শিক্ষা
নবীজীর দিকনির্দেশনায় আরবে নারীর অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল: ধর্ম উপদেষ্টা
বাংলাদেশ অন্তবর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আল-কোরআন পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান। নবীজীর দিকনির্দেশনায় সেই সময়েও নারীর অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। জাতিগত বৈষম্য নিরসন, উত্তরাধিকার আইন এবং নারী শিক্ষার ক্ষেত্রেই আধুনিকতার ছোঁয়া বিদ্যমান ছিল।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ এবং মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, সীরাতে রাসুল (সা.) এক কালজয়ী আদর্শ। নবীজীর আদর্শের আলোকে পৃথিবী আলোকিত হয়েছিল, জাহিলিয়াতের অন্ধকার দূর হয়েছিল। কিন্তু আজকের যুগে বাহ্যিক আচার-আচরণে আমরা যত মনোযোগী, অন্তরের জীবনাচরণে সীরাত ও সুন্নাতের প্রভাব ততটা প্রতিফলিত হচ্ছে না। এ সময় তিনি সবাইকে সীরাত ও সুন্নাতকে জীবনে কার্যকর করার আহ্বান জানান।
ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, আজকের আয়োজন কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি এক মহৎ শিক্ষামূলক উদ্যোগ। মহানবী (সা.) বলেছেন, জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য জরুরি। তাই জ্ঞানচর্চার মাধ্যমেই আমাদের জীবন সমৃদ্ধ হবে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আঃ ছালাম খান এবং জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি আব্দুল মুনয়িম খাঁন।
দিনব্যাপী নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
৮৫ দিন আগে
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তপ্ত রাবি, উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর অবরুদ্ধ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ দাবিতে, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খান, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, জনসংযোগ প্রশাসকসহ ১০ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের বারান্দায় এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে দুপুরে উপ-উপাচার্যদ্বয়ের বাসভবনে তালা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাসভবনের ভেতরে ঢুকতে না পেরে ফিরে আসেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খান ও প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান।
একপর্যায়ে, তারা জুবেরী ভবনের দিকে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীরাও স্লোগান দিতে দিতে তাদের পেছনে আসেন।
পরে জুবেরী ভবনের বারান্দায় এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও ছাপাখানার এক কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের আটকানোর চেষ্টা করলে হাতাহাতি শুরু হয়।
এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খানকে চারপাশ থেকে আটকে দেন শিক্ষার্থীরা।
পরে হাতাহাতির একপর্যায়ে উপ-উপাচার্য জুবেরী ভবনের দ্বিতীয় তলায় চলে গেলে শিক্ষার্থীরা তাকে ভবনের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় অবরুদ্ধ করে রাখেন। এরই মধ্যে সেখানে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদসহ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত হন।
এ বিষয়ে সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, একটি মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে প্রশাসনের যে ভঙ্গি নেয়া হয়েছে আমরা তা গভীরভাবে নিন্দা করছি। আমরা কাল থেকে শান্তিপূর্ণ অনশনে রয়েছি, কিন্তু প্রশাসন কোনো গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি। আজ আমাদের ওপর যে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। আমি সব শিক্ষার্থীকে আহ্বান জানাই— শান্তিপূর্ণভাবে যোগ দিন এবং আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা ময়দান ছাড়বো না।
ডাকসু: নজর কাড়ছে লিগ্যাল নোটিশ, ডলারসহ জেন-জি প্রচারণা
রাবি শাখা ইসলামি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, আর মাত্র চার দিন পর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু একটি মীমাংসিত ইস্যু— পোষ্য কোটাকে সামনে এনে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘর্ষও ঘটে গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্য স্যারকে অবরুদ্ধ করে তার বাসায় তালা ঝুলিয়ে দেয়।
পরে আমরা জুবেরী ভবনের লাউঞ্জে বসি। সেখানে শিক্ষার্থীরা আবারও আমাদের বাঁধা দেয়। আমরা ফিরে গিয়ে পুনরায় ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে তারা আবারও বাধা দেয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
ধাক্কাধাক্কির মধ্যে ঘড়ি ও অর্থ কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন রাবি প্রক্টর।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে ভর্তি কমিটির সভায় শর্তসাপেক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় (পোষ্য কোটা) ভর্তির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। এরপরই, উপাচার্য বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
৮৬ দিন আগে
