শিক্ষা
ঢাবিতে নিরাপত্তা জোরদারে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স চালু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস এলাকায় বুধবার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স চালু করা হয়েছে।
আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুম থেকে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স অ্যান্ড মনিটরিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আসিফ হোসেন খান, প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানসহ অন্যান্য সহকারী প্রক্টর ও অনুষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্রীড়া কোটায় ঢাবিতে ৬০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে
ক্যাম্পাস এলাকার নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে মোট ৫৮টি ক্যামেরা চালু রয়েছে।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, ‘এই ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেমের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশে পাশের বেশিরভাগ সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো এখন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কোণে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণ: ঢাবি ছাত্রাবাসে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
রবীন্দ্র সরোবরে রেস্তোরাঁকর্মীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৬
হাবিপ্রবিতে র্যাগিংয়ের দায়ে ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) র্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই দুই শিক্ষার্থীকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বহিষ্কৃতরা হলেন, রাকিবুল হুদা তাজমুল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। উভয়েই কৃষি অনুষদের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তাদের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ১ সেমিস্টার ও আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ১ অক্টোবর
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সই করা বহিষ্কারসংক্রান্ত চিঠি গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওই দুই ছাত্রের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ।
জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসংলগ্ন অনুপম ছাত্রাবাসে র্যাগিং হচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ২৩তম ব্যাচের নতুন একজন ছাত্রকে র্যাগিংয় করার তথ্য প্রমাণ পায় প্রক্টোরিয়াল প্রতিনিধিদল। বিষয়টি র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটির সভায় উত্থাপন করেন তারা। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ওই দুইজন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে র্যাগিংয়ের শিকার ওই ছাত্র নিজ জেলা নারায়ণগঞ্জে ফিরে গিয়ে সুইসাইড নোট লিখে গত সোমবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিল। বিষয়টি ভাইরাল হলে ওই শিক্ষার্থী এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিরাপত্তার আশ্বাসে আগামী রবিবারের মধ্যে ছেলেকে ক্যাম্পাসে পাঠাতে সম্মত হন র্যাগিংয়ের শিকার ছাত্রের মা।
এর আগে র্যাগিংয়ের অপরাধে গত ২৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মেয়াদে ৬ ছাত্রকে শিক্ষা কার্যক্রম বহিষ্কার এবং আরও ৩ ছাত্রকে সতর্ক করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
হাবিপ্রবিতে জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
ক্রীড়া কোটায় ঢাবিতে ৬০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক কোর্সে খেলোয়াড় কোটায় ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
খেলোয়াড় কোটায় ভর্তি কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার উপাচার্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চিরকুট লিখে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দক্ষ ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে খেলোয়াড় কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সরোবরে রেস্তোরাঁকর্মীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৬
ভারী বর্ষণ: ঢাবি ছাত্রাবাসে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
ইবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীসহ ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেডিকেল সেন্টার ভাঙচুরের অভিযোগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক এক কর্মী এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগে আরও দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়া সারাদেশের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের প্রথা বন্ধে নবীন শিক্ষার্থীদেরকে নির্যাতনে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্বো, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের হিশাম নাজির শুভ ও একই বিভাগের মিজানুর রহমান ইমন।
আরও পড়ুন: ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবির পাঁচ ছাত্রীকে নতুন করে শাস্তি আরোপের নির্দেশ হাইকোর্টের
এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনের দায়ে কাব্য, শুভ ও ইমনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের আদেশ জারি করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ।
প্রক্টর বলেন, মেডিকেল সেন্টার ভাঙচুরের ঘটনায় কাব্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং শুভ ও ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনে শুভ ও ইমনকে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পুলক, সাকিব ও আকিব নামে আরও তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রক্টর।
এর আগে গত ১১ জুলাই কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরঞ্জাম ভাংচুর করে কাব্য ও তার দুই সহযোগী।
এ ঘটনায় গত ১৫ জুলাই তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবসহ একদল শিক্ষার্থী একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান অডিটোরিয়াম এলাকায় নিয়ে এসে মানসিক নির্যাতন চালায়। তারা আবারও তাকে নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রক্টর এম শাহাদাত হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলিনা নাসরিন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৬ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ইবি কর্মকর্তাদের আন্দোলন
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের সাবেক ৫ নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে গবেষণায় যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন: ইউজিসি
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও উদ্ভাবনে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের অভাবে এ বছর বিশ্ব র্যাংকিংয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থান অর্জন করতে পারেনি।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিটি ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালেয়র (বাকৃবি) ২২টি গবেষণা ও উদ্ভাবন উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সকালে বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে দিনব্যাপী এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. মাহফুজা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ অবস্থা মূলত বিগত বছরগুলোতে তাদের গৃহীত পদক্ষেপের ধারাবাহিক ফল।র্যাংকিংয়ে সম্মানজনক স্থান পেতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, পিএইচডি প্রোগামে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি, সম্মানজনক বৃত্তির ব্যবস্থা, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি সহযোগিতা বৃদ্ধি, সাইটেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেলে দেওয়ার দাবি জানান।আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো ছাড়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী মেধাবী ও তরুণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ পাচ্ছেন না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য আলাদা একটি পে-স্কেলে প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এছাড়া, বিদেশে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে তিনি নবীন শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা খাতে ১২ হাজার ২৬২ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন ইউজিসি’র
তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যা নিয়ে গবেষণার বিশাল সুযোগ রয়েছে। এজন্য, গবেষণার জন্য বিদেশে যাওয়া এবং সেখানে ডিগ্রি শেষে থেকে যাওয়া কোনভাবেই কাম্য নয়।
উপাচার্য এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে যাওয়ার কারণ প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পর্যাপ্ত সাইটেশন না করা। যথাযথ সাইটেশন করা হলে বাকৃবি বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করতো বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে দেশীয় শিল্প-প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা এবং স্নাতকদের বাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে তাদের ইন্টার্নশিপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্ৰহণের আহ্বান জানান।
এছাড়া, সিটি ব্যাংকের সহায়তায় ২২টি গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে হাওড় এলাকার মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবুল মনসুর ও সিটি ব্যাংকের কমার্শিয়াল ব্যাংকিংয়ের প্রধান মোহাম্মদ মাহমুদ গণি।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির চলমান বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের বিস্তারিত দিক তুলে ধরেন বাউরেসের সহযোগী অধ্যাপক চয়ন গোস্বামী।
আরও পড়ুন: ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসি’র গণবিজ্ঞপ্তি জারি
মান বজায় রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি সতর্ক করেছে: বিশ্বজিৎ চন্দ
সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার পর যারা হলে অবস্থান করছেন এবং বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কৃতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে সংঘর্ষ: ৫ বহিরাগত আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের পর রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলে অভিযান চালিয়ে ৮টি ধারালো অস্ত্র ও ১৭টি পাইপ জব্দ করেছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, আব্দুর রব হল থেকে কিছু লোহার রড, ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পড়াশোনা শেষ করার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে অবস্থানকারী সাবেক শিক্ষার্থীদের সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে রবিবারের জারি করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বহিষ্কৃতদেরও একই সময়ের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দিষ্ট সময়ের পর হলে এ ধরনের কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: চবিতে প্রথম আলোর প্রতিনিধির উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
চবিতে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) প্রোগ্রাম উন্নত করতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
শুক্রবার(২২ সেপ্টেম্বর) এই ঋণের অনুমোদন দেয় ব্যাংকটি।
এডিবির সামাজিক খাতের অর্থনীতিবিদ রিওতারো হায়াশি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রযুক্তি গ্রহণকে ত্বরান্বিত করতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে উচ্চশিক্ষায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম উন্নীত করা সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি আরও দক্ষ ও প্রযুক্তিবান্ধব স্নাতক এবং উদ্যোক্তাদের বিকাশে সহায়তা করবে, যারা দেশের আইটি শিল্পকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে।’
আরও পড়ুন: দক্ষ জনশক্তি গড়তে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এডিবির তথ্য মতে, প্রকল্পটি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, সফটওয়্যার প্রকৌশল ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক প্রোগ্রামগুলোকে সময়োপযোগী করবে।
এই প্রোগ্রামগুলো মিশ্র শিক্ষার কৌশলগুলো গ্রহণ করবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স ও ইন্টারনেট অব থিংসের মতো সর্বশেষ প্রযুক্তিগুলোকে একীভূত করবে।
শিক্ষার্থীরা যাতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে করা সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম পায় সেটি নিশ্চিত করতে এই প্রোগ্রামগুলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করবে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক আর্থিক ঘাটতি ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত: এডিবি
এডিবি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শ্রেণীকক্ষ ও পরীক্ষাগার স্থাপন, সহযোগিতা ওস্টার্ট-আপ স্পেস এবং সহায়ক সুবিধাদি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।
এই সুবিধাগুলো জলবায়ু ও দুর্যোগসহনশীল নকশা, জ্বালানি ও পানিসাশ্রয়ী বৈশিষ্ট্যগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে এবং নারীবান্ধব সুযোগ-সুবিধা ও পরিষেবাগুলো অন্তর্ভুক্ত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন শিক্ষামূলক পদ্ধতি এবং উদীয়মান ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে শিক্ষকদের সক্ষমতা তৈরি করবে।
নির্ধারিত তিন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরা যৌথ গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার জন্য শিল্প অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে।
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপের সুযোগ, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ও ইন্ডাট্রি প্লেসমেন্ট করা হবে।
আরও পড়ুন: এডিবি'র সর্বশেষ প্রতিবেদন: ২০২৪ অর্থবছরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বছর হিসেবে পূর্বাভাস
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরামর্শ ইউজিসির
পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, সবুজ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা ও জ্বালানি খাতে ব্যয় সাশ্রয়ে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এক্ষেত্রে, সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারে যুগোপযোগী একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ইউজিসিতে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ উন্নয়ন মডেল’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর এ কথা বলেন।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার ও ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন। এতে কমিশনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া স্বাগত বক্তব্য দেন।আরও পড়ুন: হিট প্রকল্পের প্রথম মিশন সভা: উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন ও রুপান্তরের আশাবাদ ইউজিসির
অনুষ্ঠানে ক্যাবের গবেষণা সমন্বয়ক প্রকৌশলী শুভ কিবরিয়া ‘পরিবেশ সুরক্ষা ও সৌর বিদ্যুৎ উন্নয়নে সামাজিক আন্দোলন: প্রেক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়’, নোভেলটি এনার্জি লিমিটেডের প্রজেক্ট কনসালটেন্ট প্রকৌশলী মো. ইন্তিখাব আলম ‘সোলার পিভি সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট আন্ডার অপেক্স মডেল ফর পাবলিক ইউনিভার্সিটি’, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক তাসমিয়া বাতেন ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এনার্জি অডিট পরিচালনা’ এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নুসরাত চৌধুরী ও সিহাব উদ্দিন ‘অফ-গ্রিড/ অন-গ্রিড ডিসি/এসি সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট পারফরমেন্স স্টাডি’ বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন।
ইউজিসি’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর আলমগীর বলেন, ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার আওতায় সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছে। কাজেই, এখন থেকেই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও সবুজ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য যুগোপযোগী একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।’
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০০৮ অনুসারে ২০২১ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, যুগোপযোগী নীতিমালার অভাবে এখাতে এক শতাংশও বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়নি। অবকাঠামো তৈরিতে সোলার প্যানেল স্থাপনের পাশাপাশি এখান থেকে বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে কি না সংশ্লিষ্টদের এটি খতিয়ে দেখার তিনি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে কার্বন নির্গমন হ্রাস পাবে, ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের আগে ফিজিবিলিটি স্টাডি করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: ইউজিসি সদস্য হিসেবে যোগ দিলেন অধ্যাপক ড. হাসিনা খানপ্রফেসর গোলাম সাব্বির বলেন, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। পরিবেশবান্ধব সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে সরকারের ব্যয় কম হবে, জ্বালানি সাশ্রয় হবে এবং প্রযুক্তির প্রসার ঘটবে। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ঘটবে ও এ খাতে দক্ষ জনবল তৈরি হবে।
প্রফেসর ড. শামসুল আলম ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ উন্নয়ন মডেল এবং মডেলটির প্রচার’ বিষয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ওপেক্স মডেলে রুফটপ ও গ্রাউন্ডে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা গেলে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার শুরু করা হলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বিদ্যুতের মোট চাহিদার ২০ শতাংশ এখান থেকে মেটানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মূল ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স স্থগিতের নির্দেশ ইউজিসির
দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় একটি ‘পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করোনা এসে আমাদের বুঝিয়ে দিল জনস্বাস্থ্য বিষয়টা কত জরুরি। যখন ধাক্কা খেয়েছি তখন মনে করেছি জনস্বাস্থ্য জরুরি এখন আবার ভুলে যাচ্ছি? নাকি ডেঙ্গু নিয়ে ভাবছি? কিছু একটা ধাক্কা লাগবেই, না হলে জনস্বাস্থ্যকে কেউ পাত্তা দিচ্ছে না।
আমেরিকায় পড়তে গিয়ে জেনেছিলাম, যারা ওখানে চিকিৎসক হিসেবে চাকরি খোঁজেন তাদের মধ্যে যাদের এমপিএইচ (মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ) করা আছে তাদের সেখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমি জানতে চেয়েছিলাম, এরা তো হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করছে পাবলিক হেলথের প্রতিষ্ঠানে যোগদান করছে না। তারা উত্তর দিয়েছিল- যিনি চিকিৎসক তিনি রোগী ফোকাসড, যিনি জনস্বাস্থ্য বিষয়ে পড়েছেন তার দেখার দৃষ্টিকোনটা ভিন্ন। তিনি পুরো সমাজটাকে দেখেন, পুরো জনগণকে দেখেন, অর্থায়ন, ব্যবস্থাপনা, কৌশলসহ সব দিক দেখেন। পাবলিক হেলথের দৃষ্টিকোন নিয়ে চিকিসক হিসেবে যখন কাজ করবেন তখন তিনি অনেক বেশি অবদান রাখেন।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না, কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। আমরা দেশের স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতে সবচেয়ে ভালো করতে চাই। আমাদের সে সুযোগ রয়েছে। এখানে অনেকগুলো প্রস্তাব এসেছে, পাবলিক হেলথ কাউন্সিলের প্রস্তাব এসেছে, অ্যাক্রিডিটিশনের জন্য।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। যেখানে জনস্বাস্থ্য বিষয়টিকে এমনিতেই একটু পেছনে ফেলে রাখা হয় সেখানে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াটা মোটেই খারাপ না। সবকিছু মিলিয়ে এ বিষয়ে পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় থাকা দরকার। পৃথিবীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো পাবলিক হেলথে স্পেশালাইজড। সেসব বিশ্ববিদ্যালয় আবার অন্যান্য বিষয়ও পড়ায়।
আরও পড়ুন: ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশে সিএমএ পেশার গুরুত্ব বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার
বাংলাদেশে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস (সিএমএ) পেশার গুরুত্ব বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটির আয়োজন করে আইসিএমএবির খুলনা ব্রাঞ্চ কাউন্সিল ও ব্যবসা প্রশাসন ডিসিপ্লিন।
আরও পড়ুন: সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারে ‘এসএমই উন্নয়ন বিভাগ’ চালু
সিএমএ পেশাজীবীদের যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির ধারাবাহিক প্রচেষ্টা হিসেবে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এ সময় সেমিনারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন প্রধান অতিথি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুর রহমান খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ) মো. আক্তারুজ্জামান অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা ব্যাখ্যা করেন, কেন সারা বিশ্বে সিএমএ পেশার এত চাহিদা এবং তারা কীভাবে প্রতিষ্ঠানের টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে সহায়তা করে।
আইসিএমএবির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া মাসুদ সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সভাপতিত্ব করেন খুলনা ব্রাঞ্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমে স্বচ্ছতা আনতে আর্থিক ও ব্যয় নিরীক্ষা বাস্তবায়নের দাবি আইসিএমএবির
দেশের ব্যবসা উদ্যোগের ৯৯.৮৪ শতাংশই সিএমএসএমই