আইনশৃঙ্খলা
জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের রায় মঙ্গলবার, খালাসের প্রত্যাশা আইনজীবীর
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবারের জন্য প্রকাশিত প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় মামলাটি এক নম্বর ক্রমিকে রায়ের জন্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির জানান, মঙ্গলবার রায়ের জন্য দিন নির্ধারিত আছে। আমরা প্রত্যাশা করি এ টি এম আজহারুল ইসলাম এই মামলার সব অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পাবেন এবং রায়ের ভিত্তিতে জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন।
এর আগে গত ৮ মে শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২৭ মে দিন রেখেছিলেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষে রয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম। এর আগে গত ৬ মে প্রথম দিনের মতো শুনানি হয়।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এ টি এম আজহারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: আজহারের মুক্তি দাবি: কারাবরণের ঘোষণা জামায়াত আমিরের
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পান জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম। এছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়। ওই দিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী (প্রয়াত) খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন (প্রয়াত) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছিলেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার এ আবেদনে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। ওই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। এরপর তিনি আপিল করেন।
আরও পড়ুন: আজহারকে মুক্তি না দিলে নিজেকে গ্রেপ্তারের আর্জি জামায়াত আমিরের
২০৩ দিন আগে
ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিতের আপিল শুনানি মঙ্গলবার
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে এবার আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। এর আগে গত ২২ মে এই গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ কারে দেন হাইকোর্ট।
সোমবার হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করা হয়েছে। আবেদনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। আগামীকাল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে এই আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আপিলকারীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিলটি দায়ের করা হয়েছে। আজ শুনানি না হলে আগামীকাল আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস। সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া ৪ লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন বিএনপি নেতা ইশরাক।
আরও পড়ুন: ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবনে বিক্ষোভ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।
এর মধ্যে গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে গেজেট প্রকাশের দিন ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে আইনি নোটিশ দেন রফিকুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ নামে দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ এবং ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
তখন ওই দুই ব্যক্তির আইনজীবী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত রায়টি দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম, ইসি এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করবে। চ্যালেঞ্জ করল না। আবার খবরে দেখলাম, আইন উপদেষ্টা বলছিলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের যে মতামত চাওয়া হয়েছিল, সেজন্য অপেক্ষা না করে এই নোটিফিকেশন জারি করে দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারেন না. যে আদেশের কোনো কার্যকারিতা নেই। এখানে টার্ম শেষ হয়ে গেছে। অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদশূন্য করে দেওয়া হয়েছে।
পরে মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে ২৭ মার্চের রায় এবং ২৭ এপ্রিলের গেজেট কেন বেআইনি হবে না এবং ইশরাক হোসেনের শপথ পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। রিট আবেদনটির শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ২২ মে সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন।
২০৩ দিন আগে
জুবাইদা রহমানের আপিলের রায় ২৮ মে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) শুনানি শেষে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিলের রায় দিতে ২৮ মে দিন ধার্য করেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আপিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
এর আগে গত ২২ মে এ মামলার শুনানি হয়েছিল। তার আগে গত ১৪ মে ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে ওইদিন আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আপিলের জন্য জুবাইদার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা হাইকোর্টের
গত ১৩ মে আপিল দায়েরের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট। বিলম্ব মার্জনার পর ওই দিনই ডা. জুবাইদা রহমান সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমানকে দুই ধারায় মোট নয় বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর এবং ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন ডা. জুবাইদা রহমান।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর চলতি বছরের ৬ মে শাশুড়ি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