কেবি কলেজের শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হক ভূঁইয়ার আশ্বাসে আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কেবি) কলেজের শিক্ষকরা।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেবি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক বি. এম. আব্দুল্লাহ রনি।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে চোখে লাল কাপড় বেঁধে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের মৌন মিছিল
আব্দুল্লাহ রনি ইউএনবিকে বলেন, অতি দ্রুত বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য। তার আশ্বাসের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে, কলেজে বোমা হামলার হুমকি, শিক্ষকদের শারীরিক ক্ষতির ভয়ভীতি, হাত-পা ভেঙে ঝুলিয়ে রাখার ভয় এবং বহিরাগত ও অভ্যন্তরীণ নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে গতকাল দুপুর থেকে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যোগ দেন কলেজের অন্য শিক্ষকরা।
৯২ দিন আগে
ডাকসুর প্রথম সভায় ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর অনুষ্ঠিত প্রথম কার্যনির্বাহী সভায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপাচার্যের কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এসএম ফরহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মহিউদ্দিন খানসহ ডাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
সভা শেষে ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ‘এই নির্বাচনে কেউ হারেনি। আমরা সবাই মিলে কাজ করব। ডাকসুতে কারও ব্যক্তিগত জয় বা পরাজয় নেই—এটি শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ও জুলাই প্রজন্মের বিজয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রশ্ন করবেন, আর আমরা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার জবাব দেব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী তাদের যেকোনো সমস্যা আমাদের জানাতে পারবেন। আমরা তাদের মতামত শুনে মাসিক কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করব।’
আরও পড়ুন: ডাকসুর মধ্য দিয়ে ইলেকশনের ট্রেনে উঠে গেল বাংলাদেশ: ফারুকী
জিএস এসএম ফরহাদ বলেন, ‘আমরা সবার প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে চাই। শিক্ষার্থীদের দাবি ও সমস্যাগুলো তুলে ধরার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরি করে বাস্তবায়নে নামব।’
তিনি জানান, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে পাঠানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি, ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ পদে সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত করা হবে।
সভায় নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা গঠনমূলক নীতিমালা প্রণয়ন, স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি, এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রথম সভার শুরুতে নির্বাচিত নেতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপাচার্য। পরে ডাকসুর ভিপি, কোষাধ্যক্ষ ও সভাপতি বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদসহ মোট ২৮টির মধ্যে ২৩টি পদে বিজয়ী হন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থীরা। বাকি পাঁচটির মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র ও একটিতে বামপন্থী প্যানেলের প্রার্থী জয়ী হন। আজকের সভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ডাকসু কমিটির কার্যক্রম শুরু হলো।
৯২ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: কারচুপির অভিযোগ বাগছাসের, ভিপিপ্রার্থী কাদের-বাকেরের ক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুল কাদের।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মূলত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টিএসসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আব্দুল কাদের বলেন, ‘এত ষড়যন্ত্রের পরও শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে এসেছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সবসময়ই একটি গোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ করছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘ভোটকেন্দ্রের ভেতর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরাসরি ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।’ তার দাবি, বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী আবিদ কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এ বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: দুটি ব্যালট দেওয়ায় পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি
কাদের বলেন, ‘আমরা দেখেছি কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে প্রার্থীরা হাসাহাসি করছে, ভোট চাইছে। এগুলো কী ধরনের নির্বাচন? আমি রাব্বানী স্যারকে ফোন করে বলেছি— এমন পরিস্থিতিতে আপনারা কোথায়? তিনি বলেছেন— আমি তো আছি, আসছি। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।’
বৈষম্যবিরোধী সমর্থিত প্যানেলের এই প্রার্থীর আরও অভিযোগ, এমফিল ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বারবার আঁতাত করা হয়েছে। আজ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে কেন এমফিল নিয়ে এত আগ্রহ ছিল। এ প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করেই নির্বাচনে কারচুপি হচ্ছে।’
