শিক্ষা
জিএস প্রার্থীর অদ্ভুত ইশতেহার: ‘ডাকসুতে আগুন লাগাতে এলাম বন্ধুরা’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জিএস প্রার্থী মো. আশিকুর রহমান তার ইশতেহারে উল্লেখ করেছেন ‘ডাকসুতে দাড়াইছে সবাই, কিন্তু বসে আছে একজনই’।
আশিকুর ইংরেজি বিভাগের ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ডাকসুতে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। আশিকুর তার ইশতেহারে লিখেছেন, ‘ডাকসুতে আগুন লাগাতে চলে আসলাম বন্ধুরা’।
তিনি তার ইশতেহারে ক্লাসে উপস্থিতির নম্বর শিথিল করবেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আই ডিক্লেয়ার ওয়ার ওন মাই ফ্যাকাল্টিজ (শিক্ষক)। কেন আমাকে ওই ৫ মার্কের জন্য ঘণ্টার পর ঘন্টা বস্তাপঁচা লেকচার শোনা লাগবে? এর থেকে ক্লাস না করে ভালো রেজাল্ট করা যায়। এন্ড দে ইউজ ইট অ্যাজ এ ওয়েপন।’
‘অ্যাটেনডেন্স ৭০-৭৫% হলেই ফুল মার্ক দেওয়া উচিত। আর ৫০% থাকলেও পরীক্ষায় বসতে দেওয়া উচিত। কিউএস র্যাঙ্কিং দিয়ে আদৌ কিছু হয়? আমাদের ঘাড়ের উপর পা দিয়ে জাতে উঠার চেষ্টা করলে হবে না। অবশ্যই শিক্ষার্থীদের সুবিধা আগে।’
তিনি লিখেছেন, এই একটা কারণই যথেষ্ট ডাকসুতে দাঁড়ানোর। আরও পয়েন্ট আছে। যেগুলো সবাই দিয়েছে, অমুক উন্নয়ন, তমুক উন্নয়ন—এগুলো চাইলে কপি করে এখানে যোগ করা যাবে। কিন্তু আমি ওই ‘উদ্দীপকের গুরুত্ব অপরিসীম’ টাইপ লোক নই।
‘বাস্তবতা হলো সদস্য হিসেবে তেমন পরিবর্তন আনার কারোরই সেরকম সুযোগ/মৌরোদ নাই। সর্বোচ্চ প্রেসারাইজ করতে পারবে।’
তিনি ইশতেহারে লিখেছেন, ‘সমস্যাগুলো খুঁজবেন আপনারা। আমি রিপ্রেজেন্টেটিভ। আপনারা আমাকে সমস্যাগুলো বলবেন, সেটা নিয়ে দায়িত্বশীলদের সাথে ফাডাফাডি করার দায়িত্ব আমার। ফাডাফাডি, প্রেসারাইজ, আলোচনা করে দাবি আদায় আমার কাজ, সোফায় বসে আরাম করে তামাশা দেখা আপনার কাজ।’
‘কিন্তু হয় উল্টোটা। সমস্যা বের করে নেতারা আর তার জন্য রাস্তায় কষ্ট করে আন্দোলন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।’
তিনি ইশতেহারে বলেন, মেইন ফোকাস হলো ঢাবির যে রিসোর্স আর ইনফ্রাস্ট্রাকচার আছে সেটা কিভাবে তার ফুল পটেনশিয়ালে ইউটিলাইজ করা যায় সেটা নিয়ে।
‘মেয়েদের যাতায়াত, নিরাপত্তা, বিশেষ করে আবাসন সমস্যার জন্য ক্যাম্পাসে হল নির্মাণ অথবা কর্মচারীদের যেকোনো একটি ভবন হোস্টেলে (হল না) রূপান্তরের বিষয়ে কাজ করব।’
এছাড়াও ক্যাম্পাস যেন বহিরাগত জনসমাবেশের পার্কিং স্লট আর মূত্রবিসর্জনের জায়গা না হয়ে যায়, একাডেমিক এরিয়ায় সকল মিটিং-মিছিল শব্দদূষণ বন্ধ আর সর্বোচ্চ রাজুতে করার এখতিয়ার সেটাও প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে করা হবে, উল্লেখ করেছেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেছেন, ঢাবিতে কুরআন তিলাওয়াত হবে, সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা হবে, কনসার্ট সব হবে। কেউ কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবে না।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে লড়বে ৯ প্যানেল, প্রার্থিতায় নতুনত্ব
আশিকুর বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের পোলাপাইনরা পর্যাপ্ত ফান্ডিং পেলে মেধা আর রিসোর্স পরিপূর্ণভাবে ইউটিলাইজ করতে পারবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উচ্চমানের গবেষণা হবে। এমনকি আমার বিশ্বাস তারা স্টেট অব দ্য আর্ট টেকনোলজি তৈরি করতে পারবে, আর সেটার শুরু হবে এই ঢাবি থেকেই ইনশাআল্লাহ।’
তাকে কেন ভোট দেবেন তার যুক্তি হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন তার আর্থিক সততা, কোনো নারী কেলেঙ্কারি নেই, ভাই ব্রাদার কোরাম নেই ও স্ট্র্যাটেজিক দক্ষতা ইত্যাদি।
তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজনীতি দুইভাবে হয়—থিওরি আর ডাইরেক্ট অ্যাকশন। বন্ধুরা সব দ্বিতীয়টাই বিশ্বাসী (যদিও বেশিরভাগ এটাই কার্যকরী) হলেও আমি সব মেটিকুলাসলি প্ল্যান করে করতে পছন্দ করি। আমি পেশাদার রাজনীতিবিদ নই। এজন্যই আমি একজন নেতার পরিবর্তে একজন রাজনৈতিক আমলা হিসাবে কাজ করতে চাই। ডাকসু জিএস-এর কাজও মোটাদাগে এমনই। সো আমি এখানে মূলত ‘দ্য ওয়ারটাইম কনসিলিয়ার (যুদ্ধকালীন পরামর্শদাতা) ফ্রম দ্য গডফাদার’।
তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আপনি যদি অ্যানিমে ও মুভি লভার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই ওটাকু (কাল্পনিক চরিত্র) কে ভোট দিবেন।’
আশিকুর ভোট দেওয়ার যুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ‘আনরেস্পনসিভ—গভীর রাতে কোনো সমস্যায় পড়লে আমাকে ফোন দিলে অবশ্যই আমাকে পাবেন না। কারণ আমি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি। বাইকও নেই যে একটান দিয়ে চলে যাব।’
‘তো ভোটাররা এই জায়গায় খেয়াল রাখবেন, বিশেষ করে হল সংসদে—যে কোনো সমস্যায় পড়লে কাকে ফোন দিলে পাওয়া যাবে। যদিও প্রক্টোরিয়াল টিমকে ফোন করলেও যথেষ্ট সাড়া পাবেন।’
তিনি এক্সপোজের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন, ‘এক্সপোজ—যেহেতু অন্যায়-অনিয়ম একদমই সহ্য করতে পারি না, তো যদি অন্য সদস্যরা একটুও অনিয়ম বা সিকি পয়সার কমিশনবাজি করে, তাদের এক্সপোজ করে দেব। তো যাদের সিলেটের পাথরচুরির সর্বদলীয় ঐক্যর মতো কিছু করার ইচ্ছা আছে, তারা আমাকে ভোট দিবেন না।’
তিনি উল্লেখ করেছেন, আর সবই আল্লাহর হাতে। ‘আর নিশ্চয়ই আমার জন্য আমার রবই যথেষ্ট।’
তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘এটা জেন-জি এর জন্য। আমার পোস্টার, প্রচারণা সব জেন-জি স্টাইলেই হবে।’
