শিক্ষা
চবি ছাত্রলীগের অবরোধ স্থগিত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা চলমান লাগারতার অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের দাবিতে গতকাল সোমবার থেকে এ অবরোধ চলছিল।
মঙ্গলবার আন্দোলনকারী নেতা ও চবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার অবরোধ স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের অবরোধে চবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের আশ্বাসে অবরোধ স্থগিত করে ছয় উপগ্রুপ। মহিবুল হাসান নওফেল অনুসারী বাকি একটি উপগ্রুপ বিজয়ও আন্দোলন থেকে সরে এসেছে।
তিন দফা দাবিতে সোমবার ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ শুরু করেন তারা। এছাড়া অবরোধকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন আটকে দেয়ায় দিনভর চলাচল বন্ধ ছিল। অবরোধের কারণে এদিন অন্তত ৯টি বিভাগের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
অবরোধে অংশ নেয়া শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক ছয়টি উপগ্রুপ হলো-ভার্সিটি এক্সপ্রেস, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কা।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর চবির হলে তল্লাশি
তাদের তিন দফা দাবিগুলো হচ্ছে, পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা। কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন। কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়দের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া।
চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক এবং পরিবহন দপ্তরে তালা দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে নোটিশ জারি করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যদি কেউ তালা দেয় তাহলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ
নতুন সিলেবাসে ২০২৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা
২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রস্তুত করা সংশোধিত পাঠ্যক্রম অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার বাংলাদেশ আন্তশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পড়ুন: জাবি’র নতুন ভিসি প্রফেসর নূরুল আলম
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসএসসি স্তরে শুধুমাত্র আইসিটি পরীক্ষা ৫০ নম্বরের হবে এবং অন্য সব পরীক্ষা (১০০) পূর্ণ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিটি পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা।
এইচএসসি স্তরের পরীক্ষার্থীরা ১০০ নম্বরের প্রতিটি বিষয়ের জন্য তিন ঘন্টা পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ভাবনার বিষয় থাকে স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়াশোনা। বিশ্ব মানের শিক্ষাব্যবস্থা ও উন্নত জীবন ব্যবস্থার সাথে বাজেটের দিকটা মিলে গেলেই উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে দেশটিতে পাড়ি জমানো যায়। ইউরোপ, মধ্য-এশিয়া এমনকি অ্যামেরিকার বিভিন্ন দেশগুলো এমন শিক্ষার্থীদের আশাকে সাধুবাদ জানিয়েই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম খরচে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়ে থাকে। বেশ ভালো শতাংশ ছাড়ের পরও আর্থিক সংকুলান না হলে আছে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। এতে টিউশন ফি সহ থাকা-খাওয়ার খরচ অনেকটাই পুষিয়ে নেয়া যায়। আজকের নিবন্ধে এমন কিছু দেশের কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার খরচের সাথে মানিয়ে নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশোনা করছে। স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়ার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সেরা ১০টি গন্তব্য।
যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কম খরচে উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন
জার্মানি
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য এখন শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ জার্মানি। এখানকার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত। এগুলোর ব্যাচেলর কোর্স এবং বেশিরভাগ মাস্টার্স কোর্সের জন্য সাধারণত কোন ফি নেই। কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রামে টিউশন ফি থাকলেও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় তেমন বেশি নয়।
পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খরচ বলতে আছে সেমিস্টার কন্ট্রিবিউশন ফি, যার সাথে টিউশন ফি-এর কোন সম্পর্ক নেই। এটি শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই পাবলিক পরিবহণ, ক্রীড়া, অনুষদ/বিভাগীয় ছাত্র সংগঠন এবং প্রশাসনিক ফি ব্যায়-ভার বহন করে। এই ফি প্রতিষ্ঠান ভেদে পরিবর্তিত হয় এবং সাধারণত ১০০ থেকে ৩৫০ ইউরোর (প্রায় ৯,৬৫০ থেকে ৩৩,৭৩০ টাকা) মধ্যে থাকে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ সাধারণত প্রতি মাসে ৭২৫ ইউরোর (প্রায় ৬৯,৯০০টাকা) মত হয়ে থাকে, যেখানে বাসস্থান, খাবার, পোশাক এবং বিনোদনমূলক কার্যক্রম; সবই অন্তর্ভুক্ত।
নরওয়ে
এখানেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমস্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি মুক্ত রেখেছে। প্রতি সেমিস্টারে শুধুমাত্র একটি শিক্ষার্থী ইউনিয়ন ফি দিতে হবে, যা ৩০ থেকে ৬০ ইউরো (প্রায় ২,৮৯০ থেকে ৫,৭৮০ টাকা)-এর মধ্যে। এর মাধ্যমে পাবলিক পরিবহণ, জাদুঘর এবং সাংস্কৃতিক ইভেন্ট, স্বাস্থ্যসেবাতে বিশেষ ছাড় এবং ক্রীড়া সুবিধাগুলো সহ বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে।
পড়ুন: নরওয়েতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের উপায়
নরওয়েতে জীবনযাত্রার জন্য প্রতি মাসে গড়ে ৮০০ থেকে ১,৪০০ ইউরো (প্রায় ৭৭,০০০ থেকে ১,৩৪,৯০০ টাকা) এর মত খরচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বড় শহরগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই খরচ অনেক বেশি কিন্তু ছোট শহরগুলোতে গড়পড়তায় ৮০০ থেকে ১,০০০ ইউরোর (প্রায় ৭৭,০০০ থেকে ৯৬,৫০০ টাকা) মধ্যেই থাকা-খাওয়া, চলাফেরার যাবতীয় খরচ হয়ে যায়।
ফ্রান্স
বিশ্ব সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্গ বলা যেতে পারে ফ্রান্সকে। শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়; বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং সমগ্র ইউরোপীয় বাজারে তাদের রয়েছে অভিজাত পদচারণা। স্নাতক করার পর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এখানে বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতে আকর্ষণীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ার আশা করতে পারে। সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক, ফ্যাশন, শিল্প-সাহিত্য এবং জীবনধারা; জীবনের প্রায় সবকিছুর একটি আনন্দদায়ক মিশ্রণের নাম ফ্রান্স।
এখানে লাইসেন্স (স্নাতক) স্তরে প্রতি বছর খরচ হতে পারে ২,৭৭০ ইউরো (প্রায় ২,৬৭,০০০ টাকা)। মাস্টার লেভেলে খরচ আছে বছর প্রতি ৩,৭৭০ ইউরো যা প্রায় ৩,৬৩,৪০০ টাকার সমান।
পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জীবনযাত্রার জন্য প্যারিস, নিস, লিয়ন, ন্যান্টেস, বোর্দো বা টুলুজের মত অভিজাত শহরগুলো বাদ দিয়ে বাকি অন্যান্য শহরগুলোকে বাছাই করলে, ৬৫০ ইউরো (প্রায় ৬২,৬৫০ টাকা)-এর নিচেই দিন যাপন করা যাবে।
অস্ট্রিয়া
ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র অস্ট্রিয়া যে কোন উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। ইউ(ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন)/ইইএ(ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক এরিয়া) দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি একদম ফ্রি।
কিন্তু নন-ইউ/ইইএ দেশগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি সেমিস্টারে ২০ ইউরো (প্রায় ১,৯২৭ টাকা) ছাড়াও টিউশন ফি বাবদ গড়ে ৭২৬.৭২ ইউরো (প্রায় ৭০,০০০ টাকা) ধার্য করে। তবে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অস্ট্রিয়ার অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি মুক্ত শিক্ষা প্রদান করছে। এগুলোর মধ্যে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিয়েনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইনসব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়, জোহানেস কেপলার ইউনিভার্সিটি লিঞ্জ, গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং লিওবেন বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম।
পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
অপরূপ দেশটিতে অতি প্রত্যাশিত জীবনযাত্রার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ কম। প্রতি মাসে ৯০০ থেকে ১,৩০০ ইউরো (প্রায় ৮৬,৭০০ থেকে ১,২৫,২৩০ টাকা)-এর বাজেট ভিয়েনা এবং সালজবার্গে আবাসন, খাবার, সামাজিক কার্যকলাপ এবং পাবলিক পরিবহণ সহ সমস্ত খরচ কভার করতে পারে। অন্যান্য জনপ্রিয় স্টুডেন্ট লোকেশনের মধ্যে লিনজ বা গ্রাজ ৯০০ থেকে ১,০০০ ইউরোর (প্রায় ৮৬,৭০০ থেকে ৯৬,৫০০ টাকা) মধ্যে মাসিক জীবনযাত্রার খরচ হয়ে যায়।
তাইওয়ান
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তিগত, ঐতিহাসিক, রন্ধনসম্পর্কীয়, সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সহ যাবতীয় অভিজ্ঞতার সুযোগে ভরপুর এশিয়ার এই দেশটি। এখানে ইংরেজি-ভাষায় অধ্যায়নের জন্য প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে। বহুসাংস্কৃতিক এবং সমৃদ্ধ পুরনো ইতিহাস পরিদর্শনে তাইওয়ান বিদেশী শিক্ষার্থীদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। ফলে খুব সহজেই সাবলীল হয়ে ওঠা যায় অপরিচিত এই দেশেও। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাইওয়ানের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দারুণ স্বীকৃতিও পেয়েছে।
দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যায়ন খরচ প্রতি বছর ৬৭৫ থেকে ১২,৭০০ ইউরো (প্রায় ৬৫,০০০ টাকা থেকে ১২,২৪,০০০ টাকা)। এখানে নূন্যতম জীবনধারণের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৬৮০ থেকে ৮৮০ ইউরো (প্রায় ৬৫,৫৪০ থেকে ৮৪,৮২০ টাকা) খরচ করতে হবে।
পড়ুন: দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
তুরস্ক
এশিয়া এবং ইউরোপ; দুই মহাদেশকে স্পর্শ করেই গড়ে ওঠা তুরস্ক স্থাপত্য বিস্ময় এবং হট-এয়ার বেলুন ট্রিপের জন্য বিখ্যাত। তবে এখানকার যে বিষয়টি বিশ্বে নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে, তা হলো দেশটির মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা। দেশটি ইউরোপীয় উচ্চশিক্ষা অঞ্চলের অংশ যা বোলোগনা প্রক্রিয়ার অন্তর্ভূক্ত। এতে করে তুর্কি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি সমস্ত ইউরোপে স্বীকৃতি পায়।
তুরস্কে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব সাশ্রয়ী মূল্যের। সাধারণত প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১০০ থেকে ৪,০০০ ইউরোর(প্রায় ৯,৬৪০ থেকে ৩,৮৫,৫২৬ টাকা) মত খরচ করতে হয় শিক্ষার্থীকে। বিশ্বের অন্যান্য অধ্যয়নের গন্তব্যের তুলনায় এটি অনেক বেশি সাশ্রয়ী। একজন বিদেশী শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৬৫০ ইউরো (৩৮,৫৬০ থেকে ৬২,৬৫০ টাকা) বাজেটের মধ্যে তুরস্কে থাকতে পারেন।
পোল্যান্ড
৪৫০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেশ পোল্যান্ড ইউরোপের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়কে বক্ষে ধারণ করে আছে। পোলিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অ্যাডমিশন পরীক্ষা না থাকার কারণে এই অধ্যয়নের গন্তব্য দেশের বাইরের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য সর্বসাকূল্যে প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষার একটি শংসাপত্র, একটি আর্থিক কার্যকারিতা শংসাপত্র এবং ইংরেজি বা পোলিশ ভাষার দক্ষতা।
পড়ুন: জাপানকে উচ্চশিক্ষার জেডিএস বৃত্তির পরিধি ও সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ
প্রথম, দ্বিতীয় এবং দীর্ঘ-চক্র অধ্যায়নের জন্য টিউশন ফি ২,৩৬৮ ইউরো (প্রায় ২,২৮,১১০ টাকা)। পোল্যান্ড বেশ স্থিতিশীল অর্থনীতির ইউরোপীয় দেশ। তাই বাইরের শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ এখানে প্রতি মাসে ৩৫০ থেকে ৫৫০ ইউরো (প্রায় ৩৩,৭৩৪ থেকে ৫৩,০০০ টাকা)-এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। শহরের সীমারেখা ও নগরায়নের অবস্থার উপর নির্ভর করে এই বাজেটের তারতম্য ঘটে থাকে।
মালয়েশিয়া
২০২১ সালে মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি) প্রোগ্রামের জন্য মোট ১১,১৬১ আন্তর্জাতিক আবেদনকারী অংশ নিয়েছিলেন। দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পাবলিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত ইউনিভার্সিটি মালায়া ২০২২ সালে এশিয়ার শীর্ষ ৫০টি সেরা গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রীতে খরচ পড়ে গড়ে প্রতি বছর ২,০০০ থেকে ৪,৫০০ ইউরো (১,৯২,৭৬০ থেকে ৪,৩৩,৭২০ টাকা)। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে প্রতি বছর ৫০০ থেকে ৪,০০০ ইউরো (প্রায় ৪৮,১৯০ থেকে ৩,৮৫,৫২৬ টাকা) লেগে যায়।
পড়ুন: নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহন করার জন্য প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৮০০ ইউরোর (প্রায় ৪৩,৩৭২ থেকে ৭৭,০০০ টাকা) মত বাজেটের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত থাকা উচিত।
