শিক্ষা
মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রয়োজনে পরিবর্তন আসবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার সব কাজের মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা থাকতে হয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রয়োজনে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে প্রথম দিন অফিস করতে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমরা দেখেছি পাঁচটি বছর সফলভাবে সদ্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে কাজ করেছি। শিক্ষায় নানান ধরনের রূপান্তরের কাজ শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সূচনা করেছি। এই সূচনার ভিতগুলো রচনা করে দিয়েছিলেন আগের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।’
আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ কী- এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার সব কাজের মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা থাকতে হয়। সুতরাং এখানে নতুন করে হঠাৎ কোনো কিছু চিন্তা করার অবকাশ খুবই কম। তাই সেই ধারাবাহিকতার মধ্যেই রূপান্তর, ধারাবাহিকতার মধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। এই ধারাবাহিকতার মধ্যেই স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করার জন্য স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম আমাদের প্রয়োজন, সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয় পর্যায় শেষ করার পর শিক্ষার্থীদের অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকে। এই সংখ্যা এক কোটির ঊর্ধ্বে। যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করতে যাচ্ছে, তাদের যেন কর্মভিত্তিক জ্ঞান দেওয়া যায় সে চেষ্টা করব।
মন্ত্রী বলেন, কর্মসংশ্লিষ্ট দক্ষতাগুলোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিশেষ জোর দিতে বলেছেন। কারণ এবার আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার হচ্ছে কর্মসংস্থান। স্মার্ট সিটিজেন করতে হলে কর্মসংস্থান করতেই হবে এবং কর্মসংস্থানের জন্য মাল্টি স্কিল্ড স্মার্ট সিটিজেন আমাদের খুব প্রয়োজন। আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজগুলোও শুরু হয়েছে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেখানে প্রয়োজনে অবশ্যই পরিবর্তন করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিকুলাম নিয়ে কাজ হয়েছে, কারিকুলাম তো হঠাৎ করে আসেনি। সেটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবেই সেটাই স্বাভাবিক। সেগুলো বিবেচনা করেই আমরা আগামী দিনগুলোতে শিক্ষা পরিবারের সবাইকে নিয়ে কাজ করব।
ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু করছেন শিক্ষামন্ত্রী
গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে ভিন্নভাবেই যাত্রা শুরু করছেন নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
মন্ত্রী হিসেবে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের পর আগামীকাল রবিবার প্রথম অফিস করবেন তিনি।
এ উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ে সব কর্মকর্তা এবং দপ্তর ও সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মত বিনিময় সভা করবেন। তবে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ফুল না নিয়ে আসতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষামন্ত্রী লোক দেখানো এবং প্রদর্শনের বিষয়কে প্রাধান্য না দিয়ে কাজকে প্রাধান্য দিতে চান। মন্ত্রীর এমন নির্দেশনাকে নতুনত্ব হিসেবেও দেখছেন মন্ত্রণালয়ের অনেকে। আবার কেউ কেউ বলছেন, বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি সম্মান রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন মন্ত্রী।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক নোটিশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী রবিবার বেলা ৩টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে উভয় বিভাগের (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ) সব কর্মকর্তা এবং আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মত বিনিময় করবেন।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলাম নিয়ে কুচক্রী মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আর বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদ্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তাই শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় নতুন করে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা না জানানোর জন্য মন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলাম-মূল্যায়নে পরিবর্তন আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন শুরু হয়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বিজনেস স্টাডিজ প্রাঙ্গণ থেকে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সম্প্রতি বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে আন্তর্জাতিক তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরুর সময় যে সব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেগুলো পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অতুলনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করে জাতিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সকাল ১১টায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেন্দ্রের(টিএসসি) উদ্যোগে ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি পালিত হয়।
এছাড়া ছাত্র কল্যাণ ও কাউন্সেলিং সেন্টারের উদ্যোগে শারীরিক শিক্ষা অফিসের পেছনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় পিঠা মেলা, সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং লোকসংগীত উৎসব 'শিল্পী শফি মণ্ডলের একক কনসার্ট' অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি মাত্র চারটি বিভাগ, ২১ জন শিক্ষক ও ১৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। পরে ১২ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
বর্তমানে ৬টি অনুষদ ও ৪টি ইনস্টিটিউটের অধীনে ৩৬টি বিভাগে ৭ শতাধিক শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
নতুন কারিকুলাম-মূল্যায়নে পরিবর্তন আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন কারিকুলাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেছেন, নতুন কারিকুলামে বেশকিছু অন্তর্ভুক্তি(ইনপুট) আসছে। এগুলো আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছি। এখানে যেসব বিষয়গুলো পরিবর্তন করা প্রয়োজন, সেগুলো অবশ্যই আমরা পরিবর্তন করব।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ‘বই উৎসবে’ উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে এডুকেশন রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রীর রাজধানীর বনানীস্থ বাসভবনে ইরাব সভাপতি শরীফুল আলম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নতুন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ইরাব নেতারা। মন্ত্রী ইরাবের সদস্যদের সঙ্গে নতুন কারিকুলামসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মূল্যায়ন পদ্ধতির চ্যালেঞ্জের কথা যদি বলেন সেখানে বলব, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বেশকিছু ইনপুট আসছে। এগুলো আমরা দেখছি। এখানে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমে আরও বেশকিছু পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে এখন যে একেবারে শতভাগ স্থায়ী তা কিন্তু নয়। আমরা এর আগেও বলেছি, আমাদের সে কারেকশনগুলো আসবে সেগুলো আমরা সমাধান করব।
আরও পড়ুন: জাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনের তারিখ ঘোষণা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব পেয়েই তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নজর দিতে চান নওফেল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাকে নতুন সরকারের নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করব। আমরা কর্মসংস্থানের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশে, স্মার্ট জেনারেশনের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট যত দক্ষতা আছে, সেগুলো আমরা আমাদের কারিকুলামে নিয়ে আসতে চাই। এতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে নিজেদের শিক্ষা বিষয়ে পরিকল্পনা সাজাতে পারবে। মূলত কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রয়েছে, আমরা নিজেরাও পুরো শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চাই।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি বোমা উদ্ধার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি বোমা উদ্ধার
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান থেকে ছয়টি দেশীয় বোমা উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ জানান, লালন শাহ হলের পকেট গেটে দুটি দেশীয় বোমা পড়ে থাকতে দেখে একদল শিক্ষার্থী প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৪ ভোটকেন্দ্রে আগুন, হাতবোমা উদ্ধার
পরে শহীদ জিয়াউর রহমান হল সংলগ্ন এলাকা থেকে একটি, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদসংলগ্ন এলাকা থেকে দুটি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এলাকা থেকে একটিসহ চারটি দেশীয় বোমা উদ্ধার করা হয়।
প্রক্টর বলেন, দুর্বৃত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির জন্য এসব বোমা রেখে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে দুর্বৃত্তের ছোঁড়া পেট্রোলবোমায় আহত ২
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা পুলিশকে জানিয়েছি এবং তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও গণমাধ্যম) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বাসে টাইম বোমার মতো বস্তু উদ্ধার
জাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনের তারিখ ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন।আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এ ভর্তি পরীক্ষা চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সোমবার (২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা জানান, ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ২২ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ২২, ২৫, ২৭, ২৮ ও ২৯ তারিখে ভিন্ন ভিন্ন ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় এ ইউনিট (গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ ও আইআইটি), বি ইউনিট (সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদ), সি ইউনিট (কলা ও মানবিক অনুষদ) এবং ডি ইউনিট (জীববিজ্ঞান অনুষদ) আবেদন ফরমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০০ টাকা। সি১ ইউনিট (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ) ও ব্যবসায় প্রশাসন ও আইবিএ এর জন্য ৬০০ টাকা এবং ই ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সৈয়দ আলী রেজা বলেন, ১৪ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ৩১ জানুয়ারি আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে আমরা আবার বসব। ইউনিটভিত্তিক কত আবেদন পড়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে। শিফট পদ্ধতিতে হবে কি না সে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত নয়।
সারা দেশে ‘বই উৎসবে’ উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা
প্রতি বছরের মতো এবারও দেশজুড়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘বই উৎসব’। বছরের প্রথম দিনে বই হাতে পেয়ে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত।
সোমবার দেশের সব স্কুলগুলোতে বই উৎসবের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন শিক্ষাবর্ষের বই।
এর আগে গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বই উৎসবের উদ্বোধন করেন।
খুলনায় বই উৎসব
খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজ প্রাঙ্গণে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. তৌহিদুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
লালমনিরহাটে বই উৎসব
সারা দেশের ন্যায় আজ লালমনিরহাটে বই উৎসব পালন করা হয়েছে। সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং খোর্দ্দ সাপটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
এ সময়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা মোছাম্মাৎ নূরে তাসমিন, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শ্রী স্বপন কুমার, পৌর মেয়র, রেজাউল করিম স্বপন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বই বিতরণ উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত
প্রতি বছরের মতো এবারও বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি ‘বই বিতরণ উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর মিরপুরের ন্যাশনাল (সকাল-বিকাল) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রধান অতিথি ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এদিকে, মাধ্যমিকের বই বিতরণ উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে আনুষ্ঠানিক কোনো আয়োজন না থাকলেও সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশে বই বিতরণ চলছে। বিকাল পর্যন্ত বই বিতরণের কার্যক্রম চলবে। সব শিক্ষার্থী বই হাতে ফিরবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণির শতভাগ বই উপজেলায় পৌঁছে দিয়েছেন তারা। উপজেলা শিক্ষা অফিস সমন্বয় করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক বই বিতরণ করছে। তবে অষ্টম ও নবম শ্রেণির ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বই এখনও ছাপা হয়নি। সেগুলো চলতি মাসেই ছাপা শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এনসিটিবির তথ্যমতে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন। তাদের জন্য বই ছাপা হয়েছে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি। প্রথম, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ছাপানো হয়েছে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৪২৩ কপি বই।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লাখ এক হাজার ২৭৪টি। প্রাক-প্রাথমিকের জন্য ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮ কপি বই ছাপা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৮ কপি, সপ্তম শ্রেণির ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার কপি, অষ্টম শ্রেণির জন্য ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৭১ কপি এবং নবম শ্রেণির জন্য ৫ কোটি ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ কপি বই ছাপা হচ্ছে।
অন্যদিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (পাঁচটি ভাষায় রচিত) শিশুদের জন্য এবার মোট ২ লাখ ৫ হাজার ৩১ কপি বই ছাপা হয়েছে। অন্য বইয়ের মধ্যে ৫ হাজার ৭৫২ কপি ‘ব্রেইল’ বই আছে। তাছাড়া শিক্ষকদের ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৮টি ‘শিক্ষক সহায়িকা’ দেওয়া হচ্ছে।
২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রম অনুসারে সব ক্যাটাগরির বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ আকর্ষণীয় নতুন পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হয়। শিশুদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক আকর্ষণীয় করার জন্য ২০১২ শিক্ষাবর্ষ হতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক হোয়াইট পেপার, কভার পৃষ্ঠা, হিট থার্মাল পারফেক্ট বাইন্ডিংসহ চার রঙের আকর্ষণীয় মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হচ্ছে। ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরিমার্জিত কারিকুলাম অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হচ্ছে। পরিমার্জিত কারিকুলামে বর্তমান বিশ্ব এবং সমসাময়িক পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেন। এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সারা দেশে একযোগে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে বই বিতরণ উৎসব উদযাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করলেন ড. রেবেকা সুলতানা
রাজধানীর পূর্বাচলে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ও প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা।
বুধবার(২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে ও বেলুন উড়িয়ে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. ইফফাত জাহান। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্মৃতিচারণ ও দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা।
আরও পড়ুন: পিএসসির সামনে অবস্থান কর্মসূচি ৪৩তম বিসিএস ভাইভা প্রার্থীদের
তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সুখী সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা বেগবান করতে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অধ্যাপক রেবেকা সুলতানা বলেন, 'শিক্ষাই মানুষকে উন্নত করে গড়ে তোলে, সেভাবেই আমি আপনাদের গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি।'
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনের সব ক্ষেত্রে সফল হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি তাদের অর্জিত জ্ঞান নিয়ে দেশ ও সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির ছেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক আরশাদ আদনান, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান কে এম খালেদ ও রায়হান আযাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১ জানুয়ারি ‘বই উৎসব’ উদযাপনে ইসির সম্মতি
১ জানুয়ারি ‘বই উৎসব’ উদযাপনে ইসির সম্মতি
আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নতুন বই বিতরণ কর্মসূচি (বই উৎসব) উদযাপনের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যেহেতু অন্যান্য বছরের মতো ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে সারা দেশে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা সরকারের রুটিন কাজ, তাই ইসি এই কর্মসূচি পালনে সম্মতি দিয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই নিজ নিজ স্থানের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে যথানিয়মে বই বিতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: পিএসসির সামনে অবস্থান কর্মসূচি ৪৩তম বিসিএস ভাইভা প্রার্থীদের
প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ কার্যক্রম শুরুর সম্মতি দিলে তা অব্যাহত থাকবে।
শুধু কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার আওতাধীন সুয়াগঞ্জ তফাজ্জল আহাম্মদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবে না, তবে চিঠিতে এর কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
আরও পড়ুন: মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি