বৈদেশিক-সম্পর্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক বিজয়: প্রধান উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুগান্তকারী বাণিজ্য চুক্তি সই উপলক্ষে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচক দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই চুক্তিকে একটি ‘সুস্পষ্ট কূটনৈতিক বিজয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে টানা তিন দিন আলোচনা করে। এরপর বাংলাদেশের ওপর আরোপিত শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এই নতুন শুল্ক ঘোষণার পর শুক্রবার (১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে শুল্ক আলোচক দলকে অভিনন্দন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যুগান্তকারী বাণিজ্য চুক্তি করায় বাংলাদেশের শুল্ক নিয়ে আলোচকদের আমরা গর্বের সঙ্গে অভিনন্দন জানাই। এটি একটি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক বিজয়।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যাশিত হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ শুল্কহার নির্ধারণের মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা ও অগ্রগতিতে অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং অবিচল প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল। আজকের সাফল্য আমাদের জাতির দৃঢ়তা ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি থেকে আলোচকরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন এবং শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক জটিল আলোচনার মধ্য দিয়ে সফলভাবে পথ অতিক্রম করেছেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলামের মাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অক্ষুণ্ন থাকল। সেই সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা বাজারে প্রবেশাধিকার আরও বাড়ল এবং আমাদের জাতীয় স্বার্থও সুরক্ষিত হলো।
এই অর্জন শুধু বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থানকেই শক্তিশালী করেনি বরং আরও বেশি সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে যা ভবিষ্যতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি ও স্থায়ী সমৃদ্ধির পথ তৈরি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
১৩৬ দিন আগে
প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান ২০ শতাংশ শুল্কহার অর্জন করেছে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পর আরোপিত শুল্কহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফার শুল্ক আলোচনা শেষ হওয়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এই হার যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ, যেমন: শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার ১৯ থেকে ২০ শতাংশের সমতুল্য। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান অপরিবর্তিতই থাকছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় ভারতের জন্য ২৫ শতাংশ শুল্কহার নির্ধারিত হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিলে বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। সে সময় শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন দেশকে আলোচনার সুযোগ দেয় ওয়াশিংটন।
ওই মেয়াদ শেষে ২ শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে টানা তিন দিন আলোচনা করে। এরপরই নতুন শুল্ক নির্ধারিত হলো।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে গড় শুল্কহার ১৫ শতাংশ। এবার নতুন ২০ শতাংশসহ মোট শুল্ক দাঁড়াল ৩৫ শতাংশে।
আরও পড়ুন: শুল্ক আলোচনা: বৃহস্পতিবারের বৈঠকেও অগ্রগতির দেখা নেই
শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। ১৫ শতাংশ শুল্কহার কমানোর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, ‘বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় আমরা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকব। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আমরা ২০ শতাংশের নিচে প্রত্যাশা করেছিলাম।’
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের পক্ষে অন্যতম প্রধান আলোচক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আজ আমরা সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপ এড়াতে পেরেছি। এটি আমাদের পোশাক শিল্প এবং পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখো মানুষের জন্য স্বস্তির খবর। সেই সঙ্গে আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানও ধরে রেখেছি এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা বাজারে প্রবেশাধিকার বাড়ানোর নতুন সুযোগ তৈরি করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সতর্কতার সঙ্গে আলোচনা করেছি যাতে আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলো জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল দেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে রক্ষা করা। এর পাশাপাশি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, যা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। পাশাপাশি এটি মার্কিন কৃষিপ্রধান অঙ্গরাজ্যগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সাহায্য করবে।’
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ (স্থানীয় সময় ৩১ জুলাই) এক ঘোষণায় ৭০টি দেশের ওপর সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত নতুন শুল্কহার প্রকাশ করেন। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির চূড়ান্ত সময়সীমা, অর্থাৎ ১ আগস্টের ঠিক আগে এই ঘোষণাটি দেওয়া হলো।
এই চুক্তিগুলো কেবল শুল্ক সমন্বয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার জন্য দায়ী বলে বিবেচিত দেশীয় নীতির সংস্কারও এর অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়া অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও এ সময় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
আলোচনার অংশ হিসেবে দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য কেনার ব্যাপারে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে বলা হয়েছিল যাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানো যায়। চুক্তিগুলোতে বিষয়বস্তু বিস্তৃত হওয়ায় আলোচনা প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও দীর্ঘ।
শুক্রবার (১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, এই শুল্কছাড় কেবল যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিপণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর সঙ্গে নয়, বরং অ-শুল্ক বাধা, বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা এবং নিরাপত্তা-সংক্রান্ত মার্কিন উদ্বেগের প্রতি একটি দেশের সদিচ্ছাও এর সঙ্গে জড়িত ছিল।
আরও পড়ুন: কানাডায় ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের, অনিশ্চয়তায় ইউএসএমসিএ চুক্তি
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে স্পষ্ট করা হয়, প্রতিটি দেশের জন্য নির্ধারিত শুল্কহার নির্ভর করবে এসব ক্ষেত্রে তাদের প্রতিশ্রুতির গভীরতার ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া শ্রীলংকার ওপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ ও পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে দেশটি।
১৩৬ দিন আগে
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আবারও জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার আহ্বান জানাল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আবারও পূর্ণ স্বীকৃতি ও সদস্যপদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ফিলিস্তিন প্রশ্নের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বাস্তবায়ন এখনই শুরু করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার আইন ও জাতিসংঘ সনদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের একসঙ্গে সাহসিকতা ও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। ইতিহাসের সঠিক পক্ষে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার হোক আমাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত।’
গাজা পুনর্গঠনে জাতিসংঘের নেতৃত্বে যেকোনো উদ্যোগে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ মানবিক সহায়তা ও ভবিষ্যৎ পুনর্গঠন পরিকল্পনায় কর্মী পাঠাতে প্রস্তুত।
সৌদি আরব ও ফ্রান্সকে সম্মেলনের আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সময়ে ফিলিস্তিনে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্য ও দ্রুততার প্রয়োজন ছিল। আট সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপের নিষ্ঠা ও অঙ্গীকার প্রশংসনীয়।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি টেকসই ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে অটল অবস্থানে রয়েছে।
‘আমরা বিশ্বাস করি, ফিলিস্তিনের জন্য ন্যায়বিচার ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি সম্ভব নয়। আর এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবনাগুলোর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত,’ বলেন তৌহিদ হোসেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘গ্লোবাল এলায়েন্স ফর দ্য ইমপ্লিমেনটেশন ফর দ্য টু- স্টেইট সলিউশন’— এর উদ্যোগকে জোরালোভাবে সমর্থন করে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই ঐকমত্যকে এখন বাস্তব রূপ দিতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দুটি প্রধান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ন্যায়সঙ্গত ও কার্যকর দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য একটি স্পষ্ট ও সংযুক্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
উপদেষ্টা বলেন, ‘স্কুল, হাসপাতাল ও ত্রাণ শিবিরগুলো হামলার শিকার হয়েছে। গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে রয়েছে অসংখ্য লাশ। আমরা নিঃসন্দেহে আমাদের সময়ের অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যার সাক্ষী হচ্ছি। বাংলাদেশ গাজায় চলমান এই গণহত্যাকে ঘৃণাভরে নিন্দা জানাচ্ছে এবং দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের যে পন্থা ইসরায়েল গ্রহণ করেছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
মানবিক সংকট মোকাবিলা ও গাজা পুনর্গঠনের জন্য নতুন সম্পদ ও অর্থায়ন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর জোর দিয়ে তিনি আরব-ইসলামিক পুনর্গঠন পরিকল্পনাকে স্বাগত জানান।
১৩৮ দিন আগে
আইসিসিআর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) বৃত্তি ২০২৫-এর জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের বিদায় জানাতে সংবর্ধনার আয়োজন করেছে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ভারতীয় হাইকমিশনের এক বার্তায় জানানো হয়, এ বছর সারা বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫৫০ জন শিক্ষার্থী এই মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
বিদায় অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই বৃত্তি শিক্ষার্থীদের শুধু ব্যক্তিগত পেশাগত উন্নয়নই নয়, ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক কেবল কূটনৈতিক নয়, এটি গড়ে উঠেছে আমাদের অভিন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যৌথ ত্যাগের ভিত্তিতে। এই বৃত্তি কর্মসূচির মাধ্যমে সেই বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।
উল্লেখ্য, আইসিসিআর বৃত্তি ভারত সরকারের একটি ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি, যার আওতায় মেধাবী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পান।
১৩৯ দিন আগে
বাংলাদেশে ‘সুশৃঙ্খল, সফল ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচন চায় চীন
বাংলাদেশ এখন সংস্কার ও উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব অতিক্রম করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এ যাত্রায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি চীনের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাছাড়া বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও সফল জাতীয় নির্বাচন এবং দেশের প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত উন্নয়ন পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায়ও চীনের সমর্থন রয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক সংবাদদাতা অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব বলেন।
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘চীন চাইছে বাংলাদেশে একটি সুশৃঙ্খল, সফল ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কেবল বাংলাদেশের জনগণের, বাইরের কোনো দেশের নয়।’
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সাবেক ডিক্যাব সভাপতি শামিম আহমেদের মৃত্যুতে এবং সম্প্রতি উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিশু ও অন্যান্য নিরীহ মানুষের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানসম্মত উন্নয়নে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশ-পাকিস্তান-চীন ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ
অনুষ্ঠানে চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত ইয়াও জানান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি লক্ষ করেই চীন এই উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চীনের বহু ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ রয়েছে। এ উদ্যোগটি সর্বশেষ সংযোজন মাত্র।’
গত কয়েক মাসে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সব রাজনৈতিক দলকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
যেহেতু বাংলাদেশে এখন সুযোগ রয়েছে তাই চীন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
এর আগে বিএনপি ও জামায়তসহ কিছু দলের সঙ্গে এ ধরনের যোগাযোগে বাধা ছিল। এ নিয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনারা তো জানেনই!’
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার
এ সময় চীন বাংলাদেশের এক বিশ্বস্ত শুভাকাঙ্ক্ষী, প্রতিবেশী ও অংশীদার হিসেবে সবসময় পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করতে চীন অভিজ্ঞতা বিনিময়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাস, দুর্যোগ প্রতিরোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদারের প্রস্তুতি রেখেছে বলে তিনি জানান।
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে চীন বাংলাদেশের পাশাপাশি এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও একত্রে আধুনিকতা অর্জন এবং এশিয়ার উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনে অবদান রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত জানান, সম্প্রতি কুনমিংয়ে চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে বাস্তব অগ্রগতি অর্জনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুইস রাষ্ট্রদূতের প্রাতরাশের বৈঠকে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
বাংলাদেশকে বৈশ্বিক দক্ষিণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের মূল অংশীদার হিসেবে চিহ্নিত করে ইয়াও বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময়ই চীনের প্রতিবেশি কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় এবং বাইরের হস্তক্ষেপ প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে আসছি।’
এ সময় ‘এক চীন’ নীতির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও চীনের মৌলিক স্বার্থ ও প্রধান উদ্বেগে দৃঢ় সমর্থনেরও প্রশংসা করেন তিনি।
ত্রিপক্ষীয় এই উদ্যোগে কেন শুধু বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, বাকি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোকে নয়—এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশকেও এ উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেছে। তবে তারা কেমন সাড়া দিয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
১৩৯ দিন আগে
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি: স্বাগত জানাল বাংলাদেশ
চারদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ঘোষিত যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কোনো শর্ত ছাড়াই উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার এই পদক্ষেপকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতা ও সর্বোচ্চ রাজনৈতিক স্তরে আলোচনাকে বাংলাদেশ গভীরভাবে প্রশংসা করছে। পাশাপাশি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা অন্যান্য বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোকেও ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: অবশেষে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া
থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া সংলাপ ও কূটনৈতিক পথে শতবর্ষের পুরোনো সীমান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান করবে বলে আশা ব্যক্ত করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে।
একইসঙ্গে, সীমান্ত অঞ্চলের সাধারণ জনগণের জীবন ও জীবিকাকে স্থিতিশীল রাখতে দুই দেশ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে প্রত্যাশা করে ঢাকা।
শত বছরের বেশি পুরোনো সীমান্ত বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত। সংঘাত চলাকালে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৬ জন।
১৩৯ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় ইতিবাচক ফল প্রত্যাশা করছে সরকার: শফিকুল আলম
বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত বাড়তি শুল্ক হ্রাসে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে তৃতীয় দফার আলোচনায় বাংলাদেশ সরকার ইতিবাচক ফল প্রত্যাশা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা জানান।
শফিকুল আলম জানান, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ স্টেট গেস্ট হাউস যমুনায় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ শুল্ক আলোচনা, সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগ, নির্বাচন প্রস্তুতি এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান প্রেস সচিব।
তিনি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় দফার শুল্ক আলোচনা শুরু হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল আজ রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে।
পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: প্রধান উপদেষ্টা
শফিকুল জানান, আলোচনার ইতিবাচক ফলাফলের ব্যাপারে সরকার আশাবাদী।
তিনি বলেন, সরকারের এই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি ব্যবসায়ী দলও যুক্ত থাকছে, যদিও তারা সরাসরি আলোচনায় অংশ নেবে না।বৈঠকে জঙ্গিবিরোধী লড়াইকে প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
শফিকুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, তার সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। কোনো অবস্থাতেই জঙ্গিবাদ বা উগ্রপন্থাকে বরদাস্ত করা হবে না।’
প্রেস সচিব আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রে এই তৃতীয় দফার আলোচনা ২৯ ও ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে এবং ১ আগস্টের আগে একটি ইতিবাচক সমঝোতায় পৌঁছানোর আশা করছে সরকার।
১৪০ দিন আগে
ঢাকায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
রাজধানী ঢাকায় সামরিক বিমান যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের বহু প্রাণহানি ও আহতের ঘটনায় গভীর শোক ও সংহতি প্রকাশ করেছে আলজেরিয়া।
সোমবার (২৮ জুলাই) ঢাকাস্থ আলজেরিয়ান দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাজিদ তেববুনে ও প্রধানমন্ত্রী নাদির লারবাউই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
শোকবার্তায় আলজেরিয়ার দুই নেতা নিহতদের স্বজনদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। একইসঙ্গে এই জাতীয় শোকের সময়ে বাংলাদেশ সরকারের ও জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন তারা।
প্রেসিডেন্ট তেববুনে ও প্রধানমন্ত্রী লারবাউই বাংলাদেশ ও আলজেরিয়ার মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে দেন এবং এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার জন্য বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
১৪০ দিন আগে
জুলাইয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতিসংঘের স্মরণানুষ্ঠান
২০২৪ সালের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘স্মরণ ও সংলাপ’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠেয় এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
সোমবার (২৮ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ আয়োজনে অংশ নেবেন দেশের জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, তরুণ প্রতিনিধি ও আন্তর্জাতিক অংশীদাররা।
প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলি নিয়ে একটি স্বাধীন তথ্য-উদ্ধার মিশন পরিচালনা করে।
২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ঘটনাগুলোর বিস্তৃত অনুসন্ধান তুলে ধরা হয় এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।
১৪০ দিন আগে
আইকনিক মসজিদ নির্মাণে ২৪৪ কোটি টাকা দেবে সৌদি সরকার
আইকনিক মসজিদ নির্মাণে ২৪৪ কোটি টাকা দেবে সৌদি সরকার। আটটি আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সৌদি সরকারের রাজকীয় অনুদান থেকে এ অর্থ দেওয়া হবে। রবিবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ জাফর এইচ বিন আবিয়াহ এ তথ্য জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, সৌদি অর্থায়নে আইকনিক মসজিদ নির্মাণের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শুরু করা হবে। এরই মধ্যে কয়েকটি বিভাগ থেকে মসজিদ নির্মাণের জন্য জমির প্রস্তাব পাওয়া গেছে। বাকিগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।
‘বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ও বন্ধুত্বপূর্ণ। বর্তমানে এ দেশের প্রায় ৩২ লাখ লোক সৌদি প্রবাসী। তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে,’ যোগ করেন তিনি।
একইভাবে সৌদি সরকারের ভিশন–২০৩০ বাস্তবায়নে সেদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন, আগামীতে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ বছর অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীল হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি সরকার ও সে দেশের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সৌদি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় শৌচাগারের সংখ্যা বৃদ্ধি, নিরবিচ্ছিন্ন পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং মিনার তাঁবুতে বিছানার আকার বাড়ানোর অনুরোধ জানান উপদেষ্টা।
রাষ্ট্রদূত এসব প্রস্তাবের বিষয়ে তার দেশের সরকার এবং হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার আশ্বাস দেন। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি সরকারের সহযোগিতা আরও বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আগামীতে আরও মজবুত ও সুসংহত করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া হজযাত্রীদের লাগেজ পরিবহনে আরএফআইডি ট্যাগ সংযোজন, ঢাকায় অ্যারাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট স্থাপনসহ দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক ও হজ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
১৪১ দিন আগে