বৈদেশিক-সম্পর্ক
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ব্রিটিশ বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও মানবিকতার মূল্যবোধের আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষে রবিবার ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রাণকেন্দ্র পূর্ব লন্ডনে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’ শীর্ষক এক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হাবিবুর রহমান হাবিব জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। তার মহান নীতি ও আদর্শে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে গড়ে তুলতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ইবিএ-জিএসপি প্লাস সুবিধা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাইকমিশনার এজন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মূল্যবোধে এবং বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে উজ্জীবিত করে গড়ে তুলতে প্রবাসি বাংলাদেশি মা-বাবাদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম মমতার কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ অনুসরণে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে এবং আজকের শিশুদের ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং বিশেষ বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বাংলাদেশ -এর সাধারণ সম্পাদক ডা. কামরুল হাসান। আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ দিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, যাতে অনেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি-শিশু-কিশোর বিপুল উৎসাহে অংশগ্রহণ করে।
হাইকমিশনার অতিথিদের নিয়ে শিশু-কিশোরদের সনদ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে সম্মিলিত কবিতা আবৃতি করেন বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী ঊর্মি মাজহার, শতরূপা চৌধুরী ও দেওয়ান মাহমুদ।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে একটি গান এবং পবিত্র রমজানে ইফতারের পূর্বে হামদ ও নাথ পরিবেশন করে। ইফতারের পর হাইকমিশনার অতিথি ও শিশু-কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে একটি কেক কাটেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে হাইকমিশনার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদদের জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করলেন আইরিশ মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে ইউএনডিপির প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বৃহত্তর আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ভাসানচরে তাদের জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। এখন ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করতে পারে।
তিনি ভাসানচরে আরও রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে ইউএনডিপির সহায়তা কামনা করেন।
চার দিনের সফরে সোমবার ঢাকায় পৌঁছান প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। এ সফরের অংশ হিসেবে কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনসহ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রিন্সেস বলেন, সুইডেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।
দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সুইডেনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ শিকার। কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবদান নগণ্য হলেও দেশটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে।
স্থানীয় জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং তাদের জীবন-জীবিকার সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল গঠন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন। ইতোমধ্যে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো গৃহহীন মানুষ যাতে না থাকে সেজন্য সরকার সারাদেশে গৃহহীনদের বিনামূল্যে ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধী ঘর করে দিচ্ছে।
এ ছাড়া তার সরকার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা ১৯৬৯ সালে তার প্রথম সুইডেন সফরের কথা স্মরণ করেন, যখন তার স্বামী পড়াশোনার জন্য সেখানে ছিলেন।
আরও পড়ুন: উপকূলীয়দের জীবনমান দেখতে মঙ্গলবার খুলনায় আসছেন সুইডেনের রাজকন্যা
বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ইবিএ-জিএসপি প্লাস সুবিধা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) ও 'জিএসপি প্লাস' সুবিধা অব্যাহত রাখতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন পররাষ্ট্র।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাইমন কোভনির সঙ্গে বৈঠকে এ সহযোগিতা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের দায়িত্বে থাকা ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এনডিআই-আইআরআই স্বীকার করেছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রীকে এ দিন ঢাকায় অনারারি কনসুলেট উদ্বোধনের জন্য ধন্যবাদ জানান। আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন ঢাকায় অনারারি কনসুলেটে জমাদান চালু করে সহজীকরণের অনুরোধও জানান।
আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাইমন কোভনি বাংলাদেশে তার দেশের প্রথম কোনো পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন জানিয়ে এ দেশ থেকে আরও জনবল ও শিক্ষার্থী আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার বিষয়ে ঐক্যমত্য পোষণ করেন।
বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্যকরণে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বানেও ইতিবাচক সাড়া দেন মন্ত্রী কোভনি।
এর আগে এ দিন সকালে বাংলাদেশ সফরে আসা জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়াকে হযরত শাহজালাল আন্তুর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বিকেলে রাজধানীর কাওরানবাজারে প্যানপ্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার বৈঠকে অংশ নেন।
রাজকুমারীর সঙ্গে সফররত সুইডেনের আন্তুর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী জোহান ফরসেল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আত্মতুষ্টি নয় আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাঁচ হাজার বছরের জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আত্মতুষ্টি নয় আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আগামী পাঁচ বছর আওয়ামী লীগ দেশ পাহারা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পরপর চতুর্থবারসহ পাঁচবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও আওয়ামী লীগ আত্মতুষ্টিতে ভুগবে না। যেভাবে ভোটের বাক্স পাহারা দিয়েছি, রাজপথ পাহারা দিয়েছি, সেভাবে আমরা আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেব।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ পালন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের আলোচনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়েছে, ট্রেনে আগুন দিয়েছে, তবু নির্বাচন প্রতিহত করতে পারেনি। চমৎকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। বিশ্বের ৮০ টি দেশ, ৩২ টি আন্তুর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে। এসব দেখে বিএনপি এখন হায় হায় করে, লিফলেট বিতরণ করে, আর কী করা যায় ভাবছে। আশা করি তারা আর আগের মতো নাশকতার পথে যাবে না। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তাই আত্মতুষ্টি নয় আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেব আমরা।'
এ সময় চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্যাঙ ছোট হলেও আওয়াজ বড়ো, ছোট কিছু রাজনৈতিক দল এবং পরিত্যক্ত নেতাদের ইদানীং বড় আওয়াজ শোনা যায়। তাদের নাম বলতে চাই না, কিন্তু তাদের সঙ্গে মানুষ নেই। মঞ্চে ১০০ জন, সামনে ২০ জন আর বাকিটা মিডিয়া নিয়ে তাদের সভা হয়।’
আরও পড়ুন: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
ডিজিটাল রূপান্তরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেছেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফরে এসে ‘ইনোভেট টুগেদার ফর #জিরোডিজিটাল ডিভাইড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার-টু-ইনোভেট (এটুআই) ।
অনুষ্ঠানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং কাউকে পেছনে ফেলে নয়- দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামীর বাংলাদেশকে ডিজিটাল বৈষম্যমুক্ত করে গড়ে তোলার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে ক্রাউন প্রিন্সেস ডিজিটাল সেন্টার, জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং ফ্রিল্যান্সার সাপোর্ট প্রোগ্রামের মতো উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটাল বিভাজনের সেতুবন্ধনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনুকরণীয় যাত্রা পর্যবেক্ষণ করেন।
এই উদ্যোগগুলো বাংলাদেশে নাগরিকদের, বিশেষত তরুণ ও উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে কাজ করছে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথকে সুগম করছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি কীভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিসহ নানা খাতে সুযোগ তৈরি করেছে তা তুলে ধরেন।
ডিজিটাল বিপ্লবের সুফল লাভে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে জিরো ডিজিটাল ডিভাইডের সঙ্গে একটি বিশ্ব তৈরির ঘোষণা দেন তিনি।
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উলরিকা মোদের এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক সুইডিশ মন্ত্রী জোহান ফরসেলসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, জাতিসংঘের প্রতিনিধি এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইন্টারেক্টিভ সেশন এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন প্রচেষ্টার রূপান্তরমূলক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করা সুযোগের উপর জোর দেন। তারা জিরো ডিজিটাল ডিভাইড বিশ্ব তৈরিতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন।
চার দিনের বাংলাদেশ সফরের সময় ক্রাউন প্রিন্সেস বাংলাদেশ উন্নয়ন অভিযাত্রার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, লৈঙ্গিক সমতা, পরিবেশবান্ধব ও ডিজিটাল রূপান্তর এবং ব্যবসায়িক খাতের ভূমিকার ওপর দৃষ্টি রেখে এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং চলমান চ্যালেঞ্জগুলো যাচাই করে দেখবেন।
এসময় তিনি সরকার এবং ইউএনডিপির বাস্তবায়িত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিতকরণের লক্ষ্যে নারী এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত উদ্যোগগুলোও পর্যবেক্ষণ করবেন।
ঢাকায় প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করলেন আইরিশ মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করেছেন আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রী সাইমন কভেনি। এটিকে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ঢাকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত করতে সম্প্রতি কসমস গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খানকে বাংলাদেশে অনারারি কনসাল নিয়োগ করেছে আয়ারল্যান্ড।
বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরুন: রাষ্ট্রদূত ইমরান
বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমরান।
রবিবার (১৭ মার্চ) ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ এর আলোচনায় তিনি এই আহ্বান জানান।
দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভা, শিশুদের জন্য রচনা ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সকালে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাষ্ট্রদূত মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতার আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মিনিস্টার (কর্মাস) মো. সেলিম রেজা এবং মিনিস্টার (ইকোনমিক) ড. মো. ফজলে রাব্বি।আরও পড়ুন: জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, জাতিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে এবং বিশ্বে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মই হবে প্রধান চালিকা শক্তি। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি স্বাধীনতা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে সকালের অনুষ্ঠান শেষ হয়।
পরে সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে কেক কাটেন এবং রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
দূতাবাসের এই দুই পর্বের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন ও ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: কয়লাভর্তি জিম্মি জাহাজ আব্দুল্লায় বিস্ফোরণের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
কয়লাভর্তি জিম্মি জাহাজ আব্দুল্লাহতে বিস্ফোরণের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
সোমালিয়ার বন্দরে এক সপ্তাহ ধরে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে যে কোনো সময় বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লাই এই আশঙ্কার মূল কারণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়লা দাহ্য জাতীয় খনিজ পদার্থ, এগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ না করা গেলে বিস্ফোরণের ঝুঁকি আছে।
এদিকে জিম্মি করার এক সপ্তাহ হতে চললেও, দস্যুদের পক্ষ থেকে এখনও যোগাযোগ না করায় কোনো অগ্রগতি হয়নি নাবিকদের উদ্ধারের আলোচনা। এর মধ্যে বারবার পরিবর্তন করা হচ্ছে জাহাজটির অবস্থানও।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার হোটেলে জিম্মিদশার অবসান, নিহত ২৬
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাগরে বাল্ক জাহাজে কয়লা পরিবহনে ৫ ধরনের বিপদের শঙ্কায় কিছু নিরাপত্তা পদক্ষেপ মেনে চলতে হয়। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় জাহাজের খোলের ভেতরে মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড এবং অক্সিজেনের পরিমাপ নিতে হয়। বের করে দিতে হয় নির্ধারিত মাত্রার বেশি গ্যাস।
তারা বলছেন, বদ্ধ জায়গায় কয়লা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়া মিথেনের পরিমাণ বাড়লে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এ ছাড়া কার্বন মনোক্সাইড বেড়ে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে নাবিকদের জীবনের ঝুঁকিও থাকে।
এ বিষয়ে মাস্টার মেরিনার ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, মিথেন খুবই দাহ্য একটি গ্যাস। যেকোনো সময় এতে আগুন ধরতে পারে। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে আমরা কাউকে ডেকে সিগারেটও খেতে দেই না। কারণ, সামান্য সিগারেটের আগুন থেকে সেখানে বড় বিস্ফোরণ হতে পারে।
প্রতি ২৪ ঘণ্টায় কয়লার কনসেন্ট্রেশন মেপে দেখতে হয়। এটি বিস্ফোরণের মাত্রার ওপরে উঠে গেলে ফোর্স মেইনটেইন করতে হয়। ফোর্স মেইনটেইন করে মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস বের করে দিতে হয়। এটা ২৪ ঘণ্টার একটা প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী
মেরিটাইম খাতে কয়লাবাহী জাহাজ ঝুঁকিপূর্ণ কার্গো হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের জাহাজ তদারকির জন্য বিশেষ নির্দেশনা থাকলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাহাজ মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘জাহাজে যেহেতু আমাদের টেকনিক্যাল পারসন আছে, সুতরাং জলদস্যুরা সবসময় এই করণীয়টুকু করবেন। কারণ, আমরা মনে করছি, স্বার্থরক্ষা, জাহাজ নিরাপদ ও আবাসস্থল নিরাপদ রাখার স্বার্থে নাবিকদের সহযোগিতা করবেন জলদস্যুরা।’
এর আগে সোমালিয়ার দস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছিল একই মালিকের এমভি জাহানমণি নামের একটি জাহাজ। মো. ইদ্রিস নামে ওই জাহাজের এক নাবিক জানিয়েছেন, তাদের যখন বন্দি করে রাখা হয়, তখন কোনো কাজ করতে দেয়া হয়নি। এর ফলে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে কয়লায় বিম্ফোরণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
আরও পড়ুন: দুপুরে সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছাতে পারে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’
জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, ট্রেড অ্যান্ড ইমপ্লয়মেন্ট মন্ত্রী সাইমন কোভেনি।
সোমবার(১৮ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
আইরিশ মন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
আরও পড়ুন: এনডিআই-আইআরআই স্বীকার করেছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।
দুই দিনের সরকারি সফরে থাকা আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ পালন
আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ পালন
যথাযোগ্য মর্যাদায় বাঙালি জাতির পিতা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪’ উদযাপন করা করেছে তুরস্কের আঙ্কারস্থ বাংলাদেশি দূতাবাস।
রবিবার (১৭ মার্চ) দিবসের শুরুতে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক দুতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ কর্তৃক রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা এবং আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
আরও পড়ুন: রিয়াদে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানের ঘোষণা দিয়েছেন। সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
পরিশেষে, রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তুরস্কের পরিবার ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রভিনশিয়াল পরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা ও শতাধিক এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতারে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বিমানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন