আইনশৃঙ্খলা
নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী গ্রেপ্তার
নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকার উত্তরা ১৮নং সেক্টর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করা, জনমনে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করাসহ বর্তমান সরকার বিরোধী কার্যকলাপ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
এর আগে রবিবার (২২ অক্টোবর) সদর উপজেলার চিনিশপুর এলাকা থেকে জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী, ইকবাল হোসেন ও আবু ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে ১৮টি ককটেল, ১টি সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগ, ১৭টি বিষ্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ, ২৫টি ছোট-বড় কাঠের লাঠি, ৫টি ইটের টুকরা জব্দ করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৪২ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করে। সে মামলায় ৫নং আসামি মঞ্জুর এলাহী।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র সরকার জানান, তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে নরসিংদীতে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতি হওয়া ২৩ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭
জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে ৮ বছরের ছেলেকে হত্যার ঘটনায় বাবা নজরুল ইসলাম লিটনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম জয়পুরহাট সদর উপজেলার রাজনগর আদর্শগ্রামের নিজাম উদ্দীনের ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর সকালে নজরুল ইসলাম লিটন তার ৮ বছরের ছেলে রানাকে কাজ করতে বললে সে অপারগতা স্বীকার করে। এসময় লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এরপর রানাকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করালে তার অবস্থা আরও অবনতি হয়। এরপর ১৩ নভেম্বর তাকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বুলি আরা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
নতুন কলেবরে বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করলো আইন মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশে প্রচলিত সকল আইন একত্র করে ‘বাংলাদেশ কোড’ প্রকাশ করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে ৪৭টি খণ্ডে এটি প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শুরুর আগে বাংলাদেশ কোড বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
এ সময় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবিরও উপস্থিত ছিলেন।
লাল-সবুজের প্রচ্ছদে ‘বাংলাদেশ কোড’ এবার ৪৭ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রচলিত সব আইন নিয়ে সর্বশেষ ২০১৬ সালে ৪২ খণ্ডে বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করা হয়েছিল।
এবার প্রকাশিত বাংলাদেশ কোডে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রণয়ন হওয়া ১ হাজার ১৭৭টি আইন যুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ লজ (রিভিশন অ্যান্ড ডিক্লেয়ারেশন) অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ৬ ধারা অনুযায়ী দেশে প্রচলিত সব আইন একত্র করে বই আকারে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই বইটিই ‘বাংলাদেশ কোড’।
এই আইনি বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এযাবৎকালের সব প্রচলিত আইন একত্রিত করে হালনাগাদ বাংলাদেশ কোড প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব কাজী আরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ টিম বাংলাদেশ কোড প্রকাশের কাজ সম্প্রতি শেষ করে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে প্রথম বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে ওই বছর ১১ খণ্ডে প্রকাশ করা ওই বইয়ে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত প্রচলিত আইনসমূহ ছিল।
এরপর ২০০৬ সালে ৩৮ খণ্ডে এবং ২০১৬ সালে ৪২ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছিল বাংলাদেশ কোড। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম প্রচলিত সব আইন হালনাগাদসহ বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন নাকচ আইন মন্ত্রণালয়ের
বগুড়ার আলোচিত সেই জজের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত র্যাব: কমান্ডার মঈন
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরের পরিচালক (আইনি ও গণমাধ্যম শাখা) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সোমবার জানান, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের বিশেষ বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া র্যাবের হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাজধানীর বনানী পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মিডিয়া পরিচালক এ মন্তব্য করেন।
কমান্ডার মঈন বলেন, র্যাবের টহল অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আমরা নিয়মিত আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।
তিনি বলেন, সারাদেশে ৩২ হাজার ৭০৪টি পূজামণ্ডপে সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে প্রায় ৪ হাজার র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া কোনো স্বার্থান্বেষী মহল বা বিদ্বেষপূর্ণ চক্র যেন এই উৎসবকে বানচাল করতে না পারে সেজন্য প্রতি রাতে এলিট ফোর্সের ৩০০টি টিম টহল দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
কমান্ডার আল মঈন আরও বলেন, একটি সাম্প্রদায়িক শক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়। স্বার্থান্বেষী মহলে ষড়যন্ত্রকারী সকল দুর্বৃত্তদের ধরতে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
গুজব ছড়ানো প্রসঙ্গে র্যাবের মিডিয়া পরিচালক বলেন, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে তাদের নজরদারি করা হচ্ছে। এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে যারা গুজব সৃষ্টি করে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং এসব গুজব ছড়িয়ে নাশকতা ও সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করতে র্যাব কাজ করছে বলে জানান তিনি।
কমান্ডার মঈন আরও বলেন, তারা সারাদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাতীয় পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করছি। তারা যখন যা প্রয়োজন মনে করে তখন তারা আমাদের জানায়। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সবকিছু করা হচ্ছে।’
খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিম নির্বাচন করতে পারবেন না: খুরশীদ আলম
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা পরিচালনাকারী সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া কিংবা হাজী সেলিম দুই বছর বা তার বেশি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাই হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী খালেদা জিয়া কিংবা হাজী সেলিমসহ সাজাপ্রাপ্ত কেউই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
এসময় খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট গতকালের প্রকাশিত রায়ে বলেছেন যে সাজা কখনও স্থগিত হয় না। উপর্যুক্ত আদালতে সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, এই রায়ের আলোকে খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিমসহ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ তাদের সাজা বাতিল হয়নি। যদি হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ সংশোধন করেন বা বাতিল করেন, সেটা ভিন্নকথা।
এর আগে রবিবার হাইকোর্ট থেকে প্রকাশিত এক রায়ে বলা হয়, উচ্চ আদালত কর্তৃক সাজা বাতিল না হলে অথবা সাজা ভোগের পর ৫ বছর অতিবাহিত না হলে আপিল বিচারাধীন ও জামিনে থাকা কোন দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
প্রকাশিত রায়ে বলা হয়, এই মামলা থেকে জানা যায় যে আবেদনকারীদের বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তারা দুর্নীতির জন্য দণ্ডিত হয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগ একটি গুরুতর অপরাধ। একজন ব্যক্তির সততার মূলে আঘাত করে দুর্নীতি।
একজন সংসদ সদস্য হলেন ক্ষমতা, সম্পত্তি ও জনগণের কল্যাণের ট্রাস্টি। তাদের উচ্চ নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের সততা থাকতে হবে। এর থেকে কোনো বিচ্যুতি হলে তা সততা ও নৈতিক স্খলন হিসাবে বিবেচিত হয়।
আমরা মনে করি, যে অপরাধের জন্য আবেদনকারীদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তা তাদের নৈতিক স্খলন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদাকে দোষী সাব্যস্ত করা নিম্ন আদালতের বিচারককে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি
রায়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, সংবিধান নিজেই একজন সংসদ সদস্যের পদ সৃষ্টি করেছে ও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির অযোগ্যতাও নির্ধারণ করেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত লোক এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেও সে তার দায়িত্ব পালন করতে পারে না। কারণ সেটা তার কোন ভয় ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার শপথের বিপক্ষে চলে যায়।
এই মামলায়, সাক্ষ্য-প্রমাণ যাচাই-বাছাই শেষে বিচারক আবেদনকারীদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন। ঐ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করেছেন যা এই আদালতে বিচারাধীন। আপিল বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও, তাদের অবস্থান হলো তারা দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি।
এই আদালত তাদের সাজা স্থগিত করেননি, কিন্তু তারা জামিন পেয়েছেন। জামিন আদেশ দ্বারা, সাজা স্থগিত করা হয়েছে বলে মনে করা হয়, কিন্তু দোষী সাব্যস্ততা বলবৎ থাকে। আবেদনকারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সাজা স্থগিত রেখে সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