গ্রিস
ঈশ্বরের দেশ নামে খ্যাত অধ্যায়নের এই গন্তব্যটি শুধুমাত্র তাদের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার নিয়েই গর্ব করে না, তারা তাদের শিক্ষার মাধ্যমে সে ঐতিহ্যকে উন্নতও করে। দেশ জুড়ে প্রচুর গ্রীক বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি ভাষায় অধ্যয়ন করে ডিগ্রি লাভের সুবিধা রেখেছে। ইইউ-দেশ হিসাবে গ্রীস বোলোগনা প্রক্রিয়ার সদস্য, তাই এখানকার শিক্ষার্থীরা ইউরোপের যে কোন বোলোগনা সদস্য দেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট স্থানান্তর করতে পারেন।
নন-ইউ/ইইএ শিক্ষার্থীদের জন্য বেশিরভাগ ব্যাচেলর এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১,৫০০ থেকে ২,০০০ ইউরোর (১,৪৪,৬০০ থেকে ১,৯২,৭৭০ টাকা) মত অর্থ খরচ করতে হয়। গ্রীসের সাশ্রয়ী পরিবেশে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর বাজেট প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৭৫০ ইউরো (প্রায় ৪৩,৩৭২ থেকে ৭২,২৮৭ টাকা) হয়ে থাকে। এটি স্পেন, জার্মানি, বা ইতালির মত প্রধান ইউরোপীয় দেশের তুলনায় অনেকটাই যুক্তিসঙ্গত।
পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
হাঙ্গেরি
বৈচিত্র্যতা ও বহুসংস্কৃতির এক চমৎকার মেলবন্ধন চোখের পড়বে হাঙ্গেরিতে ঘুরতে গেলে। পাশাপাশি এর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। পাবলিক হাঙ্গেরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিউশন ফি-এর দিক থেকে তাদের পশ্চিমা সমকক্ষদের তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী। একজন বিদেশী শিক্ষার্থীকে অধিকাংশ ডিগ্রির জন্য প্রতি বছর ১,২০০ থেকে ৫,০০০ ইউরো (প্রায় ১,১৫,৬৬০ থেকে ৪,৮১,৯০০ টাকা) মত খরচের প্রস্তুতি নিতে হয়। আর
বসবাসের জন্য বাজেট করতে হয় ৩৭৫ থেকে ৭০০ ইউরোর (প্রায় ৩৬,১৪০ থেকে ৬৭,৪৭০ টাকা) মধ্যে। তবে তা অবশ্যই শহরের ধরনের উপর নির্ভর করে। আবাসন, খাবার, পরিবহন সহ আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে রাজধানী বুদাপেস্টে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরো (প্রায় ৫৭,৮৩০ টাকা) যথেষ্ট। আর ছোট শহরগুলোতে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরো (প্রায় ৪৮,২০০ টাকা) নিচে জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
শেষ কথা
স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সমস্ত উপলব্ধ তহবিল বিকল্পগুলো ভালো ভাবে যাচাই করে নেয়া উচিত। চাহিদা, সামর্থ এবং লক্ষ্যগুলোর সব কিছুর সাথে সামঞ্জস্য করে চুড়ান্ত ভাবে সেরা বৃত্তির জন্য চেষ্টা করা উচিত। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপলব্ধ নির্দিষ্ট বৃত্তিমুলক ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ-খবর করা যেতে পারে। গন্তব্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট; এমনকি সেখানকার অধ্যায়ন উপদেষ্টার সাথে স্কলারশিপ বা স্টুডেন্ট লোনের ব্যাপারে কথা বলাটা উত্তম। বিদেশে স্নাতক অধ্যায়নের জন্য আর্থিক সহায়তার মধ্যে আছে ফেডারেল অনুদান, ফেডারেল এবং ব্যক্তিগত ঋণ। এর বাইরে আছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি, যেগুলো এই দেশগুলোতে জীবনযাত্রার খরচের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারে।
পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
ঢাবি সিন্ডিকেট নির্বাচন: আওয়ামীপন্থী নীল দলের জয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের পরিষদ (নীল প্যানেল) জয়লাভ করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের নওয়াব আলী হলে সিনেট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের প্রতিনিধি নির্বাচিত শিক্ষকরা হলেন- হল প্রভোস্ট প্রতিনিধি হিসেবে ড. মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, অধ্যাপক প্রতিনিধি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু হোসেন মোহাম্মদ আহসান, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, একাডেমিক কাউন্সিলের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ড. ইসমাত রহমান, প্রভাষক প্রতিনিধি হিসেবে মেডিসিন টেকনোলজি বিভাগের এএসএম মঞ্জুর আল হোসাইন এবং সিন্ডিকেটের অর্থ কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিকস ডিপার্টমেন্টর ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কোনো শিক্ষক আর নিজের ক্লাসের শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে পড়াতে পারবে না: শিক্ষামন্ত্রী
