বৈদেশিক-সম্পর্ক
সামাজিক ব্যবসায়ের পথিকৃত হিসেবে ইউকেএম থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন অধ্যাপক ইউনূস
সামাজিক ব্যবসায় অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে মালয়েশিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউকেএম)।
বুধবার (১৩ আগস্ট) কুয়ালালামপুরে ইউকেএমের মিলনায়তনে আয়োজিত এক আনন্দঘন পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের কাছ থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রির সনদ গ্রহণ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
ডিগ্রি গ্রহণের পর বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এ এক বিশাল সম্মান এবং চমৎকার এক অনুষ্ঠান।’ তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং আরো বলিষ্ঠ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
১২৪ দিন আগে
‘হালাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ স্থাপনে মালয়েশিয়ার সহায়তা চাইল সরকার
দ্রুত বিস্তার লাভ করতে থাকা বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজারে প্রবেশের লক্ষ্যে ‘হালাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ গড়ে তুলতে মালয়েশিয়ার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার হালাল শিল্প খাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই আবেদন জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘চলুন, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিই।’
মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের হালাল-বিষয়ক সমন্বয়ক দাতিন পদুকা হাজাহ হাকিমাহ বিনতি মোহাম্মদ ইউসুফ।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার ইসলামী উন্নয়ন বিভাগের (জেএকেআইএম) মহাপরিচালক সিরাজউদ্দিন বিন সুহাইমি এবং হালাল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের (এইচডিসি) প্রধান নির্বাহী হাইরল আরিফেইন সাহারি।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য দরজা আরও প্রশস্ত করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়, বর্তমানে বিশ্বের হালাল পণ্যের বাজারমূল্য ৩ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। অন্তত ১৪টি হালাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের মাধ্যমে এই বিরাট বৈশ্বিক বাজারের উল্লেখযোগ্য অংশীদার মালয়েশিয়া। এ খাতের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আজ বুধবার জানান, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অবকাঠামো ও সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পারলে এই বাজারে যুক্ত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশই একমাত্র সংস্থা যারা হালাল পণ্যের আনুষ্ঠানিক সনদ প্রদানের জন্য অনুমোদিত। এখন পর্যন্ত মাত্র ১২৪টি প্রতিষ্ঠান এ সনদ পেয়েছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে হালাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করতে সহায়তার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘হালাল পণ্যের শিল্প গড়ে তোলার জন্য কী কী দরকার, আমরা একসঙ্গে বসে তা নির্ধারণ করতে পারি।’ অনেক বাংলাদেশি কোম্পানি হালাল সার্টিফাইড পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক ইউনুস বৈঠকটিকে মূল্যবান শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘আপনাদের তথ্যের জন্য ধন্যবাদ। এটি যেন হালাল পণ্যের ওপর একটি ক্লাস।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
এর আগে, গতকালই হালাল ইকোসিস্টেম গড়ে তোলায় সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া একটি সহযোগিতা নোট বিনিময় করে, কর্মকর্তারা যেটিকে ‘হালাল কূটনীতি’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
সিরাজউদ্দিন বিন সুহাইমি জানান, স্থানীয় চাহিদা মূল্যায়নের জন্য মালয়েশিয়া শিগগিরই একটি দল বাংলাদেশে পাঠাবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লতফি সিদ্দিকী এবং এসডিজি বিষয়ক জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোরশেদ।
১২৪ দিন আগে
৫জি চালু ও ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগে আক্সিয়াটাকে ড. ইউনূসের আহ্বান
মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানি আক্সিয়াটাকে বাংলাদেশে ৫জি সেবা চালু করতে এবং দেশের ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট অপরিহার্য এবং বিশ্বব্যাপী কোম্পানিগুলোকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে অংশগ্রহণে আগ্রহী করতে হবে।
তিনি জানান, শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটরদের জন্য ব্যবসায়িক সুযোগ বৃদ্ধিতে অন্তর্বর্তী সরকার লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সহজতর করছে।
রবি সেলুলার অপারেটরের প্রধান শেয়ারহোল্ডার ও আক্সিয়াটা গ্রুপের সিইও বিবেক সুদ জানান, রবি গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে প্রায় ২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং ৫জি সেবা চালুর জন্য আগ্রহী। তবে পূর্ণ ৫জি বাস্তবায়নের জন্য দেশের ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ জরুরি।
তিনি ব্যয়বহুল স্পেকট্রাম ফি ও জটিল লাইসেন্সিং প্রক্রিয়াকে বিদেশি বিনিয়োগে বাধা হিসেবে উল্লেখ করেন। এছাড়া আক্সিয়াটা ডেটা সেন্টারে যৌথ বিনিয়োগেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
