শিক্ষা
এসএসসি’র উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নে জিপিএ-৫ পেল ঢাকা বোর্ডের ২৮৬ শিক্ষার্থী
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের মাধ্যমে মোট ২৮৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন।
তাদের মধ্যে তিনজন অনুত্তীর্ণ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এবং ২৯৩ জন শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাশ হয়েছেন।
রবিবার (১০ আগস্ট) ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এই নতুন ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ বছর ঢাকা বোর্ডে ৯২,৮৬৩ জন শিক্ষার্থী পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবেদন করেন। মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের আবেদন জমা পড়েছে, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
গত বছর থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় ২১ হাজার এবং চ্যালেঞ্জকৃত উত্তরপত্রের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে।
গণিতে সর্বোচ্চ পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবেদন ছিল, যেখানে ৪২,৯৩৬টি উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৯,৬৮৮টি এবং পদার্থবিজ্ঞানে ১৬,২৩৩টি উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে চ্যালেঞ্জের সংখ্যা ১৩,৫৫৮টি।
ফাইন আর্টসে সবচেয়ে কম— মাত্র ছয়টি আবেদন এসেছে।
পুনঃমূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হয় না। এটি নিশ্চিত করা হয় যে, মার্কস সঠিকভাবে যোগ হয়েছে কিনা, কোনো প্রশ্ন বাদ পড়েছে কিনা এবং মার্কস সঠিকভাবে ওএমআর শিটে রেকর্ড হয়েছে কিনা। প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন করে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
১২৭ দিন আগে
কুমিল্লায় এসএসসি পুনর্নিরীক্ষায় ১৯০ জন পাস, জিপিএ-৫ বেড়ে ৬৭
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে ৮৪৪ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ১৯০ জন এবং নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৭ জন। এ ছাড়া, আগে জিপিএ-৫ পাওয়া ৯১ শিক্ষার্থীর বিষয়ভিত্তিক গ্রেডে পরিবর্তন এসেছে।
রবিবার (১০আগস্ট) সকালে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মো. কবির উদ্দিন।
কবির উদ্দিন বলেন, ‘গত ১০ জুলাই এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ১১ জুলাই থেকে অনলাইনে পুনর্নিরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শুরু হয়, যা চলে ১৭ জুলাই পর্যন্ত। এ সময় মোট ৩৫ হাজার ৫৩১ জন শিক্ষার্থী ৭৫ হাজার ৮৭৭টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেন।’
আরও পড়ুন: এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়নি: ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান
তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী উত্তরপত্র পুনরায় যাচাইয়ের পর ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছর কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭২ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় মোট পাসের হার ছিল ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। আগে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯ হাজার ৯০২ জন, যা এখন আরও ৬৭টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯৬৯ জনে।
১২৭ দিন আগে
নারীর পর্দা নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, সমালোচনার মুখে জবি ছাত্রদল সদস্য সচিব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্যদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে তার এক মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ঢাবি শাখার সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাতের ছবি যুক্ত করে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের এক মন্তব্যের উত্তরে তিনি অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরেকটি মন্তব্যের উত্তরে তিনি লেখেন, ‘লুঙ্গির তলেও দারুণ পর্দা হয়। আমাদের পর্দায় সমস্যা না, সার্কাসে সমস্যা। বুজিপার পারিচো গেদা।’
আরেফিনের এসব মন্তব্যকে ঘিরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টে তার মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত হাসান সাকিব নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এই হলো রাজনীতি, ছিঃ মুখে থু!’
