শিক্ষা
বঙ্গবন্ধুকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশেষ সমাবর্তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দিয়েছে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। বিশেষ সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ ছাড়া বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু ১ জানুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান রবিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি শুরু করেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাস্থ্যগত কারণে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।
জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাবর্তন শুরু হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে তেলাওয়াত অনুসরণ করা হয়।
পরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও একটি প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে জাতির স্বাধীনতা ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান রবিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রিতে ভূষিত করেন।
বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এ ডিগ্রি ও স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এ সনদ বুঝে পাওয়ার জন্য সই করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
দুই বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ অক্টোবরের সকল পরীক্ষা স্থগিত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামীকাল রবিবার (২৯ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য সকল পরীক্ষা অনিবার্যকারণে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থগিত এসব পরীক্ষার পরিবর্তীত সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে চলার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিকে শিক্ষাকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছিলেন এবং তিনি কুদরত-ই খোদা শিক্ষা কমিশন তৈরি করেছিলেন। সেই কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছিল, সেটি ছিল অনেক সমৃদ্ধ।’
চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাবিয়ান চাঁদপুরের আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘সেটি যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারতাম আজকে আমরা শিক্ষায় বিশ্বে অনেক বেশি এগিয়ে থাকতাম। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর অন্য সব ক্ষেত্রে যেমন আমরা পিছিয়েছি, শিক্ষায়ও তেমনি পিছিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন শিক্ষায় বিনিয়োগ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ এবং জিডিপির ৪ ভাগ সেখানে বিনিয়োগ করা দরকার। যখন আমরা সারা বিশ্বে শুনি শিক্ষায় জিডিপি কতভাগ বিনিয়োগ। এর মানে হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যে বুঝা যাচ্ছে তিনি সময়ের চাইতে কতখানি এগিয়ে ছিলেন।’
দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যারা তখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তারা কিন্তু এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি। কাজেই তারা এদেশের মানুষকে এগিয়ে নেবে এই চিন্তা তাদের মাথায় ছিল না। যে কারণে তারা গতানুগতিক শিক্ষাকে চালিয়ে নিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শিক্ষায় একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনবার চেষ্টা করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষাকে উৎসাহিত করেছেন। এরপর তিনি বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষার দিকে নজর দিয়েছেন।’
দীপু মনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা দ্বিতীয় মেয়াদে যখন ক্ষমতায় এসেছেন, সেই সময় তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটি ছিল তরুন প্রজেন্মর জন্য ঘোষণা।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমরা দিন বদলের সনদ দিচ্ছি, এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য। বদলে যাওয়া দিনের কাণ্ডারি হবে তরুণ প্রজন্ম এবং তারাই এর সুফলভোগী হবে। তারা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবতা। আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছি এবং সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ। আর এর কেন্দ্র হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক। সেই স্মার্ট নাগরিক হতে হলে শিক্ষার দিকে অর্থাৎ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও মনোভাব নিয়ে তৈরি হতে হবে তার সবকিছু আমরা আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে নিয়ে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের সন্তানরা ভালো পড়ালেখা করবে এবং জ্ঞানের সঙ্গে দক্ষতা অর্জন করবে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হবে। তারা মূল্যবোধকে তাদের জীবন চর্চার অংশ করে নেবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আর যে দক্ষতাগুলো বর্তমান বিশ্বে আছে এবং আসছে সেগুলোর জন্য তৈরি হবে। যেগুলোকে আমরা বলছি সফ্ট স্কিল। সবকিছু মিলিয়ে তারা যেন দক্ষ, যোগ্য, মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হয় সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে যে পরিবর্তন এসেছে, তা নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে এবং গুজব রটানো হচ্ছে। যারা কোচিং ও গাইড বই বিক্রি করছেন তারাও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা এই ব্যবসা না করে অন্য ব্যবসা করতে পারবেন। তাদের কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু আমাদের এই শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন বিষয়ে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সন্তানদের এখন আর গাইড বই কিনে দেওয়া লাগবে না। তাদের প্রাইভেট পড়তে হবে না। তারা আনন্দের মধ্যে শিখবে। আমি সারাদেশের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছি। তারা এই শিক্ষাক্রমের বাস্তবচিত্র আমার কাছে তুলে ধরছে। তারা বলছেন শিক্ষার্থীরা খুবই আগ্রহী এই শিক্ষাক্রমে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাশিয়ান সেন্টার ফর ওপেন এডুকেশনের যাত্রা শুরু
রাশিয়ান হাউসের সহায়তায় দাগেস্তান স্টেট পেডাগোজিক্যাল ইউনিভার্সিটির ব্যবস্থাপনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে রাশিয়ান সেন্টার ফর ওপেন এডুকেশন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে এ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। এদিকে ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, এই কেন্দ্রটি শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষার পাশাপাশি রাশিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতি শিখতে সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়া দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। শিক্ষা ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কেন্দ্র শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
নাটোরে হচ্ছে ড. এম এ ওয়াজেদ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে নাটোরে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার।
এজন্য ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: তরুণদের মেধা, পরিশ্রম ও দেশপ্রেমে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়।
সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এক ব্রিফিংয়ে বলেন, গত ২৮ অগাস্ট ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এখন এটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ওয়াজেদ মিয়ার নামে নাটোরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কোন বিষয় পড়ানো হবে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে।
আরও পড়ুন: এই দুর্গাপূজা অশুভ শক্তির অবসান ঘটাক, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে মানুষের সমৃদ্ধি হোক: সজীব ওয়াজেদ
জিসিএ’র জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি সায়মা ওয়াজেদ
বিতর্কিতদের নিয়ে রাবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠন, বিক্ষুব্ধ নেতাদের অভিযোগ
প্রায় সাত বছর পর শনিবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রাথমিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বেশ কিছু বিতর্কিত নাম অন্তর্ভুক্ত করায় বিভিন্ন মহল থেকে তাৎক্ষণিক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সেই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় রাবি ছাত্রলীগ নেতার ‘ছুরিকাঘাতে’ যুবক জখম
মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে সভাপতি ও আসাদুল্লাহ-হিল-গালিবকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তবে তাদের কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী নন।
ফলে আন্দোলনরত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা নতুন কমিটির অধিকাংশ নেতার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ উত্থাপন করে নতুন কমিটিকে অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করেন।
নতুন কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি ইনস্টিটিউট অব ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজে একটি সংক্ষিপ্ত কোর্সে ভর্তি আছেন।
সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব আগের কমিটির প্রশিক্ষণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হন। ওই বিভাগ থেকে ঝরে পড়ার পর তিনি তার ছাত্রত্ব হারান। বর্তমানে তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি আছেন।
তবে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকের 'ভুয়া' সার্টিফিকেট ব্যবহার করে তিনি এই কোর্সে ভর্তি হন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মাদক ব্যবসা ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অভিযোগও রয়েছে।
এছাড়া কমিটির ২০ জন সহ-সভাপতির অধিকাংশই অনেক আগেই স্নাতক হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মহানগর ও রাবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ১০
সহ-সভাপতিদের মধ্যে তামান্না আক্তার তন্নির লেখাপড়া শেষ হওয়ায় সম্প্রতি রহমতুন্নেসা হল কর্তৃপক্ষ তাকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়। হল ত্যাগ না করে এই নেত্রী হলের গেটে তালা ঝুলিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হলের ভেতরে আটকে রাখেন।
আরেক সহ-সভাপতি মমিন ইসলামের বিরুদ্ধে সংস্কৃত বিভাগের কর্মীদের মারধর ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থীকে জোর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আসন বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘সময়ের বাস্তবতা বিবেচনা করে আমরা নেতৃত্ব নির্বাচন করেছি। এরপরও কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখব।’
আরও পড়ুন: রাবি ছাত্রলীগের বার্ষিক কাউন্সিল সোমবার
ঢাকায় টেক্সাইল ট্যালেন্ট হান্ট ৮.০ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাব ১০১ জন সম্ভাব্য উদ্ভাবনী মাস্টারমাইন্ড নির্বাচন করতে 'টিটিএইচ ৮.০ জাতীয় সম্মেলন-প্রতিযোগিতা দিবস' অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার(২০ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবির কাউন্সিল হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত ২ আগস্ট রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্ট্রো ও পাওয়ার্ড বাই আর্করোমার উপস্থাপনায় টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট (টিটিএইচ) ২০২৩-২৪ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
সম্মেলনে সারা দেশের প্রায় ২৫টি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিডিও অডিশন, ইনোভেটিভ আইডিয়া অডিশন ও এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে ১০১ জনকে জাতীয় প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
আরও পড়ুন: র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে গবেষণায় যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন: ইউজিসি
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ ২৫ জনকে ১ লাখ ২৫ হাজার করে টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর আগে সারা দেশ থেকে ৩০টিরও বেশি ক্যাম্পাসে টিটিএইচ ক্যাম্পাস ড্রাইভ ও সেমিনারে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী সরাসরি অংশগ্রহণ করে।
১০১ টি ইনোভেশন মাস্টারমাইন্ডের মধ্যে পাঁচটি জোন থেকে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন হলেন- বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন এম আজিজুর রহমান; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খালিদ জামান মুমিত; আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবির হোসেন; মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহাম্মদ আসিফ এবং নোয়াখালীর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাবের মহাব্যবস্থাপক ইউসুপ নোভি বাবলু পরিচালিত 'ট্রান্সফরমেশন টু ইনোভেশন' সেশনে অংশগ্রহণের জন্য সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদপত্র প্রদান করা হয়।
প্রকল্পটি শেষ হলে নির্বাচিত ১০১ জনকে ইনোভেশন ব্ল্যাক বেল্ট প্রদান করা হবে। ইনোভেশন ব্ল্যাক বেল্ট টেক্সটাইল এবং পোশাক শিল্পের জন্য টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাবের একটি এক্সক্লুসিভ উদ্যোগ যা টেক্সটাইল শিল্পের বিভিন্ন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ২৫৬ ঘন্টাব্যাপী ফ্যাক্টরি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং বাস্তব হাতে-কলমে সমস্যা সমাধানের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে সহায়তা করে।
এই ইনোভেশন মাস্টারমাইন্ডদের উন্নয়নে মোট ৪৯ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পুরস্কার তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে।
ফতুল্লা ডায়িং অ্যান্ড ক্যালেন্ডারিং মিলস লিমিটেডের পরিচালক মিনহাজুল হক বলেন, শিল্পকে চাহিদার নির্ভুলতা জানতে হবে। গুণমান নিশ্চিত করা অপরিহার্য এবং পেশাদারদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮২ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন জাতীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ফেলোশিপ
সকল অংশগ্রহণকারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সটাইল কলেজের সেরা ২৫ জনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইন্সটিটিউশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্টসের (আইটিইটি) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান সিআইপি বলেন, 'আপনাদের নেতৃত্বে আমাদের ১০ হাজার কোটি ডলারের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, আমাদের টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে - যা শিল্পকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করছে।
তিনি বলেন, ‘টেক্সটাইল প্রকৌশলী ও এ খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গড়ে তুলছে। আপনাকে শিল্পের ভবিষ্যত নেতা হতে হবে। অতীত ছিল উৎপাদন কেন্দ্রিক। কিন্তু এটা টেকসই, উদ্ভাবন। নেতা তৈরির এই উদ্যোগটি টিটিএইচ। আমি টিটি টিমের কাছে কৃতজ্ঞ। উদ্ভাবন ছাড়া আমাদের শিল্প বিকল হয়ে পড়বে। তাই আমি মনে করি এই জাতীয় সম্মেলন একটি পার্থক্য তৈরি করবে।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাবের জিএম ইউসুপ নভি বাবলু।
টিটিএইচ ৮ম সিজনের অন্যান্য স্পন্সররা হলেন- প্লাটিনাম স্পন্সর ডাইসিন গ্রুপ এবং জে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড; প্রাইজ মানি স্পন্সর আপনা অর্গানিকস প্রাইভেট লিমিটেড; স্পন্সর হিসেবে থাকছে সামিত ডাই কেম ও সূতা ঘর কালার হাউজ। কোয়ালিটি পার্টনার এসজিএস বাংলাদেশ লিমিটেড এবংনেটওয়ার্কিং পার্টনার হলো টেক্সমেটা।
আরও পড়ুন: নটরডেম ইউনিভার্সিটির সিএসই ফেস্টের আইডিয়াথনে চ্যাম্পিয়ন বিডিইউ
জাবি সিনেট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের জয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ।
নির্বাচনে ৩৩টি পদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের প্রার্থীরা ২৪টি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া শিক্ষক ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা ৮টি পদে ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত শিক্ষক ক্লাবে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে ৫৭৭ জন শিক্ষক ভোট দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে নিরাপত্তা জোরদারে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স চালু
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ম দিনের মতো শিক্ষকদের কর্মবিরতি
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দশম দিনের মতো কর্মবিরতিতে আছেন।
অবিলম্বে ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন শিক্ষকের প্রমোশন নিশ্চিত করা এবং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকরা গত ৭ অক্টোবর এক মানববন্ধন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত স্থগিত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা।
এছাড়া, ১৫ অক্টোবর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ১৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাসের ডিন ও বিভাগীয় অফিসের কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিয়োগে অনিয়ম: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
গত ৩ আগস্ট ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যা পরে একটি বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পুণর্মূল্যায়ন করা হয়।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশিকুল আলম বলেন, ‘পুণর্মূল্যায়ন কমিটি ৭৩ জনের ফাইল ও নিয়োগের বৈধতা যাচাই করেছে। দুই মাস ধরে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি এবং হতাশায় ভুগছি। অবিলম্বে শিক্ষকদের এই সমস্যা নিরসনের জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।’
এদিকে এই সমস্যার প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১১ মাস স্থগিত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন প্রভাষকের পদয়োন্নয়ন।
খুকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান জানান, ‘আসলে কয়েকজন ব্যক্তি এই জটিলতা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমাদের ৩৯ জন শিক্ষকের পর্যায়োন্নয়ন হচ্ছে না এই জটিলতার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের এই সমস্যাটাকে খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না।’
শিক্ষকেরা জানান, তারা শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন করতে চান না এবং এজন্যই তারা নানা সমস্যার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বা পরীক্ষা চলমান রেখে চলেছেন। কিন্তু তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা নিরসনের জন্য কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ লক্ষ্য করছেন না, যা শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে। তাই অবিলম্বে এর সমাধান ও শিক্ষকদের পর্যায়োন্নয়ন না দিলে তারা ক্লাসে ফিরবেন না।
এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক একযোগে কর্মবিরতিতে যাওয়ায় স্থবির হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এই পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে সেশনজটের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া ৪৭৩ নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ
তাকসিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদককে পদক্ষেপ জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট
টানা কর্মবিরতিতে খুকৃবি শিক্ষকরা, স্থবির শিক্ষা কার্যক্রম
৮ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতিতে আছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) শিক্ষকরা।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার দ্রুত সমাধানের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক সমিতি।
অবিলম্বে ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন শিক্ষকের প্রমোশন নিশ্চিত করা ও তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকরা ৭ অক্টোবর মানববন্ধন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
এরপর থেকে এখন পর্যন্ত স্থগিত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা। এছাড়া ১৫ অক্টোবর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ১৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাসের ডিন ও বিভাগীয় অফিসের কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যা পরে একটি বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়ন করা হয়।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশিকুল আলম বলেন, ‘পুনর্মূল্যায়ন কমিটি ৭৩ জনের ফাইল ও নিয়োগের বৈধতা যাচাই করেছে। দুই মাস ধরে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি এবং হতাশায় ভুগছি। অবিলম্বে শিক্ষকদের এই সমস্যা নিরসনের জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।’
এদিকে এই সমস্যার প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১১ মাস স্থগিত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন প্রভাষকের পদোন্নয়ন।
খুকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আসলে কয়েকজন ব্যক্তি এই জটিলতা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমাদের ৩৯ জন শিক্ষকের পর্যায়োন্নয়ন হচ্ছে না এই জটিলতার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের এই সমস্যাটাকে খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না।’
শিক্ষকরা জানান, তারা শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন করতে চান না এবং এজন্যই তারা নানা সমস্যার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বা পরীক্ষা চলমান রেখে চলেছেন। কিন্তু তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা নিরসনের জন্য কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ লক্ষ্য করছে না, যা শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে। তাই অবিলম্বে এর সমাধান ও শিক্ষকদের পর্যায়োন্নয়ন না দিলে তারা ক্লাসে ফিরবেন না।
এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক একযোগে কর্মবিরতিতে যাওয়ায় স্থবির হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এই পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে সেশনজটের সম্ভাবনা রয়েছে।