আদালত বলেন, উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, যদিও অভিযুক্ত আবেদনকারীদের জামিন দেওয়া হয়েছে, তবে সাজা স্থগিতের প্রশ্ন ওঠেনি। সেই অনুযায়ী, দোষী আবেদনকারীদের সাজা ভোগ করে মুক্তির পর ৫ বছর অতিবাহিত না হলে অথবা উচ্চ আদালত কর্তৃক তাদের সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তারা সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ নির্বাচনে অংশ গদ্রহণ করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য যে, একজন ব্যক্তি যিনি বৈধভাবে সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলেও পরবর্তীতে দোষী সাব্যস্ত এবং দণ্ডিত, হলে সংবিধানের ৬৭(১)(ঘ) অনুযায়ী তার আসন স্বয়ংক্রিয়ভাবে শূন্য হয়ে যাবে।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর নিম্ন আদালতে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে আপিলে বিচারাধীন অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে রায় দেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতির দায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত চেয়ে আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ ওই রায় দেন।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রবিবার ওই পর্যবেক্ষণসহ ৪৪ পৃষ্ঠার ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ: আইজিপি
তারেক-জোবাইদাকে দোষী সাব্যস্ত করা নিম্ন আদালতের বিচারককে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি
দুর্নীতি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে কারাদণ্ড দেওয়া ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামানকে হত্যার হুমকি সম্বলিত দু’টি চিঠি পেয়েছেন।
এ ঘটনায় মহানগর দায়রা জজ আদালতের কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মামুন (নাজির) বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহ মো. মামুন বলেন, গত ১৭ অক্টোবর বিকালে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিচারকের কাছে দুটি চিঠি পাঠানো হয়। পরে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
একটি চিঠি পাঠানো ব্যক্তির ঠিকানা বগুড়ার শেরপুরের সৌদিয়া পার্ক সিটির জহির উদ্দিন।
চিঠিতে বলা হয়, 'আপনি নাটকীয় রায়ে বাংলার তরুণ প্রজন্মের আইকন তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছেন। শুধু অপেক্ষা করো।’
আরও পড়ুন: 'আওয়ামী নিপীড়নের শেষ ঘাঁটি আদালত': তারেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশের তীব্র নিন্দা বিএনপির
এতে আরও বলা হয়,‘শুধু দুই টুকরো কাপড়, একটি নিজের জন্য, অন্যটি আপনার পরিবারের জন্য। দেখা যাক, সরকার আপনাকে কতদিন রক্ষা করে।’
অন্য চিঠিতে তার ঠিকানা দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম সদর থানার বরইতলীর হাতেম আলী সওদাগর।
চিঠিতে বলা হয়, 'আপনি অন্যায়ভাবে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে শাস্তি দিয়েছেন। আমরা তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছি। আমরা শিগগিরই বিচার কাজ টি বাস্তবায়ন করবো। বাংলার যুবসমাজ।’
এর আগে গত ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন: আদালতের কপি হাতে পেলে তারেকের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর ব্যবস্থা নেব: মন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ: আইজিপি
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, প্রায় ৯০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। এটি বিশ্বের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত।
রবিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে আইজিপি এসব কথা বলেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসবটি নিরাপদে শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস আইজিপি’র
কোনো দুর্বৃত্ত যাতে কোনো সময়, বিশেষ করে শেষ রাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান আইজিপি।
পরে তিনি স্বামীবাগ রোডের শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দির পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশপ্রেমের চেতনায় দায়িত্ব পালন করুন: ক্যাডেট উপরিদর্শকদের উদ্দেশে আইজিপি
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরায় চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় পৃথক অভিযানে ৫০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে আটক হয়েছে ২৩ জন এবং হাইমচরে আটক হয়েছে ২৭ জন। এছাড়া এরা চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও পাশের জেলার-উপজেলার বলে জানা গেছে।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ৮০ হাজার মিটার কারেন্টজাল, ৪টি মাছ ধরার নৌকা ও ৪০ কেজি মা-ইলিশ জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় হাইমচরে ২৭ জেলে আটক
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে এসব জেলেদের আটক করা হয়।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুর সদরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতার কোনো হুমকি নেই: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ রবিবার বলেছেন, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির পরিকল্পিত মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো নাশকতার হুমকি নেই।
