আইনশৃঙ্খলা
মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি রিমান্ডে, গ্রেপ্তার আরও ১ আসামি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. হারুন চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মৃত বশির আহম্মদের ছেলে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, জেলা পুলিশের একটি টিম ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। হারুন এ মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি। এ নিয়ে এ মামলার তিন আসামির সবাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই মামলার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বারকে গতকাল বুধবার আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকালে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে চরওয়াপদা ইউনিয়নে চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি নতুন বাড়িতে সিঁদ কেটে এক নারী ও তার শিশু কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘর থেকে দুটি নাকফুল, কানের দুল ও নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আবুল খায়ের মুন্সী ও মো. হারুনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে চরজব্বর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহর থেকে আবুল খায়ের মন্সীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর গতকাল মঙ্গলবার রাতে চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে আরেক আসামি মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেহেরাজ একই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: জাবি ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
জাবি ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে ৩ ফেব্রুয়ারি স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন- ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন ও মো. মুরাদ।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আল আমিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ রাজধানীর ফার্মগেট ও নওগাঁ জেলায় একযোগে অভিযান চালিয়ে যথাক্রমে মামুন ও মুরাদকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি ওই ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান খান। অন্যরা হলেন- মোস্তফা মনোয়ার ওরফে সাগর সিদ্দিকী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাব্বির হোসেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জাবি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ পর্যালোচনায় ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানান, কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যাবেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
কোকেন উদ্ধার: পেরুর নাগরিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার ওয়েস্টার্ন হোটেল থেকে তিন কেজি কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় পেরুর নাগরিক গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ান পাবলোররাফেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার আরেক আসামি মোহাম্মদ মোস্তফা আশরাফ নামে এক পাকিস্তানি নাগরিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন- মো. মোস্তফা, শামসুল হক, হালিমা খান সাদিয়া, সাবরিনা নাসরিন তানিয়া ও মো. আশরাফ নাসিম।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার সাজার বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১১ জুন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ওয়েস্টার্ন হোটেলের সপ্তম তলায় ৭০৭ নম্বর রুমে তল্লাশি চালান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এসময় পেরুর নাগরিক গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ানের কাছে থাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগের ভেতর থেকে তিন কেজি কোকেন জব্দ করা হয়।
চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বাদী মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ওবায়দুল করীম ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৫ সালের ১৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুর
গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের তিন দিনের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বুধবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক হাসিবুল হক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-সুইডেন: পলক
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে আইনজীবী চৈতন্য চন্দ্র হালদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে তিন দিনের মধ্যে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন বিচারক।
মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক হেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত: প্রধানমন্ত্রী
এদিন সকালে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলাটির দায়ের করেন গৃহকর্মী প্রীতির বাবা লুকেশ ওড়ান। মামলায় ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে এক কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়।
প্রীতি ওড়ান নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ওই ভবনের বাসিন্দা ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সালেহ মোহাম্মদকে হত্যার দায়ে ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস আলী এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামি হলেন- হাদিউজ্জামান , আরিফুল, আবু নাছের, শাহজাহান আলী, আশরাফ আলী, লাল মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আলী, জহির, শাসছুল আলম, সায়েম উদ্দিন, ওবাইদুল, সইম, রহিম, আবু সাঈদ, আবু বক্কর, রানু বেগম ও সাহেরা বেগম।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড
নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় এ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন পাঁচ আসামি। তারা হলেন- অমিছা বেগম, শহিদুল ইসলাম, বেলছি বেগম, হাফেজা ফকির ও সবদুল ফকির। দণ্ডপ্রাপ্ত সকলের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। এদের মধ্যে দুইজন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০৯ সালের ২ মে সকাল ৮টার দিকে সালেহ মোহাম্মদকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে আসামিরা। স্বজন ও এলাকাবাসী আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই পাঁচবিবি থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আজিজুল হক। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বুধবার এ রায় দেন।
জয়পুরহাটের জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩২৭ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে: বিজিবি
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে বুধবার দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে আরও ৬৩ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মোট ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২৭ জনে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনী ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের মোট ৩২৭ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের ৬৩ সেনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে যা বললেন বিজিবি মহাপরিচালক
জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিজিবি’র কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদা তৎপর রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা নিশ্চিতে সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
সেনা সদস্যসহ আরও ১২৩ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে: বিজিবি
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে যা বললেন বিজিবি মহাপরিচালক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদা তৎপর রয়েছে।
আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিজিবি’র কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মহাপরিচালক আজ সকালে বিজিবি’র কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ অংশ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন বিওপি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের খোঁজ নেন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা নিশ্চিতে সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
