শিক্ষা
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি
২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ইউএনবিকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পরীক্ষার সময়সূচি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
এর আগে আগস্টে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে কোভিড-১৯ মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাডেমিক ক্যালেন্ডার পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছিল। তবে আগামী বছর থেকে যা স্বাভাবিক হবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, ৯৩৩৭ জন উত্তীর্ণ
জবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচন: সভাপতি ড. জাকির, সম্পাদক ড. মাসরিক
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, ৯৩৩৭ জন উত্তীর্ণ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম পর্বের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
লিখিত পরীক্ষায় ৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ: পরীক্ষার ১ম ধাপে উত্তীর্ণ ৪০ হাজার ৮৬২
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dpe.gov.bd ফলাফল পাওয়া যাবে।
উত্তীর্ণরা মোবাইল ফোনেও মেসেজ পাবেন। চলতি মাসের ৮ তারিখে তিন বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ১২ পরীক্ষার্থী আটক, বহিষ্কার ৩
গাইবান্ধায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ আটক ৩৫
জবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচন: সভাপতি ড. জাকির, সম্পাদক ড. মাসরিক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি পদে ২৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মাসরিক হাসান ২৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ২০২৪ সালের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্র ইউনিয়নের ৪ নেতা-কর্মী আহত
ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মো. সগীর হোসেন খন্দকার ফলাফল ঘোষণা করেন।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মো. মমিন উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ পদে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মিরাজ হোসেন এবং যুগ্ম সম্পাদক পদে সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মহসিন রেজা নির্বাচিত হয়েছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির অন্যান্য নির্বাচিত সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, ড. এ এম গোলাম আদম, অধ্যাপক ড. ফারহানা জামান, সহযোগী অধ্যাপক শামীমা আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার, প্রফেসর ড. মো. আব্দুল্লাহ মাহফুজ ও প্রফেসর ডা. মো. আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: ডিপিএস এসটিএস মেরিট স্কলারশিপ টেস্টের নিবন্ধন উন্মুক্ত, টিউশন ফি’র ১০০ শতাংশ বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ
ডিপিএস এসটিএস মেরিট স্কলারশিপ টেস্টের নিবন্ধন উন্মুক্ত, টিউশন ফি’র ১০০ শতাংশ বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ
আগামী সেশনে (২০২৪-২০২৫) গ্রেড ৯ ও ১১ এর শিক্ষার্থীদের জন্য ডিপিএস এসটিএস মেরিট স্কলারশিপ টেস্টের নিবন্ধন শুরু হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকায় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তৈরিতে ২০২১ সালে এই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করে।
দেশ কিংবা দেশের বাইরে বর্তমানে যেকোনো স্কুলে যেকোনো কারিকুলামে (কেমব্রিজ/আইবি/জাতীয় শিক্ষাক্রম/এডএক্সেল প্রভৃতি) অধ্যয়নরত গ্রেড ৮ ও ১০ (বর্তমান সেশন) এর শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপ প্রোগ্রামে নিবন্ধন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ-৯ আসনে আ. লীগ প্রার্থী আবদুস সালামের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা হাইকোর্টের
এ বৃত্তি প্রোগ্রামের ডিসেম্বর সাইকেল চালু থাকবে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আগামী ২০ জানুয়ারি উত্তরার ডিপিএস এসটিএস স্কুল ক্যাম্পাসে এ বৃত্তি প্রোগ্রামের মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা https://forms.gle/R5UfWZfEpUFCTSYUA - এ লিংকের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন।
অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী যারা এ বৃত্তি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৮০ শতাংশ নম্বর পাবেন (লিখিত ও মৌখিক উভয় মূল্যায়ন পরীক্ষায়), তারা স্কলারশিপ পাওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকবেন।
চূড়ান্ত পর্যায়ে স্কলারশিপের জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় স্কোরের ভিত্তিতে টিউশন ফিতে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি দেওয়া হবে।
স্কলারশিপ পরীক্ষার কারিকুলাম ও অন্যান্য তথ্য জানা যাবে- https://dpsstsdhaka.org/stsmeritscholarship/- এ লিংকের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসনে ইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন হাইকোর্ট
নবম গ্রেডে বৃত্তির জন্য ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সাম্প্রতিক বিষয়াবলী ও যৌক্তিক ব্যাখ্যা বা লজিক্যাল রিজনিংসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে, একাদশ গ্রেডে বৃত্তির জন্য পরীক্ষার্থীরা পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, অ্যাকাউন্টিং ও অর্থনীতি থেকে যেকোনো বিষয় নির্বাচন করতে পারবে।
মূল্যায়ন পরীক্ষার লিখিত অংশে নেগেটিভ মার্কিং থাকবে।
এ বৃত্তির বিষয়ে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতির নিদর্শন হিসেবে এ বৃত্তি কর্মসূচি চালু করেছে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা। যেসব শিক্ষার্থী ডিপিএস- এ একাডেমিক সাফল্য অর্জন করতে চায়, সেসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা সুযোগ তৈরি করতে চাই।
উল্লেখ্য, গত সেশনে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেন। এ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত দুইজন শিক্ষার্থীকে টিউশন ফি’র উপরে ৫০ শতাংশ বৃত্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
ঢাবি ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্র ইউনিয়নের ৪ নেতা-কর্মী আহত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি ও ভিসির বাসভবনের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় ইউনিয়নের চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু, সাধারণ সম্পাদক মইন আহমেদ, ঢাকা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের উপ-সম্পাদক তাজমীর তাজওয়ার শুভ্র ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শাহরিয়ার শিহাব।
আহতদের প্রথমে বিএসএমএমইউ ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেঘমল্লার বসুর বাম চোখে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাকে জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা টিএসসিতে চা খাচ্ছিলেন। রিকশায় করে বের হওয়ার সময় শাহবাগ এলাকায় মেঘমল্লার বসু ও শুভ্রের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বাকিদেরও আলাদাভাবে মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির অবরোধ: ঢাবির বিভিন্ন ফটকে ছাত্রদলের তালা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, মেঘমল্লার বাম চোখে আঘাত লেগেছে। তাদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শিমুল কুমভাকর বলেন, 'বিনা কারণে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
হামলাকারীদের কাউকে শনাক্ত করা গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। মেঘমল্লার বসু হয়তো তাদের চেনেন, কিন্তু তার অবস্থা কথা বলার মতো ভালো নয়। তবে আমি নিশ্চিত যে, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীরাই এ হামলা চালিয়েছে।’
অনেক চেষ্টা করেও সৈকতের মন্তব্যের জন্য ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানকেও ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
আরও পড়ুন: 'জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১' শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় ঢাবি কর্তৃপক্ষের বাধা
'জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১' শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় ঢাবি কর্তৃপক্ষের বাধা
'জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১' শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় আয়োজকদের অনুমতি দেয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা বন্ধ করে দিয়েছে।
বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে 'জাতীয় পাঠ্যক্রম ২০২১: আমরা কেন উদ্বিগ্ন?' শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
ইউনিভার্সিটি টিচার্স নেটওয়ার্ক পাঠ্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বক্তা ও শ্রোতারা মিলনায়তনের সামনে জড়ো হওয়ার পর কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বশির আয়োজকদের ফোন করে আলোচনা সভা না করার কথা জানান।
অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বশির বলেন, 'তাদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু আমি দুপুর ২টায় জানতে পারি যে এই কর্মসূচি রাষ্ট্র, সরকার এবং আমাদের জাতির ক্ষতি করতে পারে। এজন্য আমি আয়োজকদের ফোন করে অনুরোধ করেছিলাম, তারা যেন অন্য কোথাও আয়োজন করে।’
আরও পড়ুন: ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের কাছে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ
এদিকে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, 'আমরা নতুন পাঠ্যক্রমের ভালো-মন্দ নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। যারা এ ধরনের সাধারণ কর্মসূচিতে বাধা দেয় তারা রাষ্ট্রের কল্যাণ চায় না। আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর যে নতুন পাঠ্যক্রম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তা একটি ফাঁকা গুলি ছাড়া আর কিছুই নয়।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসির উদ্দিন বলেন, 'নতুন পাঠ্যসূচিতে ৩০ শতাংশ বিজ্ঞান কার্যক্রম রাখা হয়েছে এবং বাকিগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও গণিত বাদ দিয়ে শিল্প ও সংস্কৃতি, জীবন ও জীবিকার বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এগুলো কারিগরি শিক্ষার অংশ হতে পারে, মূলধারার নয়। এভাবে চলতে থাকলে শিগগিরই প্রশাসক ও নির্বাহীদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও বেশকিছু শিক্ষার্থী অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন পিছিয়ে না থাকে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্বের যেকোনো শিক্ষার্থীর চেয়ে এক বিন্দু পিছিয়ে না থাকে তা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশে মাদরাসা শিক্ষা যে জায়গায় পৌঁছেছে, সেটির জন্য আমরা মুগ্ধ। শিক্ষকরা মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়ে যেমন গড়ে তুলছেন। একইভাবে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাসহ অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তিতে ভবিষ্যতের নাগরিক তৈরি করছেন।
আরও পড়ুন: সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী ফাজিল মাদরাসায় শিক্ষার আধুনিকায়নে চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা নীতি প্রণয়ন করেন এবং যারা সিদ্ধান্ত নেন তারা অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নেন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। কিন্তু সেটি কতটুকু এবং কীভাবে বাস্তবায়িত হলো, তার ফলাফল কতটা ইতিবাচক, কোনো সমস্যা আছে কি না, কী কী চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো থেকে উত্তরণের জন্য কী করণীয় আছে সেগুলোর জন্য পরামর্শ দেওয়ার কাজগুলো করতে পারেন শিক্ষকরা।
মন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আপনারা আমাকে সুযোগ দিয়েছেন আপনাদের সেবা করার। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে আগামীতে সুযোগ পেলেও আপনাদের সেবা করে যাব। আর মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের বিষয়ে শিক্ষকরাই সবচেয়ে ভালো জানেন। কারণ শিক্ষকরাই সেটি বাস্তবায়ন করে আসছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহসহ বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিকভাবে আমরা অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছি: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
যবিপ্রবির ৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার
মারধরের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) আট শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৯৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তদন্ত কমিটির আগে তাদের সুপারিশ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় পাঠায়। কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা ও ঘটনার গুরত্ব বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: যবিপ্রবির ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত, ২ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর
সভার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্য দেন।
রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং সশরীরে সভায় অংশ নেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি গত ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটর নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সময় উদ্ভূত ঘটনাগুলো রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের জানান।
রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, গত ১৪ অক্টোবর বিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে আজীবন বহিষ্কার, তানভীর আহমেদ আবিরকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মারামারির ঘটনায় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল রানা ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী রেদওয়ান আহমেদ রাফিকে আজীবন, ফার্মেসি বিভাগের রাইসুল হক রানা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেনকে দুই বছরের জন্য এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শোয়েব, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফয়সাল আহমেদ রকিকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একইসঙ্গে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত, মিথ্যা ঘটনা সাজানো ও তদন্ত কমিটির কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্রনাথ রায়কে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে সভায় আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের শাস্তির মেয়াদ দুই বছর করা হয়।
তবে এ সময় তারা কেউ কোনো ধরনের অসদাচারণে জড়িত হলে কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাদের আজীবন বহিষ্কারাদেশের শাস্তি পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একই ঘটনায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন, শাহিনুর ইসলাম ও মো. রাজিব রাজুকে সতর্কীকরণ চিঠি এবং অভিভাবকের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে মুচলেকা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এটি না করলে তাদেরও ছয় মাসের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া রিজেন্ট বোর্ডের সভায় গত ১৬ জুলাই কোষাধ্যক্ষের অফিস কক্ষে ডিন, প্রক্টর ও প্রভোস্টদের উপস্থিতির সময় অসাদাচরণ করায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল রানা এবং পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী ও যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালকে সতর্কীকরণ চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-
যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আব্দুল মতিন, যুগ্ম সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, আইসিসিডিআরবি’র বায়োসেফটি অ্যান্ড বিএসএল-৩ ল্যাবরেটরির প্রধান ড. আসাদুলগনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কৌশিক সাহা, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব, যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, যশোর সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম আহসান হাবীব, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যশোরে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক
উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি: যবিপ্রবির এক শিক্ষকের পদাবনতি
টেকসই উন্নয়নে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
উচ্চতর গবেষণা ছাড়া কোনো দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে শিক্ষকদের বেশি মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রাজুয়েটের সংখ্যা না বাড়িয়ে গুণগত মানসম্পন্ন ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ষষ্ঠ ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইলেকট্রিক্যাল ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (ইআইসিটি ২০২৩)’- শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) অনুষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন আয়োজন করে।
শুক্রবার রাতে কুয়েটের টিচার্স ক্লাবে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা সেবা নির্বিঘ্ন করার আহ্বান ইউজিসি’র
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আলমগীর বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে ফিজিক্যাল, বায়োলজিক্যাল ও সাইবার বিষয়গুলো একীভূত করে বর্তমান যুগের সমস্যা সমাধানের উপায় বের করতে হবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষকদের যুগের চাহিদা অনুাযায়ী গ্রাজুয়েট ও পেশাজীবী তৈরি করতে হবে।
ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে শিক্ষকদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়নের সংস্কৃতি চালু করতে হবে। গবেষণা পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতা নিতে পারেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সভাপতি ও ইইই অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুয়েটের ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মনির হোসেন বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে ৪৭২টি টেকনিক্যাল পেপার থেকে বাছাই করা ১৩৮টি টেকনিক্যাল পেপার ২৭টি টেকনিক্যাল সেশনে উপস্থাপন করা হয়।
এছাড়া কনফারেন্সে ৮টি কি-নোট সেশন ও একটি টেকনিক্যাল ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে আমেরিকা, বেলজিয়াম, ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৩০০ গবেষক, শিক্ষক, স্বনামধন্য প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদসহ অন্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতি ও বদলি পরীক্ষা দেওয়ায় আটক ১৮
দিনাজপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতি ও বদলি পরীক্ষা দেওয়ায় ১৮ জনকে বহিষ্কারসহ আটক করা হয়েছে।
এসময় ১৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে তথ্য আদান-প্রদানের কাজে ব্যবহৃত ১৬টি ডিভাইস। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় নকলে সহায়তার ডিভাইসসহ গ্রেপ্তার ২
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, দিনাজপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ৫৪টি কেন্দ্রে অংশ নিয়েছিল ৩৮ হাজার ৯ জন প্রার্থী।
তিনি আরও জানান, পরীক্ষা চলাকালে ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার সময় ১৬ জনকে এবং বদলি পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনায় আরও দুইজনকে প্রথমে বহিষ্কার এবং পরে আটক দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, উদ্ধার করা হয়েছে তথ্য আদান-প্রদানে সহায়ক ১৬টি ডিভাইস। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে চালের ট্রাকে আগুন
দিনাজপুরে মধ্যরাতে বাসে আগুন