আরও পড়ুন: জবির আইইআর ইনস্টিটিউটে র্যাগিং, ১০ দিন পেরোলেও গুরুত্বে নেয়নি পরিচালক
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা লিখেছেন, ‘তথাকথিত প্রগতিশীল নারীবাদীরা এখন কই গেছে? এসব নিয়ে তো তাদের কোনো আওয়াজ দেখছি না। নাকি দাড়িওয়ালা পুরুষ আর হিজাব পরিহিত নারীকে নিয়ে যা খুশি বলা বৈধ? এই কমেন্টের মাধ্যমে পুরো নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জবি ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব নিয়ে এমন কটূক্তিমূলক কথা বলা জাহেলিয়াতের চরমতম বহির্প্রকাশ। পর্দা করা মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো মুসলিম পরিবারের মানুষ এমন মন্তব্য করতে পারে না। নৈতিকতাবিবর্জিত মানুষের মতো আচরণ একজন গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতার মুখে বেমানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘বামদের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে যারা নিজেকে নব্য ইসলামবিদ্বেষী প্রমাণ করতে চান, তাদের জানা উচিত, এদেশে ইসলামের শিকড় অনেক গভীরে।’
এদিকে, শামসুল আরেফিন এক মন্তব্যে সমালোচনার জবাব দিয়ে লিখেছেন, ‘পর্দার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আমার বক্তব্য ভিসি মহোদয়ের হিপোক্রেসির উপর— একদিকে রাজনীতি প্রমোট করেন, অন্যদিকে নিষিদ্ধ। নারী ও তাঁর ধর্মীয় স্বাধীনতায় আমার আজন্ম শ্রদ্ধা।’
১২৭ দিন আগে
হল রাজনীতি নিষিদ্ধের আগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে: ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, হলগুলোকে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত রাখার গত বছর নেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) ভোরে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ কথা বলেন। এর আগে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ঢাবিতে হল রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার(৮ আগস্ট) সকালে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে কমিটি ঘোষণা করার পর এই বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
২০২৪ সালের ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বর্তমানে নিষিদ্ধ) নেতাকর্মীদের অপসারণ ও হলগুলোকে রাজনীতিমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বাধ্য করে।
আরও পড়ুন: হল রাজনীতির বিরুদ্ধে মধ্যরাতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাত সাড়ে ১২টার বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে, ১-২-৩-৪, হল রাজনীতি আর নয়, স্বাধীনতা না দাসত্ব, স্বাধীনতা-স্বাধীনতা ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হলো হল স্তরে কোনো ছাত্ররাজনীতির অনুমতি দেওয়া হবে না। তারা কেন্দ্রীয় স্তরে, মধুর ক্যান্টিনে এটি করতে পারে। এটাই ছিল বোঝাপড়া। তবে, আমরা কোনো ছাত্র সংগঠনকে 'আপনি এটি বাতিল করুন' বলতে বাধ্য করতে পারি না। আমরা জানিয়েছি, ১৭ জুলাই যা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তা বলবৎ থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে আজ প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির একটি সভা হবে। এরপর, যেসব ছাত্র সংগঠনের নাম উঠে এসেছে, তাদের সঙ্গেও আমাদের কথা বলব।’
১২৮ দিন আগে
জবির আইইআর ইনস্টিটিউটে র্যাগিং, ১০ দিন পেরোলেও গুরুত্বে নেয়নি পরিচালক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের (২০ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এদিন র্যাগিংয়ের কারণে প্রথম বর্ষের একজন নারী শিক্ষার্থী প্যানিক অ্যাটাক করেন। গত ৩০ জুলাই শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পক্ষের পোস্ট দেওয়া হলে বিষয়টা আলোচনায় আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যান ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে ম্যানার নিয়ে কথা বলেন অনেকে। প্রথম বর্ষের অসুস্থ একটি মেয়েকে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে 'ক্যাম্পাসে কেন চিনলে না' জিজ্ঞেস করেন ১৯ ব্যাচের একজন নারী শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে আরেকজন ছেলের সঙ্গে কথা বলার সময় প্যানিক অ্যাটাক করেন ভুক্তভোগী ঐ নারী শিক্ষার্থী।
এদিকে জানা গেছে, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে কোনো ছাত্র উপদেষ্টা থাকলেও শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যার কথা বলে না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে যোগাযোগ করা হলেও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালককে ফোনে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (১৯ ব্যাচ) একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ক্লাসে অসুস্থ হওয়া মেয়েটি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল বলে পরে জেনেছি। সে মাঝেমধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যায়। আমরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। সে সুস্থ হলে তার কাছে আমরা সকলে 'সরি' বলেছি।
এদিকে ভুক্তোভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী বলেন, গত ৩০ জুলাই দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমাদের একটি প্রোগ্রাম নিয়ে আলোচনা করতে কিছু সিনিয়র ভাই-বোন আমাদের ক্লাসে এসেছিলেন। সেদিন সকালে একটি আপুর সঙ্গে আমার দেখা হয়, যাকে আমি চিনতাম না। পরে ক্লাসে এসে আপু আমাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করেন, আমি কেনো এমন করেছি। আমি স্বাভাবিকভাবেই বলি, আপু, আমি তো আপনাকে চিনি না। এরপর কয়েকজন ভাই এসে কিছুটা জোরে জোরে বলেন, চিনো না কেনো? নাম জানো না কেনো? এসব কথায় আমি হঠাৎ ভয় পেয়ে যাই এবং প্যানিক এ্যাটাক করে ফেলি।
আরও পড়ুন: জকসু নির্বাচনসহ দুই দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৩০ জুলাই বুধবার ঘটনাটি ঘটে। পরে ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং সাবেক সহকারী প্রক্টর কাজী ফারুক হোসেন ভুক্তভোগীদের নোটিশ দিয়ে ডাকে। সঙ্গে ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরও ডাকা হয়। সেখানে কোনো নিষ্পত্তি করতে পারেনি ইনস্টিটিউট পরিচালক মনিরা জাহান। পরে বিষয়টা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট হলে আলোচনায় আসে।তবে এবিষয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন ইনস্টিটিউটএর পরিচালক।
সূত্র জানায়, এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দিতে বলা হলেও কোনো গুরুত্ব দেননি তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিরা জাহান বলেন, আমাদের কেনো ব্যাচ কোনো প্রকার অভিযোগ করেনি। পরে আমরা বিষয়টা একজন শিক্ষার্থীর মাধ্যমে জানি। পরে তাদের চিঠি দিয়ে বসেছে ছাত্র উপদেষ্টারা। আগামী রবিবার লিখিত অভিযোগ দেবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। উভয় ব্যাচের সঙ্গে বসে প্রশাসনকে অবহিত করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, র্যাগিং সম্পর্কিত অভিযোগ তাৎক্ষণিক জানানোর দায়িত্ব বিভাগের। আমাদের প্রক্টরিয়াল বডিতে আইইআর থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। সাংবাদিকদের থেকে শুনে আমরা বিভাগীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ওনাকে ফোনে না পেয়ে আমরা ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বুধবার এ বিষয়ে প্রক্টর অফিসে বিস্তারিত জানানোর কথা। কিন্তু আইইএর থেকে কোনো অভিযোগ পাঠানো হয়নি।
১২৮ দিন আগে
ঢাবির ১৮ হলে আহ্বায়ক কমিটি দিল ছাত্রদল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মোট ৫৯৩ জন শিক্ষার্থী এই হল কমিটিগুলোতে পদ পেয়েছেন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন’র স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. জাহিদুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রিজভী আলম এবং সদস্য সচিব জোবায়ের হোসেন।
স্যার এ এফ রহমান হল ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক ফেরদৌস সিদ্দিক সায়মন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মেহেদী হাসান মুন্না এবং সদস্য সচিব মোঃ মাহদীজ্জামান জ্যোতি।
কবি জসীমউদদীন হল ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক শেখ তানভীর বারী হামিম, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল ওহেদ এবং সদস্য সচিব মেহেদী হাসান।
মাস্টারদা সূর্যসেন হল ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন প্রান্ত, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক লিয়ন মোল্যা এবং সদস্য সচিব মো. আবিদুর রহমান মিশু।
বিজয় একাত্তর হল ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সুলতান মো. সাদমান সিদ্দিক এবং সদস্য সচিব সাকিব বিশ্বাস।
শেখ মুজিবুর রহমান হল ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক সাঈফ আল ইসলাম দীপ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রিনভী মোশাররফ এবং সদস্য সচিব মোঃ সিহাব হোসেন (শাহেদ)।
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক আবু জার গিফারী ইফাত, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ তানভীর আহমেদ জিয়াম এবং সদস্য সচিব মনসুর আহমেদ রাফি।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ৫৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান আসিফ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামসুল হক আনান এবং সদস্য সচিব শাহরিয়ার লিয়ন।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ১৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক তাওহিদুল ইসলাম (তাইমুন), সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সাকিব হোসেন এবং সদস্য সচিব সৈয়দ ইয়ানাথ ইসলাম।
জগন্নাথ হল৩৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক মধুসূদন কুন্ডু হৃষীকেশ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নিত্যানন্দ পাল এবং সদস্য সচিব প্রসেনজিৎ বিশ্বাস।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক মোসাদ্দেক আল হক শান্ত, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান সৌরভ এবং সদস্য সচিব মো. জুনায়েদ আবরার।
ফজলুল হক মুসলিম হল ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ন মো. আবিদ হাসনাত, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক বি এম ফাহিম শাহরিয়ার দীপ্ত এবং সদস্য সচিব মো. মেহেদী হাসান রুমী।
অমর একুশে হল ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক মো. আসাদুল হক আসাদ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. শাহনোমান জিওন এবং সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ।
রোকেয়া হল ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক মোছাম্মাৎ শ্রাবণী আক্তার, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শ্রাবন্তী হাসান বন্যা এবং সদস্য সচিব আনিকা বিনতে আশরাফ।
শামসুন নাহার হল ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক তায়েবা হাসান বিথী, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নিতু রানী সাহা এবং সদস্য সচিব রাবেয়া খানম জেরিন।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক মালিহা বিনতে খান (অবন্তী) এবং সদস্য সচিব জান্নাতুল ফেরদৌস ইতি।
বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল
৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক নওশিন নাহার অথি, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শারমিন খান এবং সদস্য সচিব জান্নাতুল ফেরদৌস পুতল।
কবি সুফিয়া কামাল হল ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক তাওহিদা সুলতানা, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জাকিয়া সুলতানা আলো এবং সদস্য সচিব তাসনিয়া জান্নাত চৌধুরী।
১২৯ দিন আগে
অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন
দীর্ঘদিনের হোস্টেল সংকট ও নানামুখী অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করেছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে একযোগে ক্লাস বর্জন করেন এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— শহীদ শামসুদ্দিন ছাত্রাবাসসহ অন্যান্য হোস্টেলগুলোতে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট, অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ, জরাজীর্ণ ভবন এবং কক্ষগুলোর অব্যবস্থাপনা শিক্ষাজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
তারা অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ চলে গেলে পুরো হোস্টেল অন্ধকারে ডুবে যায়, আর পানির জন্য বাধ্য হয়ে বাইরের দোকান থেকে বোতলজাত পানি কিনে আনতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'আমরা চিকিৎসক হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি, অথচ মৌলিক চাহিদাগুলোরই সঠিক ব্যবস্থা নেই। এই পরিস্থিতিতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কষ্টকর।'
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, গত অর্থবছরে হোস্টেলের জন্য বরাদ্দ বাজেটের সঠিক ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা হয়নি। তারা দ্রুত ওই হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানান।
এর আগের দিন, বুধবার (৬ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল কলেজ অধ্যক্ষ ডা. জিয়াউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা হোস্টেল সংকটের বিস্তারিত তুলে ধরে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম অনুযায়ী, আগামী শনিবারের (৯ আগস্ট) মধ্যে সমস্যার সমাধানে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হলে, রবিবার (১০ আগস্ট) থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাদের মতে, 'হোস্টেলের পরিবেশ উন্নত না হলে, মেডিকেল শিক্ষার মানও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শিক্ষার্থীরা এখন প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন। শনিবারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে রবিবার থেকে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা শিক্ষাঙ্গণে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
১৩০ দিন আগে
ঢাবিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন
মুক্তিযুদ্ধকে কলুষিত করার সব ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র 'হাঙ্গর নদী গ্রেনেড' প্রদর্শিত হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পায়রা চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ (ডিইউএফএস) এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। সংসদের জনসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক আবরার নাদিম মুমশাদের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, বাংলাদেশের মহান মুক্তি সংগ্রামের স্মৃতি ও আকাঙ্ক্ষাকে সম্মুন্নত রাখতে ঢাকা সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে এবং চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র 'হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭) প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে সংগঠিত সব গণসংগ্রামের অভেদ চেতনায় আকাঙ্ক্ষা ও স্মৃতিকে কলুষিত করার সব ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র রুখে দিতে নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাইকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
১৩১ দিন আগে
বেরোবির দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, ‘একজন’ বরখাস্ত
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যৌন হয়রানির অভিযোগে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে একই অভিযোগে অভিযুক্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. তানজিউল ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধে এখনও কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিচার বৈষম্যের অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ জুলাই) রাতে শিক্ষার্থীরা ইউএনবিকে জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তারা আন্দোলনে নামবেন।
শিক্ষার্থী সুমন, জুয়েল ও মেহেরা আফরোজের অভিযোগ, উপাচার্য বিমাতাসুলভ আচরণ করছেন এবং অভিযুক্ত তানজিউল ইসলামকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, তবে আমরা তা কোনোদিনই হতে দেব না।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পরিসংখ্যান বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৩শ সভার সিদ্ধান্তক্রমে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৩ আগস্ট রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদের সই করা এক আদেশের মাধ্যমে তার বরখাস্তের বিষয়েটি জানানো হয়।
বেরোবি সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথমে ওই শিক্ষককে ক্লাস ও পরীক্ষা থেকে এক বছরের জন্য বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়— এমন তথ্য জানাজানি হলে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে উপাচার্যের কাছে তার বহিষ্কার দাবি করেন। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ কয়েকবার সময় নিয়েও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দেন। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ওই শিক্ষককে বহিষ্কারের খবর জানানো হয়।
তবে প্রায় একই সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ড. তানজিউল ইসলামের বিরুদ্ধেও পরীক্ষায় নম্বর দেওয়া নিয়ে কারসাজি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপও ছড়িয়ে পড়ে। তাই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তবে চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি শিক্ষক জীবনের বিরুদ্ধে তেমন কিছু খুঁজে পায়নি— এই মর্মে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কিন্তু এত তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও তদন্ত কমিটির কোনো কিছু খুঁজে না পাওয়া সন্দেহজনক।
সূত্র বলছে, তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষক জীবনকে তার অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে এবং আগামী যেকোনো সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত পাস করিয়ে নেওয়া হবে।
এ খবর জেনে ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকেই বলছেন, এই শিক্ষক বিএনপিপন্থি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ভিসির সঙ্গে সখ্যকে কাজে লাগিয়ে তিনি তদন্তকাজ প্রভাবিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বেরোবি প্রশাসনকে ‘শাড়ি-চুড়ি’ দিল শিক্ষার্থীরা
এ ছাড়াও প্রভাবশালী পরিচয়, প্রশাসনের ঘনিষ্ঠতা কিংবা গোপন সমঝোতার জেরে তানজিউল ইসলাম রেহাই পেয়ে যাচ্ছেন বলেও দাবি অনেকের। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় নিষ্পত্তিমূলক তদন্ত ও সমান বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে ড. তানজিউল ইসলাম জীবনের বিপক্ষে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষক আমির বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটি গঠন হওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন কবে এটি প্রকাশ করবে তা উপাচার্য জানেন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো শওকত আলী বলেন, ‘আমরা একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। সিন্ডিকেট মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করেছি।’
একই অভিযোগ, একই তদন্ত কমিটি। তাহলে একটির ফল সাময়িক বহিষ্কার, অথচ অন্যজন এখনো বহাল— এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা সামনের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এটা তুলব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। এসব বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স।’
১৩২ দিন আগে
বাকৃবিতে শাস্তির আওতায় ১৫৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ১৫৪ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (৪ আগষ্ট) বিকালে বাকৃবির রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এই বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, মোট তিনটি কেস স্টাডিতে এই শান্তি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে নির্যাতন ও হয়রানি এবং বিগত ২৪ সালের ৪ আগস্ট ‘শান্তি মিছিল’ এর মাধ্যমে জুলুম, নির্যাতন ও গণহত্যার উসকানি ও সমর্থন দেওয়ায় মোট ৫৭ জন শিক্ষক, ২৪ কর্মকর্তা ও ২১ কর্মচারীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষকদের মধ্যে ৬ জনকে বরখাস্ত, ১২ জনকে অপসারণ, ৮ জনকে নিম্নপদে অবনমিত ও ৩১ জনকে ভৎসনা করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে ৮ জনকে বরখাস্ত, ৮ জনকে অপসারণ, ৭ জনকে ভর্ৎসনা এবং ১ জনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কর্মচারীদের মধ্যে ২ জনকে বরখাস্ত এবং ১৯ জনকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে।
গত সালের ৪ আগস্ট বাকৃবি ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের যেসকল সন্ত্রাসীরা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ‘শান্তি মিছিল’ এর নামে একটি সন্ত্রাসী মিছিল ও আন্দোলনকারীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করায় মোট ৩১ জন ছাত্রকে শাস্তির আওতায় এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদের মধ্যে সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে ২৪ জন ছাত্রের এবং আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে ৭ জন ছাত্রকে।
এ ছাড়া ২০২২ সালে আশরাফুল হক হলে চারজন শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল ও শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ২ জন শিক্ষক, ১৮ জন ছাত্র ও একজন কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করে শান্তি দেওয়া হয়েছে। দুই শিক্ষকের মধ্যে একজনকে নিম্নপদে অবনমিত ও একজনকে পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে।
ছাত্রদের মধ্যে সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে ১৫ জনের এবং আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে ৩ ছাত্রকে।
এর আগে, গত ১৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২৮তম সিন্ডিকেট অধিবেশনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশনের করা বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির সুপারিশের অনুমোদন দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
এই বিষয়ে বাকৃবির গণতদন্ত কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, তদন্ত কমিশন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশের প্রেক্ষিতে আজ বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একইসঙ্গে আশরাফুল হক হলের ঘটনার জন্য ও অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১৩৩ দিন আগে