আইনশৃঙ্খলা
রাষ্ট্রপতিকে শপথ কে পড়াবেন, মতামত জানতে ৭ অ্যামিক্যাস কিউরি নিয়োগ
রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে স্পিকারের শপথ পড়ানো–সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনীর বিধানের বৈধতার প্রশ্নে রুলের ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতিকে স্পিকার নাকি প্রধান বিচারপতি শপথ পড়াবেন, সে বিষয়ে আইনী মতামত জানতে ৭ জন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে আইনগত পরামর্শ দানকারী) নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
৭ অ্যামিকাস কিউরি হলেন— জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ড. শাহদীন মালিক, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।
আরও পড়ুন: খসড়া অর্ডিন্যান্স: কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গভর্নর নিয়োগ দেবে রাষ্ট্রপতি, বাড়বে মেয়াদ
রাষ্ট্রপতিকে দেশের প্রধান বিচারপতি শপথ পাঠ করানো–সংক্রান্ত বাহাত্তরের সংবিধানের বিধান পুনর্বহালে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী গত ১০ মার্চ রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১১ মার্চ হাইকোর্ট রুল দেন।
‘রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথবাক্য পাঠ করাবেন’ বাদ দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর স্পিকারের পড়ানোর–সংক্রান্ত বিধান কেন বাহাত্তরের মূল সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং সংশোধনীর অংশটুকু কেন বাতিল (শুরু থেকেই) হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। আইনসচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
১২৩ দিন আগে
অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ ও পৃথক সচিবালয়: হাইকোর্টের রায় ২ সেপ্টেম্বর
অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে।
দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার (১৩ আগস্ট) রায়ের জন্য আগামী ২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় সরকার একমত এবং প্রক্রিয়া চলছে। তবে বিচার বিভাগে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স বজায় রাখতে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল রাখার পক্ষে তিনি যুক্তি দেন। রিটকারী পক্ষ ওই অনুচ্ছেদ বাতিলের দাবি জানান।
২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট সাতজন আইনজীবী সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ও ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন। তারা পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠনের নির্দেশনাও চান।
প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চান— কেন ১১৬ অনুচ্ছেদ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এবং কেন পৃথক সচিবালয় গঠন করা হবে না। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
এর আগে, ১৯৭২ সালের সংবিধানে অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টের হাতে ছিল। ১৯৭৪ সালের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে তা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়। পরে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত হয়— “সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক”। আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষণা করলেও ১১৬ অনুচ্ছেদের এই বিধান বহাল থাকে।
রিট আবেদনকারী আইনজীবীরা হলেন— মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল ও জায়েদ বিন আমজাদ।
১২৪ দিন আগে
আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলা: অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ আগস্ট
২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা করে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর তিন সদস্যের বেঞ্চ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন (এম এইচ) তামীম।
প্রসিকিউটর গাজী তামীম সাংবাদিকদের জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। আগামী ২১ আগস্ট আদালত নির্ধারণ করবেন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হবে নাকি তারা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবেন।
এ মামলার ১৬ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা আটজন হলেন—ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল হোসেন এবং কনস্টেবল মুকুল।
অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ বাকি আটজন পলাতক রয়েছেন। তাদের পক্ষে দুইজনকে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে ছয় তরুণ নিহত হন। এরপর তাদের লাশ পুলিশ ভ্যানে তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই সময় একজন ভুক্তভোগী জীবিত ছিলেন। তাকেও পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ১৭৩ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। গত ২ জুলাই আদালত সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং আরও একজন গুরুতর আহত হন। পরে ওই আহত ব্যক্তিসহ ছয়জনকে পুলিশের গাড়িতে তুলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতরা হলেন— সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বুসতামি, আবুল হোসেন এবং এক অজ্ঞাত ব্যক্তি।
