বিএনপি
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা একদমই ভালো না: আইন উপদেষ্টা
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা একদমই ভালো নয় জানিয়ে তার জন্য সবাইকে দোয়া করতে বলেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস।
রাত পৌনে ১২টার দিকে তারা সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা হাসপাতালে গেলে সেখানে উপস্থিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও তাদের কথা হয়।
পরে রাত ১টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে আইন উপদেষ্টা লেখেন, ‘এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এখনি ফিরলাম। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা একদমই ভালো না। সবাই দোয়া করবেন উনার জন্য।’
এর আগে, গতকাল (শুক্রবার) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘গত রাতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
১৬ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুরুতর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নেত্রীকে নিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিবৃতিতে যে সৌজন্য ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে, সে জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, তিনি নিয়মিত খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন এবং তার সুচিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই সময়ে বেগম খালেদা জিয়া জাতির জন্য অনুপ্রেরণা, তার সুস্বাস্থ্য দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ‘বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় কোনো ধরনের ঘাটতি রাখা যাবে না। সরকার সকল প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।’
২৩ নভেম্বর রাতে হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসে সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি নিউমোনিয়ায়ও ভুগছেন ও বর্তমানে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
১৬ দিন আগে
খালেদার জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’, দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান ফখরুলের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) নয়াপল্টন সেন্ট্রাল জামে মসজিদে বিশেষ জুমা প্রার্থনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ফখরুল এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘গত রাতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
ফখরুল দলের পক্ষ থেকে দেশের সকলের কাছে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য প্রার্থনার আবেদন জানান।
১৭ দিন আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারে নেতাকর্মীদের ওপর জামায়াতের হামলায় বিএনপির তীব্র নিন্দা
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকালে বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের ওপর জামায়াতে ইসলামী সমর্থকদের পরিকল্পিত হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সশস্ত্র জামায়াত কর্মীরা বিএনপির নির্বাচনী মিছিলে হামলা চালায়। এতে বিএনপির ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল নিজেই হামলার নেতৃত্ব দেন। তারা ভোটারদের ধর্মীয় উসকানি ও বিতর্কিত কৌশল—যেমন ‘জান্নাতের টিকিট বিক্রি’—ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালানো বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপরও অতর্কিতে হামলা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত একটি ছবিতে জামায়াত কর্মী তুষারকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে হামলা চালাতে দেখা গেছে। এ ঘটনার সত্যতা আড়াল করতে কিছু গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
দলটি বলেছে, এ হামলা জামায়াতে ইসলামী’র উগ্র প্রবণতা ও চরমপন্থী চরিত্রকে উন্মোচিত করেছে। লাখো সমর্থক থাকা সত্ত্বেও বিএনপি সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক চর্চায় অটল রয়েছে।
‘সংযমকে দুর্বলতা মনে করা ঠিক হবে না,’ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিএনপি দাবি করেছে, ঘটনা তদন্তে দ্রুত সরকারি উদ্যোগ ও দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চর গোরগরি এলাকায় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
১৭ দিন আগে
জামায়াত নেতা ডা. তাহেরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় হাসপাতালে আসেন তিনি।
জামায়াতের প্রচার বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি মুজিবুল আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এ সময় ফখরুল ডা. তাহেরের খোঁজ-খবর নেন, তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। মির্জা ফখরুল ডা. তাহেরের দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করেন।
১৮ দিন আগে
খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারের সিসিইউতে স্থানান্তর
হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। এ অবস্থায় তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘ম্যাডামকে সিসিইউতে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডে যুক্ত আছেন।’
বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য সায়রুল কবির খান ইউএনবিকে জানান, দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে, খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপি সারা দেশে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করেছে বলে জানিয়েছেন শায়রুল কবির খান। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বাদ জুমা দোয়া ও মোনাজাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
১৮ দিন আগে
সারা দেশে বাউলদের ওপর হামলায় মির্জা ফখরুলের নিন্দা
বাউল শিল্পীদের ওপর হামলার ঘটনাকে ‘ন্যাক্কারজনক’ আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এই হামলাকে ‘উগ্র ধর্মান্ধদের হামলা’ বলে মনে করেন এবং এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ কর্মীদের জ্বালিয়ে দেওয়া বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সংস্কার করে নির্মিত নতুন ভবন উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি মনে করি বাউলদের ওপর হামলা এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এটা নিশ্চিত যে বাংলাদেশের যে আবহমান সংস্কৃতি, গ্রামীণ বাংলার সংস্কৃতি, আমাদের বাউল যারা, তারা বাংলাদেশের মাঠে-ঘাটে প্রান্তরে এই বাউল গান গেয়ে বেড়ান। তাদের ওপর হামলা, এটা একটা উগ্র ধর্মান্ধদের হামলা বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, এই ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসার পথ বেছে নেওয়া কারো জন্যই শোভনীয় নয়। আমরা অবশ্যই এটার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করি।
রাজধানীর কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে সহস্রাধিক মানুষের ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা শহরে অনেক বস্তি আছে, তার মধ্যে কড়াইল বস্তিটা সব থেকে বড়। এখানে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করে এবং সবাই দরিদ্র, নিঃস্ব মানুষ।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার বাসায় যে মহিলা রান্না করে, তারও বাসা সেখানে। তার বাড়িটিও পুড়ে একদম নিঃশেষ হয়ে গেছে। এটা এই দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য একটা চরম আঘাত। আমি সরকারের কাছে দাবি করব, সরকার যেন এদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও প্রতিরোধ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, আমাদের যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকেন, বিশেষ করে গার্মেন্টস অথবা কারখানাগুলোতে, তাদের কিছুটা নেগ্লিজেন্সি (অবহেলা), অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং আইন না মেনে চলা—সবকিছু মিলে এই অগ্নিকাণ্ডগুলো ঘটে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়, সত্যিকারে অর্থে যদি আইনের প্রয়োগ হয় এবং যথাযথ অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা থাকে, তাহলে এগুলোকে এড়ানো অনেক সহজ।
কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকৃত ঘটনাকে বের করে যদি প্রকৃতপক্ষে কোনো ব্যক্তি দায়ী হয়ে থাকে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আমি দাবি জানাচ্ছি।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, আমি এগুলোকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মনে করি না, বরং আমি মনে করি, আমাদের যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন: কলকারখানা, গার্মেন্টস—এসবের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের অবশ্যই অবহেলা রয়েছে। যদি সত্যিকারের আইনের প্রয়োগ হয় এবং যথাযথ অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকে তাহলে খুব সহজেই এসব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
কিছু আসনে এখনো প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা খুব শিগগিরই বাকি আসনগুলোতেও মনোনয়ন দেব এবং দেশবাসী তা দেখতে পাবে। আমরা যোগ্য প্রার্থীদেরই মনোনয়ন দেব।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ দলটির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
১৯ দিন আগে
নির্বাচনে জিতলে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি, তারেক হবেন প্রধানমন্ত্রী: বুলু
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি এবং তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ৫০ শতাংশ ভোটার হচ্ছেন নারী। এই মায়েদের ভোটে খালেদা জিয়া ৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ভোটে এই মা-বোনরাই ভোট দিয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করবেন। ইনশাআল্লাহ খালেদা জিয়া বেঁচে থাকবেন এবং এই ভোটের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হবেন, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। এটাই হলো আগামী দিনের বাংলাদেশ। এর বাইরে যদি কিছু হয় এই বাংলাদেশ থাকবে না।’
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে ভাসানী ভবনে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে জিয়া মঞ্চ আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও কোরআন খতম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুলু বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আজ অসুস্থ। কিন্তু দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তার বেঁচে থাকা প্রয়োজন।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে এবং দেশের অস্তিত্বকেও ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে।
বুলু বলেন, দেশকে এই ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত করতে জাতীয়তাবাদী শক্তির এখন ঐক্য প্রয়োজন। বেগম খালেদা জিয়া সেই ঐক্যের প্রতীক। আসুন, সবাই তার জন্য দোয়া করি। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যেন আগের মতোই আমাদের মাঝে ফিরে কাজ করতে পারেন। তিনি আমাদের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অনুপ্রেরণার উৎস।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে বিভিন্ন দল ও শ্রেণিপেশার মানুষ একত্র হলেও এটিকে পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দলে রূপ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। ৯ বছর ধরে সারা দেশে ঘুরে তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে বিএনপিকে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন এবং দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ৩১ দফা বাংলাদেশের আগামী ১০০ বছরের মুক্তির সনদ। এর বাইরে গিয়ে কেউ কোনো নতুন সংস্কারের রূপরেখা দিতে পারবে না। আর সংস্কার একটি চলমান রূপরেখা। পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে কেয়ামত পর্যন্ত সংস্কার চলতেই থাকবে। এটার কোনো শেষ নেই।
এ সময় ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারকারীদেরও সমালোচনা করেন বুলু। তিনি বলেন, জাতি এখন কঠিন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। অনেকে ধর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা করছে, ইসলামের নাম ভাঙিয়ে করছে রাজনীতি।
দেশবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে তাদের হাত থেকে, যারা এটিকে আফগানিস্তান, সিরিয়া বা ইরাকের মতো বানাতে চায়।
এ সময় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা কামনা করে দোয়া এবং কোরআন খতম দেওয়া হয়।
২০ দিন আগে
বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যাচ্ছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র উত্তোরণের পথে যাচ্ছে, সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে। কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্ববর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছেন এবং বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল তাদের ক্যান্ডিডেট ঘোষণা করেছে। নির্বাচনের আবহাওয়া শুরু হয়ে গেছে।
‘সুতরাং আমরা আশাবাদী, কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই ২৬-এর ফেব্রুয়ারির প্রথম এবং মধ্যবর্তী সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে আমি মনে করি যথেষ্ট উপযোগী আছে। এখন আর এমন কোনো পরিস্থিতি নেই, যেখানে আপনার নির্বাচন ব্যাহত হবে; সেটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
বিএনপিকে একটি ‘বিশাল রাজনৈতিক দল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি (বিএনপি) স্রোতস্বতী নদীর মতো। এখানে একেকটা আসনে ৪/৫ জন করে প্রার্থী থাকে। কিছু তো সমস্যা হবেই। এগুলো বরাবরই হয়ে আসছে। এতে কোনো অসুবিধা নাই। এটা হওয়াতেই বোঝা যায়, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল।’
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য আইনজীবীরা।
২০ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে স্বাধীন গণমাধ্যম তৈরি করবে বিএনপি: ফখরুল
সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন বা মেরুকরণের ফলে তারা নিজেরাই রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম নিশ্চিত করবে বিএনপি।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার) খুব পরিষ্কার। আপনারা দেখেছেন যে আমরা ৩১ দফায় খুব পরিষ্কার করেই বলেছি যে আমরা একটা স্বাধীন গণমাধ্যম দেখতে চাই এবং আমরা সেটাকে তৈরি করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে গণমাধ্যম সংস্কারে কমিশন করার পরিকল্পনা ছিল বিএনপির। ইতিমধ্যে সেই কমিশন করা হয়েছে। তবে কমিশনের প্রতিবেদন তৈরি হলেও সেটি নিয়ে পরবর্তীকালে কোনো আলোচনা হয়নি।
‘আমরা আশা করি, সরকার পরিচালনার দায়িত্ব যদি জনগণের মাধ্যমে পাই, তাহলে আমরা নিঃসন্দেহে এটাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখব বলে বিশ্বাস করি।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘একটা কথা না বলে পারছি না, আপনাদের সাংবাদিকদের তো অনেকগুলো ইউনিয়ন আছে—বিএফইউজে, ডিইউজে। আবার দুই দলের দুই ভাগ আছে, তিন ভাগ…
‘নিজেরাই তো আপনারা দলীয় হয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের পকেটে ঢুকতে দিতে চায় না, কিন্তু আপনারাই যদি পকেটে ঢুকে যান, তখন কিন্তু দ্যাট বিকামস্ অ্যা প্রবলেম।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি তো গত ১৫ বছরে কী হয়েছে? গত ১৫ বছর আপনারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ফ্যাসিস্টকে সমর্থন করেছেন। এটা আমাদের দেখা, এ দেশের মানুষের দেখা। সেই জায়গাগুলোতে আপনাদেরও কমিটমেন্টের প্রয়োজন আছে, আপনারা ওই জায়গাগুলো থেকে নিজেরা বাইরে থাকবেন। আপনাদের কমিটমেন্ট থেকে জনগণের কাছে স্বাধীন সাংবাদিকতা করবেন।’
বিএনপি ক্ষমতায় গেলেই সংবাদমাধ্যমের উন্নয়ন হয় দাবি করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। দেশের সমস্ত পত্রিকাগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মাত্র চারটি পত্রিকা ছাড়া, সে পত্রিকাগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে চলছিল।
‘এ অবস্থা থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্র পরিচালনায় এসছেন, তখন তিনি একটা মুক্ত স্বাধীন সংবাদপত্রের ব্যবস্থা করেছেন। তখন অনেক সংবাদপত্র বেরিয়ে এসেছে এবং মাধ্যমগুলো চালু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরবর্তীকালে দেখেছি, বিএনপি যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে, তখনই গণমাধ্যমকে উন্নত করবার জন্য অনেকগুলো ব্যবস্থা নিয়েছে। তার মধ্যে আজকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আমরা দেখছি, সেই সময় কিন্তু কাজগুলো শুরু হয়েছিল।’
রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে খেদ প্রকাশ করে এ প্রবীণ রাজনীতিক বলেন, ‘সংস্কার যদি আমরা হৃদয়ে ধারণ না করি, মনের মধ্যে না নিই; তাহলে এভাবে সংস্কার কতটুকু সম্ভব হবে আমি জানি না।’
মতবিনিময় সভায় বিএনপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, সিপিবি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজেসির নির্বাহী মিলটন আনোয়ার। বিজেসির ট্রাস্টিদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন তালাত মামুন ও ফাহিম আহমেদ। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন।
বিজেসির আট দফা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—সম্প্রচারমাধ্যমের জন্য আলাদা আইন প্রণয়ন, একটি স্বাধীন জাতীয় সম্প্রচার কমিশন গঠন, টিভি চ্যানেলগুলোকে পে-চ্যানেল ঘোষণা করা ও সম্প্রচারমাধ্যমকে শিল্প ঘোষণা এবং সম্প্রচার সাংবাদিকদের জন্য জবাবদিহিমূলক ‘কোড অব এথিকস’ প্রণয়ন; টিভি লাইসেন্স নীতিমালা ও মালিকানার ধরন নির্ধারণ, পরিচালনা পর্ষদে কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার মতো কাঠামোগত সংস্কার, স্বাধীন অ্যাক্রেডিটেশন কর্তৃপক্ষ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সাংবাদিকতার নীতিমালার প্রণয়ন ইত্যাদি।
২১ দিন আগে