বিএনপি
জনগণ দায়িত্ব দিলে বিএনপি আবারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়বে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক অগ্রগতির রেকর্ড একমাত্র বিএনপিরই আছে এবং জনগণকে দায়িত্ব দেওয়া হলে দলটি আবারও এই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসকে সামনে রেখে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি কিভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে—তা বুঝতে দূরে যাওয়ার দরকার নেই। মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন। মাসের পর মাস ধরে একটি সাধারণ সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাওয়া কৃষকের দিকে তাকান। হাসপাতালে গিয়ে এক তরুণের পরিবার কিভাবে ভোগান্তিতে পড়ে, সেটা শুনুন।’
তিনি বলেন, ‘খাবারের দাম কেন বাড়ে, স্কুলে ভালো পড়াশোনা কেন মেলে না, রাস্তায় কেন নিরাপত্তা নেই—সব কিছুর পেছনে সেই একই কারণ: দুর্নীতি। এটা লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দমবন্ধ করে ফেলেছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নতুন নয়, এটা বহু যুগের আলোচনার বিষয়।
আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আমাদের সেই লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, আর মনে করিয়ে দেয় সেই সময়টাও, যখন বাংলাদেশ সত্যিকারের অগ্রগতি করেছিল। আর সেই সময়টা এসেছে মূলত বিএনপির আমলে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরানো, পরিচ্ছন্ন সরকারি সেবা আর অর্থনীতিকে মুক্ত করার কাজে হাত দিয়েছিলেন—যা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার কমিয়ে দিয়েছিল। তারপর প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে আধুনিকায়ন শুরু হয়; নতুন ক্রয় নীতিমালা, কঠোর আর্থিক আইন, শক্তিশালী অডিট ব্যবস্থা, আর পরিষ্কার নজরদারি।
সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ছিল ২০০৪ সালে ‘দুদক’ গঠন; একটি স্বাধীন কমিশন, যেখানে সরকার চাইলে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্বব্যাংক, এডিবি সবাই বলেছিল—এটা বাংলাদেশের জবাবদিহিতার বড় অগ্রগতি। টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে—২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। মানুষ নিজেরাই বলেছে—দুর্নীতি কমেছে। এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
বিএনপি গর্ব করতে পারে কিছু বড় পরিবর্তনের জন্য:
· শক্তিশালী অর্থ ব্যবস্থাপনা: বাজেট নিয়ন্ত্রণ, অডিট, ব্যাংকিং ও মানি লন্ডারিং-বিরোধী আইন।
· স্বচ্ছ ক্রয় নীতি: প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র, নিয়মের মধ্যে সরকারি ক্রয়-যা পরবর্তী সময় দেশের সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতার আইনের ভিত্তি তৈরি করে।
· উন্মুক্ত বাজার: টেলিকম, মিডিয়া, বিমান পরিবহন; যেখানে প্রতিযোগিতা বাড়ায় দুর্নীতি কমে, সাধারণ মানুষের সুযোগ বাড়ে।
· ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ: প্রশাসন কম জটিল, কম ইচ্ছাধীন, বেশি মানুষের কাছে জবাবদিহিতা।
· তাই কথাটা স্পষ্ট—দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিক রেকর্ড একমাত্র বিএনপিরই আছে।
· আগামী দিনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরো শক্তভাবে চালাতে বিএনপির পরিকল্পনা:
· প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা: আদালত, দুদক, নির্বাচন কমিশন, সরকারি সেবা; কেউই যেন রাজনৈতিক চাপের মধ্যে না থাকে।
· পুরোপুরি স্বচ্ছতা: উন্মুক্ত দরপত্র ব্যবস্থা, সম্পদ বিবরণী, রিয়েল-টাইম অডিট, শক্তিশালী তথ্য অধিকার আইন।
· বিচার ও আইন-শৃঙ্খলা সংস্কার: পেশাদার পুলিশিং, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি, ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণ।
· ই-গভর্ন্যান্স: লাইসেন্স, জমি, পেমেন্ট; সব অনলাইনে এনে ঘুষের সুযোগ কমানো (বিশ্বমান অনুযায়ী ৩০–৬০% দুর্নীতি কমতে পারে)।
· হুইসলব্লোয়ার সুরক্ষা: অনিয়ম ফাঁস করতে যারা সাহস দেখায়, তাদের নিরাপত্তা প্রদান।
· নৈতিক শিক্ষা: স্কুল–কলেজ থেকেই সততার চর্চা পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্ত করা।
· শক্তিশালী আর্থিক নজরদারি: ডিজিটাল ব্যয় ট্র্যাকিং ও স্বাধীন অডিট, সংসদের কঠোর তদারকি।
সবশেষে তারেক রহমান বলেন, ‘বহু বছর অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসই প্রমাণ করে, যখন সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন একসঙ্গে আসে, তখন পরিবর্তন অসম্ভব নয়। জনগণ যদি দায়িত্ব দেয়, বিএনপি আবারও সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’
৭ দিন আগে
ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করে প্রতারণা করছে একটি দল: সালাহউদ্দিন
একটি দল ‘ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তবে তারা ঠিক কোন দল, তা উল্লেখ করেননি তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘ধর্ম ব্যবসায়ীরা তরতরাইয়া জান্নাতে যাওয়ার কথা বললেও মানুষ দুনিয়ায় কীভাবে চলবে, তাদের সে পরিকল্পনা নেই।’
