বৈদেশিক-সম্পর্ক
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুবকের তথ্য চেয়ে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা এফবিআইয়ের
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুহেল চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
নিউ ইয়র্কের কুইন্সের হোলিস, কুইন্স ভিলেজ এবং জ্যামাইকা অঞ্চলের সঙ্গে রুহেলের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি নিজের ব্যবহৃত গাড়ি পরিবহন ও বিক্রি করতে পারেন বলে জানিয়েছে এফবিআই।
রুহেল চৌধুরী ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ এবং ২০২৩ সালের ১১ মে নিউইয়র্কের কুইন্সে দুটি অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সশস্ত্র বিক্ষোভ সম্পর্কে সতর্ক করল এফবিআই
তিনি এবং অন্যরা ভুক্তভোগীদের রাস্তা থেকে অপহরণ করেছিলেন এবং তারপরে তাদের ছিনতাই, নির্যাতন এবং তাদেরকে মাদক সেবন করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
একজন ভুক্তভোগীকে মুক্তিপণের জন্য আটক করা হয়েছিল এবং যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল।
অপহরণের সময় রুহেল ভুক্তভোগীদের আটক করে কুইন্সের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত গাড়ি সরবরাহ ও চালিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি ভুক্তভোগীদের মারধর ও হুমকিও দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রুহেলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা ব্রুকলিনর আদালতে অভিযুক্ত করা হয়। দুটি অপহরণ এবং অপহরণের ষড়যন্ত্রের জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এফবিআই।
আরও পড়ুন: ফেডেক্স শুটারকে গত বছর জেরা করেছিল এফবিআই
ইসরায়েলি আগ্রাসন বিষয়ক ওআইসির বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ৫ মার্চ জেদ্দায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের বিশেষ বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সৌদি আরবের জেদ্দায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, বৈঠকে যোগ দিতে তুরস্ক থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জেদ্দা যাবেন।
১-৩ মার্চ তুরস্কে অনুষ্ঠিত আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরামে অংশগ্রহণকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক সংলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বর্ণনা করেন।
ফোরামে হাছান মাহমুদ গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জাতিগত নিধনের জন্য ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
ওআইসি সদর দপ্তর জানিয়েছে,ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা ওআইসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) খসড়া এজেন্ডা এবং কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা ও গ্রহণ এবং খসড়া রেজুলেশনটি বিবেচনার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিলে জমা দেবেন।
গত বছরের নভেম্বরে সৌদি আরব রিয়াদে ওআইসি ও আরব রাষ্ট্রসমূহের লীগ যৌথভাবে আয়োজিত বিশেষ যৌথ আরব ও ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ১৭ মার্চ ঢাকায় আসছেন আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য, কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাইমন কোভেনি
সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সফরের জন্য সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন বন্ধে অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বছরের ১৮ অক্টোবর ওআইসির সদর দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি উন্মুক্ত নির্বাহী কমিটির বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাছান মাহমুদ গাজায় সহিংসতা ও নৃশংসতা বন্ধে পর্যাপ্ত বৈশ্বিক পদক্ষেপের অভাবের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে তা স্রেফ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। শুধু মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়, জাতিগত নিধন চলছে।’ এই সংঘাতে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিমস্টেকের পাঁচ দিনব্যাপী ফ্যাকাল্টি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম উদ্বোধন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা এই 'যুদ্ধ ও গণহত্যা' বন্ধে যথেষ্ট প্রচেষ্টা দেখছেন না এবং ইসরায়েল যুদ্ধের সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করছে।
তুরস্কে অনুষ্ঠিত ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন হাছান মাহমুদ। এসব নৃশংসতা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সমবেত বিশ্ব সম্প্রদায়কে ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ভিডিও সাক্ষাৎকারে তাকে বলতে শোনা যায়, 'আমি মনে করি, গাজায় এসব নৃশংসতা, জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে এবং ইসরায়েলকে থামাতে আমরা আমাদের ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে পারি।’
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের পৃষ্ঠপোষকতায় ফোরামটির বৈঠক ৩ মার্চ শেষ হয়।
'অ্যাডভান্সিং ডিপ্লোম্যাসি ইন টাইমস অব টার্ময়েল’ শীর্ষক এবারের আয়োজনে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তুরস্কের স্থানীয় সময় রবিবার আনতালিয়ায় কূটনৈতিক ফোরামের তৃতীয় দিনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় হাকান ফিদানকে এ প্রস্তাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি কৃষক ও বিশেষজ্ঞরা তুরস্কে মৌসুমি চাষ করবেন এবং ফলনের পর বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।’
