শিক্ষা
জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত ‘সাদি-বৈশাখী-সাজ্জাদ-ইকরা’ প্যানেল শিক্ষা, গবেষণা ও নিরাপদ ক্যাম্পাসকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অদম্য ২৪’ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইশতেহার ঘোষণা করেন প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান।
ছাত্রদলের ঘোষিত ৮ দফা ইশতেহার:
১. আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করা।
২. শিক্ষাবান্ধব, নিরাপদ, মুক্ত ও বৈচিত্র্যময় ক্যাম্পাস।
৩. পরিকল্পিত আবাসন ও খাবারের মান উন্নয়ন।
৪. নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা।
৫. মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।
৬. সুসমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা।
৭. ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের উন্নয়ন।
৮. পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রাণীবান্ধব ক্যাম্পাস তৈরি।
শেখ সাদী হাসান বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী ও স্বাধীন চেতনার প্রতীক। ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এখান থেকে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আমরা এই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রদলই একমাত্র সংগঠন যারা ধারাবাহিকভাবে শিক্ষাবান্ধব ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে লড়াই করেছে। আজ আমরা ৮টি মূল অঙ্গীকার ঘোষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাচ্ছি।’
জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বলেন, ‘ক্যাম্পাসে পরিবহন সংকট নিরসনে নিয়ন্ত্রিত অটোরিকশা ও ইলেকট্রিক কার বৃদ্ধি করা হবে। বাস রুট পর্যালোচনা, সংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন রুট চালু হবে। প্রতিটি বাসে জিপিএস ট্র্যাকার স্থাপন করে মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে। এছাড়া বাইসাইকেল-মোটরসাইকেল রাখার ব্যবস্থা, ফুটপাত ও অভ্যন্তরীণ রাস্তা সংস্কার এবং পরিবেশবান্ধব যাতায়াতকে উৎসাহিত করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফফান আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এর আগে, গত ২৮ আগস্ট শেখ সাদী হাসানকে (ভিপি), তানজিলা হোসেন বৈশাখীকে (জিএস), মোঃ সাজ্জাদুল ইসলামকে (এজিএস-পুরুষ), আঞ্জুমান আরা ইকরাকে (এজিএস-নারী) প্রার্থী করে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা।
১০০ দিন আগে
এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে এবার ক্লাসরুমে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ক্লাসে প্রচারণা চালিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চান।
তবে ফরহাদ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফরহাদ ক্লাস চলাকালে প্রচারণা চালাননি, বরং ক্লাস শুরুর আগেই উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শুধু সালাম দিয়ে চলে যান।
ক্লাসরুমে উপস্থিত থাকা ২০২৪-২৫ শিক্ষার্থী জাবেদ রায়হান বলেন, ফরহাদ দরজা খুলে উঁকি দেন। তখন দেখেন স্যার ক্লাসে। যেহেতু আই কন্টাক্ট হয়ে গেছে তিনি কথা না বলে যেতে পারনে না। তাই তিনি স্যারকে সালাম দেন, এবং ইন্টারাপ্ট কারার জন্য সরি বলেন, সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বের হয়ে যান। তিনি কারো কাছে ভোট চাননি।”
ওই সময় উপস্থিত সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের লেকচারার রনি মৃধা বলেন, “আমি তখনও ক্লাস শুরু করিনি। যেইমাত্র আমি প্রবেশ করেছি, সেও প্রায় একই সময়ে প্রবেশ করে।”
তিনি বলেন, ক্লাস ফাঁকা ভেবে সে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। তখন ফরহাদ আমাকে সরি বলে। শিক্ষার্থীদের কাছে দোয়া চেয়ে সে বের হয়ে যায়, সে কারো কাছে ভোট চায় নি।
‘আর সবসময়ের মতো ক্লাস শুরুর আগেই স্লাইড ওপেন করা ছিল। ফলে এ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সে ক্লাস চলাকালে প্রবেশ করেনি,’ বলেন মৃধা।
এ বিষয়ে এস এম ফরহাদ বলেন, ‘সমাজকল্যাণ ইন্সটিটিউটে ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে লম্বা ব্রেক থাকে। শিক্ষার্থীরা তখন আড্ডা দেয়, গল্প করে। ভেবেছিলাম হয়ত ক্লাস চলছে না। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে আমি সেখানে লিফলেট বিতরণ করিনি, কারো কাছে ভোটও চাইনি। এখন একটি ছবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।’ডাকসুর আচরণবিধির ৬(চ) ধারায় বলা হয়েছে— পাঠদান বা পরীক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে এমন স্থানে (যেমন শ্রেণিকক্ষ, পাঠকক্ষ, পরীক্ষার হল ইত্যাদি) সভা-সমাবেশ বা নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না। শ্রেণিকক্ষ ও করিডোরে মিছিলও নিষিদ্ধ।
এ বিষয়ে ডাকসুর আচরণবিধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সম্পর্কে এখনো অবগত নই। আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডাকসু ক্যাফেটেরিয়াকে প্রচারণা কার্যালয় বানিয়েছে ছাত্রদল, অনুমতি নেয়নি কর্তৃপক্ষের
ডাকসু ক্যাফেটেরিয়া দখল করে বহিরাগত এনে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিরুদ্ধে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রার্থী সমর্থন ও প্রচারণায় বহিরাগতদের ব্যবহার এবং অনুমতি ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষকে প্রচারণা কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করায় এ নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় দেখা যায়, দুজন বহিরাগত ছাত্রদলের নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে অবস্থান করছেন। সাংবাদিকরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে একজন নিজেকে খুলনা থেকে আসা এবং অপরজন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন।
