আইনশৃঙ্খলা
সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সপরিবারে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন জ্যেষ্ঠ বিশেষ বিচারক জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান সাবেক এই মন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, স্ত্রী রেহানা চৌধুরী, দুই ছেলে হামদান হোসেন চৌধুরী ও আরাজ আলম চৌধুরী এবং দুই মেয়ে রাইমা চৌধুরী ও আলিশা বাবর চৌধুরী।
আবেদনে বলা হয়েছে, সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে অর্থনৈতিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকে বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবের হোসেন চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (ঢাকা এলাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে কানাডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।
অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সাবের হোসেন চৌধুরী এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিদেশে পালাতে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন মর্মে জানা যায়।
তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
২০৪ দিন আগে
শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলকে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রবিবার এই আদেশ দেন।
একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরবর্তী আদেশের জন্য ৩ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনার মামলা নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করা হয়।
অভিযোগটি গ্রহণ করে ১৫ মে’র মধ্যে তাদের জবাব দাখিলের নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু ওইদিন জবাব দাখিল না করায় আসামিদের ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিরা হাজির হননি বলে আদালতকে অবহিত করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচ অভিযোগ
তিনি ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও শাকিলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু কোনো জবাব দাখিল করেননি। এরপর হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয় ট্রাইব্যুনাল থেকে। তারা হাজির হননি। এখন বিচারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার জন্য তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারির পদক্ষেপ নেওয়া হোক, যেটা অন্যান্য আদালতে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।
তাজুল বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তিতে যেন ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়। যদি হাজির না হয়, তখন ট্রাইব্যুনালে যেন পরবর্তী আদেশ দেওয়া হয়।’ এরপরই ট্রাইব্যুনাল দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করতে রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন।
‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’- এমন একটি অডিও ভাইরাল হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই কথপোকথনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে সেটি হাসিনার বলে সত্যতা পায়। এরপরই আদালত অবমাননার আবেদন দাখিল করা হয় ট্রাইব্যুনালে।
২০৪ দিন আগে
দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক মেয়র আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৫ মে) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর মহসীন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে ওঠানো হলে শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: রাতভর পুলিশি অভিযানের পর সাবেক নাসিক মেয়র আইভী গ্রেপ্তার
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা মিনারুল হত্যা মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে গত ৯ মে ভোরে শহরের দেওভোগ এলাকা থেকে মিনারুল হত্যা মামলায় আইভীকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।
পরে জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুদ্দিন কাদিরের আদালত আইভীকে কারাগারে পাঠান। আইভীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মোট ৬টি মামলা রয়েছে।
২০৪ দিন আগে
বিয়ানীবাজার সীমান্তে ৩২ জনকে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ৩২ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি। আটকৃত ৩২ জনের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ১১ জন নারী ও ১২ শিশু রয়েছে।
রবিবার (২৫ মে) সকালে বিয়ানীবাজার সীমান্তের বড়গ্রাম এলাকা দিয়ে তাদের পুশ-ইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
আটকরা হিলেন—কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার মৃত রহমত আলীর ছেলে সুফিয়ান আলী (৬৫), তার স্ত্রী আমিনা বেগম (৫০), ছেলে আমিনুল হক (৩৪), তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৩২), মেয়ে ফেরদৌস (১২), মাহী (৭), মিম (৪), একই এলাকার বাবলু (৩০), শিউলী (২৬), লাভলী (৭), দুলাল মিয়া (৪০), শিল্পী বেগম (৩৬), রিনা থাতুন (১২), আবু সাইদ (৮ মাস), মর্জিনা খাতুন (৩৫), মজিদ (১১), বুলবুল (৩২),জোবেদা (২৬), জাকির (৭), এনামুল (২৮), দিনা (২৩), দিন ইসলাম (৮), দিন মোহাম্মদ (৫), সাত্তার আলী (১২), জান্নাতুল (৩৫), রহিম (১৫), সাথী (১৪), রবিউল (৯), মহির আলী (৪০), আশিদা (৩৫), আব্দুল্লাহ (৭) ও আশিক (২)। তারা সবাই ভারতের রাজস্থানের একটি ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিল।
বিজিবি জানায়, ৫২ ব্যাটালিয়নের টহল দল সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ প্রবেশের সময় তাদের আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নওয়াগ্রাম প্রগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলছে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট, বিপাকে রাজধানীবাসী
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন বিয়ানীবাজারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, ‘আটক সবাই বাংলাদেশি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের কাঁটাতারের পাশ দিয়ে শূন্যরেখার একটি বিলে ছেড়ে দেয় বিএসএফ। সেখান থেকে বিজিবি তাদের আটক করে।’
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উজ্জামান বলেন, ‘৩২ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। আদালতের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানো হবে।’
২০৪ দিন আগে
সিলেট সীমান্তে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ
সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পশু, পণ্য ও মাছ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসব পণ্য বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন বিওপি’র টহল দল জব্দ করে।
বিজিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার (২৫ মে) ভোরে ৪৮ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বাধীন সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী প্রতাপপুর, তামাবিল, বিছনাকান্দি, সংগ্রাম, বাংলাবাজার ও সোনালীচেলা বিওপি এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের কাপড়, ক্রিম, সানগ্লাস, ফেস ওয়াশ, হেয়ার অয়েল, চকলেট, জিরা, নবরত্ন পাউডার, গরু ও সুপারি এবং বাংলাদেশ থেকে পাচারের সময় শিং মাছ ও সুপারি জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত একটি বাংলাদেশি বারকী নৌকাও জব্দ করে বিজিবি।
এ বিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, “সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাচালানি মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এসব পণ্য বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হচ্ছে।”
২০৪ দিন আগে
অর্থপাচার মামলা : পাপিয়ার কারাদণ্ড, খালাস পেলেন স্বামীসহ ৪ জন
অর্থপাচার আইনে করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
রবিবার (২৫ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় দেন। পাশাপাশি তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। এদিন পাপিয়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
তবে মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তার স্বামীসহ চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলম।
পাপিয়ার মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পাপিয়ার জামিন স্থগিত
ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর অর্থপাচার আইনের মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। ২০২২ সালের ২১ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিচার শুরু হয়।
২০৪ দিন আগে
অধ্যাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে কাজে ফিরবেন না কর্মচারীরা
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন। রবিবার (২৫ মে) সচিবালয়ের প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ করার সময় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে যে অপপ্রয়াস নেওয়া হচ্ছে, আমরা তাদের এই অপপ্রয়াস রুখে দেবো, ইনশাআল্লাহ। এটি নিবর্তনমূলক আইন। এই অধ্যাদেশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা কাজে ফিরব না। আমরা সচিবালয়ে বাদামতলায় (৬ নম্বর ভবনের সামনে চত্বর) অবস্থান করবো।‘
সব ফটক আটকে সচিবালয় অচল করে দেওয়ার হুমকিও দেন কর্মচারী নেতারা। তারা বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে অনেক উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু, কেউ আমাদের আশ্বস্ত করতে পারেননি। আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনের নেমেছি।’
২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ অধ্যাদেশের খসড়ায় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া কর্মে অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানির জন্য আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য চারজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপর শনিবার সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এরআগে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় কর্মকর্তা কর্মচারীরা জড়ো হতে থাকেন। সকাল ১০টা নাগাদ বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীতে পূর্ণ হয়ে যায় সচিবালয়ের এ চত্বর। দশটার কিছু পরে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম ও মহাসচিব মো. মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিছিল শুরু হয়।
এরপর সেখানে যোগ দেন সভাপতি বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত পরিষদের অপর অংশ। আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী এসোসিয়েশনসহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের অন্যান্য সংগঠন যোগ দেয় মিছিলে।
মিছিল করার সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও লড়াই কর’; ‘অবৈধ কালো আইন, মানি না মানবো না’; ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’- স্লোগান দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন: যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ
৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে দিয়ে নতুন ভবন, ক্লিনিক ভবনের সামনে দিয়ে ১১ নম্বর ভবনের সামনে আসেন। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করতে থাকেন।
এরপর তারা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে ৪ নম্বর ভবনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে তার দপ্তরে দেখা করতে যান। তবে তিনি দপ্তরে ছিলেন না।
পরে মিছিল নিয়ে তারা সচিবালয়ের এক নম্বর ফটক বা প্রধান ফটকের কাছে গিয়ে বসে পড়েন। সেখানে সংযুক্ত পরিষদ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের নেতারা বক্তব্য দেন।
এ সময় প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রায় ২০ মিনিটের মত ফটক বন্ধ ছিল। এ সময় সচিবালয় থেকে কেউ বের এবং প্রবেশ করতে পারেনি।
পরে মিছিল নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৬ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
২০৪ দিন আগে
আসিফের সাবেক এপিএসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, এনআইডি স্থগিত
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লক এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি আতিক ও তার স্ত্রীসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মোয়াজ্জেম হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং এনআইডি ব্লক চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক মিনু আক্তার সুমি। আবেদনে বলা হয়, মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিদেশে পালাতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত এবং এনআইডি ব্লক করা প্রয়োজন।
২০৫ দিন আগে
সাবেক এমপি আতিক ও তার স্ত্রীসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
শেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আতিউর রহমান আতিক ও তার স্ত্রী শান্তনা বেগমসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিষেধাজ্ঞাভুক্ত অপর ১৫ জন হলেন—সিকদার গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের স্ত্রী ও ন্যাশনাল ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক মনোয়ারা সিকদার, দেশ টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, হাসান টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেটের শেয়ারহোল্ডার আরিফ হাসান, ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উজ্জামান খান, চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল, পরিচালক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি, পরিচালক তওসিফ সাইফুল্লাহ্, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ রইস উদ্দিন, ন্যাশনাল ব্যাংকের কোম্পানি সেক্রেটারি ও সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল, একই ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী মোসতাক আহমেদ (সি এম আহমেদ), সাবেক পরিচালক পারভীন হক সিকদার, পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক পরিচালক খলিলুর রহমান, সাবেক পরিচালক মাবরুর হোসেন ও সাবেক সাব রেজিস্টার মো. রজব আলী।
আতিক দম্পতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক মোজাম্মিল হোসেন। আবেদনে বলা হয়, আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে: এনসিপি
অপর ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক জি এম আহসানুল কবীর। আবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা থেকে ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের নামে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ৪৯০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ৪৬২ কোটি টাকা নগদে উত্তোলনের ব্যবস্থা করে ঋণের উদ্দেশ্যবহির্ভূত খাতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করা হয়। গত বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনাদায়ে সুদ ও অন্যান্য চার্জ বাবদ প্রাপ্য ১৭৮ কোটি ৮৯ লাখ ১১ হাজার ৪১২ টাকার ক্ষতি করার অপরাধে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা বিদেশে পালাতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
২০৫ দিন আগে
সিলেট সীমান্তে ২২ জনকে পুশ ইন করল বিএসএফ
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সনাতনপুঞ্জি সীমান্ত দিয়ে ফের ২২ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, চার নারী ও পাঁচ শিশু রয়েছে।
শনিবার সকালেই ওই সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। পরে ১৯ বিজিবির একটি টহল দল অনুপ্রবেশের সময় তাদের আটক করে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক ২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত এনেছে বিজিবি
জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার জানান, অনুপ্রবেশকারীদের আটক করে পরিচয় যাচাইয়ের কাজ চলছে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, বিজিবি তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০৫ দিন আগে