দলটির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেছেন, ‘যে দলের কোনো নীতি-আদর্শ নাই, পরিকল্পনা নাই, শুধুমাত্র ধর্মের নামে একটা ট্যাবলেট বিক্রি করে জনগণের সাথে প্রতারণা করার পরিকল্পনা করছে। তাদেরকে জনগণ ইতোমধ্যে চিনেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনার কর্মসূচি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমদ কথাগুলো বলেন।
দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিকেলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আপনাদের প্রথমেই বলতে হবে, যারা বিনা কষ্টে জান্নাতে যেতে চাচ্ছেন সেটার বাসস্ট্যান্ড কোথায়, একটু জেনে নেবেন। জনগণ এগুলো বোঝে।
‘আমরা বিএনপি যা করছি, সেগুলো হচ্ছে প্ল্যানিং (পরিকল্পনা)। প্ল্যানিং ইজ হাফ অব দ্য জব। ইফ ইউ ডোন্ট প্ল্যান, ইউ আর প্ল্যানিং টু ফেইল। কারণ যদি আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আগের থেকে পরিকল্পনা প্রণয়ন না করি, তাহলে আমরা ফেইল করার জন্যই পরিকল্পনা করলাম। এই কথা আমাদের ধর্ম ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলা হয়ে গেল মনে হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের কাছে সমর্থন চাইছি, ভোট চাইছি। জনগণ আমাদের কাছে কী চায়—তা আমাদের দিতে হবে।
‘আমরা কেবল ধর্মের ট্যাবলেট বিক্রি করতে চাই না। আমরা চাই জনগণের কল্যাণের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের সুষ্ঠু পরিকল্পনা কী আছে, সেটা জনগণের সামনে রাখা।’
দেশের জন্য বিএনপির অতীত ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘নিরক্ষরতা দূর করতে গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু করেন জিয়াউর রহমান। তবে পরবর্তীতে এরশাদ তা বিলুপ্ত করেন। যতদিন পর্যন্ত আমরা পুরোপুরি অক্ষরজ্ঞান না হতে পারব, ততদিন চেষ্টা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষার কর্মসূচি চালু করেন। এতে মা-বাবাদের মধ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়। তারা সন্তানদের স্কুলে দিতে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি মেয়েদের বিরুদ্ধে অবৈতনিক শিক্ষা চালু করেন। এগুলো যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ক্ষমতায় গেলে আমরা আরও নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করব।’
ফ্যামিলি কার্ড, ফার্মার্স কার্ড, স্বাস্থ্য কার্ডের মত বিষয়গুলো তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে সহজভাষায় তুলে ধরতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাস্টার ট্রেইনাররা কীভাবে ট্রেনিং দেবেন, জানি না। আমি মনে করি সহজভাবে তাদের বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনাগুলো বলতে হবে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সারা দেশে যারা বয়ান দিচ্ছেন যে, জ্ঞানভিত্তিক, প্রযুক্তিভিত্তিক, মেধাভিত্তিক রাজনীতি করতে হবে, আসলে চর্চা কি আমরা করছি?’ জ্ঞান, মেধা ও প্রযুক্তিভিত্তিক রাজনীতির চর্চার জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এমনভাবে কাজটি করতে হবে যাতে অন্য কোনো সংগঠন ধারেকাছেও না আসতে পারে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “শুধুমাত্র গুলিস্থান থেকে পুরানা পল্টন ‘মানি না’ ‘মানি না’ স্লোগান দিলে হবে না। যখন বিরোধীদলেও থাকব, তখনও আমাদের জ্ঞানভিত্তিক সংগ্রাম করতে হবে, যুদ্ধ করতে হবে।”
এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের আরও বেশি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এর আগে, গতকাল (রবিবার) সকালে সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচির প্রথম দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দিনব্যাপী মতবিনিময়ের সমাপনীতে বিকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের তৃণমূলের নেতারাও এতে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
৮ দিন আগে
সাইবার যুদ্ধে লড়াই করতে না পারলে পরাজিত হতে হবে: মির্জা ফখরুল
সাইবার যুদ্ধে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে বিজয়ী হতে হবে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেছেন, সাইবার যুদ্ধে লড়াই করতে না পারলে পরাজিত হতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে এটি ভেবে দেখতে হবে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৫ বছর পর দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই পথেও অনেক বাধা আসছে। বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। সাইবারওয়ারে সজাগ থাকতে হবে। একমাত্র বিএনপিই দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশে একটা বড় বিভাজনের পথ তৈরির চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ধর্মভীরু মানুষ, কিন্তু ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র বিভাজনে বিশ্বাস করি না। তবে একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের পথ সৃষ্টি করতে চায়। ধর্মকে দিয়ে রাষ্ট্র আর সমাজে বিভাজন আমরা বিশ্বাস করি না। সবার আগে বাংলাদেশ—এটা মাথায় গেঁথে নিতে হবে। সমস্ত অপপ্রয়াস পেরিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে ছাত্রদল।
এই গোষ্ঠীর সব অপপ্রয়াসকে পরাজিত করে বিএনপিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ একটি যুগসন্ধিক্ষণ বা পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চলছে। সবচেয়ে বড় যে অপপ্রচার চলছে, তার বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। সাইবার যুদ্ধে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে বিজয়ী হতে হবে। সাইবার যুদ্ধে লড়াই করতে না পারলে আমাদের পরাজিত হতে হবে। । তরুণ প্রজন্মকে এটি ভেবে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অভিভাবক বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তারেক রহমান সার্বক্ষণিক তার খোঁজ রাখছেন। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করছেন। দলমত নির্বিশেষে সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। আশা করি দেশবাসীর দোয়ায় মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই তাকে সুস্থ করে তুলবেন।’
৯ দিন আগে
শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে বিলম্ব: ডা. জাহিদ
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদেশ নিতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তবে তাকে বিদেশে নেওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সসহ সবকিছু প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এসব কথা জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, ‘সব প্রস্তুতি রয়েছে। নিরাপত্তা ও চিকিৎসা—দুটো দিকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের অনুমতি পেলেই বিদেশে নেওয়া হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছেন ডা. জুবাইদা। আর সার্বিক বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।’
গত ছয় বছর ধরে দায়িত্ব পালনকারী মেডিকেল বোর্ডের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার প্রশংসা করে ডা. জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ড অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করে আসছে। তাদের পরামর্শেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা একনিষ্ঠভাবে চলছে। এ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ছড়িয়ে পড়া নানা গুজবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডা. জাহিদ।
তিনি বলেন, সময়ের অভাবে সবকিছু দেখতে পারি না। কিন্তু অনুরোধ, কেউ গুজব ছড়াবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না, অন্যকেও বিভ্রান্ত করবেন না। দোয়া করবেন—আল্লাহ যেন তাকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন।
বিদেশযাত্রা প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ হোসেন আরও জানান, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র, লজিস্টিক ও মেডিকেল অ্যারেঞ্জমেন্ট তৈরি রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে কাতার সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকারও সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।
খালেদা জিয়ার সুস্থতার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের আশাবাদের কথা উল্লেখ করে ডা. এজেডএম জাহিদ বলেন, ‘দলীয় চেয়ারপারসন এর আগেও ক্রিটিক্যাল পরিস্থিতিতে ছিলেন। তাই মেডিক্যাল বোর্ড আশাবাদী তিনি আবারও সুস্থ হবেন।’
৯ দিন আগে
মেডিকেল বোর্ড বললেই খালেদা জিয়ার জন্য ঢাকায় আসবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড তার বিদেশযাত্রার অনুমোদন দিলেই কাতারের আমিরের ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেবে বলে জানিয়েছেন তার উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ কথা জানিয়েছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তিনিই কাতারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলেই কাতারের রয়্যাল অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে আসবে। সেভাবে তারা এখন প্রস্তুত রয়েছে। মেডিকেল বোর্ড যখনই সিদ্ধান্ত জানাবে, তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে যাওয়া হবে। সবকিছুই কাতার কর্তৃপক্ষ অ্যারেঞ্জ করেছে।’
জার্মানি থেকে অ্যাম্বুলেন্স আনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জার্মানি থেকে অ্যাম্বুলেন্স… এটা ঠিক আছে। আমরা নই, কাতার কর্তৃপক্ষই জার্মানি থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স অ্যারেঞ্জ করে দিচ্ছে। অর্থাৎ বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য রয়েল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে সবকিছু হচ্ছে। এখানে আমাদের কিছু নেই।’
