা
‘ব্ল্যাক ওয়ার’ সিনেমায় নারী পুলিশ কর্মকর্তা ইরা চরিত্রে অভিনয় করে ২০২৩ সালে বেশ সাড়া জাগিয়েছেন সাদিয়া নাবিলা। যদিও বড়পর্দায় তার অভিষেক আরো আগে। তবে অ্যাকশনধর্মী এই সিনেমায় সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের মেধা ও মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, ২০২৪ সালেও নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হবেন এই নায়িকা। যদিও সেটি এখনও অঘোষিত। তবে ঢালিউডে তার যে জনপ্রিয়তা তৈরি ২০২৪ এ নতুন এক সম্ভাবনা রয়েছে তাকে ঘিরে।
সায়মা স্মৃতি
২০২৩ সালে আরিফুর জামান আরিফ পরিচালিত ‘যন্ত্রণা’ সিনেমা দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় সায়মা স্মৃতির। প্রথম সিনেমা দিয়েই নজর কেড়েছেন তিনি। এরপর ব্যস্ততাটা সিনেমাটি নিয়েই। শুধু তাই নয় ২০২৪ সালে এরইমধ্যে নায়িকার একাধিক সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায় সেগুলো হলো ‘জল কিরণ’, ‘জলরং’ এবং ‘সংযোগ’।
৭০৯ দিন আগে
ধুম ৪-এ শাহরুখ খান: ঘটনা না কি রটনা?
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় মুভি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা মুভি সিরিজটির নাম ‘ধুম’। এরই নতুন কিস্তি তথা ধুম ৪ নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে হৈচৈ।
প্রধান ভূমিকায় কারা ফিরছেন আর নতুন কারা আসছেন তা নিয়ে হাজারও জল্পনা-কল্পনা ভক্তদের মাঝে। সেগুলোর মধ্যে সম্প্রতি ধুম ৪-এ এসআরকে (শাহরুখ খান) এর অভিনয়ের বিষয়টি বিতর্কের ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।
চলুন, খবরটির সত্যতা যাচাই করে নেওয়া যাক।
ধুম: এক সফল ফ্র্যাঞ্চাইজির উপাখ্যান
সহকারী পুলিশ কমিশনার জয় দীক্ষিত এবং তার সহযোগী আলি আকবর ফতেহ খান বিশ্বের সবচেয়ে ধূর্ত চোরকে ধরাশায়ী করতে জড়িয়ে পড়তে থাকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে। এমনই পটভূমি নিয়ে ধুম চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডের ‘বাডি কপ’ জনরাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন নির্মাতা আদিত্য চোপড়া।
আরও পড়ুন: একইদিনে বাংলাদেশের হলেও ‘ডাঙ্কি’?
বক্স অফিস আয়ের দিক থেকে এটি তৃতীয় বৃহত্তম বলিউড ফিল্ম ফ্র্যাঞ্চাইজি। এখন পর্যন্ত ট্রিলজিটির প্রতিটিতেই খলনায়কের চরিত্রগুলো জনপ্রিয়তায় ছাড়িয়ে গেছে নায়কদেরকে। কখনো ব্যাংক ডাকাতি কখনো বা অমূল্য শিল্পকর্ম চুরি; এমনই অন্ধকার জগতকে জড়িয়ে দেখানো হয়েছে নতুন নতুন গল্প।
সবগুলোতে অভিষেক বচ্চন এবং উদয় চোপড়া যথাক্রমে জয় ও আলি আকবরের ভূমিকায় অপরিবর্তিত ছিলেন। কিন্তু চোরের চরিত্রগুলোতে প্রতিবারই অংশ নিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন খ্যাতিমান তারকারা।
প্রথম ছবিতে জন আব্রাহামের সঙ্গে সহ-খলনায়িকা হিসেবে ছিলেন এশা দেওল। দ্বিতীয়টিতে ছিলেন ঋত্মিক রোশান ও ঐশ্বরিয়া রাই। আর সর্বশেষটাতে ছিলেন শুধু আমির খান।
প্রথম দুই কিস্তির পরিচালক ছিলেন সঞ্জয় গাধবি, যেগুলো মুক্তি পেয়েছিল ২০০৪ ও ২০০৬-এ। তবে সর্বশেষেরটিতে পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ধুমের সবগুলো কিস্তির চিত্রনাট্যকার ভিজয় কৃষ্ণ আচার্য। ধুম নিয়ে যশ রাজ ফিল্মসের তৃতীয় প্রজেক্টটি প্রেক্ষাগৃহে এসেছিল ২০১৩ সালে।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
৭১৫ দিন আগে