নির্বাচনের ফলাফল বিকাল ৩টায় প্রকাশ করা হলে আওয়ামী লীগের সব প্রার্থী (নীল প্যানেল) বিজয়ী হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭২ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী এই কমিটি আগামী দু’বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী কমিটি নির্বাচিত বা মনোনীত না হয়ে দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সেমিনার
সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ছয়জন একাডেমিক কাউন্সিলের শিক্ষক প্রতিনিধিরা হলেন- কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ড. ইসমাত রহমান, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিসেস মন্দিরা চৌধুরী, আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ, সহকারী অধ্যাপক/প্রভাষক ক্যাটাগরিতে মেডিসিন টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মঞ্জুর আল হোসাইন, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএম আশরাফুজ্জামান এবং মেট্রোলজিক্যাল সাইন্স বিভাগের প্রভাষক মমিন ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলের ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের তালা
জাবি’র নতুন ভিসি প্রফেসর নূরুল আলম
জাহাঙ্গীরনগর (জাবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) হিসেবে অধ্যাপক নূরুল আলমকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী নতুন ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে প্রফেসর নূরুল আলমকে নিয়োগ দেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৬ নভেম্বর, রুটিন প্রকাশ
নূরুল আলম একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক।
তিনি প্রো-ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এবং ১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক
প্রয়োজনে ভারপ্রাপ্ত ভিসি হিসেবে তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
এ বছর এসএসসি পরীক্ষা ১১টায় শুরু হবে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। গুজবসহ কোন প্রকার অপপ্রচার চালালে ব্যবস্হা নেয়া হবে।মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ বিস্তরণে অনলাইন শিক্ষক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপু মনি এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে মূল সেনানী হচ্ছেন শিক্ষকরা। আমরা পথচলার শুরুর দিকেই আছি। আমরা সবাই মিলে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবো। সরকার নতুন এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রায় চার লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মূল সেনানী হচ্ছেন শিক্ষকরা। আমাদের শিক্ষকরা এতোদিন যে আঙ্গিকে শিখন শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন, এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে তাদের শিখন শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষায় এই যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এতে আমাদের শিক্ষকদের প্রস্তুত করার জন্য প্রশিক্ষণের কোনও বিকল্প নেই। এ জন্য আমরা মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রত্যেক শিক্ষককে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছি। সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষককে একই সময়ে একই ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। শিক্ষকরা যাতে প্রশিক্ষণ হাতে-কলমে গ্রহণ করার আগে নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে পারে। প্রশিক্ষণ নিয়ে শিক্ষকরা শিক্ষায় যে পরিবর্তন হচ্ছে তা বিশদভাবে জানার ফলে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন: শিক্ষামন্ত্রীশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে, তাতে আমাদের প্রস্তুতিটাও ব্যাপক। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় যে বাধা আসবে, তা হলো- আমাদের মনোভাব, দৃষ্টিভঙ্গি, অভ্যাস। শিক্ষার্থী কত নম্বর পেলো, বছর শেষে শ্রেণিতে কোনও জায়গায় শিক্ষার্থীর অবস্থান সেটা নিয়ে আমরা যে পরিমাণ উদ্বিগ্ন এবং তার ওপর আমরা যত বেশি জোর দেই, তার থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থী কতটা শিখছে, কতটা ভালো মানুষ হচ্ছে, কতটা তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত হচ্ছে, কতটা মানবিক মানুষ হচ্ছে, তার সৃজনশীলতা কতটুকু বিকাশ হচ্ছে সেটা দেখবার মতো দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে কিনা সেটা খুব জরুরি। এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে যদি সেই জায়গাটিতে আমরা পরিবর্তন আনতে না পারি, তাহলে আমাদের আকাঙ্খা সফল হবে না। সে জন্য আমরা আসলে কী চাইবো সেই জায়গায়টিতে কাজ করবার প্রয়োজন রয়েছে। সে জন্য আমাদের প্রয়োজন মনোভাব পরিবর্তনের কাজটি জোর দিয়ে করা। ’দীপু মনি বলেন, ‘জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে ষষ্ট ও সপ্তম শ্রেণির যে বই হাতে পাবেন সেটিই একেবারে চূড়ান্তরূপ সেটি ভাববেন না। এটিই চূড়ান্ত রূপ নয়। এর ওপর আরও কাজ করার আছে। শিক্ষক প্রশিক্ষণেও আরও পরিবর্তন নিয়ে আসবো। এটি অনেক বড় কাজ। শিক্ষায় আমরা পরিবর্তনের কথা বলছি না। আমরা সংস্কারের কথা বলছি না। আমরা শিক্ষায় রুপান্তরের কথা বলছি। আমরা দুই/তিন বছরের চেষ্টায় একেবারে নিখুঁত একটা পরিকল্পনা করে ফেলবো সেটা বলার দৃষ্টতা আমার নেই। তবে আমরা সবাই মিলে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবো এটি আমার বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: ছাত্র রাজনীতি থাকবে কিনা সে সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের: শিক্ষামন্ত্রী
কোনো শিক্ষক আর নিজের ক্লাসের শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে পড়াতে পারবে না: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৬ নভেম্বর, রুটিন প্রকাশ
২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি)ও সমমান পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সোমবার সব শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে।
সময়সূচি অনুযায়ী, তত্ত্বীয় এইচএসসি পরীক্ষা ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সব বিষয়ে
এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার্থীরা ১০০ নম্বরের সকল পরীক্ষার জন্য ২ ঘণ্টা করে সময় পাবেন। এরমধ্যে তারা বহুনির্বাচনী প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় পাবেন।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে।
আরও পড়ুন: জুন-আগস্টে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা, সিলেবাস পুনঃসংশোধিত
আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন: শিক্ষামন্ত্রী
বছরে ৩০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে এফবিসিসিআই
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে বছরে ৩০ জন নারী শিক্ষার্থীকে পড়ালেখার খরচ দেবে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে এফবিসিসিআই এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
এফবিসিসিআই’র পক্ষে সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর পক্ষে উপাচার্য ড. রুবানা হক পাঁচ বছর মেয়াদী এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
বৃত্তিপাপ্ত শিক্ষার্থীরা এশিয়ার ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এ পড়ার সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতি মো. জাসিম উদ্দিন বলেন, সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে তৃণমূলের প্রান্তিক নারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এফবিসিসিআই। এর মাধ্যমে সমাজে নারী ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীদের অংগ্রহণ আরও বাড়বে বলে মনে করেন সভাপতি।
সভাপতি বলেন, ভারতসহ অন্যান্য দেশে শিল্পখাতের সঙ্গে শিক্ষাখাতের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশেও এই সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। দক্ষ জনবল তৈরি ও শিল্পের সঙ্গে শিক্ষার সংযোগ বাড়াতে এফবিসিসিআই’র বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বুয়েট ও নর্থ সাউথ এর সঙ্গে চুক্তি করেছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কাজ চলছে।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর উপাচার্য ড. রুবানা হক বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হতদরিদ্র নারীরা বিভিন্ন বাধা বিপত্তি কাটিয়ে পড়াশুনা করেন।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এফবিসিসিআই’র
অন্তর্ভুক্তিকরণকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে কাজ করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া ১৯ টি দেশের প্রায় ১৩০০ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম আনিসুল হকের শিল্পখাতে ব্যাপক অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, বিভিন্ন জেলা চেম্বার ও অসোসিয়েশনের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন তা ব্যবসায়ীরা সারাজীবন মনে রাখবেন। বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে কুড়িগ্রামের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিতে আহ্বান জানান সিনিয়র সহ-সভাপতি। ব্যক্তিগতভাবে পাঁচজন শিক্ষার্থীর পড়ালেখার খরচ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল আহমেদ বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাদেরকে পেছনে রেখে দেশ এগুতে পারবেনা। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও উচ্চশিক্ষাকে সার্বজনীন করাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করেন কামাল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সালাউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এম এ রাজ্জাক খান রাজ, পরিচালকরা ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই-রিও ডি জেনিরো চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
মেহেরপুরে ইবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
ইবি-কুষ্টিয়া, ০৯ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাথুলী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত তাসনিম জাহান উর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ওই ছাত্রীর বাবা জানান, চার বছর আগে আশরাফুজ্জামান প্রিন্সের সঙ্গে তাসনিমের বিয়ে হয়। কিন্তু তার স্বামী মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতো।
আরও পড়ুন: ইবিতে ৫০ টাকায় কম্পিউটার বিক্রি!
তাসনিমের বাবা গোলাম কিবরিয়া জানান, ‘বৃহস্পতিবার রাতে প্রিন্সের বাবা ফোনে কল করে তাকে জানান উর্মী অসুস্থ হওয়ায় তাকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ তারা জানায় উর্মী ঘরের জানালার সঙ্গে ফাঁস দিয়েছে। আমি দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে জানতে পারি উর্মী অনেক আগেই মারা গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর এতে প্রমাণ করে যে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: ইবির জন্য প্রায় ১৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলো ইউজিসি
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাত ১০টার দিকে তাসনিমকে ঘরের সিলিং সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশিরা। পরে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। উর্মীর স্বামী প্রিন্স পালাতক রয়েছেন। এঘটনা সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সিজিপিএ পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে বগুড়ায় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
‘সিজিপিএ’ পদ্ধতি বাতিল করে ‘ক্যারিঅন’ পদ্ধতি বহাল রাখার দাবিতে বগুড়ায় সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সোমবার দুপুর দুইটার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) সামনে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর মেডিকেল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
বিক্ষোভে শজিমেকের পাশাপাশি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সিজিপিএ পদ্ধতি চালু করলে মেডিকেল শিক্ষায় বৈষম্য বাড়বে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভেদ বাড়বে।
আরও পড়ুন: রংপুরে মাইগ্রেশনের দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আগের পদ্ধতিতে যে কোনো বর্ষে কোনো বিষয়ে অকৃতকার্য হলে পরবর্তী বর্ষে একই ব্যাচে পড়ার সুযোগ পাওয়া যেত এবং পরের বছর তারা ওই বিষয়ে আবার পরীক্ষা দিতে পারতেন। কিন্তু নতুন গ্রেডিং পদ্ধতিতে সে সুযোগ রাখা হয়নি। সেই সঙ্গে এ, বি ও সি গ্রেড চিকিৎসকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করবে।’
এ বিষয়ে শজিমেক প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ইতোপূর্বে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা কোন একটি বর্ষে একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও পরের বর্ষে উন্নীত হওয়ার একাডেমিক পরিভাষায় যাকে ‘ক্যারিঅন’ বলা হয় তার সুযোগ পেতেন। কিন্তু বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ২০২১-২২ শিক্ষা বর্ষ থেকে ওই ‘ক্যারিঅন’ প্রথা বাতিল করে ‘সিজিপিএ’ পদ্ধতি চালু করে।
আরও পড়ুন: করোনায় মেডিকেল শিক্ষার্থীর গান ‘আমি ডাক্তার’