আইনশৃঙ্খলা
স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাকের ৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-কন্যাসহ আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নামে থাকা মোট নয়টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। এসব হিসাবে মোট ১ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ৯৬ টাকা রয়েছে।
বুধবার (২১ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক আদালতে হিসাব অবরোধের আবেদন করেন।
অবরুদ্ধ হওয়া হিসাবে মো. আব্দুর রাজ্জাকের নিজ নামে থাকা চারটি ব্যাংকে হিসাবে, ৪২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা, তার স্ত্রী শিরিন আকতার বানুর চারটি ব্যাংক হিসাবে ৬৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৫ টাকা ও তার মেয়ে ফারজানা আক্তার তন্দ্রার হিসাবে ২৮ লাখ টাকা রয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: এক দিনের রিমান্ডে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডার ও মনোনয়ন বাণিজ্য, নিয়োগে দুর্নীতি, সরকারি জমি দখল, এসিআই ও আদম ব্যবসায়ী নূর আলীর মাধ্যমে শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার এবং পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে।
এতে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানকালে রাজ্জাক ও তার স্ত্রী-মেয়ের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এই সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে তা পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই তদন্তের স্বার্থে এসব হিসাব অবরুদ্ধ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
২০৮ দিন আগে
ফের পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১১৮তমবারের মতো পিছিয়ে আগামী ৮ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২১ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল। তবে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এদিনও প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা নতুন করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার সংশ্লিষ্ট সূত্র।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনির হত্যা: তদন্ত শেষ করতে আরও ছয় মাস সময় পেল টাস্কফোর্স
প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় তারা।
এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রায় ১২ বছর ধরে তদন্ত চলার পরও র্যাব দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি জানাতে পারেনি।
২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ র্যাবকে তদন্ত থেকে সরিয়ে দেয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়। আদালত ছয় মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেয়।
২০৮ দিন আগে
টিকটক বানাতে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা, ফটোগ্রাফার খুন
রাজধানীর হাজারীবাগের জাফরাবাদ পুলপাড় ঋষিপাড়া এলাকায় ফটোগ্রাফার নূরুল ইসলামকে হত্যা করে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের সবাই ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী তরুণ। টিকটক ভিডিও বানাতেই তারা ক্যামেরা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকা ও ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি, একটি রামদা ও একটি বড় ছোরা উদ্ধার করা হয়। পূর্বপরিকল্পনা অংশ হিসেবেই ওই ফটোগ্রাফারকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাজারীবাগ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন— নাঈম আহম্মেদ (২০), শাহীন অকন্দ ওরফে শাহিনুল (২০), শাহীন চৌকিদার (২২), রহিম সরকার (১৯), নয়ন আহম্মেদ (১৯), রিদয় মাদবর (১৮), আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজা (১৯), আনোয়ার হোসেন (১৯), শহিদুল ইসলাম (২০) ও মোহাম্মদ আরমান (১৮)।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নুরুল ইসলাম (২৬) একটি ফেসবুক পেজ পরিচালনা করে বিভিন্ন ইভেন্টে ফটোগ্রাফির কাজ করতেন। গত ১৫ মে একটি অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে তার ফোনে কল আসে। অজ্ঞাত ব্যক্তি একটি বিয়ের ইভেন্টে ছবি তোলার জন্য তাকে বুকিং দিয়ে ৫০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে অগ্রিমও পাঠান। পরের দিন (১৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে একই নম্বর থেকে ফোন করে তাকে শংকর চৌরাস্তায় অপেক্ষা করার কথা জানানো হয়।
পরে সহযোগী মোহাম্মদ ইমন ও নুরে আলমকে নিয়ে মতিঝিলের এজিবি কলোনির বাসা হতে বের হয়ে সেই অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন নুরুল। সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি শংকর বাসস্ট্যান্ডে তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তারা ওই ব্যক্তির কথামতো একটি অটোরিকশাযোগে জাফরাবাদ পুলপাড় ব্লুমিং চাইল্ড স্কুলের কাছে বিয়ের অনুষ্ঠানের উদ্দেশে রওনা হন। এরপর রাত ৮টার দিকে জাফরাবাদ পুলপাড় ঋষিপাড়া এলাকায় পৌঁছানোমাত্র দুষ্কৃতকারীরা তাদের রিকশার গতিরোধ করে।
ঘটনার আকস্মিকতায় ইমন রিকশা থেকে লাফিয়ে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে নুরুল ইসলামকে ধরে ফেলেন দুষ্কৃতকারীরা। তারা ধারালো চাপাতি দিয়ে নুরুলের মাথা, ঘাড়, বাহু ও হাতের আঙুলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তার কাছে থাকা দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরাসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। আহত নুরুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুষ্কৃতকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নূরুল ইসলামের বড় ভাই ওসমান গনি বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০৮ দিন আগে
আইন নিজের হাতে তুলে নিলে বরদাশত করা হবে না: ডিএমপি
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্সের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
এতে বলা হয়, গত ১৯ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডির একটি বাসার গেট ভেঙে ১৫-২০ জন লোক প্রবেশের চেষ্টা করে। পুলিশ জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ধানমন্ডির থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। কিন্ত তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়।
তালেবুর রহমান বলেন, ‘ওই স্থানে জড়ো হওয়া লোকজন মো. গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার শর্তে তাদের আজ বিকাল সাড়ে ৩টায় মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অহেতুক সড়ক অবরোধ না করতে ডিএমপির অনুরোধ
এ সময়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করতে সবার সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এছাড়া, কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে অহেতুক হয়রানি করলে বা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ভবিষ্যতে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলেও সতর্ক করা হয়।
২০৯ দিন আগে
ভৈরবে কলেজছাত্র হত্যা মামলার ১৭ বছর পর ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় দুই নারীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত- ৩ বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এই আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন— ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দৌলতদিয়া গ্রামের মোছা. সেলিনা বেগম ওরফে শিউলী (২৫), আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের শোভা প্রকাশ মেঘলা (২০) এবং কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার মো. সুমন (২২)।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি শোভা প্রকাশ মেঘলা ও সুমন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ভাবি ও তার সন্তানদের হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে মোহাম্মদ আলী ও তার বন্ধু মুরাদকে ভৈরব হাজী হাসমত কলেজ গেটের ভেতরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা দুজনকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ সময় কলেজে প্রবেশ করতে আসা অন্য শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর আহত মুরাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ আলীর বাবা সামছুদ্দিন মিয়া ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি ভৈরব থানায় মামলা করেন।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মিজানুর রহমান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এপিপি শফিউল জামান ভূঁইয়া।
২০৯ দিন আগে
হবিগঞ্জে ভাবি ও তার সন্তানদের হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাবি, ভাতিজা ও ভাতিজিসহ তিনজনকে হত্যার ঘটনায় তাহের নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ (১) সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার মোশারফ ইউসুফ এই রায় ঘোষণা করেন।
আসামি শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) জেলার মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের বীরসিংহ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, তাহের উদ্দিনের সঙ্গে তার ভাবি জাহানারা খাতুনের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ছুরি নিয়ে ভাবিকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেন তিনি। এ সময় তার চিকৎকারে মেয়ে শারমিন আক্তার ও ছেলে শিমুল মিয়া এগিয়ে গেলে তাদেরও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার দুই সন্তানকেও হাসপাতালে নেওয়া হলে তারাও মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় জাহানারা খাতুনের দুলাভাই মোহন মিয়া বাদী হয়ে ওই বছরের ২৪ আগস্ট হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ (মঙ্গলবার) আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় দেন বলে জানান অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আফজল হোসেন।
২০৯ দিন আগে
যশোরে তক্ষকসহ দুই পাচারকারী আটক
যশোরে একটি তক্ষকসহ পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ মে) ভোরে উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের মাটিপুকুর গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন— মাটিপুকুর গ্রামের মৃত হাসেম আলী ব্যাপারীর ছেলে করিম হোসেন (৪৮) ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে মামুনুর রশিদ (৪২)।
পুলিশ জানায়, গোপন খবরে মাটিপুকুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে করিমের বাসা থেকে একটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় কোটি টাকার তক্ষকসহ আটক ১
এর আগেও করিমের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় একই অপরাধের দায়ে একটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হয়েছে। আটকদের আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
২০৯ দিন আগে
সাতক্ষীরার সাবেক এমপি সেঁজুতি কারাগারে
সাতক্ষীরায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ মে) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শহরের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নগর ভবন আটকে ইশরাক সমর্থকদের ব্লকেড কর্মসূচি
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, ‘সাতক্ষীরা সদর থানার একটি নাশকতা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০২৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
মঙ্গলবার (২০ মে) আসামির পক্ষে জামিন শুনানি হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকেও রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি। সেঁজুতিকে কারাগারে নেওয়ার সময় বিক্ষোভ করেন শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা।
২০৯ দিন আগে
শাহবাগে ডিবির অভিযানে ৯০ লাখ টাকার মোবাইল ফোন জব্দ, গ্রেপ্তার ১
রাজধানীর শাহবাগে চোরাচালানের ৯০ লাখ টাকার মোবাইল ফোন জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় নাফিস আহমেদ (২০) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে শাহবাগ থানাধীন পরিবাগ এলাকার মোতালেব টাওয়ারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ ৩৪৭টি চোরাচালানের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে চোরাচালানে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়।
ডিবি-সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পরিবাগ এলাকায় ভারত থেকে অবৈধপথে চোরাচালানের বিপুলসংখ্যক মোবাইল ফোন আনলোড ও ক্রয়-বিক্রয় করা হবে বলে তারা জানতে পারেন। পরে ডিবির একটি বিশেষ আভিযানিক দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে মোতালেব টাওয়ার এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থেকে চোরাচালানের ৩৪৭টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন আনলোড করার সময় নাফিসকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ সময় ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানকারী চক্রের কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ২ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় পণ্য ও মাদক জব্দ
জব্দ করা মোবাইল ফোনগুলোর আনুমানিক মূল্য ৯০ লাখ টাকা। ডিবি জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাফিস স্বীকার করেছে, তিনি একটি সক্রিয় চোরাচালানকারী চক্রের সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মোবাইল ফোন ও গ্যাজেট চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। নাফিসকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অন্যান্য চক্র সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
২০৯ দিন আগে
বেনাপোল সীমান্তে ২ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় পণ্য ও মাদক জব্দ
বেনাপোল সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই কোটি সাত লাখ ৪২ হাজার টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য ও মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জব্দ করা মাদক ও পণ্য জব্দগুলো হলো— দেশি মদ, ভারতীয় ফেনসিডিল, শাড়ি, কম্বল, থ্রি-পিস, টর্চ লাইট, পান মসলা, তামাক, জর্দা, ট্রান্সমিটার ইকুইপমেন্ট, ফায়ার ইকুইপমেন্ট, কারেন্ট জাল, জিরা, সিগারেট, চকলেট, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, কসমেটিক্স সামগ্রী এবং একটি সিএনজি।
সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘সোমবার (১৯ মে) রাতে আমড়াখালী চেকপোস্ট সীমান্ত, হিজলী বিওপি ও বেনাপোল আইসিপির সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করা হয়। এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি।’
আরও পড়ুন: পালানোর সময় বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে এসব পণ্য ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করা হয় বলে জানান তিনি।
সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘জব্দ পণ্যের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি সাত লাখ ৪২ হাজার টাকা। এসব পণ্য বেনাপোল কাস্টমসের গোডাউনে জমা দেওয়া হবে।’
এ ছাড়া, সীমান্তে বিজিবির অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
২০৯ দিন আগে