দলের চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে। ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে তাকে নিবিড় পযর্বেক্ষণে রাখা হয়েছে। গত দুই দিনে মেডিকেল বোর্ড কিছু পরীক্ষা করেছে, তার প্রতিবেদনও তারা পর্যালোচনা করছেন।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুই দফা মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিনই বোর্ডের সভায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর জানানো হয়, গত জানুয়ারির মতো এবারও কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে লন্ডনে পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার সকালে তাকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবে।
সেদিন আরও জানানো হয়, খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ঢাকায় আসার পরে তিনিও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে যাবেন শাশুড়ির সঙ্গে। তবে শুক্রবার সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সব ঠিক থাকলে সেটা শনিবার পৌঁছাতে পারে।
এরপর জানা যায়, কাতার আমিরের ব্যক্তিগত বহরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এর আগে এসেছিল, সেটি এবার আসছে না। তবে কাতার সরকার জার্মানির একটি কোম্পানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে দিচ্ছে। সেটা ঢাকায় এসে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাবে।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
১০ দিন আগে
কাতার নয়, খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসছে: দূতাবাস
বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়ার পরিকল্পনায় পরিবর্তন এসেছে। এর আগে কাতার থেকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর কথা ছিলো। তবে শেষ মুহূর্তে তা সম্ভব না হওয়ায় এখন কাতারের আমিরের সহযোগিতায় জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে।
শুক্রবার বিকালে ঢাকাস্থ কাতারের দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আসাদ ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জার্মানি থেকে কাতারের সহযোগিতায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসছে।’
তবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় পৌঁছানোর সময় নিশ্চিত করেননি তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কখন ব্যবহার করা হবে, এ সিদ্ধান্ত বিএনপির উপর নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।
১০ দিন আগে
গজারিয়ায় মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় গজারিয়ায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি গাড়ি ও ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকার জন্য সকলকে পরামর্শ দিয়েছেন।
উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। আহতদের মধ্যে স্বাধীন (২৮) ও সাইদুল (২৫)-এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আহতরা—শিরিনা বেগম (৪৬), দেলোয়ার (৪৯), মোস্তফা (৪৮), সুজন (২৩), আসিফ মীর (১৯) ও নয়ন (২৬)—স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
পুলিশ জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর বিএনপি দ্বিতীয় দফায় সারা দেশের ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। এতে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রতন। মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থকেরা। এরপর থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকার কয়েকজন দোকানি জানান, বিকেল ৫টার দিকে মহিউদ্দিন গ্রুপের নেতাকর্মীরা সাহারা মার্কেট এলাকায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হোসেনের অফিসের সামনে মশাল মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অপরদিকে উপজেলা যুবদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম আহমেদ ও হোসেন্দী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মমিন মৃধার নেতৃত্বে কামরুজ্জামান রতনের সমর্থকরা সড়কের পাশে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
আলী হোসেন অভিযোগ করেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মশাল মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার গাড়ি ও অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে, ৬-৭ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে।’
অন্যদিকে মমিন মৃধা দাবি করেন, ‘কামরুজ্জামান রতন ভাই মনোনয়ন পেয়েছেন, তাই গজারিয়ার মানুষ আনন্দিত। আমরা আনন্দ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এসময় আলী হোসেনের অফিস থেকে গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হলে আমরা প্রতিহত করি।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ মাসুদ ফারুক বলেন, ‘এটা বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নয়। রতন ভাইয়ের মনোনয়ন পেয়ে সাধারণ মানুষ আনন্দ করেছে, আর তারা আওয়ামী দোসরদের প্রতিহত করেছে।’
গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ জানান, দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থকেরা ব্যারিকেট দিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদরের মুক্তারপুর সেতু বিকেলে ৫টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা বন্ধ করে রাখে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ।
১০ দিন আগে
খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এভারকেয়ারের সামনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমে দেশি-বিদেশি চিকিসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আলোকে, সবকিছু ঠিক থাকলে আজকে মধ্যরাতে অথবা আগামীকাল সকালের মধ্যে কাতার রয়্যাল অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়াকে ইউকেতে (যুক্তরাজ্য) নিয়ে যাওয়া হবে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় আমরা লন্ডনে একটি নির্ধারিত হাসপাতাল ঠিক করেছি, সেখানে ইনশাআল্লাহ আমরা উনাকে নিয়ে যাব।
যুক্তরাজ্য গমনকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং দেশের বাইরের দুজন চিকিৎসক থাকবেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিমানে যাত্রাপথে সৃষ্ট যেকোনো প্রতিকূলতার মধ্যে যাতে তাকে চিকিৎসা দেওয়া যায়, সে লক্ষ্যে মেডিকেল বোর্ডে সদস্য হিসেবে আরও চিকিৎসকরা তার সঙ্গে থাকবেন।
এদিকে, খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী কারা হবেন, তার তালিকার একটি কপি ইউএনবির হাতে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা ওই তালিকা থেকে জানা গেছে, চিকিৎসকসহ মোট ১৪ জনের একটি দল খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হবেন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী। পাঁচজন চিকিৎসকের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, অধ্যাপক মো. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল ও মোহাম্মদ আল মামুন।
এ ছাড়া বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) সদস্য হিসেবে থাকবে দুজন— হাসান শাহরিয়ার ইকবাল ও সৈয়দ সামিন মাহফুজ। আরও থাকবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, সহকারী ব্যক্তিগত সচিব মো. মাসুদার রহমান এবং দুই গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার।
খালেদা জিয়া যেন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরতে পারেন, তার জন্য দেশ ও দেশের বাইরের সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ডা. জাহিদ।
১১ দিন আগে
মধ্যরাতে বা কাল সকালে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এভারকেয়ারের সামনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমে দেশি-বিদেশি চিকিসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আলোকে, সবকিছু ঠিক থাকলে আজকে মধ্যরাতে অথবা আগামীকাল সকালের মধ্যে কাতার রয়্যাল অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়াকে ইউকেতে (যুক্তরাজ্য) নিয়ে যাওয়া হবে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় আমরা লন্ডনে একটি নির্ধারিত হাসপাতাল ঠিক করেছি, সেখানে ইনশাআল্লাহ আমরা উনাকে নিয়ে যাব।
১২ দিন আগে
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিএনপির দোয়া ও প্রার্থনা সভা শুক্রবার
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শুক্রবার দেশের সব মসজিদে দোয়া এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রিজভী বলেন, ‘মহান দেশপ্রেমিক নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় আগামীকাল শুক্রবার প্রতিটি মসজিদে দোয়া মাহফিল, মন্দির এবং অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা হবে। প্রতিটি মসজিদে মসজিদে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত হবে।’
তিনি বলেন, অসংখ্য নির্যাতনের মধ্যেও যার অটল মনোভাবকে দমানো যায়নি, তার নাম খালেদা জিয়া। তাকে নির্যাতন করে অসুস্থ করা হয়েছে। দেশবাসী দোয়া করছেন, তিনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে মানুষের মাঝে ফিরে আসতে পারেন।
এ সময় তিনি আরও জানান, বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা কর্মসূচি ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এবং এতে ভার্চু্য়ালি যুক্ত হবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, যখন ফিরে আসার, সেই সময়েই তিনি ফিরে আসবেন। তার মায়ের চিকিৎসা নিয়ে তিনি (তারেক রহমান) অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। সেই চিকিৎসা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়, অনেক বিষয় রয়েছে। তিনি পরিবারেরও জ্যেষ্ঠ সন্তান। দেশ, মানুষ, রাজনীতি—সবকিছু চিন্তা করেই উপযুক্ত সময়ে তিনি (দেশে ফেরার) সিদ্ধান্ত নেবেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, তার অবস্থা আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
১২ দিন আগে