তারা জানান, ছাত্রদল-সমর্থিত জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিমের কাছে এসেছেন। নাম জানতে চাইলে তড়িঘড়ি করে কক্ষ ত্যাগ করেন তারা।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে কেবল প্রার্থী বা ভোটাররা প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন; বহিরাগতরা কোনোভাবেই অংশ নিতে পারবেন না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা মাত্রই জেনেছি। বহিরাগতদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে মোবাইল টিম পাঠানো হয়েছে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে ছাত্রদলের প্যানেলের নির্বাচনী পোস্টার ও লিফলেটের স্তুপ সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক ফারজানা বাসার বলেন, ‘আমার কাছ থেকে কোনো লিখিত অনুমতি তারা নেয়নি। তবে একজন আমাকে ফোনে বলেছিল তারা সেখানে বসবে। কিন্তু প্রাচারণার সমগ্রী রাখার বিষয়ে আমাকে কিছু বলা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি ছাত্রদলের ছেলেদের কল করেছিলাম। তারা ব্যস্ততা দেখান, পরে কল করবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু পরে আর কল করেনি। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় বিশদ কিছু জানি না।”
সেখানে দায়িত্বরত এক কর্মচারী জানান, প্রার্থীতা ঘোষণার পর থেকেই ছাত্রদলের প্যানেলের লোকজন এ কক্ষ ব্যবহার করে আসছেন। তবে কারও আনুষ্ঠানিক অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া নির্দিষ্ট একটি ছাত্রসংগঠনকে ব্যবহার করতে দেওয়া হলে নির্বাচনী নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রদলের প্যানেলের একাধিক প্রার্থীকে কল করা হলেও রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে ডাকসু নির্বাচনের চীফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলছেন, ‘এগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেখাশোনার বিষয়। ক্যাফেটেরিয়ার বিষয়টি আমরা আপনার মাধ্যমে জেনেছি। আমরা আচরণবিধির বাইরে কিছু করতে পারি না।’
১০১ দিন আগে
ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে চোখে লাল কাপড় বেঁধে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের মৌন মিছিল
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে ‘রেড মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুখে লাল কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সমাবর্তন চত্বরে এসে শেষ হয়। মিছিলে কয়েকশত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে বিকাল হতেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় এসে জড়ো হতে থাকেন। এরপর তারা মাথায় লাল কাপড় বেঁধে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন করিডোর থেকে মৌন মিছিলটি শুরু করেন। মিছিলটি নিয়ে করিডোর প্রদক্ষিণ করে তারা সমাবর্তন চত্বরে পৌঁছান এবং সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় তারা মাথার লাল কাপড়টি খুলে চোখে বেঁধে নেন।কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী শিবলী সাদি বলেন, আজকে আমাদের এই কর্মসূচিটি প্রতীকী কর্মসূচি, এটার প্রশাসনের প্রতি আমাদের লাল সিগনাল প্রদর্শন। বহিরাগত আমাদের ওপর যে হামলা করেছে তার বিচার আমরা এখনো পাইনি, আমরা আশা করি প্রশাসনে এই ব্যাপারে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বহিরাগতরা কারা হামলা করেছে তাদের খুঁজে বের করবে। ভবিষ্যতে যাতে এমন হামলা আর না হয় এবং শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদ থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি প্রশাসন এ বিষয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে। আগামীকাল প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের আরেকটি মিটিং হবে, আশা করি চলমান সমস্যার আমরা দ্রুত সমাধান পাবো।
১০২ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: টানা ৩৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ঢাবির সব প্রবেশপথ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর)। নির্বাচন উপলক্ষে আগের দিন সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা থেকে টানা ৩৪ ঘণ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব প্রবেশপথ সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী সোমবার রাত ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ (শাহবাগ, পলাশী, দোয়েল চত্বর, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল ও নীলক্ষেত) সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে ঢাবির বৈধ আইডি কার্ডধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা স্ব স্ব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়পত্রের ফটোকপি প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন নিয়ে জুলিয়াস সিজারের রিট আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক ও ফায়ার সার্ভিসের যানবাহন) ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উক্ত সময়ে নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়, তারা জরুরি প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করতে চাইলে প্রক্টর অফিস থেকে নিরাপত্তা পাস সংগ্রহ করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
১০২ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে জুলিয়াস সিজারের রিট আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রার্থীতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। রিটটি করেছিলেন ভিপি প্রার্থিতা থেকে বাদ পড়া মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রিটটি আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইনজীবী শিশির মনির।
তিনি জানান, ‘ডাকসুর নির্বাচনসংক্রান্তে জুলিয়াস সিজারের রিট আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’
রিটে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: সাইবার নিরাপত্তা শঙ্কায় প্রার্থীরা, প্রধান লক্ষ্য নারী প্রার্থীরা
