আওয়ামী-লীগ
অগ্নিসংযোগকারী ও 'রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের' রাজনীতিতে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয়: হাছান মাহমুদ
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা আগুন সন্ত্রাসে জড়িত ও ‘রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে’ তাদের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার অধিকার থাকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা রাজনীতিবিদ নয়। এরা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
‘আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করছে’ এমন রাজনীতিবিদদের যারা আর্থিকভাবে সমর্থন করছে তাদের সমালোচনা করেন হাছান।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় অগ্নিসন্ত্রাস হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশেহারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান আরও বলেন, ‘তারা এখনও সুযোগ খুঁজছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আধুনিক বার্ন ইউনিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে, যা ভুটানকে মুগ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, কলকাতায় ব্যর্থ চেষ্টার পর দগ্ধ ভুটানের এক নাগরিককে বাংলাদেশে সফলভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশ থিম্পুতে একটি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নির্মাণে সহায়তা করবে। এরই মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে এ বিষয়ে।
আরও পড়ুন: দেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনে কোনো কৃতিত্ব নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশেহারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশেহারা বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার(৩ এপ্রিল) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
'বিএনপি নির্বাচনে না আসায় আওয়ামী লীগ দিশেহারা' বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের এমন মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশাহারা হয়ে উদ্ভট আবোল-তাবোল কথা বলা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ভোটে না আসার যে কি যন্ত্রণা সেটি বিএনপি নেতারা সবাই বুঝতে পারছে।
উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকবিহীন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এক প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, ‘নির্বাচন দলীয় প্রতীকবিহীন ও উন্মুক্ত প্রার্থিতায় হবে। দলীয় প্রতীকবিহীন উপজেলা নির্বাচন এবারই প্রথম নয়। আগে উপজেলা নির্বাচনগুলো দলীয় প্রতীক বিহীনই হতো, শুধু গতবারই দলীয় প্রতীকে হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘নির্বাচনে অবশ্যই অযাচিত হস্তক্ষেপ সমীচীন নয়, মানুষ তাদের পছন্দ মতো ভোট দেবে, আমরা কাউকে দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছি না।’
'দেশে আইনের শাসন নেই' ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন আছে বলেই তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েও আদালতের দেওয়া জামিনে মুক্ত আছেন।
আরও পড়ুন: রিজভীর মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন: ড. হাছান
রিজভীর মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন: ড. হাছান
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘রিজভী সাহেবের কথা এত অশালীন ও বাস্তবতাবিবর্জিত যে, মনে হয় তার মানসিক ভারসাম্যহীনতার চিকিৎসা প্রয়োজন। ড্যাব না পারলে স্বাচিপের ডাক্তাররা চেষ্টা করতে পারে।’
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছেন এবং দেশ ভিক্ষুকে পূর্ণ এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ও 'মানি-লন্ডারিং'য়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই পর্যন্ত এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। আর তার ছোট ভাই অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র কোকোর পাচার করা টাকা সিঙ্গাপুর থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা ক্ষমতায় থাকতে পরপর পাঁচবার দেশ বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে- এসব ঢাকতেই তাদের এত কথা।
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বিএনপির নেতাদের মধ্যে কথা বলার প্রতিযোগিতাও আছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, তাদের মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব আবার মঈন খানের মধ্যে কথা বলার প্রতিযোগিতাও এসব অবাস্তব কথা বলার আরেক কারণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে লর্ড জেরেমি পারভিসের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র (লর্ডস স্পোকসপার্সন) লর্ড জেরেমি পারভিস।
বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অব্যাহত সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের ভূমিকার জন্য লর্ড জেরেমিকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তাদের লর্ডসভা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার বিষয়সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটকে নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর হতে দেওয়া যাবে না: কাদের
বুয়েটকে নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর হতে দেওয়া যাবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডগুলো সরকার গভীরভাবে তদন্ত করছে।
ছাত্র রাজনীতি সরাসরি নিষিদ্ধ করা হলে বুয়েট 'নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর' হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সেদিন বুয়েট ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না। আর আমি যদি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকি, তাহলে বুয়েট ক্যাম্পাসে থাকতে পারব না- এটা কী ধরনের আইন?'