‘আমরা বুঝতে পারছি, কেন ছাত্রদল বয়সসীমা তোলার জন্য চাপ দিয়েছিল? নির্বাচন কমিশন কাদের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব করেছে? সবকিছু এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। যাদের বড় তালিকায় আনা হয়েছিল, তারাই এখন ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে।’
আব্দুল কাদেরের অভিযোগ, ‘নির্বাচন কমিশন আগে থেকেই আচরণবিধি কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের দিন তার কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বহুবার জানিয়েছি নিয়মশৃঙ্খলা মানা হচ্ছে না, অথচ ইসি শুধু আশ্বাস দিয়েছে। আসলে তারা কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে, সেটা এখন শিক্ষার্থীদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।’
এ অবস্থায় তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না ডাকসু আবার এমন এক গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি হোক। আমরা আলোচনা করে পরবর্তী অবস্থান জানাব।’
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: অনিদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার, ছাত্রদলের জেসানকে সমর্থন
এদিকে, একই প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, ‘একুশে হলে ভোট দেওয়ার পেপার আগে থেকে পূরণ করা ছিল। পরে সেখানে বিষয়টি ধরতে পারলে কার নামে পূরণ করেছিল আগে থেকে পূরণ করা ছিল সেটি জানতে চাইলে তারা বলেনি। ওই হলে একজন পোলিং অফিসার জড়িত ছিল। এমন ঘটনা আমরা ইউল্যাব কেন্দ্রেও শুনেছি।’
বাকের বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চেয়েছিলাম, এখনো চাই। আশা করি, শিক্ষার্থীরা যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে নেবেন। যারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য বিভিন্ন পন্থা তৈরি করছে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে তাদের রুখে দেবে।’
বাগছাসের এই নেতা আরও বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ থেকে ৪ শ’ ভোট কনভার্স (কারচুপি অর্থে) করা হচ্ছে। আমরা এখনো আশা রাখতে চাই, কারা ক্ষমতা চুরি করতে চায় সেটা বের করবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতা চুরি করেছিল, এমন হলে নতুন করে দরকার হলে ঢাবিতে আবার অভ্যুত্থান হবে।’
এ ছাড়াও তিনি বলেন, ‘শামসুন্নাহার হলে সাদা দলের লোক ইমব্যালান্স তৈরির আশঙ্কা তৈরি করেছেন। এই যে আশঙ্কার কথা আমরা দীর্ঘদিন বলে আসছি। আজকের সেই আশঙ্কা মাঠে দেখা যাচ্ছে। ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলঙ্কিত হবে। আমরা শুনছি এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’
৯৭ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: দুটি ব্যালট দেওয়ায় পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ভোট চলাকালে একজন শিক্ষার্থীকে ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ একাধিক ব্যালট পেপার দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাবির কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবি প্রশাসন জানিয়েছে, ভোট চলাকালে কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুইটি ব্যালট পেপার দেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি যে অনিচ্ছাকৃত ভুল তা অভিযোগকারী ভোটারও বুঝতে পারেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, তারপরও ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করে।
নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৯৭ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে
বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
আজ সকাল ৮টা থেকেই শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণার পর আজকের দিনটি ক্যাম্পাস রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
ভোট দেওয়ার পর এক শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘এই প্রথমবার আমি ভোট দিলাম, আর আমি খুবই আনন্দিত যে এমন একজন নেতাকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি যিনি আমার কণ্ঠকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।’
সহপাঠীদেরও ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি নিজের পছন্দমতো স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পেরেছি। আগের দিনে শুনতাম, কিছু সংগঠন শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে নির্দিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করত, এমনকি তাদের হয়ে ব্যালটে ছাপ মেরে দিত। কিন্তু এবার এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি ইতিবাচক গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোটের আহ্বান সাদিকের, আচরণবিধি লঙ্ঘনের নিন্দা
ছাত্রদল সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম সামগ্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির পূর্বাভাস দিয়ে নিজের সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত এ ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে পুরো জাতির দৃষ্টি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিকাশের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই এ নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে।