১২৪ দিন আগে
জামিনের জন্য আদালতে কাঁদলেন ছাগলকান্ডের মতিউর
আলোচিত ছাগলকান্ডের ঘটনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে জামিনের জন্য আদালতে কাঁদতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন তাকে ধৈর্য ধরতে বললেন এবং জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় মতিউরের আইনজীবী মো. ওয়াহিদুজ্জামান জামিন শুনানির শেষে মতিউর নিজে কিছু বলার অনুমতি চান।
আদালত অনুমতি দিলে তিনি বলেন, ‘আমি কারাগার থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) একটি চিঠি দিয়েছিলাম। আমি আপনাকে এ চিঠিটি দিলাম। আপনি দয়া করে আমার চিঠিটি পড়ে যে আদেশ দেবেন, আমি তা মাথা পেতে নেব।’
মতিউর রহমান আরও বলেন, ‘আমার পরিবারটা ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই কারাগারে আছি। আমার মা প্যারালাইজড, তাকে দেখার কেউ নেই।’
এই কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাকে জামিন দিন। আমাকে জামিন দিলে আমার কাছে যে নথিপত্র আছে, আমি তা আদালতে উপস্থাপন করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারব।’
তখন বিচারক তাকে বলেন, ‘আপনি দোষী বা নির্দোষ তা এখনই বলা যাবে না। মামলাটি এখন তদন্তাধীন। তাই আপনাকে আরও ধৈর্য ধারণ করতে হবে।’
গত বছর কোরবানির জন্য ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ইফাত নামের এক তরুণের ১৫ লাখ টাকা দামে ছাগল কেনার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে মতিউর রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়।
ছাগলসহ ইফাতের ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তোলা হয়—১৫ লাখ টাকা দিয়ে ছাগল কেনার অর্থের উৎস কী? ইফাত সংবাদমাধ্যমে বাবার পরিচয় দিলে মতিউর রহমানের নাম উঠে আসে।
মতিউর রহমান এ আলোচনায় ঘি ঢালেন, ছেলের পরিচয় ‘অস্বীকার’ করে। একটি টেলিভিশনের প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে কেউ তার ছেলে বা আত্মীয় নয়, এমন নামে কাউকে তিনি চেনেন না পর্যন্ত। তার একটিই ছেলে, যার নাম তৌফিকুর রহমান।
এরপর ইফাতের সঙ্গে মতিউর রহমান এবং পরিবারের অন্যদের ছবিও প্রকাশিত হয়। ইফাত হচ্ছেন মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের (স্ত্রীর) ছেলে।
মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা। সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে নাম লেখান। পরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন।
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি মতিউর রহমান এবং তার স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গত ৬ জানুয়ারি মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রত্যেক মামলায় মতিউর রহমান আসামি।
১২৫ দিন আগে
সচিবালয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, সন্ধ্যা ৬টার পর অবস্থান করতে লাগবে অনুমতি
দেশের প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে সরকার। এবার সচিবালয়ের অভ্যন্তরে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টার পর সচিবালয়ে অবস্থান করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার বিধান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশ সচিবালয়ের অভ্যন্তরে প্রত্যেকটি ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সচিবালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত প্রতিটি ভবন/প্রাঙ্গণের সার্বক্ষণিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলো হলো— সচিবালয়ের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের মিছিল, সমাবেশ বা গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা,সচিবালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অননুমোদিত কোনো সভা বা সমাবেশ অথবা কোনো পেশাগত সংগঠন, সমিতির সভা, সম্মেলন, বৈঠক করা যাবে না।
পড়ুন: শুক্রবার থেকে যমুনা ও সচিবালয় সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টার পর সচিবালয়ের অভ্যন্তরে জরুরি দাপ্তরিক প্রয়োজনে অবস্থান করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে, সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা অন্য কোনো ছুটির দিনে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে দাপ্তরিক প্রয়োজনে অবস্থান করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি নিতে হবে, সচিবালয়ের অভ্যন্তরে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সচিবালয়ে প্রবেশ পাস দৃশ্যমান রাখতে হবে, সচিবালয়ের অভ্যন্তরের কোনো ভবন বা প্রাঙ্গণে কোনোরূপ লিফলেট বিতরণ, ব্যানার বা ফেস্টুন ঝুলানো বা স্থাপন করা যাবে না এবং সচিবালয়ে প্রবেশকালীন গাড়ি বা ব্যক্তির নিরাপত্তা তল্লাশি দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনী নিশ্চিত করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে সবাইকে নির্দেশনাগুলো আবশ্যিকভাবে পালনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