চট্টগ্রাম বিভাগীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংলাপে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
বুয়েটে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্যানেলের সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির জন্য হল বরাদ্দ বাতিল করে দেয়।
২০১৯ সালের অক্টোবরে আবরার ফাহাদের মৃত্যুর পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: বুয়েটের হল থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সংলাপে ওবায়দুল কাদের আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের দায়বদ্ধতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। দলের অখণ্ডতা বিপন্ন হতে পারে এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সতর্ক করে তিনি দলীয় সদস্যদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতারা ভারতীয় পণ্য বর্জন ও 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের' ডাক দেওয়াকে ফাঁকা বুলি হিসেবে আখ্যায়িত করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান যে ভাষায় কথা বলতেন, বিএনপি সেই ভাষায় কথা বলছে। এখন তাদের ইস্যু ভারতের বিরুদ্ধে। তারা ভারতফোবিয়াকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: আবরার খুনের পর বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ
রিজার্ভ নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে, তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৩৫০ কোটি ডলার। এখন তারা রিজার্ভের কথা বলছে, যখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষে তা আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের
গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নে বিএনপিই প্রধান বাধা: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপি নেতাদের জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বুধবার (২৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'এদেশে গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নে বিএনপি প্রধান বাধা।
স্বৈরশাসনের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের আদর্শ ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের উচিত অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া। কিন্তু তারা তা না করে বরাবরের মতো অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিচ্ছেন।’
কাদের বলেন, আজকে গণতন্ত্রের ঘাতকরা যখন গণতন্ত্রের কথা বলেন, তার মানে তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন।
গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য এটা তাদের মায়াকান্না ছাড়া আর কিছুই নয়।’
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচলে নজরদারি বাড়ান: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের জন্য তাদের কান্না মূলত দেশকে ১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, হাওয়া ভবনের মাস্টারমাইন্ড, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানের দুঃশাসনের যুগে দেশকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তিনি বলেন, ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই অন্ধকারের অপশক্তির বিরুদ্ধে এ দেশের গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজ আজ ঐক্যবদ্ধ।’
বিএনপি নেতার মিথ্যাচার ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করা ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানোই বিএনপির উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক পণ্যই ভারত থেকে আসে। হাজার হাজার কিলোমিটার সীমান্তে বৈধভাবে কিছু সীমান্ত বাণিজ্যও হয়। বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকের মূল উদ্দেশ্য দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলা ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানো, যাতে জনগণের ভোগান্তি হয়।’
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বক্তৃতা শেষে বিএনপিসহ কয়েকটি দলের ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা ভারত থেকে আসা পেয়াঁজ খাবেন, আপনাদের নেত্রী ভারত থেকে আসা শাড়ি পরিধান করবেন, আপনাদের মাঠের নেত্রীরাও ভারতীয় শাড়ি পরবেন, ভারত থেকে আসা গরুর মাংস দিয়ে আপনারা ইফতার করবেন, সেহেরি খাবেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেবেন - এগুলো হিপোক্রেসি ছাড়া অন্য কিছু নয়। বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বাজার অস্থিতিশীল করে পণ্যের মূল্য বাড়ানো।'
ড. হাছান বলেন, 'ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক যারা দিয়েছে, তাদের সঙ্গে শামিল হয়ে রিজভী সাহেব নিজের পরনের শালটিও জ্বালিয়ে দিয়েছে। আসলে শালটি ভারত থেকে কিনেছিল, নাকি বঙ্গবাজার থেকে কিনেছে আমি জানি না।'
সোমালি দস্যুদের হাত থেকে নাবিক ও জাহাজ উদ্ধার তৎপরতা
