শিক্ষা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি অধ্যাপক সাদেকা হালিম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ এবং প্রথম নারী ভিসি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি গ্যাজেট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. সাদেকা হালিম আগামী চার বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে বহাল থাকবেন।
আরও পড়ুন: জবি উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক আর নেই
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সাবেক উপাচার্য ইমদাদুল হকের মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদ শূন্য হওয়ার পর তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অধ্যাপক সাদেকা হালিম দেশের প্রথম নারী তথ্য কমিশনার হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন এবং জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি-২০১০-এর সদস্য হয়েছেন।
তিনি ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) তার শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন এবং কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: জবির লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান
জবি কলা অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন
বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে এ চুক্তি সই হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান এবং ইউজিসির পক্ষে কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান এ সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
সমঝোতা স্মারকের আওতায় ইউজিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নির্দিষ্ট ফি-র বিনিময়ে বিএসএমএমইউ থেকে রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত একটি হেলথ কার্ড বা চিকিৎসা সেবা বই পাবেন।
এই হেলথ কার্ডের মাধ্যমে ইউজিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
এছাড়াও, হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে ইউজিসির কর্তৃপক্ষ, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কেবিন বা বিছানার তালিকা নির্ধারিত করা হয় এই চুক্তির আওতায়।
আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম দস্তগীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
আসন্ন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও পাবলিক বিশ্ববদ্যিালয়গুলোতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) ইউজিসি’র ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অংশীজনদের সঙ্গে সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) ইউজিসিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
আলমগীর বলেন, রাষ্ট্রপতির ইচ্ছা অনুসারে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছিল ইউজিসি। এ বিষয়ে কমিটি গঠন করে এবং বিস্তারিত আলোচনা শেষে একটি অধ্যাদেশের খসড়াও তৈরি করেছিল। কিন্তু, অনিবার্য কারণবশত আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।
আলমগীর বলেন, তবে গত বছরের মতো আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এবছর গুচ্ছভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুচ্ছে ভর্তিতে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দিয়ে নজির স্থাপনের পরামর্শ দেন।
এ ছাড়া প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা রাখা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজারের বেশি আসন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসব শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ে ভর্তি হতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
এরকম পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটা রাখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পোষ্য কোটা থেকে বের হয়ে আসার পরামর্শ দেন।
ইউজিসি’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বে থাকা এ সদস্য আরও বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিষয় পড়ানো হবে, ছাত্র সংখ্যা কী হবে তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে কমিশন এখন পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ইউজিসি’র মূল লক্ষ্য হচ্ছে উচ্চশিক্ষায় গুণগত মান বজায় রাখা, গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, উচ্চশিক্ষায় পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে আমরা বেশ পিছিয়ে আছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, এজন্য ইউজিসি বিভিন্ন কৌশলগত পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়ন করছে।
কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন— ইউজিসি’র আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া।
ইউজিসি’র উপসচিব ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় অংশীজন সভায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মির্জা হাসানুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. রাজু আহম্মেদ, ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভীন ও মো. শাহীন সিরাজসহ ইউজিসি ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত
দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে প্রধান অতিথি হিসেবে লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি করোনায় আক্রান্ত
জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে তা অনলাইনে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে (লটারি) মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সুযোগে সমতা তৈরি হয়েছে। দরিদ্র শিক্ষার্থীরা, যারা নামিদামি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারত না তারা ভর্তি হতে পারছে। কাজেই সুযোগের সমতা তৈরি হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রমের অধীনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-উপকরণ ব্যবহার করার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দামি উপকরণ ব্যবহার করা যাবে না। অভিভাবকদের উপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি হয় এমন কাজ করা যাবে না। আমরা বলেছি ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বাসায় ব্যবহার করা জিসিপত্র ব্যবহার করতে হবে।
লটারির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল ইসলাম চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মধ্যে ফল জানতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে httpsgsa.teletalk.com.bd-এ প্রবেশ করে এই ফলাফল দেখা যাবে।
এসএমএসের মাধ্যমে ফল পেতে জিএসএ লিখে স্পেস দিয়ে রেজাল্ট লিখে স্পেস দিয়ে ইউজার আইডি লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
ফিরতি এসএমএসে শিক্ষার্থীরা জেনে যাবে সে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: গুসি শান্তি পুরস্কার পেলেন ডা. দীপু মনি
ধর্ষণের শিকার হলে নারীর মর্যাদা কমে না: দীপু মনি
পাসের হারে সারা দেশে এগিয়ে বরিশাল
২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪। এ ছাড়া সাধারণ ৯ শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯০।
সাধারণ ৯ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডের শতকরা ৮০ দশমিক ৬৫ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা এগিয়ে
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়। পরে দুপুর ২টার পর রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এদিকে বরিশালের পরেই পাসের হারে রয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪।
ক্রমান্বয়ে রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এ ছাড়া সিলেট বোর্ডে ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
এই ৯ সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ এবং মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭৫।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩: জিপিএ-৫ এর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে
চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে পাস ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এদিকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৩৩৯ জন। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ।
রবিবার দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ এ ফলাফল ঘোষণা করেন। শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলনকক্ষে ফলাফলের তথ্য উপস্থাপন করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা এগিয়ে
তথ্য অনুযায়ী— ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় ২৭৯টি কলেজের ১ লাখ ১ হাজার ২৪৮ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। পাস করেছে ৭৫ হাজার ৯০৩ জন।
পরীক্ষায় উপস্থিতির সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ৯৪৯ জন। পাসের হার ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছাত্রীরা এগিয়ে আছে।
ছাত্রদের পাসের হার ৭১ দশমিক ২৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৮৮৫ জন। ছাত্রীদের পাসের হার ৭৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৪৫৪ জন।
তিনটি শাখার মধ্যে বিজ্ঞানে ৮৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং মানবিকে পাস করেছে ৬৫ দশমিক ২২ শতাংশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথ, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক জাহেদুল হক, বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলি।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩: জিপিএ-৫ এর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা: ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩: জিপিএ-৫ এর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর ১১টি শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন।
গত বছর অর্থাৎ, ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। সেই হিসাবে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭ জন।
অন্যদিকে, দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত বছর ২০২২ সালে পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সেই হিসেবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে।
রবিবার বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩: ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা এগিয়ে
এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা: ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেননি। তবে শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে এবার কিছুটা কমেছে। গতবার শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫০টি।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে দুপুর ২টার পর রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে
গতবারের চেয়ে এবার পাসের হারও কিছুটা কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবার এইচএসসি ও সমমানে সব বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গতবার এইচএসসি ও সমমানে মোট পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
ফলাফলে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। এছাড়া ময়মনসিংহ ও দিনাজপুর বোর্ডে ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী। শুধু ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
এছাড়া, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাস করেছেন ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা এগিয়ে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা এগিয়ে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা এগিয়ে রয়েছেন।
১১টি শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ হয়েছেন মোট ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ পরীক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এ বছর ছাত্রীদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
ফলাফলে দেখা যায়, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ছাত্রীদের থেকে বেশি সংখ্যক ছাত্র অংশ নিয়েছিলেন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৯ হাজার ও ছাত্রী ৬ লাখ ৬৮ হাজার। তবে পাসের হারে ছাত্রীরাই এগিয়ে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফল প্রকাশ করা হয়।
এবার ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হারও কিছুটা কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবার এইচএসসি ও সমমানের সব বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গতবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সেই হিসেবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর
ফলাফলে দেখা গেছে, সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী। শুধু ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
৯টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডের ৭৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডের ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডের ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং যশোর বোর্ডে পাসের হার ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় সেখানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বোর্ড চেয়ারম্যানরা ছিলেন।
গত ১৭ আগস্ট দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম, মাদরাসা ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ আগস্ট।
এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে ১১টি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী