বিএনপি
দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি: তারেক রহমান
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশ-বিদেশের সকল শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
তারেক রহমান লিখেছেন, বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য যেভাবে সহযোগিতা ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে, জিয়া পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ ও বন্ধুগণের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা, পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের অপরিসীম ভালোবাসা ও দোয়া, সবকিছু আমাদের আবেগ ও অনুভূতিকে গভীরভাবে স্পর্শ করছে।
তিনি আরও লিখেছেন, দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তার নিউমোনিয়া দেখা দেয়। তার কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল। ফলে একটির চিকিৎসা দিতে গেলে আরেকটির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সিসিইউতে তার চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সবশেষ গেল রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাত থেকে খালেদা জিয়াকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান।
এদিকে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। একইসঙ্গে গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৩ দিন আগে
ভেন্টিলেশন সাপোর্টে খালেদা জিয়া: আযম খান
শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রবিবার রাতে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ব্রিফিং করে তিনি এ কথা জানান।
আযম খান বলেন, বেগম জিয়ার অবস্থা আবারও ক্রিটিক্যাল (সংকটজনক), গতকাল (রবিবার) রাত থেকে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়েছে। ফাইট (যুদ্ধ) করছেন তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসার জন্য। এখনো অবস্থা ক্রিটিক্যাল আছে। বলবার মতো কোনো কন্ডিশনে এখনো তিনি আসেন নাই। সারা জাতির কাছে দোয়া চাই, ম্যাডাম যেন আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘বলা যায়, উনি (খালেদা জিয়া) ডিপ কন্ডিশনে। ডিপ কন্ডিশনের ব্যাখ্যাটা আমি দিতে চাই না। এটাকে আপনারা ভেন্টিলেশনে বলতে পারেন, ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনেও বলতে পারেন। এই মুহূর্তে সারা জাতির কাছে দোয়া চাওয়া ছাড়া আর কিছু বলা নেই।’
‘ডাক্তাররা ক্লান্তিহীনভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এর আগে আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশের ডাক্তাররা চিকিৎসায় ছিলেন। এখন চীনের ডাক্তাররাও ইনভলভ (যুক্ত) হয়েছেন। বাদবাকি আল্লাহ ভরসা।’
খালেদা জিয়া এখন সিসিইউ নাকি আইসিইউতে আছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘সিসিইউ থেকে আইসিইউ, আইসিইউ থেকে ভেন্টিলেশন—যা-ই বলি না কেন, ম্যাডাম খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছেন। এর বাইরে কিছু বলতে চাই না।’
এদিকে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। একইসঙ্গে গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এর পর দেখা দেয় নিউমোনিয়া। তার কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল। ফলে একটির চিকিৎসা দিতে গেলে আরেকটির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সিসিইউতে তার চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৪ দিন আগে
বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন।
এ সময় নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপিতে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। আমি বিএনপিতে যোগ দিতে খুবই আগ্রহী ছিলাম। কারণ এই দল দেশের গণতন্ত্র দুইবার রক্ষা করেছে। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আমার আদর্শ। এত বছর পরেও তিনি রাজনীতিতে এখনো জনপ্রিয়।
তিনি বলেন, বিএনপিতে যারা নেতৃত্বে আছেন, তারা তরুণদের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হবেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবারের ধারা বজায় রেখে চলেছেন। সবাই সাহায্য করব নতুন বাংলাদেশ গড়তে। উনি বিদেশে আছেন, এটি দুঃখজনক। কিন্তু তিনি বিদেশে থেকে যা শিখেছেন, তা নিয়ে দেশে ফিরবেন যার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানুষের কাজের মান খুবই উন্নত। তাদের দক্ষতা বাড়াতে কাজ করলে দেশে এগিয়ে যাবে। নিজের এলাকার পাশাপাশি দেশের জন্য কাজ করতে চাই।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে রেজা কিবরিয়া বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আমি আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানাই।
তিনি আরও বলেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। বিএনপির ৩১ দফার আলোকে রেজা কিবরিয়া বাংলাদেশ গঠন ভূমিকা রাখতে পারবেন।
রেজা কিবরিয়া হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চান। বিএনপির আগামী সংসদ নির্বাচনে জন্য ২২৭ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেখানে হবিগঞ্জ-১ আসনটি ফাঁকা রেখেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেজা কিবরিয়া বিএনপির জোটসঙ্গী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে একই আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে রেজা কিবরিয়া গণফোরামে যোগদান করে পরে দলটির সাধারণ সম্পাদক হন। পরে তাকে কেন্দ্র করে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এরপর তিনি ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেন। সেখানে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সেখানে তাকে কেন্দ্র করে দলটিও দুই ভাগে বিভক্ত হয়।
১৪ দিন আগে
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার মাঝে বিএনপির ‘বিজয় মশাল রোড শো’ স্থগিত
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বিজয় দিবসের গৃহীত কর্মসূচি স্থগিত করেছে দলটি।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছি। এই স্থগিতের কথা আপনাদের জানালাম। কারণ, আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছিল সারা বাংলাদেশে, বিশেষ করে বিভাগীয় হেডকোয়ার্টারে। আমাদের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে যেখানে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সেখান থেকে শুরু হতো। আগামীকাল এই রোড শো করে বিভিন্ন বিভাগে এসে একটি সভা হতো। সেই সভার পর আবারও তার পরদিন রোড শো করে আরেকটি বিভাগীয় শহরে সেই সভাটি হতো।’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কারণেই এই মশাল রোড শো কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান রিজভী। খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য এ সময় তিনি সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানান।
এর আগে, শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিজয়ের মাস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এর মধ্যে ছিল সারা দেশে ‘বিজয় মশাল রোড শো’ এবং ১৬ ডিসেম্বর মানিক মিয়া এভিনিউতে বিশাল সমাবেশ, পাশাপাশি ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আলোচনা ও অন্যান্য অনুষ্ঠান।
মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে গত ২৩ নভেম্বর রাতে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা করে খালেদা জিয়ার বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগে থেকেই থাকা হৃদরোগের সঙ্গে এই সংক্রমণ ফুসফুস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সিসিইউতে তার চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৫ দিন আগে
লালমনিরহাট জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত এসব নেতাকর্মী দলের দুঃসময়ে পাশে থাকলেও ৫ আগস্টের পর অবমূল্যায়নের অভিযোগ এনে দলত্যাগ করেন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা বিএনপিতে যোগ দেন। এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান নবাগতদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া ছাত্রশিবির কর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রশিবিরের কর্মী ছিলাম। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমার নামে ৪টি মামলা হয়। গত ৫ আগস্টের পর সরকার পরিবর্তন হলে জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী আর আমাকে চেনে না। দেখা হলেও কথা বলে না।
তিনি বলেন, আমার সকল মামলার জামিন করিয়েছেন লালমনিরহাট-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান। তাই আমি বিএনপিতে যোগদান করেছি।
আরেক জামায়াত নেতা মনিরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার ছেলে ছাত্রশিবিরের কলেজ শাখার সেক্রেটারি ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমার ছেলের নামে ১৬টি মামলা হয়। কিন্তু সরকার পতনের পর ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোনো মূল্যায়ন করেনি জামায়াতের নেতারা। জামায়াতের রাজনীতি করে আমি এখন সর্বশান্ত, তবুও এই সুদিনে কোনো মূল্যায়ন পাইনি। তাই বিএনপিতে যোগদান করেছি।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান বলেন, আমরা দল-মত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার আদর্শে বিশ্বাসী। আজকে যারা জামায়াত থেকে বিএনপির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের দলে যোগদান করেছে, তাদের স্বাগত জানাই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্য সচিব আফজাল হোসেন মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুবেল ইসলাম ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।
১৫ দিন আগে
খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে পরিবার: মাহদী আমিন
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেই তাকে লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
পোস্টে মাহদী আমিন লেখেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যেন আজ পুরো বাংলাদেশের আবেগ, আকাঙ্খা ও অনুভূতির প্রকাশ। এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও, তার চিকিৎসা মূলত দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি চিকিৎসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান।’
তিনি লিখেছেন, ‘অনেকেই হয়তো জানেন না, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে দেশ-বিদেশে সমন্বয়ের মূল দায়িত্ব পালন করছেন ডা. জুবাইদা রহমান। আর সেখান থেকেই মমতাময়ী মায়ের চিকিৎসায় যেন কোনো ধরনের বিলম্ব বা সীমাবদ্ধতা না ঘটে, তার জন্য তারেক রহমান সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও অটল দৃঢ়তা নিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ তদারকি ও পরিচালনা করছেন।
‘তাছাড়া দেশনেত্রীকে দেখতে বিপুল সংখ্যক মানুষ হাসপাতালে ছুটে গেলেও, সিসিইউর ভেতরে ঢুকতে পারছেন না। ইনফেকশনের প্রবল ঝুঁকির কারণে সেখানে প্রবেশের অনুমতি নেই। দূর থেকেই মানুষ তার প্রতি ভালোবাসা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।’
তারেক রহমানের উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘আমরা যতটুকু শুনেছি, দেশবাসীর দোয়া ও ভালোবাসায় সিক্ত আপোষহীন নেত্রীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে, তাকে লন্ডনে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরিকল্পনা করছে জিয়া পরিবার। এই বছরেই লন্ডনের যে হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের অধীনে চার মাস থেকে তিনি অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন, তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছেন তারেক রহমান ও তার স্ত্রী। সেই লক্ষ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।’
আশা প্রকাশ করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ইনশাআল্লাহ দ্রুত উন্নতি হবে, তিনি আধুনিক চিকিৎসা শেষে সন্তান-স্বজনসহ মুক্ত মাতৃভূমির মানুষকে বরাবরের মতোই অনুপ্রাণিত করবেন, জাতির অভিভাবক হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন ও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। আজ দেশের মানুষের প্রত্যাশা, প্রার্থনা ও আবেগ এই দৃঢ় বিশ্বাসকে কেন্দ্র করেই।’
মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে গত ২৩ নভেম্বর রাতে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা করে খালেদা জিয়ার বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগে থেকেই থাকা হৃদরোগের সঙ্গে এই সংক্রমণ ফুসফুস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সিসিইউতে তার চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, মায়ের অসুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১৬ দিন আগে
জেলে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়: মির্জা আব্বাস
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা স্বাভাবিক নয় দাবি করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ তুলেছেন, জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে ‘স্লো পয়জনিং’ করা হয়েছিল।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত রূপসী বাংলা আলোকচিত্রী প্রদর্শনী ও প্রতিযোগীতা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, জাতির প্রতি অনুরোধ করব, প্রতিটি বাড়িতে প্রতিটি মানুষ যেন খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করেন। তার ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তা আমি দেখেছি। জেলে থাকাকালে তিনি স্লো পয়জনিংয়ের শিকার হয়েছেন। তার বর্তমান অসুস্থতা স্বাভাবিক নয়।
খালেদা জিয়া আগের তুলনায় কিছুটা উন্নতির দিকে থাকলেও এখনো সংকট কাটেনি উল্লেখ করে ‘জনগণের প্রিয়’ এই নেত্রীর সুস্থতার কামনায় তিনি সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানান।
এর আগে, গতকাল (শুক্রবার) বিএনপি চেয়ারপারসনের সংকটাপন্ন অবস্থার খবর শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনিও বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতির খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও।
মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে গত ২৩ নভেম্বর রাতে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা করে খালেদা জিয়ার বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগে থেকেই থাকা হৃদরোগের সঙ্গে এই সংক্রমণ ফুসফুস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সিসিইউতে তার চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৬ দিন আগে
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাষ্ট্রপতির উদ্বেগ প্রকাশ
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ সাগর হোসেনের গণমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেছেন, গণতন্ত্র উত্তরণের এই সন্ধিক্ষণে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। মহান আল্লাহর নিকট তার সুস্থতা এবং একই সঙ্গে দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করি।
এর আগে, গতকাল (শুক্রবার) বিএনপি চেয়ারপারসনের সংকটাপন্ন অবস্থার খবর শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনিও বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি নিয়মিতভাবে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসের চিকিৎসায় সরকার সবধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে গত ২৩ নভেম্বর রাতে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা করে খালেদা জিয়ার বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগে থেকেই থাকা হৃদরোগের সঙ্গে এই সংক্রমণ ফুসফুস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সিসিইউতে তার চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, মায়ের অসুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও।
১৬ দিন আগে
দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়: তারেক রহমান