২০৩ দিন আগে
জিএম কাদের-চুন্নুর বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগে মামলা
নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদসহ দশজনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেছেন ঢাকার একটি আদালত। এরপর মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করেন। এর আগে, গত ১৭ মে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী নাজমিন সুলতানা তুলি এ আবেদন করেন। এদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য ২৬ মে দিন ধার্য করেন।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন—জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম, জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের, উত্তরা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক ডিসি আকরাম, ডিবি উত্তরা বিভাগের সাবেক এডিসি নাজমুল, বিমানবন্দর জোনাল টিমের এসআই পবিত্র সরকার এবং ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সদস্য মো. সাঈদুল ইসলাম।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডিএম জোবায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘মনোনয়ন বাণিজ্যের ঘটনায় জিএম কাদেরসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে আমরা চাঁদাবাজির একটি মামলা করেছি। আদালত বাদীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। আজ মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জি এম কাদেরের সরাসরি মদদে অন্য আসামিরা ২০২৪ সালের ডামি জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যে লিপ্ত হয় এবং বাদীকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে ক্ষুদে বার্তা পাঠায়। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বাদী প্রতিবাদ করলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বৃদ্ধি পায়।
এজাহারে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ও অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জন লোক আসামিকে নিয়ে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় বাদীর বাসার দরজা ভেঙে প্রবেশ করে আসবাবপত্র, ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, মোবাইল, ল্যাপটপসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আদালতের টয়লেটে পড়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল আহত
বাদী নাজমিন সুলতানা তুলি এসব নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী নাজমিন সুলতানা তুলি বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের পতন হওয়ার পরও তারা বিভিন্নভাবে শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার পর আমি দীর্ঘদিন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত (ট্রমায়) ছিলাম এবং সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছি। যারা রাজনীতিকে কলুষিত করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
২০৩ দিন আগে
আদালতের টয়লেটে পড়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল আহত
আদালতে হাজিরা দিতে এসে হাজতের টয়লেটে পড়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৬ মে) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় হাজিরার জন্য তাকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় আনা হয়।
এরপর পুলিশের অনুমতিতে টয়লেটে গেলে মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। এতে মাথার পেছনে কেটে গিয়ে রক্তাক্ত হন তিনি। এরপর হাজতখানায় প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যান্ডেজ লাগানো হয়।
কামরুল ইসলামের আইনজীবী নাসিম মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত নভেম্বর থেকে কামরুল ইসলাম জেলহাজতে আছেন। বিভিন্ন মামলায় কয়েক দফায় রিমান্ড শেষে কারাগারে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। দিন দিন তার ওজন কমে যাচ্ছে। এ জন্য শরীর দুর্বল।’
তিনি বলেন, ‘আজ আদালতের হাজতখানার টয়লেটে পড়ে গিয়ে মাথার পেছনের দিকে আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন তিনি। এরপর পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় তাকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
হাজতে মাথায় ব্যান্ডেজ দেওয়ার পর সাবেক এ খাদ্যমন্ত্রীকে কেরাণীগঞ্জ কারাগারের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই আইনজীবী।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) তারেক জোবায়ের বলেন, হাজতখানায় আনার পর আসামি কামরুল ইসলাম টয়লেটে যান। উচ্চ রক্তচাপের (হাই প্রেসার) কারণে মাথা ঘুরে টয়লেটে পড়ে আহত হন তিনি। আমরা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। পরে তাকে কেরাণীগঞ্জ কারা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-আনিসুল-পলক, মুরাদকে পাঁচ দিন রিমান্ড
এদিন সাবেক এই খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করা দুদকের একটি মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত দিন ছিল। তবে প্রতিবেদন দাখিল করেনি দুদক।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দুদকের তথ্য অনুযায়ী, কামরুল ইসলামের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে ১৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা জমা হয়। অন্যদিকে এসব ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ১৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। বর্তমানে জমা আছে ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এই মন্ত্রীর নামে মামলা করে দুদক।
কামরুল ইসলাম ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০৩ দিন আগে
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-আনিসুল-পলক, মুরাদকে পাঁচ দিন রিমান্ড
নতুন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত সোমবার (২৬ মে) এই আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার দেখানো অপর দুই নেতা হলেন— সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন।
নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গুলশান থানার মামলায় সালমান এফ রহমান, মিরপুর থানার মামলায় আনিসুল ও পলক, উত্তরা পূর্ব থানার মামলায় আসাদুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগেই সালমান, আনিসুল, পলকদেরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে নতুন মামলায় তাদের দেখানোর আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত তাদেরকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক মেয়র আইভী
অপরদিকে নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় শাহে আলম মুরাদকে ১০দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ।
অপরদিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন নাকচ চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত শাহে আলম মুরাদকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সালমান ও আনিসুল। এরপুর বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন পলকসহ অন্যরা।
২০৩ দিন আগে
হবিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে ভারত থেকে পুশ-ইন
হবিগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে তিনটি পরিবারের ১৯ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এদের মধ্যে ৯ জন নারী ও তিনটি শিশু রয়েছে।
তারা হলেন—লোকমান হোসেন (৬৫), তার স্ত্রী কিসমন (৫৪), ছেলে ইসলাম (২৬), ইসমাইল (২৪,) মেয়ে আফরোজা (২৯), ছেলের স্ত্রী জেসমিন (২৩), মেয়ে রেশমা (৫), ছেলের স্ত্রী কাকলি বেগম (২২), ছেলে শাহজাহান (২), নিলুফা (১১), ওবায়দুর (৫০), ফাতেমা বেগম (৪৫), ইয়াসমিন (১৪), আবুল মিয়া (৫২), জাহানারা (৪০), আলম(১১), রবিউল (১৪), ছখিনা (৬০) ও নিলা বেগম (২৩)।
২০৩ দিন আগে
মাটিরাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৯ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার আচালং সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৯ বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, সাতজন নারী ও পাঁচজন শিশু রয়েছেন।
সোমবার (২৬ মে) ভোরে ফেনী নদী পেরিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় বিএসএফ। বর্তমানে তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে আচালং ডিপি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যা: ঢাবির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা
জানা গেছে, কাজের খোঁজে তারা ভারতের হরিয়ানায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাদের আটক করে বিমানে আগরতলায় আনা হয়। পরে দক্ষিণ ত্রিপুরার গুলোমনিপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সোমবার ভোররাতে জোরপূর্বক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করানো হয়।
২০৩ দিন আগে
সাম্য হত্যা: ঢাবির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) সকালে উপাচার্য ভবনে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান প্রতিবেদনটি উপাচার্যের হাতে জমা দেন। এ সময় প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কমিটির সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর শারমীন কবির উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, ‘উপাচার্য স্যার আজ (সোমবার) প্রতিবেদনটি রিসিভ করেছেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
হত্যাকাণ্ডে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম গত ১৪ মে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর জানিয়েছে মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যার বিচারসহ ঢাবি শিক্ষার্থীদের চার দাবি
গত ১৩ মে রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।
সাম্য হত্যার ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পরে ব্যারিস্টার নুরুল আজিমকে কমিটিতে কো-অপট করা হয়।
২০৩ দিন আগে
সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি: বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অধ্যাদেশটি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা। সোমবার (২৬ মে) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে প্রশাসনের এই প্রাণকেন্দ্র।
এদিন বেলা পৌনে ১১টা দিকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়।
পরে বেলা ১১টার দিকে তাদের সঙ্গে নূরুল ইসলাম ও মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিষদের অপর অংশও যুক্ত হয়।
এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিক্ষোভে অংশ নিতে কাজ ফেলে নিচে নেমে এসেছেন। অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: দাবিদাওয়া নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলনে প্রশাসনে অচলাবস্থা
এর আগে, রবিবার (২৫ মে) চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে— এমন বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।
অধ্যাদেশে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া কর্মে অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানির জন্য আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা হচ্ছে।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর শনিবার (২৪ মে) থেকে সচিবালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রবিবারও সচিবালয়ের প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন।
আরও পড়ুন: অধ্যাদেশ সংশোধনের আশ্বাসে এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার
২০৩ দিন আগে