বৈদেশিক-সম্পর্ক
আজ পদ্মা সেতু ও আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন ভুটানের রাজা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক আজ পদ্মা সেতু পরিদর্শন করবেন।
পদ্মা সেতু পরিদর্শন শেষে রাজা জিগমে বিকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন এবং সেখানকার অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা প্রত্যক্ষ করবেন।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে তার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন রাজাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
সেখানে ভিডিও প্রেজেন্টেশন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর তিনি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজা কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জেলিফু থেকে ১৯০ কিলোমিটার দূরে কুরিগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দেওয়ায় দেশটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ভুটান ও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা
দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশ আশা প্রকাশ করেছে, অর্থনৈতিক অঞ্চলটি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে 'নতুন দিগন্ত' যোগ করবে এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বৃহত্তর সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে রাজা সোনাহাট স্থলবন্দরে যাবেন। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ভূখণ্ড ত্যাগ করবেন ভুটানের রাজা।
সেখানে তাকে বিদায় জানাবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
ডেনমার্কে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ-উদ্দীপনার সঙ্গে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে ডেনমার্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এ. কে. এম. শহীদুল করিম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
দূতাবাসের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দূতাবাস মিলনায়তনে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
এ দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাস স্থানীয় হুয়ন ইভেন্ট সেন্টারে এই দিবস উপলক্ষ্যে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আগত অতিথিদের মধ্যে ডেনমার্কস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শুভেচ্ছা বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তার নের্তৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে যে সব শহীদ দেশের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন তাদের আত্নত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা তার দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের দিয়ে গেছেন রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার একটি জ্ঞান নির্ভর ও ডিজিটাল মধ্যম আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়াও দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সমস্যা মোকাবিলাসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অন্যতম অংশীদার। প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিরা বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে।
পরিশেষে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উন্নত, সমৃদ্ধিশালী ও কল্যাণকর রাষ্ট্রগঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে এবং বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে উদাত্ত আহ্বান জানান।
পরিশেষে ইফতার পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।
দূতাবাসের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়ামের সভাপতিত্বে একটি বিশেষ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করা হয়। এরপর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
আলোচনা সভায় বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা পর্বে বক্তারা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার বিভিন্ন পর্যায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম, পরবর্তীকালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতাত্তোর দেশ পুনর্গঠন ও জাতির সেবায় বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে সারগর্ভ আলোচনা করেন।
তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশর উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন ও দেশের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য, প্রজ্ঞাবান ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। পাশাপাশি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রবাসীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মবলিদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্মানে ইফতার মাহফিল ও নৈশভোজ আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্যে দিয়ে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন গতকাল মঙ্গলবার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করেছে।
হাইকমিশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিনটি উপলক্ষে হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৪ বছরের নির্ভীক, আপোষহীন ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব ছাড়া বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো না।’
হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতার আদর্শই অনুসরণ করে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলছেন।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
এপ্রসঙ্গে তিনি বিগত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারিদ্র্যবিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে সেসব বিশেষভাবে উল্লেখ করেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
হাইকমশিনার ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে যুক্তরাজ্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সফর এবং ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক বৈঠকই বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করে আগামীতে এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও গভীর হবে বলে দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।
বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক ও আবদুল আহাদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার অতিথি ও মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযোদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সকালে হাইকমিশনার দূতাবাসে কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের র্কমসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মীত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালিত
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বর্বরোচিত গণহত্যাকে স্মরণ করে আজ (সোমবার) ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।
১৯৭১ সালের ঐদিন কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে দূতাবাস বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করে। দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম ও মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান।
এরপর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘একাত্তরের গণহত্যা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারের আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূত সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে আরিফা রহমান রুমা। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ও পরবর্তী ৯ মাসে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বর্বরোচিত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। কর্মসূচী পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা
বাংলাদেশে সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে ভুটানের রাজাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের সেবা কার্যক্রম ঘুরিয়ে দেখান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
পরিদর্শন শেষে ভুটানের রাজা স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।
বাংলাদেশে একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করার ব্যাপারে আগ্রহও প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে ভুটান সরকার প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করায় ভুটান রাজার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ভুটানের চিকিৎসকদের বাংলাদেশে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে রাজার কাছে প্রস্তাব দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ভুটানের রাজাও এ ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পরিদর্শনকালে রাজার সঙ্গে বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিলসহ ভুটানের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভুটানের রাজার সফর বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সাক্ষ্য: যৌথ বিবৃতি
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট পরিদর্শনে আসেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ এবং তার নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল। পরিদর্শনের আগে সায়মা ওয়াজেদের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দলটি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ক্রমবর্ধমান উন্নয়নশীল ও জনবসতিপুর্ণ একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক মিস সায়মা ওয়াজেদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ ও অন্যান্য প্রতিনিধিদের বিশেষ ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
আলাপকালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন, বার্ন ইন্সটিটিউট সেবা ঢাকার বাইরে বৃদ্ধিকরণ এবং বাংলাদেশের এই বার্ন চিকিৎসার ধরন ভুটানসহ অন্যান্য সহযোগী দেশে কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সে ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ও প্রতিনিধি হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া বাংলাদেশে ভ্যাক্সিন প্লান্ট নির্মাণ কাজে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্বিক সহায়তার কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সায়মা ওয়াজেদ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) হাইকমিশনে দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন করা হয়। আয়োজনের প্রথম পর্বে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান সকালে প্রবাসী বাংলাদেশি এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর, তিনি উপস্থিত সবাইকে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
হাইকমিশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচিসহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচনা পর্বে, হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং ঐতিহাসিক এই দিনটির প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সারাজীবন তার স্বপ্নের সোনার বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সমগ্র বাঙালি জাতিকে এক সুতায় সংযুক্ত করে ৯ মাসে বাংলাদেশের দীর্ঘ লালিত স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করেছে।’
হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর 'সোনার বাংলা' নির্মাণের স্বপ্নকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর।
গৌরবময় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানান এবং মিশনের কাঙ্খিত সেবা সম্প্রসারণে আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'সোনার বাংলা' এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়তে প্রবাসীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাস করা বাংলাদেশ কমিউনিটি, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বীরদের সাহসিকতার প্রতি সজীব ওয়াজেদের সম্মান
স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ইউএই নেতাদের অভিনন্দন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নেতারা।
দেশটির দৃষ্টিনন্দন ও বিশেষ ভবনগুলোতে বাংলাদেশের পতাকা প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্সিয়াল কোর্টের মন্ত্রী মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৃথক শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
বার্তায় তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং বন্ধুপ্রতীম দেশ ও জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করেন।
বাংলাদেশ-চীনের রয়েছে গভীর রাজনৈতিক আস্থা ও সহযোগিতা: শি জিনপিং
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘দৃঢ় ও গভীর’ রাজনৈতিক আস্থা এবং ‘ফলপ্রসূ কার্যকর সহযোগিতা’ রয়েছে। যা দুই দেশের জন্য বাস্তব কল্যাণ বয়ে আনবে।
তিনি আরও বলেন, গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা দৃঢ়ভাবে সমুন্নত, অর্থনীতির উন্নয়ন ও জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং 'সোনার বাংলা'র স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
চিঠিতে শি জিনপিং উল্লেখ করেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব দৃঢ় থেকে দৃঢ় হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, তিনি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন এবং উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে ও চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ইউএই নেতাদের অভিনন্দন
একই দিনে চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান।
আরও পড়ুন: চলমান অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত: ব্লিঙ্কেন
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত: ব্লিঙ্কেন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্লিঙ্কেন এই বিশেষ দিনে সকল বাংলাদেশিকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।
এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব ও জনগণ থেকে জনগণের সম্পর্ক জোরদারের প্রত্যাশায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে সাড়া দেওয়া, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ চলমান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত।’
ব্লিঙ্কেন বলেন, অবাধ, উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে এই অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতার আরও এক বছর উদযাপন করছে, তাই আমরা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা জোরদার ও মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। এই প্রচেষ্টাগুলোই বাংলাদেশের সমৃদ্ধি আরও বাড়াবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির প্রতিনিধি দল