তিনি বলেন, বহিরাগতদের দ্বারা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজধানীর প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়েছে।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে দেখা যেত রাজধানীতে শুধু একটি দলের সমাবেশ বা সভা করার অনুমতি ছিল এবং অন্য দলগুলো কোনো কর্মসূচি পালনের সুযোগ পায়নি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। দুই বা তিনটি রাজনৈতিক দল এখন একদিনে বড় কর্মসূচি পালন করতে পারে।
চেকপোস্টের নামে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, রাজধানীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ মোড় রয়েছে এবং অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে।
তিনি বলেন, ‘সেসব এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। চেকপোস্ট বসানো না হলে এ শহর অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হতো।’
এর আগে বুধবার সরকার পতনের জন্য তাদের চলমান আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতি হওয়া ২৩ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গত ১০ অক্টোবর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পরিচয়ে গাড়ি থেকে ৪৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় সাত জেলা থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নতুন খোলা এক্সপ্রেসওয়েতে এটিই ছিল এই ধরনের প্রথম ডাকাতি।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এ ঘটনা ঘটলেও রবিবার (২২ অক্টোবর) ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটার কাওলা-ফার্মগেট এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের একদিন পর গত ৩ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়েটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ৭ জন হলেন- সবুজ মিয়া ওরফে শ্যামল (৩৯), শাহরুল ইসলাম ওরফে সাগর (২৩), আবু ইউসুফ (৪১), দিদার দিদার মুন্সি (৩৫), ফেরদৌস ওয়াহিদ (৩৫), আলামিন দুয়ারি দিপু (৪২) ও দাউদ হোসেন মোল্লা (৩৯)।
তিনি আরও জানান, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, নকল র্যাবের জ্যাকেট, হাতকড়া, খেলনা জাতীয় পিস্তল, ওয়্যারলেস ও মোবাইল ফোন সেট, লুট হওয়া টাকার সঙ্গে আনা গয়না জব্দ ও নগদ ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ‘কাটআউট’ পদ্ধতিতে ডাকাতি করে আসছিল। এমনকি তারা ব্যবহৃত যানবাহনের নেমপ্লেট পরিবর্তন করে এবং মোবাইল ফোন সেটও নষ্ট করে।
গত ১০ অক্টোবর বিকাল ৩টার দিকে উত্তরার একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৮৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেন ব্যবসায়ী সোহেল আহমেদ সুলতানের বিজনেস অ্যাকাউন্ট্যান্ট অনিমেষ চন্দ্র সাহা।
এর মধ্যে সোহেলের ব্যবসায়িক অংশীদার জাফর ইকবালের প্রতিনিধি রাজন নামে একজনকে ব্যাংকে ৩৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
পরে অনিমেষ ও আরেক কর্মচারী শাহজাহান তাদের নিজস্ব গাড়িতে করে উত্তরা থেকে বাকি ৪৮ লাখ টাকা নিয়ে বনানীর দিকে যাচ্ছিলেন।
ডিবি প্রধান জানান, বিকাল ৪টার দিকে খিলক্ষেত ডেন্টাল কলেজসংলগ্ন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে একটি মেরুন প্রাইভেটকার হঠাৎ করে অনিমেষের গাড়ি থামায়।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এমআরটি পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
র্যাবের ইউনিফর্ম পরিহিত পাঁচ-ছয়জন লোক মেরুন গাড়ি থেকে নেমে অনিমেষকে জানায়, তাদের গাড়িতে অস্ত্র রয়েছে, ডাকাতরা চোখ বেঁধে অনিমেষ, শাহজাহান ও তাদের চালক আবুল বাশারকে হাতকড়া পরিয়ে দেয়।
ডাকাতরা গাড়ি থেকে ৪৮ লাখ টাকা, একটি ব্ল্যাঙ্ক চেক ও তিনটি মোবাইল ফোন সেট লুট করে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ঘুরে ৩০০ ফুট এলাকায় ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী সোহেল বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ডিবি সদস্যরা সিসিটিভি ফুটেজ, বাদীর জবানবন্দি ও অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাকাতদের শনাক্ত করে।
হারুন বলেন, সবুজের নেতৃত্বে ডাকাতি সংঘটিত হয় এবং লুট হওয়া টাকা ডাকাতদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
ডাকাতরা ওই টাকা বাড়ি ভাড়া, স্ত্রীর জন্য স্বর্ণ কেনা ও জুয়া খেলার কাজে ব্যবহার করে এবং আদালতে লড়ার জন্য আইনজীবীদের ফি হিসেবে টাকা রাখে জানিয়ে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ডাকাত দলের সঙ্গে র্যাবের কোনো সদস্য জড়িত কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা সেরকম কাউকে খুঁজে পাননি, তবে একটি মামলা পরিচালনার সময় এই চক্রের সঙ্গে যোগ দেওয়া আদালতের মাহুরিকে পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ ১৩টি জেলায় ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদকসহ ১০ থেকে ১৫টি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার