আইনশৃঙ্খলা
বিদেশ যেতে ড. ইউনূসকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে: হাইকোর্ট
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাজাপ্রাপ্ত চারজনের বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন ড. ইউনূস
এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন ড. ইউনুসসহ অন্য আসামিরা। একই সঙ্গে জামিন চান। পরে শুনানি নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
একই সঙ্গে শ্রম আদালতের দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল। আর আপিল শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ তারিখ দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলা: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন মঞ্জুর
পরে এই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে সরকারের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। যে আবেদনের উপর সোমবার শুনানি হয়।
৬ মামলায় জামিন পেলেন মির্জা আব্বাস, ৩টিতে নামঞ্জুর
রাজধানীর পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক ৯ মামলার মধ্যে ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিন মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনও জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
পল্টন থানার পাঁচটি মামলার মধ্যে চারটিতে এবং রমনা থানার চারটি মামলার মধ্যে দুইটিতে জামিনের আদেশ দেন আদালত।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে জামিন শুনানি করেন- জয়নুল আবেদীন, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন জানান, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখা হয়। পরে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাসকে ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ও এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির নির্দেশ
মির্জা আব্বাস, আলতাফ ও আলালের জামিন আবেদন খারিজ
সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে অর্থদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই রায় দেন নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে কাঠগড়ায় ১৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন এবং এক আসামি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- সুবর্ণচরের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মো. সোহেল, মো. হানিফ, স্বপন, মো. চৌধুরী, ইব্রাহীম খলিল বেচু, মো. বাদশা আলম বসু, রুহুল আমিন মেম্বার, আবুল হোসেন আবু, মোশারফ, মো. সালাউদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. হাসান আলী বুলু, মো. মুরাদ, মো. জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি ও মো. সোহেল।
আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলাল ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
মামলা ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধূকে মারধর ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে আসামিরা।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরদিন ৩১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ছালেহ আহম্মদ সোহেল খান বলেন, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। আসামি পক্ষের পাঁচজন সাফাই সাক্ষী দেয়। তবে কোনো সাক্ষীই ভোটকেন্দ্রে পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেননি।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার ও আইনজীবী জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
মানিকগঞ্জে সাবেক স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপের পর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড
এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তের আদেশ আপিল বিভাগে বাতিল
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের বিরুদ্ধে বিদেশে বিনিয়োগ ও অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে এস আলম গ্রুপের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আহসানুল করিম। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
এছাড়া হাইকোর্টের সুয়োমেটো রুলের পক্ষে শুনানিকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার ষৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন।
ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, আজকের রায়ের ফলে হাইকোর্ট যে রুল জারি করেছিলেন তা খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে হাইকোর্টের তদন্তের আদেশও বাতিল হয়ে গেছে। তবে স্বাধীনভাবে তদন্তে দুদক ও বাংলাদেশ ফাইনানশিয়াল ইনটিলিজেন্স ইউনিটের (বিআইএফইউ)’কোনো বাধা থাকবে না।
সাইফুল আলম ও ফারজানা পারভীন সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন বলে একটি জাতীয় দৈনিকে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপ কখনওই বিদেশে বিনিয়োগ বা তহবিল স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেয়নি।
আরও পড়ুন: কোন কোন আদালতে লোহার খাঁচা রয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
প্রতিবেদনের বিষয়টি গত ৬ আগস্ট আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে, এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থ পাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট সাইফুল আলম ও ফারজানা পারভীন তাদের আইনজীবীদের মাধ্যমে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। পরে ওই আবেদনের শুনানি করে গত বছরের ২৩ আগস্ট আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। এরপর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের ওপর আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রুল খারিজ করে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ
হেফাজত নেতা মামুনুলের ২ মামলায় জামিন আপিল বিভাগে বহাল
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগে দায়ের করা দু’টি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ আর রায়হান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
পরে জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় তিন বছর থেকে জেলে আছেন মামুনুল হক। এ দু’টি মামলায় আজ পর্যন্ত পুলিশ অভিযোগ পত্র দাখিল করেননি। ফলে তিনি জামিন পেতে পারেন। পরে আপিল বিভাগ তার জামিন বহাল রেখেছেন।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ লোকজন।
পরে পুলিশ গিয়ে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় খবর পেয়ে হেফাজত ও মাদরাসার ছাত্ররা ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন। পরে হেফাজতের নেতা–কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান নেতা-কর্মীরা।
এরপর একই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর, রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুরসহ বেশ কিছু অভিযোগে পৃথক মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দু’টি মামলা হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত বছরের ৯ মে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ নারায়ণগঞ্জের সোনাগাঁও থানায় করা দুই মামলায় মামুনুল হককে জামিন দেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১০ মে এই দুই মামলায় জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এরপর বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগ দু’টি মামলায় তার জামিন বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
রাখাইনে আরাকান আর্মির তাণ্ডব, বাংলাদেশে আশ্রয় নিল আরও ৩৭ বিজিপি সদস্য
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৩৭ সদস্য।
সোমবার (৫ফেব্রুয়ারি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, এ নিয়ে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি ) সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে মিয়ানমার বিজিপি’র সঙ্গে কুশালাদি বিনিময়
বিজিবি নাসাকা সদস্যদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে রবিবার ৫৮ জন বিজিপি সদস্য সীমান্তে আশ্রয় নেয় বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলিতে দুই বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে।
উচ্চ ক্ষমতার গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে এবং এসব গোলাবারুদ ও বিস্ফোরণে ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকা এখন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির ৫৮ সদস্য, ৪ বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
জৈন্তাপুরে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসাশিক্ষক আটক
সিলেটের জৈন্তাপুরে ৫ বছর বয়সী মাদরাসার শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদরাসাশিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তাকে আটক করে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ।
আটক শিক্ষক মাসউদ আজহার উপজেলার দরবস্ত এলাকার চাক্তা গ্রামের রাওজাতুল ইসলাম চাক্তা নামে একটি মাদরাসা পরিচালনা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) তার মাদরাসায় চলতি বছরে নতুন ভর্তি হওয়া এক শিশু শিক্ষার্থীকে সকালে একা পেয়ে কৌশলে তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ভিকটিম ওই শিশুটিকে নিয়ে তার মা জৈন্তাপুর মডেল থানায় আসেন। ভিকটিম ওই শিশুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মাসুদ আজহারকে আটক করে পুলিশ।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে জৈন্তাপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক সাহিদ মিয়া চাক্তাগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাসউদ আযহারকে আটক করেন।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালে এই রকম অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছিল। ভিকটিম ওই শিশুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুটিকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর, ৪৬তম ব্যাচের সাগর সিদ্দিক ও ৪৫তম ব্যাচের হাসানুজ্জামান।
আরও পড়ুন: জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মিজানুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ আবাসিক হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৌশলে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামিরা। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন রিমান্ডে
সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার সম্পন্ন করতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সরকার তা নেবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, সাগর-রুনির হত্যাকারীদের ধরা হবে। হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে, যে যে পদক্ষেপ সরকারের নেওয়া উচিত সেটা সরকার নেবে।’
আরও পড়ুন: সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে র্যাব ব্যর্থ কি না এবং এই তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন করা হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র্যাব তদন্তে ব্যর্থ সেটা বলব না। তবে তদন্তের কাজের পরিবর্তন প্রয়োজন হলে সেটাও করব। ঘটনা যেমনভাবে ঘটেছে যেকোনো সংস্থার জন্য এটা একটু কঠিন তদন্ত শেষ করা।
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা দিয়ে ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে না সরকার: আইনমন্ত্রী
১২ ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনির মৃত্যুবার্ষিকী কিন্তু বিচার না হওয়ায় পরিবারের হতাশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের পর আমাদের হতাশাও ছিল কারণ হত্যার পরে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিচারকার্য শেষ করেছেন। এরপর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও করেছেন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখন আর নেই।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অহেতুক গ্রেপ্তার বা কারাগারে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
তবে আদালত ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে রায় দেবেন তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্টদের বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ৬ মাসের সাজার কার্যকারিতার উপর শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া আদালতের অনুমতি ছাড়া ড. ইউনূস যেন বিদেশে যেতে না পারেন সে আবেদনও করা হয়েছে। শ্রম আইনে করা মামলার বাদী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেছেন।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় আপিল করে জামিন চাইলে ২৮ জানুয়ারি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল। আর আপিল শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ তারিখ দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার 'সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ' আইনি প্রক্রিয়া চায় যুক্তরাষ্ট্র
এই মামলায় গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলা: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন মঞ্জুর
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ড. ইউনূসের