জুলিয়াস সিজার তালুকদার ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী হয়েছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ডাকসু নির্বচানের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল। চূড়ান্ত তালিকায় ভিপি প্রার্থী হিসেবে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ছিল। তার ব্যালট নম্বর ছিল ২৬।
চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের হাউস টিউটর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ দেন। পরে অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে শুনানি হয়। কিন্তু নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল তার প্রার্থিতার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠায়।
সেই সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর বাদ দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জুলিয়াস সিজার তালুকদারকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৭ আগস্ট চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার।
১০২ দিন আগে
ছাত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, রাবির সেই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
ফেসবুকে ৯১ জন ছাত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার ঘটনায় অভিযুক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান মিলনকে শাহ মাখদুম হলের সহ-সভাপতির পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে শাখা ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাবি শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক নাফিউল ইসলাম জীবনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
এ ঘটনায় সাংগঠনিক পদ স্থগিত করে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শাখা ছাত্রদল। তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল জানিয়েছে, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান মিলন ইচ্ছাকৃতভাবে ওই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। এ জন্য তাকে সহ-সভাপতির পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গ্রেপ্তার
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুলাই ৩৬’ হলের প্রভোস্ট কর্তৃক ৯১ জন শিক্ষার্থীকে অযাচিতভাবে তলব করার প্রতিবাদে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈমা তুহিনার ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে শাহ মখদুম হলের সহ-সভাপতি এ আর মিলন খান কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দের পক্ষ থেকে এ আর মিলন খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সন্তোষজনক কোনও জবাব না দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে উক্ত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য তিনিই ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এ আর মিলন খানকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ হল সহ-সভাপতির পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার ঘোষণা করছে। একইসঙ্গে সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হলো তার সঙ্গে কোনও প্রকার সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখার জন্য। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আহ্বান জানানো হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনিব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। রাবি ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী ও সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুল ইসলাম এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
বহিষ্কারের বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমরা সবসময় নারীদের অধিকার আদায়ে ও তাদের সম্মানে বদ্ধপরিকর। নারীদের বুলিংয়ের বিষয়ে ছাত্রদল জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। আমাদেরই এক নারী নেত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন হল কমিটির এক নেতা। এ নিয়ে তার আমরা তার পদ সাময়িক স্থগিত করি এবং দলের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।’
এর আগে, রাবির ‘জুলাই ৩৬’ হলে নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করায় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ৯১ জন ছাত্রীকে প্রকাশ্যে নোটিশ দিয়ে তলব করেছিলেন হল প্রাধ্যক্ষ। নোটিশটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) তা প্রত্যাহার করে হল প্রশাসন। এই বিষয়ে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামে এক ফেসবুক গ্রুপে করা এক পোস্টের কমেন্টে ওই ৯১ জন ছাত্রীকে বিনা পারিশ্রমিক ‘যৌনকর্মী’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন রাবির শাহ মাখদুম হল শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান মিলন।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই কমেন্টের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
১০২ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: ৮ মিনিটে ৪১ ভোট দেবেন ভোটার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ৪১টি ভোট দিতে প্রতি ভোটার সময় পাবেন ৮ মিনিট। আর নির্বাচন উপলক্ষে শুধু ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নির্বাচনের চীফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ও ভোটগ্রহণের সময় নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা সংশয় কাজ করছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে।
ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, প্রতি ভোটারের জন্য আট মিনিট করে সময় রাখা হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার ভোটার ভোট দিতে আসবেন, তা ধরেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোটের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।
এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ ভোটকেন্দ্রের আঙিনায় উপস্থিত হন, তাদেরও ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।অধ্যাপক জসীম জানিয়েছেন, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের ভোটদানের দিন। এর আগে নির্বাচন উপলক্ষে ৭ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। প্রার্থীদের দাবির ভিত্তিতে এসব বন্ধ বাতিল করা হয়। শুধু ৯ তারিখ ব্যতিত বাকি দিনে স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চালু থাকবে।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসুর ২৮টি ও হল সংসদ নির্বাচনের ১৩টি মিলিয়ে মোট ৪১টি ভোট দেবেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।
ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৪৭১ জন
চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে মোট ২১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১০৩ দিন আগে
চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ জন আটক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৩ জন এজাহারভুক্ত আসামি, বাকি পাঁচজন তদন্ত থেকে প্রাপ্ত আসামি।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
আটক এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন— এমরান হোসেন (৩৫), হাসাঈন (২২) ও রাসেল (৩০)। আর তদন্ত থেকে প্রাপ্ত আসামিরা হলেন— মো. আলমগীর (৩৫), মো. নজরুল ইসলাম (৩০), মো. জাহেদ (৩০), মো. আরমান (২৪) ও দিদারুল আলম (৪৬)। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন জোবরা গ্রামের ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আজ দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ। তিনি জানান, মঙ্গলবার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আটজনকে আটকের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার সবাইকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
পড়ুন: এখনও অচল চবি ক্যাম্পাস, এক হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাটহাজারী মডেল থানায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও প্রায় এক হাজারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলার বাদী হন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধান আব্দুর রহিম।
এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তর থেকে ১৩০টি দেশীয় অস্ত্র চুরি হওয়ার ঘটনায় অন্য একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করে কর্তৃপক্ষ।
১০৩ দিন আগে
নারী শিক্ষার্থীকে ধাক্কা, জাবিতে রাজধানী পরিবহনের ২৫ বাস আটক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে রাজধানী পরিবহনের বাসের হেলপারের ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে ওই পরিবহনের ২৫টি বাস আটক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক-সংলগ্ন (ডেইরি গেট) ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে বাসগুলো আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, সন্ধ্যায় টিউশনি শেষে সাভার থানা স্ট্যান্ড থেকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠতে গেলে হেলপার তাকে উঠতে বাধা দেন। পরে জোর করে উঠলেও বাসচালক ও হেলপার তাকে অশোভন গালিগালাজ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নামার সময় হেলপার হালিমাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় পড়ে আহত হন।
এ ঘটনার পর প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে হালিমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর এক সহপাঠী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেইটের মতো কোলাহলপূর্ণ একটা জায়গায় এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিতে পারে— এমনটা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘যে হেলপার আপুকে ধাক্কা দিয়েছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং পরিবহন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ না করা হয়। পাশাপাশি আমরা হালিমার চিকিৎসার ক্ষতিপূরণও চাই।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে 'গণধর্ষণের' হুমকির প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের 'অবস্থান কর্মসূচি'
রাজধানী পরিবহনের এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের একটি বাসের হেলপারের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বাস আটকে রেখেছে। আমরা ইতোমধ্যে জড়িত হেলপারকে শনাক্তের চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। একজন মানুষকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া এমন ঘটনা কারো কাম্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (আজ বুধবার) বাস মালিকপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১০৩ দিন আগে
ধর্ষণের হুমকি দেওয়া আলী হুসেনকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে এক নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আলী হুসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আলী হুসেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে 'গণধর্ষণের' হুমকির প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের 'অবস্থান কর্মসূচি'
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ ও হুমকি দেওয়ার ঘটনায় আলী হুসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গঠিত প্রক্টরিয়াল সত্যানুসন্ধান কমিটির সুপারিশের আলোকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এটি বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডারে প্রদত্ত প্রক্টরের এখতিয়ারভুক্ত সর্বোচ্চ শাস্তি বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে আলী হুসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিষয়ক কমিটিতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
১০৩ দিন আগে