১২৫ দিন আগে
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১২০ বার পেছানোর রেকর্ড
বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবার পেছানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত সোমবার (১১ আগস্ট) আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।
এ পর্যন্ত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা মোট ১২০ বার পিছিয়ে এসেছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হন। ঘটনার সময় বাসায় তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ উপস্থিত ছিলেন। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামিরা হলেন — রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান।
এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছেন, বাকিরা বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন বারবার পিছিয়ে আসায় এ মামলার দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশায় সংশ্লিষ্ট পক্ষের মাঝে উদ্বেগ বিরাজ করছে।
১২৬ দিন আগে
জবি ছাত্রী অবন্তিকার মৃত্যু: মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
গত বছরের ১৫ মার্চ ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টের কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন। তার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী (আম্মান) অভিযুক্ত হয়েছেন।
রবিবার (১০ আগস্ট) কুমিল্লার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মিজানুর রহমান অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার প্রায় দেড় বছর পর রবিবার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান জানান, অবন্তিকার মা সহপাঠী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলাটির তদন্তে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অবন্তিকার মোবাইল ফোন থেকে বেশ কিছু ছবি, স্ক্রিনশট, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের কিছু সংক্ষিপ্ত বার্তা জব্দ করা হয়েছে। তার ফেসবুকে দেওয়া ‘সুইসাইড নোট’ও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মোবাইলটি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। আম্মান বিভিন্নভাবে অবন্তিকাকে মানসিকভাবে হয়রানি করতেন। মোবাইলে এমন কিছু ক্ষুদে বার্তাও পাওয়া গেছে। এসব হয়রানির কারণে অবন্তিকা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। এসব বিষয় উল্লেখ করেই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লা নগরের একটি ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে ফেসবুক পোস্টে শিক্ষক দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেন তিনি। পরদিন ১৬ মার্চ তার মা তাহমিনা শবনম দুইজনকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন।
অবন্তিকার মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মেয়ের মৃত্যুর নেপথ্যে যারা জড়িত, তারা শাস্তি পাবে কিনা শুরু থেকেই সন্দেহ ছিল। যে জবি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও মেয়েকে বাঁচাতে পারিনি, সেই প্রশাসন কীভাবে দায় এড়াতে পারে?’
তিনি আরও বলেন, ‘অবন্তিকার মতো অসংখ্য মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়রানির শিকার হয়। কেউ নীরবে সহ্য করে, কেউ প্রতিবাদ করে মৃত্যুর মুখে পড়ে।’
১২৬ দিন আগে
মৌচাকে হাসপাতালের পার্কিং থেকে দুটি লাশ উদ্ধার
রাজধানীর মৌচাক এলাকায় সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পার্কিং লটে একটি প্রাইভেট কার থেকে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান জানান, নিহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হাসপাতালের সূত্রে জানা যায়, ওই গাড়িটি শনিবার সকাল সাড়ে ৫টায় পার্কিংয়ে প্রবেশ করেছিল। নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, গাড়ির ভেতরে একজন রোগী ছিলেন।
গাড়িটি দুই দিন ধরে পার্কিংয়ে থাকায় সোমবার দুপুরে নিরাপত্তাকর্মীরা গাড়ির মধ্যে দুইটি লাশ দেখতে পান।পরে খবর দেওয়া হলে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর তদন্ত শুরু করে।
১২৬ দিন আগে
খায়রুল হকের জামিন শুনানিতে আইনজীবীদের হট্টগোল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এজলাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
এই সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আসামিপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তারা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে, এখন মায়া কান্না দেখাতে এসেছে।’ সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে যখন দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন?
পরে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী রোববার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। জানা গেছে, খায়রুল হকের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি থানায় করা হত্যা মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে গত রোববার আবেদন করা হয়। আজ দুপুরে এ আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
শুনানির আগেই খায়রুল হকের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এম কে রহমান, মহসিন রশিদ, জেড আই খান পান্না, মনসুরুল হক চৌধুরী, মোতাহার হোসেন সাজু, সৈয়দ মামুন মাহবুবসহ অনেকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিচারক এজলাসে ওঠার পর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জানানো হয়, গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল অংশ নিবেন। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ যোগাযোগ করেন এবং জানান, অ্যাটর্নি জেনারেল এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন।
এ সময়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ‘আমরা এখানে চার-পাঁচজন, যারা ৭৫ বছরের ওপরে। আমরা শুনানির জন্য অপেক্ষা করছি, আজ শুনানি কেন হবে না? শুনানি করে রুল জারি করুন।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী এম কে রহমান ও মহসিন রশিদ আদালতকে বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতিকে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আসামিকে রিমান্ডে না পাঠানোর জন্য তদন্ত কর্মকর্তা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। আমরা কোন আদালতে আছি? এমন বিচার বিভাগ আগে দেখিনি। আমরা জুডিশিয়ারিকে রক্ষা করতে এসেছি।’
এর উত্তরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ‘খায়রুল হকের মতো কুলাঙ্গার আর কেউ এই বিচার বিভাগে আসেনি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তার কারণে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে যখন দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তখন কেউ কোথাও কথা বলেনি, এখন কেন মায়াকান্না দেখাতে আসছেন? তখন মায়াকান্না কোথায় ছিল।’
এই সময় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো: উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, ছাত্র থাকাকালে আমার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা হয়েছিল। তখন সিনিয়ররা কোথায় ছিলেন? কেউ আমার পক্ষে দাঁড়ায়নি।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান, আজ শুনানি হবে না, এক সপ্তাহ পর শুনানির দিন ধার্য করা হলো।
এ সময় এম কে রহমান বলেন, ‘আদালতকে ডিকটেট করবেন না।’ এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তারা প্রতিবাদ জানায়।
এজলাস কক্ষে ধীরে ধীরে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আসামিপক্ষের এক আইনজীবীকে ধাক্কাও মারা হয়।
পরবর্তীতে আদালত আগামী রোববার বেলা ১১টায় মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিন রাতেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ি থানায় আব্দুল কাইয়ুম হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হন।
২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন খায়রুল হক। প্রধান বিচারপতি থাকাকালে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে সাংবিধানিক শূন্যতার সূচনা করেন। অবসর নেওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেন।
এই রায়ের ফলে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
গত বছরের ২৮ আগস্ট সুপ্রিম আইনজীবী কোর্টের মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন দুর্নীতিমূলক, বিদ্বেষাত্মক ও জালিয়াতিমূলক রায় দেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া গত বছরের ২৫ আগস্ট খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গত ২৭ এপ্রিল ‘বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দকরণ’ দাবিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সংবাদ সম্মেলন করে।
১২৬ দিন আগে
সাংবাদিক তুহিনের শরীরে ৯টি গভীর আঘাতের চিহ্ন: ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ৯টি গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাতে পুলিশের কাছে ওই প্রতিবেদন জমা দেয় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ব্যক্তির— গলা, ঘাড়, বুক, পিঠ ও হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর ৯টি গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতগুলো আকারে ছোট-বড় হলেও প্রতিটিই সমান, গুরুতর ও গভীর ছিল।
পাশাপাশি, সোমবার (১১ আগস্ট) তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাত আসামি দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে গ্রেপ্তারদের মধ্যে আসামি শাহজালাল দুপুরে তুহিনকে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এই আসামি গাজীপুরের মেট্রোপলিটন আদালত-৩ এর বিচারক ওমর হায়দাররের আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে রিমান্ডে থাকা সাতজনকেই জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।
পড়ুন: গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার ৭ আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দুলাল চন্দ্র দাস জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় রিমান্ডে থাকার সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা তুহিনকে হত্যার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
এ ছাড়া আসামিদের মধ্য থেকে একজন ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ থেকে শনাক্ত করে এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হত্যা মামলায় পুলিশ ও র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া সাত আসামি হলেন-—মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তার স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, আল-আমীন, স্বাধীন, মো. শাহজালাল, মো. ফয়সাল হাসান, সুমন ওরফে সাব্বির।
অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ও শহিদুল কে অন্য একটি মামলা চালান করা হয়েছে। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার ঘটনায় তার ভাই মোঃ সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে গত ৮ আগস্ট জিএমপির বাসন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
১২৬ দিন আগে