আইনশৃঙ্খলা
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মমতাজ চার দিনের রিমান্ডে
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগমকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত মঙ্গলবার (১৩ মে) এই আদেশ দেন।
রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় হওয়া এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে এদিন মমতাজকে আদালতে তোলে পুলিশ। এরপর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম। অপরদিকে, মমতাজ বেগমের আইনজীবী মো. রেজাউল করিম তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। তবে দুপক্ষের শুনানি শেষে তাকে চার দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা।
এর আগে, সোমবার (১২ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকা থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে, তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
পরে ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকায় মো. সাগরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই মিরপুর গোলচত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন ছাত্র মো. সাগর। ওইদিন বিকাল ৪টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পী মমতাজ গ্রেপ্তার
এরই মধ্যে মমতাজ বেগমের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
মমতাজ বেগম বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা লোকসংগীতশিল্পী। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতিতে সরব হন তিনি। ওই বছর দলটির মনোনয়নে সংরক্ষিত নারী আসন-২১ থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা দুই মেয়াদে তিনি মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন মমতাজ। তবে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে নির্বাচনে হেরে যান তিনি।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত না হলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
২১৬ দিন আগে
আপিলের জন্য জুবাইদার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা হাইকোর্টের
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। এই মামলার আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে তার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিচারপতি খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। জুবাইদা রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
কায়সার কামাল জানান, সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে। এ ছাড়া, আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ফিরোজার পথে খালেদা, জোবাইদার ১৭ বছর নির্বাসনের অবসান
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
পরে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট করা এই মামলার রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। ওই রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে এই মামলায় জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে সাজা স্থগিত চেয়ে জুবাইদা রহমানের করা আবেদন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় তাকে দেওয়া দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়েন জুবাইদা রহমান। এরপর থেকে লন্ডনেই ছিলেন তিনি।
সেখান থেকে ৬ মে শাশুড়ি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১৭ বছর পর দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান।
দেশে ফিরে আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনটি আজ (মঙ্গলবার) কার্যতালিকায় উঠলে সেটি মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরি ফিরে পেতে চলেছেন ডা. জোবাইদা
২১৬ দিন আগে
সিলেটে বিপুল ইয়াবা ও ২ কেজি গাঁজা জব্দ, ২ জন আটক
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও গাজাসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ মে) উপজেলার পারুয়া লামাপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১ হাজার ৬০০টি ইয়াবা, দুই কেজি গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের ফয়েল পেপার আটরিল জব্দ করা হয়। এছাড়া মাদক বিক্রির নগদ ৯ হাজার ২০০ টাকাও উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে ৯৩৮০ ইয়াবা জব্দ, আটক ১
আটক দুজন হলেন— ওই এলাকার বাসিন্দা রহমত আলী ও ইসাক আলী।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আটক দুজন কোম্পানীগঞ্জ থানা হাজতে আছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
২১৬ দিন আগে
চট্টগ্রামে আ.লীগ নেত্রী জিনাত সোহানা আটক
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় সমন্বয়ক আইনজীবী জিনাত সোহানা চৌধুরীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ মে) নগরীর বায়েজিদ থানার আতুয়ার ডিপো এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান। ওসি বলেন, ‘দিবাগত রাত ১টার দিকে ভাই জিতে লাগার একটি বাসা থেকে জিন্নাত নামে এক নারীকে আমরা আটক করেছি। তার বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।’
আরও পড়ুন: যশোরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আটক ৬
জিনাত সোহানার চট্টগ্রামের রাউজানের বাসিন্দা। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এছাড়া জিনাত সাবেক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও ফারমিন গ্রুপের চেয়ারম্যান। তার স্বামী মোহাম্মদ ইমরান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অতীতে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
জিনাত মাদরাসায় জাতীয় সংগীত পাঠ ও জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন। এ ছাড়াও পতিত আওয়ামী লীগের সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাতের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জিনাত সোহানা এজাহারভুক্ত আসামি। মামলাটি কোতোয়ালি থানায় দায়ের করেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী। এতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগ ও ইসকন নেতাদের নাম উল্লেখ করে মোট ২৯ জনকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাতনামা আরও ৪০–৫০ জনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২১৬ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে দুই তরুণীকে মারধর: আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
মুন্সীগঞ্জে পিকনিকের লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় জিহাদ হাসান (২৪) নামের এক যুবকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১২ মে) জেলার আমলি আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান আহমেদ বলেন, ‘আসামি জিহাদ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার যোগনীঘাট এলাকার মনিরুজ্জামানের সন্তান।’
এর আগে, রবিবার (১১ মে) আসামির ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে আনা হলে বিচারক আজ সোমবার শুনানির দিন ঠিক করেন ও আসামিকে হাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রদল কর্মী পারভেজ হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে টিনা
পুলিশের তথ্যমতে, গত শুক্রবার মুন্সীগঞ্জে যাত্রাবিরতির পিকনিকের লঞ্চে উঠে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধর করেন জিহাদ হাসান নামের ওই যুবক। পরে তার নামে যৌন নিপীড়ন, বেআইনিভাবে মারধর, ভাঙচুর, ক্ষতি ও হুমকির অভিযোগ তুলে মামলা করেন মুক্তারপুর নৌপুলিশের এসআই মিলন বিশ্বাস।
মুন্সীগঞ্জ থানায় করা এ মামলায় জিহাদসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে জিহাদকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের নাম সংগ্রহসহ আসল ঘটনা জানার জন্যই রিমান্ডের যৌক্তিকতা আদালতে তুলে ধরা হয়েছে।’
২১৭ দিন আগে
ছাত্রদল কর্মী পারভেজ হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে টিনা
ঢাকার বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় ফারিয়া হক ওরফে টিনাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার আদালত।
সোমবার (১২ মে) তাকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান।
এর আগে শুক্রবার (৯ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম টিনার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর আগে ৮ মে রাত ৮ টায় ভাটারা থানার জগন্নাথপুর এলাকা থেকে টিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুই আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলার প্রধান আসামি ও জবানবন্দি দেওয়া আসামিসহ মোট ৬ জন বর্তমানের কারাগারে আছে।
আরও পড়ুন: প্রাইম এশিয়ার ছাত্র পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
টিনার রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গ্রেপ্তার আসামি মাহাদী হাসান ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে আসামি টিনার নাম উল্লেখ করেছেন। তদন্তের স্বার্থে টিনাকে রিমান্ডে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা প্রয়োজন।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল নিহতের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ এপ্রিল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে পুরি-সিংগারার দোকানে আড্ডা ও হাসাহাসি করছিল। বিকাল ৩টায় আসামিরা তার কাছে হাসাহাসির কারণ জানতে চাওয়ার উভয়ের মাঝে তর্ক শুরু হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকসহ প্রক্টর মীমাংসা করেন। বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা চুরি, চাকু, চাপাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে পারভেজ ও তার বন্ধুদের উপর হামলা করে। এতে পারভেজ মারাত্মক আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
২১৭ দিন আগে
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা, গুম, নিপীড়নসহ বিভিন্ন অভিযোগে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের নাসিমুল গনির সই করা প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
‘তাদের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম-খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।’
এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বলে প্রজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এসব অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও দলটির সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহুসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাব হবে পুনর্গঠন, পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
‘এ সব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল আয়োজন, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং ভিনদেশে পলাতক তাদের নেত্রীসহ অন্য নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধমূলক বক্তব্য দেওয়া, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের চেষ্টাসহ আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।’
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘যেহেতু এসব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। দলটি ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।’
‘এছাড়া, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি ছড়াতে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে,’ বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরকারি গেজেটের অপেক্ষায় ইসি: সিইসি
‘সরকার যুক্তিসঙ্গততভাবে মনে করে, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা-১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না-হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সমীচীন।’
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সে কারণে তাদের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা করা হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগকে গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
২১৭ দিন আগে
র্যাব হবে পুনর্গঠন, পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) পুনর্গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘র্যাব পুনর্গঠন করা হবে। র্যাব পুনর্গঠনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ভাতা ঈদের আগে পরিশোধ করতে হবে। তবে তাদের অবৈধ দাবি বরদাশত করা হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’আরও পড়ুন: প্রয়োজনে র্যাব নতুন করে গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘গরুর হাটে চাঁদাবাজি বন্ধে প্রতি হাটে ১০০ আনসার সদস্য রাখতে হবে। যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে যেতে পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় যেন চাঁদাবাজি না হয়।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) এক প্রতিবেদনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছিল। পরে সরকার এই এলিট বাহিনীকে ‘নতুন করে গঠনের’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশে জুলাই-অগাস্টের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওএইচসিএইচআর।
সেখানে র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) কেবল সীমান্তরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরকে কেবল সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়।
প্রতিবেদনে র্যাব সম্পর্কে বলা হয়, ‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে বিলুপ্ত করুন এবং গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত নয় এমন কর্মীদের স্ব স্ব ইউনিটে ফিরিয়ে দিন।’
পরদিন সংবাদ সম্মেলনে ওএইচসিএইচআরের ওই সুপারিশকে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এটা ওয়েলকাম করা হয়েছে। তারা একটা ভালো কাজ করেছে। তারপরে আমরা বসে একটা ডিসিশন নিব।’
২১৭ দিন আগে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচ অভিযোগ
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
সেখানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচ অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সোমবার (১২ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে।’
‘অভিযোগপত্রে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন—শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে দুটি অভিযোগ প্রকাশ করা হয়েছে। বাকিগুলো আপাতত সবার জন্য প্রকাশ করা হচ্ছে না।’
‘প্রথম অভিযোগটি হচ্ছে—শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধে উসকানি ও প্ররোচনা দিয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে রাজাকারের নাতিপুতি বলে উল্লেখ করেছিলেন। এটা বলার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এরপর তারা মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো করে। এই উসকানির দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ উঠে এসেছে।’
আরও পড়ুন: হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন ২৫ মে
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় যে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে সেটা হচ্ছে সরাসরি নির্দেশ। তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার অনেকগুলো টেলিফোন কনভারসেশন জব্দ করেছে। সেখানে তিনি বারবার সুস্পষ্টভাবে নিশ্চিত করেছেন, রাষ্ট্রীয় সকল বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, হেলিকপ্টার, ড্রোন, এপিসিসহ মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নিরস্ত্র নিরীহ আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশনা দেন।’
সরাসরি সেই নির্দেশের প্রমাণপত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা হাতে পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে এই দ্বিতীয় অভিযোগটি দাখিল করেছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম।
২১৭ দিন আগে
হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন ২৫ মে
প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা পৃথক দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১২ মে) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে আসামিদের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল।
তবে এদিন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন এদিন ধার্য করেন। দুদকের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১৫ এপ্রিল ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ চার্জশিটভুক্ত ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।
আরও পড়ুন: হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পরে ওইদিন প্রতিবেদন দাখিল না করায় ১২ মে দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে এ বছরের ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন।
মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ আরও চারজনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আফনান জান্নাত কেয়া।
শেখ হাসিনা ছাড়া এ মামলায় অপর ১১ আসামি হলেন—জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য শফি উল হক, খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), উপ- পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
অপর মামলা সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সজিব ওয়াজেদ জয় ও তার মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের সহকারি পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন
মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ আরও দুইজনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান।
শেখ হাসিনা ও জয় ছাড়াও এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত অপর ১৫ আসামি হলেন— জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন,সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার,রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সহকারি পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, পরিচালক কামরুল ইসলাম, উপ- পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সদস্য মো. নুরুল ইসলাম,তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
২১৭ দিন আগে