তুরস্ক বিষয়টি পরীক্ষা করবে এবং আগামী জুলাই মাসে ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তরের পরবর্তী পরামর্শের সময় এটি নিয়ে আলোচনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থীদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তার দেশের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন ফিদান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধ করতে এবং আরব দেশগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে তুরস্কের বৃহত্তর ভুমিকা কামনা করেন।
বৈঠকে উভয় নেতা আশা প্রকাশ করেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হবে এবং এইভাবে জ্বালানি, এলএনজি ও ফসলের দাম কমবে। যা এখন উভয় দেশের পাশাপাশি উন্নয়নশীল বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তুর্কি হোপ স্কুল নিয়ে তুরস্ক উত্থাপিত বিষয়ের প্রতিক্রিয়ায় ড. হাছান মাহমুদ আশ্বস্ত করেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ও আইন মন্ত্রণালয় উভয়ই শিগগিরই তুর্কি হোপ স্কুল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে।
আনতালিয়া ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফেরত চিঠি হাকান ফিদানকে হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় নয়জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ৭০ জন পররাষ্ট্রবিষয়ক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর উপস্থিতিতে অত্যন্ত সফলভাবে আনতালিয়া কূটনৈতিক ফোরাম আয়োজনের জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি।
তুরস্কের স্বাধীনতার শতবর্ষ এবং বাংলাদেশ ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে হাকান ফিদানকে অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের সংগ্রাম থেকে শক্তিশালী অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম জাতির বন্ধুত্বের উষ্ণ বন্ধন প্রতিনিয়ত দৃঢ়তর হচ্ছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ শাখার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী এবং তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
গাজায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ঢাকায় বিমস্টেকের পাঁচ দিনব্যাপী ফ্যাকাল্টি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম উদ্বোধন
বিমসটেকের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ফরেন সার্ভিস একাডেমির অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো পাঁচ দিনব্যাপী ফ্যাকাল্টিজ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম ঢাকায় শুরু হয়েছে।
রবিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দিতে নেপালে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন- ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস, বিমসটেক সচিবালয়ের পরিচালক মাহিশিনি কোলন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্ক ও বিমসটেক উইংয়ের মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত আবদুল মোতালেব সরকার।
বিমসটেকের সাতটি দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির ১৩ জন ফ্যাকাল্টি এ প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছেন।
৩ থেকে ৭ মার্চ এই পাঁচ দিনব্যাপী প্রোগ্রামে বিমস্টেকের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ফরেন সার্ভিস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।
২০২২ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের আলোকে প্রথমবারের মতো এ ধরনের কর্মসূচি আয়োজন করা হলো।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় সদস্য দেশগুলোর ফরেন সার্ভিস একাডেমিগুলোর প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে দেশগুলোর কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে শর্ট কোর্স আয়োজনসহ সামগ্রিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে দেশগুলো কাজ করবে।
আরও পড়ুন: বিমস্টেক সম্মেলন: ৫০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পগুলোতে ঐক্যমত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের
বিমস্টেক সম্মেলন: ৫০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পগুলোতে ঐক্যমত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের
১৭ মার্চ ঢাকায় আসছেন আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য, কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাইমন কোভেনি
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে জোরদারে একযোগে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল মাসুদ জামিল খান।
রবিবার ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অত্যন্ত দ্রুত প্রবৃদ্ধির দেশ এবং আয়ারল্যান্ড উন্নত ও শিক্ষিত দেশ। উভয় পক্ষ একসঙ্গে খুব ভালো কাজ করতে পারে।’
তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাইমন কোভেনি টিডির ১৭ মার্চ ঢাকায় আসার কথা রয়েছে এবং সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: মাসুদ জামিল খান আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল নিযুক্ত
মাসুদ বলেন, ‘মন্ত্রী সাইমন বাংলাদেশে আসছেন বলে আমরা সম্মানিত। দিল্লিতে আমার রাষ্ট্রদূত (ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি) এই বিষয়কে সমর্থন করেছেন। আমি মনে করি, এটি একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সফর।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে বৈঠক করবেন কোভেনি।
সফরকালে সেন্ট প্যাট্রিক দিবস, আয়ারল্যান্ডের জাতীয় দিবস এবং 'বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনস্যুলেট'র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি।
ঢাকায় অবস্থানকালে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সম্পর্ক নিয়ে একটি সংলাপে অংশ নেবেন।
১৯৭২ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশকে আয়ারল্যান্ডের স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিরাজ করছে।
কসমস গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাসুদ বলেন, 'আয়ারল্যান্ড প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে কাউকে নিয়োগ দিয়েছে। সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত ও উচ্ছ্বসিত।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ২৬ বছরে আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশের রপ্তানি বার্ষিক ১৬.৩ শতাংশ হারে বেড়েছে। রপ্তানির এ পরিমাণ ১৯৯৫ সালে ৬.৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২১ সালে ৩৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ‘সুতরাং, এটি বিশাল আকারের রপ্তানি বৃদ্ধি।’
মাসুদ বলেন, আয়ারল্যান্ডকে এখন ইউরোপের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি হাব হিসেবে দেখা হয়। এটি হাবস্পট অ্যান্ড ইনডিড সহ বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ইএমইএ সদর দপ্তরও।
তিনি বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশ থেকে আইটি সেক্টরে দক্ষ পেশাজীবী নিতে পারে। আয়ারল্যান্ডের সহায়তায় বাংলাদেশও হতে পারে আইটি হাব। বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে এবং তারা অত্যন্ত প্রশিক্ষিত।’
আরও পড়ুন: গ্যালারি অন হুইলস: ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রিকশা পেইন্টারদের কসমস ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
মাসুদ বলেন, দুই দেশই ওষুধ খাতে ভালো করছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে পোশাক রপ্তানি হচ্ছে এবং এটি প্রতি বছরই বাড়ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা অবশ্যই বিষয়টি দেখতে পারি।’
তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ড থেকে কনসেন্ট্রেটেড মিল্ক বাংলাদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
মাসুদ আরও বলেন, ‘আমরা আয়ারল্যান্ড থেকে গরু আনতে পারি। একই সঙ্গে আমরা তাদের প্রজননের জন্যও এখানে আনতে পারি। আয়ারল্যান্ড থেকেও মল্ট এক্সট্রাক্ট ও স্ক্র্যাপ আয়রন বাংলাদেশে আনা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রগুলোতে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করার উদ্যোগ নিতে পারি।’
তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে এবং দুই পক্ষ এখানে আয়ারল্যান্ডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শাখা স্থাপনের বিষয়ে কাজ করতে পারে।
আয়ারল্যান্ডে কিছু শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড পড়াশোনার জন্য একটি চমৎকার জায়গা।’
নিয়োগ নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে মাসুদ বলেন, 'সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত ও উচ্ছ্বসিত।’
মাসুদ বলেন, ‘এটি চমৎকার অনুভূতি। বর্ণনা করা খুব কঠিন। অবশ্যই, এটি অত্যন্ত আনন্দের। আমি এটি অর্জনের চেষ্টা করেছি।’
তার বাবা রোমানিয়ার অনারারি কনসাল এনায়েতুল্লাহ খানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনিও সেই সংস্কৃতির মধ্যে বড় হয়েছেন।
এই দায়িত্ব পালনে সফলতার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'একটি দেশের অনারারি কনসাল হওয়ার ইচ্ছা আমার সবসময়ই ছিল; যাতে সেই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করতে পারি।’
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে গ্যালারি কসমস
বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে পাঠানো শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘ঢাকার একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।’
ইয়োকো কামিকাওয়া বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তার বার্তায় নিহতদের জন্য প্রার্থনা এবং তাদের প্রিয়জনদের হারানোর জন্য শোকাহত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: ভোলার দুই যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া
গাজায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা করে সেখানে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধের জন্য ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তুরস্কের পর্যটন নগরী আনতালিয়ায় স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় তুরস্কের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল 'টিআরটি ওয়ার্ল্ড'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেখানে আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামে অংশগ্রহণরত মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গাজায় যা হচ্ছে সেটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। শুধু মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নয়, সেখানে জাতিগত নিধন চলছে। সেখানকার মৃত্যুর সংখ্যা বর্তমানে ৩০ হাজারের বেশি এবং এর বেশির ভাগই নারী ও শিশু। যুদ্ধের সব ধরনের প্রথা ভঙ্গ করছে ইসরায়েল।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যুদ্ধ, গণহত্যা থামানোর জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না এবং যুদ্ধ থামানোর জন্য আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘১৯টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান এবং ৭০ জনের বেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা এখানে অংশগ্রহণ করছেন। আমি মনে করি আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে গাজায় সহিংসতা, গণহত্যা, জাতিগত নিধন বন্ধে ইসরায়েলকে ঠেকানোর জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’
আরও পড়ুন: গাজায় বাংলাদেশের মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ায় মিশরকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধন্যবাদ
উত্তর গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জাতিসংঘ প্রধানের
জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থীদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
জলবায়ু অভিবাসী ও উদ্বাস্তু বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাবসহ অন্যান্য যেসব বিষয় নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে সেগুলোর উপর আলোকপাত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
জাতিসংঘের অভিবাসী ও শরণার্থী সংজ্ঞার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে জলবায়ু অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের সংজ্ঞা দ্রুত পরিবর্তন করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘যতদূর আমরা জানি শুধু এই গ্রহে জীবনের উৎস রয়েছে।’
শনিবার তুরস্কের আন্টালিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্টালিয়া কূটনীতি ফোরামের প্রথম প্যানেল আলোচনায় বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, জলবায়ু অভিবাসী ও জলবায়ু শরণার্থী সমস্যা নিয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী “বিল্ডিং এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিওনাল আর্কিটেকচার: দ্য চ্যালেঞ্জ অব আনম্যাচিং ইন্টারেস্টস”র বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
অন্যান্য অনেক ছোট ও দ্বীপ রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গত তিন দশক ধরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের সমগ্র উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
‘এটি প্রতিনিয়ত জলবায়ু অভিবাসনের কারণে হচ্ছে। সমস্যাটি এখন এতটাই বাস্তব ও বাংলাদেশের জন্য যে, অবিলম্বে বিশ্ব সম্প্রদায়ের জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থীদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করা প্রয়োজন,’ তিনি বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল যোগানের বিকল্প নেই: মিউনিখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, যদিও দেশ ও অনেক পরিবেশ বিজ্ঞানী বহু বছর ধরে বিষয়টির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন, তবুও অনেক বিশ্ব নেতাই এটি বিশ্বাস করেন না। ইদানীং তা সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
হাসান বলেন, ‘তবুও বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রধান অবদানকারী ধনী দেশগুলো, সমস্যাটি মোকাবিলা করতে এবং আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য খুব কম এগিয়ে এসেছে।’
এটি স্থানীয় সমস্যা হলেও এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী ।
এই রূঢ় বাস্তবতার অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে, বাংলাদেশ সব এক্টিভিস্ট ও বিশ্বনেতাদের জলবায়ু অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের সংজ্ঞা পরিবর্তনের গুরুত্ব মেনে নেওয়ার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ও ভবিষ্যত প্রজন্মের সুরক্ষার জন্য এর গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়েছে, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগন্যাসিও ক্যাসিসের সঙ্গে বৈঠক করেন। দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ক্ষেত্রসহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
এ সময় তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক, মন্ত্রীর একান্ত সচিব আরিফ নাজমুল হাসান, সুইজারল্যান্ডের আন্তুর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক পরিচালক রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল লুশিংগার ও সুইস পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উপদেষ্টা সেড্রিক স্টাকি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তায় শরণার্থীদের স্বস্তির ব্যবস্থা করতে বিদেশি সরকারগুলোর সমর্থন বাড়াতে হবে: আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ
বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক
ঢাকার বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে রাষ্ট্রপতির শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে রাজধানীর গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। এ দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেছেন মোদি।
শুক্রবার (১ মার্চ) চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, এই দুঃসময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম জনগণের জন্য তার শুভকামনা থাকবে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: ভোলার দুই যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া
অধ্যাপক ইউনূস তার কর্মজীবনের কারণে জাতিসংঘের ঘনিষ্ঠ বন্ধু: মুখপাত্র
জাতিসংঘ বলেছে, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের একজন বন্ধু এবং তিনি উন্নয়নমূলক যেসব কাজ করছেন তার জন্য আজ সমালোচিত হয়েছেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, 'প্রফেসর ইউনূস তার কর্মজীবনের কারণে জাতিসংঘের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু।’
তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিম।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বিচার অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে চলছে।
তিনি বলেন,‘ বাংলাদেশের বিচার বিভাগ অত্যন্ত স্বচ্ছ। অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচার চলছে।’ তিনি আরও বলেন, তার জামিন পাওয়ার বিষয়টিই প্রমাণ করে বিচার অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে চলছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ড. ইউনূসের সংগঠনের বঞ্চিত কর্মীরা তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো দায়ের করেছে, সরকার এতে কোনো পক্ষ নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেন, তারা এ বিষয়ে অটল এবং 'শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করার' কারণে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের সবার মুক্তির আহ্বান অব্যাহত রেখেছেন তারা।