শিক্ষা
জকসু নির্বাচনসহ দুই দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, জগন্নাথ দেশের অন্যতম শীর্ষ একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখানে ছাত্র সংসদ না থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ন্যায্য অধিকারের পরিপন্থী। জকসু নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের মত প্রকাশ ও নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পাবে, যা একটি আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ। কিন্তু এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে নয় ছয় করে আসছে এই প্রশাসন।
জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, গত বুধবার জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে দুই দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো রেসপন্স করেনি। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নয়-ছয় করে পার পাবে না। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আমরা প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, আজকে আমরা দুই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে জকসুর যে নীতিমালা- তা বিশেষ সিন্ডিকেট ডেকে পাস করিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে এবং সম্পূরক বৃত্তির ব্যাপারে নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
গতকাল রবিবার (৩ আগস্ট) দ্রুত জকসু নির্বাচন কার্যকর করতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় শাখা ছাত্রশিবির। একইদিনে স্মারকলিপি দেয় শাখা ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।
এর আগে, গত বুধবার দুই কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
১৩৩ দিন আগে
প্রাথমিকে সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরু
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আশা করি, সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরু হবে। প্রকল্পের ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যারা বাস্তবায়ন করবে, তাদের প্রশিক্ষণও চলছে। আগস্টের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে সেপ্টেম্বরেই মাঠে নামা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশজুড়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে বড় প্রকল্পটি ১৫০টি উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হবে, অন্য প্রকল্পটি কক্সবাজার ও বান্দরবানে কার্যকর হবে।
ডা. বিধান বলেন, প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়াসহ প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ এবং পিএসসির মাধ্যমে তিন হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানোন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষার বাইরে থাকলেও তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা চালু আছে।
পড়ুন: ৪৯তম বিশেষ বিসিএস: পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও সার্কুলারে নেই আরবি বিভাগ
সরকারি বিদ্যালয়ে সময় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এক বছরে মাত্র ১৮০ দিন স্কুল থাকে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংযোগ যদি না থাকে, তাহলে শেখার সুযোগ সীমিত হয়। তাই সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয়কে শিশুদের আনন্দঘন পরিবেশে রূপান্তর করা হচ্ছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, বিভাগীয় কমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এবং পরিচালক (নীতিনির্ধারণ ও কার্যক্রম) মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
জেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ‘প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। এতে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত গ্রহণ করা হয়।
সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক এবং শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নেন। তাঁরা মাঠপর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন সমস্যা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
১৩৩ দিন আগে
৪৯তম বিশেষ বিসিএস: পদ শূন্য থাকলেও সার্কুলারে নেই আরবি বিভাগ
৪৯তম বিসিএস’র (সাধারণ শিক্ষা) বিজ্ঞপ্তিতে ‘আরবি ও ইসলামী শিক্ষা’ বিষয়ে পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও সার্কুলারে রাখা হয়নি আরবি বিভাগের নাম। এর প্রতিবাদে এবং সার্কুলারে বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইবরাহীম নাফিস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক নিয়োগের জন্যই ৪৯তম বিসিএস’র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সাধারণত সরকারি কলেজের প্রভাষক পদ বেশি শূন্য থাকলে বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ৪০তম বিসিএসের পর থেকে ‘আরবি ও ইসলামী শিক্ষা’ বিষয়ে কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৬টি কলেজে ‘আরবি ও ইসলামী শিক্ষা’ বিভাগ রয়েছে। ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) কেবল সরকারি কলেজের প্রভাষক নিয়োগের জন্য দেওয়া হয়েছে বিধায় বিজ্ঞপ্তিতে আরবি ও ইসলামী শিক্ষার প্রভাষক পদ শূন্য দেখানো হবে বলে আমরা আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু আরবি ও ইসলামী শিক্ষার কোনো পদ শূন্য নেই দেখে আমরা চরম হতাশ হয়েছি। অথচ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই বিষয়ের ৩৩টি প্রভাষক পদ শূন্য রয়েছে।
নাফিস বলেন, বিসিএস পরীক্ষার বিভিন্ন ধাপের আয়োজন সম্পন্ন করে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় দুই বছর সময় লেগে যায়, ততদিনে নিশ্চয়ই আরো পদ শূন্য হবে। এত পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য না দেখানো অত্যন্ত দুঃখজনক ও আমাদের জন্য চরম হতাশার বিষয়। আমরা এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের দাবি জানিয়েছি। এছাড়া পিএসসির চেয়ারম্যানকেও মৌখিকভাবে আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে ‘আরবি ও ইসলামী শিক্ষা’ -এর শূন্য পদগুলো অন্তর্ভুক্ত করে আরবির শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ সৃষ্টির জন্য তারা জোর দাবি জানান।
যৌক্তিকতা থাকা সত্ত্বেও দাবি না মানা হলে আইনি সহায়তা গ্রহণসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুনতাসীর আহমেদ মুয়াজ, ১৪তম ব্যচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান এবং নাঈম তানভীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৩৩ দিন আগে
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়: ৪০ শতাংশ অনলাইনে, ৬০ শতাংশ ক্লাস হবে সশরীরে
ঢাকা মহানগরীর সরকারি সাত কলেজের জন্য প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ শতাংশ ক্লাস হবে অনলাইনে, আর বাকি ৬০ শতাংশ ক্লাস সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে ঢাকা মহানগরীর সরকারি ৭ কলেজের জন্য প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সংক্রান্ত কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমান এ তথ্য জানান।
নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য ও পরিচালনাপদ্ধতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা হবে ইন্টারডিসিপ্লিনারি ও হাইব্রিড ধরনের, যেখানে ৪০ শতাংশ অনলাইন, ৬০ শতাংশ অফলাইন (সশরীরে) ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। সব ধরনের পরীক্ষা সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব শিক্ষার্থী প্রথম চারটি সেমিস্টারে নন-মেজর কোর্স অধ্যয়ন করবে। পরবর্তী চার সেমিস্টারে ডিসিপ্লিন অনুযায়ী মেজর কোর্স অধ্যয়ন করবে। তবে পঞ্চম সেমিস্টারে শর্তপূরণ সাপেক্ষে শিক্ষার্থী ইচ্ছানুযায়ী ডিসিপ্লিন পরিবর্তন করতে পারবে। তবে ক্যাম্পাস পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না।’
কার্যক্রম হবে চারটি স্কুল ভিত্তিক
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়াশোনা হবে না। এক বা একাধিক কলেজে স্কুলভিত্তিক ক্লাস হবে। সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে স্কুল অব সায়েন্সের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস। স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের জন্য সরকারি তিতুমীর কলেজ, স্কুল অব বিজনেসের জন্য সরকারি তিতুমীর কলেজ, স্কুল অব ল অ্যান্ড জাস্টিসের জন্য কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাস নির্ধারণ করা হয়েছে।
সবার জন্য সুবিধাজনক স্থানে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়। কলেজগুলোর বিদ্যমান উচ্চমাধ্যমিক অক্ষুণ্ণ থাকবে। শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারাও কলেজগুলোতে থাকবেন। তবে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
এ বছরের মধ্যেই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধ্যাদেশ জারি হবে। তবে এবারের ভর্তি কার্যক্রম বিদ্যমান নিয়মেই হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সাত কলেজের
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও যা থাকবে
একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাঠামো সম্পর্কে মজিবর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে একাডেমিক কাউন্সিল, সিনেট ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন প্রক্টর থাকবেন। এছাড়া প্রতিটি কলেজে একজন পুরুষ ও একজন নারী ডেপুটি প্রক্টর থাকবেন। অর্থাৎ ৭ কলেজে সর্বমোট ১৪ জন ডেপুটি প্রক্টর থাকবেন।
সাত কলেজের পাঁচটিতে আগের মতো উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় চালু থাকবে বলে ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান। স্নাতক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা টাইম, স্পেস ও রিসোর্স শেয়ারিং পদ্ধতিতে একই ক্যাম্পাস ব্যবহার করবে। কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে। প্রতি ডিসিপ্লিনে যৌক্তিকভাবে ছাত্রসংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রথম বর্ষেই ল্যাপটপ ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সব প্রশাসনিক কার্যক্রম (ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন, আবেদন ইত্যাদি) আইটি বেসড/ডিজিটাল সিস্টেমে সম্পাদিত হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা যেকোনো ধরণের অনুসন্ধান আইটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। কলেজগুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়োগকর্তাদের বণ্টন করা হবে।
বাজেট গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে। প্রতিটি কলেজে আধুনিক মানসম্পন্ন লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, মেডিকেল সেন্টার ও পরিবহন ব্যবস্থা থাকবে।
বিভিন্ন পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আগের বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামো অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করবেন। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সময়মতো পরীক্ষা নেওয়া, রেজাল্ট দ্রুত প্রকাশ করা ও সেশনজট কমাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব।
সাত কলেজের বর্তমান শিক্ষকদের কি হবে?
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান বলেন, ‘কলেজের যে মৌলিক বৈশিষ্ট্য, সেখানে আমরা কোনো পরিবর্তন আনছি না। কলেজ কলেজের জায়গায়ই থাকবে। কলেজের শিক্ষকরা কলেজেই থাকবেন। বিদ্যমান কাঠামোয় কলেজের শিক্ষকরাই পাঠদান করবেন। যখন বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো কলেজের কাঠামোর সঙ্গে একীভূত থাকবে না। তখন নিয়োগ হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে যোগ্যতা বলে নিয়োগ দেওয়া হয় সেই অনুযায়ী। কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় আসতে চান, যারা যোগ্য আছেন তারা সাধারণ যে প্রক্রিয়া আছে, সে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন।’
ঢাকা মহানগরীর ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ এবং সরকারি বাঙলা কলেজ দেশের সব সরকারি ডিগ্রি কলেজের সঙ্গে ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি পায়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক নানা জটিল সংকটের সৃষ্টি হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বিদ্যমান সংকট নিরসনে ২০১৭ সালে সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তির পর সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে একটি নতুন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে কলেজগুলোকে পরিচালনার দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: সাত কলেজ নিয়ে যৌক্তিক সমাধান আসবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
শিক্ষার্থীদের দাবির পরপরই গত বছরের ২৪ অক্টোবর ‘সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি পর্যালোচনা ও সুপারের সংক্রান্ত কমিটি’ গঠন করা হয়। উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে সাত কলেজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রস্তাব সম্বলিত প্রতিবেদন প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউজিসি চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান, সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসক ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৩৩ দিন আগে
দেশীয় প্রযুক্তিতে পরিবেশবান্ধব ছত্রাকনাশক উদ্ভাবনের দাবি বাকৃবি গবেষকদের
দেশে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ও অনুজীব দিয়ে ফসলের উৎপাদনবর্ধক ও পরিবেশবান্ধব ছত্রাকনাশক উদ্ভাবনের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক।
বাকৃবির উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহজাহান মঞ্জিলের নেতৃত্বে গবেষক দলটি ট্রাইকোডার্মা অ্যাসপেরেলাম নামক ছত্রাক ব্যবহার করে নতুন ছত্রাকনাশকটি উদ্ভাবন করেছেন, যার নাম দিয়েছেন পি.জি. ট্রাইকোডার্মা।
অধ্যাপক মঞ্জিল ছত্রাকটি আইসোলেট ও বায়োফর্মুলেশন উন্নয়ন করেছেন। গবেষক দলের অন্য দুই সদস্য— কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কে. এম. মহিউদ্দিন। তিনি এর গুণগত মান ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করেন। আর ফার্ম স্ট্রাকচার ও এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আশরাফ উৎপাদন ও পরিবেশগত মূল্যায়ন পরিচালনা করেন। গবেষণাটি বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি ও বায়োকন্ট্রোল ল্যাবে সম্পন্ন হয়।
গবেষকদের দাবি, ছত্রাকনাশকটি পরিবেশবান্ধব হওয়ায় মাটি ও পানিতে ব্যবহারযোগ্য রাসায়নিক সারের প্রয়োজনীয়তা প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমিয়ে দেয় এবং উৎপাদন ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
ট্রাইকোডার্মা নিয়ে গবেষণা প্রসঙ্গে অধ্যাপক মঞ্জিল ইউএনবিকে বলেন, এটি আমাদের দেশের মাটি থেকেই শনাক্ত ও আলাদা করা হয়েছে। অর্থাৎ এটি স্থানীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করা এবং বাংলাদেশের জলবায়ুতে ভালোভাবে অভিযোজিত।
গবেষণার শুরুতে দেশের বিভিন্ন কৃষি পরিবেশ অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার মাটি ও রাইজোস্ফিয়ারের (শিকড়ঘেঁষা) মাটির নমুনা সংগ্রহ করে শতাধিক ট্রাইকোডার্মা ছত্রাক পৃথক করা হয়।
তিনি বলেন, ট্রাইকোডার্মার শতাধিক প্রজাতি থাকলেও আমরা অ্যাসপেরেলাম বেছে নিয়েছি। কারণ এটি পরিবেশের সঙ্গে সবচেয়ে ভালোভাবে অভিযোজিত এবং কার্যকর। দেশীয় অনুজীব থেকেই এই ছত্রাকনাশকটি উন্নয়ন করা হয়েছে বলে এটি আমদানিকৃত ট্রাইকোডার্মার চেয়ে বেশি কার্যকর।
ট্রাইকোডার্মা অ্যাসপেরেলামের বহুমুখী উপকার সম্পর্কে অধ্যাপক মঞ্জিল বলেন, এটি একযোগে ছত্রাকনাশক ও জৈব সার হিসেবে কাজ করে। এটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জৈব ছত্রাকনাশক, যা এনজাইম, উদ্বায়ী যৌগ ও সেকেন্ডারি মেটাবোলাইটসহ বিভিন্ন জৈব উপাদান উৎপাদনে সক্ষম।
এই উপাদানগুলো উদ্ভিদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শিকড়ে বাস করে পুষ্টি গ্রহণ ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং তাপ, অম্লতা ও লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে।
গবেষক দলটি স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা ট্রাইকোডার্মা অ্যাসপেরেলাম দেশে প্রথমবারের মতো জিন সিকোয়েন্সিং করেছে এবং তা আন্তর্জাতিকভাবে নথিভুক্ত হয়েছে। এটি এনসিবিআই জিনব্যাংকে সংরক্ষিত হয়েছে।
১৩৫ দিন আগে
ডাকসুর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, ৬ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে খসড়া ভোটার তালিকা ড্যাশবোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি জানানোর শেষ তারিখ ৮ আগস্ট। আগামী ১১ আগস্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
খসড়া তালিকা অনুযায়ী, এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৯৩২ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১৯ হাজার ২৮ জন এবং ছাত্র ২০ হাজার ৯০৪ জন। মোট ভোটারের ৫২ দশমিক ৩৫ শতাংশ ছাত্র ও ৪৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ ছাত্রী ভোটার।
ছাত্রদের জগন্নাথ ও ছাত্রীদের রোকেয়া হলে সর্বাধিক ভোটার ছাত্রদের হলের মধ্যে সর্বাধিক ভোটার রয়েছে জগন্নাথ হলে— ২ হাজার ২৫৪ জন। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ১ হাজার ৬০০ ভোটার রয়েছে।
কবি জসীম উদ্দীন হলে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ২৯৮, অমর একুশে হলে ১ হাজার ৩১৯, ফজলুল হক মুসলিম হলে ১ হাজার ৭৭৯, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ২ হাজার ১৭। বিজয় একাত্তর হলে ২ হাজার ১৩, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ১ হাজারে ৭৩৫, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে রয়েছে ১ হাজার ৯৬১ জন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৫৫৯, সূর্যসেন হলে ১ হাজার ৪৯৫জন।স্যার এ এফ রহমান হলে ১ হাজার ৪৮০ জন এবং হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে রয়েছে ১ হাজার ৩৯৪জন ভোটার রয়েছেন। সব মিলিয়ে ছাত্র ভোটারের সংখ্যা ২০ হাজার ৯০৪ জন, যা মোট ভোটারের ৫২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এদিকে, ছাত্রী ভোটারের সংখ্যা ১৯ হাজার ২৮ জন, যা মোট ভোটারের ৪৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ছাত্রীদের হলগুলোর মধ্যে সর্বাধিক ভোটার রয়েছেন রোকেয়া হলে— মোট ৫ হাজার ৬৭৬ জন।
কবি সুফিয়া কামাল হল, যেখানে ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৪৯৫ জব, শামসুন্নাহ নাহার হলে ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৯৮ জন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ২ হাজার ১০৮ জন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ২ হাজার ৬৫১ জন।
পড়ুন: একাডেমিক সক্ষমতা বাড়াতে ঢাবিতে ২৮৪১ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প
তফসিল অনুযায়ী, ১২ আগস্ট থেকে ডাকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হবে। ১৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৯ আগস্ট বেলা ৩টা।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ২০ আগস্ট। এরপর ২১ আগস্ট প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ আগস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এরপর ২৫ আগস্ট বিকেল ৪টায়প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
৬টি ভোটকেন্দ্র
এবারই প্রথম নির্ধারিত ভোটকেন্দ্র ও হলভিত্তিক ভোটারদের ভাগ করে দেওয়া হয়েছে ছয়টি কেন্দ্রে। কার্জন হল কেন্দ্রে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, অমর একুশে এবং ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে ভোট দেবেন জগন্নাথ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ভোট দেবেন রোকেয়া, শামসুন নাহার ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে নির্ধারিত হয়েছে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীদের ভোটদান।
সিনেট ভবন কেন্দ্রে ভোট দেবেন স্যার এ এফ রহমান, হাজী মুহম্মদ মহসীন এবং বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে মাস্টার দা সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান, শেখ মুজিবুর রহমান ও কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন।
১৩৮ দিন আগে
একাডেমিক সক্ষমতা বাড়াতে ঢাবিতে ২৮৪১ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প
একাডেমিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২ হাজার ৮৪১ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি বলেন, প্রকল্পটি সাম্প্রতিককালের মধ্যে সবচেয়ে বড় একাডেমিক উদ্যোগ।
বুধবার (৩০ জুলাই) অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য প্রকল্পটির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
৫ বছর মেয়াদি প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুলাই থেকে শুরু করে ২০৩০ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে।এই প্রকল্পের অধীনে ৬টি একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ২৬০০ জন ছাত্রীর জন্য ৪টি আবাসিক হল নির্মাণ, ৫১০০ জন ছাত্রের জন্য ৫টি আবাসিক হল নির্মাণ, ৫টি ছাত্র হল ও ৪টি ছাত্রী হলের জন্য হাউজ টিউটর আবাসন সুবিধা তৈরি, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য ২টি আবাসিক ভবন নির্মাণ, ৫টি অন্যান্য ভবন (প্রশাসনিক ভবনসহ) নির্মাণ, ৪টি জলাধার সংস্কার এবং সৌন্দর্যবর্ধন, বিদ্যমান সার্ভিস লাইন মেরামত/সংস্কার, খেলার মাঠ উন্নয়ন ১টি, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ২টি এবং ড্রেনেজ সিস্টেম ও ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট (ওয়েস্টবিন-২৫৬টি) করা হবে।
উপাচার্য বলেন, এই প্রকল্পটি জনগণের করের টাকায় বাস্তবায়িত হবে এবং আমরা একে জাতির পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপহার হিসেবে বিবেচনা করছি। জাতির প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে এবং সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এই অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রকল্পের সারসংক্ষেপ এবং অ্যানিমেশন চিত্র উপস্থাপন করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, হিসাব পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ জাবেদ আলম মৃধা।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, এই প্রকল্প মূলত একাডেমিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় যে ভবনসমূহ নির্মিত হবে, তার প্রায় সবকটিই শিক্ষাদান ও গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হবে। পাশাপাশি ব্রিটিশ মডেল অনুসরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের কার্যক্রমও এই প্রকল্পের মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে।
উপাচার্য আরও জানান, এই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত গবেষণাকেন্দ্র, ল্যাব এবং অন্যান্য ফ্যাসিলিটি সমাজের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় থাকলেও অনুমতির ভিত্তিতে বাইরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকরা ব্যবহার করতে পারবেন। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে সবুজায়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বৃদ্ধির বিষয়েও প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি। এসময় শিক্ষা উপদেষ্টা, পরিকল্পনা উপদেষ্টা, অর্থ বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
তিনি বলেন, আমরা এটিকে একটি মাস্টারপ্ল্যানের সূচনা হিসেবে দেখছি। আশা করি, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী এক থেকে দেড় দশকের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কাঙ্ক্ষিত চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।
১৩৮ দিন আগে
জাবিতে ‘রেড জুলাই’ র্যালি ও শহীদ পরিবারদের সংবর্ধনা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মুখে লাল কাপড় বেঁধে ‘রেড জুলাই’ র্যালি ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহীদ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘অদম্য-২৪’ স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাভার এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহীদ পরিবারদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
পড়ুন: তিন শ্রেণির আরও ১৭৫৭ জুলাই যোদ্ধার গেজেট প্রকাশ
এসময় উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে শুধু কথা বলার জন্য অনেককে নিষ্পেষিত হতে হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সেই শোষণ থেকে মুক্তি দিয়েছে। এই অভ্যুত্থানকে ধারণ করতে না পারলে এবং শহীদ ও আহতদের রক্তের ঋণ মনে রাখতে না পারলে—তাদের প্রতি অনেক বড় অবিচার করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়ক নামকরণের মাধ্যমে স্মরণে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ২০২৪ সালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও ‘৩৬ জুলাই স্বৈরাচার হাসিনার পতন দিবস উদযাপন-২০২৫’ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাঝে আরও বক্তব্য দেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রাশিদুল আলম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. ছালেহ আহাম্মদ খানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের প্রতিনিধিরা স্মৃতিচারণ করেন এবং তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাভার অঞ্চলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয় এবং সাভার অঞ্চলের শহীদদের নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান উপলক্ষে জুলাই গাথা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে প্রতিদিন (২৮ জুলাই- ২ আগস্ট, ২০২৫) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর আয়োজনে গীতিনাট্য, গান, কবিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
১৩৯ দিন আগে
প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর ক্লাসে ফিরছেন কুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
দীর্ঘ পাঁচ মাস ১০ দিন পর আজ (মঙ্গলবার) ক্লাসে ফিরছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ক্লাস শুরুর নির্দেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী।
এর আগে, গতকাল (সোমবার) সকালে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, সাধারণ শিক্ষার্থী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন উপাচার্য। এরপরই ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত আসে।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর ক্লাস ও পরীক্ষা শুরুর ঘোষণা শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বস্তি নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েটের নতুন উপাচার্য ড. মাকসুদ হেলালী
এ বিষয়ে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক হোসেন বলেন, ‘উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। প্রশাসন ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিলে শিক্ষকরা যোগ দেবেন।’
উপাচার্য ড. মাকসুদ হেলালী বলেন, ‘শিক্ষক ও ছাত্ররা একমত হয়েছে যে ক্লাস ও তদন্ত কার্যক্রম একসঙ্গে চলবে। এজন্য মঙ্গলবার থেকে ক্লাস শুরুর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক আহত হন। ওই রাতেই হামলাকারীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৎকালীন উপাচার্যসহ কয়েক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ৪ মে থেকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। এরপর শিক্ষকরা আর ক্লাসে ফেরেননি।
১৩৯ দিন আগে
৯৬ একর জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন পেল নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত নওগাঁ সদর উপজেলার শালুকা, চকরামপুর ও পাথুরিয়া মৌজায় ৯৬ দশমিক ৮১ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনিক অনুমতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হাছানাত আলী বলেন, ‘নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য সদর উপজেলার নওগাঁ পৌর শহরসংলগ্ন কয়েকটি মৌজায় জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রক্রিয়া শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত এলাকায় জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে।’
তিনি জানান, গতকাল (সোমবার) বিকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে তারা এ সংক্রান্ত একটি আদেশ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য আপাতত ৯৬ দশমিক ৮১ একর জমি অধিগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক! চাকরি হারালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নওগাঁয় বঙ্গবন্ধুর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন দেয় তৎকালীন মন্ত্রিসভা। ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সংসদে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ’ বিল পাস হয়।
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ থেকে পরিবর্তন করে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
তবে বিল পাস হওয়ার পর দুই বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি ও ক্লাসসহ একাডেমিক কার্যক্রম চালুর অনুমোদন দেয়নি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইইজিসি)। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শহরের নওগাঁ মডেল টাউন এলাকার একটি ভবন ভাড়া নিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে।
১৩৯ দিন আগে