পড়ুন: মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বেসরকারি খাত ও নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রয়োজন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একে অপরকে কাছে আনা এবং বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা।
অনুষ্ঠানে আক্সিয়াটা গ্রুপের চেয়ারম্যান শারিল রিদজা রিদজুয়ান নেতৃত্ব দেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।
সঙ্গে ছিলেন আক্সিয়াটা গ্রুপের প্রধান নিয়ন্ত্রক ফুং চি কিয়ং ও প্রধান ব্যবসা ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা থমাস হুন্ড্ট।
১২৫ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ১৫ শতাংশে নামানোর চেষ্টা চলছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে শুল্ক কমানোর জন্য সরকারের সব মহল থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা এখনো চলছে এবং চূড়ান্ত চুক্তির আগে শুল্ক কমানো হতে পারে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কারণে শুল্ক কমতে পারে, তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় কারণ শুল্ক আরোপকারী পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের উপর বিষয়টি নির্ভর করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তির নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখনও পাওয়া যায়নি।
পড়ুন: সবে তো শুরু, আরও দেখতে পাবেন: শুল্কারোপ নিয়ে ট্রাম্প
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ ঘোষণার পরও এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। এ মাসের শেষে চুক্তি হতে পারে বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) চুক্তির খসড়া তৈরি করছে।
বাজারে পেয়াজের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আমদানি করা হবে কিনা এবং ভারত থেকে আমদানি হবে কিনা—এসব প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে এবার পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। শুধুমাত্র ভারত থেকেই নয়, ব্যবসায়ীরা যেখান থেকে আমদানি করতে চান সেখান থেকেই অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য পেঁয়াজের দাম কমানো ও সরবরাহ বৃদ্ধি করা। এজন্য যেখান থেকে কম দামে পাওয়া যাবে সেখান থেকেই পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) আব্দুর রহিম খান, অতিরিক্ত সচিব (ডাব্লিউটিও) ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী এবং বিকেএমই এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।
১২৫ দিন আগে
মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত ব্যবসার জন্য বাজার খুলছে এবং এখানে বাজার সম্প্রসারণ ও বর্ধিত ব্যবসায়িক সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আসুন, নিজ চোখে দেখুন… আমি আপনাদের বাংলাদেশে স্বাগত জানাই।’
প্রফেসর ইউনূস আরও জানান, বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় দেশ যেখানে অধিকাংশ জনসংখ্যাই তরুণ এবং তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা সীমাহীন। অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং দেশের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা এখনো পূর্ণরূপে কাজে লাগানো হয়নি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা তরুণ ও সৃজনশীল মানুষ রয়েছেন। বাংলাদেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবসায়বান্ধব হওয়ার চেষ্টা করছে… আমি বাংলাদেশে সীমাহীন পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখেছি।’
ড. ইউনূস মালয়েশিয়ান বিনিয়োগকারীদের তরুণ বাংলাদেশি প্রবাসীদের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রবাসী তরুণরা সবসময় বাংলাদেশের জন্য কিছু করার তৃষ্ণায় উদ্বুদ্ধ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বাংলাদেশের বিনিয়োগের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাসমূহ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের শুল্ক ও অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের প্রচেষ্টা উপস্থাপন করেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে রবি সেলুলার অপারেটরের প্রধান শেয়ারহোল্ডার ও অ্যাক্সিয়াটা গ্রুপের সিইও বিবেক সুদ ২৮ বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করা সফল অংশীদারিত্ব তুলে ধরেন।
পড়ুন: জ্বালানি, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার ৫ সমঝোতা স্মারক ও ৩ নোট বিনিময়
১২৫ দিন আগে
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য দরজা আরও প্রশস্ত করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার দরজা খোলা রাখার পাশাপাশি তা আরও প্রশস্ত করতে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক, পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই ও তিনটি নোট আদান–প্রদানের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অতীতে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের শ্রমিকদের আন্তরিকভাবে অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আশা করি, এই দরজা খোলা থাকবে এবং আরও প্রশস্ত হবে, যাতে আরও বেশি তরুণ এখানে এসে কাজ করতে ও অনেক কিছু শিখতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় গিয়ে অনেক কিছু শিখে দেশে ফিরে নিজ ব্যবসা শুরু করেন, নিজের অর্থনৈতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যান। এজন্য আমরা মালয়েশিয়ার কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, বিশেষত যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক এখানে কাজ করছেন তাঁদের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকরা তাঁদের আয় দেশে পাঠান, যা তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের জীবনে স্থায়িত্ব এনে দেয়, সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে সহায়তা করে এবং ভালো শিক্ষা নিশ্চিত করে।’
‘এরা বহিরাগত কর্মী নয়—তাঁদের কাজ করতে দেওয়া উচিত। তারা এখানে কাজ করতে পেরে খুবই খুশি,’ যোগ করেন তিনি।
প্রফেসর ইউনূস আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ান উদ্যোক্তাদের বিশাল সুযোগ রয়েছে। আমরা মালয়েশিয়া থেকে বিনিয়োগ চাই। আমাদের আছে মানবসম্পদ ও প্রযুক্তি, যা আমরা অফার করতে পারি। মালয়েশিয়া চাইলে বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন করে সারা বিশ্বে বিক্রি করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এটাই আমরা চাই—বাংলাদেশে আর্থিক ও বিনিয়োগ–সংক্রান্ত সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হোক, যাতে আমাদের অর্থনীতি টেকসই ও উচ্চ প্রবৃদ্ধির পর্যায়ে পৌঁছায়।’
তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়ার সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও বহুপাক্ষিক ইস্যুতেও একযোগে কাজ করার ব্যাপারে কথা হয়েছে; ‘মালয়েশিয়ার জনগণের সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশে শৃঙ্খলা ও অর্থনীতি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করেছে; প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করেছে। এখন আমরা নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।’
তিনি জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যাতে নতুন সরকার গঠিত হয় এবং দেশ স্বাভাবিক পথে চলে। ‘এক্ষেত্রে আমরা মালয়েশিয়ার সহযোগিতায় সর্বদা ভরসা রাখি,’ যোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম প্রফেসর ইউনূসের অবদানকে প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় অসাধারণ অগ্রগতি রেখেছেন এবং এখন বিনিয়োগ, বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষা খাতে আমাদের সম্পর্ক আরও জোরদার করছেন।’
তিনি আরও জানান, দুই মন্ত্রী—স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ—মাল্টিপল–এন্ট্রি ভিসা সুবিধায় একমত হয়েছেন, যাতে শ্রমিকরা পরিবারের কাছে যেতে ও কাজে নিরাপত্তায় থাকতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, বিশেষত শ্রমিকদের জন্য যারা আটকা পড়েছেন।’
ইতিমধ্যে, গত বছরের অক্টোবরে তাঁর প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসে বাংলাদেশের শান্তি, অগ্রগতি ও উন্নয়নের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছিল বলে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
১২৫ দিন আগে
জ্বালানি, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার ৫ সমঝোতা স্মারক ও ৩ নোট বিনিময়
জ্বালানি, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই এবং তিনটি ‘নোট অব এক্সচেঞ্জ’ বিনিময় করেছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় এ নোট বিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সমঝোতা স্মারক সই ও নোট বিনিময়ের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উচ্চশিক্ষা খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রথম নোট বিনিময় হয়। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উতামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান এবং বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল নিজ নিজ দেশের পক্ষে নোট বিনিময় করেন।
দ্বিতীয় নোটটি ছিল কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ-সংক্রান্ত, যা বিনিময় করেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
হালাল ইকোসিস্টেম খাতে সহযোগিতার বিষয়ে তৃতীয় নোট বিনিময় হয়। এটি বিনিময় হয় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের উপমন্ত্রী সিনেটর ড. জুলকিফলি বিন হাসান এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের মধ্যে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক
প্রথম সমঝোতা স্মারকটি ছিল প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে। তাতে সই করেন মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ খালেদ বিন নর্দিন এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
১২৫ দিন আগে
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক
মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার সকালে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা ঢাকা-কুয়ালালামপুরের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপগুলো চিহ্নিত করেন এবং বিভিন্ন খাতে অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।
সীমিত পরিসরের এবং প্রতিনিধি পর্যায়ের উভয় বৈঠকেই তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম, শিক্ষা এবং পর্যটন খাত নিয়ে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুর মতো পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ও আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন: কুয়ালালামপুরে ড. ইউনূস: মঙ্গলবার আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক
পরে সমঝোতা স্মারক সই ও ‘নোট অব এক্সচেঞ্জ’ বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে দুই নেতার। এরপর তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন।
১২৫ দিন আগে
মঙ্গলবার থেকে ঢাকায় তিন দিনের সফরে আসছে ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল
ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক নেতা ও সিভিল সোসাইটির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল আগামী মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) থেকে ঢাকায় তিন দিনের সফর শুরু করবে। সফরের মূল লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সংলাপ জোরদার করা।
ফ্রিডরিশ নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডমের (এফএনএফ) দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের আয়োজনে এই সফরে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিসহ আঞ্চলিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এফএনএফ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. কার্স্টেন ক্লেইন বলেন, “এই সফরের উদ্দেশ্য হলো ইউরোপ, বিশেষ করে জার্মানির সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার গতিশীল প্রবৃদ্ধি অঞ্চলের সম্পর্ক জোরদার করা এবং পারস্পরিক শেখার সুযোগ সৃষ্টি করা।”
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন জার্মান বুন্ডেসটাগ সদস্য সান্দ্রা ওয়েজার, বুন্ডেসটাগ প্রতিরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ড. মার্কুস ফাবার, লিবারেল ইন্টারন্যাশনালের ডয়চে গ্রুপের সভাপতি ড. জুর্গেন মার্টেন্সসহ জার্মান রাজনীতি, অর্থনীতি ও সিভিল সোসাইটির অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
ঢাকায় অবস্থানকালে তারা বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং নেটজ বাংলাদেশ, গ্যোথে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, বিমস্টেক সচিবালয় ও বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিজিসিসিআই) সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন।
সফরের অংশ হিসেবে তারা সাভারের একটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করবেন, যেখানে শ্রম অধিকার, শিল্প সরবরাহ শৃঙ্খল এবং দক্ষ শ্রমিক অভিবাসনের ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা নেবেন।
এছাড়া তারা আঞ্চলিক নিরাপত্তা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নীতি সংস্কার নিয়ে খ্যাতনামা অর্থনৈতিক ও গণমাধ্যম বিশ্লেষকদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবেন।
দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি ও আঞ্চলিক রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংযোগ ও বঙ্গোপসাগর নিরাপত্তায় একটি কৌশলগত কেন্দ্র। বিমস্টেকসহ বিভিন্ন সংস্থার আতিথেয়তা প্রদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, জলবায়ু পরিবর্তন, দক্ষ শ্রমিক অভিবাসন ও বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত।
এফএনএফ নিয়মিত এই ধরনের স্টাডি ট্যুর আয়োজন করে, যার লক্ষ্য উদার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
দক্ষিণ এশিয়া প্রায় দুইশ’ কোটি মানুষের আবাসস্থল হওয়ায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইউরোপের জন্য ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
১২৬ দিন আগে
কুয়ালালামপুরে ড. ইউনূস: মঙ্গলবার আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক
তিন দিনের সরকারি সফরে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্থানীয় সময় সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি দেশটিতে পা রাখেন।
মঙ্গলবার সকালে পুত্রজায়া কমপ্লেক্সে একটি আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন ড. ইউনূস। এরপর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে ব্যক্তিগত ও প্রতিনিধি স্তরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে অগ্রগতি পর্যালোচনা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে।
এরআগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম প্রধান উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন। জাতীয় সংগীতের পরিবেশনের মধ্য দিয়ে গার্ড অব অনার পরিদর্শন করবেন অধ্যাপক ইউনূস।
পড়ুন: মালয়েশিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার সফর গুরুত্বপূর্ণ ও কর্মমুখর হবে: প্রেস সচিব
ব্যক্তিগত ও প্রতিনিধি স্তরের বৈঠকে মালয়েশিয়ায় নতুন বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ, আরও পেশাজীবী নিয়োগ, কর্মীদের সুবিধা ও অধিকার নিশ্চিতকরণের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হবে বলে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম গতিশীল অর্থনীতি মালয়েশিয়া প্রধান উপদেষ্টাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে। এরআগে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীরা বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সোমবার দুপুর ২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন।
কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের বুংগা রায় ভিভিআইপি কমপ্লেক্সে মালয়েশিয়ার চিফ অব প্রোটোকল স্বাগত জানান। পরে মালয়েশিয়ার গৃহমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশান বিন ইসমাইল প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
১২৬ দিন আগে