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের ভূমিকা রাখা হচ্ছে- সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতবার যখন এমভি জাহান মনি হাইজ্যাক হয়েছিল তাদের মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। এখন যতদ্রুত সম্ভব তাদের মুক্ত করার চেষ্টাই আমরা করছি। এখানে অবস্থানকারী নাবিক ও জাহাজের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেভাবেই আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ‘জাহাজের মধ্যে কয়লা আছে। কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ। সুতরাং এমন কিছু করা যাবে না যাতে করে দাহ্য পদার্থ হুমকির সম্মুখীন হয়, জাহাজের ক্ষতি হয়। সেভাবেই আমরা এগুচ্ছি এবং যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, তারা এরই মধ্যে মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করছে এবং আপনারা নাবিকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেও জানতে পারবেন তারাও অনেকটা আশ্বস্ত। আশা করছি, আমরা সহসাই নাবিকদের উদ্ধার করতে পারব।’
চট্টগ্রাম উন্নয়ন সমন্বয় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে চট্টগ্রামের উন্নয়ন সমন্বয় সভায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আন্তঃদপ্তর সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ড. হাছান।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকল্প শেষ হতে আরও আড়াই বছর বাকি আছে। এই আড়াই বছর সময়ের মধ্যে জনগণের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয় সেটির ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। একইসঙ্গে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার পর যাতে নিয়মিতভাবে মেনটেইনেন্স করা হয় সেটিকেও গুরুত্ব দিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: দেশে উৎপাদিত শস্য ও খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করতে কর্মসূচির আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, আজকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বে-টার্মিনালের জন্য এরই মধ্যে পাঁচশ একর জায়গা প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আরও তিনশ একরের বেশি জায়গা তারা পাবে, সেটির জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ আবেদন করেছে। এরই মধ্যে ডিপি ওর্য়াল্ড ও সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর এমওইউ স্বাক্ষর করেছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে তিনটি ভাগে কাজ হবে। একটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ করবে, আরেকটি সিঙ্গাপুর বন্দর কর্তৃপক্ষ করবে, আরেকটি ডিপি ওয়ার্ল্ড করবে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানও সেখানে যুক্ত হচ্ছে। এটা একটি বড় অগ্রগতি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বে-টার্মিনাল হলে সেটি চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে আরও বড় একটি নতুন বন্দর হবে, যেটি সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন সম্পদ হবে এবং একইসঙ্গে এই বে-টার্মিনাল দিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহের পণ্য সরবরাহ আমরা করতে পারব। এছাড়া চট্টগ্রামে পাহাড়কাটা বন্ধ ও যানজট নিরসনসহ সার্বিক অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা ও প্রতি তিন মাস পরপর সমন্বয় সভা করার সিদ্ধান্তের কথা জানান হাছান মাহমুদ।
চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনার আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় চট্টগ্রামের উন্নয়নসংক্রান্ত সমন্বয় সভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মহিউদ্দিন বাচ্চু, এম এ ছালাম, এম এ মোতালেব সিআইপি, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, ডিআইজি নুরে আলম মিনা, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ঘাপটি মেরে আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচলে নজরদারি বাড়ান: কাদের
আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক-মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে সতর্কতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে সড়ক ভবনে ঈদুল ফিতরে যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত সংশ্লিষ্টদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমরা এখনো দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আছি। এসব দুর্ঘটনার শেষ নেই। তিন চাকার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। এজন্য নিরাপদ সড়ক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা যদি অনিচ্ছুক থাকি তবে দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এক্ষেত্রে অন্যকে দোষারোপ না করে বরং নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা উচিত।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস: কাদের
থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল ঈদে রাস্তায় সবচেয়ে বড় উপভোগ্য বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২২টি মহাসড়কে এসব যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
এখানে হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
এ সময় ঢাকা শহরে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, 'এই শহরে অনেক কারখানা আছে যারা এসব গাড়ি তৈরি করে। আমি নিজে দেখেছি। তারা গাড়ি রং করছে। রং দশ দিনও স্থায়ী হয় না।’
মন্ত্রী বলেন, 'ঢাকার প্রাইভেট কার ও বাসের দিকে তাকান। ঢাকা শহরের এসব ফিটনেসবিহীন গাড়ি আমাদের উন্নয়ন অর্জনে লজ্জাজনক।’
ঈদে গাড়ির ফিটনেস দেখানোর বদলে সত্যিকার ফিটনেস সম্পন্ন গাড়ি বের করতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভায় ঈদের জন্য সম্ভাব্য ১৫৫টি যানজট পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়।
আরও পড়ুন: পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ হবে না: কাদের
বঙ্গবন্ধু চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম মানেই হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম হতো কি না সন্দেহ যদি এই জনপদে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতার জন্ম না হতো।’
আজ রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি আছেন, থাকবেন। আমাদের সকল দুর্যোগে, সংকটে বঙ্গবন্ধু আমাদের চলার পথে পাথেয় হয়ে থাকবেন। তিনি বাঙালির দুঃখ কষ্টে একমাত্র বাতিঘর। যিনি আমাদের অবিরাম পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। স্বাধীনতা দিয়ে তিনি যে উত্তরাধিকার রেখে গেছেন তিনি না থাকলেও তার সেই উত্তরাধিকারের কোনোদিন মৃত্যু হবে না। এই লিগ্যাসি অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু নেই। তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিরাম লড়াই করে যাব। আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভিযাত্রা অব্যাহত রাখব।’
আরও পড়ুন: জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিবহনে চাঁদাবাজি চলছে।
এটি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক
তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করছি এবং ফলাফল একদিন আসবে।’
বিএনপি সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি অল্প সময়ের মধ্যে সরকার পরিবর্তনের দিবাস্বপ্ন দেখছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প নেই। সুতরাং তারা (বিএনপি) যদি সরকার পরিবর্তন করতে চায় তবে তাদের আরেকটি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিএনপির আন্দোলনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। শেখ হাসিনার ওপর মানুষ খুশি। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বস্ত এবং এদেশের মানুষ তার সততা, পরিশ্রম ও নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে কি না- এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মনে করি না এটি দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিন্ডিকেট ও মজুদদারির সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সরকার: কাদের
রমজানে আন্দোলন অব্যাহত রাখলে বিএনপি আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে: কাদের
সিন্ডিকেট ও মজুদদারির সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সরকার: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে এবং সিন্ডিকেট ও মজুদদারদের সঙ্গে বিএনপির কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এই ধরনের সিন্ডিকেট সরকারকে অস্থিতিশীল করতে এবং নির্বাচিত সরকারের অগ্রগতি ব্যাহত করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
কাদের তার সাম্প্রতিক সিঙ্গাপুর সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানেও পণ্যের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। সরকার এখানে নিষ্ক্রিয় নয়। সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সময় দিচ্ছেন। এখানে আমাদের কোনো অবহেলা নেই। গ্যাস, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির মুখে গোটা বিশ্ব। এই সংকট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতেও চলছে।’
আরও পড়ুন: ছেলেদের যেন অক্ষত ফিরে পাই সেই ব্যবস্থা করুন: এমভি আবদুল্লাহ’র সিও আতিকের মা
সম্প্রতি সোমালিয়ায় বাংলাদেশি জাহাজ ও ক্রুদের ছিনতাইয়ের বিষয়ে মন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, তাদের মুক্তির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি বলেন, ২৬ জন ক্রু সদস্যের বীমা করা আছে এবং তাদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চলছে।
ইউনূসকে দোষী সাব্যস্ত করায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের নেতিবাচক প্রভাব প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ডক্টর ইউনুস একজন ব্যক্তি। জানতে চাই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কে? তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের আইন আদালত আছে। যা সবার জন্য সমান। এখানে শ্রমিকেরা পাওনা না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আইন আদালত সব দেশের নিজস্ব ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস তার কর্মজীবনের কারণে জাতিসংঘের ঘনিষ্ঠ বন্ধু: মুখপাত্র