চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা চলমান লাগারতার অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের দাবিতে গতকাল সোমবার থেকে এ অবরোধ চলছিল।
মঙ্গলবার আন্দোলনকারী নেতা ও চবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার অবরোধ স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের অবরোধে চবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের আশ্বাসে অবরোধ স্থগিত করে ছয় উপগ্রুপ। মহিবুল হাসান নওফেল অনুসারী বাকি একটি উপগ্রুপ বিজয়ও আন্দোলন থেকে সরে এসেছে।
তিন দফা দাবিতে সোমবার ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ শুরু করেন তারা। এছাড়া অবরোধকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন আটকে দেয়ায় দিনভর চলাচল বন্ধ ছিল। অবরোধের কারণে এদিন অন্তত ৯টি বিভাগের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
অবরোধে অংশ নেয়া শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক ছয়টি উপগ্রুপ হলো-ভার্সিটি এক্সপ্রেস, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কা।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর চবির হলে তল্লাশি
তাদের তিন দফা দাবিগুলো হচ্ছে, পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা। কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন। কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়দের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া।
চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক এবং পরিবহন দপ্তরে তালা দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে নোটিশ জারি করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যদি কেউ তালা দেয় তাহলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