এ সময় তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সদা তৎপর থাকার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য দায়িত্বরত সকল বিজিবি সদস্যের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
মহাপরিচালক মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সকল সদস্যদের খোঁজ নেন এবং চিকিৎসারত বিজিপি সদস্যদের দেখতে যান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে।’
পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবি’র অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ২৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদেরকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় এবং আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে: নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুজনকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ৫ ও র্যাব-১০।
র্যাব -৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদসা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. বাইতুল হোসেন সুজন (৩৮) জয়পুরহাট পৌর এলাকার দেবীপুর- মন্ডলপুর মহল্লার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালে ২৮ জুন জয়পুরহাট পৌর এলাকার প্রামাণিক পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেনকে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মৃত মোয়াজ্জেমের বাবা বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৩ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জের হত্যা মামলার ২ আসামি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ৩১ জানুয়ারি জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন অভিযুক্ত ১১ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সুজনসহ ৬ জন আসামি পলাতক ছিলেন।
মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজর বৃদ্ধি করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদসা এলাকা থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের যৌথ দল।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার রাতে সুজনকে জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে নৌকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় ২ কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার ১৬, অস্ত্র-ককটেল জব্দ
শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে আলোচনা করে করলে ভালো হয় বলে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইএলও-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা শ্রম আইনের যে সংশোধন, সেটার বিষয়ে বসেছিলাম। এর আগে সংশোধনীর কথা হয়েছিল, সেখানে কিছু নতুন সংশোধনী আনার ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয় আমাকে জানিয়েছিল। সে বিষয়ে আইএলও কিছু বক্তব্য দেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা দিয়ে ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে না সরকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, জেনেভা থেকে আইএলও- এর চারজনের একটি টিমও আজকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন। বৈঠকে শ্রম আইনের প্রায় প্রত্যেকটা ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছিলাম, শ্রম আইনটা পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশনে পাস করার জন্য। কিন্তু আইএলও প্রতিনিধিদল বলেছেন, তারাহুড়ো না করে, আলোচনা করে আরও কিছু করতে পারলে ভালো হবে।
আনিসুল হক বলেন, আমি তাদের পরিষ্কারভাবে একটা কথা জিজ্ঞেস করেছি যে, আইএলও’তে আমাদের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে একটা অভিযোগ ঝুলে আছে। প্রত্যেকবারই বলেন যে, এটা মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত হবে না, নভেম্বরে যাবে। আবার নভেম্বরে হবে না মার্চে যাবে। আমি সেজন্য বলেছি মার্চ মাসের গভর্নর বডির মিটিংয়ে যদি বলেন, এটা আবার নভেম্বরে যাবে। সেটা তো আমরা নিতে রাজি না।
তখন তারা বলেছে, কমপ্রিহেন্সিভ লেবার অ্যাক্ট (সমন্বিত শ্রম আইন) তাদের পরামর্শ মিলিয়ে যদি করতে পারি তাহলে সেটা এই মার্চ মাসে আমাদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা হবে না, বরং আমরা যে আলোচনাগুলো করছি সেটার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নীতিনির্ধারকরা। এই আইনের কিছু কিছু বিষয় আছে, তা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। তাই আমরা দুইটি সিদ্ধান্তে এসেছি।
একটা হচ্ছে এই মিটিং আবারও অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে আইএলও-এর উদ্যোগে একটা অংশীজনদের ফ্যাসিলিটি মিটিং হবে। সেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য আছে- সেগুলো আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
আজ তারা কী পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, তারা বলছেন, ‘সি ম্যান’ এর নাম বদলিয়ে ‘সি ফেয়ারার’ নাম করা। ম্যানেজার ও সুপারভাইজারদের ওয়ার্কার বলা।
তিনি বলেন, একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদের ওয়ার্কার বলতে হবে, আমি সেটা নাকচ করে দিয়েছি।
আমি বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদের আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। তার কারণ হচ্ছে, ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে, তাদের ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে, আমরাও চাই না।
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।
তিনি বলেন, আগে ছিল ১৫ শতাংশ হবে শুধু তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে যেসব কারখানা শ্রমিক আছে তাদের। এখন আমরা সেটাও তুলে দিচ্ছি। সকল শ্রমিকদের ব্যাপারে ১৫ শতাংশ কাজ করবে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
নিরাপত্তা নিশ্চিতে সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছেন, বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের নির্দেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে আহত পুলিশ কর্মকর্তা নায়েক মো. আব্দুর রাজ্জাককে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী নাশকতাকারীদের তথ্য দিলে লক্ষ টাকা পুরস্কার: আইজিপি
ভারতে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পর নায়েক রাজ্জাক রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ঘুমধুম সীমান্ত উত্তেজনা বিরজা করছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
আইজিপি আল-মামুন ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলতে গিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা আহতদের চিকিৎসা ও চলমান সরকারি সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, 'আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। জেলা পুলিশের পাশাপাশি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে এবং সীমান্তে বিজিবি সক্রিয়ভাবে টহল দিচ্ছে। আমাদের বাহিনীকে স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব পালনে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।’
আরও পড়ুন: থানা-আদালত প্রাঙ্গণে জব্দ করা মালামালের তথ্য জানাতে আইজিপিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
ঘুমধুম সীমান্তে বাংলাদেশি নারীসহ দুইজনের মৃত্যুর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আইজিপি নিশ্চিত করেন, এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা হয়েছে।
আইজিপি আল-মামুন বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের আত্মোৎসর্গের প্রশংসা করে বিপদের মুখেও দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
বিএনপির সমাবেশে নায়েক আবদুর রাজ্জাকের ওপর হামলার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে আইজিপি রাজ্জাকের গুরুতর আহত হওয়া এবং বাংলাদেশ ও ভারতে নিবিড় চিকিৎসার কথা তুলে ধরেন। রাজ্জাকের বাংলাদেশে ফিরে আসা এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে তার চলমান চিকিৎসা পুলিশ সদস্যদের সুস্থতার জন্য বিভাগের প্রতিশ্রুতির উদাহরণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন, যা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাংলাদেশ পুলিশের সম্মিলিত সংকল্পকে পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ব্যবস্থা নিন : আইজিপি