১১৬ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচনে লড়বে ৯ প্যানেল, প্রার্থিতায় নতুনত্ব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় শেষ হয়েছে আজ। এরই মধ্যে প্যানেল ঘোষণা করেছে বেশ কয়েকটি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন। এর মধ্যে রয়েছে— ছাত্রদল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ একাধিক স্বতন্ত্র প্যানেল।
এবারের ডাকসু নির্বাচনের প্যানেলগুলোতে এসেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। শিবিরের ‘ইনক্লুসিভ প্যানেল’র বিপরীতে ছাত্রদল স্থান দিয়েছে তরুণ ও পরীক্ষিতদের। আসন্ন ডাকসুতে শীর্ষ তিন পদ সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ নারী শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও, প্যানেলগুলোতে নারী প্রার্থীর সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো।
৯টি প্যানেলের জমজমাট লড়াই
এবাবের ডাকসুতে লড়ছে— গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’, ছাত্রদলের প্যানেল, ছাত্রশিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’, উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র ঐক্যজোট’, বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’, ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’, ইসালামী ছাত্র আন্দোলনের ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকারের স্বতন্ত্র প্যানেল ‘ডিইউ ফার্স্ট’ এবং তিনটি বাম জোটের ‘অপরাজেয় ৭১–অদম্য ২৪’ প্যানেলসহ অন্যান্য স্বতন্ত্র প্যানেল ও প্রার্থীরা।
পড়ুন: এক নজরে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন
নারী নেতৃত্ব
এবারের ডাকসুতে ভিপি পদে লড়ছেন দুইজন নারী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সর্বপ্রথম স্বতন্ত্র প্যানেল গঠনের ঘোষণা দেন তিনি। এই স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষিত না হলেও বর্তমানে ডাকসুর অন্যতম আলোচিত প্রার্থী উমামা।
এদিকে আরেক নারী শিক্ষার্থী ভিপি প্রার্থী তাসনিম আফরোজ ইমি। তিনি বামপন্থী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জোট ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন। এদিকে, ছাত্র অধিকার পরিষদের প্যানেল থেকে জিএস পদে একমাত্র নারী প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন। এ ছাড়াও, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের প্যানেল থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র আশরেফা খাতুন ও স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেহা শারমিন এ্যানি সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্যানেলের সম্পাদক ও সদস্য পদে রয়েছেন একাধিক নারী প্রার্থী।
এদিকে গত বছরের ১৫ জুলাইয়ে আহত সানজিদা আহমেদ তন্বীর সম্মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রার্থী দেয়নি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)।
শিবিরের ইনক্লুসিভ ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাদিক কায়েমকে ভিপি ও এসএম ফরহাদকে জিএস পদে প্রার্থী করে ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এই প্যানেলে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খান নির্বাচন করবেন।
প্যানেলে দলীয় নেতাকর্মীদের বাইরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, ৪ জন নারী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী, আপ বাংলাদেশ এবং ইনকিলাব মঞ্চের শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছে।
গত সোমবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল ঘোষণা করে সংগঠনটি।
এই প্যানেলে চমক হিসেবে রয়েছে সর্ব মিত্র চাকমার অন্তর্ভুক্তি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও, শিবিরের প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন ৪ নারী শিক্ষার্থী। এই প্যানেলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ফাতেমা তাসনিম জুমা, কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা এবং সদস্য পদে সাবিকুন নাহার তামান্না ও আফসানা আক্তার মনোনয়ন পেয়েছেন। প্যানেল থেকে জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খান জসিম আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে লড়বেন।
তরুণদের নেত্বত্বে ছাত্রদলের প্যানেল
অবশেষে ডাকসু নির্বাচনের পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে থেকে ছাত্রদলের ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেলটি ঘোষণা করেন দলটির কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
সংগঠনটি সহ-সভাপতি (ভিপি) হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আবিদুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শেখ তানভীর বারী হামিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, এজিএস পদে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদকে মনোনয়ন দিয়েছে সংগঠনটি।
পড়ুন: জাকসুর তফসিল ঘোষণা, ভোটগ্রহণ ১১ সেপ্টেম্বর
ছাত্রদলের প্যানেলে সদস্য প্রার্থী হিসেবে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে রেখেছে সংগঠনটি। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ওই শিক্ষার্থীর নাম ইবনু আহমেদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করছেন। এছাড়া, সংগঠনটির প্যানেলে ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনয়ন পেয়েছেন চিম চিম্যা চাকমা।
