আইনশৃঙ্খলা
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ফের হামলা, অগ্নিসংযোগ
কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফের হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর আগে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তাদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সমাবেশ শেষে তারা গণঅধিকার পরিষদের পল্টন কার্যালয়ে ফিরে যান। এর অল্প সময় পরেই জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, রাত সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পড়ুন: মৌচাকে লড়ির ধাক্কায় শিশুসহ ৫ জন আহত
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, শাহবাগে যারা সমাবেশ করেছে, তারাই এ ঘটনার জন্য দায়ী।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট একই কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয়েছিল।
১০১ দিন আগে
সিলেট সীমান্তে ৪২ লাখ টাকার ভারতীয় চকলেট, মদ ও গরু জব্দ
সিলেট সীমান্তে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) বিশেষ অভিযানে ভারতীয় চকলেট, মদ, গরু ও বিভিন্ন ধরনের মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এসবের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯৪০ টাকা।
বিজিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কানাইঘাট উপজেলার সুরাইঘাট বিওপি এলাকা থেকে ৫ কিলোমিটার ভেতরে অভিযান চালানো হয়। এসময় মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় আই বল চকলেট ৩ হাজার ৯০০ পিস, কিটক্যাট ৫০৪ পিস, ডেইরি মিল্ক ৩৯ হাজার ৩৬০ পিস এবং চোরাচালানে ব্যবহৃত একটি টাটা পিকআপ জব্দ করা হয়। এসবের বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ১৪০ টাকা।
এ ছাড়া শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে জৈন্তাপুর, লালাখাল, গুয়াবাড়ী ও লক্ষীবাজার বিওপি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় মদ ৪৭ বোতল, ৬টি গরু, ২৩৯ কেজি জিরা ও ৫ হাজার ৪০ পিস বেটনোভেট ক্রিম জব্দ করা হয়। এসবের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৮০০ টাকা।
জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার জানান, জব্দকৃত ভারতীয় চকলেট ও ওষুধ কাস্টমসে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
১০১ দিন আগে
লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম পান্নার জামিন নামঞ্জুর
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) থেকে আটকের পর রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম পান্নার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াস তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।শুনানির শুরুতে জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন ওই দুই আসামির আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি।
আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন আদালতকে বলেন, ‘গত ২৮ আগস্ট ডিআরইউতে ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং আমাদের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক ছিল। ৭১ মঞ্চ সেই বৈঠকের আয়োজক ছিল। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তির আলোচনা ছিল। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো তৎপরতা সেখানে ছিল না। তবে ড. কামাল হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
এই আবেদনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. শামসুদ্দোহা সুমন।শুনানি শেষে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল ইসলাম পান্নার জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের লক্ষ্যে ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
এই সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
সেগুনবাগিচায় বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এর মধ্যে এক দল ব্যক্তি হট্টগোল করে স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়েন।
একপর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানস্থলের দরজা বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করেন। হট্টগোলকারীরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং আলোচনায় অংশ নেওয়াদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
একপর্যায়ে অতিথিদের অনেককে বের করে দেওয়া হলেও আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরে পুলিশ এসে ১৬ জনকে আটক করে।
এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন এসআই আমিরুল ইসলাম। পরে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, দেওয়ান মোহম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন।
১০২ দিন আগে
দুদকের মামলায় খালাস পেলেন বিএনপির টুকু, মীর নাসির ও মীর হেলাল
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে প্রায় দেড় যুগ আগে দায়ের করা দুদকের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মীর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন ও মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আসামিদের আপিল মঞ্জুর ও হাইকোর্টের সাজার রায় বাতিল করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।
মীর নাসির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ গুলশান থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ৪ জুলাই মীর নাসিরউদ্দিনকে ১৩ বছর এবং মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাসিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেয়। পরে হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ৩ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে।
একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে বাবা–ছেলের করা পৃথক আপিল হাইকোর্টে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আপিলের ওপর পুনরায় শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। এই রায়ে মীর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিনকে ১৩ বছরের এবং মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে তিন বছরের সাজা বহাল রাখা হয়। এর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে তারা পৃথক লিভ টু আপিল করেন।
শুনানি শেষে এই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সাজা স্থগিত করার আদেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাদের সাজার রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ রায় দেন।
অন্যদিকে, ৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলায় টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেয়।হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে, ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে ফের শুনানির আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে টুকু আবেদন করেন, পরে সে আবেদন খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। ২০২৩ সালের ২৬ জুলাই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ টুকুর ৯ বছরের সাজার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন।
আদালতে রায় পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সেই বছর ১১ সেপ্টেম্বর টুকু আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
১০২ দিন আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবর্ষণ: রাজধানী থেকে শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার জড়িত থাকায় ধানমন্ডি থানা শ্রমিক লীগের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি আব্দুল হালিম শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-২ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তে আব্দুল হালিম শেখের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপর সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল হালিম শেখ গুলিবর্ষণের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, সিআইডির তদন্ত অনুযায়ী, হালিম শেখ আন্দোলন দমন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৪ বছর বয়সী কিশোর আব্দুল্লাহ সিদ্দিক গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ গুম করারও চেষ্টা হয়েছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় আন্দোলনের সমন্বয়ক ফাইয়াজ আহমেদ রাতুল আদালতে অভিযোগ করলে আদালতের নির্দেশে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল হালিম শেখকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে এবং মামলার রহস্য উদঘাটন ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা চলছে।
১০২ দিন আগে
গ্রেনেড হামলা: তারেকসহ সব আসামির খালাসের রায় আপিলেও বহাল
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস করে হাইকোটের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে তারেক রহমান-বাবরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এ সময় বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে ১৯ মার্চ এ মামলায় সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। দীর্ঘদিন শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: সব আসামি খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়। নিহত হন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতা-কর্মী।
ভয়াবহ এ হামলার তদন্তে নামে বিএনপি–জামায়াত জোট সরকার। হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সে সময় অভিযুক্ত হন ২৮ জন। অভিযোগপত্র দেয় সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শুরু হয় বিচার।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নতুন করে তদন্ত শুরু করে। টানা ৪১০ দিন টিএফআই সেলে নিয়ে পুনরায় স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় মুফতি হান্নানের। সম্পূরক চার্জশিটে যুক্ত করা হয় তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদসহ আরও অনেককে।
আলোচিত এ মামলায় ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত ফাঁসির দণ্ড দেন বাবরসহ ১৯ জনকে। যাবজ্জীবন হয় তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনের।
তবে ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর ওই রায় বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, সম্পূরক চার্জশিট এবং বিচারের পুরো প্রক্রিয়াই ছিল বেআইনি।
বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে এই বিচারপ্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি হলো। ফলে মুক্তি মিলেছে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সবার।
১০২ দিন আগে
টঙ্গীতে ম্যানহোলে নারীর মৃত্যু: ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে হাইকোর্টের নির্দেশ
গাজীপুরের টঙ্গীতে ম্যানহোলে পড়ে ফারিয়া তাছনিম জ্যোতি (৩২) নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্থানীয় সরকার সচিব, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, গাজী সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) জনস্বার্থে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)-এর দায়ের করা এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
রুলে টঙ্গীর ওই ড্রেনটি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং এ ঘটনার জন্য দায়ী সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এবং আইনি ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে দেশের সব খোলা ড্রেন ও ম্যানহোলের উন্মুক্ত মুখে ঢাকনার ব্যবস্থা করা, দৃশ্যমান স্থানে সতর্কতামূলক চিহ্ন স্থাপন করা, তদন্তের ফলাফল এবং গৃহীত পদক্ষেপসমূহ জনসমক্ষে কেন প্রকাশ করা হবে না— তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া রুলে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে স্থানীয় সরকার এবং মহাসড়ক কর্তৃপক্ষকে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, গাজীপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আনিতা গাজী রহমান, আইনজীবী শাহীন আহমেদ, ব্যারিস্টার জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খান জিয়াউর রহমান।
আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার আনিতা গাজী রহমান সাংবাদিদের বলেন, গত ২৭ জুলাই গাজীপুরের টঙ্গীতে ম্যানহোলে পড়ে ফারিয়া তাছনিম জ্যোতি (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। ওই মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এরপর গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) সম্প্রতি হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করে। সে রিটের শুনানি নিয়ে আজ হাইকোর্ট রুলসহ ওই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
গত ২৯ জুলাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘৩৭ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযান, ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ তাছনিমের মরদেহ মিলল বিলে’ শিরোনামে সংবাদে বলা হয়, গত ২৭ জুলাই রাত অনুমান ৮টা ১০ মিনিটে ফারিয়া তাছনিম জ্যোতি (৩২) নামে একজন নারী গাজীপুর জেলার টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন ইম্পেরিয়াল আই কেয়ার হসপিটাল এবং ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে একটি খোলা ম্যানহোলে পড়ে যান।
পরবর্তীতে মৃত অবস্থায় ওই নারীকে ঘটনাস্থল থেকে আরও ২/৩ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থান, টঙ্গী শালিকচূড়া বিলের কচুরিপানা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ৩৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেন।
১০৩ দিন আগে
নির্বাচনের আগে নিয়োগ-পদোন্নতির মাধ্যমে পুলিশে যুক্ত হবে ৪ হাজার এএসআই: আইজিপি
নির্বাচনের আগে নতুন করে নিয়োগ ও পদোন্নতি দিয়ে পুলিশে আরও চার হাজার এএসআই যুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, নতুন এএসআইয়ের অর্ধেক সরাসরি নিয়োগ এবং বাকি অর্ধেক পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর পুলিশ মহাপরিদর্শক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, 'পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিলেন, পুলিশ রেগুলেশনের দুই একটি সংশোধনের মাধ্যমে তাদের বড় ধরনের নিয়োগ চলছে। নিয়োগটা যাতে দ্রুত হয়, সেজন্য একসঙ্গে বসে আমরা মিটিং করলাম। আমরা যদি আজকে অর্ডারটা করে দিতে পারি, তাহলে এএসআই-সহ অন্যান্য যে নিয়োগ চলছে সেগুলো দ্রুত হবে।'
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, 'চার হাজার এএসআই নিয়োগ দেওয়া হবে। এরমধ্যে অর্ধেক হবে পদোন্নতি এবং বাকি অর্ধেক হবে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে। সেই বিষয়ে আজকে আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসেছিলাম। বিধিতে কিছু সংশোধনের প্রয়োজন ছিল ওনারা করে দিচ্ছে। এতে আমাদের নিয়োগের পথটা একটু সুগম হলো।'
এটা কি আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'জি, আপনারা জানেন প্রধান উপদেষ্টা কিছুদিন আগে বেশ কিছু ফোর্সের নিয়োগের বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। সেগুলোই আসলে আমরা ওয়ার্ক আউট করছি।'
মোখলেস উর রহমান বলেন, 'অর্থ মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা এই পদগুলো (এএসআই-সহ যেসব পদে নিয়োগ হচ্ছে) সৃজন করেছি। এখন এই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু বিধিমালা ছিল, সেগুলো কিছু কিছু জায়গায় সংশোধন হয়েছে। নির্বাচনের মাঠে প্রথম যে বাহিনী থাকে সেটি পুলিশ, আনসারও থাকে।'
জনপ্রশাসন সচিব আরও বলেন, পুলিশের একদিকে নিয়োগ, অন্যদিকে ট্রেনিং চলছে। সিপাহী এবং আরেকটু ওপরে পর্যন্ত পুলিশ সুপাররাই নিয়োগ করে থাকে। সেগুলো চলছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই যাতে এ বাহিনী প্রস্তুত হতে পারে সেই কাজটি আমরা গতিশীল করলাম।'
১০৩ দিন আগে
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতই থাকছে, ৯ সেপ্টেম্বরই ডাকসু নির্বাচন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতই রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে আর কোনো বাধা রইল না।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে রায়ে বলা হয়েছে।
এদিন আদালতে ঢাবির পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির, রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং ডাকসুর জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদের পক্ষে ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী শুনানি করেন।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম এ রিট দায়ের করেন।
রিটে অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্যানেলে প্রার্থী হলেন— এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন ভন্ডুলের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
এরপর গেল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে কোন প্রক্রিয়ায় ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন, বাছাই ও চূড়ান্ত করা হচ্ছে এবং ভোটের প্রস্তুতির প্রক্রিয়া কী— এ বিষয়েও জানতে চান চাওয়া হয়।
তবে তার এক ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের আদালত ওই স্থগিতাদেশ দেন।
ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় পুনরায় মামলাটির বিষয়ে গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন নিয়ে চেম্বার জজ আদালতে গেলে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) শুনানির জন্য মামলার দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল।
জানা গেছে, নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারণ করা হয়। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় এবং হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: ‘৩৬ জুলাইয়ের’ সঙ্গে মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ইশতেহার ঘোষণা
চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে মোট ২১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১০৩ দিন আগে
রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পৌরসভা এলাকায় দুই দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ আদেশ জারি করেন।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত পৌরসভা এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নেতাকর্মীরা জানান, আগামীকাল বুধবার পৌরসভা এলাকার মহিষালবাড়িতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কাকনহাট পৌরসভা বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল শরীফ উদ্দিনের। গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি থেকে কাকনহাট পৌরসভা দূরত্ব ১৯ কিলোমিটার।
অন্যদিকে, গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপি বুধবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আলাদা কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট সুলতান ইসলাম তারেক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির সময় শরীফ উদ্দিনের পক্ষের অনুসারীরা বাধা দেয়। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পর পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে ইউএনও ফয়সাল আহমেদ বলেন, আগেই দুপক্ষ সভার বিষয়টি আমাদের অবগত করেছিল। যেহেতু দুই অনুষ্ঠানের দূরত্ব এক কিলোমিটার, সে কারণে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে যেহেতু অনুষ্ঠানের আগের দিনই দুপক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তাই গোদাগাড়ী পৌর এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
১০৪ দিন আগে