শিক্ষা
বাকৃবি: ২ দাবি মেনে নিল প্রশাসন, আন্দোলন সাময়িক স্থগিত
ছয় দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দুটি দাবি মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন। বাকি চারটি দাবির বিষয়ে আলোচনা চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের আশ্বাসে আপাতত আন্দোলন স্থগিত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে আলোচনা শেষ হয়। এ সময় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান জানানোর পর চলমান ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
আলোচনায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ছয় দফা দাবির প্রথম দুটি মেনে নেওয়া হয়েছে, বাকি চার দাবি নিয়ে আলোচনা চলবে।
আলোচনা শেষে বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন থেকেই হলে থাকতে পারবেন। আগামীকাল (আজ বুধবার) সিন্ডিকেট মিটিংয়ের ব্যবস্থা করে বিজ্ঞপ্তি আকারে হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হবে। তাছাড়া আগামী সাত দিনের মধ্যে ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তই বলবৎ থাকবে বলে জানান এই শিক্ষক।
আরও পড়ুন: বাকৃবির একাডেমিক কাউন্সিল সভার পরবর্তী ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
তিনি আরও জানান, বহিরাগতদের হামলায় শিক্ষার্থীরা আহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ এন এম এহসানুল হক হিমেল জানান, কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি। পরবর্তীতে এই বিষয়ে আরও আলোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবির পক্ষেই আমরা অবস্থান করছি। তবে আগামীকাল আমরা কোনো আন্দোলন কর্মসূচি রাখিনি।’
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী শিবলী জানান, আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল, তাদের প্রশাসনিক বা অ্যাকাডেমিক কোনো ধরনের হ্যারাসমেন্ট করা হবে না বলে উপাচার্য আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লিখিত চাইলে উপাচার্য আজকের (বুধবার) মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান বলে উল্লেখ করেন এই শিক্ষার্থী।
১০৩ দিন আগে
জাকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্ত
আসন্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সকল প্রার্থীর বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাকসু নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে জাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা গত দুইদিন আগে নির্বাচনে প্রার্থীদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা করেছি। সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আমরা ডোপ টেস্টের বিষয়টি আমলে নেই। শিক্ষার্থীদের মতামত মূল্যায়ন করার পর, নির্বাচন কমিশন একসাথে বসে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "নির্বাচনের আগে সকল যোগ্য প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গত ৩১ আগস্ট নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের সাথে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি সুস্থ ও স্বচ্ছ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য জাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করা হয়।
৩৩ বছরের অচলায়তন ভেঙে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর বহুল কাঙ্ক্ষিত জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
১০৪ দিন আগে
এখনও অচল চবি ক্যাম্পাস, এক হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৯৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও এক হাজার ব্যক্তিকে আসামি দেখানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৯৮ জনের এবং অজ্ঞাতনামা ৮০০ থেকে এক হাজারজনকে আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা দপ্তর থেকে দেশীয় অস্ত্র লুটের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছে।
এ দিকে সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আশেপাশে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশনস) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাউসার মোহাম্মদ হোসেন জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনায় রবিবার রাতে প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা দুটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ক্লাস-পরীক্ষা এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
পড়ুন: বাকৃবির একাডেমিক কাউন্সিল সভার পরবর্তী ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
সংঘর্ষের প্রভাবে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটের প্রায় ২৭ হাজার ৫৫০ শিক্ষার্থীর পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব পরীক্ষা স্থগিত রাখা হলেও বিভাগীয় সিদ্ধান্ত ও শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত হলে পরীক্ষা নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
তবে মঙ্গলবারও ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হননি। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন— হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগ ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরবেন না।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কৌশলগত কারণে মামলার অগ্রগতি গোপন রাখছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১০৪ দিন আগে
বাকৃবির একাডেমিক কাউন্সিল সভার পরবর্তী ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
গত ৩১ আগস্ট একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী কর্তৃক মিলনায়তনের সব গেইট বন্ধ করে সভায় উপস্থিত সবাইকে প্রায় ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখে ধ্বংসাত্মক ঘটনা, ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করাসহ সার্বিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হক ভূঁইয়ার আদেশক্রমে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হেলাল উদ্দীনের সই করা এক আদেশনামায় এ তথ্য জানানো হয়।