প্যানেল ঘোষণার সময়, দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, এবারের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল তুলনামূলক জুনিয়র, নিয়মিত শিক্ষার্থী এবং ছাত্রসমাজের কাছে পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের মনোনীত করেছে।
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’
বুধবার (২০ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে।
প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচন করবেন আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মো. আবু বাকের মজুমদার এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন প্রার্থী হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটি ঘোষিত হয়।
উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র ঐক্যজোট’
ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। গত সোমবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি। এখনও পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষিত না হলেও এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে উমামা ফাতেমা, জিএস পদে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূইয়া এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহী থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।
বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’
ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামে বাম জোটের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ইতি আফরোজ ইমি, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল।
পড়ুন: ঢাবিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন
ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র মঞ্চ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই প্যানেলে রয়েছেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’
‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ নাম ও ‘ভোট ফর চেঞ্জ’ স্লোগান সামনে রেখে পুর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এই প্যানেলে ভিপি পদে দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, জিএস পদে সাবিনা ইয়াসমিন এবং এজিএস পদে ঢাবি শাখার সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’
ডাকসু নির্বাচনে ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামের প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত নির্বাচনে সহ-সভাপতি বা ভিপি পদে, সাধারণ সম্পাদক বা জিএস পদে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান এবং ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সহসাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন।
মাহিন সরকারের স্বতন্ত্র প্যানেল ‘ডিইউ ফার্স্ট’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও এনসিপি নেতা মাহিন সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ‘ডিইউ ফার্স্ট’ প্যানেল ঘোষণা করেছে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ।
এই প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মো. মাহিন সরকার লড়বেন। এজিএস পদে ফাতেহা শারমিন এ্যানি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এদিকে ডাকসু নির্বাচনে এই প্যানেল থেকে জিএস পদে প্রার্থী হওয়ায় এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারকে নিজের পদ ও দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ‘গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের’ অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানায় এনসিপি।
‘অপরাজেয় ৭১–অদম্য ২৪’
এদিকে বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনটি বামপন্থী ছাত্রসংগঠন। ছাত্রসংগঠনগুলো হলো— ছাত্র ইউনিয়ন (মাহির–বাহাউদ্দিন), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ) ও ছাত্রলীগ–বিসিএল (জাসদ)। প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা।
‘অপরাজেয় ৭১–অদম্য ২৪’ নামের এই প্যানেলে মো. নাইম হাসানকে (হৃদয়) সহসভাপতি (ভিপি), এনামুল হাসান অনয়কে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও অদিতি ইসলামকে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী করা হয়েছে।
২৮ পদে প্রার্থী ৫০৯ জন
ডাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। ডাকসুর ২৮ পদে মোট ৫০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আজ (বুধবার) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ডাকসুতে ৬৫৮টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছিল। যার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৫০৯টি এবং ১৪৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি।
পড়ুন: সাম্য হত্যা নিয়ে ধোঁয়াশা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার না হলেও পুরস্কৃত পুলিশ
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন এসব মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করব। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামীকাল প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে কাজ করছি।’
হল সংসদের বিষয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ১৮টি হলে মোট ১ হাজার ১০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৪২৭টি মনোনয়নপত্র। জমা হয়নি ৩১৮টি।
এর আগে গত ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর। ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চলবে। একই দিনে ফলাফলও ঘোষণা করা হবে।
আসন্ন ডাকসুর মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭১ জন ও ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।
২৪’র জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী উচ্চশিক্ষার ক্যাম্পাসগুলোতে সুস্থধারার রাজনৈতিক চর্চার দ্বার উন্মুক্ত হয়। সকল ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনও করেন শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ছয় বছর পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ছাত্রসংসদ নির্বাচনে জুলাই আন্দোলনে প্রার্থীদের ভূমিকাও নির্বাচনে এক ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হয়। প্যানেলে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে বা প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে সেই প্রবণতা ইতোমধ্যে দেখা গেছে।
১১৭ দিন আগে
জাকসু নির্বাচন: দ্বিতীয় দিন শেষে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ৩২৮ প্রার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন উপলক্ষে দ্বিতীয় দিনের মতো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দিন শেষে ৩২৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছে জাকসু নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
পড়ুন: জাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ১৬ আগস্টের মধ্যে অছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ
তিনি জানান, দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় সংসদের বিভিন্ন পদে ৪৭ জন এবং হল সংসদের জন্য ১৫৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। প্রথম দিনে কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৪৭টি ও হল সংসদের জন্য ৮৬টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। ফলে দুই দিনে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৩২৮টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মনোনয়ন সংগ্রহের সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা স্বচ্ছভাবে মনোনয়ন নিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ ও ১৯ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমার সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় একদিন বৃদ্ধি করে আগামী ২১ আগষ্ট দুপুর ২টা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাকসু নির্বাচন কমিশন।
১১৮ দিন আগে
দাবি আদায়ে অনড় বেরোবি শিক্ষার্থীরা, ১০ কার্যদিবস সময় চাইলেন উপাচার্য
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা ধরে আমরণ অনশন করছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন ভাঙতে রাজি নন। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশ সংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য ১০ কার্যদিবস সময় চেয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এহতেরামুল হকের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে ১০ কার্যদিবস সময় চাওয়া হয়।
চলমান অনশনের কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে একাধিকবার চেষ্টা চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপাচার্য নিজে উপস্থিত হয়ে কয়েকবার তাদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যেতে নিজেদের অনড় অবস্থানের কথা জানান শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশ সংক্রান্ত কার্যক্রম দুয়েক দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাই কাজ সম্পন্ন করার জন্য ১০ কার্যদিবস সময় দিয়ে প্রক্রিয়াটিতে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেরোবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে চলমান অনশনে অসুস্থ ৪ শিক্ষার্থী
ছাত্র সংসদের গঠনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৯-এ ছাত্র সংসদ সংক্রান্ত কোনো বিধান না থাকায় প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পরই ১০৮ম সিন্ডিকেট সভায় ছাত্র সংসদ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথমত, ছাত্র সংসদের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ সংরক্ষণের জন্য একটি আলাদা ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে এবং সেখানে জমা করা অর্থ রাখা হয়েছে। আগে এমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এই অর্থ শুধুমাত্র ছাত্র সংসদের কাজে ব্যবহার করা হবে। দ্বিতীয়ত, ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য উপাচার্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটির সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গঠনতন্ত্র সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও তিনটি আবাসিক হলের জন্য পৃথকভাবে একটি গঠনতন্ত্র খসড়া তৈরি করেন। গত ১৪ মে সেই খসড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে পাঠানো হয়।
বর্তমানে গঠনতন্ত্রটি ইউজিসির মাধ্যমে ৩০ জুলাই গঠিত ৭ সদস্যবিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটির যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সেখান থেকে এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির (বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর) কাছে পাঠানো হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর গঠনতন্ত্রটি সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। এরপর এই গঠনতন্ত্রের আলোকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
প্রশাসন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি দ্রুততর করতে ইউজিসি গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছেন উপাচার্য। জরুরি ভিত্তিতে কাজ করে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যেই খসড়া নীতিমালা যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই ছাত্র সংসদ সংক্রান্ত সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়ছেন উপাচার্য শওকাত আলী। সেই সঙ্গে অনশন ভেঙে খাবার গ্রহণ করার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
১১৮ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় বাড়ল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও দাখিলের জন্য একদিন করে সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) চিফ রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আরও লক্ষ করেছি, বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের জন্য ভিড় করলে কোনো কোনো হল ও কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে পারেননি।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার সুযোগ সবার জন্য সমান ও সমুন্নত রাখার তাগিদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় এক দিন বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ করা যাবে। একইসঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে।
ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বিশৃঙ্খলার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন
এদিকে, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে কয়েকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন সংগ্রহ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পড়ুন: এক নজরে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন
জানা যায়, ছাত্রদলের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রদলের কয়েকজন নেত্রী মনোনয়ন সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। এ সময় নির্ধারিত সময় পার হয়ে যায় এবং উপস্থিত হলের কয়েকজন ছাত্রী 'মনোনয়ন সংগ্রহ করতে পারবে না' বলে বিশৃঙ্খলা করেন। পরে তারা মনোনয়ন না নিয়ে হল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে সন্ধ্যা সাতটায় মধুর ক্যান্টিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সংবাদ সম্মেলন করে। তারা দাবি করেন বিশৃঙ্খলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার।
এদিকে, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলামকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক ড. এস এম আরিফ মাহমুদ, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ড. এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর, ও আতিয়া সানজিদা শর্মী, সহকারী প্রক্টর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কমিটিকে মনোনয়ন পত্র বিতরণের শেষ মূহূর্তে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃত ঘটনা যাচাই, মূল্যায়ন ও সুপারিশ প্রদানের জন্য বলা হয়।
তদন্ত কমিটিকে ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে সুপারিশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
১১৯ দিন আগে
এক নজরে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় শেষ হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে ৫৬৫টি ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ১২২৬টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন পদপ্রার্থীরা।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেলা তিনটা। যাচাই-বাছাই শেষে ২১ আগস্ট বেলা একটায় চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে গত ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করা হয়।
ডাকসুর মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৫৬৫ জন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য মোট ৫৬৫টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। শেষ দিনে ৪৪২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকাল ছয়টায় চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া, ১৮টি হল সংসদ নির্বাচনে মোট ১২২৬টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
এখনও প্যানেল ঘোষণা করেনি ছাত্রদল
ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহের শেষ দিন হলেও সাংগঠনিকভাবে চূড়ান্ত প্যানেল ঘোষণা করেনি ছাত্রদল। তবে ছাত্রদলের নেতারা পৃথকভাবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। সূত্র অনুযায়ী, সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
ডাকসু সহসভাপতি (ভিপি) পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান। এছাড়া মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ঢাবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান, কবি জসিমউদ্দীন হল শাখার আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিম, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদসহ অন্যান্য ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।
শিবিরের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল
ডাকসু নির্বাচনে ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। প্যানেলে সহসভাপতি (ভিপি) পদে আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খান মনোনয়ন পেয়েছেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইকবাল হায়দার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক খান জসিম, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসাইন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতেমা তাসনিম জুমা, কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম সাব্বির, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে এম এম আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক সাখাওয়াত জাকারিয়া, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন।
পড়ুন: দীর্ঘ অপেক্ষার পর ডাকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন ও আনাস বিন মনির মনোনয়ন পেয়েছেন।
ইমি ও বসুর নেতৃত্বে বাম জোট
ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাম জোট প্যানেল ঘোষণা করেছে। সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী হয়েছেন শেখ ইতি আফরোজ ইমি। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে লড়বেন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু। সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী জাবির আহমেদ জুবেল।
ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র মঞ্চ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই প্যানেলে রয়েছেন।
বামজোট থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক। অন্যান্য পদে কারা লড়বেন তা মঙ্গলবার প্রকাশ করা হবে।
প্যানেল ঘোষণা করেনি বাগছাসও
ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে লড়বে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। তবে কে কোন পদে নির্বাচন করবেন তা এখনও ঘোষণা হয়নি।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তবে বাগছাসের প্যানেল থেকে ভিপি পদে আব্দুল কাদের, জিএস পদে আবু বাকের মজুমদার এবং এজিএস পদে আশরেফা খাতুন নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ প্যানেল
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। ভিপি পদে বিন ইয়ামিন মোল্লা, সহ-সভাপতি পদে সাবিনা ইয়াসমিন, এজিএস পদে রাকিবুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহ শুরু আজ
বিজ্ঞানের ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. শাকিব খান, সমাজসেবা সম্পাদক পদে আরিফুর রহমান, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে রাশেদ আন আদিব, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মুক্তার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আশিক হৃদয় আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে রাকিব হোসেন গাজী, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ইশতিয়াক আহমেদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সিয়াম ফেরদৌস ইমন মনোনয়ন পেয়েছেন।
উমামার স্বতন্ত্র প্যানেল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল হচ্ছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উমামা ফাতেমা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এই স্বতন্ত্র প্যানেলে ভিপি পদে উমামা ফাতেমা, জিএস পদে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূইয়া এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহী থাকতে পারেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হবে।
জামালুদ্দীন ও এনসিপির মাহিন সরকার প্যানেল
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদের নেতৃত্বে ভিপি ও জিএস পদে নির্বাচন করবেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার। এজিএস পদে ফাতেহা শারমিন এ্যানি নির্বাচন করবেন।
পরবর্তী প্রক্রিয়া
আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত প্রার্থীদের বাছাই প্রক্রিয়া চলবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন; ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭১ জন ও ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। তফসিল অনুযায়ী, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর। ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চলবে। একই দিনে ফলাফলও ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, দীর্ঘ ২৮ বছর পর সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ১১ মার্চ। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন নুরুল হক নুর, জিএস ছিলেন গোলাম রাব্বানী এবং এজিএস পদে নির্বাচিত হন সাদ্দাম হোসেন।
পড়ুন: সাম্য হত্যা নিয়ে ধোঁয়াশা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার না হলেও পুরস্কৃত পুলিশ
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে মোট ২৫টি পদের বিপরীতে ভোট দিয়েছিলেন ভোটাররা। তবে এবার পদসংখ্যা বেড়েছে। ফলে এবার মোট ২৮টি পদের বিপরীতে লড়বেন প্রার্থীরা।
বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ৪টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব পদ হচ্ছে-গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক; ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক।
১১৯ দিন আগে
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাকৃবির ৬৫তম জন্মদিন পালিত
বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)-এর ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলিপ্যাডে দিবসটি উদ্বোধন করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এ সময় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, কবুতর অবমুক্তকরণ এবং আনন্দ র্যালির আয়োজন করা হয়।
হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকায় বৃক্ষরোপণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে ও উপাচার্যের বাস ভবন সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ‘গৌরবের ৬৪ বছর: অর্জন ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহেও বৃক্ষরোপণ করা হয়। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মসজিদ ও উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বলেন, “বিশ্বমানের পাঠ্যসূচি, অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি এবং আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-সহযোগিতার মাধ্যমে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা আজ আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা অর্জন করছে। এখানে দেওয়া ডিগ্রিসমূহ অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা রয়েছে।”
পড়ুন: বেরোবিতে পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও পাস করলেন ছাত্রলীগের নেত্রী: ৭ মাসেও হয়নি তদন্ত
তিনি আরও বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ গ্র্যাজুয়েটরা সরাসরি দেশের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখার ব্যাপক সুযোগ পেয়েছে। মাতৃসম এ বিশ্ববিদ্যালয় হতে উত্তীর্ণ কৃষিবিজ্ঞানীদের অনেকেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পুরস্কৃত হয়েছেন এবং পেশাগত পূর্ণতায় বিকশিত হয়ে দেশের কৃষি-সংস্কৃতির পরিমণ্ডলকে সমৃদ্ধ ও আলোকিত করেছেন।”
উপাচার্য যোগ করেন, “দেশ আজ ক্রমবর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে অসামান্য সাফল্য লাভ করেছে। কৃষিক্ষেত্রে দৃশ্যমান এ সাফল্যের কৃতিত্ব দেশের কৃষক এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এই পরম লগ্নে বাকৃবির সকল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, তাদের অভিভাবক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অ্যালামনাই, জেলা প্রশাসন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও প্রতিবেশীসহ সকল স্তরের জনগণকে জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।”
১১৯ দিন আগে
বেরোবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে চলমান অনশনে অসুস্থ ৪ শিক্ষার্থী
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেছেন। কর্মসূচির ২৩ ঘণ্টা পেরোলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন চারজন শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে ওই চার শিক্ষার্থীর অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান।তিনি জানান, রোববার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই চার শিক্ষার্থী।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন— সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৬তম ব্যাচের জাহিদ হাসান জয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৪তম ব্যাচের মাহিদুল ইসলাম মাহিদ, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪তম ব্যাচের রুম্মানুল ইসলাম রাজ এবং শিক্ষার্থী সুমন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অ্যাম্বুলেন্স করে হাসপাতাল নিয়ে যেতে চাইলে তারা অস্বীকৃতি জানান। ফলে সেখানেই তাদের স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে রুম্মানুল ইসলাম রাজ বর্তমানে কিছুটা সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তাদের অনশন চলবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবি আদায়ে লাগাতার বরিশাল ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা
তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পার হলেও এখনো একবারও ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের অনশনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী এবং রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশিদও আজ (সোমবার) সকালে কোনো কিছু না খেয়ে অবস্থান করায় প্রেসার বেড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—জাহিদ হাসান জয়, শিবলী সাদিক, কায়সার, মাহীদ, আশিকুর রহমান, আরমান হোসেন, নয়ন মিয়া, আতিকুর রহমান এবং রুম্মানুল ইসলাম রাজ।
গতকাল (রোববার) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন। তাদের একমাত্র দাবি— ছাত্র সংসদ নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা।
১১৯ দিন আগে
জাবি ছাত্রদলের দোয়া মাহফিলে দুই গ্রুপের দফায় দফায় উত্তেজনা, হাতাহাতি
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনের পর ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও উত্যপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা জাবাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় পৌঁছালে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি এবং উত্তেজনা দফায় দফায় ছড়িয়ে পড়ে।
শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার পর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোঃ ইয়াহিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এবং জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীরা জাবি কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে পৌঁছান।
এ সময় ছাত্রদলের অর্ধশতাধিক বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী (পদবঞ্চিত) বাইক শোডাউন করে ক্যাফেটেরিয়ায় প্রবেশ করেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীরা তাদের বাধা দেন। এরপর দুই গ্রুপ উত্যপ্ত বাক্য বিনিময় ও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর ও সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিকসহ শীর্ষ পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দেন। শীর্ষ পাঁচ নেতা তাদের অনুসারীদের সঙ্গে ক্যাফেটেরিয়ার নিচে অবস্থান নেন।
ছাত্রদলের একটি সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় নেতারা মূলত জাবি ছাত্রদলের দুই গ্রুপের অচলাবস্থা ও দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্যই ক্যাম্পাসে আসেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমের উপস্থিতিতে প্রক্টরিয়াল টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
এ সময় বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের পক্ষে জাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুবায়ের আহমেদ বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এখানে সবসময় হাঙ্গামা, আন্দোলন, মিছিল, মিটিং চলে। তাই এখানে অভিজ্ঞ ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের প্রয়োজন। কিন্তু অযোগ্যদের পদায়ন ও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে যা বিপদজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির, বহিষ্কৃত, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী ও ভ্রূণহত্যাকারীদের দিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে, যা লজ্জার বিষয়।’ অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।
পড়ুন: জাবিতে আহ্বায়ক কমিটি বর্ধিতসহ অনুষদ ও হল কমিটি দিল ছাত্রদল
এরপর কেন্দ্রীয় নেতারা ক্যাফেটেরিয়ায় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পরই জাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মসজিদের বাইরে অবস্থান নেন।
দোয়া মাহফিল শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আবারও ক্যাফেটেরিয়ায় ফিরলে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা শাখার আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ বহিরাগতদের ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য সেক্রেটারি নাছির উদ্দীন নাছিরকে ক্যাফেটেরিয়ায় আসতে নির্দেশ দেন।
বহিরাগতরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করলে কেন্দ্রীয় নেতারা জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করতে শিক্ষক লাউঞ্জে প্রবেশ করেন।
ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, ৮ আগস্ট জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত আহ্বায়ক কমিটি ও হল কমিটি ঘোষণায় চিহ্নিত ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির, বহিষ্কৃত, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও ভ্রূণহত্যাকারীদের স্থান দেওয়া হয়েছে। তাই তারা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ শীর্ষ পাঁচ নেতাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।
জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘যারা বিদ্রোহ করছে তাদের মধ্যে বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরাও রয়েছে। এরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছাত্রদলের ইমেজ নষ্ট করছে। নতুন কমিটি নিয়ে অভিযোগ থাকলে জানালে সমাধান করা হবে।’
কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ইউএনবিকে বলেন, ‘ছাত্রদল একটি বৃহৎ সংগঠন। এত বড় কমিটি তৈরি করার সময় সবার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলছি এবং দ্রুতই ভালো সমাধান আশা করছি।’
১২০ দিন আগে
ঢাবি-সাত কলেজের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সঙ্গে সরকারি সাত কলেজের সব ধরনের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের পর সব দায়িত্ব ও শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি সাত কলেজের সব প্রশাসনিক, একাডেমিক ও আর্থিক দায়-দায়িত্ব এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সব তথ্য, ছবি ও ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনার বাবদ ফি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আজ উপাচার্যের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সব দায়িত্ব ও তথ্য প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের কাছে হস্তান্তর করেন।
এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের কাজ চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাবি প্রশাসন।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহ শুরু আজ
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদসহ অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক, সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাগণ এবং কলেজের অধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
১২৩ দিন আগে