৯৭ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোটের আহ্বান সাদিকের, আচরণবিধি লঙ্ঘনের নিন্দা
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাইস প্রেসিডেন্ট (জিএস) পদপ্রার্থী সাদিক কায়েম মঙ্গলবার ডাকসু নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে সব প্রার্থী ও ভোটারদের দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রশ্নটি ছিল একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জুলাই আন্দোলনের চেতনা বিজয়ী হবে।’
সাদিক শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, ‘এই ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি ইতিবাচক গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আরও পড়ুন: ডাকসুতে ভোট দিলেন শিবির ও ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি-জিএস প্রার্থীরা
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে নিজের ভোট প্রদান করেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আটটি কেন্দ্রে একযোগে এ ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত এ ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো জাতির নজর এখন এখানে। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিকাশের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা হিসেবে এ নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
এবারের নির্বাচনে মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী তাDদের ভোট প্রদান করবেন।
৯৭ দিন আগে
ডাকসুতে ভোট দিলেন শিবির ও ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি-জিএস প্রার্থীরা
বহু প্রতীক্ষার পর শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ৩৮তম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরপরই ভোট দিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম এবং ছাত্রদল সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন তারা।
ভোট দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাদিক কায়েম বলেন, এই ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা একটি ইতিবাচক গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
এদিকে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর। এবার ভোটার উপস্থিতি প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ হবে বলে মনে করছেন তিনি। সেইসঙ্গে নিজের জয়লাভের ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শেখ তানভীর।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আটটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স খুলে সবাইকে দেখিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর ৮টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোর বাইরে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের ভিড়। তাদের মাঝে দেখা গিয়েছে উৎসাহ ও উদ্দীপনা। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নিতে মরিয়া শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: অনিদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার, ছাত্রদলের জেসানকে সমর্থন
ডাকসুর চূড়ান্ত তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।
ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন শিক্ষার্থী।
অন্যবারের তুলনায় এবার ডাকসুতে ব্যালটের আকার বেড়েছে। এবার ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট। আর হল সংসদের থাকছে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। এ ভোট দিতে হবে অপটিক্যাল মার্ক রিডার (ওএমআর) শিটে। প্রতি ভোটারের জন্য আট মিনিট করে সময় রাখা হয়েছে।
আগে ৮ কেন্দ্রে ৭১০ বুথ ছিল। পরে সেটি বাড়িয়ে ৮১০ করা হয়েছে, যাতে আবাসিক-অনাবাসিক ভোটারদের কোনোভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তি পোহাতে না হয়।
প্রার্থী তালিকায় রয়েছে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বামজোটসহ বিভিন্ন সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেল। নির্বাচনী লড়াইয়ে ভিপি ও জিএসসহ অন্যান্য পদে রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী প্রার্থীও।
৯৭ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: অনিদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার, ছাত্রদলের জেসানকে সমর্থন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ (উমামা-সাদী-জাহেদ) প্যানেলের প্রার্থী অনিদ হাসান।
একই সঙ্গে ওই পদের প্রার্থী ছাত্রদলনেতা আবু হায়াত মো. জুলফিকার জেসানকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৪২ মিনিটে, অর্থাৎ ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন অনিদ।
ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বোভৌমত্ব এবং একটি মুক্ত, অবাধ, প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ক্যাম্পাসের বিনির্মাণের বৃহত্তর স্বার্থে আমি অনিদ হাসান, ডাকসু নির্বাচন ২০২৫-এর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদপ্রার্থিতা, আবু হায়াত মো. জুলফিকার ভাইকে সমর্থন দিয়ে প্রত্যাহার করছি। সেইসঙ্গে আমার বড় ভাই আবু হায়াত মো. জুলফিকার জেসানকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: ডাকসুর ভোটগ্রহণ চলছে
৯৭ দিন আগে