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের সিসিইউয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দেশের সর্বস্তরের নাগরিকের আন্তরিকতা ও প্রার্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে, বর্তমান সংকটকালে মায়ের স্নেহস্পর্শ লাভের তীব্র আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে তার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ সীমিত।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ ও সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন। তার রোগমুক্তির জন্য দল-মত নির্বিশেষে দেশের সকল স্তরের নাগরিক আন্তরিকভাবে দোয়া অব্যহত রেখেছেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার রোগমুক্তির জন্য দোয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার সর্বত সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
দেশ বিদেশের চিকিৎসক দল বরাবরের মত তাদের উচ্চমানের পেশাদারত্ব ছাড়াও সর্বোচ্চ আন্তরিক সেবা প্রদান অব্যহত রেখেছেন। বন্ধুপ্রতীম একাধিক রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও উন্নত চিকিৎসাসহ সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে।
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, খালেদা জিয়ার প্রতি সকলের আন্তরিক দোয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শন করায় জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে তার আশু রোগমুক্তির জন্য সকলের প্রতি দোয়া অব্যহত রাখার জন্য ঐকান্তিক অনুরোধ জানাচ্ছি।
তারেক লিখেছেন, এমন সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সবার মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। স্পর্শকাতর এই বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত। রাজনৈতিক বাস্তবতার এই পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়ামাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।
১৬ দিন আগে
ফরিদপুরে বিএনপির দুপক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করেন। তার সই করা লিখিত আদেশের একটি কপি ‘ইউএনও আলফাডাঙ্গা’ নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও রাসেল ইকবাল জানান, জারি করা পত্র অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় প্রশাসন থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে আজ (শনিবার) বিকেলে পৌর সদরের আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর-১ আসনের দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের।
অপরদিকে, বিকেল ৩টায় আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের আরিফুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে, গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় এবং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আরেকটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর।
দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যাতে না ঘটে, সেই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েই ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভার স্কুল, মাঠ ও বাজার এলাকায় শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ-মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সব ধরনের দেশীয় অস্ত্র বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খসরু বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। হঠাৎ করে দেখলাম, ঝুনু সমর্থকরা প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য মাইকিং করছে। দুই পক্ষের সমাবেশের জন্য প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এক্ষেত্রে সমাবেশ করব কি করব না, বিষয়টি জেলা কমিটির সঙ্গে কথা বলে পরে সিদ্ধান্ত নেব।
শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু-সমর্থিত আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোসবুর রহমান খোকন বলেন, উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে এবং গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে যেহেতু প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে, সেহেতু আমরা কর্মসূচি সফল করার জন্য মাঠে থাকব।
জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির বর্তমান সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু (ভিপি ঝুনু)।
গত ২১ অক্টোবর ১০ বছর পর ফরিদপুর-১ আসন (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা) এবং পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। তিনটি উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটিতে প্রাধান্য পান কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থকরা। এ নিয়ে নাসির মিয়া ও ভিপি ঝুনু মিয়ার মধ্যে দলীয় কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করে।
কমিটি ঘোষণার পর থেকে বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল অব্যাহত রাখেন ভিপি ঝুনু মিয়া। গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বোয়ালমারীতে আলাদা আলাদা সমাবেশ ডাকে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম গ্রুপ ও ঝুনু গ্রুপ। একপর্যায়ে সমাবেশ রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় রূপ নেয়। সহিংসতায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপনসহ দুই পক্ষের ১৫–২০ জন আহত হন। এ ঘটনায় দুই পক্ষের প্রধান দুই নেতাকে আসামি করে স্থানীয় থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।
১৬ দিন আগে