তদন্ত কমিটিতে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারকে সভাপতি এবং সংস্থাপন শাখা-২ এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মো. মঞ্জুর হোসেনকে সদস্য সচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ, কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী ফরহাদ কাদির, কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান খান, পূর্ত বিভাগ-১ এর অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী এনামুল হক।
আদেশে যথা দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন বা সুপারিশ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, গত ০৭ আগস্ট বাকৃবির পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা তাদের চাকরির ক্ষেত্র বাড়ানো এবং চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয়তায় কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর পাঠায়।
এতে বলা হয়, উপাচার্য বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে গত ১২ আগস্ট একটি কমিটি গঠন করে দেন। গঠিত কমিটির সুপারিশে গত ৩১ আগস্ট সকাল ১১টায় একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় ২৫১জন শিক্ষকের উপস্থিতিতে উপস্থাপন করা হলে শিক্ষা পরিষদ কমিটির সুপারিশ মোতাবেক ৩টি ডিগ্রি দেওয়ার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
১০৪ দিন আগে
নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছা্ত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের প্রার্থীর বিরুদ্ধে রিটকারী এক নারী শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীকে হেনস্থাসহ সারা দেশে নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ভিসি ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, ‘ছাত্রশিবিরের নেতারা ধারাবাহিকভাবে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে। বিশেষ করে যারা শিবিরের বিপরীতে অবস্থান নেয় বা মত প্রকাশ করে, তাদেরকে লক্ষ্য করে অবমাননাকর মন্তব্য, হুমকি ও হয়রানিমূলক আচরণ করা হচ্ছে।’
এ সময় বক্তারা বলেন, একজন নারী শিক্ষার্থী যখন ডাকসু নির্বাচনে শিবির প্রার্থীর বিরুদ্ধাচরণ করে রিট করেন, তখন তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি একটি ভয়ংকর নজির।
তারা বলেন, এটি শুধু ব্যক্তি আক্রমণ নয়, বরং দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নারীর নিরাপদ অংশগ্রহণের ওপর একটি সরাসরি আঘাত।
এ সময় জবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, চব্বিশের আগস্ট না হলে সাদিক, ফরহাদ কি প্রকাশ্যে আসতো? এই বাংলাদেশে কোনো গণহত্যাকারীর ঠাঁই নেই, এই বাংলাদেশে কোনো গণধর্ষকের ঠাঁই নেই।
তিনি বলেন, কিছু কিছু কুলাঙ্গার মব তৈরির চেষ্টা করছে। একাত্তরে যেভাবে নারীদের দেখিয়ে দিতো এরা এখন সেভাবে দেখিয়ে দিতে চায়। প্রতিটা ক্যাম্পাসে কিছু কিছু মানুষ গুপ্ত রাজনীতি করে মব তৈরি করে। শিবির অস্বীকার করছে আলী হোসেন তাদের লোক নয়। বাংলাদেশের মানুষ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল দেখতে চায় আপনারা কতজন লোক আছেন। ইন্টেরিম সরকারকে বলতে চাই ওদের এই গুপ্ত রাজনীতি আপনারা বন্ধ করুন। ছাত্রসংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার ভয়ে একদল লোক মব সৃষ্টি করে। এদেশে গণহত্যা, গণধর্ষণকারীদের ঠাঁই নেই।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, আমরা গত ১৭ বছর নিজেদের ব্যানারে রাজনৈতিক মিছিল করেছি। এর ফলে আমাদের শত শত নেতাকর্মী হামলা, মামলা, গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তিন নেতাকে গুম করা হয়। তারা এখনও নিখোঁজ। কিন্তু এতো অত্যাচারের পরও ছাত্রদল অন্য কিছুর আশ্রয় নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, শিবিরের অনেকে ছাত্রলীগের ছায়াতলে, ব্যানারে এমনকি পোস্টেড নেতা ছিলেন। এ ছাড়াও জুলাই-২৪ এরপর অনেক সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তাদের অপকর্ম, অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েছেন। যারা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে দাবি তুলেছিলেন, তারাও এখন শিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারি। ৭১-এ আপনারা পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছেন, এখনও তাদের আদর্শ ধারণ করছেন। আপনারা কখনোই বাংলাদেশ নামক দেশ চাননি।
এ সময় সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার হোসেন, মাহমুদুল হাসান খান, রবিউল আউয়াল, রফিকুল ইসলাম, নাহিয়ান বিন অনিক, রাসেল মিয়া, ওহিদুজ্জামান তুহিন, জাহিদুল ইসলাম, রাশেদ খান, রাহাতসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
১০৪ দিন আগে
শিগগির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেগুলোতে চলমান সমস্যার সমাধান হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে অচলাবস্থা চলছে শিগগিরই সেই সমস্যার সমাধান হবে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে অচলাবস্থা চলছে তা দুঃখজনক। এজন্য মন্ত্রণালয় উদ্বিগ্ন। তবে আলোচনা করেই এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। শিগগিরই এসব ঘটনার সমাধান হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।
পড়ুন: বাকৃবির আর্থিক লেনদনকারী প্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলালেন আন্দোলনকারীরা
চলমান সমস্যাগুলো দ্রুততম সময়ে সমাধান করা হবে এবং এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলে শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। এই ধরনের পরিস্থিতি কারো কাম্য নয়। তবে সবকিছু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।
১০৪ দিন আগে
ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে 'গণধর্ষণের' হুমকির প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের 'অবস্থান কর্মসূচি'
ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেত্রীদের হেনস্থা এবং সারা দেশে নারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অব্যাহত সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে (ডেইরি গেইট) এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে নেতাকর্মীরা ঢাবি ছাত্রীকে প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকির নিন্দা জানান এবং দেশব্যাপী ছাত্রদলের নারী নেত্রীদের সাইবার বুলিং ও সামাজিক হেনস্তাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এসময় জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘আমরা দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। যার কারণে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই আগষ্ট বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন, সেসমস্ত শিক্ষার্থীদের উপরে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে আক্রমণ করছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন রাকসু নিয়ে কথা হচ্ছে সেই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা হয়েছে। এর তীব্র ও নিন্দা জানান এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তিনি।’
আরও পড়ুন: চবি ও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিক্ষোভ
জাবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফফান আলী বলেন, ‘যে নারীরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, আমাদের শক্তি জুগিয়েছিল আজকে তাদেরকে সাইবার বুলিং এর মাধ্যমে রাজনীতি থেকে দূরে ঠেলে দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।’
এসময় অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন জাকসু নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান, জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী, এজিএস প্রার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম ও আঞ্জুমান আরা ইকরাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
১০৪ দিন আগে
চবি ও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের উপর সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জেএনইউটিএ) ব্যানারে মঙ্গলবার(২ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও সংহতি প্রকাশ করেছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর এই ধরনের হামলা অগ্রহণযোগ্য এবং ক্যাম্পাসে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। তারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক বেলাল হোসেন বলেন, ‘সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাজনৈতিক নেতা ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী পরিস্থিতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাকৃবির আর্থিক লেনদনকারী প্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলালেন আন্দোলনকারীরা
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইস উদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হক নূরের উপর হামলার ঘটনাটি যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। লাল টি-শার্ট পরা পুলিশ সদস্য, যাকে আক্রমণাত্মক আচরণ করতে দেখা যাচ্ছে, তাকে অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে, চবি এবং বাকৃবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অপরাধীদের জবাবদিহি করতে হবে।’
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দুটি যৌক্তিক দাবি রয়েছে- সরকারকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আক্রমণকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
১০৪ দিন আগে
বাকৃবির আর্থিক লেনদনকারী প্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলালেন আন্দোলনকারীরা
দিনব্যাপী ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থিত সকল ব্যাংক ও আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার পর শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পাশে অবস্থিত বেসরকারি পূবালী ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর তারা নতুন প্রশাসনিক ভবন ও কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা দেন। তার আগে অবশ্য ভেতরে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের হওয়ার সুযোগ দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘প্রশাসনের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘প্রশাসনের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘টালবাহানার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।
আরও পড়ুন: বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বলেছিলাম আমাদের ছয় দফা দাবি মানা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় লকডাউন এবং ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা সবকিছুই বন্ধ। ক্যাম্পাসের ভেতরে চালু প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে।
তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের দাবি আদায়ের কোনো আশ্বাস এখনো পাইনি। প্রশাসন যাতে দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেয় এজন্য আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছি।
১০৪ দিন আগে
বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
ছয় দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় সারা দিনব্যাপী ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের জব্বারের মোড় এলাকা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তখন থেকেই ধীরে ধীরে বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন।
গতকাল সোমবার বেলা ২টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যানসহ ছয় দফার আল্টিমেটাম দেওয়া হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত ছয় দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় আজকের এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো:
১. হল খালি করার নির্দেশনা প্রত্যাহার
২. আবাসিক হলের সব ধরনের সুবিধা সচল রাখা
৩. প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগ
৪. বহিরাগত হামলা ও নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তার ঘটনায় উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা
৫. হামলায় জড়িত শিক্ষক ও বহিরাগতদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং
৬. একক কম্বাইন্ড ডিগ্রি বাস্তবায়ন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিগুলোকে অবহেলা করছে।
১০৪ দিন আগে